মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৮- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ২০০২
- রোযার অধ্যায়
৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০০২। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ্জের ইহরাম অবস্থায় শিঙ্গা লইয়াছেন এবং রোযা অবস্থায়ও শিঙ্গা লইয়াছেন। —মোত্তাঃ
كتاب الصوم
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ وَاحْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২০০৩
- রোযার অধ্যায়
৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০০৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে রোযা অবস্থায় ভুলিয়া কিছু খাইয়াছে বা পান করিয়াছে, সে যেন তাহার রোযা পূর্ণ করে। কেননা, আল্লাহই তাহাকে খাওয়াইয়াছেন ও পান করাইয়াছেন। মোত্তাঃ
كتاب الصوم
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «من نسي وَهُوَ صَائِم فَأَكَلَ أَوْ شَرِبَ فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ فَإِنَّمَا أَطْعَمَهُ اللَّهُ وسقاه»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২০০৪
- রোযার অধ্যায়
৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০০৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমরা নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বসাছিলাম, এমন সময় তাঁহার নিকট এক ব্যক্তি আসিয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি ধ্বংস হইয়াছি। হুযুর বলিলেন: তোমার কি হইয়াছে? সে বলিল, আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করিয়াছি, তখন আমি রোযাদার ছিলাম। রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তোমার কি কোন গোলাম আছে যাহা আযাদ করিয়া দিতে পার ? সে বলিল, না। অতঃপর হুযুর বলিলেন, তোমার কি শক্তি আছে এক সাথে দুই মাস রোযা রাখিতে পার? সে বলিল, না। তৎপর হুযুর বলিলেন, তোমার কি সঙ্গতি আছে যে, তুমি ষাটজন মিসকীনকে খানা খাওয়াইতে পার ? সে বলিল, না। হুযূর বলিলেন, আচ্ছা তুমি বস! (রাবী বলেন,) নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপেক্ষা করিতে লাগিলেন এবং আমরাও এ অবস্থায় ছিলাম, এমন সময় নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খেজুরপূর্ণ একটি ঝুড়ি (হাদিয়া) দেওয়া হইল। তখন হুযূর বলিলেন, প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়? সে বলিল, হুযূর এই যে, আমি। হুযূর বলিলেন, এইটি লও এবং দান করিয়া দাও ! সে বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমাদের অপেক্ষাও অধিকতর মিসকীন কে? খোদার কসম মদীনার এই প্রস্তরময় দুই প্রান্তের মধ্যে আমাদের পরিবার অপেক্ষা অধিকতর মিসকীন পরিবার আর নাই। ইহা শুনিয়া নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসিয়া দিলেন যাহাতে তাঁহার সম্মুখের দাঁতসমূহ প্রকাশিত হইয়া গেল। অতঃপর বলিলেন, আচ্ছা তবে তুমি তোমার পরিবারকেই খাওয়াও। – মোত্তাঃ
كتاب الصوم
وَعَن أبي هُرَيْرَة قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ جُلُوسٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُول الله هَلَكت. قَالَ: «مَالك؟» قَالَ: وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي وَأَنَا صَائِمٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ تَجِدُ رَقَبَةً تُعْتِقُهَا؟» . قَالَ: لَا قَالَ: «فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ؟» قَالَ: لَا. قَالَ: «هَلْ تَجِدُ إِطْعَامَ سِتِّينَ مِسْكِينًا؟» قَالَ: لَا. قَالَ: «اجْلِسْ» وَمَكَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم فَبينا نَحْنُ عَلَى ذَلِكَ أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ وَالْعَرَقُ الْمِكْتَلُ الضَّخْمُ قَالَ: «أَيْنَ السَّائِلُ؟» قَالَ: أَنَا. قَالَ: «خُذْ هَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ» . فَقَالَ الرَّجُلُ: أَعَلَى أَفْقَرَ مِنِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَوَاللَّهِ مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا يُرِيدُ الْحَرَّتَيْنِ أَهْلُ بَيْتِ أَفْقَرُ م أَهْلِ بَيْتِي. فَضَحِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ ثُمَّ قَالَ: «أَطْعِمْهُ أهلك»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২০০৫
- রোযার অধ্যায়
৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০০৫। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (ﷺ) রোযা অবস্থায় তাঁহাকে চুম্বন করিতেন এবং তাহার জিহ্বা চুসিতেন। —আবু দাউদ
كتاب الصوم
عَن عَائِشَة: أَن الني صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَانَ يُقَبِّلُهَا وَهُوَ صَائِم ويمص لسنانها. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২০০৬
- রোযার অধ্যায়
৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০০৬। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করিল, রোযাদার ব্যক্তির (আপন স্ত্রীর) গায়ে গা লাগান সম্পর্কে। হুযূর তাহাকে অনুমতি দিলেন। অতঃপর আর এক ব্যক্তি আসিল এবং তাঁহাকে সেই ব্যাপারেই জিজ্ঞাসা করিল। কিন্তু তিনি ইহাকে নিষেধ করিলেন। পরে দেখা গেল যে, যাহাকে অনুমতি দেওয়া হইয়াছে, সে একজন বৃদ্ধ আর যাহাকে নিষেধ করিয়াছেন, সে একটা যুবক। –আবু দাউদ
كتاب الصوم
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ إِنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْمُبَاشَرَةِ لِلصَّائِمِ فَرخص لَهُ. وَأَتَاهُ آخَرُ فَسَأَلَهُ فَنَهَاهُ فَإِذَا الَّذِي رَخَّصَ لَهُ شَيْخٌ وَإِذَا الَّذِي نَهَاهُ شَابٌّ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক: