মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৮৩০

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৩০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যাহারা নিজের কৃত অপকর্ম প্রকাশ্যে বলিয়া বেড়ায় তাহারা ব্যতীত আমার সমস্ত উম্মত ক্ষমার অন্তর্ভুক্ত। ইহা কতই না নির্লজ্জ ব্যাপার যে, কোন লোক রাত্রি বেলায় একটি (খারাপ) কাজ করিল, আর আল্লাহ্ তা'আলা উহাকে গোপন রাখিলেন, অথচ ভোর হইতেই সে লোক সমাজে বলিয়া বেড়ায় যে, হে অমুক! বিগত রাত্রে আমি এই এই কাজ করিয়াছি। বস্তুতঃ সে রাত্রটি এইভাবে যাপন করিয়াছিল যে, তাহার প্রভু তাহার দোষটি ঢাকিয়া রাখিয়াছিলেন। কিন্তু সে ভোরে আল্লাহর পর্দাটি উন্মুক্ত করিয়া দিল। —মোত্তাঃ। অত্র প্রসঙ্গে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস l যিয়াফত অধ্যায়ে বর্ণিত হইয়াছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৩১

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৩১। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি না-হক মিথ্যা পরিত্যাগ করে তাহার জন্য বেহেশতের এক প্রান্তে প্রাসাদ তৈয়ার করা হইবে এবং যে ব্যক্তি ন্যায়ের উপর থাকিয়া ঝগড়াঝাটি পরিহার করে, তাহার জন্য বেহেশতের মধ্যস্থলে প্রাসাদ তৈয়ার করা হইবে। আর যে ব্যক্তি নিজের চরিত্রকে উত্তমভাবে গড়িয়া তোলে তাহার জন্য বেহেশতের সর্বোচ্চ স্থানে প্রাসাদ নির্মাণ করা হইবে। —তিরমিযী। এবং তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি হাসান। অনুরূপ শরহে সুন্নাহ্ গ্রন্থেও রহিয়াছে। তবে মাছাবীহতে উহাকে গরীব বলা হইয়াছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৩২

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৩২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা কি জান! কোন্ জিনিস মানুষকে সবচাইতে বেশী বেহেশতে প্রবেশ করাইবে? তাহা হইল খোদাভীতি ও উত্তম চরিত্র। তোমরা কি জান, মানুষকে কোন্ জিনিস সবচাইতে বেশী দোযখে প্রবেশ করাইবে? তাহা হইল দুইটি ছিদ্রপথ। একটি মুখ এবং অপরটি লজ্জাস্থান। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৩৩

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৩৩। হযরত বেলাল ইবনে হারেস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন ব্যক্তি উত্তম কথা বলে, কিন্তু সে উহার মর্যাদা সম্পর্কে ওয়াকিফ নহে। তাহার জন্য আল্লাহ তা'আলা তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ লাভের দিবস পর্যন্ত নিজের সন্তুষ্টি লিপিবদ্ধ করিবেন। আবার কোন ব্যক্তি মন্দ কথা বলে, কিন্তু সে জানে না যে, উহা তাহাকে কোথায় নিয়া পৌঁছাইবে। তাহার জন্য আল্লাহ্ তা'আলা তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ দিবস পর্যন্ত নিজের অসন্তুষ্টি লিপিবদ্ধ করিবেন। — শরহে সুন্নাহ্। ইমাম মালেক, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৩৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৩৪। হযরত বাহয ইবনে হাকীম তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন, তিনি (অর্থাৎ, তাঁহার দাদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সেই ব্যক্তির জন্য ধ্বংস যে কথা বলে এবং জনতাকে হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে। তাহার জন্য ধ্বংস, তাহার জন্য ধ্বংস। – আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৩৫

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৩৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন, কোন বান্দা এমন একটি কথা উচ্চারণ করে, আর উহা শুধু লোকজনকে হাসাইবার উদ্দেশ্যেই বলে। ফলে এই কথার দরুন সে (দোযখের মধ্যে) এতখানি দূরে নিক্ষিপ্ত হইবে যতখানি দূরত্ব রহিয়াছে আসমান ও যমীনের মধ্যে। বস্তুতঃ বান্দার পায়ের পিছলানো অপেক্ষা তাহার মুখের পিছলানো অধিক হইয়া থাকে। —বায়হাকী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৩৬

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৩৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি নীরব রহিয়াছে সে মুক্তি পাইয়াছে। —আহমদ, তিরমিযী, দারেমী ও বায়হাকী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৩৭

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৩৭। হযরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সহিত সাক্ষাৎ করিলাম এবং বলিলাম, নাজাতের উপায় কি? তিনি বলিলেনঃ নিজের জিহ্বাকে আয়ত্তে রাখ, নিজের ঘরে পড়িয়া থাক এবং নিজের পাপের জন্য রোদন কর। —আহমদ ও তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৩৮

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৩৮। হযরত আবু সাঈদ [খুদরী (রাঃ)] রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উদ্ধৃতি দিয়া বলিয়াছেনঃ যখন আদম সন্তান ভোরে উঠে তখন তাহার অঙ্গসমূহ জিহ্বাকে বিনয়ের সাথে বলে, আমাদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় কর। কেননা, আমরা সবাই তোমার সাথে জড়িত। সুতরাং তুমি ঠিক থাকিলে আমরাও ঠিক থাকিব। আর তুমি বাঁকা হইলে আমরাও বাঁকা হইয়া পড়িব। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৩৯

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৩৯। হযরত আলী ইবনে হোছাইন (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মানুষের ইসলামের সৌন্দর্য হইল ঐসব কিছু পরিহার করা যাহা নিরর্থক। —মালেক, আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৪০

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৪০। ইবনে মাজাহ্ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৪১

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৪১। আর তিরমিযী ও ’বায়হাক্বী’র শু’আবুল ঈমানে ’আলী (রাঃ) ও আবু হুরায়রা (রাঃ) উভয় হতে বর্ণনা করেন। (মালিক ও আহমাদ)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৪২

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৪২। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, একদা সাহাবীদের মধ্য হইতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হইল, তখন জনৈক ব্যক্তি বলিলেন, তোমাকে বেহেশতের সুসংবাদ। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তুমি জান না, এমনও তো হইতে পারে যে, সে নিরর্থক কথাবার্তা বলিয়াছে অথবা সে এমন ব্যাপারে কার্পণ্য করিয়াছে যাহা না করিলেও তাহার কিছুই কমিয়া যাইত না। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৪৩

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৪৩। হযরত সুফিয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ্ সাকাফী (রাঃ) বলেন, একদা আমি আরয করিলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার জন্য যেই জিনিসগুলি ভয়ের কারণ বলিয়া আপনি মনে করেন তন্মধ্যে সর্বাধিক ভয়ংকর কোনটি ? বর্ণনাকারী বলেন, তখন তিনি নিজের জিহ্বা ধরিলেন এবং বলিলেনঃ 'ইহা।' –তিরমিযী। এবং তিনি ইহাকে সহীহ বলিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান