মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৯৩ টি

হাদীস নং: ৮১
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর নবী যাকারিয়‍্যা, ইয়াহইয়া, 'ঈসা ও তাঁর জননী মারয়াম (আ) সম্পর্কিত পরিচ্ছেদসমূহ

পরিচ্ছেদ: যাকারিয়‍্যা ও ইয়াহইয়া (আ)-এর মর্যাদা
(৮১) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যাকারিয়‍্যা (আ) (পেশায়) একজন কাঠমিস্ত্রী ছিলেন।
(মুসলিম ও ইবনে মাজাহ।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
أبواب ذكر أنبياء الله زكريا ويحي وعيسى وأمه مريم عليهم السلام

باب ما جاء فى فضل زكريا ويحي عليها السلام
عن أبى هريرة (1) قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم كان زكريا عليه السلام نجارا
হাদীস নং: ৮২
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর নবী যাকারিয়‍্যা, ইয়াহইয়া, 'ঈসা ও তাঁর জননী মারয়াম (আ) সম্পর্কিত পরিচ্ছেদসমূহ

পরিচ্ছেদ: যাকারিয়‍্যা ও ইয়াহইয়া (আ)-এর মর্যাদা
(৮২) ইবন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ইয়াহইয়া ইবনে যাকারিয়‍্যা (আ) ব্যতীত কোন আদম সন্তান এইরূপ নেই, যে কোন ধরনের ভুল-ত্রুটি বা গোনাহ করেনি অথবা গোনাহ করার ইচ্ছা পোষণ করেনি আর কারো এইরূপ বলা উচিত নয় যে, আমি ইউনুস ইবনে মাত্তা (আ) থেকে উত্তম।
(হাইছামী ও বাযযার।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
أبواب ذكر أنبياء الله زكريا ويحي وعيسى وأمه مريم عليهم السلام

باب ما جاء فى فضل زكريا ويحي عليها السلام
عن ابن عباس (3) ان رسول الله صلي الله عليه وسلم قال ما من أحد من ولد آدم الا قد أخطأ أو همّ بخطيئة ليس يحي بن زكريا وما ينبغى لأحد أن يقول أنا خير من يونس بن متى عليه السلام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৩
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী ইয়াহইয়া (আ) কর্তৃক বনী ইসরাঈলকে উপদেশ
৮৩. হারিছ আল-আশ'আরী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা ইয়াহইয়া ইবন যাকরিয়াকে (আ) পাঁচটি বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে তিনি নিজে তা আমল করেন এবং বনী ইসরাঈলকে তা আমল করার নির্দেশ দান করেন। কিন্তু তিনি (তা প্রচারে) প্রায় বিলম্ব করে ফেলেছিলেন। এমতাবস্থায় ঈসা (আ) তাঁকে বললেন, আপনাকে পাঁচটি বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হলো, যাতে করে আপনি নিজে আমল করতে পারেন এবং বনী ইসরাঈলকেও তা আমল করতে নির্দেশ দেন। (কিন্তু আপনি এখনও তা প্রচার করেননি)। এখন আপনি বলুন, আল্লাহর সেই নির্দেশ আপনি পৌছাবেন, না কি আমি পৌঁছে দেব? ইয়াহইয়া (আ) তাঁকে বললেন, প্রিয় ভাই, আপনি যদি আমার আগে এই নির্দেশ প্রচার করেন তাহলে আমার ভয় হয় আমাকে শাস্তি প্রদান করা হবে অথবা যমিন আমাকে গ্রাস করে ফেলবে। অতঃপর ইয়াহইয়া (আ) বনী ইসরাঈলকে বাইতুল মাকদিস-এ একত্রিত করেন। মসজিদ লোকে ভর্তি হয়ে যায়। তিনি মিম্বরে বসে আল্লাহ্ তা'আলার প্রশংসা ও গুণকীর্তন করেন এবং সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা পাঁচটি বিষয়ে আমাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন, যাতে আমি নিজে আমল করি এবং তোমাদেরকেও সেই অনুসারে আমল করার নির্দেশ প্রদান করি। সর্বপ্রথম নির্দেশ, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন শরীক করবে না। এর উদাহরণ হচ্ছে- কোন লোক তার সৎ উপায়ে অর্জিত রূপা অথবা সোনা দিয়ে একটি দাস ক্রয় করলো। দাসটি কাজ-কর্ম করছে ঠিকই, কিন্তু তার কামাই জমা দিচ্ছে মনিবের কাছে নয় বরং অন্যের কাছে। তোমাদের কে এমন আছ যে, তার ক্রীতদাস এইরূপ হোক, তা চাইবে? নিশ্চয় তোমাদের রব আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের সৃষ্টি করছেন তোমাদেরকে রিযিক দান করেছেন। সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না। আমি তোমাদেরকে আরো নির্দেশ দিচ্ছি সালাত কায়েম করা সম্পর্কে। নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর চেহারা তথা মনোযোগ নিবিষ্ট রাখেন তাঁর সালাতরত বান্দার চেহারার প্রতি-যতক্ষণ সেই বান্দা এদিক-সেদিক দৃষ্টিপাত না করে। সুতরাং তোমরা যখন সালাত আদায় করবে, তখন এদিক-সেদিক দৃষ্টিপাত করবে না। আর তোমাদেরকে সিয়াম পালন সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছি। কারণ, এর উদাহরণ হচ্ছে, সেই ব্যক্তির ন্যায়, যার কাছে একটি মিশকের পাত্র রয়েছে, তার সঙ্গী দলের প্রত্যেকেই সেই মিশকের সুগন্ধি নিতে পারছে। (জেনে রাখ) রোযাদার ব্যক্তির মুখের গন্ধ আল্লাহ্ তা'আলার কাছে মিশকের সুগন্ধির চেয়ে উত্তম। আর আমি তোমাদেরকে সাদকা প্রদান সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছি। কারণ এর উদাহরণ হচ্ছে সেই ব্যক্তির ন্যায়, যাকে শত্রুপক্ষ বন্দী করে ফেলেছে, তার দুই হাত গর্দানের কাছে নিয়ে শক্ত করে বেঁধে নিয়েছে এবং তাকে হত্যার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। এমতাবস্থায় সে তাদেরকে বললো, তোমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন কিছু আছে কি যদ্বারা আমি মুক্তিপণ দিয়ে তোমাদের কাছ থেকে রেহাই পেতে পারি? এইভাবে সেই ব্যক্তি অল্প ও বিস্তর পণ্যের মাধ্যমে শত্রুদের কাছ থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিল। আর আমি তোমাদেরকে অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকর (স্মরণ) করতে নির্দেশ দিচ্ছি। কারণ এর উদাহরণ সেই ব্যক্তির ন্যায়, যাকে শত্রু ধাওয়া করেছে, সে দৌড়ে এসে দ্রুত একটি দুর্গে আশ্রয় নেয়। (জেনে রেখ) বান্দা যখন আল্লাহ্ তা'আলার স্মরণে (যিকিরে) মগ্ন থাকে, তখন সে শয়তান থেকে সেই দূর্গে আশ্রয় গ্রহণকারী ব্যক্তির চেয়েও অধিক নিরাপদ থাকে। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আমিও তোমাদেরকে পাঁচটি বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করছি, যা আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে- জামা'আত, শ্রবণ, আনুগত্য, হিজরত ও জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ। কেননা, যে ব্যক্তি জামাআত থেকে এক বিঘত (অর্ধেক হাত) পরিমাণ দূরে বের হয়ে যায়, সে যেন তার গলা থেকে ইসলামের রশি খুলে ফেলল (অর্থাৎ ইসলামের বিধিবিধান থেকে বের হয়ে গেল) যতক্ষণ না সে ফিরে আসে। আর যে ব্যক্তি অজ্ঞতার যুগের সম্বোধন দ্বারা কাউকে আহ্বান করে, সে জাহান্নামের লাশ হবে। লোকজন জিজ্ঞেস করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। যদিও সে রোযা ও সালাত পালন করে? রাসূল (ﷺ) বলেন, হ্যাঁ রোযা ও সালাত পালন করলেও এবং নিজেকে একজন মুসলিম মনে করলেও (জাহান্নামে যাবে)। সুতরাং তোমরা মুসলিমগণকে ঐসব নামে আহ্বান করো যে নামে আল্লাহ তাদেরকে নামকরণ করেছেন, তথা মুসলিম, মুমিন, আল্লাহর বান্দা।
(এই হাদীসের বরাত ও ব্যাখ্যার জন্য দ্রঃ পৃ. ১৯৭; হাদীস নং ৭৯।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب وصية نبى الله يحي لبنى اسرائيل
عن الحارث الأشعرى (4) أن نبى الله صلي الله عليه وسلم قال إن الله عز وجل يحي بن زكريا، بخمس كلمات أن يعمل بهن وأن يأمر بنى اسرائيل أن يعملوا بهن فكاد أن يبطئ، فقال له عيسى إنك قد أمرت بخمس كلمات أن تعمل بهن وأن تأمر بنى اسرائيل أن يعملوا بهن، فأمَّا أن تبلغهن وإمِّا أبلغهن، فقال له يا أخى أنى أخشى إن سبقتنى أن أعذب أو يخسف بى، قال فجمع يحي بنى أسرائيل فى بيت المقدس حّى امتلأ المسجد وقعد على الشرف فحمد الله وأثنى عليه ثم قال إن الله عز وجل أمرنى بخمس كلمات أن أعمل بهن وآمركم أن تعملوا بهن، أو لهن أن تعبدوا الله ولا تشركوا به شيئا، فان مثل ذلك متل رجل أشترى عبدا من خالص ماله بورق أو ذهب فجعل يعمل ويؤدى عمله الى غير سيده فأيكم يسره أن يكون عبده كذلك؟ وإن ربكم عز وجل خلقكم ورزقكم فاعبدوه ولا تشركوا به شيئا، وآمركم بالصلاة فان الله عز وجل ينصب وجهه بوجه عبده ما لم يلتفت، فاذا صليتم فلا تلتفتوا، وآمركم بالصيام فان مثل ذلك كمثل رجل معه صرة من مسك فى عصابة كلهم يجد ريح المسك وان خلوف فم الصائم أطيب عند الله من ريح المسك، وآمركم بالصدقة فان مثل ذلك كمثل رجل أسره العدو فشدوا يديه الى عنقه وقربوه ليضربوا عنقه فقال هل لكم أن أفتدى نفسى منكم؟ فجعل يفتدى نفسه منهم بالقليل والكثير حتى فك نفسه، وآمركم بذكر الله كثيرا وإن مثل ذلك كمثل رجل طلبه العدو سراعا فى أثره فأتى حصنا حصينا فتحصن فيه، وإن العبد أحصن ما يكون من الشيطان إذا كان فى ذكر الله عز وجل، قال وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أنا آمركم بخمس: الله أمرنى بهن، بالجماعة والسمع والطاعة، والهجرة والجهاد فى سبيل الله، فأنه من خرج من الجماعة قِيد شبر فقد خلع ربقة الاسلام من عنقه الى أن يرجع، ومن دعا بدعوة الجاهلية فهو من حثاه جهنم، قالوا يا رسول الله وإن صام وصلى؟ قال وأن صام وصلى وزعم أنه مسلم، فادعوا المسلمين بما سماهم المسلمين المؤمنين عباد الله عز وجل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৪
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আল্লাহর নবী, বান্দা ও রাসূল 'ঈসা ইবন মারইয়াম বিনতু 'ইমরান (আ)
(৮৪) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে কোন জাতক (মনুষ্য) ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শয়তান তাকে খোঁচা দেয়। শয়তানের এই খোঁচার কারণেই সেই জাতক প্রথম বারের মত চিৎকার দিয়ে ওঠে; কিন্তু মারইয়ামপুত্র 'ঈসা (আ) ও তাঁর মাতা এর ব্যতিক্রম। আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তোমরা ইচ্ছা করলে (এ প্রসঙ্গে) পাঠ করতে পার আল্লাহর বাণী,
اِنِّیۡۤ اُعِیۡذُها بِکَ وَذُرِّیَّتَہَا مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ
(হে আমার প্রতিপালক!) তাকে ও তার বংশধরগণকে অভিশপ্ত শয়তান থেকে হেফাজতের জন্য তোমার আশ্রয়ে অর্পণ করলাম
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبى الله عيسى بن مريم عبد الله ورسوله وابن أمته مريم بنت عمران عليهما السلام
عن أبى هريرة (1) قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم ما من مولود يولد الا نخسه الشيطان (2) فيستهل صارخا من نخسة الشيطان الا ابنَ مريم وأمَّه: قال أبو هريرة اقرءوا إن شئتم (انى أعيذها بك وذريتها من الشيطان الرجيم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৫
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মারইয়াম বিনতু ইমরানের (আ) মর্যাদা
(৮৫) 'আলী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (ﷺ) বলতে শুনেছি, (সে যুগের) শ্রেষ্ঠ নারী মারইয়াম এবং (এ যুগের) শ্রেষ্ঠ নারী খাদীজা (রা)।
(হাদীসটি গরীব)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى فضل مريم بنت عمران
عن على رضى الله عنه (1) قال سمعت رسول الله صلي الله عليه وسلم يقول خير نسائها مريم بنت عمران (2) وخير نسائها خديجة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৬
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মারইয়াম বিনতু ইমরানের (আ) মর্যাদা
(৮৬) ইব্‌ন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মাটিতে চারটি দাগ টানেন এবং জিজ্ঞেস করেন- এটা কী, তা তোমরা জান কি? তারা বললেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই সর্বোচ্চ জ্ঞাতা। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, জান্নাতবাসিনী মহিলাদের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছেন খাদীজা বিনতু খুওয়াইলিদ, ফাতিমা বিনত মুহাম্মাদ (ﷺ), আসিয়া বিনত মুযাহিম-ফিরআউনের স্ত্রী ও মারইয়াম বিনত 'ইমরান (রাদিআল্লাহু 'আনহুম)।
(হাইছামী, তাবারানী, যাহাবী ও নাসাঈ)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى فضل مريم بنت عمران
عن ابن عباس (4) قال خط رسول الله صلي الله عليه وسلم فى الأرض أربعة خطوط قال تدرون ما هذا؟ فقالوا الله ورسوله أعلم، فقال رسول الله صلي الله عليه وسلم أفضل نساء أهل الجنة خديجة بنت خويلد، وفاطمة بنت محمد صلي الله عليه وسلم وآسية بنت مزاحم امرأة فرعون (5) ومريم بنت عمران (رضى الله عنهن)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৭
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মারইয়াম বিনতু ইমরানের (আ) মর্যাদা
(৮৭) আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, বিশ্ব নারীকূলের মধ্যে তোমার জন্য যথেষ্ট (অর্থাৎ সর্বোত্তম) হচ্ছেন- মারইয়ম বিনতু 'ইমরান, খাদীজা বিনতু খুওয়াইলিদ, ফাতিমা বিনতু মুহাম্মদ (ﷺ) এবং ফিরআউনের স্ত্রী আসীয়া (রা)।
(তিরমিযী, ইবনে হিব্বান ও মালিক)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى فضل مريم بنت عمران
عن أنس (6) أن النبى صلي الله عليه وسلم قال حسبك (7) من نساء العالمين مريم أبنة عمران وخديجة بنت خويلد وفاطمة ابنة محمد صلي الله عليه وسلم وآسية امرأة فرعون
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৮
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মারইয়াম বিনতু ইমরানের (আ) মর্যাদা
(৮৮) আবূ সা'ঈদ আল-খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, হাসান ও হুসাইন (রা) জান্নাতবাসী যুবকদের নেতা এবং ফাতিমা জান্নাতের নারীদের নেত্রী, তবে মারইয়াম বিনতু 'ইমরানের যে বৈশিষ্ট্য আছে তা আলাদা।
(ইবনে হিব্বান, তাবারানী, মালিক)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى فضل مريم بنت عمران
عن أبى سعيد الخدرى (8) قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم الحسن والحسين سيدا شباب أهل الجنة وفاطمة سيدة نسائهم الا ما كان لمريم بنت عمران
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৯
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহ্ নবী 'ঈসা ইবন মারইয়াম (আ)-এর মর্যাদা
(৮৯) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক আদমসন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় শয়তান তার পাজরে খোঁচা মারে। ব্যতিক্রম কেবল 'ঈসা ইবন মারইম (আ)। তাকেও শয়তান খোঁচা মারতে গিয়েছিল, কিন্তু সে তাঁর পরিবর্তে পর্দায় খোঁচা মারে।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى فضل نبى الله عيسى بن مريم عليه السلام
عن أبى هريرة (2) عن النبى صلي الله عليه وسلم أنه قال كل بنى آدم يطعُن (3) الشيطان بإصبعه فى جنبه حين يولد إلا عيسى بن مريم ذهب يطعن فطعن فى الحجاب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯০
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহ্ নবী 'ঈসা ইবন মারইয়াম (আ)-এর মর্যাদা
(৯০) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আমি 'ঈসা ইবন মারইয়ম (আ)-এর সর্বাধিক নিকটবর্তী (অর্থাৎ সকল মানুষের চেয়ে আমিই তাঁর সর্বাধিক ঘনিষ্ঠ।) দুনিয়াতে এবং আখিরাতে। লোকজন আরজ করলো, তা কিভাবে ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)। রাসূল (ﷺ) বললেন, নবীগণ (আ) সবাই সৎ ভাই, একই ঔরসজাত। তাঁদের জননী ভিন্ন ভিন্ন কিন্তু তাঁদের দ্বীন এক ও অভিন্ন। আর আমাদের মাঝে (অর্থাৎ আমার ও ঈসার (আ) মাঝে) অন্য কোন নবী নেই।
(বুখারী, মুসলিম ও আবূ দাউদ)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى فضل نبى الله عيسى بن مريم عليه السلام
وعنه أيضا (5) قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم أنا أولى الناس بعيسى بن مريم فى الأولى (6) والآخرة، قالوا كيف يا رسول الله؟ قال الأنبياء أخوة من عَلاَت (7) وأمهاتهم شتى ودينهم واحد فليس بيننا نبى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯১
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহ্ নবী 'ঈসা ইবন মারইয়াম (আ)-এর মর্যাদা
(৯১) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে আরও বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যদি আমার হায়াত দীর্ঘ হয, তবে আমি অবশ্যই আশা পোষণ করি যে, আমি 'ঈসা ইবন মারইয়ামের (আ) সাথে মিলিত হব। কিন্তু যদি মৃত্যু আমার সাথে ত্বরা করে, তাহলে তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাঁর সাক্ষাত পাবে, সে যেন আমার পক্ষ থেকে তাঁকে সালাম পৌঁছিয়ে দেয়।
(হাইছামী ও আহমদ)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى فضل نبى الله عيسى بن مريم عليه السلام
وعنه أيضا (9) عن النبى صلي الله عليه وسلم أنه قال انى لأرجو إن طال بى عمر أن ألقى عيسى بن مريم عليه السلام فان عجل لى موت فمن لقيه منكم فليقرئه مني السلام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯২
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী ও বান্দা 'ঈসা (আ)-এর গুণ-বৈশিষ্ট্য, শেষ যামানায় তাঁর অবতরণ, তাঁর নির্দেশ, তাঁর অবস্থানের সময়কাল, তাঁর হজ্জ পালন, ইসলাম ভিন্ন অন্যসব ধর্মের বিলুপ্তি ও তাঁর ওফাত
(৯২) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছন, নবীগণ পরস্পরে সৎ ভাই। তাঁদের জননী ভিন্ন, কিন্তু তাঁদের দ্বীন এক ও অভিন্ন। আর আমিই 'ঈসা ইবন মারইয়ামের (আ) সবচেয়ে নিকটবর্তী। কারণ, আমার ও তাঁর মধ্যে অন্য কোন নবী নেই এবং তিনি অবশ্যই অবতরণ করবেন। যখন তোমরা তাঁকে দেখবে, তখন তাঁকে সুঠাম দেহের অধিকারী, লাল ও সাদা মিশ্রিত গায়ের রং এবং তাঁর গায়ে থাকবে দুইটি ঈষৎ হালকা রংয়ের বস্ত্র। তাঁর কেশরাজি থেকে যেন পানির ফোঁটা টপ টপ করে ঝরছে, যদিও তাঁর কেশরাজি ভিজা নয়। তিনি এসে ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন, শূকর হত্যা করবেন, জিযিয়া কর উঠিয়ে দেবেন এবং মানুষকে দ্বীন ইসলামের প্রতি আহ্বান করবেন। সুতরাং তাঁর সময়ে আল্লাহ্ তা'আলা ইসলাম ভিন্ন অন্য সকল বাতিল ধর্ম ধ্বংস করে দিবেন। তাঁর সময়ে আল্লাহ্ তা'আলা মাসীহ দাজ্জালকে ধ্বংস করবেন। পৃথিবীতে সর্বত্র শান্তি বিরাজ করবে। এমনকি সিংহ আর উট; চিতাবাঘ আর গাভী, বাঘ আর ছাগ একত্রে বিচরণ করবে। শিশুরা সাপ নিয়ে খেলা করবে, সাপ তাদের কোন ক্ষতি করবে না। এইভাবে ঈসা (আ) চল্লিশ বছর অতিবাহিত করবেন। অতঃপর তাঁর ওফাত হবে। মুসলিম জনতা তাঁর সালাতুল জানাযা আদায় করবেন। (অন্য বর্ণনায়) এবং তাঁকে তারা দাফনও করবেন।
(আবূ হুরাইরা (রা) থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, অচিরেই মারইয়ামপুত্র (ঈসা) তোমাদের মধ্যে একজন ন্যায়পরায়ণ প্রশাসক হিসেবে অবতরণ করবেন (অন্য শব্দে ন্যায়পরায়ণ শাসক ও সুবিচারক ইমাম হিসেবে)। তিনি ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন, শূকর হত্যা করবেন, জিযিয়া উঠিয়ে দিবেন। সম্পদের প্রাচুর্য দেখা দেবে। এমনকি তা কেউ গ্রহণ করবে না।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, ইবন মাজাহ ও ইবনে জারীর)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء في صفته وشمائله ونزوله آخر الزمان وحكمه ومدة مكثه فى الارض وحجه وفناء كل ملة غير الاسلام ووفاته
عن أبى هريرة (1) أن النبى صلي الله عليه وسلم قال الأنبياء إخوة لعَلاَت، أمهاتهم شّى ودينهم واحد، وأنا أولى الناس بعيسى بن مريم لأنه لم يكن بينى وبينه نبى (1) وأنه نازل فاذا رأيتموه فاعرفوه رجلا مربوعا الى الحمرة والبياض عليه ثوبان عصران (2) كأن رأسه يقطر وان لم يصبه بلل: فيدق الصليب (3) ويقتل الخنزير ويضع الجزية ويدعو الناس الى الأسلام فيهلك الله فى زمنه الملل كلها إلا الأسلام ويهلك الله فى زمانه المسيخ الدجال وتقع الأمنة على الأرض حتى ترتع الاسود مع الابل، والنمار مع البقر، والذئاب مع الغنم، ويلعب الصبيان بالحيات لا تضرهم، فيمكث أربعين سنة ثم يتوفى ويصلى عليه المسلمون (زاد فى رواية) ويدفنونه (وعنه من طريق ثان) (4) يبلغ به النبى صلى الله عليه وسلم يوشك أن ينزل فيكم أبن مريم حكما مقسطا (وفى لفظ حكما عادلا وإماما مقسطا) يكسر الصليب ويقتل الخنزير ويضع الجزية ويفيض المال حتى لا يقبله أحد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৩
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী ও বান্দা 'ঈসা (আ)-এর গুণ-বৈশিষ্ট্য, শেষ যামানায় তাঁর অবতরণ, তাঁর নির্দেশ, তাঁর অবস্থানের সময়কাল, তাঁর হজ্জ পালন, ইসলাম ভিন্ন অন্যসব ধর্মের বিলুপ্তি ও তাঁর ওফাত
(৯৩) যুহরী (র) হানযালার (রা) বরাতে আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, 'ঈসা ইবন মারইয়াম (আ) অবতরণ করবেন এবং শূকর হত্যা করবেন, ক্রুশ বিলুপ্ত করে দেবেন। তার অধীনে সালাত কায়েম করা হবে। তখন সম্পদ প্রদান করা হবে কিন্তু তা গ্রহণ করা হবে না। তিনি "খারাজ” উঠিয়ে দিবেন। তিনি "রাওহা" নামক স্থানে অবতরণ করবেন (স্থানটি মদীনা শরীফ থেকে ত্রিশ অথবা ছত্রিশ অথবা চল্লিশ মাইল দূরে অবস্থিত)। তিনি সেখান থেকে ইহরাম করবেন হজ্জের নিয়্যতে অথবা ওমরার নিয়্যতে, অথবা একত্রে উভয়টির নিয়্যতে। বর্ণনাকারী (যুহরী) বলেন, আবূ হুরাইরা (রা) এখানে আল্লাহর বাণী তিলাওয়াত করেন,
وَإِنْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ وَيَوْم الْقِيَامَةِ يَكُونُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا
অর্থাৎ আহলে কিতাবের প্রত্যেকেই মৃত্যুর পূর্বে তাঁর প্রতি অবশ্যই ঈমান আনবে এবং কিয়ামত দিবসে তিনি তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হবেন।
হানযালা (রা) মনে করেন "ঈসার মৃত্যুর পূর্বে তাঁর উপর তারা ঈমান আনবে" আবূ হুরাইরার (রা) এ কথাটি সম্পূর্ণই রাসূলের (ﷺ) বাণী, না কি আবূ হুরাইরার (রা) নিজের তা আমি জানি না।
(একই রাবী থেকে দ্বিতীয় বর্ণনায় এসেছে) হানযালা আল-আস্লামী (রা) আবূ হুরাইরাকে (রা) বলতে শুনেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, মুহাম্মদের জীবন যাঁর হাতে, সেই মহান সত্তার শপথ, মারইয়ম পুত্র (ঈসা) 'রাওহা' প্রান্তরে অবশ্যই অবতরণ করবেন হজ্জ পালনকারী হিসেবে অথবা ওমরা পালনকারী হিসেবে অথবা উভয়টি একত্রে পালনকারী হিসেবে।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء في صفته وشمائله ونزوله آخر الزمان وحكمه ومدة مكثه فى الارض وحجه وفناء كل ملة غير الاسلام ووفاته
عن الزهرى (5) عن حنظلة عن أبى هريرة قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم ينزل عيسى بن مريم فيقتل الخنزير ويمحو الصليب وتجمع له الصلاة ويعطى المال حتى لا يقبل، ويضع الخراج وينزل الروحاء (6) فيحج منها (7) أو يعتمر أو يجمعهما قال وتلا أبو هريرة وأن من أهل الكتاب الا ليؤمنن به قبل موته ويوم القيامة يكون عليهم شهيدا) فزعم حنظلة (8) أن أبا هريرة قال يؤمن به قبل موت عيسى فلا أدرى هذا كله حديث النبى صلي الله عليه وسلم أو شيء قاله أبو هريرة (وعنه من طريق ثان) (1) عن حنظلة الأسلمى سمع أبا هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم والذى نفس محمد بيده ليُهلنَّ أبن مريم بفج الروحاء (2) حاجا أو معتمرا أو ليُثنيهما
tahqiq

তাহকীক: