মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯৩ টি
হাদীস নং: ২১
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ)-এর উল্লেখ ও তাঁর মর্যাদা
(২১) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ইব্রাহীমের (আ) চেয়ে সংশয় প্রকাশে আমরাই বেশী হকদার। সেই সময়ের বিবরণ শোন যখন ইব্রাহীম (আ) বলেছিলেন,
وَاِذۡ قَالَ اِبۡرٰہٖمُ رَبِّ اَرِنِیۡ کَیۡفَ تُحۡیِ الۡمَوۡتٰی ؕ قَالَ اَوَلَمۡ تُؤۡمِنۡ ؕ قَالَ بَلٰی وَلٰکِنۡ لِّیَطۡمَئِنَّ قَلۡبِیۡ ؕ
"হে আমার প্রভু, আপনি কীভাবে মৃতকে জীবিত করেন, তা আমাকে প্রদর্শন করুন। তিনি (প্রভু) বলেন, তুমি কি বিশ্বাস কর না, ইব্রাহীম বলেন, অবশ্যই, কিন্তু আমার অন্তরের প্রশান্তির জন্য।"
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ্ তা'লা লূতকে (আ) রহম করুন, তিনি একটি শক্ত স্তম্ভে আশ্রয় নিতেন। যদি আমি ইউসূফের (আ) ন্যায় কারাগারে বন্দী থাকতাম, তাহলে বাদশাহর প্রেরিত দূতের আহ্বানে (তাৎক্ষণিকভাবে) সাড়া দিতাম।
(হাদীসটি সহীহ এবং বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য কর্তৃক উদ্ধৃত।)
وَاِذۡ قَالَ اِبۡرٰہٖمُ رَبِّ اَرِنِیۡ کَیۡفَ تُحۡیِ الۡمَوۡتٰی ؕ قَالَ اَوَلَمۡ تُؤۡمِنۡ ؕ قَالَ بَلٰی وَلٰکِنۡ لِّیَطۡمَئِنَّ قَلۡبِیۡ ؕ
"হে আমার প্রভু, আপনি কীভাবে মৃতকে জীবিত করেন, তা আমাকে প্রদর্শন করুন। তিনি (প্রভু) বলেন, তুমি কি বিশ্বাস কর না, ইব্রাহীম বলেন, অবশ্যই, কিন্তু আমার অন্তরের প্রশান্তির জন্য।"
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ্ তা'লা লূতকে (আ) রহম করুন, তিনি একটি শক্ত স্তম্ভে আশ্রয় নিতেন। যদি আমি ইউসূফের (আ) ন্যায় কারাগারে বন্দী থাকতাম, তাহলে বাদশাহর প্রেরিত দূতের আহ্বানে (তাৎক্ষণিকভাবে) সাড়া দিতাম।
(হাদীসটি সহীহ এবং বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য কর্তৃক উদ্ধৃত।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر ابراهيم الخليل وفضله عليه وعلى نبينا الصلاة والسلام
عن أبى هريرة (2) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال نحن أحق بالشك من ابراهيم عليه السلام إذ قال (ربى أرنى كيف تحىى الموتى قال أو لم نؤمن؟ قال بلى ولكن يطمئن قلبى) قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يرحم الله لوطا لقد كان يأوى الى ركن شديد، ولو لبث فى السجن ما لبثت يوسف لاجبت الداعى
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ)-এর উল্লেখ ও তাঁর মর্যাদা
(২২) ইব্ন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, হাশরের ময়দানে লোকজনকে একত্রিত করা হবে-নগ্নপদে, নগ্নশরীরে এবং খত্নাবিহীন অবস্থায়। সর্বপ্রথম বস্ত্র পরিধান করানো হবে ইব্রাহীমকে (আ)। এরপর রাসূল (ﷺ) আয়াত পাঠ করেন,
كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ .
"সৃষ্টির সূচনা যেভাবে করেছিলাম, সেইভাবেই পুনরায় তাদেরকে ফিরিয়ে আনবো।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।
كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ .
"সৃষ্টির সূচনা যেভাবে করেছিলাম, সেইভাবেই পুনরায় তাদেরকে ফিরিয়ে আনবো।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر ابراهيم الخليل وفضله عليه وعلى نبينا الصلاة والسلام
عن ابن عباس (3) عن النبى صلى الله عليه وسلم قال يحشر الناس حفاة عراة غرلا (4) فأول من يكسى ابراهيم عليه السلام ثم قرأ (كما بدأنا أول خلق نعيده)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ)-এর উল্লেখ ও তাঁর মর্যাদা
(২৩) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ) এর খতনা করানো হয় তাঁর আশি বছর বয়সে। তাঁর খতনা দেওয়া হয় কাদূম (কুঠার সদৃশ অস্ত্র) দ্বারা।
(এই হাদীসের বরাত ১৭শ খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে।)
(এই হাদীসের বরাত ১৭শ খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر ابراهيم الخليل وفضله عليه وعلى نبينا الصلاة والسلام
عن أبى هريرة (5) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أختن ابراهيم خليل الرحمن بعد ما أتت عليه ثمانون سنة واختن بالقدوم مخففة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ)-এর উল্লেখ ও তাঁর মর্যাদা
(২৪) ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর গোঁফ কাটতেন; এবং তাঁর পূর্বে তোমাদের পিতা ইব্রাহীম (আ) তাঁর গোঁফ কাটতেন।
(এই হাদীসের তাখরীজও ইতিপূর্বে বর্ণিত হয়েছে।)
(এই হাদীসের তাখরীজও ইতিপূর্বে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر ابراهيم الخليل وفضله عليه وعلى نبينا الصلاة والسلام
عن ابن عباس (6) قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقص شاربه وكان أبوكم ابرهيم من قبله يقص شاربه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : ইব্রাহীম (আ)-এর সিরিয়ায় হিজরত, তাঁর মিশর প্রবেশ এবং সারার সাথে মিশরের বাদশাহর ঘটনা
(২৫) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, বলেছেন, ইব্রাহীম (আ) তিনটি মিথ্যা (কৌশলী উক্তি) ব্যতীত কোন মিথ্যা কখনও বলেননি। (এক) যখন তাঁকে তাঁর সম্প্রদায়ের ইলাহসমূহের প্রতি ডাকা হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন, আমি পীড়িত। (দুই) যখন তাঁকে মূর্তিসমূহ ভাঙ্গার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়, তিনি বলেছিলেন সবচেয়ে বড়টিই এ কাজ করেছে। (তিন) তিনি তাঁর স্ত্রী সারাকে (দেখিয়ে) বলেছিলেন, এ আমার ভগ্নি। রাসূল (ﷺ) বলেন, ইব্রাহীম (আ) (মিশরের) এক পল্লীতে প্রবেশ করেন। সেখানে ছিল জনৈক শাসক (বাদশাহ) অথবা স্বৈরাচারী। তাকে জানানো হলো, আজ রাতে ইব্রাহীম (আ) এক পরমা সুন্দরী মহিলাকে সাথে নিয়ে এখানে প্রবেশ করেছেন। তখন সেই শাসক বা স্বৈরাচারী ইব্রাহীমের (আ) কাছে লোক পাঠিয়ে জানতে চায়, "তোমার সাথে এই মহিলা কে?" তখন তিনি বলেন, আমার বোন। সে (লম্পট) বললো, তাকে নিয়ে এস। তার নির্দেশমত সারাকে তার কাছে নিয়ে আসা হলো। ইব্রাহীম (আ) সারাকে বলে দিলেন, তুমি আমার কথা মিথ্যা প্রতিপন্ন করো না, আমি তাকে জানিয়ে দিয়েছি যে, তুমি আমার বোন। আমি এবং তুমি ছাড়া এখানে আর কোন ঈমানদার নেই। (সুতরাং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে একে অপরের মধ্যে ভাই-বোন সম্পর্ক যেমন সত্য, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কও সত্য। কারণ কোন মুমিন কোন কাফির স্ত্রী লোককে বিবাহ করতে পারে না।) সারা যখন তার কাছে প্রবেশ করলো, সেই লম্পট তাঁকে পাকড়াও করার জন্য এগিয়ে আসলো। সারা ইত্যবসরে ওযু করে (নফল) সালাত পড়ে (মনে মনে) বললেন, হে আল্লাহ্, যদি তুমি জেনে থাক যে, আমি তোমার উপর এবং তোমার রাসূলের উপর ঈমান এনেছি এবং আমার স্বামী ভিন্ন অন্য পুরুষ থেকে আমার সতীত্ব সুরক্ষা করেছি, তাহলে তুমি এই কাফিরকে আমার সম্ভ্রমহানি করতে দিও না। লম্পট তার দিকে অগ্রসর হতেই গড়গড় শব্দ করতে থাকে এবং পা দিয়ে মাটিতে আঘাত করতে থাকে (অর্থাৎ অপ্রকৃতস্থ বা বেহুঁশ হয়ে পড়ে)। অন্য আরেক সনদে আবুয যিনাদ বর্ণনা করেন- আবূ সালামা ইবন আবদুর রহমান থেকে, তিনি আবু হুরাইরা (রা) থেকে-তখন সারা বলেন, হে আল্লাহ্! সে যদি এই অবস্থায় মারা যায়, তবে লোকজন বলবে, এই মহিলা তাকে হত্যা করেছে। সুতরাং তাকে সুস্থ করে দেওয়া হল। তারপর সে পুনরায় সারার দিকে অগ্রসর হয়। সারা পূর্বের ন্যায় ওযু করে (নফল) সালাত আদায় করেন এবং (মনে মনে) বলেন, হে আল্লাহ্, তুমি যদি জেনে থাক যে, আমি তোমার উপর এবং তোমার রাসূলের উপর ঈমান এনেছি এবং আমার স্বামী ভিন্ন অন্য পুরুষ থেকে আমার সতীত্ব সুরক্ষা করেছে, তাহলে তুমি এই কাফিরকে আমার সম্ভ্রমহানি করতে দিও না। লম্পট আবারো গড়গড় শব্দে মাটিতে পা ছুড়ে মারছিল (বেহুঁশ হয়ে গেল)। আবুয যিনাদের উপরিউক্ত সনদে বলা হয়েছে-সারা বললেন, হে আল্লাহ্, সে এই অবস্থায় মারা গেলে লোকজন বলবে, এই মহিলা (আমি) তাকে হত্যা করেছি। সুতরাং আবার তাকে সুস্থ করা হলো (এবং পূর্ববৎ সারাকে ধরতে অগ্রসর হলো)। এইভাবে তৃতীয় বা চতুর্থবারে সে বললো, তোমরা আমার কাছে একটি শয়তানকে পাঠিয়েছ। একে ইব্রাহীমের কাছে ফেরত দাও এবং হাজেরাকে একে দিয়ে দাও। অতঃপর সারা ফিরে আসেন এবং ইব্রাহীমকে (আ) বলেন, দেখলেন- নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা কাফিরের চক্রান্ত নিষ্ফল করে দিয়েছেন এবং সেবার একটি দাসীও দিয়েছেন।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।)
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب هجرة إبراهيم عليه السلام الى بلاد الشام ودخوله الديار المصرية وقصة سارة مع ملك مصر
عن أبى هريرة (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يكذب ابراهيم إلا ثلاث كذبات (3) قوله حين دعى الى آلهتهم (3) انى سقيم (4) وقوله مقلد كبيرهم هذا (5) وقوله لسارة أنها أختي قال ودخل إبراهيم قرية فيها ملك من الملوك أو جبار من الجبابرة فقيل دخل إبراهيم الليلة بامرأة من أحسن الناس (1) قال فأرسل اليه الملك أو الجبار من هذه معك قال أختى (2) قال أرسل بها: قال فأرسل بها اليه قال لها لا تكذبى قولى فانى قد أخبرته أنك أختى (3) إن ما على الأرض مؤمن غيرى وغيرك (4) قال فلما دخلت اليه قام اليها. قال فاقبلت توضأ وتصلى وتقول اللهم إن كنت تعلم إنى آمنت بك وبرسولك وأحصلت فرجى إلا على زوجى فلا تسلط على الكافر قال فغط (5) حتى ركض برجله، قال أبو الزناد (6) قال أبو سلمة بن عبد الرحمن عن أبى هريرة أنها قالت اللهم إن يمت يقل هى قتلته. قال فأرسل ثم قام اليها، فقامت توضأ وتصلى وتقول اللهم إن كنت تعلم أنى آمنت بك وبرسولك وأحصلت فرجى الا على زوجى فلا تسلط على الكافر، قال فغط حتى ركض برجله، قال أبو الزناد قال أبو سلمة عن أبى هريرة انها قالت اللهم أن يمت يقل إنها قتلته قال فأرسل، فقال فى الثالثة والرابعة ما أرسلتم الى إلا شيطانا (7) أرجعوها الى ابراهيم وأعطوها هاجر، قال فرجعت فقالت لابراهيم شعرت أن الله عز وجل رد كيد الكافر وخدم وليدة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইসমাঈল (আ) ও তাঁর জননী হাজেরা সমেত ইব্রাহীমের (আ) ফারান পর্বতমালা তথা মক্কাভূমিতে হিজরত, যমযমের অস্তিত্বের কারণ ও ইব্রাহীম (আ) কর্তৃক বাইতুল 'আতীক নির্মাণ
(২৬) সাঈদ ইব্ন জুবাইর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস (রা) বলেছেন, মহিলাদের মধ্যে সর্বপ্রথম 'মিনত্বক' বা দীর্ঘ ঘাগড়ার প্রচলন হয় ইসমাঈল জননী হাজেরার পক্ষ থেকে। তিনি 'মিনত্বক' বা দীর্ঘ ঘাগড়া পরিধান করেছিলেন তাঁর পদচিহ্ন মিটিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যে যাতে সারা দেখতে না পান। আল-হাদীস।
ইবন 'আব্বাস (রা) বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা ইসমাঈল জননীকে রহম করুন, তিনি যদি যমযমকে ছেড়ে দিতেন (অথবা বলেছেন) যদি তিনি যমযম থেকে পানি পান না করতেন, তাহলে যমযম একটি প্রবহমান ঝর্ণা হয়ে যেত।
ইব্ন আব্বাস (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, অতঃপর ইসমাইল জননী তা পেলেন এবং তিনি পছন্দ করতেন সেখানে যেন লোকজনের আগমন ঘটে। অতঃপর লোকজন সেখানে আসলো, তাদের পরিবার-পরিজনদের নিয়ে আসলো। এবং তাদের সংগে তারা সেখানে বসতি গ্রহণ করল। এই হাদীসে আরো উল্লেখ আছে যে, হাজেরা সাফা পাহাড় থেকে নেমে যখন উপত্যকায় ফিরে আসেন তখন তাঁর পরিধেয় চাঁদরের একাংশ উঠিয়ে সর্বাত্মক পরিশ্রমে নিয়োজিত মানুষের ন্যায় সা'ঈ করতে থাকেন (দৌড়াতে থাকেন) এবং উপত্যকা অতিক্রম করে মারওয়া পাহাড়ে উপনীত হন; সেখানে দণ্ডায়মান হয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখেন, কাউকে দেখতে পান কি না। কিন্তু না, তিনি কাউকেই দেখতে পেলেন না। তিনি সাতবার এইরূপ (সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ে দৌড়ে গেলেন, উঠলেন এবং দেখলেন) করলেন। ইবন আব্বাস বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, এই কারণেই এই দুই পাহাড়ের মাঝে সা'ঈ করতে হয়।
(এটি বুখারীতে বর্ণিত একটি সুদীর্ঘ হাদীসের অংশবিশেষ।)
ইবন 'আব্বাস (রা) বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা ইসমাঈল জননীকে রহম করুন, তিনি যদি যমযমকে ছেড়ে দিতেন (অথবা বলেছেন) যদি তিনি যমযম থেকে পানি পান না করতেন, তাহলে যমযম একটি প্রবহমান ঝর্ণা হয়ে যেত।
ইব্ন আব্বাস (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, অতঃপর ইসমাইল জননী তা পেলেন এবং তিনি পছন্দ করতেন সেখানে যেন লোকজনের আগমন ঘটে। অতঃপর লোকজন সেখানে আসলো, তাদের পরিবার-পরিজনদের নিয়ে আসলো। এবং তাদের সংগে তারা সেখানে বসতি গ্রহণ করল। এই হাদীসে আরো উল্লেখ আছে যে, হাজেরা সাফা পাহাড় থেকে নেমে যখন উপত্যকায় ফিরে আসেন তখন তাঁর পরিধেয় চাঁদরের একাংশ উঠিয়ে সর্বাত্মক পরিশ্রমে নিয়োজিত মানুষের ন্যায় সা'ঈ করতে থাকেন (দৌড়াতে থাকেন) এবং উপত্যকা অতিক্রম করে মারওয়া পাহাড়ে উপনীত হন; সেখানে দণ্ডায়মান হয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখেন, কাউকে দেখতে পান কি না। কিন্তু না, তিনি কাউকেই দেখতে পেলেন না। তিনি সাতবার এইরূপ (সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ে দৌড়ে গেলেন, উঠলেন এবং দেখলেন) করলেন। ইবন আব্বাস বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, এই কারণেই এই দুই পাহাড়ের মাঝে সা'ঈ করতে হয়।
(এটি বুখারীতে বর্ণিত একটি সুদীর্ঘ হাদীসের অংশবিশেষ।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر مهاجرة ابراهيم بابنه اسماعيل وأمه هاجر الى جبال قاران وهى أرض مكة وسبب وجود زمزم وبنائه البيت العتيق
حدثنا عبد الرزاق (1) ثنا معمر عن أيوب وكثير بن كثير بن المطلب بن أبى وداعة يزيد أحدهما على الآخر عن سعيد بن جبير قال ابن عباس أول ما اتخذت النساء المنطق (2) من قبل أم أسماعيل اتخذت منطقا (3) لتنفى أثرها على سارة فذكر الحديث (4) قال ابن عباس رحم الله أم اسماعيل لو تركت زمزم أو قال لو لم تغرف من الماء لكانت زمزم عينا معينا، قال ابن عباس قال النبى صلى الله عليه وسلم فألفى ذلك أم أسماعيل وهى تحب الأنس فنزلوا وأرسلوا الى أهليهم فنزلوا معهم، وقال فى حديثه فهبطت من الصفا حتى اذا بلغت الوادى رفعت طرف درعها ثم سعت سعى الانسان المجهود حتى جاوزت الوادى، ثم أتت المروة فقامت عليها ونظرت هل ترى أحدا فلم تر أحداً ففعلت ذلك سبع مرات قال ابن عباس قال النبى صلى الله عليه وسلم فلذلك سعى الناس بينهما
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইসমাঈল (আ) ও তাঁর জননী হাজেরা সমেত ইব্রাহীমের (আ) ফারান পর্বতমালা তথা মক্কাভূমিতে হিজরত, যমযমের অস্তিত্বের কারণ ও ইব্রাহীম (আ) কর্তৃক বাইতুল 'আতীক নির্মাণ
(২৭) ইবন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইব্রাহীম (আ) ইসমাঈল (আ) ও হাজেরাকে নিয়ে আসেন এবং তাঁকে মক্কায় যমযমের স্থানে রাখেন। এরপর তিনি পুরো হাদীস বর্ণনা করেন। হাজেরা মারওয়া থেকে পুনরায় ইসমাঈলের নিকট ফিরে আসেন এবং দেখতে পান ঝর্ণা প্রবাহিত হচ্ছে। তখন তিনি তাঁর হাত দিয়ে ঝর্ণাকে ঠেকাতে থাকেন, এতে সেই পর্বে পানি জমে যায়, তিনি পেয়ালা দিয়ে পানি তুলে তার মশকে ভরতে থাকেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ হাজেরাকে রহম করুন। যদি তিনি সেইভাবে ছেড়ে দিতেন, তবে যমযম কিয়ামত পর্যন্ত প্রবহমান একটি ঝর্ণা হয়ে যেত।
(বুখারী এই হাদীসটি সুদীর্ঘ আকারে বর্ণনা করেছেন যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে।)
(বুখারী এই হাদীসটি সুদীর্ঘ আকারে বর্ণনা করেছেন যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر مهاجرة ابراهيم بابنه اسماعيل وأمه هاجر الى جبال قاران وهى أرض مكة وسبب وجود زمزم وبنائه البيت العتيق
عن ابن عباس (1) رضى الله تعالى عنهما ان ابراهيم جاء باسماعيل عليهما الصلاة والسلام وهاجر فوضعها بمكة فى موضع زمزم فذكر الحديث (2) ثم جاءت من المروة الى اسماعيل وقد نبعت العين فجعلت تفحص العين بيدها هكذا حتى اجتمع الماء من شقه ثم تأخذه بقدحها فتجعله فى سقائها، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو تركتها لكانت عينا سائحة تجرى الى يوم القيامة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইসমাঈল (আ) ও তাঁর জননী হাজেরা সমেত ইব্রাহীমের (আ) ফারান পর্বতমালা তথা মক্কাভূমিতে হিজরত, যমযমের অস্তিত্বের কারণ ও ইব্রাহীম (আ) কর্তৃক বাইতুল 'আতীক নির্মাণ
(২৮) সা'ঈদ ইব্ন জুবাইর (রা) বলেন, ইবনে 'আব্বাস (রা) বলেছেন, অতঃপর ফেরেশতা (জিব্রাইল) তাঁর কাছে আগমন করেন এবং যমযমের স্থানে পৌছেন। তিনি পায়ের গোড়ালি দিয়ে মাটিতে আঘাত করেন এবং একটি ঝর্ণা উৎসারিত হয়। হাজেরা তাড়াহুড়া করতে লাগলেন এবং পেয়ালা দিয়ে তার মশকের পানি ভরতে থাকলেন। এরপর আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, ইসমাঈল জননীকে আল্লাহ্ রহম করুন। তিনি যদি দ্রুত যমযমের গতি রোধ না করতেন, তাহলে তা প্রবহমান ঝর্ণা হয়ে যেত।
(এটিও বুখারীর সুদীর্ঘ হাদীসের আওতায় উল্লেখিত হয়েছে।)
(এটিও বুখারীর সুদীর্ঘ হাদীসের আওতায় উল্লেখিত হয়েছে।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر مهاجرة ابراهيم بابنه اسماعيل وأمه هاجر الى جبال قاران وهى أرض مكة وسبب وجود زمزم وبنائه البيت العتيق
حدثنا اسماعيل (3) ثنا أيوب قال أنبئت عن سعيد بن جبير قال قال ابن عباس فجاء الملك بها (4) حتى انتهى الى موضع زمزم فضرب بعقبة ففارت عينا فعجلت الإنسانة فجعلت تقدح فى شفتها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم رحم الله أم اسماعيل لولا أنها عجلت لكانت زمزم عينا معينا
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইসমাঈল (আ) ও তাঁর জননী হাজেরা সমেত ইব্রাহীমের (আ) ফারান পর্বতমালা তথা মক্কাভূমিতে হিজরত, যমযমের অস্তিত্বের কারণ ও ইব্রাহীম (আ) কর্তৃক বাইতুল 'আতীক নির্মাণ
(২৯) 'আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তাঁকে আবদুর রহমান ইবন মুহাম্মদ ইব্ন আবী বকর (রা) জানিয়েছেন যে, আয়েশা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তুমি কি দেখ না (হে আয়েশা), তোমার কওম বা সম্প্রদায় যখন কা'বা পুনঃনির্মাণ করে, তখন কা'বাকে ইব্রাহিমী ভিত থেকে কমিয়ে ছোট করে দিয়েছে? তখন আমি বললাম, আপনি কি কা'বাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন না? রাসূল (ﷺ) বললেন, যদি তোমার কওমের কুফরীর সাথে সংশ্লিষ্টতা অল্পদিনের না হতো (তাহলে আমি তা করতাম)। আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা) বলেন, আল্লাহর শপথ, আয়েশা যদি আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এর কাছ থেকে এরূপ শুনে থাকে, তবে আমি মনে করি আল্লাহর রাসূল (ﷺ) হিজর (হাতীম) সংলগ্ন দু'টি রুকনের ইসতিলাম (চুম্বন ও স্পর্শ) করতেন না কেবল এ কারণেই যে, বাইতুল্লাহর পুননির্মাণ ইব্রাহিমী ভিতের উপর সম্পন্ন হয়নি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, মানুষ যাতে ইব্রাহিমী ভিতের পেছন দিক থেকে সমগ্র বাইতের তাওয়াফ সম্পন্ন করে।
(এটিও বুখারীর সেই সুদীর্ঘ হাদীসেরই অন্তর্ভুক্ত।)
(এটিও বুখারীর সেই সুদীর্ঘ হাদীসেরই অন্তর্ভুক্ত।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر مهاجرة ابراهيم بابنه اسماعيل وأمه هاجر الى جبال قاران وهى أرض مكة وسبب وجود زمزم وبنائه البيت العتيق
عن عبد الله بن عمر (5) أن عبد الرحمن بن محمد بن أبى بكر الصديق أخبره أن عائشة رضى الله عنها قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ألم ترى الى قرمك حين بنوا الكعبة اقتصروا عن قواعد ابراهيم عليه السلام؟ قالت قلت يا رسول الله أفلا تردها على قواعد أبراهيم؟ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لولا حدثان قومك بالكفر قال عبد الله بن عمر فوالله لئن كانت عائشة سمعت ذلك من رسول الله صلى الله عليه وسلم ما أرى رسول الله صلى الله عليه وسلم ترك استلام الركنين اللذين يليان الحجر الا أن البيت لم يتمم على قواعد ابراهيم عليه السلام إرادة أن يستوعب الناس الطواف بالبيت كله من وراء قواعد ابراهيم عليه السلام
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইসমাঈল (আ) ও তাঁর জননী হাজেরা সমেত ইব্রাহীমের (আ) ফারান পর্বতমালা তথা মক্কাভূমিতে হিজরত, যমযমের অস্তিত্বের কারণ ও ইব্রাহীম (আ) কর্তৃক বাইতুল 'আতীক নির্মাণ
(৩০) আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ), যমিনের উপর সর্বপ্রথম কোন মসজিদ নির্মাণ করা হয়? তিনি বলেন, মাসজিদুল হারাম। আমি বললাম, এরপর কোনটি? তিনি বলেন, মসজিদুল আকসা। আমি বললাম, এই দুই মসজিদের মধ্যে কতদিনের ব্যবধান? তিনি বলেন, চল্লিশ বছর। এরপর তিনি বলেন, যেখানেই সালাতের সময় হবে, সালাত আদায় করবে, কারণ সেখানেই মসজিদ।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি তৃতীয় খণ্ডে কিতাবুস সালাতে বর্ণিত হয়েছে।)
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি তৃতীয় খণ্ডে কিতাবুস সালাতে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر مهاجرة ابراهيم بابنه اسماعيل وأمه هاجر الى جبال قاران وهى أرض مكة وسبب وجود زمزم وبنائه البيت العتيق
عن أبى ذر (1) قال قلت يا رسول الله أى مسجد وضع فى الأرض أول؟ قال المسجد الحرام، قال قلت ثم أى؟ قال ثم المسجد الأقصى، قال قلت كم بينهما؟ قال أربعون سنة، ثم قال أربعون سنة، ثم قال اينما أدركتك الصلاة فصل فهو مسجد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইসমাঈল (আ) ও তাঁর জননী হাজেরা সমেত ইব্রাহীমের (আ) ফারান পর্বতমালা তথা মক্কাভূমিতে হিজরত, যমযমের অস্তিত্বের কারণ ও ইব্রাহীম (আ) কর্তৃক বাইতুল 'আতীক নির্মাণ
(৩১) উম্মু মানসূর সাফিয়্যা বিনতু শাইবাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে বনু সুলায়ম গোত্রের জনৈকা মহিলা, যিনি আমাদের মাতা, আমাকে অবহিত করেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উছমান ইব্ন তালহাকে ডেকে পাঠান; অন্য একবার বর্ণনাকারী বলেন- সাফিয়্যা উছমান ইবন তালহাকে জিজ্ঞেস করেন যে, তোমাকে নবী (ﷺ) কেন ডেকেছিলেন? উত্তরে উছমান বলেন, রাসূল (ﷺ) আমাকে বললেন, আমি বাইতুল্লাহ শরীফে প্রবেশকালে সেখানে দুম্বার দু'টি শিং দেখতে পেলাম। কিন্তু আমি তোমাকে শিং দুটো ঢেকে দিতে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। সুতরাং তুমি সেই শিং দু'টো ঢেকে দিও। কারণ, বাইতুল্লাহ শরীফে এমন কিছু থাকা বাঞ্ছনীয় নয়, যদ্বারা মুসুল্লীর একাগ্রতা বিনষ্ট হতে পারে। সুফিয়ান (জনৈক রাবী) বলেন, সেই শিং দু'টো কাবাগৃহে রক্ষিত ছিল (ঢাকনা দেওয়া অবস্থায়) কাবাগৃহ আগুনে পুড়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। সেই সময় ঐ শিং দু'টোও পুড়ে যায়।
(তৃতীয় খণ্ডে কিতাবুস সালাতে এই হাদীসের সনদ, ব্যাখ্যা ও তাখরীজ উদ্ধৃত হয়েছে, দ্রষ্টব্য হাদীস নং ৩৪৪।)
(তৃতীয় খণ্ডে কিতাবুস সালাতে এই হাদীসের সনদ, ব্যাখ্যা ও তাখরীজ উদ্ধৃত হয়েছে, দ্রষ্টব্য হাদীস নং ৩৪৪।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر مهاجرة ابراهيم بابنه اسماعيل وأمه هاجر الى جبال قاران وهى أرض مكة وسبب وجود زمزم وبنائه البيت العتيق
عن صفية بنت شيبة (2) أم منصور قالت أخبرتنى امرأة من بنى سليم ولدت عامة أهل دارنا أرسل رسول الله صلى الله عليه وسلم آل عثمان بن طلجة وقال مرة (يعنى الراوى عن صفية) أنها سألت عثمان بن طلحة لم دعاك النبى صلى الله عليه وسلم؟ قال قال لى كنت رأيت قرنى الكبش حين دخلت البيت فنسيت أن آمرك أن تخمرها فخمرها فأنه لا ينبغى أن يكون فى البيت شئ يشغل المصلي قال سفيان لم تزل قرنا الكبش فى البيت حتى احترق البيت فاحترقا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইব্রাহীম (আ)-এর গুণ-বৈশিষ্ট্য
(৩২) ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, যিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমি (মি'রাজের সময়) ঈসা ইবনে মারয়াম, মূসা ও ইব্রাহীমকে (আ) দেখেছি। ঈসা (আ) রক্তিম বর্ণের প্রশস্ত বক্ষের অধিকারী সুপুরুষ। মূসা (আ) বিশাল দেহের অধিকারী সুপুরুষ। তারা (সাহাবীগণ) বললেন, ইব্রাহীম দেখতে কেমন? তিনি (রাসূল সা.) বলেন, তোমাদের এই সাথীর প্রতি (অর্থাৎ তাঁর নিজের প্রতি) দৃষ্টিপাত কর।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى صفته
عن ابن عباس (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم رأيت عيسى بن مريم وموسى وابراهيم (2) فاما عيسى فأحمر جعد (3) عريض الصدر، وأما موسى فإنه جسيم، قالوا له فابراهيم؟ قال انظروا الى صاحبكم يعنى نفسه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ইব্রাহীম (আ)-এর গুণ-বৈশিষ্ট্য
(৩৩) ইবন 'আব্বাস (রা) থেকে আরো বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমি ইব্রাহীম (আ)-এর প্রতি দৃষ্টিপাত করেছি, কিন্তু তাঁর দেহসৌষ্ঠবের আদলের ন্যায় আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে দেখিনি। (অর্থাৎ) তিনি যেন তোমাদের এই সাথীর ন্যায়।
(এই হাদীসের পূর্ণাঙ্গরূপ ও এর তাখরীজ "কিতাবুস সীরাহ আল-নাবাবিয়্যাহ" অধ্যায়ে আসবে-ইনশাআল্লাহ্।)
(এই হাদীসের পূর্ণাঙ্গরূপ ও এর তাখরীজ "কিতাবুস সীরাহ আল-নাবাবিয়্যাহ" অধ্যায়ে আসবে-ইনশাআল্লাহ্।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى صفته
وعنه أيضا (5) قال قال النبى صلى الله عليه وسلم ونظرت الى ابراهيم فلا أنظر الى إرب من آرابه الا نظرت اليه منى كأنه صاحبكم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী লূত (আ)-এর উল্লেখ ও আল্লাহর বাণী "যদি তোমাদের উপর আমার যথেষ্ট ক্ষমতা থাকত কিংবা আমি কোন শক্ত স্তম্ভের আশ্রয় নিতে পারতাম” – প্রসংগ
(৩৪) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, সম্মানিত ব্যক্তির পুত্র, সম্মানিত ব্যক্তির পৌত্র, সম্মানিত ব্যক্তির প্রপৌত্র হচ্ছেন ইউসুফ ইবন ইয়াকূব ইবন ইসহাক ইবন ইব্রাহীম যিনি রাহমানের খলীল (আ)। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন যদি আমি ইউসুফ (আ)- এর ন্যায় কারাগারে বন্দী থাকতাম, তাহলে (বাদশাহর প্রেরিত) দূতের আহ্বান তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করতাম। অথচ তিনি দূতকে বললেন, ফিরে যাও তোমার মনিবের কাছে, তাকে জিজ্ঞেস কর সেই সব মহিলাদের অবস্থা, যারা তাদের হাত কেটে ফেলেছে। আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক লূতের (আ) উপর। তিনি একটি শক্ত স্তম্ভে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বলেছিলেন, যদি তোমাদের উপর আমার যথেষ্ট ক্ষমতা থাকতো, অথবা আমি কোন শক্ত স্তম্ভে আশ্রয় নিতাম। তাঁর পরে আল্লাহ্ যত নবী প্রেরণ করেছেন, প্রত্যেককে তার সম্প্রদায়ের বৃহৎ গোত্র হতে পাঠিয়েছেন। (এই রাবী থেকে অন্য বর্ণনায়) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা লূতকে ক্ষমা করুন, নিশ্চয় তিনি একটি শক্তিশালী স্তম্ভে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبي الله لوط عليه السلام وقوله تعالى: قال لو أن لى بكم قوة أو آوى الى ركن شديد
عن أبى هريرة (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم أن الكريم بن الكريم بن الكريم بن الكريم يوسف بن يعقوب بن اسحاق بن ابراهيم خليل الرحمن عز وجل، وقال رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم لو لبثت فى السجن ما لبث يوسف ثم جاءنى الداعى لأجبته اذ جاء الرسول فقال (ارجع الى ربك فاساله ما بال النسوة اللاتى قطعن أيديهن إن ربى بكيدهن عليم) (2)، ورحمة الله على لوط إن كان ليأوى إلى ركن شديد إذ قال لقومه (لو أن لى بكم قوة أو آوى إلى ركن شديد) وما بعث الله من بعده من نبى إلا فى ثروة من قومه (3) (وعنه طريق ثان) (4) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يغفر الله للوط إنه أوي إلى ركن شديد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ইবরাহীম খলীলুল্লাহ (আ)-এর বংশধরগণের উল্লেখ ও আল্লাহ্ তা'আলার বাণী, “এবং আমি তাঁর বংশধরগণের মধ্যে নবুওয়াত ও কিতাব দান করেছি” প্রসংগ
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী ইসমাঈল (আ) ও তাঁর মর্যাদা প্রসংগ
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী ইসমাঈল (আ) ও তাঁর মর্যাদা প্রসংগ
(৩৫) সালামা ইব্নুল আকওয়া’ (রা) থেকে বর্ণিত, (একদা) আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আসলাম সম্প্রদায়ের লোকজনদের উদ্দেশ্যে বের হন। ঐ সময় তারা বাজারে পরস্পরে তীর নিক্ষেপ ও যুদ্ধবিদ্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণে লিপ্ত ছিল। রাসূল (ﷺ) তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, হে বনূ ইসমাঈল, তোমরা তীর নিক্ষেপ কর। তোমাদের পিতা (ইসমাঈল) তীরন্দাজ ছিলেন। তোমরা নিক্ষেপ কর, আমি তোমাদের দুই দলের মধ্যে অমুক দলের পক্ষে আছি। তখন তারা তীর নিক্ষেপ বন্ধ করে দিল। রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমরা নিক্ষেপ চালিয়ে যাও। তারা বললো, আমরা কীভাবে তীর নিক্ষেপ করবো, আপনি অমুক সম্প্রদায়ের পক্ষ নিয়েছেন। তিনি বললেন, তোমরা তীর নিক্ষেপ চালিয়ে যাও, আমি তোমাদের সবার সাথেই আছি।
(১৪শ খণ্ডে কিতাবুল জিহাদে এই হাদীসের বরাত উল্লেখ করা হয়েছে।)
(১৪শ খণ্ডে কিতাবুল জিহাদে এই হাদীসের বরাত উল্লেখ করা হয়েছে।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
أبواب ذكر ذرية ابراهيم الخليل عليه وعلى نبينا الصلاة والسلام وقول الله تعالى وجعلنا فى ذريته النبوة والكتاب
باب ذكر نبى الله اسماعيل عليه السلام وما جاء فى فضله
باب ذكر نبى الله اسماعيل عليه السلام وما جاء فى فضله
عن سلمة بن الأكوع (1) قال خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم على قوم من أسلم وهم يتناضلون فى السوق فقال أرموا يا بنى اسماعيل فان أباكم كام راميا: أرموا وأنا مع بنى فلان لأحد الفريقين، فأمسكوا أيديهم، فقال أرموا، قالوا يا رسول كيف نرمى وأنت مع بنى فلان؟ قال ارموا وأنا معكم كلكم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ইবরাহীম খলীলুল্লাহ (আ)-এর বংশধরগণের উল্লেখ ও আল্লাহ্ তা'আলার বাণী, “এবং আমি তাঁর বংশধরগণের মধ্যে নবুওয়াত ও কিতাব দান করেছি” প্রসংগ
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী ইসমাঈল (আ) ও তাঁর মর্যাদা প্রসংগ
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী ইসমাঈল (আ) ও তাঁর মর্যাদা প্রসংগ
(৩৬) ইবন উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির পুত্র সম্ভ্রান্তের পৌত্র ইউসুফ ইবনে ইয়াকূব ইবন ইসহাক ইবনে ইব্রাহীম (আ)
(বুখারী)
(বুখারী)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
أبواب ذكر ذرية ابراهيم الخليل عليه وعلى نبينا الصلاة والسلام وقول الله تعالى وجعلنا فى ذريته النبوة والكتاب
باب ذكر نبى الله اسماعيل عليه السلام وما جاء فى فضله
باب ذكر نبى الله اسماعيل عليه السلام وما جاء فى فضله
عن ابن عمر عن النبى صلى الله عليه وسلم قال الكريم بن الكريم يوسف بن يعقوب بن اسحاق بن ابراهيم عليهم السلام
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী ইউসুফ (আ) প্রসংগ
(৩৭) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির পুত্র সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির পৌত্র এবং সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির প্রপৌত্র হচ্ছেন ইউসুফ ইব্ন ইয়াকুব ইবন ইসহাক ইবনে ইব্রাহীম খলীলুর রহমান। আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, আমি যদি ইউসুফের (আ) ন্যায় কারাগারে বন্দী থাকতাম এবং আমার কাছে কোন আহ্বায়ক আসতো, তাহলে আমি তাৎক্ষণিকভাবে তার ডাকে সাড়া দিতাম। যখন তাঁর (ইউসুফ) কাছে দূত এসেছিল তিনি বলেছিলেন, ফিরে যাও তোমার মনিবের কাছে এবং তাকে জিজ্ঞেস কর, যেসব মহিলারা তাদের হাত কেটে ফেলেছিল, তাদের কী হয়েছিল? নিশ্চয় আমার প্রভু তাদের চক্রান্ত সম্পর্কে বিশেষভাবে অবগত।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।)
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبي الله يوسف عليه السلام
عن أبى هريرة (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الكريم بن الكريم بن الكريم بن الكريم يوسف بن يعقوب بن اسحاق بن ابراهيم خليل الرحمن، وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو لبثت في السجن مالبث يوسف ثم جاءنى الداعى لأجبته إذ جاءه الرسول صلى الله عليه وسلم فقال أرجع إلى ربك فاسأله ما بال النسوة اللاتى قطعن أيديهن إن ربى بكيدهن عليم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী ইউসুফ (আ) প্রসংগ
(৩৮) আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ইউসুফকে (আ) সৌন্দর্যের অর্ধেক দান করা হয়েছে (অর্থাৎ দুনিয়াবাসীর জন্য বরাদ্দকৃত গোটা সৌন্দর্যের অর্ধেক)।
(মুসলিম)
(মুসলিম)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبي الله يوسف عليه السلام
عن أنس بن مالك (1) رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أعطى (2) يوسف عليه الصلاة والسلام شطر الحسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: আল্লাহর নবী আইয়ূব (আ) প্রসংগ
(৩৯) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আইউব (আ) এর কাছে স্বর্ণের পঙ্গপাল প্রেরণ করা হয়। আইউব (আ) সেগুলো কুড়াতে শুরু করলেন। তখন আল্লাহ্ বললেন, হে আইউব, আমি কি তোমাকে ঐশ্বর্য দেইনি? তিনি বললেন, হে প্রভু, আপনার রহমত (অথবা বলেছেন) ও ফযল (করুণা) প্রাপ্তিতে কে পরিতৃপ্ত হয়?
(একই রাবী থেকে ভিন্ন সময়ে এসেছে) রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আইউব (আ) উলঙ্গ হয়ে গোসল করছিলেন, সেই সময় তাঁর উপর স্বর্ণের পঙ্গপাল পতিত হতে থাকে। তখন তিনি তা তাঁর কাপড়ে সংগ্রহ করতে থাকেন। তখন তাঁর রব ডাক দিয়ে বললেন, হে আইয়ুব, তুমি যা দেখছ আমি কি তোমাকে তার চেয়ে বেশী ঐশ্বর্য দেইনি? তিনি উত্তর দিলেন, নিশ্চয়ই, হে প্রভু। তবে আপনার বরকত থেকে আমার বেনিয়াযী নেই।
(বুখারী ও তায়ালাসী)
(একই রাবী থেকে ভিন্ন সময়ে এসেছে) রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আইউব (আ) উলঙ্গ হয়ে গোসল করছিলেন, সেই সময় তাঁর উপর স্বর্ণের পঙ্গপাল পতিত হতে থাকে। তখন তিনি তা তাঁর কাপড়ে সংগ্রহ করতে থাকেন। তখন তাঁর রব ডাক দিয়ে বললেন, হে আইয়ুব, তুমি যা দেখছ আমি কি তোমাকে তার চেয়ে বেশী ঐশ্বর্য দেইনি? তিনি উত্তর দিলেন, নিশ্চয়ই, হে প্রভু। তবে আপনার বরকত থেকে আমার বেনিয়াযী নেই।
(বুখারী ও তায়ালাসী)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبي الله أيوب عليه السلام
عن أبي هريرة (1) عن النبي صلي الله عليه وسلم قال أرسل على أيوب جراد من ذهب (2) فجعل يلتقط (3) فقال ألم أغنك يا أيوب قال يارب ومن يشبع من رحمتك أو قال من فضلك (4) (وعنه عن طريق ثان) (5) قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم بينما أيوب يغتسل عرياناً خرَ عليه جراد من ذهب فجعل أيوب يحْثي في ثوبه فناداه ربه يا أيوب ألم أكن أغنيتك عما تري؟ قال بلي يارب ولكن لا غني بي عن بركتك
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী ইউনুস (আ) প্রসঙ্গ
(৪০) আবুল আলিয়াহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের নবীর (ﷺ) চাচার ছেলে অর্থাৎ ইবন আব্বাস (রা) আমাকে বলেছেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, কোন বান্দার এইরূপ বলা উচিত নয় যে, আমি মাত্তার পুত্র ইউনুসের চেয়ে উত্তম। এভাবে তাঁর পিতার নাম উল্লেখ করে বলেছেন।
(এই রাবী থেকে অন্য ধারায় বর্ণিত) ইব্ন আব্বাস (রা) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, কারো এইরূপ বলা সঙ্গত নয়, আমি ইউনুস ইব্ন মাত্তার চেয়ে উত্তম। তিনি অপরাধ করে ফেলেছিলেন অতঃপর তাঁর প্রভু তাঁকে আবার মনোনীত করেন।
(বুখারী, মুসলিম ও আবূ দাউদ।)
(এই রাবী থেকে অন্য ধারায় বর্ণিত) ইব্ন আব্বাস (রা) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, কারো এইরূপ বলা সঙ্গত নয়, আমি ইউনুস ইব্ন মাত্তার চেয়ে উত্তম। তিনি অপরাধ করে ফেলেছিলেন অতঃপর তাঁর প্রভু তাঁকে আবার মনোনীত করেন।
(বুখারী, মুসলিম ও আবূ দাউদ।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبي الله يونس عليه السلام
عن أبي العالية (1) قال حدثني ابن عم نبيكم (2) صلي الله عليه وسلم قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم قال الله عز وجل ما ينبغي لعبد أن يقول أنا خير من يونس (3) بن منىّ ونسبه إلى أبيه (4) (وعنه من طريق ثان) (5) عن أبن عباس قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم لا ينبغي لأحد أن يقول إني خير من يونس بن منى نسبة إلى أبيه أصاب ذنبا (6) ثم اجتباه ربه
তাহকীক: