মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
বিবাহ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২৮৭ টি
হাদীস নং: ১৬১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কারো ইসলাম গ্রহণ করা কালীন দু'জন সহোদরা বোন বা চারের বেশি স্ত্রী থাকলে তার বিধান, আযাদ ও গোলামের কতজন স্ত্রী থাকতে পারবে? এ ক্ষেত্রে নবী (ﷺ)-এর বিশেষত্ব।
১৬১। আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) পূর্বাহ্নকালে নয়জন স্ত্রীর সাথে সহবাস করতেন।
(বুখারী, নাসাঈ, বায়হাকী এবং অন্যরা)
(বুখারী, নাসাঈ, বায়হাকী এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب من أسلم وتحته أختان أو أكثر من أربع وفيه العدد المباح للحر والعبد وما خص به النبي صلى الله عليه وسلم
عن مطر الوراق عن أنس بن مالك (6) قال كان نبي الله صلى الله عليه وسلم يطوف على تسع نسوة (7) في ضحوة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : কারো ইসলাম গ্রহণ করা কালীন দু'জন সহোদরা বোন বা চারের বেশি স্ত্রী থাকলে তার বিধান, আযাদ ও গোলামের কতজন স্ত্রী থাকতে পারবে? এ ক্ষেত্রে নবী (ﷺ)-এর বিশেষত্ব।
১৬২। জাহ্হাক ইবন ফায়রুয থেকে বর্ণিত, তাঁর পিতা ফাইরুয (রা) যখন ইসলাম গ্রহণ করেন তখন তাঁর দু'জন সহোদরা স্ত্রী ছিল। নবী (ﷺ) তাঁকে বললেন, তুমি তাদের থেকে যাকে ইচ্ছা তালাক দাও।
তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি তখন আমার দু'জন সহোদরা স্ত্রী ছিল। নবী (ﷺ) আমাকে তাদের একজনকে তালাক দিতে নির্দেশ দিলেন।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, শাফিয়ী, ইবন হিব্বান, দারাকুতনী, বায়হাকী। হাদীসটি অনেক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত থাকায় এবং আল্লাহ তা'আলার কথা
وَأَنْ تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ
তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে দুই বোনকে; কিন্তু যা হয়ে গেছে তার কথা আলাদা। (সূরা নিসা: ২৩)।
হাদীসটিকে শক্তিশালী করায় ইবন হিব্বান, দারা কুতনী এবং বায়হাকী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি তখন আমার দু'জন সহোদরা স্ত্রী ছিল। নবী (ﷺ) আমাকে তাদের একজনকে তালাক দিতে নির্দেশ দিলেন।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, শাফিয়ী, ইবন হিব্বান, দারাকুতনী, বায়হাকী। হাদীসটি অনেক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত থাকায় এবং আল্লাহ তা'আলার কথা
وَأَنْ تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ
তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে দুই বোনকে; কিন্তু যা হয়ে গেছে তার কথা আলাদা। (সূরা নিসা: ২৩)।
হাদীসটিকে শক্তিশালী করায় ইবন হিব্বান, দারা কুতনী এবং বায়হাকী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
كتاب النكاح
باب من أسلم وتحته أختان أو أكثر من أربع وفيه العدد المباح للحر والعبد وما خص به النبي صلى الله عليه وسلم
عن الضحاك بن فيروز (1) أن أباه فيروز أدركه الإسلام وتحته اختان، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم طلق أيتهما شئت (2) (وعنه من طريق ثان) (3) عن أبيه قال أسلمت وعندي امرأتان أختان فامرني النبي صلى الله عليه وسلم أن أطلق إحداهما
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: কাফের স্বামী স্ত্রীর একজনের পূর্বে অন্য জনের ইসলাম গ্রহণ করা।
১৬৩। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর মেয়ে যয়নাব (রা) কে তাঁর স্বামী আবুল আস ইবন রবী (রা)-এর নিকট প্রথম বিবাহ সূত্রে ফেরত দেন। আর তিনি নতুন কোন সাক্ষ্য ও মোহরানা নির্দিষ্ট করেননি।
তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর মেয়ে যয়নব (রা)-কে আবুল আস ইবন রবী' (রা)-এর নিকট প্রথম বিবাহ সূত্রে ফেরত দেন। যয়নব (রা)-এর ইসলাম গ্রহণ তাঁর ইসলাম গ্রহণের ছয় বছর পূর্বে ছিল। আর তিনি নতুন কোন সাক্ষ্য এবং মোহরানা নির্দিষ্ট করেননি।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, দারাকুতনী, হাকিম, বায়হাকী, ইবন কাসীর "ইরশাদ” গ্রন্থে বলেছেন, হাদীসটি উত্তম শক্তিশালী।)
তাঁর থেকে দ্বিতীয় এক বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর মেয়ে যয়নব (রা)-কে আবুল আস ইবন রবী' (রা)-এর নিকট প্রথম বিবাহ সূত্রে ফেরত দেন। যয়নব (রা)-এর ইসলাম গ্রহণ তাঁর ইসলাম গ্রহণের ছয় বছর পূর্বে ছিল। আর তিনি নতুন কোন সাক্ষ্য এবং মোহরানা নির্দিষ্ট করেননি।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, দারাকুতনী, হাকিম, বায়হাকী, ইবন কাসীর "ইরশাদ” গ্রন্থে বলেছেন, হাদীসটি উত্তম শক্তিশালী।)
كتاب النكاح
باب ما جاء في الزوجين الكافرين يسلم احدها قبل الآخر
عن ابن عباس (4) قال ردّ رسول الله صلى الله عليه وسلم زينب ابنته على زوجها أبي العاص (5) بن الربيع بالنكاح الأول ولم يحدث شيئا (6) (وعنه من طريق ثان) (7) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم ردّ ابنته زينب على أبي العاص ابن الربيع وكان إسلامها قبل إسلامه بست سنين على النكاح الأول ولم يحدث شهادة (8) ولا صداقا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: কাফের স্বামী স্ত্রীর একজনের পূর্বে অন্য জনের ইসলাম গ্রহণ করা।
১৬৪। আমর তাঁর পিতা শুআইব থেকে, শুআইব তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর মেয়ে যয়নব (রা)-কে আবুল আস (রা)-এর নিকট নতুন মোহরানা এবং নতুন বিবাহ দিয়ে ফেরত দেন।
(তিরমিযী, ইবন মাজাহ। দারাকুতনী বলেছেন, হাদীসটি প্রমাণিত নয়। সঠিক হল আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর হাদীস (১৬৩ নম্বরের হাদীস)। নবী (ﷺ) যায়নাব (রা) কে প্রথম বিবাহে তাঁর স্বামীর কাছে ফেরত দেন।)
(তিরমিযী, ইবন মাজাহ। দারাকুতনী বলেছেন, হাদীসটি প্রমাণিত নয়। সঠিক হল আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর হাদীস (১৬৩ নম্বরের হাদীস)। নবী (ﷺ) যায়নাব (রা) কে প্রথম বিবাহে তাঁর স্বামীর কাছে ফেরত দেন।)
كتاب النكاح
باب ما جاء في الزوجين الكافرين يسلم احدها قبل الآخر
عن عمرو بن شعيب (9) عن أبيه عن جده ان رسول الله صلى الله عليه وسلم ردّ ابنته إلى أبي العاص بمهر جديد ونكاح جديد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যদি কোন মহিলা ইসলাম গ্রহণ করে এবং অন্যত্র বিয়ে করে, অতঃপর তার প্রথম স্বামী ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে তাকে তার নিকট ফেরত দিতে হবে।
১৬৫। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমা-আরে জামানায় জনৈকা মহিলা ইসলাম গ্রহণ করে এবং অন্যত্র বিয়ে করে। তার প্রথম স্বামী নবী (ﷺ) -এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি। আর সে আমার ইসলাম গ্রহণের সংবাদ অবহিত হয়েছে। নবী (ﷺ)র তাকে তার দ্বিতীয় স্বামী থেকে পৃথক করলেন এবং তাকে তার প্রথম স্বামীর নিকট ফেরত দিলেন।
(তিরমিযী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী। তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।)
(তিরমিযী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী। তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।)
كتاب النكاح
باب ما جاء في المرأة تسلم وتتزوج ثم يسلم زوجه الأول فترد عليه
عن ابن عباس (1) قال أسلمت امرأة على عهد رسو الله صلى الله عليه وسلم فتزوجت فجاء زوجها الأول إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله إني قد أسلمت (2) بإسلامي فنزعها النبي صلى الله عليه وسلم من زوجها الآخر وردّها على زوجها الأول
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যদি কোন ক্রীতদাসী কোন ক্রীতাদাসের স্ত্রী থাকাকালীন আযাদ হয় তাহলে তার সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার।
১৬৬। আমর ইবন উমাইয়্যা (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি কতিপয় সাহাবী (রা) কে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, যদি কোন ক্রীতদাসী কোন ক্রীতদাসের স্ত্রী থাকাকালীন আযাদ হয় তাহলে তার সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা, না রাখার ইচ্ছাধিকার থাকবে। যদি সে তার সাথে তার আযাদ হওয়ার পর সহবাস না করে তাহলে সে চাইলে তার থেকে পৃথক হতে পারবে। আর যদি সে তার সাথে তার আযাদ হওয়ার পর সহবাস করে তাহলে তার ঐ ইচ্ছাধিকার থাকবে না। আর সে তার থেকে পৃথক হতেও পারবে না।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারো নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। এর সনদ শক্তিশালী।)
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারো নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। এর সনদ শক্তিশালী।)
كتاب النكاح
باب الخيار للأمة إذا عتقت تحت عبد
عن الفضل بن عمرو بن أمية (3) عن أبيه (4) قال سمعت رجالا يتحدثون عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إذا أعتقت الأمة (5) فهي بالخيار ما لم يطأها إن شاءت فارقته، وإن وطئها فلا خيار لها ولا تستطيع فراقه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যদি কোন ক্রীতদাসী কোন ক্রীতাদাসের স্ত্রী থাকাকালীন আযাদ হয় তাহলে তার সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার।
১৬৭। আমর ইবন উমাইয়া দমরী (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কতিপয় সাহাবী (রা)-কে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন ক্রীতদাসী কোন ক্রীতদাসের স্ত্রী থাকাকালীন আযাদ হয় তাহলে তার সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার থাকবে। যদি সে চুপ থাকে এবং তার অনুগত হয়, এমনকি তার সাথে সহবাস করে তাহলে তার স্ত্রী তার থেকে পৃথক হতে পারবে না।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারোর নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। হাদীসটি মুরসাল, এর পূর্ববর্তী হাদীস একে শক্তিশালী করে।)
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারোর নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। হাদীসটি মুরসাল, এর পূর্ববর্তী হাদীস একে শক্তিশালী করে।)
كتاب النكاح
باب الخيار للأمة إذا عتقت تحت عبد
عن الفضل بن الحسن بن عمرو بن أمية الضمري (1) قال سمعت رجالا من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم يتحدثون أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إذا أعتقت الامة وهى تحت العبد فأمرها بيدها فان هي أقرت (2) حتى يطأطأ فمي امرأته لا تستطيع فراقه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যদি কোন ক্রীতদাসী কোন ক্রীতাদাসের স্ত্রী থাকাকালীন আযাদ হয় তাহলে তার সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার।
১৬৮। ক- আসওয়াদ (র) থেকে বর্ণিত, আয়েশা (রা) বলেছেন, আমি বারিরাহ (রা)কে ক্রয় করলাম। তার মনিবেরা তার উত্তরাধিকারের শর্ত করল। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে তা অবহিত করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দাও। কেননা যে অর্থ সম্পদ ব্যয় করে দাস বা দাসী ক্রয় করে সে তার উত্তরাধিকার হয়। তিনি বলেন, আমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দিলাম। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ডাকলেন এবং তাকে তার স্বামীর সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার দিলেন। সে তার থেকে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার ইচ্ছা করল। আর তার স্বামী আযাদ ছিল।
(বুখারী, বায়হাকী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ। বুখারী বলেছেন, আসওয়াদের কথা "বারীরাহ (রা)-এর সাথী আযাদ ছিল" বিচ্ছিন্ন। আর ইবন আব্বাস (রা)-এর কথা "আমি বারীরাহ (রা)-এর স্বামীকে গোলাম দেখেছি।" অধিকতর নির্ভুল।)
খ- উরওয়া (র) আয়েশা (রা) থেকে মানসুরের (অর্থাৎ আসওয়াদ (র)-এর হাদীসের মত হাদীস বর্ণনা করেন, তবে তিনি তাঁর হাদীসে বলেছেন, তাঁর স্বামী ক্রীতদাস ছিল। যদি সে আযাদ হত তাহলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে তার সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার দিতেন না।
(মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, বায়হাকী)
(বুখারী, বায়হাকী, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ। বুখারী বলেছেন, আসওয়াদের কথা "বারীরাহ (রা)-এর সাথী আযাদ ছিল" বিচ্ছিন্ন। আর ইবন আব্বাস (রা)-এর কথা "আমি বারীরাহ (রা)-এর স্বামীকে গোলাম দেখেছি।" অধিকতর নির্ভুল।)
খ- উরওয়া (র) আয়েশা (রা) থেকে মানসুরের (অর্থাৎ আসওয়াদ (র)-এর হাদীসের মত হাদীস বর্ণনা করেন, তবে তিনি তাঁর হাদীসে বলেছেন, তাঁর স্বামী ক্রীতদাস ছিল। যদি সে আযাদ হত তাহলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে তার সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার দিতেন না।
(মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, বায়হাকী)
كتاب النكاح
باب الخيار للأمة إذا عتقت تحت عبد
حدّثنا جرير عن منصور (4) عن إبراهيم عن الأسود (عائشة رضى الله عنها) قالت اشتريت بريرة فاشترط أهلها ولاءها، فذكرت ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اشتريها فأعتقيها فإنما الولاء لمن اعطى الورق، قالت فاشتريتها فأعتقتها، قالت فدعاها رسول الله صلى الله عليه وسلم فخيّرها من زوجها فاختارت نفسها وكان زوجها حرا (5) حدّثنا جرير بن هشام (6) بن عورة عن أبيه عن عائشة رضي الله عنها مثل حديث منصور (7) إلا أنه قال كان زوجها عبدا (8) ولو كان حرا لم يخيرها رسول الله صلى الله عليه وسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যদি কোন ক্রীতদাসী কোন ক্রীতাদাসের স্ত্রী থাকাকালীন আযাদ হয় তাহলে তার সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার।
১৬৯। কাসিম ইবন মুহাম্মদ (র) ও আয়েশা (রা) থেকে একটি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে তিনি বলেছেন, বারীরাহ (রা) জনৈক ক্রীতদাসের স্ত্রী ছিল। যখন তিনি তাকে আযাদ করেন তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তোমার এ ক্রীতদাসের সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার রয়েছে। তুমি চাইলে তার স্ত্রীরূপে থাকতে পার এবং তার থেকে পৃথক হতেও পার।
كتاب النكاح
باب الخيار للأمة إذا عتقت تحت عبد
عن القاسم بن محمد (10) في حديث طويل عن عائشة أيضا قال وكانت (أي بريرة) تحت عبد فلما أعتقتها قال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم اختارى فإن شئت ان تمكثي تحت هذا العبد (11) وان شئت أن تفارقيه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যদি কোন ক্রীতদাসী কোন ক্রীতাদাসের স্ত্রী থাকাকালীন আযাদ হয় তাহলে তার সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার।
১৭০। কাসিম ইবন মুহাম্মদ (র) আয়েশা (রা) থেকেই বর্ণনা করেন যে, বারীরাহ (রা)-এর মনিব তার সাথে শর্ত করেছিল যে সে নির্ধারিত অর্থ আদায় করলে আযাদ হবে। আর তার স্বামী ক্রীতদাস ছিল। যখন তাকে আযাদ করা হল তখন তাকে তার সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার দেয়া হল।
(নাসাঈ, বায়হাকী, দারা কুতনী। হাদীসটির সনদে উসামা ইবন যায়দ ইবন আসলাম আদাবী আছেন। তাঁর স্মরণ শক্তি কম হওয়ার কারণে তিনি দুর্বল বর্ণনাকারী। মুসলিম উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন যে আয়েশা (রা) বলেছেন বারীরাহ (রা)-এর স্বামী গোলাম ছিলেন। "মুনতাকার” লেখক বলেছেন, আয়েশা (রা) কাসিমের ফুযু এবং উরওয়ার খালা। তাই তাঁর থেকে পর্দার বাহির থেকে শ্রবণকারী অনাত্মীয়ের বর্ণনা অপেক্ষা তাঁদেন বর্ণনা অধিকতর গ্রহনযোগ্য।)
(নাসাঈ, বায়হাকী, দারা কুতনী। হাদীসটির সনদে উসামা ইবন যায়দ ইবন আসলাম আদাবী আছেন। তাঁর স্মরণ শক্তি কম হওয়ার কারণে তিনি দুর্বল বর্ণনাকারী। মুসলিম উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন যে আয়েশা (রা) বলেছেন বারীরাহ (রা)-এর স্বামী গোলাম ছিলেন। "মুনতাকার” লেখক বলেছেন, আয়েশা (রা) কাসিমের ফুযু এবং উরওয়ার খালা। তাই তাঁর থেকে পর্দার বাহির থেকে শ্রবণকারী অনাত্মীয়ের বর্ণনা অপেক্ষা তাঁদেন বর্ণনা অধিকতর গ্রহনযোগ্য।)
كتاب النكاح
باب الخيار للأمة إذا عتقت تحت عبد
وعنه أيضا (12) عن عائشة أن بريرة كانت مكاتبة (1) وكان زوجها مملوكا فلما أعتقت خيرت
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭১
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যদি কোন ক্রীতদাসী কোন ক্রীতাদাসের স্ত্রী থাকাকালীন আযাদ হয় তাহলে তার সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার।
১৭১। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন বারীরাহ (রা)-কে তার স্বামীর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার দেয়া হল তখন আমি তার স্বামীকে মদীনার অলি-গলিতে তার অনুসরণ করতে এবং তার অশ্রু দাড়ির উপর টপকিয়ে পড়তে দেখলাম। আর সে আব্বাস (রা)-এর সাথে কথা বলল যেন তিনি তার এবং বারীরাহ (রা) সম্পর্কে নবী (ﷺ)-এর সাথে কথা বলেন যে, সে যেন আযাদ হওয়ার পর তাকে স্বামীরূপে গ্রহণ করে। বারীরাহ (রা) বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আমাকে তা করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। তিনি বললেন, আমি সুপারিশকারী। তিনি তাকে তার সাথে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখা না রাখার ইচ্ছাধিকার দিলেন। সে তার থেকে বিবাহ সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার ইচ্ছা করল। আর তার স্বামী মুগীরা পরিবারের ক্রীতদাস ছিল।
(বুখারী, শাফিয়ী, আবূ দাউদ, বায়হাকী এবং অন্যরা)
(বুখারী, শাফিয়ী, আবূ দাউদ, বায়হাকী এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
باب الخيار للأمة إذا عتقت تحت عبد
عن ابن عباس (2) قال لما خيرت بريرة رأيت زوجها يتبعها في سكك المدينة ودموعه تسيل على لحيته، فكلم العباس ليكم فيه النبي صلى الله عليه وسلم (3) لبريرة إنه زوجك، فقالت تأمرني به يا رسول الله؟ قال إنما أنا شافع، قال فخيرها فاختارت نفسها وكان عبدا (4) لآل المغيرة.
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭২
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ওলীমা প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
১৭২। আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবন আউফ (রা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করলেন যখন তাঁর শরীরে খুলুকের (মিশ্র সুগন্ধি যার অধিকাংশ জাফরান) চিহ্ন ছিল। তিনি তাঁকে বললেন, তোমার ব্যাপার কি হে আব্দুর রহমান? তিনি বললেন, আমি এক আনসারী মহিলাকে বিয়ে করেছি। তিনি বললেন, তুমি তাকে কত মোহরানা দিয়েছ? তিনি বললেন, আমি তাকে পাঁচ দিরহাম সমমূল্যের স্বর্ণ দিয়েছি। নবী (ﷺ) বললেন, তুমি ওলীমা কর যদিও একটি বকরী জবেহ করে।
আনাস (রা) বলেন, আর তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর প্রত্যেক স্ত্রীকে এক লক্ষ দীনারের উত্তরাধিকারী হতে দেখেছি।
তিনি অন্য এক বর্ণনায় উল্লেখ করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেন, আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন। তুমি ওলীমা কর যদিও একটি বকরী যবেহ করে।
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, ইবন সা'দ তবকাতে)
আনাস (রা) বলেন, আর তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর প্রত্যেক স্ত্রীকে এক লক্ষ দীনারের উত্তরাধিকারী হতে দেখেছি।
তিনি অন্য এক বর্ণনায় উল্লেখ করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেন, আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন। তুমি ওলীমা কর যদিও একটি বকরী যবেহ করে।
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, ইবন সা'দ তবকাতে)
كتاب النكاح
أبواب الوليمة
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
عن ثابت البناني (5) عن أنس بن مالك أن النبي صلى الله عليه وسلم لقي عبد الرحمن بن عوف وبه وضر (6) من خلوق فقال له مهيم (7) يا عبد الرحمن؟ قال تزوجت امرأة من الأنصار قال كم أصدقتها؟ قال وزن نواة من ذهب (8) فقال النبي صلى الله عليه وسلم أو لم (9) ولو بشاة، قال أنس لقد رأيته قسم لكل امرأة من نسائه بعد موته مائة ألف دينار (1) زاد في رواية بارك الله لك أو لم ولو بشاة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৩
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ওলীমা প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
১৭৩। আনাস (রা) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে তাঁর কোন স্ত্রীর ওলীমা করতে দেখিনি যেরূপ তিনি যাইনাব বিনতে জাহাশ (রা) এর ওলীমা করেন। তিনি বলেন, তিনি একটি বকরী জবেহ করে তার ওলীমা করেন।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ)
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ)
كتاب النكاح
أبواب الوليمة
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
وعنه أيضا عن أنس (2) قال ما رأيت رسول الله أو لم على امرأة من نسائه ما أو لم على زينب بنت جحش (3) قال فأولم بشاة أو ذبح شاة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৪
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ওলীমা প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
১৭৪। আনাস ইবন মালেক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) যখন যাইনাব বিনতে জাহাশ (রা)-এর সাথে বাসর করলেন তখন তিনি আমাদেরকে রুটি ও গোশত খাওয়ালেন।
অন্য এক বর্ণনায় আছে: তিনি মুসলমানদেরকে রুটি ও গোশত আহার করিয়ে তৃপ্ত করলেন।
(মুসলিম, বায়হাকী এবং অন্যরা)
অন্য এক বর্ণনায় আছে: তিনি মুসলমানদেরকে রুটি ও গোশত আহার করিয়ে তৃপ্ত করলেন।
(মুসলিম, বায়হাকী এবং অন্যরা)
كتاب النكاح
أبواب الوليمة
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
عن أنس بن مالك (4) قال لما دخل النبي صلى الله عليه وسلم بزينب ابنه جحش او لم فأطعمنا خبزا ولحما (وفي لفظ) فأشبع المسلمين خبزا ولحما
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৫
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ওলীমা প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
১৭৫। আবূ মূসা আশয়ারী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আলী (রা) ফাতিমা (রা)-কে বিবাহের প্রস্তাব দিলেন তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, বিবাহোৎসবে ওলীমা না হলে নয়। সা'দ বললেন, আমি তাঁর ওলীমায় মেষ দেব, এবং অপর এক সাহাবী (রা) বললেন, আমি তাঁর ওলীমায় এরূপ এরূপ যব দেব।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারো নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। হাদীসটির সনদ উত্তম।)
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারো নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। হাদীসটির সনদ উত্তম।)
كتاب النكاح
أبواب الوليمة
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
عن ابن بريدة عن أبيه (5) قال لما خطب على فاطمة رضي الله عنها قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إنه لابد للعرس من وليمة (6) قال فقال سعد علىّ كبش وقال فلان علىّ كذا وكذا من ذرة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৬
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ওলীমা প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
১৭৬। আলী ইবন যায়দ (র) আনাস ইবন মালেক (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা তাঁকে বর্ণনা করতে শুনলাম যে, তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর স্ত্রীদের দু'ওলীমায় উপস্থিত ছিলাম। তিনি আমাদেরকে তাতে রুটি ও গোশত খাওয়াননি। আমি তাঁকে বললাম, তাহলে কি খাইয়েছেন? তিনি বললেন, খেজুর, ছাতু, ঘি মিশ্রিত খাবার।
(ইবন মাজাহ। হাদীসটির সনদে আলী ইবন যাইদ ইবন আব্দুল্লাহ জুদরান আছেন। হাফিয ইবন হাজার "তাকরীবে" বলেছেন, তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী।)
(ইবন মাজাহ। হাদীসটির সনদে আলী ইবন যাইদ ইবন আব্দুল্লাহ জুদরান আছেন। হাফিয ইবন হাজার "তাকরীবে" বলেছেন, তিনি দূর্বল বর্ণনাকারী।)
كتاب النكاح
أبواب الوليمة
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
عن على بن زيد (8) عن أنس بن مالك قال سمعته يحدث قال شهدت وليمتين (9) من نساء رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فما أطعمنا فيهما خبزا ولا لحما، قلت فمه (10) قال الحيس (11) يعني التمر والأقط بالسمن
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৭
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ওলীমা প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
১৭৭। আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাফীয়্যা বিনতে হুয়াঈ (রা)-এর ওলীমা খেজুর, ছাতু এবং ঘি দিয়ে করেন। তিনি বলেন, জমিনে কাতা পাখির ডিম পাড়ার গর্ত পরিমাণ গর্ত খনন করা হল। তিনি বলেন, চামড়ার দস্তরখানা এনে তাতে তা রাখা হল। অতঃপর ছাতু, খেজুর এবং ঘি নিয়ে আসা হল। আর মানুষ তা খেয়ে তৃপ্ত হল।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
كتاب النكاح
أبواب الوليمة
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
عن ثابت البناني (12) عن أنس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم جعل وليمة صفية بنت حيي التمر والاقط والسمن، قال فحصت (1) الأرض أفاحيص، قال وجئ بالأنطاع (2) فوضعت فيها ثم جئ بالأقط والتمر والسمن فشبع الناس
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৮
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ওলীমা প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
১৭৮। আবু হাযিম (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সাহল ইবন সা'দ (রা)-কে বলতে শুনেছি, আবু উসাইদ আস সাঈদী (রা) এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)র-কে তাঁর বিবাহোৎসবে দাওয়াত দিলেন। সেদিন তাঁর স্ত্রী তাঁদের খাদেমা ছিলেন। অথচ তিনি নববধূ ছিলেন। তিনি বলেন, তোমরা কি জান তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে কী পানীয় পান করিয়েছেন? তিনি রাতে পান পাত্রে খেজুর ভিজিয়ে রেখেছিলেন।
(বুখারী, মুসলিম, ইবন মাজাহ)
(বুখারী, মুসলিম, ইবন মাজাহ)
كتاب النكاح
أبواب الوليمة
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
عن أبي حازم (3) قال سمعت صهر (يعني ابن سعد) يقول إني أبو أسيد (4) الساعدي فدعا رسول الله صلى الله عليه وسلم في عرسه فكانت امرأته (5) خادمهم يومئذ وهي العروس، قال تدرون (6) ما سقت رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ أنقعت تمرات من الليل في تور
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ওলীমা প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
১৭৯। আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ওলীমায় উপস্থিত হলেন, যাতে রুটি এবং গোশত ছিল না।
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারোর নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। আমি হাদীসটির একজন বর্ণনাকারী সম্পর্কে অবগত নই।)
(আহমদ ইবন্ আবদুর রহমান আল বান্না বলেছেন, আমি ইমাম আহমদ ছাড়া অন্য কারোর নিকট হাদীসটি অবগত হইনি। আমি হাদীসটির একজন বর্ণনাকারী সম্পর্কে অবগত নই।)
كتاب النكاح
أبواب الوليمة
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
عن أنس (8) قال سهد رسول الله صلى الله عليه وسلم وليمة ما فيها خبز ولا لحم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮০
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ওলীমা প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
পরিচ্ছেদ : ওলীমার শরয়ী হুকুম, এক বা তার অধিক বকরি দিয়ে ওলীমা করা মুস্তাহাব, এবং তা ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও করা জায়েয।
১৮০। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর কোন এক স্ত্রীর ওলীমা দু' মুদ (এক মুদ = দু' রিতল) যব দিয়ে করেন।
(বুখারী, বায়হাকী)
(বুখারী, বায়হাকী)
كتاب النكاح
أبواب الوليمة
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
باب حكم الولية واستحبابها بالشاة فأكثر وجوازها بدونها
عن عائشة رضي الله عنها (9) قال أولم رسول الله صلى الله عليه وسلم على بعض نسائه (10) بمدين (11) من شعير
তাহকীক: