মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্র - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৫ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৪৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৩৯। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন সফর করিতেন, আর রাত্রি উপস্থিত হইত, তিনি বলিতেন, “হে ভূমি! আমার রব ও তোমার রব আল্লাহ্। সুতরাং আমি আল্লাহর নিকট তোমার মন্দ হইতে, তোমাতে যাহা আছে উহার মন্দ হইতে, তোমাতে যাহা সৃষ্টি করা হইয়াছে উহার মন্দ হইতে এবং যাহা তোমার উপর চলাফেরা করে উহার মন্দ হইতে পানাহ্ চাহি। আমি আরও আল্লাহ্র নিকট পানাহ্ চাহি সিংহ, ব্যাঘ্র, কাল সাপ ও সাপ-বিচ্ছু হইতে এবং শহরের অধিবাসী ও পিতা পুত্র হইতে। — আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৪০

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৪০। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন তোমারই সাহায্যে আমি শত্রুর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করি, তোমারই সাহায্যে আমি আক্রমণ চালাই এবং তোমারই সাহায্যে আমি যুদ্ধ করি।” – তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৪১

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৪১। হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন কোন দল সম্পর্কে ভয় করিতেন, বলিতেন, “আল্লাহ্! আমরা তোমাকে তাহাদের সম্মুখে করিলাম (তুমিই তাহাদের দমন কর!) এবং তাহাদের মন্দ প্রভাব হইতে তোমাতে আশ্রয় লইলাম।” – আহমদ ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৪২

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৪২। হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) যখন ঘর হইতে বাহির হইতেন, বলিতেন, “বিসমিল্লাহি, আমি আল্লাহর উপর ভরসা করিলাম। আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাহি পদস্খলিত হওয়া ও বিপথগামী হওয়া, উৎপীড়ন করা, উৎপীড়িত হওয়া, অজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং কাহারও অজ্ঞতা প্রকাশের পাত্র হওয়া হইতে।” – আহমদ, তিরমিযী ও নাসায়ী। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহর অপর বর্ণনায় রহিয়াছে—হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখনই আমার ঘর হইতে বাহির হইতেন, আকাশের দিকে মাথা উঠাইয়া বলিতেন, “আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাহি বিপথগামী হওয়া, বিপথগামী করা, উৎপীড়ন করা, উৎপীড়িত হওয়া, অজ্ঞতা প্রকাশ করা বা অজ্ঞতা প্রকাশের পাত্র হওয়া হইতে।”

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৪৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৪৩। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি ঘর হইতে বাহির হইবার কালে বলে— 'বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ্, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্’– “আল্লাহর নামে (বাহির হইলাম), আল্লাহর উপর ভরসা করিলাম; আমার কোন উপায় নাই, ক্ষমতা নাই আল্লাহ্ ব্যতীত” – তখন তাহাকে বলা হয়, পথ পাইলে, উপায় পাইলে ও রক্ষিত হইলে। সুতরাং শয়তান তাহার নিকট হইতে দূর হইয়া যায় এবং অপর শয়তান এই শয়তানকে বলে, তুমি কি করিতে পারিবে সেই ব্যক্তিকে যাহাকে পথ দেখান হইয়াছে, উপায় অবলম্বন দেওয়া হইয়াছে এবং রক্ষা করা হইয়াছে ? —আবু দাউদ। আর তিরমিযী 'তখন শয়তান দূর হইয়া যায়' পর্যন্ত।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৪৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৪৪। হযরত আবু মালেক আশআরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে তখন সে যেন বলে, “আল্লাহ্ ! আমি তোমার নিকট আগমন ও নির্গমনের মঙ্গল চাহি। তোমার নামে আমি প্রবেশ করি (ও বাহির হই)। আমাদের রব আল্লাহর নামে ভরসা করিলাম।” অতঃপর যেন আপন পরিবারের লোকদের প্রতি সালাম দেয়। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৪৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৪৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন কোন ব্যক্তিকে অভিনন্দন জানাইতেন, যখন সে বিবাহ করিত—বলিতেন, “আল্লাহ্ তোমাকে বরকত দিক্, তোমাদের উভয়ের প্রতি বরকত নাযিল করুক এবং তোমাদিগকে কল্যাণের সাথে একত্র রাখুক।” – আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৪৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৪৬। হযরত আমর ইবনে শোআইব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কেহ কোন নারী বিবাহ করে অথবা কোন খাদেম খরিদ করে তখন সে যেন বলে, “আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট তাহার মঙ্গল এবং তাহাকে যে নেক চরিত্রের সাথে সৃষ্টি করিয়াছ তাহার মঙ্গল চাহি। আর আমি তোমার নিকট তাহার মন্দ ও তাহাকে যে মন্দ চরিত্রের সাথে সৃষ্টি করিয়াছ তাহা হইতে পানাহ্ চাহি।” এবং যখন সে উট খরিদ করে, তখন উহার চোটের শীর্ষস্থান ধরিয়া যেন উহার ন্যায় বলে। অপর এক বর্ণনায় নারী ও খাদেম সম্পর্কে বলা হইয়াছে, তখন সে যেন তাহার চুলের সম্মুখভাগ ধরিয়া বরকতের দোআ করে। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৪৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৪৭। হযরত আবু বাকরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ বিপদগ্রস্তের দো'আ এই, “আল্লাহ্! আমি তোমার দয়া কামনা করি। তুমি আমাকে মুহূর্তের জন্যও আমার নিজের হাতে ছাড়িয়া দিও না; বরং তুমি স্বয়ং আমার সমস্ত ব্যাপার ঠিক করিয়া দাও! তুমি ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই।” —আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৪৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৪৮। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমাকে চিন্তায় ধরিয়াছে এবং ঋণ আমার ঘাড়ে চাপিয়াছে। তিনি বলিলেনঃ আমি কি তোমাকে এমন একটি বাক্য বালাইব না—যদি তুমি উহা বল, তবে আল্লাহ্ তোমার চিন্তা দূর এবং ঋণ পরিশোধ করিবেন। সে বলে, আমি বলিলাম, হ্যাঁ, বলুন হুযূর! তখন তিনি বলিলেন, যখন তুমি সকালে উঠিবে এবং যখন তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হইবে, বলিবে, “আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট চিন্তা-ভাবনা হইতে পানাহ্ চাহি। অপারকতা ও অলসতা হইতে পানাহ্ চাহি; কৃপণতা ও কাপুরুষতা হইতে পানাহ্ চাহি এবং ঋণের চাপ ও মানুষের জবরদস্তি হইতে পানাহ্ চাহি।” সে বলে, অতঃপর আমি তাহা করিলাম, আর আল্লাহ্ আমার চিন্তা দূর এবং আমার ঋণ পরিশোধ করিলেন। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৪৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৪৯। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, একদা তাঁহার নিকট এক 'মুকাতাব' আসিয়া বলিল, আমি আমার 'কিতাবাতের' অর্থ পরিশোধ করিতে অক্ষম; আমাকে সাহায্য করুন। তিনি বলিলেন, আমি কি তোমাকে এমন কতক বাক্য শিখাইয়া দিব না – যাহা আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শিখাইয়া দিয়াছেন— যদি তোমার প্রতি বড় পাহাড় পরিমাণ ঋণও চাপিয়া থাকে, আল্লাহ্ তোমার উহা পরিশোধ করিয়া দিবেন। তুমি বলিবে, “আল্লাহ্! তুমি আমাকে হালালের সাহায্যে হারাম হইতে বাঁচাও এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা তুমি ভিন্ন অন্যের মুখাপেক্ষিতা হইতে বেনিয়ায কর।” –তিরমিযী। বায়হাকী দা'ওয়াতুল কবীরে। আর إِذَا سَمِعْتُمْ نُبَاحَ الْكِلَابِ সম্বলিত হযরত জাবেরের হাদীসটি تَغْطِيَةِ الْأَوَانِي অধ্যায়ে আমরা উল্লেখ করিব ইনশাআল্লাহ্।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৫০

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৫০। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন কোন মজলিসে বসিতেন অথবা নামায পড়িতেন, কতক বাক্য বলিতেন। একদা আমি সে সকল বাক্য সম্পর্কে তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিলেনঃ যদি (মজলিসে) ভাল কথা হইয়া থাকে, তবে ইহা উহার পক্ষে মোহরস্বরূপ হইবে কেয়ামত পর্যন্ত, আর যদি মন্দ কথা হইয়া থাকে, তবে ইহা উহার কাফফারা হইয়া যাইবে। বাক্য এই “আল্লাহ্! তোমার পবিত্রতা তোমার প্রশংসার সাথে, তুমি ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, আমি তোমার নিকট মাফ চাহি ও তওবা করি।” – নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৫১

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৫১। (তাবেয়ী) কাতাদা (রঃ) বলেন, তাঁহার নিকট বিশ্বস্ত সূত্রে পৌঁহিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন নূতন চাঁদ দেখিতেন, বলিতেন, কল্যাণ ও হেদায়তের চাঁদ, কল্যাণ ও হেদায়তের চাঁদ, কল্যাণ ও হেদায়তের চাঁদ। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন আমি তাঁহার প্রতি ঈমান আনিলাম। ইহা তিনবার বলিতেন। অতঃপর বলিতেন, “আল্লাহর প্রশংসা, যিনি অমুক মাস শেষ করিলেন এবং এই মাস আনিলেন।” –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৫২

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৫২। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যাহার চিন্তা বাড়িয়া গিয়াছে সে যেন বলে, "আল্লাহ্! আমি তোমার দাস, তোমার দাসের পুত্র, তোমার দাসীর পুত্র, আমি তোমার হাতের মুঠে, আমার অদৃষ্ট তোমার হাতে, তোমার হুকুম আমাতে কার্যকর এবং তোমার নির্দেশ আমার পক্ষে ন্যায়। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি তোমার সে সকল নামের উসীলায়, যদ্দ্বারা তুমি নিজেকে অভিহিত করিয়াছ, অথবা তুমি তোমার কিতাবে নাযিল করিয়াছ, অথবা তুমি তোমার সৃষ্টির কাহাকেও উহা শিক্ষা দিয়াছ, অথবা তুমি তোমার বান্দাদের উপর এলহাম করিয়াছ, অথবা তুমি গায়েবের পর্দায় উহা তোমার নিকট গোপন রাখিয়াছ — তুমি কোরআনকে আমার অন্তরের বসন্তকালস্বরূপ এবং চিন্তা ও ধান্দা দূরীকরণের কারণস্বরূপ কর।” –যে বান্দা যখনই উহা বলিবে, আল্লাহ্ তাহার চিন্তা দূর করিবেন এবং উহার পরিবর্তে নিশ্চিন্ততা দান করিবেন। —রযীন

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৬০

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - আশ্রয় প্রার্থনা করা
২৪৬০। হযরত যায়দ ইবনে আরকাম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এইরূপ বলিতেন, “আল্লাহ্! আমি অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, বার্ধক্য ও কবর আযাব হইতে তোমার শরণ লইতেছি। আল্লাহ্, আমার আত্মাকে সংযম দান কর, উহাকে পবিত্র কর—তুমিই শ্রেষ্ঠ পাবক, তুমি উহার অভিভাবক ও প্রভু। আল্লাহ্, আমি তোমার শরণ লইতেছি ঐ জ্ঞান হইতে যাহা (আত্মার) উপকার করে না, ঐ অন্তর হইতে যাহা (আল্লাহর ভয়ে) গলে না, ঐ মন হইতে যাহা তৃপ্তি লাভ করে না এবং ঐ দো'আ হইতে যাহা কবুল হয় না।" — মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান