মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৮৭২

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৭২-[৬১] দেখুন পূর্বের হাদীস।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৭৩

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৭৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা দুই জন লোক যোহর অথবা আসরের নামায আদায় করিল এবং তাহারা উভয়েই ছিল রোযাদার। নবী (ﷺ) নামায সমাপন করিয়া বলিলেনঃ তোমরা উভয়েই যাও, পুনরায় অযূ কর ও নামায পড় এবং তোমাদের (আজিকার) রোযা পূর্ণ করিয়া অন্য কোন দিন উহা কাযা কর। তাহারা জিজ্ঞাসা করিল, কেন ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তিনি বলিলেনঃ তোমরা অমুক ব্যক্তির গীবত করিয়াছ। —বায়হাকী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৭৪
আন্তর্জতিক নংঃ ৪৮৭৫

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৭৪। হযরত আবু সাঈদ ও জাবের (রাঃ) — তাঁহারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ গীবত ব্যভিচার হইতেও জঘন্য। সাহাবীগণ আরয করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ । গীবত কিভাবে ব্যভিচার হইতে জঘন্য ? তিনি বলিলেনঃ কোন ব্যক্তি ব্যভিচার করে, অতঃপর তওবা করে, আল্লাহ্ তা'আলা তাহার তওবা কবুল করেন। অপর এক বর্ণনায় আছে, অতঃপর সে তওবা করে, ফলে আল্লাহ্ তাহাকে ক্ষমা করিয়া দেন। কিন্তু গীবতকারীকে আল্লাহ্ তা'আলা ক্ষমা করেন না, যে পর্যন্ত না যাহার গীবত করা হইয়াছে সে ক্ষমা করিয়া দেয়। হযরত আনাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় আছে, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যিনাকারী তওবা করে, কিন্তু গীবতকারীর তওবা নাই। —বায়হাকী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৭৫

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৭৫-[৬৪] দেখুন পূর্বের হাদীস।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৭৬

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৭৬। আনাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় আছে যে, তিনি (ﷺ) বলেছেনঃ যিনাকারী বা ব্যভিচারী তওবা্ করে; কিন্তু পরোক্ষ নিন্দাকারীর জন্য তওবা্ নেই। [উপরিউক্ত তিনটি হাদীস ইমাম বায়হাক্বী (রহিমাহুল্লাহ) ’’শু’আবুল ঈমানে’’ বর্ণনা করেছেন।]

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৭৭

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৭৭। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ গীবতের কাফ্ফারা হইল যাহার গীবত তুমি করিয়াছ তাহার জন্য তুমি মাগফিরাত কামনা করা। এইভাবে বলিবে হে আল্লাহ্! আমাদিগকে এবং তাহাকে ক্ষমা কর। —বায়হাকী, তিনি তাঁহার দাওয়াতুল কবীর গ্রন্থে বলিয়াছেন, হাদীসটির সনদ-সূত্র যঈফ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৮৫

পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ঠাট্টা ও কৌতুক প্রসঙ্গে
৪৮৮৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা সাহাবীগণ বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি আমাদের সাথে কৌতুকময় কথাবার্তা বলেন। তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, তবে আমি যাহা বলি সত্যই বলিয়া থাকি। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৮৬

পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ঠাট্টা ও কৌতুক প্রসঙ্গে
৪৮৮৬। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট একটি সওয়ারী চাহিল। তখন তিনি বলিলেনঃ আচ্ছা, আমি তোমাকে আরোহণের জন্য একটি উষ্ট্রীর বাচ্চা প্রদান করিব। তখন সে বলিল, উষ্ট্রীর বাচ্চা দিয়া আমি কি করিব? জবাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ উট তো উষ্ট্রীই প্রসব করে। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৮৭

পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ঠাট্টা ও কৌতুক প্রসঙ্গে
৪৮৮৭। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা নবী (ﷺ) তাহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ ওহে! দুই কানওয়ালা। – আবু দাউদ ও তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৮৮

পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ঠাট্টা ও কৌতুক প্রসঙ্গে
৪৮৮৮। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা নবী (ﷺ) জনৈক বৃদ্ধা মহিলাকে বলিলেনঃ কোন বৃদ্ধা বেহেশতে প্রবেশ করিবে না। তখন বৃদ্ধা জিজ্ঞাসা করিল, তাহাদের কি হইয়াছে? উক্ত বৃদ্ধাটি কোরআন পড়িয়াছিল। তখন হুযূর (ﷺ) বলিলেনঃ তুমি কি কোরআন মজীদে এই আয়াতটি পাঠ কর নাই।
إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنشاءً فجعلناهُنَّ أَبْكَارًا
অর্থ—আমরা তাহাদিগকে (মহিলাদিগকে) বেহেশতের মধ্যে দ্বিতীয়বার পয়দা করিব এবং তাহাদিগকে কুমারী বানাইব। — রাযীন। শরহে সুন্নাহ্ কিতাবে মাছাবীহর শব্দ অনুযায়ী বর্ণনা করা হইয়াছে।
إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنشاءً فجعلناهُنَّ أَبْكَارًا
অর্থ—আমরা তাহাদিগকে (মহিলাদিগকে) বেহেশতের মধ্যে দ্বিতীয়বার পয়দা করিব এবং তাহাদিগকে কুমারী বানাইব। — রাযীন। শরহে সুন্নাহ্ কিতাবে মাছাবীহর শব্দ অনুযায়ী বর্ণনা করা হইয়াছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৮৯

পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ঠাট্টা ও কৌতুক প্রসঙ্গে
৪৮৮৯। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, যাহের ইবনে হারাম নামক একজন বেদুইন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য মফস্বল হইতে হাদিয়া লইয়া আসিত। আর যখন সে যাওয়ার ইচ্ছা করিত তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাকে কিছু (শহরের) জিনিসপত্র দিতেন। নবী (ﷺ) বলিলেনঃ যাহের আমাদের গ্রাম আর আমরা তাহার শহর। নবী (ﷺ) তাহাকে খুবই ভালবাসিতেন। অবশ্য সে ছিল কুৎসিত। একদা নবী (ﷺ) (বাজারে আসিলেন, এই সময় যাহের তাহার পণ্য বিক্রয় করিতেছিল। তখন নবী (ﷺ) তাহার পিছন হইতে জড়াইয়া ধরিলেন। সে হুযূর (ﷺ)কে দেখিতেছিল না। তখন যাহের বলিয়া উঠিল, ইনি কে? আমাকে ছাড়িয়া দিন। অতঃপর সে আড় চোখে তাকাইয়া নবী (ﷺ)কে চিনিতে পারিল, তখন স্বীয় পৃষ্ঠ নবী (ﷺ)-এর বক্ষের সাথে লাগাইয়া রাখিতে কসুর করিল না। এদিকে নবী (ﷺ) বলিতে লাগিলেনঃ এই গোলামটি কে খরিদ করিবে? তখন সে বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর কসম! আপনি আমাকে সস্তার বস্তু হিসাবে পাইলেন ? তখন নবী (ﷺ) বলিলেনঃ কিন্তু তুমি আল্লাহর নিকট সস্তা বস্তু নও। —শরহে সুন্নাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮৯০

পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ঠাট্টা ও কৌতুক প্রসঙ্গে
৪৮৯০। হযরত আওফ ইবনে মালেক আজায়ী (রাঃ) বলেন, তবুকের যুদ্ধের সময় আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আসিলাম, তখন তিনি একটি চামড়ার তাঁবুর মধ্যে ছিলেন। আমি সালাম করিলাম। তিনি আমার সালামের জওয়াব দিলেন এবং বলিলেনঃ ভিতরে আস। তখন আমি বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি আমার গোটা শরীরটি লইয়াই প্রবেশ করিব? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, তোমার গোটা শরীরটি লইয়াই। অতঃপর আমি প্রবেশ করিলাম। অত্র হাদীসের অধঃস্তন রাবী উমান ইবনে আবুল আ'তেকা বলেন, তাঁবুটি অতি ছোট হওয়ার কারণে বর্ণনাকারী আওফ ইবনে মালেক কৌতুকচ্ছলে বলিয়াছিলেন, “আমি কি আমার গোটা শরীরটি লইয়াই প্রবেশ করিব” ? – আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান