মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্র - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৪১৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪১৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যখন তোমরা মুরগার আওয়ায শুনিবে আল্লাহর আশীর্বাদ ভিক্ষা করিবে, কেননা মুরগা ফিরিশতা দেখিয়াছে, আর যখন তোমরা গাধার চিৎকার শুনিবে বিতাড়িত শয়তান হইতে আল্লাহর নিকট পানাহ্ চাহিবে। কেননা, সে শয়তান দেখিয়াছে। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪২০

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪২০। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে বাহির হইবার কালে যখন উটের উপর স্থির হইয়া বসিতেন, তিনবার আল্লাহ আকবর বলিতেন; অতঃপর বলিতেন, "আল্লাহর প্রশংসা যিনি ইহাকে আমাদের অধীন করিয়াছেন, অথচ আমরা ইহাকে অধীন করিতে পারিতাম না এবং আমরা আমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। আল্লাহ্! আমরা আমাদের এই সফরে তোমার নিকট পুণ্য ও সংযম চাহি এবং এমন কর্ম যাহা তুমি পছন্দ কর। আল্লাহ্, তুমি আমাদের প্রতি আমাদের এই সফরকে সহজ কর এবং ইহার দূরত্ব কমাইয়া দাও। আল্লাহ, তুমিই সফরে আমাদের সঙ্গী এবং পরিবার ও মাল সম্পদে আমাদের প্রতিনিধি। আল্লাহ, আমি তোমার নিকট পানাহ চাহি সফরের কষ্ট, মন্দ দৃশ্য ও ধনে-জনে অশুভ পরিবর্তন হইতে।" এবং যখন তিনি প্রত্যাবর্তন করিতেন তখনও উহা বলিতেন এবং উহাতে অধিক বলিতেন: "আমরা প্রত্যাবর্তন করিলাম তওবাকারী, এবাদতকারী এবং আমাদের পরওয়ারদেগারের প্রশংসাকারীরূপে। " — মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪২১

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪২১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে সারজেস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফরে চলিতেন, সফরের কষ্ট, প্রত্যাবর্তনের মন্দ, ভালোর পর খারাপ, অত্যাচারিতের দো'আ এবং পরিজন ও সম্পদের ব্যাপারে মন্দ দৃশ্য হইতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাহিতেন। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪২২

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪২২। (সাহাবিয়া) হযরত খাওলা বিনতে হাকীম (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি কোন স্থানে অবতরণ করিয়া বলে, "আমি আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহের শরণ লইতেছি, তিনি যাহা সৃষ্টি করিয়াছেন তাহার মন্দ হইতে।" তাহাকে কোন জিনিস ক্ষতি করিতে পারিবে না সেই স্থান হইতে প্রস্থান করা পর্যন্ত। – মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪২৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪২৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসিয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। গত রাতে বৃশ্চিকের দংশনে আমি কষ্ট পাইয়াছি। হুযূর (ছাঃ) বলিলেন: যদি তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হইয়া বলিতে, "আমি আল্লাহর পূর্ণ বাক্যের শরণ লইতেছি, তিনি যাহা সৃষ্টি করিয়াছেন তাহার মন্দ হইতে।" — তবে তোমাকে উহা কষ্ট দিতে পারিত না। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪২৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪২৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফরে থাকিতেন এবং উষায় উপনীত হইতেন, বলিতেন, শ্রবণকারী শ্রবণ করুক (এবং সাক্ষী থাকুক) আমরা যে আল্লাহর প্রশংসা করিতেছি এবং আমাদের প্রতি তাহার মহাদানের স্বীকৃতি জানাইতেছি। "হে আমাদের প্রভু! তুমি আমাদের সাথী হও এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ কর। আমরা পানাহ চাহি আল্লাহর নিকট দোযখের আগুন হইতে।” – মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪২৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪২৫। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন যুদ্ধ, হজ্জ বা ওমরা হইতে ফিরিতেন, প্রত্যেক উঁচু জায়গায় তিনবার তকবীর বলিতেন, অতঃপর বলিতেন, “আল্লাহ্ ভিন্ন কোন মা'বূদ নাই, তিনি এক, তাহার কোন শরীক নাই, তাহারই রাজত্ব, তাহারই প্রশংসা এবং তিনি সমস্ত জিনিসের উপর ক্ষমতাবান। আমরা ফিরিতেছি তওবাকারী, এবাদতকারী, সজদাকারী এবং আমাদের প্রভু পরওয়ারদেগারেরই প্রশংসাকারীরূপে। আল্লাহ্ সত্যে পরিণত করিয়াছেন তাঁহার প্রতিশ্রুতিকে, জয়ী করিয়াছেন তাঁহার বান্দাকে এবং পরাজিত করিয়াছেন সম্মিলিত শক্তিকে একা।” –মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪২৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪২৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু আওফা (রাঃ) বলেন, আহযাব যুদ্ধের সময় রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুশরিকদের প্রতি বদদো'আ করিয়া বলিয়াছেন : “হে কিতাব অবতীর্ণকারী ও সত্বর বিচারকারী খোদা! হে খোদা, তুমি পরাজিত কর সম্মিলিত শক্তিকে; হে খোদা, পরাজিত কর তাহাদিগকে এবং পদস্খলিত কর তাহাদিগকে।” – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪২৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪২৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে বুসর (রাঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পিতার নিকট পৌঁছিলেন। আমরা তাহার নিকট কিছু রুটি ও মলীদা পেশ করিলাম। তিনি উহার কিছু খাইলেন, অতঃপর তাঁহার নিকট কিছু খেজুর উপস্থিত করা হইল। তখন তিনি উহা খাইতে লাগিলেন এবং তর্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলী মিলাইয়া উহাদের মধ্যখান দিয়া উহার বিচি ফেলিতে রহিলেন। অপর বর্ণনায় রহিয়াছে, তর্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলীদ্বয়ের পিঠের দিক দিয়া বিচি ফেলিতে রহিলেন। অতঃপর তাঁহার নিকট কিছু পানীয় আনা হইল এবং তিনি উহা পান করিলেন। (তিনি যখন রওয়ানা হইলেন,) আমার পিতা তাহার সওয়ারীর লাগাম ধরিয়া বলিলেন, হুযুর! আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট কিছু দো'আ করুন ! তখন তিনি বলিলেন, “আল্লাহ্! তুমি তাহাদিগকে যাহা দান করিয়াছ তাহাতে তুমি বরকত দাও এবং তাহাদিগকে মাফ কর ও দয়া কর।” মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪২৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪২৮। হযরত তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ্ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) যখন নূতন চাঁদ দেখিতেন, বলিতেন, “আল্লাহ্ ! তুমি উহাকে উদয় কর আমাদের প্রতি নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে।” (হে চাঁদ!) আমার প্রভু ও তোমার প্রভু এক আল্লাহ্। -তিরমিযী। তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪২৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪২৯। হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব ও আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি কোন বিপদগ্রস্তকে দেখিয়া বলিবে, “আল্লাহর শোকর, যিনি তোমাকে যাহাতে পতিত করিয়াছেন, তাহা হইতে আমাকে নিরাপদে রাখিয়াছেন এবং আমাকে তাঁহার সৃষ্টির অনেক জিনিস অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দান করিয়াছেন”— তাহার প্রতি ঐ বিপদ কখনও পৌঁছিবে না সে যথায় থাকুক না কেন। —তিরমিযী।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৩০

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দুআ
২৪৩০। ইবনু মাজাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি গরীব এবং তার রাবী ’আমর ইবনু দীনার সবল নয়।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান