মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৯৩ টি

হাদীস নং: ৬১
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: কারূণের মাটিতে ধ্বসে যাওয়া এবং আল্লাহর নবী মূসা (আ)-এর সাথে তার ঘটনা
(৬১) আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, একদা এক লোক (কারূন) তার এক জোড়া কাপড় পরিধান করে চলছিল। এ অবস্থায় আল্লাহ্ তা'আলার নির্দেশে যমিন তাকে গ্রাস করে নেয়। সে কিয়ামত পর্যন্ত সেখানে বহাল থাকবে।
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب الخسف بقارون وقصة نبى الله موسى معه
عن أبى سعيد الخدرى (1) عن رسول الله صلي الله عليه وسلم قال بينا رجل يمشى بين بردين مختالا خسف الله به الأرض فهو يتجلجل فيها الى يوم القيامة
হাদীস নং: ৬২
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: কারূণের মাটিতে ধ্বসে যাওয়া এবং আল্লাহর নবী মূসা (আ)-এর সাথে তার ঘটনা
(৬২) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ সত্যবাদী আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধুবর আবুল কাসিম মুহাম্মদ (ﷺ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে এক ব্যক্তি তার এক জোড়া কাপড় পরে দর্পভরে চলছিল। সে ভীষণ অহঙ্কারী ছিল। আল্লাহ্ তা'আলা তার উপর ক্রুদ্ধ হন এবং যমিনকে নির্দেশ দেন, যমিন তাকে গ্রাস করে নেয়। সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, সেই (অভিশপ্ত) ব্যক্তি কিয়ামত পর্যন্ত মাটির অভ্যন্তরে তলিয়ে যেতে থাকবে।
(হাদীসটি সহীহ। বুখারী ও মুসলিম)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب الخسف بقارون وقصة نبى الله موسى معه
عن أبى هريرة (2) قال حدثنى الصادق المصدوق خليلى أبو القاسم صلي الله عليه وسلم قال بينما رجل ممن كان قبلكم يتبختر بين بردين فغضب الله عليه فأمر الأرض فبلعته، فوا الذي نفسي بيده إنه ليتجلجل الى يوم القيامة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৩
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: কারুন, ফিরআউন ও হামানের নিন্দা
(৬৩) আবদুল্লাহ ইবন 'আমর ইবন 'আস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আল্লাহর রাসূল (ﷺ) সালাত বিষয়ে কথা বলছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সালাতের প্রতি গুরুত্বের সাথে যত্নবান হবে, কিয়ামতের দিন সালাত সেই ব্যক্তির জন্য "নূর” (জ্যোতি), বুরহান (অকাট্য দলীল) ও নাজাত (যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি) হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি তা করবে না, তার জন্য সালাত নূর, বুরহান ও নাজাত হবে না। বরং কিয়ামতের দিন সে থাকবে কারূন, ফিরআউন, হামান ও উবাই বিন খালফের সাথে।
(এই হাদীসের সনদ ও তাখরীজ দ্বিতীয় খণ্ডের ৮১নং হাদীসের টীকায় দ্রষ্টব্য।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى ذم قارون وفرعون وهامان
عن عبد الله بن عمرو بن العاص (1) عن النبى صلي الله عليه وسلم أنه ذكر الصلاة يوما فقال من حافظ عليها كانت له نورا وبرهانا ونجاة يوم القيامة، ومن لم يحافظ عليها لم يكن له نور ولا برهان وكان يوم القيامة مع قارون وفرعون وهامان وابى بن خلف
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৪
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : মালাকুল মউতের সাথে মূসা (আ), তাঁর ওফাত ও কবর সম্পর্কিত ঘটনা
(৬৪) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, প্রথমদিকে মালাকুল মওত (আজরাইল (আ) মানুষের কাছে প্রকাশ্যে আগমন করতেন। মুসার (আ) মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসলে তিনি মূসার (আ) কাছে আসেন। মূসা (আ) তাঁকে সজোরে থাপ্পড় মারেন এবং এতে তাঁর একটি চক্ষু নষ্ট হয়ে যায় (মূসা (আ) তাঁকে চিনতে না পেরেই এমনটি করে থাকবেন। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ)। সুতরাং তিনি (মালাকুল মওত) তাঁর মহামহিম প্রভুর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরয করলেন, হে রব, তোমার বান্দা মূসা আমার চক্ষু গলিয়ে দিয়েছে। আপনার কাছে তাঁর বিশেষ মর্যাদা যদি না থাকতো, তবে আমি তাঁকে সজোরে একটি ধমক লাগিয়ে দিতাম। ইউনুস (এই হাদীসের জনৈক রাবী) বলেন, (মালাকুল মওত বলেছেন) তাঁকে খুব শক্ত কথা বলতাম। তখন মহাপ্রভু বললেন, তুমি আমার বান্দার কাছে যাও এবং তাঁকে বল তিনি যেন একটি বলদের পিঠে তাঁর হাত রাখেন; তাঁর হাতের নীচে যত পশম থাকবে, প্রতিটি পশমের জন্য একবছর করে তাঁর আয়ু বৃদ্ধি করা হবে। মালাকুল মওত সেমতে তাঁর কাছে আসলেন (এবং মহাপ্রভুর প্রস্তাব নিবেদন করলেন)। মূসা (আ) বললেন, এরপর কী হবে? তিনি বললেন, এরপর মৃত্যু। মূসা (আ) বললেন, তাহলে এখনই (মৃত্যু শ্রেয়)। তখন মালাকুল মওত তাঁর কাছে আসলেন এবং তাঁর রূহ কবয করলেন।
ইউনুস বলেন, অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর চক্ষু পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেন। এরপর থেকে মালাকুল মওত মানুষের কাছে সংগোপনে আগমন করেন।
(আবূ হুরাইরা (রা) থেকে দ্বিতীয় বর্ণনায় এসেছে) মালাকুল মওত-কে মূসার (আ) নিকট প্রেরণ করা হয়। যখন তিনি তাঁর কাছে আসলেন, তখন মূসা (আ) তাঁকে থাপ্পড় মারেন। এবং এতে মালাকুল মওতের চক্ষু নষ্ট হয়ে যায়। তিনি তাঁর মহামহিম প্রভুর কাছে ফিরে এসে অভিযোগ করে বলেন, আপনি আমাকে এমন এক বান্দার কাছে প্রেরণ করেছেন, যিনি মৃত্যু চাচ্ছেন না। তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর চক্ষু পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেন এবং বলেন, তুমি তাঁর কাছে আবার যাও এবং তাকে বল সে যেন একটি বলদের পিঠে হাত রাখে এবং তাঁকে তাঁর হাতের নিচের প্রতিটি পশমের জন্য এক বছর করে আয়ু বৃদ্ধি করা হবে। (মালাকুল মওত এই প্রস্তাব নিয়ে তাঁর কাছে ফিরে গেলে) তিনি বলেন, ইয়া রব, এরপর কী? রব বললেন, মৃত্যু। তখন তিনি বললেন, তবে (তা হোক) এখনই। অতঃপর তিনি আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন যেন তাঁকে পবিত্র ভূমির নিকট প্রস্তর নিক্ষেপের সমপরিমাণ দূরত্বে পৌছিয়ে দেন। (অর্থাৎ একটি পাথর নিক্ষেপ করলে যতটুকু দূরত্বে পতিত হয়, অতটুকু পবিত্র ভূমির ততটুকু কাছে যেন তাঁকে পৌছিয়ে দেওয়া হয়। কারণ সেখানে অন্যান্য নবীগণের কবর থাকার কারণে সেই ভূমির মর্যাদা অত্যধিক।) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আমি যদি (এই মুহূর্তে) সেখানে অবস্থান করতাম, তাহলে অবশ্যই আমি তোমাদেরকে লাল বালুকের নিচে রাস্তার পার্শ্বে তাঁর (মূসা (আ)) কবরটি দেখিয়ে দিতাম।
(বুখারী মুসলিম, ইবনে হিব্বান ও অন্যান্য)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر قصته مع ملك الموت ووفاته ومكان قبره عليه السلام
عن أبى هريرة (1) رضى الله عنه عن النبى صلي الله عليه وسلم قال قد كان ملك الموت يأتى الناس عيانا قال فأتى موسى فلطمه ففقأ عينه (2) فأتى ربه عز وجل فقال يارب عبدك موسى فقأ عينى ولولا كرامته عليك لعَنُفْت (3) به وقال يونس لشققت عليه (4) فقال له اذهب الى عبدى فقل له فليضع يده على جلد أو متن (5) ثور فله بكل شعرة وأرت يده سَنة، فأتاه فقال له ما بعد هذا؟ قال الموت، قال فالآن قال فشمه شمة (6) فقبض روحه قال يونس فرد الله عز وجل عينه وكان يأتى الناس خفية (وعنه من طريق ثان) (7) قال أرسل ملك الموت الى موسى فلما جاءه صكه غفقا عينه فرجع الى ربه عز وجل فقال أرسلنى الى عبد لا يريد الموت، قال فرد الله عز وجل اليه عينه وقال ارجع اليه فقل له يضع يده على متن ثور فله بما غطت يده بكل شعره سنة فقال أى يارب ثم مه (8) قال ثم الموت، قال فالآن فسأل الله أن يدنيه من الأرض المقدسة رمية (9) بحجر قال فقال رسول الله صلي الله عليه وسلم فلو كنت ثمَ لأريتكم قبره إلى جانب الطريق تحت الكثيب (1) الأحمر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৫
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : মালাকুল মউতের সাথে মূসা (আ), তাঁর ওফাত ও কবর সম্পর্কিত ঘটনা
(৬৫) আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ইস্রার (মিরাজ) রজনীতে আমাকে মূসার (আ) পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি তাঁকে তাঁর কবরে সালাতরত অবস্থায় দণ্ডায়মান দেখতে পেলাম। অন্য বর্ণনায় লাল বালুকার পার্শ্বে। (হাদীসটি গরীব।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر قصته مع ملك الموت ووفاته ومكان قبره عليه السلام
عن أنس (2) قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم مررت ليلة أسرى بى على موسى فرأيته قائما يصلى فى قبره (3) زاد فى رواية عند الكثيب الأحمر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৬
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইউশা' ইবনে নূন-এর নবুয়ত এবং মূসা ও হারুন (আ)-এর ওফাতের পর বনী ইসরাঈলের দায়দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত হওয়া ও তাঁর মু'জেযা
(৬৬) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ইউশা' ইবন নূন (আ) ব্যতীত অন্য কোন আদম সন্তানের জন্য সূর্যকে থামিয়ে দেওয়া হয়নি। (এ ঘটনা ঘটেছিল তখন) যে রাত্রিতে তিনি বাইতুল মাকদিসে রওয়ানা হয়েছিলেন ।
(ইবনে কাছীর।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبوة يوشع بن نون وقيامه بأعباء بنى اسرائيل بعد وفاة موسى وهارون عليهم الصلاة والسلام ومعجزته
عن أبى هريرة (4) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الشمس لم تحبس على بشر الا ليوشع بن نون (5) ليالى سار إلى بيت المقدس (6)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৭
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইউশা' ইবনে নূন-এর নবুয়ত এবং মূসা ও হারুন (আ)-এর ওফাতের পর বনী ইসরাঈলের দায়দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত হওয়া ও তাঁর মু'জেযা
(৬৭) আবু হুরাইরা (রা) থেকে আরও বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, নবীগণের মধ্যে অন্যতম জনৈক নবী (ইউশা' ইব্‌ন নুন আ.) এক যুদ্ধে অংশ নেন (নেতৃত্ব প্রদান করেন)। তিনি তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি আমার সাথে অংশ নিবে না, যে কোন স্ত্রীলোকের মালিক (স্বামী) হয়েছে আর সে তাদের সাথে বাসর করতে চায় কিন্তু এখনো সে তা করেনি এবং সেই ব্যক্তিও নয়, যে কোন প্রাসাদ নির্মাণ করেছে কিন্তু এখনও তার ছাদ সম্পূর্ণ করেনি; এবং সেই ব্যক্তিও নয়, যে ছাগী অথবা মেষ ক্রয় করে তা থেকে বাচ্চা লাভের আশায় অপেক্ষা করছে। (যাহোক) সেই নবী (আ) যুদ্ধ করে অগ্রসর হতে হতে উদ্দিষ্ট জনপদের নিকটবর্তী হন আসরের সালাতের সময় অথবা এর কাছাকাছি কোন সময় (সূর্যাস্তের পূর্বে)। (যেহেতু সেদিন ছিল শুক্রবার এবং সূর্যাস্তের পর শনিবার হয়ে যাবে, যা ছিল তাঁদের শরীয়তে পবিত্র ও নিষিদ্ধ দিন) তাই তিনি সূর্যকে বললেন, তুমি আদিষ্ট (আল্লাহর পক্ষ থেকে) এবং আমিও আদিষ্ট। হে আল্লাহ্, আপনি সূর্যকে অল্প সময়ের জন্য থামিয়ে দিন (যাতে আমি যুদ্ধের অসমাপ্ত অধ্যায়টি সমাপ্ত করতে পারি)। সুতরাং তাঁর জন্য সূর্যকে থামিয়ে দেওয়া হয় এবং আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে বিজয় দান করেন। তখন তাঁরা গনিমতের সমস্ত সম্পদ একত্রিত করেন যেন আগুন তা গ্রাস করে। কিন্তু আগুন তা গ্রাস করল না। তখন সেই নবী (আ) বললেন, তোমাদের মধ্যে গণীমত-আত্মসাতকারী আছে। তাই তোমাদের প্রত্যেক কবিলা থেকে একজন করে আমার কাছে 'বাই'আত' বা অঙ্গীকার কর। তখন তারা (প্রত্যেক কবিলার একজন করে) নবীর (আ) নিকট বাই'আত করলেন, এই সময় এক ব্যক্তির হাত নবীর (আ) হাতের সাথে সংযুক্ত হয়ে যায়। নবী (আ) বললেন, তোমাদের মধ্যে আত্মসাৎকারী রয়েছে। সেই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে তিনি বললেন, তোমার কবিলা বাই'আত করুক। তখন তার কবিলা বাইআত করতে গেলে দুই অথবা তিনজন লোকের হাত তাঁর হাতের সাথে সংযুক্ত হয়ে পড়ে। নবী (আ) বলেন, তোমাদের মধ্যেই চোর রয়েছে, তোমরাই চুরি করেছ। তখন তারা গরুর মাথার ন্যায় একটি স্বর্ণপিণ্ড বের করে দিল যা তারা লুকিয়ে রেখেছিল। সেই স্বর্ণপিণ্ডটি জমাকৃত গণিমতের সম্পদের উপর রাখা হল। এবার আগুন এলো এবং তা গ্রাস করল।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আমাদের পূর্বে অন্য কারো জন্যে গনিমতের মাল হালাল ছিল না। (আমাদের জন্য তা হালার করা হয়েছে) কারণ, আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের দুর্বলতা ও অপারগতার কথা ভেবেই তা আমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন।
(হাদীসটি সহীহ। মুসলিম ও অন্যান্য।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبوة يوشع بن نون وقيامه بأعباء بنى اسرائيل بعد وفاة موسى وهارون عليهم الصلاة والسلام ومعجزته
وعنه أيضا (1) قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم غزا نبى من الأنبياء فقال لقومه لا يتبعنى رجل قد ملك بضع امرأة وهو يريد أن يبنى بها ولم يبن، ولا أحد قد بنى بنيانا ولما يرفع سقفها، ولا أحد قد اشترى غنما أو خلِفات وهو ينتظر أولادها، فغزا فدنا من القرية حين صلاة العصر أو قريبا من ذلك فقال الشمس أنت مأمورة وأنا مامور، اللهم أحبسها علىّ شيئا: فحبست عليه حتى فتح الله عليه، فجمعوا ما غنموا فأقبلت النار لتأكله فأبت أن تطعم، فقال فيكم غلول، فليبايعنى من كل قبيلة رجل، فبايعوه فلصقت يد رجل بيده فقال فيكم الغلول، فلتبايعنى قبيلتك، فبايعته قبيلته قال فلصق بيد رجلين أو ثلاثة بيده، فقال فيكم الغلول: أنتم غللتم، فأخر جوا له مثل رأس بقرة من ذهب، قال فوضعوه فى المال وهو بالصعيد فأقبلت النار فأكلته فلم تحل الغنائم لاحد من قبلنا، ذلك لأن الله عز وجل رأى ضعفنا وعجزنا فطيبها لنا
হাদীস নং: ৬৮
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : বনী ইসরাঈলের বাইতুল মাকদিসে প্রবেশ ও এতদসংক্রান্ত আল্লাহর বাণী "তোমরা অবনত মস্তকে দরজা দিয়ে প্রবেশ কর এবং বল, মাফ করে দিন” প্রসংগ
(৬৮) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, বনী ইসরাঈলকে বলা হয়েছিল, তোমরা অবনত মস্তকে প্রবেশদ্বার দিয়ে (বাইতুল মাকদিসে) প্রবেশ কর; এবং তোমরা বলবে "হিত্তাতুন" ক্ষমা করে দিন। তাহলেই আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু তারা (এই নির্দেশ) পরিবর্তন করে ফেলে এবং তারা পাছা হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে (মাথা নত করার পরিবর্তে) দ্বারে প্রবেশ করে এবং তারা বলে "হাব্বাতুন ফী শা'রতিন” (খোসার ভিতর দানা)।
(একই রাবী থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে) আল্লাহর বাণী "তোমরা অবনত মস্তকে প্রবেশ কর..." বিষয়ে রাসূল (ﷺ) বলেন, তারা (বরং উল্টো) উদ্ধতভাব প্রবেশ করে। এবং "হিত্তাতুন” এর পরিবর্তে তারা বলেছিল "হিনত্বাতুন ফী শা'রতিন” (খোসার ভিতরে যব)।
(উভয় বর্ণনাধারায় হাদীসটি সহীহ। বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى دخول بنى اسرائيل بيت المقدس وقول الله تعالى لهم (وادخلوا الباب سجدا وقولوا حطة)
عن أبى هريرة (1) قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم قيل لبنى اسرائيل ادخلوا الباب سجدا (2) وقولوا حطة يغفر لكم (3) خطاياكم، فبدلوا (4) فدخلوا الباب يزحفون على أستاهم (5) وقالوا حبة فى شعره (وعنه من طريق ثان) (6) عن النبى صلي الله عليه وسلم فى قوله عز وجل (وادخلوا الباب سجدا قال ادخلوه زحفا وقولوا حطة) قال بدلوا فقالوا حنطة في شعره
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৯
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: খিযির ও ইলিয়াস (আ)-এর আলোচনা
(৬৯) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, খাযির (আ) কে এই কারণে খাযির' নাম দেওয়া হয়েছে যে, তিনি শুকনো সাদা মাটিতে (অথবা শুকনো ঘাসে) বসতেন, এর ফলে সেই স্থানে সবুজ-সতেজ ঘাস জমে দোল খেত। অন্য বর্ণনায় আবু হুরাইরা (রা) রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, খিযিরকে (আ) খিযির নামকরণ করা হয়েছে এই জন্যে যে, তিনি কোন সাদা মাটি অথবা শুকনো তৃণলতার উপর বসলে তাঁর বসার স্থানে সবুজের সমাহার ঘটতো।
(হাদীসটি গরীব। বুখারী, মুসলিম, তায়ালিসী ও অন্যান্য।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر الخضر والياس عليهما السلام
أحدثنا عبد الرزاق بن همام (1) ثنا معمر عن همام عن أبى هريرة قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم لم يسم خضرا إلا لأنه جلس على فروة (2) بيضاء فإذا هي تهتز (3) خضراء، الفروة الحشيش الأبيض وما يشبهه (4) قال عبد الله أظن هذا تفسيرا من عبد الرزاق (5) (وعنه من طريق ثان) (6) عن همام بن منبه عن أبى هريرة عن النبى صلي الله عليه وعلى آله وسلم فى الخضر انما سمى خضرا أنه جلس على فروة بيضاء فاذا هى تحته خضراء.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭০
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: তালুতের সাথে নদী অতিক্রমকারীগণের সংখ্যা
(৭০) আল-বারা' ইবনে 'আযিব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করতাম, বদরের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাহাবীগণের সংখ্যা জালুতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তালুতের সঙ্গীদের সমপরিমাণ। (অর্থাৎ) তিনশত দশের উপর, যাঁরা তাঁর সাথে নদী পার হয়েছিলেন। আর তাঁর সাথে যাঁরা নদী পার হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে মু'মিন ছাড়া কেউ ছিল না।
(বুখারী, ইব্‌ন জারীর ও বাগাবী)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب عدد من جاوز النهار مع طالوت
عن البراء بن عازب (1) قال كنا نتحدث أن عدة أصحاب رسول الله صلي الله عليه وسلم كانوا يوم بدر على عدة أصحاب طالوت يوم جالوت، ثلاثمائة وبضعة عشرالذين جازوا معه النهر قال ولم يجاوز معه النهر إلا مؤمن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭১
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দাউদ (আ)-এর মর্যাদা, তাঁর কিরাআত ও মধুর কণ্ঠস্বর
(৭১) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, কিরাআত যাবুর পাঠকে দাউদ (আ) এর জন্য সহজ করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি তাঁর চতুষ্পদ জন্তুকে (সওয়ারী) জিন পরানোর নির্দেশ দিতেন। আর তা পরানোর আগেই তার কিতাব পাঠ শেষ হয়ে যেত। আর তিনি তাঁর স্বহস্তে উপার্জিত খাবার ভিন্ন অন্য খাবার গ্রহণ করতেন না।
(বুখারী ও অন্যান্য। হাদীসটি গরীব)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى فضله وقراءته وحسن صوته
عن أبى هريرة (1) عن رسول الله صلي الله عليه وسلم قال خفف على داود عليه السلام القراءة (2) وكان يأمر بدابته فسرج وكان يقرأ القرآن قبل أن تسرج دابته (3) وكان لا يأكل إلا من عمل يده
হাদীস নং: ৭২
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দাউদ (আ)-এর মর্যাদা, তাঁর কিরাআত ও মধুর কণ্ঠস্বর
(৭২) আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আবূ মূসা আল-আশ'আরীর (রা) কুরআন পাঠের কণ্ঠ শুনতে পান (যা ছিল খুবই মধুর) এবং বলেন, আবূ মূসাকে দাউদের (আ) বংশের 'মিযমার' তথা সুর-এর ন্যায় সুর দেওয়া হয়েছে।
(হাদীসটি গরীব এবং তা ইব্‌ন কাছীর সংকলন করেছেন। তবে বুখারী ও মুসলিম আবূ মূসা (রা) থেকেই এরূপ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى فضله وقراءته وحسن صوته
عن عائشة رضى الله عنها (5) أن النبى صلى الله عليه وعلى آله وسلم سمع صوت أبى موسى الأشعرى وهو يقرأ فقال أوتى أبو موسى من مزامير آل داود
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৩
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : দাউদ (আ)-এর মর্যাদা, তাঁর কিরাআত ও মধুর কণ্ঠস্বর
(৭৩) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আব্দুল্লাহ ইবনে কায়সের তিলাওয়াত শ্রবণ করেন এবং বলেন, একে দাউদ (আ) এর বংশের মিযমার-এর ন্যায় (সুন্দর) কণ্ঠস্বর প্রদান করা হয়েছে। (অন্য শব্দে এসেছে) আবূ মূসাকে দাউদ (আ) এর 'মাযামীর' (মিযমার-এর বহুবচন) দান করা হয়েছে।
(ইবনে মাজাহ)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى فضله وقراءته وحسن صوته
عن أبي هريرة (1) ان النبى صلي الله عليه وسلم سمع عبد الله بن قيس فقال لقد أعطى هذا من مزامير آل داود النبى عليه السلام (وفى لفظ) لقد أعطى أبو موسى مزامير داود
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৪
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: দাউদের (আ) সওম ও সালাত
(৭৪) 'আবদুল্লাহ ইবন 'আমর ইবন 'আস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় সওম (রোযা) হচ্ছে দাউদের (আ) সওম; এবং তাঁর নিকট সর্বাধিক প্রিয় সালাত (নামায) হচ্ছে দাউদের (আ) সালাত। তিনি রাতের অর্ধেক নিদ্রা যেতেন, রাতের শেষভাগের এক তৃতীয়াংশ কিয়ামুল লাইল করতেন এবং এর (সর্বশেষ) এক ষষ্ঠমাংশে (আবার) নিদ্রা যেতেন এবং তিনি একদিন সওম পালন করতেন আবার পরদিন সওমবিহীন থাকতেন।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى صومه وصلاته
عن عبد الله بن عمرو بن العاص (2) قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم أحب الصيام الى الله صيام داود، وأحب الصلاة الى الله صلاة داود (3) كان ينام نصفه ويقوم ثلثه وينام سدسه، وكان يصوم يوما ويفطر يوما.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৫
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: দাউদ (আ) এর মৃত্যু, মৃত্যুপদ্ধতি ও তাঁর বয়স
(৭৫) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহর নবী দাউদ (আ) খুবই আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন (সতর্ক) ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় সমস্ত দরজা বন্ধ করে বের হতেন। ফলে তিনি ফিরে না আসা পর্যন্ত কেউ তাঁর পরিবারে (গৃহাভ্যন্তরে) প্রবেশ করতে পারতো না। এমনিভাবে তিনি ঘর বন্ধ করে বাইরে গেলেন। ইত্যবসরে তাঁর স্ত্রী গৃহে উকি দিয়ে দেখতে পেলেন গৃহের মধ্যস্থলে জনৈক ব্যক্তি দণ্ডায়মান। এই দেখে তিনি ঘরের লোকদের জিজ্ঞেস করলেন, এই লোক কীভাবে ঘরে প্রবেশ করলো, অথচ ঘর তো বন্ধ। আল্লাহর কসম, তোমাদের কপালে দুঃখ আছে। (এমন সময়) দাউদ (আ) আগমন করলেন এবং দেখতে পেলেন লোকটি গৃহের মধ্যস্থলে দণ্ডায়মান। দাউদ (আ) জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কে? তিনি উত্তর দিলেন, আমি হচ্ছি সেই সত্তা, যে বাদশাহগণকে ভয় পায় না এবং যাকে কোন কিছু দমিয়েও রাখতে পারে না। তখন দাউদ (আ) বললেন, আল্লাহর শপথ, আপনি নিশ্চয়ই মালাকুল মওত। সুতরাং আল্লাহর নির্দেশকে স্বাগতম। দাউদ (আ) অতঃপর সেই স্থানে থামলেন এবং সেখানেই তাঁর রূহ কবজা করা হলো। এইভাবেই তাঁর জীবনের অবসান হলো। এবং তাঁর উপর সূর্য উদিত হলো রোদ পড়তে শুরু করল। তখন সুলায়মান (আ) পাখিকে নির্দেশ দিলেন, দাউদের (আ) উপর ছায়া প্রদান কর। পাখি তাঁর উপর এমনভাবে ছায়া বিস্তার করলো যে, তাঁদের উভয়ের জন্য যমিনে অন্ধকার নেমে আসলো। সুলায়মান (আ) পাখিকে বললেন, তোমার পাখা একটি একটি করে গুটিয়ে নাও। আবূ হুরাইরা (রা) বলেন, এ পর্যায়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর হাত সংকুচিতকরে আমাদের দেখিয়ে দিলেন পাখি কীভাবে কী করেছিল। সেই দিন তার উপর (ছায়া দানে) বিশাল ডানাওয়ালা বাজপাখিদের সমাগম ঘটেছিল।
(হাদীসটি গরীব, ইব্‌ন কাছীর)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر وفاته وكيفيتها ومدة عمره عليه السلام
عن أبى هريرة (2) أن رسول الله صلي الله عليه وسلم قال كان داود النبي فيه غيرة شديدة، وكان اذا خرج أغلقت الأبواب فلم يدخل على أهله أحد حتى يرجع، قال فخرج ذات يوم وغلقت الدار فأقبلت امرأته تطلع الى الدار فاذا رجل قائم وسط الدار، فقالت لمن فى البيت من أين دخل هذا الرجل الدار والدار مغلقة؟ والله لتفتضحن فجاء داود فاذا الرجل قائم وسط الدار، فقال له داود من أنت؟ قال أنا الذى لا أهاب الملوك ولا يمتنع منى شئ، فقال داود أنت والله ملك الموت فمرحبا بأمر الله، فرُمل (3) داود مكانه حيث قبضت روحه حتى فرغ من شأنه وطلعت عليه الشمس، فقال سليمان للطير أظلى على داود، فأظلت عليه الطير حتى أظلمت عليهما الأرض، فقال لها سليمان اقبضى جناحا جناحا، قال أبو هريرة، يرينا رسول الله صلي الله عليه وسلم كيف فعلت الطير وقبض رسول الله صلي الله عليه وسلم بيده، وغلبت عليه يومئذ المطر حيه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৬
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আল্লাহর নবী সুলায়মান (আ) ও তাঁর বিশাল সাম্রাজ্য
(৭৬) 'আবদুল্লাহ ইবন 'আমর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূলকে (ﷺ) বলতে শুনেছি যে, সুলায়মান ইব্‌ন দাউদ (আ) আল্লাহ্ তা'আলার কাছে তিনটি বিষয় প্রার্থনা করেছিলেন। তান্মধ্যে দু'টি আল্লাহ্ তা'লা তাঁকে দান করেছেন এবং আমরা আশা পোষণ করি, তৃতীয়টিও তাঁকে প্রদান করা হবে। তিনি আল্লাহর কাছে এমন বিচারবুদ্ধি প্রার্থনা করেছিলেন, যা আল্লাহর ফায়সালার অনুগামী। আল্লাহ্ তাঁকে তা দান করেছেন। তিনি আল্লাহর কাছে এমন সাম্রাজ্য প্রার্থনা করেন, যা তাঁর পরে আর কাউকে দান করা সমীচীন হবে না। আল্লাহ্ তাঁর এই প্রার্থনাও মঞ্জুর করেছেন। তিনি এই প্রার্থনাও করেন যে, যদি কোন ব্যক্তি এই মসজিদে (বাইতুল মাকদিস) কেবল সালাত আদায়ের নিয়্যতে ঘর থেকে বের হয়ে আসে, তাহলে সে যেন তাঁর পাপাচার থেকে ঐ দিনের ন্যায় নির্মল হয়ে যায়, যেদিন তার জননী তাকে জন্ম দিয়েছিল। সুতরাং আমরা আশা করতে পারি যে, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর এই প্রার্থনাও কবুল করে থাকবেন।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبى الله سليمان وعظم ملكه
عن عبد الله بن عمرو (1) قال سمعت رسول الله صلي الله عليه وسلم يقول ان سليمان بن داود عليه السلام سأل الله ثلاثا فأعطاه اثنتين، ونحن نرجو أن تكون له الثالثة (2) فسأله حكما يصادف حكمه (3) فأعطاه إياه، وسأله ملكا لا ينبغى لأحد من بعده (4) فأعطاه إياه وسأله إيما رجل خرج من بيته لا يريد إلا الصلاة في هذا المسجد (1) خرج من خطيئته مثل يوم ولدته أمه فنحن نرجو أن يكون الله عز وجل قد اعطاه إياه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৭
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আল্লাহর নবী সুলায়মান (আ) ও তাঁর বিশাল সাম্রাজ্য
(৭৭) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, গতকাল রাতে জ্বিন গোত্রীয় একটি শয়তান আমাকে বিরক্ত করছিল-আমার সালাত আদায়ে বিপত্তি ঘটানোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু আল্লাহ্ আমাকে সামর্থ্য দিয়েছিলেন। আমি তাকে ধরে ফেলি এবং ইচ্ছা পোষণ করছিলাম যে মসজিদের স্তম্ভসমূহের কোন একটির সাথে ওকে বেঁধে রেখে দিই, যেন সকাল বেলায় তোমরা সবাই তাকে দেখতে পার। কিন্তু আমার ভাই সুলায়মানের (আ) দোয়া আমার স্মৃতিতে ভেসে উঠলো। তিনি দোয়া করেছিলেন, প্রভু আমাকে এমন সাম্রাজ্য ক্ষমতা দান করুন, যা আমার পরে আর কাউকে প্রদান করা হবে না। তাই রাসূল (ﷺ) তাকে ব্যর্থ মনোরথ অবস্থায় ছেড়ে দেন।
(হাদীসটি সহীহ। বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبى الله سليمان وعظم ملكه
عن أبى هريرة (2) عن النبى صلي الله عليه وسلم قال ان عفريتا من الجن تفلت علىّ البارحة ليقطع علىّ الصلاة فامكننى الله منه فدَعَتُه وأردت أن أربطه الى جنب سارية من سوارى المسجد حتى تصبحوا فتنظروا اليه كلكم أجمعون، قال وأردت أن أربطه الى جانب سارية من سوارى المسجد حتى تصبحوا فتنظروا اليه كلكم أجمعون، قال فذكرت دعوة أخى سليمان رب هب لى ملكا لا ينبغى لأحد من بعدى، قال فردُه خاسئاً.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৮
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: মামলা-মোকদ্দমায় সুলায়মানের (আ) প্রজ্ঞা
(৭৮) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, একদা দুইজন স্ত্রীলোক তাদের নিজ নিজ শিশুপুত্র নিয়ে যাচ্ছিল। বাঘ এসে একটি শিশুকে নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় স্ত্রীলোক দু'জন দাউদের (আ) নিকট (বর্তমান শিশুটির বিষয়ে) ফায়সালা প্রার্থনা করলো। দাউদ (আ) জ্যেষ্ঠ স্ত্রীলোকটির পক্ষে রায় দিলেন (অর্থাৎ শিশুটি জ্যেষ্ঠা স্ত্রীলোককে দিয়ে দিলেন)। তারা (এই ফায়সালার পর) বের হয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু সুলায়মান (আ) তাদেরকে কাছে ডেকে বললেন, আমাকে একটি চাকু এনে দাও আমি শিশুটিকে দু'টুকরা করে এদের মধ্যে ভাগ করে দিই। তখন কনিষ্ঠা স্ত্রীলোকটি বললো, আল্লাহ্ আপনার প্রতি দয়া করুন, এটি তারই পুত্র; আপনি একে কেটে ভাগ করবেন না। সুলায়মান (আ) কনিষ্ঠার পক্ষেই রায় দেন। আবু হুরাইরা (রা) বলেন, আল্লাহর শপথ ঐদিনের পূর্বে (চাকু অর্থে) "সিক্কীন” শব্দটি আমরা জানতাম না। আমরা ইতিপূর্বে চাকুকে 'মুদিয়া” বলতাম।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء في شيء من حكمه فى القضايا
عن أبى هريرة (1) قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم بينما امرأتان معهما ابنان لهما جاء الذئب فأخذ أحد الابنين (2) فتحاكما الى داود فقضى به الكبرى (3) فخرجتا فدعاهما سليمان فقال هاتوا السكين أشقه بينهما (4) فقالت الصغرى يرحمك الله هو أبنها لا تشقه، فقضى به الصغرى (5) قال أبو هريرة والله ان علمنا ما السكين إلا يومئذ وما كنا نقول إلا المدبة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৯
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: সুলায়মানের (আ) এর স্ত্রী ও বাঁদীগণের আধিক্য
(৭৯) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, (একদা) সুলায়মান ইবনে দাউদ (আ) বলেন, আজকের রজনীতে আমি একশত স্ত্রীলোকের সাথে সহবাস করবো, তাঁরা প্রত্যেকেই একটি করে পুত্র সন্তান প্রসব করবে এবং (বড় হয়ে) এরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে। রাসূল (ﷺ) বলেন, তিনি 'ইনশাআল্লাহ্' বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। যাহোক, তিনি একশত স্ত্রীর সাথে সহবাস করেন বটে; কিন্তু তাঁদের একজন বাদে কেউ কোন সন্তান প্রসব করেননি। যিনি প্রসব করেছিলেন, তিনিও অর্ধ মানবশিশু প্রসব করেন (পূর্ণাঙ্গ নয়)। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তিনি যদি 'ইনশাআল্লাহ্' বলতেন, তাহলে তিনি ব্যর্থ হতেন না এবং তাঁর মহৎ উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে পারতেন। অন্য বর্ণনায় এসেছে-তিনি যদি 'ইনশাআল্লাহ্' বলতেন, তবে সেই একশত স্ত্রীলোকের সবাই একজন করে পুত্রসন্তান প্রসব করতেন, এবং (বড় হয়ে) তারা তরবারীর সাহায্যে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ (জিহাদ) করতো।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى كثرة نسائه وسراريه
عن أبى هريرة (1) قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم قال سليمان بن داود لأطوفن الليلة بمائة امرأة تلد كل امرأة منهن غلاما يقاتل في سبيل الله، قال ونسى أن يقول إن شاء الله، فأطاف بهن قال فلم تلد منهن إلا واحد نصف انسان (1) فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو قال إن شاء الله لم يحنث (2) وكان دركا لحاجته وفى لفظ لو أنه كان قال ان شاء الله لو لدت كل امرأة منهن غلاما يضرب بالسيف فى سبيل الله عز وجل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮০
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : 'উযাইর (আ)-এর ঘটনা
(৮০) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, (একদা) নবীগণের (আ) মধ্য থেকে জনৈক নবী (আ) একটি বৃক্ষের নীচে অবতরণ করেন। এই সময় একটি পিপিলিকা তাঁকে দংশন করে। তিনি (ক্রোধান্বিত হয়ে) তাঁর সঙ্গীদের নির্দেশ দেন। নির্দেশমত বৃক্ষের তলদেশ থেকে পিপিলিকার বাসা বের করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তখন আল্লাহ্ তা'আলা ওহীর মাধ্যমে প্রশ্ন রাখলেন- তবে একটি পিপিলিকা নয় কেন? (অর্থাৎ তোমাকে দংশন করেছিল, একটি পিপিলিকা আর তুমি কিনা পুড়িয়ে দিলে সব পিপিলিকা?)
(এই হাদীসের তাখরীজ দ্রঃ খণ্ড ১৬, হাদীসনং ১৫)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب قصة العزيز وما جاء فى ذلك
عن أبى هريرة (1) قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم نزل نبى من الانبياء تحت شجرة فلدغته نملة فامر بجهازه فأخرج من تحتها ثم أمر بها فأحرقت بالنار فاوحى الله عز وجل اليه فقتلاّ نملة واحدة
tahqiq

তাহকীক: