মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৮- রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ২০১৪
৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০১৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কত রোযাদার এইরূপ আছে যাহার রোযা দ্বারা পিপাসা ব্যতীত কিছুই লাভ হয় না এবং কত রাত্রিতে উঠিয়া এমন নামায আদায়কারী আছে যাহাদের রাত্রিতে উঠার দ্বারা জাগরণ ছাড়া কিছুই হয় না। —দারেমী
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَمْ مِنْ صَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ صِيَامِهِ إِلَّا الظَّمَأُ وَكَمْ مِنْ قَائِمٍ لَيْسَ لَهُ من قِيَامه إِلَّا السهر» . رَوَاهُ الدَّارمِيّ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

অপর হাদীসে আছে, রোযা থাকিয়া মিথ্যা কথা, মিথ্যাচার ও গীবত ত্যাগ না করিলে উহা বেকার। ইমাম শাফেয়ীর মতে রোযা রাখিয়া কাহারও গীবত করিলে উহা কাযা করিতে হইবে।
এইরূপে নামাযের কায়দা কানুনের প্রতি লক্ষ্য না রাখিয়া সারা রাত্রি নফল নামায পড়িলে অথবা উহা এক মাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে না পড়িলে বা নফল পড়ার কারণে ফজরের জামাআত তরক হইলে অথবা রাত্রিতে বিবির হক আদায় না করিলে এইরূপ নফল পড়াতেও কোন লাভ নাই।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান