মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৮- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২০০৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০০৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ রোযা অবস্থায় যাহার বমি হইয়াছে তাহার উহা কাযা করিতে হইবে না আর যে ব্যক্তি ইচ্ছা করিয়া বমি করিয়াছে, সে যেন উহা কাযা করে। – তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী। কিন্তু তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব। ঈসা ইবনে ইউনুস ব্যতীত অপর কোন সূত্রে ইহা জানা যায় নাই। ইমাম বুখারী বলিয়াছেন, হাদীসটি গায়রে মাহফুয অর্থাৎ, সায।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০০৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০০৮। তাবেয়ী মা'দান ইবনে তালহা হইতে বর্ণিত আছে, হযরত আবুদ্দরদা (রাঃ) তাঁহাকে বলিয়াছেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বমি করিলেন এবং রোযা ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন। মা'দান বলেন, একদা আমি দেমাশকের মসজিদে হুযূরের খাদেম সওবান (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ পাইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, হযরত আবুদ্দরদা আমাকে বলিয়াছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একবার বমি করিয়াছিলেন এবং রোযা ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছিলেন। সওবান বলিলেন, হ্যাঁ, তিনি সত্য বলিয়াছেন। আমি তাহার জন্য তাঁহার ওযুর পানি ঢালিয়া ছিলাম। —আবু দাউদ, তিরমিযী ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০০৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০০৯। হযরত আমের ইবনে রবীয়া (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে রোযা অবস্থায় অসংখ্যবার মেসওয়াক করিতে দেখিয়াছি। – তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০১০

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০১০। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, হুযূর ! আমার চোখে ব্যথা করে, আমি কি উহাতে সুর্মা ব্যবহার করিতে পারি রোযাদার অবস্থায় ? হুযুর বলিলেনঃ হ্যাঁ, পার। — তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন যে, ইহার সনদ সবল নহে। ইহার রাবী আবু আতেকাকে যঈফ বলা হয়।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০১১

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০১১। নবী করীম (ﷺ)-এর কোন এক সাহাবী বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে আরজ নামক স্থানে দেখিয়াছি, পিপাসা অথবা গরমের কারণে (রাবীর সন্দেহ) মাথায় পানি ঢালিতেছেন রোযাদার অবস্থায়। —মালেক ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০১২

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০১২। হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাঃ) বলেন, একবার রমযানের আঠার তারিখ অন্তে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার হাত ধরিয়া (মদীনার কবরস্থান) বকী'তে এক ব্যক্তির নিকট গেলেন, তখন সে শিঙ্গা লইতেছিল। ইহা দেখিয়া হুযুর (ﷺ) বলিলেনঃ যে শিঙ্গা লইতেছে এবং যে শিঙ্গা বসাইতেছে উভয়ে রোযা ভাঙ্গিয়া ফেলিল। –আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী। রাবী বলেন, যাহারা রোযাতে শিঙ্গা লওয়াকে আপত্তিকর বলিয়া মনে করেন না, তাঁহাদের মতে 'রোযা ভাঙ্গিয়া ফেলিল' – অর্থ রোযা ভাঙ্গার পথে অগ্রসর হইল। শিঙ্গা গ্রহণকারী দুর্বল হইয়া পড়ার কারণে আর শিঙ্গাদাতা এই কারণে যে শিঙ্গা টানার সময় রক্ত তাহার পেটে প্রবেশ হইতে সে নিরাপদ নহে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০১৩

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০১৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে রমযানের একটি রোযা ভাঙ্গিয়াছে ওযর ও রোগ ব্যতীত, তাহার উহা পূরণ করিবে না সারা জীবনের রোযা – যদিও সে সারা জীবন রোযা রাখে। – আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্, দারেমী এবং বুখারী (সনদহীনভাবে) তাঁহার 'তরজমাতুল বাবে'। কিন্তু তিরমিযী বলেন, আমি ইমাম বুখারীকে বলিতে শুনিয়াছি তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসের রাবী আবুল মুতাব্বেস-এর ইহা ছাড়া আর কোন হাদীস আছে বলিয়া আমার জানা নাই।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০১৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০১৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কত রোযাদার এইরূপ আছে যাহার রোযা দ্বারা পিপাসা ব্যতীত কিছুই লাভ হয় না এবং কত রাত্রিতে উঠিয়া এমন নামায আদায়কারী আছে যাহাদের রাত্রিতে উঠার দ্বারা জাগরণ ছাড়া কিছুই হয় না। —দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০১৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০১৫। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তিন জিনিস রোযাদারের রোযা নষ্ট করে না— শিঙ্গা লওয়া, বমি করা এবং স্বপ্নদোষ। —তিরমিযী; কিন্তু তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গায়রে মাহফুয অর্থাৎ শায। ইহার রাবী আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ যঈফ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান