রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ

رياض الصالحين من كلام سيد المرسلين

ভূমিকা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৬৭৯ টি

হাদীস নং: ৪২১
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়ঃ ৫১ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা।
আল্লাহ তা'আলার মাগফিরাতের অসীমতা
হাদীছ নং: ৪২১

হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহান রব্বের থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, কোনও এক বান্দা একটি গুনাহ করল। তারপর সে বলল, হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করে দিন। আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমার বান্দা একটি গুনাহ করেছে। সে জানে তার একজন রব আছেন, যিনি পাপ ক্ষমা করেন এবং পাপের জন্য ধরেনও। তারপর সে বান্দা আবারও গুনাহ করল। তারপর বলল, হে আমার রব্ব। আমার পাপ ক্ষমা করুন। আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমার বান্দা একটি গুনাহ করেছে। সে জানে তার একজন রব্ব আছেন, যিনি পাপ ক্ষমা করেন এবং পাপের জন্য ধরেনও। তারপর সে বান্দা আবারও গুনাহ করল। তারপর বলল, হে আমার রব! আমার পাপ ক্ষমা করুন। আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমার বান্দা একটি গুনাহ করেছে। সে জানে তার একজন রব্ব আছেন, যিনি পাপ ক্ষমা করেন এবং পাপের জন্য ধরেনও। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম। সুতরাং তার যা ইচ্ছা হয় করুক- বুখারী ও মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
421 - وعنه، عن النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم - فيما يحكِي عن ربهِ تبارك وتعالى، قَالَ: «أذْنَبَ عَبْدٌ ذَنْبًا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي، فَقَالَ الله تَبَاركَ وَتَعَالَى: أذنَبَ عبدي ذَنبًا، فَعَلِمَ [ص:151] أنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ، وَيَأْخُذُ بالذَّنْبِ، ثُمَّ عَادَ فَأذْنَبَ، فَقَالَ: أيْ رَبِّ اغْفِرْ لِي ذَنْبي، فَقَالَ تبارك وتعالى: أذنَبَ عَبدِي ذَنبًا، فَعَلِمَ أنَّ لَهُ رَبًّا، يَغْفِرُ الذَّنْبَ، وَيَأْخُذُ بالذَّنْبِ، قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِي فَلْيَفْعَلْ مَا شَاءَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ. (1)
وقوله تَعَالَى: «فَلْيَفْعَلْ مَا شَاءَ» أيْ: مَا دَامَ يَفْعَلُ هكذا، يُذْنِبُ وَيَتُوبُ أغفِرُ لَهُ، فَإنَّ التَّوْبَةَ تَهْدِمُ مَا قَبْلَهَا.
হাদীস নং: ৪২২
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়ঃ ৫১ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা।
আল্লাহ তা'আলার কাছে বান্দার ইস্তিগফারের গুরুত্ব
হাদীছ নং : ৪২২

হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ সেই সত্তার শপথ! তোমরা যদি গুনাহ না করতে, তবে আল্লাহ তোমাদের সরিয়ে দিতেন এবং এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসতেন, যারা গুনাহ করত, তারপর আল্লাহ তা'আলার কাছে ক্ষমা চাইত, ফলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দিতেন - মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
422 - وعنه، قَالَ: قَالَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم: «والَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَوْ لَمْ تُذْنِبُوا، لَذَهَبَ الله بِكُمْ، وَجَاءَ بِقَومٍ يُذْنِبُونَ، فَيَسْتَغْفِرُونَ الله تَعَالَى، فَيَغْفِرُ لَهُمْ». رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৪২৩
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়ঃ ৫১ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা।
হযরত আবু আইয়ুব খালিদ ইবন যায়দ আনসারী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা যদি গুনাহ না করতে, তবে আল্লাহ এমন জাতি সৃষ্টি করতেন, যারা গুনাহ করত, তারপর ক্ষমা চাইত, ফলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দিতেন– মুসলিম ।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
423 - وعن أَبي أيوب خالد بن زيد - رضي الله عنه - قَالَ: سَمِعْتُ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - يقول: «لَوْلاَ أنَّكُمْ تُذْنِبُونَ، لَخَلَقَ الله خَلْقًا يُذْنِبُونَ، فَيَسْتَغْفِرونَ، فَيَغْفِرُ لَهُمْ». رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৪২৪
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়ঃ ৫১ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা।
আন্তরিক বিশ্বাসের সঙ্গে কালেমায়ে তায়্যিবা পাঠকারীর জন্য জান্নাতের সুসংবাদ
হাদীছ নং : ৪২৪

হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে বসা ছিলাম। আমাদের সঙ্গে একদল লোকের ভেতর আবু বকর ও উমরও ছিলেন। হঠাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্য থেকে উঠে গেলেন। তারপর ফিরে আসতে বিলম্ব করলেন। আমরা আশঙ্কা করলাম, না জানি আমাদের থেকে তাঁকে ছিন্ন করে ফেলা হয়। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম। তারপর আমরা উঠে পড়লাম। আমি সবার আগে আতঙ্কিত হয়ে উঠে পড়েছিলাম। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্ধানে বের হয়ে পড়লাম। খুঁজতে খুঁজতে আনসারদের একটি বাগানে উপস্থিত হলাম। এরপর তিনি দীর্ঘ হাদীছটি বর্ণনা করেন....... তার শেষে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি যাও। এ বাগানের বাইরে এমন যারই সাক্ষাত পাবে, যে আন্তরিক বিশ্বাসের সঙ্গে সাক্ষ্য দেয় আল্লাহ ছাড়া কোনও মা'বূদ নেই, তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দেবে– মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
424 - وعن أَبي هريرة - رضي الله عنه - قَالَ: كُنَّا قُعُودًا مَعَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - مَعَنَا أَبُو بَكْرٍ وَعُمْرُ رضي الله عنهما، في نَفَرٍ فَقَامَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - مِنْ بَيْنِ أظْهُرِنَا، فَأبْطَأَ عَلَيْنَا فَخَشِينَا أَنْ يُقتطَعَ دُونَنَا، فَفَزِعْنَا فَقُمْنَا فَكُنْتُ أوَّلَ مَنْ فَزِعَ فَخَرَجْتُ أبْتَغِي رسولَ الله - صلى الله عليه وسلم - حَتَّى أتَيْتُ حَائِطًا لِلأَنْصَارِ ... وَذَكَرَ الحَدِيثَ بِطُولِهِ إِلَى قوله: فَقَالَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم: «اذهَبْ فَمَن لَقِيتَ وَرَاءَ هَذَا الحَائِطِ يَشْهَدُ أَنْ لا إله إلاَّ الله، مُسْتَيقِنًا بِهَا قَلبُهُ فَبَشِّرْهُ بِالجَنَّةِ». رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৪২৫
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়ঃ ৫১ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা।
উম্মতের মুক্তির জন্য প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আকুলতা
হাদীছ নং : ৪২৫

অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন মাজীদে উদ্ধৃত হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের এ দু'আ পাঠ করলেন- {رب إنهن أضللن كثيرا من الناس فمن تبعني فإنه مني} [إبراهيم: 36]
(হে আমার প্রতিপালক! ওইসব প্রতিমা বিপুল সংখ্যক মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে। সুতরাং যে-কেউ আমার অনুসরণ করবে, সে আমার দলভুক্ত- (সূরা ইবরাহীম : ৩৬) এবং আরও পাঠ করলেন হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের দু'আ-
{إن تعذبهم فإنهم عبادك وإن تغفر لهم فإنك أنت العزيز الحكيم} [المائدة: 118]
(যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন, তবে তারা তো আপনারই বান্দা। আর যদি তাদেরকে ক্ষমা করেন, তবে নিশ্চয়ই আপনিই মহাপরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময় - (সূরা মায়িদা: ১১৮)। তারপর দু'হাত তুলে বললেন, হে আল্লাহ! আমার উম্মত, আমার উম্মত এবং তিনি কাঁদতে থাকলেন। আল্লাহ তাআলা বললেন, হে জিবরীল, তুমি মুহাম্মাদের কাছে যাও এবং তাকে তার কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করো। অবশ্য তোমার রব্ব ভালোভাবেই তা অবগত আছেন। জিবরীল আঃ তাঁর কাছে আসলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে যা বলার বললেন। আর আল্লাহ তো ভালোভাবেই তা জানেন। আল্লাহ তা'আলা বললেন, হে জিবরীল, তুমি মুহাম্মাদের কাছে যাও এবং বল, আমি আপনাকে আপনার উম্মতের বিষয়ে সন্তুষ্ট করব। আপনাকে কষ্ট দেব না- মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
425 - وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما: أنَّ النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم - تَلاَ قَولَ الله - عز وجل - في إبراهيم - صلى الله عليه وسلم: {رَبِّ إِنَّهُنَّ أَضْلَلْنَ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ فَمَنْ تَبِعَنِي فَإِنَّهُ مِنِّي} [إبراهيم: 36] الآية، وقَولَ عِيسَى - صلى الله عليه وسلم: {إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 118] فَرَفَعَ يَدَيهِ وَقالَ: «اللَّهُمَّ أُمّتي أُمّتي» وبَكَى، فَقَالَ الله - عز وجل: «يَا جِبْريلُ، اذْهَبْ إِلَى مُحَمَّدٍ -وَرَبُّكَ أعْلَمُ - فَسَلْهُ مَا يُبْكِيهِ؟» فَأتَاهُ جبريلُ، فَأخْبَرَهُ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم - بِمَا قَالَ - وَهُوَ أعْلَمُ - فَقَالَ اللهُ تَعَالَى: «يَا جِبريلُ، اذْهَبْ إِلَى مُحَمّدٍ، فَقُلْ: إنَّا سَنُرْضِيكَ في أُمّتِكَ وَلاَ نَسُوءكَ». رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৪২৬
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়ঃ ৫১ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা।
আল্লাহর প্রতি বান্দার হক এবং বান্দার প্রতি আল্লাহর হক
হাদীছ নং : ৪২৬

হযরত মুআয ইবনে জাবাল রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহযাত্রীরূপে গাধার পিঠে তাঁর পেছনে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, হে মু'আয! তুমি কি জান বান্দার উপর আল্লাহর হক কী এবং আল্লাহর উপর বান্দার হক কী? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ভালো জানেন। তিনি বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক হল তারা তাঁর ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কোনওকিছুকে শরীক করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার হক হল তিনি এমন কাউকে শাস্তি দেবেন না, যে তাঁর সঙ্গে কোনওকিছুকে শরীক করে না। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি মানুষকে এ সুসংবাদ জানিয়ে দেব না? তিনি বললেন, তাদেরকে এ সুসংবাদ দিও না, তাহলে তারা এর উপর নির্ভর করে বসে থাকবে - বুখারী ও মুসলিম ।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
426 - وعن معاذ بن جبل - رضي الله عنه - قَالَ: كُنْتُ رِدْفَ النَّبيِّ - صلى الله عليه وسلم - عَلَى حِمَارٍ، فَقَالَ: «يَا مُعَاذُ، هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ الله عَلَى عِبَادِهِ؟ وَمَا حَقُّ العِبَادِ عَلَى الله؟» قُلْتُ: اللهُ وَرَسُولُهُ أعْلَمُ. قَالَ: «فإنَّ حَقَّ اللهِ عَلَى العِبَادِ أَنْ يَعْبُدُوهُ، وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيئًا، وَحَقَّ العِبَادِ عَلَى اللهِ أَنْ لاَ يُعَذِّبَ مَنْ لا يُشْرِكُ بِهِ شَيئًا» فقلتُ: يَا رَسُول الله، أفَلا أُبَشِّرُ النَّاسَ؟ قَالَ: «لاَ تُبَشِّرْهُمْ فَيَتَّكِلُوا». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ. (1)
হাদীস নং: ৪২৭
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়ঃ ৫১ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
কবরে মুনকার-নাকীরের প্রশ্ন ও মুসলিম ব্যক্তির উত্তর
হাদীছ নং : ৪২৭

অর্থ : হযরত বারা' ইবনে আযিব রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মুসলিম ব্যক্তিকে কবরে যখন জিজ্ঞেস করা হবে, সে সাক্ষ্য দেবে আল্লাহ ছাড়া কোনও মা'বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। এটাই আল্লাহ তা'আলার এ বাণীর মর্ম যে- {يثبت الله الذين آمنوا بالقول الثابت في الحياة الدنيا وفي الآخرة} [إبراهيم: 27]
যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদেরকে এ সুদৃঢ় কথার উপর স্থিতি দান করেন দুনিয়ার জীবনেও এবং আখিরাতেও (সূরা ইবরাহীম : ২৭) - বুখারী ও মুসলিম |
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
427 - وعن البراءِ بن عازب رضي الله عنهما، عن النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «المُسْلِمُ إِذَا سُئِلَ في القَبْرِ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إلَهَ إلاَّ الله، وَأنّ مُحَمّدًا رَسُول الله، فذلك قوله تَعَالَى: {يُثَبِّتُ اللهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَة} [إبراهيم: 27]». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ. (1)
হাদীস নং: ৪২৮
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়ঃ ৫১ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
কাফের ও মুমিনের সৎকর্মের প্রতিদান যেভাবে দেওয়া হয়।
হাদীছ নং : ৪২৮

হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কাফের ব্যক্তি কোনও সৎকর্ম করলে তাকে তার বিনিময়ে দুনিয়ার কোনও খাদ্য ভোগ করিয়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে মুমিন ব্যক্তির কথা হল এই যে, আল্লাহ তা'আলা তার সৎকর্মসমূহ তার কল্যাণার্থে আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে রাখেন এবং তার আনুগত্যের কারণে দুনিয়ায়ও তাকে রিযিক দান করেন।
অপর এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহ তাআলা মুমিন ব্যক্তির কোনও সৎকর্ম নিষ্ফল করেন না। তাকে দুনিয়ায়ও তার বিনিময়ে কিছু দেওয়া হয় এবং আখিরাতে তার পূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হয়। পক্ষান্তরে কাফের ব্যক্তির অবস্থা হল, সে আল্লাহর জন্য কোনও সৎকর্ম করে থাকলে দুনিয়াতেই তার বিনিময় ভোগ করিয়ে দেওয়া হয়। পরিশেষে যখন আখিরাতে পৌঁছাবে, তখন তার এমন কোনও সৎকর্ম থাকবে না, যার বিনিময়ে কোনও প্রতিদান দেওয়া যাবে - মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
428 - وعن أنس - رضي الله عنه - عن رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إنّ الكَافِرَ إِذَا عَمِلَ حَسَنَةً، أُطعِمَ بِهَا طُعْمَةً مِنَ الدُّنْيَا، وَأَمَّا المُؤْمِنُ فَإنَّ الله تَعَالَى يَدَّخِرُ لَهُ حَسَنَاتِهِ في الآخِرَةِ، وَيُعْقِبُهُ رِزْقًا في الدُّنْيَا عَلَى طَاعَتِهِ».
وفي رواية: «إنَّ الله لاَ يَظْلِمُ مُؤْمِنًا حَسنَةً يُعْطَى بِهَا في الدُّنْيَا، وَيُجْزَى بِهَا في الآخِرَةِ. وَأَمَّا الكَافِرُ فَيُطْعَمُ بِحَسَنَاتِ مَا عَمِلَ للهِ تَعَالَى في الدُّنْيَا، حَتَّى إِذَا أفْضَى إِلَى الآخرَةِ، لَمْ يَكُنْ لَهُ حَسَنَةٌ يُجْزَى بِهَا». رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৪২৯
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়ঃ ৫১ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
পাঁচ ওয়াক্ত নামায প্রবাহিত নদীর মতো
হাদীছ নং : ৪২৯

হযরত জাবির রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের দৃষ্টান্ত হল তোমাদের কারও বাড়ির সম্মুখে প্রবাহিত একটি গভীর নহর, যাতে সে রোজ পাঁচবার গোসল করে - মুসলিম
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
429 - وعن جابر - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم: «مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الخَمْسِ كَمَثَلِ نَهْرٍ جَارٍ غَمْرٍ عَلَى بَابِ أحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْم خَمْسَ مَرَّات». رواه مسلم. (1)
«الغَمْرُ»: الكَثِيرُ.
হাদীস নং: ৪৩০
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়ঃ ৫১ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
চল্লিশজন ঈমানদার ব্যক্তি কোনও মুসলিম মায়্যিতের জানাযা পড়লে
হাদীছ নং : ৪৩০

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনও মুসলিম ব্যক্তি যদি মারা যায় এবং তার জানাযায় এমন চল্লিশ ব্যক্তি অংশগ্রহণ করে, যারা আল্লাহর সঙ্গে কোনওকিছুকে শরীক করে না, তবে আল্লাহ তার পক্ষে তাদের সুপারিশ অবশ্যই গ্রহণ করেন – মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
430 - وعن ابن عباس رضي الله عنهما، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - يقول: «مَا مِنْ رَجُلٍ مُسْلِمٍ يَمُوتُ، فَيقُومُ عَلَى جَنَازَتهِ أرْبَعونَ رَجُلًا لاَ يُشْرِكُونَ بِاللهِ شَيئًا، إلاَّ شَفَّعَهُمُ اللهُ فِيهِ». رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৪৩১
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়ঃ ৫১ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
জান্নাতে অন্যসব উম্মতের তুলনায় এ উম্মতের পরিমাণ
হাদীছ নং : ৪৩১

হযরত ইবন মাস'উদ রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা প্রায় চল্লিশজন লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে একটি তাঁবুর মধ্যে ছিলাম। তিনি বললেন, তোমরা কি এতে খুশি হবে যে, তোমরা জান্নাতবাসীদের এক-চতুর্থাংশ হবে? আমরা বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, তোমরা কি এতে খুশি হবে যে, তোমরা হবে জান্নাতবাসীদের এক-তৃতীয়াংশ? আমরা বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, সেই সত্তার কসম! আমি আশা করি তোমরা হবে জান্নাতবাসীদের অর্ধেক সংখ্যক। এর কারণ জান্নাতে প্রবেশ করবে কেবলই মুসলিম ব্যক্তি। আর অংশীবাদীদের (মুশরিকদের) মধ্যে তোমরা হলে কালো গরুর চামড়ায় সাদা পশমতুল্য অথবা (বললেন,) লাল গরুর চামড়ায় কালো পশমতুল্য - বুখারী ও মুসলিম ।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
431 - وعن ابن مسعود - رضي الله عنه - قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - في قُبَّة (1) نَحْوًا مِنْ أربَعِينَ، فَقَالَ: «أَتَرْضَونَ أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الجَنَّةِ؟» قُلْنَا: نَعَمْ. قَالَ: «أتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أهلِ الجَنَّةِ؟» قُلْنَا: نَعَمْ، قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمّدٍ بيَدِهِ، إنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أهْلِ الجَنَّةِ وذلك أنَّ الجنَّةَ لاَ يَدْخُلُهَا إلاَّ نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ، ومَا أنْتُم في أهْلِ الشِّركِ إلاَّ كَالشَّعْرَةِ البَيْضَاءِ في جلدِ الثَّورِ الأَسْوَدِ، أَوْ كَالشَّعْرَةِ السَّودَاءِ في جلدِ الثَّورِ الأحْمَر». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ. (2)
হাদীস নং: ৪৩২
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়ঃ ৫১ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
কিয়ামতের দিন মুমিনদের মুক্তিপণ
হাদীছ নং : ৪৩২

অর্থ : হযরত আবু মূসা আশ'আরী রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসলিমকে একজন ইহুদী বা একজন খৃষ্টান দিয়ে বলবেন, এ হল জাহান্নাম থেকে তোমার মুক্তিপণ।
অপর এক বর্ণনায় আছে, কিয়ামতের দিন মুসলিমদের মধ্যকার কিছু লোক পাহাড় সমান গুনাহ নিয়ে উপস্থিত হবে। আল্লাহ তা'আলা তাদের সে গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।
মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
432 - وعن أَبي موسى الأشعري - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا كَانَ يَوْمُ القِيَامَةِ دَفَعَ اللهُ إِلَى كُلِّ مُسْلِم يَهُوديًا أَوْ نَصْرانِيًا، فَيَقُولُ: هَذَا فِكَاكُكَ مِنَ النَّارِ».
وفي رواية عَنْهُ، عن النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «يَجِيءُ يَوْمَ القِيَامَةِ نَاسٌ مِنَ المُسْلِمينَ بِذُنُوبٍ أَمْثَال الجِبَالِ يَغْفِرُهَا الله لَهُمْ». رواه مسلم (1).
قوله: «دَفَعَ إِلَى كُلِّ مُسْلِم يَهُوديًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا، فَيَقُولُ: هَذَا فِكَاكُكَ مِن النَّارِ» مَعنَاهُ مَا جَاءَ في حديث أَبي هريرة - رضي الله عنه: «لِكُلِّ أَحَدٍ مَنْزلٌ في الجَنَّةِ، وَمَنْزِلٌ في النَّارِ، فَالمُؤْمِنُ إِذَا دَخَلَ الجَنَّةَ خَلَفَهُ الكَافِرُ في النَّارِ؛ لأنَّهُ مُسْتَحِقٌّ لِذَلِكَ بِكفْرِهِ» ومعنى «فِكَاكُكَ»: أنَّكَ كُنْتَ معْرَّضًا لِدُخُولِ النَّارِ، وَهَذَا فِكَاكُكَ؛ لأنَّ الله تَعَالَى، قَدَّرَ للنَّارِ عَدَدًا يَمْلَؤُهَا، فَإذَا دَخَلَهَا الكُفَّارُ بِذُنُوبِهِمْ وَكُفْرِهِمْ، صَارُوا في مَعنَى الفِكَاك للمُسْلِمِينَ، والله أعلم.
হাদীস নং: ৪৩৩
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
গোপনে হয়ে যাওয়া পাপের ক্ষেত্রে আখিরাতে আল্লাহ তা'আলার আচরণ
হাদীছ নং : ৪৩৩

অর্থ : হযরত ইবনে উমর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তিকে তার রব্বের কাছে নিয়ে আসা হবে। এমনকি তাকে নিজ পর্দা দিয়ে আড়াল করে দেবেন। তারপর তাকে দিয়ে তার গুনাহসমূহের স্বীকারোক্তি করাবেন। তিনি বলবেন, তুমি কি এই গুনাহ চিনতে পারছ? এই গুনাহ চিনতে পারছ? সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক। আমি চিনতে পারছি। তিনি বলবেন, আমি দুনিয়ায় তোমার এগুলো ঢেকে রেখেছিলাম। আজ আমি তোমার এ সবকিছু ক্ষমা করে দিচ্ছি। তারপর তাকে তার সৎকর্মসমূহের আমলনামা দিয়ে দেওয়া হবে– বুখারী ও মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
433 - وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قَالَ: سَمِعْتُ رسولَ الله - صلى الله عليه وسلم - يقول: «يُدْنَى المُؤْمِنُ يَوْمَ القِيَامَة مِنْ رَبِّهِ حَتَّى يَضَعَ كَنَفَهُ عَلَيهِ، فَيُقَرِّرُهُ بذُنُوبِهِ، فيقولُ: أتعرِفُ ذَنْبَ كَذَا؟ أَتَعرفُ ذَنْبَ كَذَا؟ فيقول: رَبِّ أَعْرِفُ، قَالَ: فَإِنِّي قَدْ سَتَرْتُهَا عَلَيْكَ في الدُّنْيا، وَأَنَا أَغْفِرُهَا لَكَ اليَومَ، فَيُعْطَى صَحيفَةَ حَسَنَاتِهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ. (1)
«كَنَفَهُ»: سَتْرُهُ وَرَحْمَتُهُ.
হাদীস নং: ৪৩৪
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
সৎকর্ম দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া
হাদীছ নং : ৪৩৪

হযরত ইবনে মাস'ঊদ রাযি. থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি এক মহিলাকে চুমু দিয়ে বসে। তারপর সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে এ সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তা'আলা নাযিল করেন-
{وأقم الصلاة طرفي النهار وزلفا من الليل إن الحسنات يذهبن السيئات} [هود: 114]
এবং (হে নবী!) দিনের উভয় প্রান্তে এবং রাতের কিছু অংশে নামায কায়েম কর। নিশ্চয়ই পুণ্যরাজি পাপরাশিকে মিটিয়ে দেয়- হুদ। লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটা কি শুধু আমার জন্য? তিনি বললেন, আমার উম্মতের সকলের জন্য - বুখারী ও মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
434 - وعن ابن مسعود - رضي الله عنه: أنَّ رَجُلًا أصَابَ مِن امْرَأة قُبْلَةً، فَأتَى النَّبيَّ - صلى الله عليه وسلم - فَأخْبَرَهُ، فَأنْزَلَ الله تَعَالَى: {وَأَقِمِ الصَّلاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَات} [هود: 114] فَقَالَ الرجل: أَليَ هَذَا يَا رَسُول الله؟ قَالَ: «لجميعِ أُمَّتِي كُلِّهِمْ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ. (1)
হাদীস নং: ৪৩৫
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি হদের উপযুক্ত অপরাধ করেছি। সুতরাং আমার উপর হদ্দ কার্যকর করুন। এদিকে নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেল। সেই ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে নামায পড়ল। নামায আদায় করার পর সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি হদের উপযুক্ত অপরাধ করে ফেলেছি। আপনি আমার উপর আল্লাহর বিধান কার্যকর করুন। তিনি বললেন, তুমি কি আমাদের সঙ্গে নামাজে উপস্থিত ছিলে? সে বলল, হাঁ। তিনি বললেন, তোমাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে - বুখারী ও মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
435 - وعن أنس - رضي الله عنه - قَالَ: جاء رجل إِلَى النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ: يَا رَسُول الله، أَصَبْتُ حَدًّا، فَأَقِمْهُ عَلَيَّ، وَحَضَرَتِ الصَّلاةُ، فَصَلَّى مَعَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - فَلَمَّا قَضَى الصَّلاةَ، قَالَ: يَا رَسُول الله، إنِّي أصَبْتُ حَدًّا فَأقِمْ فيَّ كِتَابَ الله. قَالَ: «هَلْ حَضَرْتَ مَعَنَا الصَّلاةَ»؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: «قَدْ غُفِرَ لَكَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ. (1)
وقوله: «أصَبْتُ حَدًّا» مَعنَاهُ: مَعْصِيَةً تُوجِبُ التَّعْزيرَ، وَلَيْسَ المُرَادُ الحدّ الشَّرعيَّ الحَقِيقيَّ كَحَدِّ الزِّنَا وَالخمر وَغَيرِهِمَا، فإنَّ هذِهِ الحُدودَ لا تَسْقُطُ بالصَّلاةِ، وَلاَ يَجُوزُ للإمَامِ تَرْكُهَا.
হাদীস নং: ৪৩৬
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
পানাহারের শোকর আদায় করার ফযীলত
হাদীছ নং : ৪৩৬

হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ওই বান্দার উপর খুশি হন, যে একবারের খাবার খায়, তারপর সেজন্য আল্লাহর প্রশংসা করে (আলহামদুলিল্লাহ বলে)। অথবা
একবার পানি পান করে, তারপর সেজন্য আল্লাহর প্রশংসা করে - মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
436 - وعنه، قَالَ: قَالَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم: «إنَّ اللهَ لَيرْضَى عَنِ العَبْدِ أَنْ يَأْكُلَ الأَكْلَةَ، فَيَحْمَدُهُ عَلَيْهَا، أَوْ يَشْرَبَ الشَّرْبَةَ، فَيَحْمَدُهُ عَلَيْهَا». رواه مسلم. (1)
«الأَكْلَة»: بفتح الهمزة وهي المرةُ الواحدةُ مِنَ الأكلِ كَالغَدوَةِ وَالعَشْوَةِ، والله أعلم.
হাদীস নং: ৪৩৭
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
আল্লাহ তাআলার অপরিসীম ক্ষমাশীলতা
হাদীছ নং : ৪৩৭

হযরত আবু মূসা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা দিনের গুনাহগারদের তাওবা কবুল করার জন্য রাতের বেলা তাঁর হাত প্রসারিত করেন এবং রাতের গুনাহগারদের তাওবা কবুল করার জন্য দিনের বেলা তাঁর হাত প্রসারিত করেন, যতক্ষণ না পশ্চিমাকাশে সূর্য উদিত হবে (এরূপ চলতে থাকবে) - মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
437 - وعن أَبي موسى - رضي الله عنه - عن النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إنَّ اللهَ تَعَالَى يَبْسُطُ يَدَهُ بِاللَّيلِ ليَتُوبَ مُسِيءُ النَّهَارِ، وَيَبْسُطُ يَدَهُ بالنَّهَارِ لِيَتُوبَ مُسِيءُ اللَّيلِ، حَتَّى تَطلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا». رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৪৩৮
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
ওযু ও নামায দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া
হাদীস নং:৪৩৮

হযরত আবু নাজীহ আমর ইবন আবাসা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহিলী যুগে আমি মনে করতাম মানুষ পথভ্রষ্টতায় আছে এবং তারা ভালো কিছুর উপর নেই। তারা মূর্তিপূজা করে। এ অবস্থায় আমি মক্কার এক ব্যক্তি সম্পর্কে শুনলাম, তিনি বিভিন্ন বিষয়ের সংবাদ দিয়ে থাকেন। (আমার কৌতূহল জাগল)। আমি আমার বাহনে বসে পড়লাম এবং তার কাছে এসে পৌঁছলাম। এসে দেখি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আত্মগোপন করে থাকেন। তাঁর সম্প্রদায় তাঁর উপর দৌরাত্ম্য দেখাচ্ছে। আমি কৌশলে মক্কায় তাঁর কাছে পৌঁছলাম। তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কী? তিনি বললেন, আমি নবী। জিজ্ঞেস করলাম, নবী কী? তিনি বললেন, আল্লাহ আমাকে পাঠিয়েছেন। জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কোন জিনিস দিয়ে আপনাকে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন, আমাকে পাঠিয়েছেন আত্মীয়তা রক্ষা, মূর্তি নিধন এবং আল্লাহকে এক বলে স্বীকার করা ও তাঁর সঙ্গে কোনওকিছুকে শরীক না করার নির্দেশ নিয়ে। জিজ্ঞেস করলাম, এর উপর আপনার সঙ্গে আর কে আছে? তিনি বললেন, একজন স্বাধীন ব্যক্তি ও একজন গোলাম। তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাঃ ও বিলাল রাঃ। জিজ্ঞেস করলাম, আমি আপনার অনুসারী হতে চাই। তিনি বললেন, তুমি এই সময়ে আমার অনুসরণ করতে সক্ষম হবে না। আমার ও মানুষের অবস্থা দেখছ না? বরং তুমি তোমার পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে যাও। যখন শুনতে পাবে আমি বিজয়ী হয়েছি, তখন আমার কাছে এসো।
সুতরাং আমি বাড়ি ফিরে গেলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আসলেন। আমি আমার পরিবারের মধ্যেই ছিলাম। তিনি যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন আমি খোঁজখবর নিতে থাকলাম এবং (মানুষের কাছে তার সম্পর্কে) জিজ্ঞেস করতাম। পরিশেষে মদীনার একটি দল আগমন করল। তখন তাদের জিজ্ঞেস করলাম, মদীনায় যে ব্যক্তি আগমন করেছেন তার খবর কী? তারা বলল, মানুষ খুব দ্রুত তাঁর কাছে আসছে। তাঁর সম্প্রদায় তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা তাতে সমর্থ হয়নি।
তারপর আমি মদীনায় আসলাম। এসে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম। জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে চিনতে পারছেন? তিনি বললেন, হাঁ, তুমি তো সেই, যে মক্কায় আমার সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ আপনাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন অথচ আমি তা জানি না, সে বিষয়ে আমাকে অবহিত করুন। তিনি আমাকে নামায সম্পর্কে অবহিত করলেন। বললেন, ফজরের নামায পড়বে। তারপর যতক্ষণ না সূর্য উদিত হয় এবং এক বর্শা পরিমাণ উঁচুতে ওঠে, ততক্ষণ নামায থেকে বিরত থাকবে। কেননা সূর্য উদিত হয় শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝখানে এবং তখন কাফেরগণ তাকে সিজদা করে। তারপর নামায পড়বে, কেননা নামায (ফিরিশতাদের) সাক্ষ্যের বিষয়, (তাতে তাদের) উপস্থিতি ঘটে। (নামায পড়বে,) যতক্ষণ না বর্শার ছায়া সর্বনিম্ন পর্যায়ে কমে যায়। তারপর নামায থেকে বিরত থাকবে, কেননা তখন জাহান্নাম উত্তপ্ত করা হয়। তারপর যখন ছায়া পূর্বদিকে আসবে, তখন নামায পড়বে। কেননা নামায (ফিরিশতাদের) সাক্ষ্যের বিষয়, (তাতে তাদের) উপস্থিতি ঘটে। অবশেষে আসরের নামায পড়বে। তারপর নামায থেকে বিরত থাকবে যতক্ষণ না সূর্য অস্ত যায়। কেননা তা অস্ত যায় শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝখানে। তখন কাফেরগণ সূর্যকে সিজদা করে।
আমর ইবন আবাসা রাযি. বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ওযু সম্পর্কে আমাকে কিছু বলুন। তিনি বললেন, তোমাদের যে-কেউ ওযুর পানি কাছে নেয়, কুলি করে ও নাকে পানি দেয় এবং নাকে পানি টেনে নিয়ে ঝেড়ে ফেলে, তার চেহারা, মুখ ও নাকের বাঁশি দিয়ে গুনাহসমূহ ঝরে যায়। তারপর যখন সে তার চেহারা ধৌত করে, যেমনটা আল্লাহ তা'আলা তাকে আদেশ করেছেন, তখন দাড়ির সকল কিনারা থেকে তার চেহারার গুনাহসমূহ পানির সঙ্গে ঝরে যায়। তারপর সে যখন কনুই পর্যন্ত দুই হাত ধোয়, তখন আঙ্গুলসমূহ থেকে দুহাতের গুনাহসমূহ পানির সঙ্গে ঝরে যায়। তারপর যখন তার মাথা মাসাহ্ করে, তখন চুলের আগা থেকে পানির সঙ্গে মাথার গুনাহসমূহ ঝরে যায়। তারপর যখন টাখনু পর্যন্ত পা ধোয়, তখন পায়ের আঙ্গুলসমূহ থেকে পানির সঙ্গে পায়ের গুনাহসমূহ ঝরে যায়। তারপর সে যদি দাঁড়িয়ে নামাযে রত হয় এবং আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা করে, তাঁর গুণাবলী বর্ণনা করে এবং তাঁর যথোপযুক্ত মহিমা ঘোষণা করে আর একমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য তার অন্তর খালি করে দেয়, তবে তার মা যেদিন তাকে ভূমিষ্ঠ করেছে, সেদিনের মত গুনাহমুক্ত হয়ে ফেরে।
তারপর হযরত 'আমর ইবন আবাসা রাযি. এ হাদীছটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী হযরত আবু উমামা রাযি.-এর কাছে বর্ণনা করলে আবূ উমামা রাযি. বললেন, হে আমর ইবনে আবাসা! তুমি কী বলছ চিন্তা করে দেখ। একই স্থানে ওই ব্যক্তিকে এতকিছু দেওয়া হবে? 'আমর রাযি. বললেন, হে আবূ উমামা! আমার বয়স বুড়িয়ে গেছে। আমার হাড় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে এবং আমার মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে। আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর মিথ্যা আরোপ করার কোনও প্রয়োজন আমার নেই। আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ হাদীছটি মাত্র একবার বা দু'বার কিংবা তিনবার শুনতাম, এভাবে তিনি সাত পর্যন্ত গুনে বললেন, তবে আমি এটি কখনও বর্ণনা করতাম না। বস্তুত আমি এটি তাঁর কাছ থেকে এরচে'ও বেশিবার শুনেছি - মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
438 - وعن أَبي نجيح عمرو بن عَبَسَة - بفتح العين والباءِ - السُّلَمِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: كُنْتُ وَأَنَا في الجاهِلِيَّةِ أَظُنُّ أَنَّ النَّاسَ عَلَى ضَلاَلَةٍ، وَأَنَّهُمْ لَيْسُوا عَلَى شَيْءٍ، وَهُمْ يَعْبُدُونَ الأَوْثَانَ، فَسَمِعْتُ بِرَجُلٍ بِمَكَّةَ يُخْبِرُ أَخْبَارًا، فَقَعَدْتُ عَلَى رَاحِلَتِي، فَقَدِمْتُ عَلَيهِ، فإِذَا رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم - مُسْتَخْفِيًا، جُرَآءُ عَلَيهِ قَومُهُ، فَتَلَطَّفْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَيهِ
بِمَكَّةَ، فَقُلْتُ لَهُ: مَا أَنْتَ؟ قَالَ: «أَنَا نَبيٌّ» قُلْتُ: وَمَا نَبِيٌّ؟ قَالَ: «أَرْسَلَنِي اللهُ» قُلْتُ: وَبِأَيِّ شَيْء أَرْسَلَكَ؟ قَالَ: «أَرْسَلَنِي بِصِلَةِ الأَرْحَامِ، وَكَسْرِ الأَوْثَانِ، وَأَنْ يُوَحَّدَ اللهُ لاَ يُشْرَكُ بِهِ شَيْءٌ»، قُلْتُ: فَمَنْ مَعَكَ عَلَى هَذَا؟ قَالَ: «حُرٌّ وَعَبْدٌ»، ومعه يَوْمَئذٍ أَبُو بكرٍ وبلالٌ - رضي الله عنهما، قُلْتُ: إِنّي مُتَّبِعُكَ، قَالَ: «إنَّكَ لَنْ تَسْتَطيعَ ذلِكَ يَومَكَ هَذَا، أَلاَ تَرَى حَالي وحالَ النَّاسِ؟ وَلَكِنِ ارْجعْ إِلَى أَهْلِكَ، فَإِذَا سَمِعْتَ بِي قَدْ ظَهرْتُ فَأْتِنِي». قَالَ: فَذَهَبْتُ إِلَى أَهْلِي، وقَدِمَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - المَدِينَةَ حَتَّى قَدِمَ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِي المَدِينَةَ، فقُلتُ: مَا فَعَلَ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي قَدِمَ المَدِينَةَ؟ فقالوا: النَّاسُ إِلَيهِ سِرَاعٌ، وَقَدْ أَرادَ قَومُهُ قَتْلَهُ، فَلَمْ يَسْتَطِيعُوا ذلِكَ، فقَدِمْتُ المدينَةَ، فَدَخَلْتُ عَلَيهِ، فقُلتُ: يَا رَسُول الله أَتَعْرِفُني؟ قَالَ: «نَعَمْ، أَنْتَ الَّذِي لَقَيْتَنِي بمكَّةَ» قَالَ: فقلتُ: يَا رَسُول الله، أَخْبِرنِي عَمَّا عَلَّمَكَ اللهُ وأَجْهَلُهُ، أَخْبِرْنِي عَنِ الصَّلاَةِ؟ قَالَ: «صَلِّ صَلاَةَ الصُّبْحِ، ثُمَّ اقْصُرْ عَنِ الصَّلاَةِ حَتَّى تَرْتَفِعَ الشَّمْسُ قِيدَ رُمْحٍ، فَإنَّهَا تَطْلُعُ حِينَ تَطلُعُ بَيْنَ قَرْنَيْ شَيطَان، وَحينَئذٍ يَسجُدُ لَهَا الكُفَّارُ، ثُمَّ صَلِّ فَإِنَّ الصَلاَةَ مَشْهُودَةٌ (1) مَحْضُورةٌ حَتَّى يَسْتَقِلَّ الظِّلُّ بالرُّمْحِ، ثُمَّ اقْصُرْ عَنِ الصَّلاةِ، فَإنَّهُ حينئذ تُسْجَرُ (2) جَهَنَّمُ، فإذَا أَقْبَلَ الفَيْءُ فَصَلِّ، فَإِنَّ الصَّلاةَ مَشْهُودَةٌ مَحضُورَةٌ حَتَّى تُصَلِّي العصرَ، ثُمَّ اقْصرْ عَنِ الصَّلاةِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ، فإِنَّهَا تَغْرُبُ بينَ قَرْنَيْ شَيطانٍ، وَحِينَئذٍ يَسْجُدُ لَهَا الكُفّارُ» قَالَ: فقلتُ: يَا نَبيَّ الله، فالوضوءُ حدثني عَنْهُ؟ فَقَالَ: «مَا مِنْكُمْ رَجُلٌ يُقَرِّبُ وَضُوءهُ، فَيَتَمَضْمَضُ وَيسْتَنْشِقُ فَيَسْتَنْثِرُ، إلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ مِنْ أَطْرَافِ لِحْيَتِهِ مَعَ المَاءِ، ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيهِ إِلَى المِرفَقَيْن، إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا يَدَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الماءِ، ثُمَّ يَمْسَحُ رَأْسَهُ، إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رَأْسِهِ مِنْ أَطْرَافِ شَعْرِهِ مَعَ الماءِ، ثُمَّ يغسل قدميه إِلَى الكَعْبَيْنِ، إلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رِجلَيْهِ مِنْ أَنَاملِهِ مَعَ الماءِ، فَإنْ هُوَ قَامَ فَصَلَّى، فَحَمِدَ اللهَ تَعَالَى، وأَثنى عَلَيهِ ومَجَّدَهُ بالَّذي هُوَ لَهُ أَهْلٌ، وَفَرَّغَ قلبه للهِ تَعَالَى، إلاَّ انْصَرفَ مِنْ خَطِيئَتِهِ كهيئته يَومَ وَلَدتهُ أُمُّهُ».
فحدث عَمرُو بن عَبسَة بهذا الحديث أَبَا أُمَامَة صاحِب رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ لَهُ أَبُو أُمَامَة: يَا عَمْرُو بنُ عَبسَة، انْظُر مَا تقولُ! في مقامٍ واحدٍ يُعْطَى هَذَا الرَّجُلُ؟ فَقَالَ عَمْرٌو: يَا أَبَا أُمَامَة، لقد كَبرَتْ سِنّي، وَرَقَّ عَظمِي، وَاقْتَرَبَ أَجَلِي، وَمَا بِي حَاجَةٌ أَنْ
أَكْذِبَ عَلَى اللهِ تَعَالَى، وَلاَ عَلَى رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - لَوْ لَمْ أَسمعه مِنْ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - إلاَّ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَينِ أَوْ ثَلاثًا - حَتَّى عَدَّ سَبْعَ مَرَّات - مَا حَدَّثْتُ أَبدًا بِهِ، وَلكنِّي سمعتُهُ أكثَر من ذلِكَ. رواه مسلم. (1)
قوله: «جُرَآءُ عَلَيهِ قَومُه» هُوَ بجيم مضمومة وبالمد عَلَى وزنِ عُلماءَ، أيْ: جَاسِرونَ مُستَطِيلُونَ غيرُ هائِبينَ، هذِهِ الرواية المشهورةُ، ورواه الحُمَيْدِيُّ (2) وغيرُهُ «حِرَاءٌ» بكسر الحاء المهملة، وَقالَ: معناه غِضَابٌ ذَوُو غَمّ وهَمّ، قَدْ عِيلَ صَبرُهُمْ بِهِ، حَتَّى أثَّرَ في أجسامهم، من قولِهِم: حَرَى جسمهُ يَحْرَى، إِذَا نَقَصَ مِنْ ألمٍ أَوْ غَمٍّ ونحوهِ، والصَّحيحُ أنَّهُ بالجيمِ.
قوله - صلى الله عليه وسلم: «بَيْنَ قَرنَيْ شيطان» أيْ ناحيتي رأسِهِ والمرادُ التَّمْثيلُ، وَمعْنَاهُ: أنه حينئذٍ يَتَحرَّكُ الشَّيطَانُ وَشيعَتُهُ، وَيتَسَلَّطُونَ.
وقوله: «يُقَرِّبُ وَضوءهُ» معناه يُحضِرُ الماءَ الَّذِي يَتَوضّأ بِهِ، وقوله: «إلاَّ خَرَّت خطايا» هُوَ بالخاءِ المعجمة: أيْ سقطت، ورواه بعضُهم «جَرَت» بالجيم، والصحيح بالخاءِ وَهُوَ رواية الجمهور. وقوله: «فينْتَثرُ» أيْ يَستخرجُ مَا في أنفهِ مِنْ أذىً والنَّثْرَةُ: طَرَفُ الأنْفِ.
হাদীস নং: ৪৩৯
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
আল্লাহ তাআলার কাছে আশাবাদী থাকার ফযীলত
হাদীছ নং : ৪৩৯

হযরত আবু মূসা আশআরী রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা যখন কোনও উম্মতের উপর রহমতের ইচ্ছা করেন, তখন সে উম্মতের নবীকে তাদের আগেই উঠিয়ে নেন এবং তাঁকে তাদের জন্য অগ্রবর্তী প্রতিনিধি ও তাদের অগ্রপ্রেরিত সঞ্চয় বানিয়ে দেন। পক্ষান্তরে তিনি যখন কোনও উম্মতের ধ্বংস চান, তখন তাদের নবীর জীবিত অবস্থায়ই তাদেরকে শাস্তি দেন এবং তাঁর জীবদ্দশায়ই তাদেরকে ধ্বংস করে দেন আর নবী তা দেখতে থাকেন এবং তাদের ধ্বংস দেখে নিজের চোখ জুড়ান, যেহেতু তারা তাঁকে অবিশ্বাস করেছিল এবং তাঁর অবাধ্যতা করেছিল – মুসলিম।
مقدمة الامام النووي
51 - باب الرجاء
439 - وعن أَبي موسى الأشعري - رضي الله عنه - عن النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِذَا أَرادَ اللهُ تَعَالَى رَحمةَ أُمَّةٍ، قَبَضَ نَبيَّهَا قَبْلَها، فَجعلهُ لَهَا فَرطًا وَسَلَفًا بَيْنَ يَديْهَا، وإذَا أَرادَ هَلَكَةَ أُمَّةٍ، عَذَّبَهَا وَنَبِيُّهَا حَيٌّ، فَأَهْلكَها وَهُوَ حيٌّ يَنظُرُ، فَأَقرّ عَينَهُ بهلاَكِها حِينَ كَذَّبُوهُ وَعَصَوا أَمْرَهُ». رواه مسلم (1).
হাদীস নং: ৪৪০
ভূমিকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকার ফযীলত

মানুষ এ নশ্বর জগতের তুচ্ছ তুচ্ছ বিষয়ের জন্যও আশাবাদী থাকে। আশা করে উচ্চশিক্ষার, ভালো চাকরির, ভালো বাড়ি, দামি গাড়ির, ক্ষমতা, সুনাম-সুখ্যাতির এবং আরও অনেক কিছুর। আবার মানুষ কোনওকিছু অর্জনের আশায় থাকলে সেজন্য চেষ্টা-মেহনতও করে। যে বস্তু তার কাছে যতো গুরুত্বপূর্ণ, তা অর্জনের জন্য ততো বেশি চেষ্টা করে। যে ব্যক্তি ব্যবসায় লাভবান হওয়ার আশা রাখে, সে দিনমান ব্যবসার পেছনে খাটে। যে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পেতে চায়, সে পড়াশোনার পেছনে দিনরাত একাকার করে দেয়। যে রাজনীতিক ক্ষমতার মসনদে পৌঁছাতে চায়, সে তার জন্য প্রাণপণ লড়াই করে। এ সবই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার অতি অল্পস্থায়ী ভোগ-উপভোগের বস্তু। এর জন্যও মানুষের এত চেষ্টা-সাধনা! আশাই মানুষকে দিয়ে সে চেষ্টা করিয়ে নেয়।
প্রকৃতপক্ষে মানুষের জন্য আল্লাহ তা'আলার কাছে রহমত ও মাগফিরাত পাওয়ার চেয়ে মূল্যবান কোনও সম্পদ নেই। এরচে' বড় কাম্যবস্তু আর কিছু হতে পারে না। তুচ্ছ, নশ্বর বস্তুর আকাঙ্ক্ষায় যখন মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকে, তখন যা সর্বাপেক্ষা বেশি জরুরি, সর্বাপেক্ষা বেশি দামি, সর্বাপেক্ষা বেশি উপকারী, সেইসঙ্গে স্থায়ী ও অবিনশ্বরও, তার জন্য তো সর্বাপেক্ষা বেশিই আশা লালন করা উচিত এবং সে লক্ষ্যে উচিত সর্বাপেক্ষা বেশি চেষ্টা-মেহনত করা। তা যাতে আমরা করি, সেজন্য কুরআন ও হাদীছে আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকার ফযীলত ও মাহাত্ম্য বিভিন্নভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ইমাম নববী রহ. এ অধ্যায়ে সেরকম একটি আয়াত ও কয়েকটি হাদীছ উল্লেখ করেছেন। আমরা তার বঙ্গানুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা পেশ করছি। আল্লাহ তা'আলাই তাওফীকদাতা।

আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকার ফযীলত সম্পর্কিত একটি আয়াত

{وأفوض أمري إلى الله إن الله بصير بالعباد * فوقاه الله سيئات ما مكروا} [غافر: 44، 45]
অর্থ : আমি আমার বিষয় আল্লাহর উপরই ন্যস্ত করছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ বান্দাদের সম্যক দ্রষ্টা। অতঃপর তারা যেসব নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্র করেছিল, আল্লাহ তাকে (সেই মুমিন ব্যক্তিকে) তা হতে রক্ষা করলেন।

ব্যাখ্যা
এ আয়াতদু'টি সূরা মু'মিনের। সূরাটির অপর নাম সূরা গাফির। মু'মিন অর্থ বিশ্বাসী। ফির'আউনের সম্প্রদায় অর্থাৎ মিশরের কিবতী জনগোষ্ঠীর এক ব্যক্তি হযরত মূসা আলাইহিস সালামের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। তিনি তার জাতিকেও মুসা আলাইহিস সালামের প্রতি ঈমান আনার দাওয়াত দিয়েছিলেন। তিনি তাদের দাওয়াত দিতে গিয়ে যে সারগর্ভ বক্তব্য পেশ করেছিলেন, কুরআন মাজীদের এ সূরায় তা উদ্ধৃত হয়েছে। তার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেই এ সূরাটির নাম রাখা হয়েছে 'সূরা মুমিন'। তার ভাষণের শেষকথা ছিল-
{ فَسَتَذْكُرُونَ مَا أَقُولُ لَكُمْ وَأُفَوِّضُ أَمْرِي إِلَى اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ} [غافر: 44]
আমি তোমাদেরকে যা বলছি তোমরা অচিরেই তা স্মরণ করবে। আমি আমার বিষয় আল্লাহর উপর ন্যস্ত করছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ বান্দাদের সম্যক দ্রষ্টা - সূরা মুমিন :
অর্থাৎ কিয়ামতে যখন তোমরা ইহজীবনের অন্যায়-অবিচারের শাস্তি দেখতে পাবে, যখন এ জীবনের পরিপূর্ণ কর্মফল তোমাদেরকে ভোগ করতে হবে, তখন তোমরা আমার এ উপদেশ-নসীহতের মূল্য বুঝতে পারবে। তখন তোমরা ঠিকই আমার কথা স্মরণ করবে যে, আল্লাহর এক বান্দা আমাদেরকে এ দিন সম্পর্কে সতর্ক করেছিল এবং আমাদেরকে নবী মূসা আলাইহিস সালামের প্রতি ঈমান আনার দাওয়াত দিয়েছিল। আমরা তাঁর দাওয়াতে সাড়া দিলে আজ আমাদেরকে এ মহা দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হতোনা। কিন্তু সেদিনকার বুঝে আসার কোনও ফায়দা থাকবে না। সেদিন হাজার অনুতাপ করলেও তোমরা শাস্তি হতে রক্ষা পাবে না। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আমার যা উপদেশ দেওয়ার ছিল তা দিয়ে ফেলেছি। এখন মানা না মানা তোমাদের ব্যাপার। এখন আমি নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ তাআলার উপর ন্যস্ত করছি। আমার সবকিছু তাঁরই হাতে ছেড়ে দিচ্ছি। আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি। আমার এ উপদেশের প্রতিক্রিয়ায় তোমরা যদি আমার কোনও ক্ষতি করতে চাও, আমি তার পরওয়া করিনা। আল্লাহ তা'আলাই আমার সাহায্যকারী। কে কী করছে না করছে সবই তিনি দেখছেন। সকলেই তাঁর দৃষ্টির সামনে। কারও কোনওকিছু তাঁর কাছে গোপন থাকে না। তিনি আমাকেও দেখছেন, তোমাদেরও দেখছেন। প্রত্যেককে তার কর্ম অনুসারে প্রতিফল দিয়ে থাকেন। তারপর কী হল, পরের আয়াতে তা বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-
{فَوَقَاهُ اللَّهُ سَيِّئَاتِ مَا مَكَرُوا وَحَاقَ بِآلِ فِرْعَوْنَ سُوءُ الْعَذَابِ } [غافر: 45]
"অতঃপর তারা যেসব নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্র করেছিল, আল্লাহ তাকে (সেই মুমিন ব্যক্তিকে) তা হতে রক্ষা করলেন আর ফিরআউনের সম্প্রদায়কে পরিবেষ্টন করল নিকৃষ্টতম শাস্তি।
ফিরআউন ও তার সম্প্রদায় হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সকল অনুসারীকে গ্রেপ্তার করে কঠিন শাস্তি দিতে চেয়েছিল। উল্লিখিত মুমিন ব্যক্তিও তাদের একজন। আল্লাহ তা'আলা তাদের সে চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেন। তিনি তাদের হাত থেকে মুমিন ব্যক্তিকেও রক্ষা করেন এবং হযরত মুসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর অপরাপর অনুসারীদেরও। তাদেরকে অলৌকিকভাবে লোহিত সাগর পার করিয়ে দেন। অপরদিকে ফিরআউনকে তার সৈন্যদলসহ সাগরে ডুবিয়ে নিপাত করেন।
মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলার কাছে আশাবাদী ছিলেন। তিনি আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখেছিলেন। নিজেকে তাঁর কাছে সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। তার নগদ সুফল এই পেলেন যে, শত্রুর হাত থেকে তিনি পরিপূর্ণরূপে রক্ষা পেয়ে গেলেন আর সেইসঙ্গে আখিরাতের যে স্থায়ী পুরস্কার সংরক্ষিত আছে তা তো পাবেনই। মুমিনদের জন্য এর মধ্যে শিক্ষা রয়েছে যে, তারা যদি আল্লাহর উপর ভরসা রেখে ন্যায়ের উপর অটল-অবিচল থাকে, তবে বিরুদ্ধবাদীগণ তাদের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ তা'আলাই তাদের সাহায্য করবেন। এটা আলাদা কথা যে, আল্লাহ তা'আলা তাকে কিভাবে সাহায্য করবেন এবং কখন সাহায্য করবেন তা তিনিই জানেন। তিনি নিজ হিকমত অনুযায়ী তা করে থাকেন। অনেক সময় আমরা তা বুঝতে পারি না। তা বুঝি বা না-ই বুঝি, আমাদের কাজ সত্য-ন্যায়ের উপর অবিচল থাকা, আল্লাহ তা'আলার উপর ভরসা রাখা, তাঁর কাছে আশাবাদী থাকা এবং তাঁর ফয়সালায় রাজি-খুশি থাকা।
আল্লাহ সম্পর্কে সুধারণা, আল্লাহর যিকির, তাওবা ও সৎকর্মের গুরুত্ব
হাদীছ নং: ৪৪০

হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ বলেন, আমি আমার বান্দার ধারণার সঙ্গে থাকি। সে আমাকে যেখানেই স্মরণ করে, সেখানেই আমি তার সঙ্গে থাকি। আল্লাহর কসম! তোমাদের কেউ তরুলতাহীন প্রান্তরে তার হারিয়ে যাওয়া পশুটি ফিরে পেয়ে যেমন খুশি হয়, আল্লাহ তাঁর বান্দার তাওবায় তারচে'ও বেশি খুশি হন। যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমাণ আমার নিকটবর্তী হবে, আমি একহাত পরিমাণ তার নিকটবর্তী হব। যে ব্যক্তি একহাত পরিমাণ আমার নিকটবর্তী হবে, আমি দুই হাতের বিস্তার পরিমাণ তার নিকটবর্তী হব। যে ব্যক্তি আমার দিকে আসবে হেঁটে হেঁটে, আমি তার দিকে দৌড়ে আসব - বুখারী ও মুসলিম
এ হাদীছটি সহীহ মুসলিমে একাধিক রেওয়ায়েতে এসেছে। এখানে তার একটি রেওয়ায়েতের শব্দমালা উদ্ধৃত হল। এর (অংশ বিশেষের) ব্যাখ্যা পেছনের অধ্যায়ে গত হয়েছে।
مقدمة الامام النووي
52 - باب فضل الرجاء
قَالَ الله تَعَالَى إخبارًا عن العبدِ الصالِحِ: {وَأُفَوِّضُ أَمْرِي إِلَى اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ * فَوَقَاهُ اللَّهُ سَيِّئَاتِ مَا مَكَرُوا} [غافر: 44، 45]
440 - وعن أَبي هريرة - رضي الله عنه - عن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - أَنَّهُ قَالَ: «قَالَ الله - عز وجل: أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي، وَأَنا معه حَيْثُ يَذْكُرنِي، وَاللهِ، للهُ أَفْرَحُ بِتَوبَةِ عَبْدِهِ مِنْ أحَدِكُمْ [ص:157] يَجِدُ ضَالَّتَهُ (1) بِالفَلاَةِ، وَمَنْ تَقَرَّبَ إلَيَّ شِبْرًا، تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا، وَمَنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ ذِرَاعًا، تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ بَاعًا، وَإِذَا أَقْبَلَ إِلَيَّ يَمْشِي أَقْبَلْتُ إِلَيْهِ أُهَرْوِلُ». متفقٌ عليه، (2) وهذا لفظ إحدى روايات مسلم. وتقدم شرحه في الباب قبله. (3)
ورُوِيَ في الصحيحين: «وأنا معه حين يذكرني» بالنون، وفي هذه الرواية
«حيث» بالثاء وكلاهما صحيح.