মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৬৮১

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৮১। হযরত আবু উমামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ রোগীর পূর্ণ শুশ্রূষা হইল— তোমাদের কাহারও হাত তাহার কপালে অথবা হাতের উপরে রাখিয়া জিজ্ঞাসা করিবে সে কেমন আছে? আর তোমাদের সালামের পূর্ণতা হইল মুসাফাহা করা। —আহ্মদ ও তিরমিযী। অবশ্য তিরমিযী হাদীসটিকে যঈফ বলিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৮২

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৮২। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ হযরত যায়েদ ইবনে হারেসা (অভিযান শেষে ) মদীনায় আগমন করিলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার ঘরেই ছিলেন। যায়েদ আসিয়া ঘরের দরওয়াজায় টোকা দিতেই রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) খালি গায়ে চাদর টানিতে টানিতে তাহার উদ্দেশ্যে উঠিয়া দাঁড়াইলেন। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম। ইহার আগে বা পরে আমি আর কোন দিন তাঁহাকে এইভাবে খালি গায়ে দেখি নাই। অতঃপর তিনি তাহার সহিত গলাগলি করিলেন এবং তাহাকে চুম্বন দিলেন। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৮৩। আইউব ইবনে বুশাইর (রঃ) আনাযা গোত্রীয় এক ব্যক্তি হইতে বর্ণনা করিয়া ছেন। তিনি বলেন, আমি হযরত আবু যার (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিলাম, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন আপনাদের সহিত সাক্ষাৎ করিতেন তখন কি মুসাফাহা করিতেন? তিনি বলিলেন, আমি যখনই তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছি তিনি তখনই আমার সহিত মুসাফাহা করিয়াছেন। একদা তিনি আমাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন, কিন্তু আমি গৃহে ছিলাম না, পরে যখন আমি আসিলাম তখন আমাকে সংবাদটি জানানো হইল এবং আমি সঙ্গে সঙ্গেই তাঁহার খেদমতে উপস্থিত হইলাম। সেই সময় তিনি খাটের উপরে বসা ছিলেন। তখন তিনি আমাকে জড়াইয়া ধরিলেন এবং ইহা ছিল অতি উত্তম! অতি উত্তম !! –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৮৪। হযরত ইকরামা ইবনে আবু জাহল (রাঃ) বলেনঃ যেই দিন আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খেদমতে, উপস্থিত হই তখন তিনি (আমাকে দেখিয়া ) বলি লেনঃ ‘হিজরতকারী সওয়ারের প্রতি মুবারকবাদ'। – তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৮৫। হযরত উসাইদ ইবনে হুযাইর (রাঃ) — যিনি ছিলেন আনসার গোত্রীয় তার সম্পর্কে বর্ণনাকারী বলেন, একদা তিনি লোকদের মধ্যে গল্প-গুজব করিতেছিলেন এবং তাহার স্বভাবে হাসি-ঠাট্টা ছিল, কাজেই তিনি লোকদেরকে হাসাইতে ছিলেন। এমন সময় নবী (ﷺ) এক খণ্ড কাঠি দ্বারা তাহার কোমরে খোচা দিলেন। তখন উসাইদ বলিলেন, আপনি আমাকে খোঁচা দিয়াছেন। সুতরাং আমাকে উহার প্রতিশোধ গ্রহণ করার সুযোগ দিন। তিনি বলিলেনঃ প্রতিশোধ গ্রহণ কর। উসাইদ বলিলেন, আপনার গায়ে তো জামা আছে অথচ আমার গায়ে জামা নাই। তখন নবী (ﷺ) গায়ের জামাটি তুলিয়া ধরিলেন। অমনি হযরত উসাইদ (রাঃ) তাঁহাকে জড়াইয়া ধরিলেন এবং তাঁহার পাশে চুম্বন দিতে লাগিলেন। আর বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। ইহাই আমার ইচ্ছা ছিল। — আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৮৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৮৬। আমের শা'বী (রঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) হযরত জা'ফর ইবনে আবু তালিবের সহিত সাক্ষাতের সময় তাহাকে জড়াইয়া ধরিলেন এবং তাহার চক্ষু দ্বয়ের মাঝখানে চুম্বন দিলেন। –আবু দাউদ, বায়হাকী। ইমাম বায়হাকী শো'আবুল ঈমানে অত্র হাদীসটিকে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করিয়াছেন। আর মাসাবীহ্-এর কোন কোন কপিতে এবং শরহে সুন্নতে ‘বায়াযী’ হইতে মুত্তাসিল হিসাবে বর্ণিত হইয়াছে। ('বায়াযী' দ্বারা বায়াযা ইবনে আমের ইবনে যুরাইকের বংশধর বুঝানো হয়। তিনি হইলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জাবের আনসারী [রাঃ]।)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৮৭। হযরত জা'ফর ইবনে আবু তালিব (রাঃ) হাবশা মুলক হইতে তাঁহার প্রত্যাবর্তন-ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, আমরা (হাবশা হইতে) রওয়ানা করিলাম, অবশেষে মদীনায় আসিয়া পৌঁছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন এবং আমার সাথে মু'আনাকা করিলেন। অতঃপর বলিলেনঃ আমি বলিতে পারিতেছি না যে, খায়বর বিজয় আমার নিকট বেশী আনন্দদায়ক, না কি জা'ফরের আগমন ? ঘটনাক্রমে খায়বর বিজয়ের সময় হযরত জাফরের প্রত্যাবর্তন হইয়াছিল।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৮৮। হযরত যারে' (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি আব্দুল কায়েস গোত্রীয় প্রতিনিধি দের দলভুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা যখন মদীনায় আগমন করি তখন তাড়াহুড়া করিয়া নিজেদের সওয়ারী হইতে অবতরণ করিলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হাতে ও পায়ে চুম্বন করিলাম। – আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৮৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আচার-আচরণে, চাল-চলনে এবং মহৎ চরিত্রে, অপর এক রেওয়ায়তে আছে—আলাপ-আলোচনায় ও কথাবার্তায় ফাতিমা (রাঃ) অপেক্ষা অন্য কাহাকেও আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সহিত অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ দেখিতে পাই নাই। ফাতিমা যখনই তাহার নিকটে আসিতেন তখন তিনি দাঁড়াইয়া তাঁহার হাত ধরিয়া চুম্বন করিতেন এবং নিজের আসনে বসাইতেন। আর যখনই নবী (ﷺ) তাঁহার কাছে যাইতেন তখন তিনিও তাঁহার জন্য দাঁড়াইয়া তাঁহার হাতখানা ধরিয়া উহাতে চুম্বন করিতেন এবং তাঁহাকে নিজের আসনে বসাইতেন। – আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৯০

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৯০। হযরত বারা ইবনে আযিব (রাঃ) বলেন, হযরত আবু বকর (রাঃ) (কোন এক যুদ্ধ হইতে) সর্বপ্রথম মদীনায় আগমন করিলে আমি তাহার সহিত (তাঁহার গৃহে প্রবেশ করিলাম। এই সময় তাঁহার কন্যা আয়েশা জ্বরে আক্রান্ত হইয়া শুইয়া ছিলেন। হযরত আবু বকর তাহার কাছে যাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, হে বৎস! তুমি কি অবস্থায় আছ ? এই বলিয়া তিনি তাহার গালে চুম্বন করিলেন। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৯১

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৯১। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) -এর কাছে একটি শিশু আনা হইল, তিনি শিশুটিকে চুম্বন করিলেন অতঃপর বলিলেনঃ তোমরা জানিয়া রাখ! এই সমস্ত শিশুরাই হইল কার্পণ্যতা ও ভীরুতার কারণ। এবং তাহারা হইল আল্লাহ্ তা'আলার দেওয়া সুগন্ধি। — শরহে সুন্নাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান