২৪৫৩। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, (রাস্তায়) আমরা যখন উপরে উঠিতাম, 'আল্লাহু আকবর' বলিতাম এবং যখন নীচে নামিতাম 'সুবহানাল্লাহ্' বলিতাম। -বুখারী

২৪৫৪। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে যখন কোন বিষয় চিন্তাগ্রস্ত করিত, তিনি বলিতেন, “হে চিরঞ্জীব, হে প্রতিষ্ঠাতা! তোমার দয়ার নিকট আমি ফরিয়াদ করি।” — তিরমিযী ইহা বর্ণনা করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন, ইহা গরীব ও গায়রে মাহফুয।

২৪৫৫। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, খন্দক যুদ্ধের দিন আমরা বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের কি কিছু বলিবার আছে? প্রাণ তো ওষ্ঠাগত হইয়া গেল। তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, বল, “আল্লাহ্! তুমি আমাদের দোষ ঢাকিয়া রাখ এবং আমাদের ভয় নিরাপদ কর।” আবু সায়ীদ বলেন, সুতরাং আল্লাহ্ তাঁহার শত্রুদিগকে ঝঞ্ঝা দ্বারা দমন করিলেন এবং ঝঞ্ঝা দ্বারাই তাহাদিগকে পরাজিত করিলেন। —আহমদ

২৪৫৬। হযরত বুরায়দা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন বাজারে প্রবেশ করিতেন, বলিতেন, “বিসমিল্লাহ্, আল্লাহ্! তোমার কাছে আমি এই বাজারের মঙ্গল এবং ইহাতে যাহা রহিয়াছে তাহার মঙ্গল চাহি এবং আমি পানাহ্ চাহি উহার অমঙ্গল হইতে এবং উহাতে যাহা আছে তাহার অমঙ্গল হইতে। আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে পানাহ্ চাহি উহাতে যেন কোন লোকসানজনক বেচাকেনার ফাঁদে না পড়ি।” – বায়হাকী দা'ওয়াতুল কবীরে

২৪৫৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমরা বিপদের কষ্ট, দুর্ভাগ্যের আক্রমণ, নিয়তির মন্দতা ও বিপদে শত্রুর হাসা হইতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। —মোত্তাঃ

২৪৫৮। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিতেন, আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট পানাহ্ চাহি চিন্তা, শোক, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণের বোঝা ও মানুষের জবরদস্তি হইতে। —মোত্তাঃ

২৪৫৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিতেন, “আল্লাহ্! আমি তোমার শরণ লইতেছি অলসতা, বার্ধক্য, ঋণ ও পাপ হইতে। আল্লাহ, আমি তোমার শরণ লইতেছি দোযখের শাস্তি, দোযখের পরীক্ষা, কবরের পরীক্ষা ও শাস্তি হইতে এবং সচ্ছলতার পরীক্ষার মন্দতা ও দারিদ্র্যের পরীক্ষার মন্দতা হইতে এবং কানা দজ্জালের পরীক্ষার মন্দতা হইতে। আল্লাহ্, তুমি আমার গোনাহসমূহ ধুইয়া দাও বরফের পানি ও শিলার পানি দ্বারা। আমার অন্তরকে পরিষ্কার কর যেইরূপে সাদা কাপড় ময়লা হইতে পরিষ্কার করা হয় এবং ব্যবধান কর আমার ও আমার গোনাহর মধ্যে, যেমন ব্যবধান করিয়াছ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। — মোত্তাঃ