মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৮৪৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৪৪। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন কোন বান্দা মিথ্যা বলে, তখন উহার দুর্গন্ধে ফিরিশতা তাহার নিকট হইতে এক মাইল দূরে চলিয়া যায়। – তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৪৫

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৪৫। হযরত সুফিয়ান ইবনে আসাদ হাযরামী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, সবচাইতে বড় বিশ্বাসঘাতকতা হইল এই যে, তুমি তোমার কোন (মুসলমান) ভাইকে কোন কথা বল, সে উহাকে সত্য বলিয়া বিশ্বাস করিয়া নেয়, অথচ তুমি উহাতে মিথ্যাবাদী। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৪৬

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৪৬। হযরত আম্মার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি দুনিয়াতে দ্বিমুখী, কিয়ামতের দিন তাহার (মুখে) আগুনের জিহ্বা হইবে । —দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৪৭

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৪৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মু'মিন ব্যক্তি ভৎসনাকারী, অভিসম্পাতকারী, অশ্লীল গাল-মন্দকারী ও নির্লজ্জ হইতে পারে না। – তিরমিযী ও বায়হাকী। বায়হাকীর অপর এক বর্ণনায় আছে, অশ্লীল ও বেহায়াপনাপূর্ণ আচরণকারী হইতে পারে না। ইমাম তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৪৮

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৪৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন ঈমানদার ব্যক্তি অভিসম্পাতকারী হইতে পারে না। অপর এক বর্ণনায় আছে, কোন ঈমানদারের পক্ষে অভিসম্পাতকারী হওয়া সমীচীন নহে। – তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৪৯

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৪৯। হযরত সামুরা ইবনে জুন্দুব (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা পরস্পরে এইভাবে অভিসম্পাত করিবে না যে, তোমার উপর আল্লাহর লা'নত। আল্লাহর গযব পতিত হউক এবং তুমি দোযখে প্রবেশ কর, এইভাবে বদ-দো'আও করিবে না। অপর এক বর্ণনায় আছে, তোমাকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা হউক এই (বলিয়াও) বদ্-দো'আ করিবে না। – তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৫০

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৫০। হযরত আবুদদরদা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যখন বান্দা কোন জিনিসের উপর লা'নত করে তখন উক্ত লা'নৎ বাক্যটি আকাশের দিকে উঠিয়া যায়। কিন্তু উহার জন্য আকাশের দরজাসমূহ বন্ধ করিয়া দেওয়া হয়। অতঃপর উহা যমীনের দিকে অবতীর্ণ হয় এবং এখানের দরজাসমূহও বন্ধ করিয়া দেওয়া হয়। তারপর ডান দিকে ও বাম দিকে যায়। আর যখন সেখানেও কোন স্থান পায় না তখন উহার দিকে প্রত্যাবর্তন করে যাহার উপর লা'নত করা হইয়াছে, যদি সে লা'নতের উপযোগী হয়, অন্যথায় লানৎকারীর দিকেই ফিরিয়া আসে। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৫১

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৫১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা বাতাসে এক ব্যক্তির চাদর উড়াইয়া নিল, তখন সে উহাকে লা'নত করিল। ইহা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ বাতাসকে লানৎ করিও না। কেননা, উহা তো আদিষ্ট। বস্তুতঃ যে ব্যক্তি এমন কিছুকে লা'নত করিল যাহা লা'নতের উপযোগী নহে, তবে ঐ লা'নৎ তাহার প্রতি ফিরিয়া আসিবে। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৫২

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৫২। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমার সাহাবীদের মধ্যে কেহ কাহারও কোন মন্দ কথা আমাকে পৌঁছাইবে না। কেননা, আমি ইহাই ভালবাসি যে, আমি তোমাদের কাছে এমন অবস্থায় উপস্থিত হই যে, তখন আমার অন্তর পরিষ্কার ও স্বচ্ছ থাকিবে। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৫৩

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৫৩। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি নবী (ﷺ)কে বলিলাম, সাফিয়্যা সম্পর্কে আপনাকে এইটুকু বলাই যথেষ্ট যে, সে এইরূপ এইরূপ। তিনি ইহা দ্বারা বুঝাইতে চাহিয়াছিলেন যে, তিনি বেঁটে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ যদি তোমার এই কথাকে সমুদ্রের সহিত মিশাইয়া দেওয়া হয় তবে উহা সমুদ্রের রং পরিবর্তন করিয়া দিবে। — আহমদ, তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৫৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৫৪। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন জিনিসে নির্লজ্জতা উহাকে কলুষিত করে। আর কোন জিনিসে লাজুকতা তাহাকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে। – তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৫৫

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৫৫। হযরত খালেদ ইবনে মা'দান হযরত মুয়ায (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি তাহার (মুসলমান) ভাইকে কোন অপরাধের জন্য লজ্জা দেয়, সেই লজ্জাদাতা উক্ত অপরাধটি না করা পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করিবে না। অর্থাৎ, ঐ অপরাধের উপর তিরস্কার করে যাহা হইতে সে তওবা করিয়াছে, উক্ত অপরাধটি না করা পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করিবে না। —তিরমিযী। ইমাম তিরমিযী বলেন, এই হাদীসটি গরীব। ইহার সনদ মুত্তাসিল নহে। কেননা, খালেদ ইবনে মা'দান বর্ণনাকারী সাহাবী হযরত মুয়ায ইবনে জাবালের সাক্ষাৎলাভ করেন নাই ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৫৬

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৫৬। হযরত ওয়াসিলা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তুমি তোমার কোন (মুসলমান) ভাইকে (যাহার সাথে তোমার শত্রুতা আছে) বিপদগ্রস্ত দেখিয়া আনন্দ প্রকাশ করিও না। এমনও হইতে পারে, আল্লাহ্ তা'আলা তাহার প্রতি অনুগ্রহ করিবেন এবং তোমাকে সেই বিপদে ফেলিবেন। —তিরমিযী। এবং তিনি বলেন হাদীসটি হাসান ও গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৫৭

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৫৭। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলিয়া ছেনঃ আমি কাহারও বিদ্রূপ বা অনুরূপ আচরণ করা পছন্দ করি না, যদিও আমার জন্য এইরূপ এইরূপ হয়। —তিরমিযী। তিনি বলিয়াছেন হাদীসটি সহীহ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৫৮

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৫৮। হযরত জুন্দুব (রাঃ) বলেন, একদা এক বেদুঈন আসিয়া তাহার উট বসাইয়া উহাকে বাঁধিল। তারপর মসজিদে প্রবেশ করিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পিছনে নামায আদায় করিল। নামাযের সালাম ফিরানোর পর সওয়ারীর কাছে আসিয়া উহার বাঁধন খুলিল। অতঃপর উটের পৃষ্ঠে আরোহণ করিয়া সশব্দে বলিল, হে আল্লাহ্! আমার প্রতি এবং মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর প্রতি রহম কর, কিন্তু আমাদের প্রতি রহমতে কাহাকেও শামিল করিও না। ইহা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (সাহাবা দিগকে লক্ষ্য করিয়া) বলিলেনঃ তোমাদের কি ধারণা? এই বেদুঈন লোকটি বেশী মূর্খ না কি তাহার উটটি ? তোমরা কি শুন নাই সে কি বলিল ? সকলে উত্তর দিলেন, জি-হ্যাঁ, শুনিয়াছি । —আবু দাউদ। হযরত আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত كَفَى بِالْمَرْءِ كَذِبًا হাদীসটি— بَاب الِاعْتِصَام -এর প্রথম পরিচ্ছেদে বর্ণিত হইয়াছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৫৯। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন কোন ফাসেক ব্যক্তির প্রশংসা করা হয় তখন আল্লাহ্ তা'আলা রাগান্বিত হন এবং তজ্জন্য আল্লাহর আরশ কাঁপিয়া উঠে। —বায়হাকী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৬০

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৬০। হযরত আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মু'মিনের স্বভাবে খেয়ানত এবং মিথ্যাচারিতা ব্যতীত সকল ধরনের আচরণ থাকিতে পারে। —আহমদ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৬১

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৬১। আর বায়হাকী শোআবুল ঈমানে হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস হইতে বর্ণনা করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৬২

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৬২। হযরত সাফওয়ান ইবনে সুলাইম (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করা হইল, মু'মিন কি ভীরু হইতে পারে? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ! তাহাকে আরও জিজ্ঞাসা করা হইল, মু'মিন কি কৃপণ হইতে পারে? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ। আবার জিজ্ঞাসা করা হইল, মু'মিন কি মিথ্যাবাদী হইতে পারে ? তিনি বলিলেনঃ না। —মালেক। আর বায়হাকী শোআবুল ঈমানে মুরসালরূপে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৬৩

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৬৩। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, শয়তান মানুষের আকৃতি ধারণ করিয়া কোন সম্প্রদায়ের নিকট আসে এবং মিথ্যা কথা বলে। যখন সেই লোকজন ছত্রভঙ্গ হইয়া যায় তখন তাহাদের মধ্য হইতে কেহ বলে, আমি এই কথা এক ব্যক্তিকে বলিতে শুনিয়াছি, তাহার চেহারা চিনি। কিন্তু তাহার নাম জানি না। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান