আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
২৫. অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১১ টি
হাদীস নং: ৫৫০০
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৫০০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا "সেদিন ভূমি তার সমস্ত সংবাদ বলে দেবে।" (৯৯ঃ ৪) তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি জান, ভূমির সংবাদ কি? তারা বলল, আল্লাহও তাঁর রাসূল ভাল জানেন। তিনি বললেন, নিশ্চয় ভূমির সংবাদ হচ্ছে এই যে, তার হকের উপর প্রত্যেক বান্দা-বাঁদী যেসব কর্ম করেছে সে সম্পর্কে ভূমি সাক্ষা দেবে। সে বলবে, সে একর্ম ও কর্ম করেছে।
(ইবন হিব্বান (র) নিজ 'সহীহ'-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(ইবন হিব্বান (র) নিজ 'সহীহ'-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5500- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَرَأَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هَذِه الْآيَة يَوْمئِذٍ تحدث أَخْبَارهَا الزلزلة 8 قَالَ أَتَدْرُونَ مَا أَخْبَارهَا قَالُوا الله وَرَسُوله أعلم
قَالَ فَإِن أَخْبَارهَا أَن تشهد على كل عبد وَأمة بِمَا عمل على ظهرهَا تَقول عمل كَذَا وَكَذَا
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
قَالَ فَإِن أَخْبَارهَا أَن تشهد على كل عبد وَأمة بِمَا عمل على ظهرهَا تَقول عمل كَذَا وَكَذَا
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫০১
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৫০১. তাঁরই সূত্রে আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ يوم نَدْعُوا كُلّ أَنَّاسِ بِإِمَامِهِمْ "যেদিন আমি সমস্ত মানুষকে তাদের আমলনামা সহকারে ডাকব।" (১৭৪ ৭১) প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাদের একজনকে ডাকা হবে এবং তার ডান হাতে তার আমলনামা দেওয়া হবে, তাদের দেহ ষাট হাত লম্বা করে দেওয়া হবে, তার চেহারা উজ্জ্বল হয়ে যাবে এবং তার মাথায় ঝকঝকে মুক্তার তাজ পরানো হবে। তিনি বলেন, অতঃপর সে তার সাথী-সঙ্গীদের কাছে যাবে। তারা তাকে দূর করে দেখে বলবে, হে আল্লাহ! এর ব্যাপারে আমাদেরকে বরকতময় করুন। এরপর সে তাদের কাছে পৌছে বলবে, তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। কেননা, তোমাদের প্রত্যেকের জন্য এ পুরস্কার রয়েছে। পক্ষান্তরে, কাফিরকে তার আমলনামা তার বাম হাতে দেওয়া হবে, তার চেহারা কালিম আচ্ছন্ন হবে। আদম (আ)-এর আকৃতিতে তার দেহ ষাট হাত লম্বা করে দেওয়া হবে এবং তার মাথায় জাহান্নামের টুপি পরানো হবে। তার সাথী-সঙ্গীগণ তাকে দেখে বলবে, হে আল্লাহ! তাকে লাঞ্ছিত কর। সে বলবে, আল্লাহ তোমাদেরকে দূর করে দিন। কেননা, তোমাদের প্রত্যেকের জন্য এরূপ পরিণাম রয়েছে।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' এ হাদীস উল্লেখ করেছেন। হাদীসটি উল্লিখিত পাঠ তাঁরই বর্ণিত। বায়হাকী ও আল-বাস' গ্রন্তে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' এ হাদীস উল্লেখ করেছেন। হাদীসটি উল্লিখিত পাঠ তাঁরই বর্ণিত। বায়হাকী ও আল-বাস' গ্রন্তে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5501- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي قَوْله
يَوْم ندعوا كل أنَاس بإمامهم الْإِسْرَاء 27
قَالَ يدعى أحدهم فَيعْطى كِتَابه بِيَمِينِهِ ويمد لَهُ فِي جِسْمه سِتُّونَ ذِرَاعا ويبيض وَجهه وَيجْعَل على رَأسه تَاج من لُؤْلُؤ يتلألأ
قَالَ فَينْطَلق إِلَى أَصْحَابه فيرونه من بعيد فَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ بَارك لنا فِي هَذَا حَتَّى يَأْتِيهم فَيَقُول أَبْشِرُوا فَإِن لكل رجل مِنْكُم مثل هَذَا وَأما الْكَافِر فَيعْطى كِتَابه بِشمَالِهِ مسودا وَجهه ويمد لَهُ فِي جِسْمه سِتُّونَ ذِرَاعا على صُورَة آدم وَيجْعَل على رَأسه تَاج من نَار فيراه أَصْحَابه فَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ اخزه فَيَقُول أبعدكم الله فَإِن لكل رجل مِنْكُم مثل هَذَا
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْبَيْهَقِيّ فِي الْبَعْث
يَوْم ندعوا كل أنَاس بإمامهم الْإِسْرَاء 27
قَالَ يدعى أحدهم فَيعْطى كِتَابه بِيَمِينِهِ ويمد لَهُ فِي جِسْمه سِتُّونَ ذِرَاعا ويبيض وَجهه وَيجْعَل على رَأسه تَاج من لُؤْلُؤ يتلألأ
قَالَ فَينْطَلق إِلَى أَصْحَابه فيرونه من بعيد فَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ بَارك لنا فِي هَذَا حَتَّى يَأْتِيهم فَيَقُول أَبْشِرُوا فَإِن لكل رجل مِنْكُم مثل هَذَا وَأما الْكَافِر فَيعْطى كِتَابه بِشمَالِهِ مسودا وَجهه ويمد لَهُ فِي جِسْمه سِتُّونَ ذِرَاعا على صُورَة آدم وَيجْعَل على رَأسه تَاج من نَار فيراه أَصْحَابه فَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ اخزه فَيَقُول أبعدكم الله فَإِن لكل رجل مِنْكُم مثل هَذَا
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْبَيْهَقِيّ فِي الْبَعْث
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫০২
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫০২. হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমার হাওযে কাওসারের আয়তন এক মাসের দূরত্ব। তার পানি দুধের চেয়ে শুভ্রতর, তার ঘ্রাণ মিশকের চেয়ে সুগন্ধিময় তার পানপাত্রসমূহ সংখ্যায় আকাশের তারকারাজির সমান। যে তা থেকে পানি পান করবে, সে কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না।
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5502- عَن عبد الله بن عَمْرو بن العَاصِي رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حَوْضِي مسيرَة شهر مَاؤُهُ أَبيض من اللَّبن وريحه أطيب من الْمسك وكيزانه كنجوم السَّمَاء من شرب مِنْهُ لَا يظمأ أبدا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫০৩
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫০৩. অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, আমার হাওযে কাওসার এক মাসের দূরত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। তার চতুর্দিকের বিস্তৃত হবে সমান সমান। তার পানি হবে রূপার চেয়েও সাদা।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5503- وَفِي رِوَايَة حَوْضِي مسيرَة شهر وزواياه سَوَاء وماؤه أَبيض من الْوَرق
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫০৪
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫০৪. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমার হাওযে কাওসার এ থেকে এ পর্যন্ত হবে। তাতে পানপাত্র থাকবে তারকারাজির সংখ্যায়। তার পানি মিশকের চেয়ে সুগন্ধিময়, মধুর চেয়ে অধিকতর মিষ্ট, বরফের চেয়ে অধিকতর শীতল এবং দুধের চেয়ে অধিকতর সাদা। যে তা থেকে এক ঢোক পানি পান করবে তার কখনও তৃষ্ণা পাবে না। আর যে তা থেকে পানি পান করে নাই সে কখনও পরিতৃপ্ত হবে না।
(বাযযার ও তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মাসউদ ব্যতীত এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।)
(বাযযার ও তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মাসউদ ব্যতীত এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5504- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حَوْضِي من كَذَا إِلَى كَذَا فِيهِ من الْآنِية عدد النُّجُوم أطيب ريحًا من الْمسك وَأحلى من الْعَسَل وأبرد من الثَّلج وأبيض من اللَّبن من شرب مِنْهُ شربة لم يظمأ أبدا وَمن لم يشرب مِنْهُ لم يرو أبدا
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا المَسْعُودِيّ
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا المَسْعُودِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫০৫
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫০৫. হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা আমার সাথে ওয়াদা করেছেন যে, তিনি আমার উম্মাত থেকে সত্তর হাজার লোককে বিনা হিসাবে জান্নাতে দাখিল করবেন। ইয়াযীদ ইবন আখনাস (রা) বললেন, এরা তো আপনার উম্মাতের মধ্যে মাছির মাঝে লাল মাছির মতই নগণ্যসংখ্যক। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তিনি আমার সাথে সত্তর হাজারের ওয়াদা করেছেন। তন্মধ্যে প্রত্যেক হাজারের সাথে থাকবে আরও সত্তর হাজার এবং এর সাথে আরও তিন মুঠো আমাকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। সে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর নবী। আপনার হাওযে কাওসারের বিস্তৃতি কতটুকু? তিনি বললেন, আদন থেকে আম্মানের মধ্যবর্তী স্থানের সমান। তার চেয়ে বেশি, তার চেয়ে বেশি। এ বলে তিনি আপন হাত দ্বারা ইশারা করেন। তিনি বললেন, তাতে দু'টি স্বর্ণ ও রূপার নালী আছে। সে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর নবী। আপনার হাওযে কাওসারের পানি কেমন হবে? তিনি বললেন, দুধের চেয়ে অধিক সাদা, মধুর চেয়ে অধিক মিষ্টি এবং মিশকের চেয়ে অধিক সুগন্ধিময়। যে তা থেকে এক ঢোক পানি পান করবে, সে তারপর কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না এবং তার চেহারা কখনো কালিমা আচ্ছন্ন হবে না।
(আহমাদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী সহীহ্ হাদীসের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য। ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' কিতাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণিত রিওয়ায়েতে তিনি বলেন,
আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, ইয়াযীদ ইবন আখনাস (রা) জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আপনার হাওযে কাওসারের বিস্তৃতি কতটুকু? তিনি বললেন, আদন থেকে আম্মানের মধ্যবর্তী স্থানের সমান। তাতে আছে স্বর্ণ ও রূপার দু'টি নালী। সে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর নবী। আপনার হাওযে কাওসারের পানি কেমন হবে? তিনি বললেন, দুধের চেয়ে অধিক সাদা, মধুর চেয়ে অধিক মিষ্টি এবং মিশকের চেয়ে অধিক সুগন্ধিময়। যে তা থেকে পানি পান করবে, সে কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না এবং তার চেহারা কখনও কালিমা আচ্ছন্ন হবে না।)
(আহমাদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী সহীহ্ হাদীসের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য। ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' কিতাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণিত রিওয়ায়েতে তিনি বলেন,
আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, ইয়াযীদ ইবন আখনাস (রা) জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আপনার হাওযে কাওসারের বিস্তৃতি কতটুকু? তিনি বললেন, আদন থেকে আম্মানের মধ্যবর্তী স্থানের সমান। তাতে আছে স্বর্ণ ও রূপার দু'টি নালী। সে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর নবী। আপনার হাওযে কাওসারের পানি কেমন হবে? তিনি বললেন, দুধের চেয়ে অধিক সাদা, মধুর চেয়ে অধিক মিষ্টি এবং মিশকের চেয়ে অধিক সুগন্ধিময়। যে তা থেকে পানি পান করবে, সে কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না এবং তার চেহারা কখনও কালিমা আচ্ছন্ন হবে না।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5505- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الله وَعَدَني أَن يدْخل الْجنَّة من أمتِي سبعين ألفا بِغَيْر حِسَاب فَقَالَ يزِيد بن الْأَخْنَس وَالله مَا أُولَئِكَ فِي أمتك إِلَّا كالذباب الأصهب فِي الذُّبَاب فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قد وَعَدَني سبعين ألفا مَعَ كل ألف سبعين ألفا وَزَادَنِي ثَلَاث حثيات
قَالَ فَمَا سَعَة حوضك يَا نَبِي الله قَالَ كَمَا بَين عدن
إِلَى عمان وأوسع وأوسع يُشِير بِيَدِهِ قَالَ فِيهِ مثعبان من ذهب وَفِضة
قَالَ فماء حوضك يَا نَبِي الله قَالَ أَشد بَيَاضًا من اللَّبن وَأحلى من الْعَسَل وَأطيب رَائِحَة من الْمسك من شرب مِنْهُ شربة لم يظمأ بعْدهَا أبدا وَلم يسود وَجهه
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
وَلَفظه قَالَ عَن أبي أُمَامَة أَن يزِيد بن الْأَخْنَس رَضِي الله عَنهُ قَالَ يَا رَسُول الله مَا سَعَة حوضك قَالَ مَا بَين عدن إِلَى عمان وَإِن فِيهِ مثعبين من ذهب وَفِضة
قَالَ فماء حوضك يَا نَبِي الله قَالَ أَشد بَيَاضًا من اللَّبن وَأحلى مذاقة من الْعَسَل وَأطيب رَائِحَة من الْمسك من شرب مِنْهُ لم يظمأ أبدا وَلم يسود وَجهه أبدا
قَالَ فَمَا سَعَة حوضك يَا نَبِي الله قَالَ كَمَا بَين عدن
إِلَى عمان وأوسع وأوسع يُشِير بِيَدِهِ قَالَ فِيهِ مثعبان من ذهب وَفِضة
قَالَ فماء حوضك يَا نَبِي الله قَالَ أَشد بَيَاضًا من اللَّبن وَأحلى من الْعَسَل وَأطيب رَائِحَة من الْمسك من شرب مِنْهُ شربة لم يظمأ بعْدهَا أبدا وَلم يسود وَجهه
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
وَلَفظه قَالَ عَن أبي أُمَامَة أَن يزِيد بن الْأَخْنَس رَضِي الله عَنهُ قَالَ يَا رَسُول الله مَا سَعَة حوضك قَالَ مَا بَين عدن إِلَى عمان وَإِن فِيهِ مثعبين من ذهب وَفِضة
قَالَ فماء حوضك يَا نَبِي الله قَالَ أَشد بَيَاضًا من اللَّبن وَأحلى مذاقة من الْعَسَل وَأطيب رَائِحَة من الْمسك من شرب مِنْهُ لم يظمأ أبدا وَلم يسود وَجهه أبدا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫০৬
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫০৬. হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। বলেছেন, নিশ্চয় আমি আমার হাওযে কাওসারের পশ্চাদভাগে থাকব, ইয়ামানবাসীদের পানি পান করার জন্য মানুষ সরিয়ে দেব। আমি আমার লাঠি দ্বারা (পানিতে) আঘাত করব, যার ফলে তাদের গায়ে পানির ছিটা পড়বে। এরপর তাঁকে হাওযে কাওসারের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, আমার অবস্থানের জায়গা থেকে আম্মান পর্যন্ত এবং তার পানীয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, দুধের চেয়ে অধিক সাদা এবং মধুর চেয়ে অধিক মিষ্টি। তা থেকে দু'টি নালী প্রবাহিত হবে। নালীদ্বয় হাওযটিকে জান্নাত পর্যন্ত বইয়ে নিয়ে যাবে। একটি নালী হবে স্বর্ণের, অপরটি রূপার।
(মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী, ইবন মাজাহ ও হাকিম আবূ সালাম হাবশীর সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ্ সাব্যস্ত করেছেন। আবু সালাম হাবশী বলেন, উমার ইবন আব্দুল আযীয (র) আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমি তাঁর কাছে পৌঁছার পর তাঁকে বললাম, হে আমীরুল মু'মিনীন। আমার আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তিনি বললেন, হে আবু সালাম, আপনাকে কষ্ট দেওয়া উদ্দেশ্য নয়, তবে আপনার সূত্রে আমার কাছে একটি হাদীস এসেছে, যা আপনি হাওযে কাওসার সম্পর্কে সাওবান (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। সুতরাং আমার ইচ্ছা হল, হাদীসটি আপনি সরাসরি নিজ মুখে আমাকে বলবেন। তখন আমি বললাম, সাওবান (রা) আমাকে বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমার হাওযে কাওসার আদন থেকে আম্মান আল-বালকা'র মধ্যবর্তী জায়গার সমান। তার পানি বরফের চেয়ে অধিক সাদা, মধুর চেয়ে অধিক মিষ্টি এবং তার পানপাত্র রাশি সংখ্যায় আকাশের তারকারাজির সমান। যে তা থেকে এক ঢোক পানি পান করবে সে এরপর কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না। হাওযে কাওসারে পানি পানের জন্য সর্বপ্রথম আগমনকারী মানুষ হবে দরিদ্র মুহাজিরগণ। তাদের মাথার চুল হবে উসকো খুসকো, কাপড় হবে জীর্ণ মলিন, যারা প্রাচুর্য মণ্ডিতাদেরকে বিবাহ করে না এবং যাদের জন্যে সাধারণত দরজা খোলা হয় না। উমর (রা) বললেন, আমার কাছে তো প্রাচুর্যমণ্ডিতা নারী ফাতিমা বিনতে আবদুল মালিককে বিবাহ দেওয়া হয়েছে এবং আমার জন্য দরজাও খোলা হয়ে থাকে। কাজেই আমি আমার চুল উসকো খুসকো না হওয়া আমার মাথা ধৌত করব না, এবং যে কাপড় আমার দেহ রয়েছে তা ময়লা না হওয়া পর্যন্ত ধৌত করব না।)
(মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী, ইবন মাজাহ ও হাকিম আবূ সালাম হাবশীর সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ্ সাব্যস্ত করেছেন। আবু সালাম হাবশী বলেন, উমার ইবন আব্দুল আযীয (র) আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমি তাঁর কাছে পৌঁছার পর তাঁকে বললাম, হে আমীরুল মু'মিনীন। আমার আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তিনি বললেন, হে আবু সালাম, আপনাকে কষ্ট দেওয়া উদ্দেশ্য নয়, তবে আপনার সূত্রে আমার কাছে একটি হাদীস এসেছে, যা আপনি হাওযে কাওসার সম্পর্কে সাওবান (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। সুতরাং আমার ইচ্ছা হল, হাদীসটি আপনি সরাসরি নিজ মুখে আমাকে বলবেন। তখন আমি বললাম, সাওবান (রা) আমাকে বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমার হাওযে কাওসার আদন থেকে আম্মান আল-বালকা'র মধ্যবর্তী জায়গার সমান। তার পানি বরফের চেয়ে অধিক সাদা, মধুর চেয়ে অধিক মিষ্টি এবং তার পানপাত্র রাশি সংখ্যায় আকাশের তারকারাজির সমান। যে তা থেকে এক ঢোক পানি পান করবে সে এরপর কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না। হাওযে কাওসারে পানি পানের জন্য সর্বপ্রথম আগমনকারী মানুষ হবে দরিদ্র মুহাজিরগণ। তাদের মাথার চুল হবে উসকো খুসকো, কাপড় হবে জীর্ণ মলিন, যারা প্রাচুর্য মণ্ডিতাদেরকে বিবাহ করে না এবং যাদের জন্যে সাধারণত দরজা খোলা হয় না। উমর (রা) বললেন, আমার কাছে তো প্রাচুর্যমণ্ডিতা নারী ফাতিমা বিনতে আবদুল মালিককে বিবাহ দেওয়া হয়েছে এবং আমার জন্য দরজাও খোলা হয়ে থাকে। কাজেই আমি আমার চুল উসকো খুসকো না হওয়া আমার মাথা ধৌত করব না, এবং যে কাপড় আমার দেহ রয়েছে তা ময়লা না হওয়া পর্যন্ত ধৌত করব না।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5506- وَعَن ثَوْبَان رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِنِّي لبعقر حَوْضِي أذود النَّاس لأهل الْيمن أضْرب بعصاي حَتَّى يرفض عَلَيْهِم فَسئلَ عَن عرضه فَقَالَ من مقَامي إِلَى عمان وَسُئِلَ عَن شرابه فَقَالَ أَشد بَيَاضًا من اللَّبن وَأحلى من الْعَسَل يغت فِيهِ مِيزَابَانِ يمدانه من الْجنَّة أَحدهمَا من ذهب وَالْآخر من ورق
رَوَاهُ مُسلم وروى التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَصَححهُ عَن أبي سَلام الحبشي قَالَ بعث إِلَيّ عمر بن عبد الْعَزِيز فَحملت على الْبَرِيد فَلَمَّا دخلت إِلَيْهِ قلت يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ لقد شقّ عَليّ مركبي الْبَرِيد فَقَالَ يَا أَبَا سَلام مَا أردْت أَن أشق عَلَيْك وَلَكِن بَلغنِي عَنْك حَدِيث تحدثه عَن ثَوْبَان عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي الْحَوْض فَأَحْبَبْت أَن تشافهني بِهِ فَقلت حَدثنِي ثَوْبَان أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ حَوْضِي مثل مَا بَين عدن إِلَى عمان البلقاء مَاؤُهُ أَشد بَيَاضًا من الثَّلج وَأحلى من الْعَسَل وأكوابه عدد نُجُوم السَّمَاء من شرب مِنْهُ شربة لم يظمأ بعْدهَا أبدا وَأول النَّاس ورودا عَلَيْهِ فُقَرَاء الْمُهَاجِرين الشعث رؤوسا الدنس ثيابًا الَّذين لَا ينْكحُونَ الْمُنَعَّمَاتِ وَلَا تفتح لَهُم أَبْوَاب السدد فَقَالَ عمر قد أنكحت الْمُنَعَّمَاتِ فَاطِمَة بنت عبد الْملك وَفتحت لي أَبْوَاب السدد لَا جرم لَا أغسل رَأْسِي حَتَّى يشعث وَلَا ثوبي الَّذِي يَلِي جَسَدِي حَتَّى يتسخ
رَوَاهُ مُسلم وروى التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَصَححهُ عَن أبي سَلام الحبشي قَالَ بعث إِلَيّ عمر بن عبد الْعَزِيز فَحملت على الْبَرِيد فَلَمَّا دخلت إِلَيْهِ قلت يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ لقد شقّ عَليّ مركبي الْبَرِيد فَقَالَ يَا أَبَا سَلام مَا أردْت أَن أشق عَلَيْك وَلَكِن بَلغنِي عَنْك حَدِيث تحدثه عَن ثَوْبَان عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي الْحَوْض فَأَحْبَبْت أَن تشافهني بِهِ فَقلت حَدثنِي ثَوْبَان أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ حَوْضِي مثل مَا بَين عدن إِلَى عمان البلقاء مَاؤُهُ أَشد بَيَاضًا من الثَّلج وَأحلى من الْعَسَل وأكوابه عدد نُجُوم السَّمَاء من شرب مِنْهُ شربة لم يظمأ بعْدهَا أبدا وَأول النَّاس ورودا عَلَيْهِ فُقَرَاء الْمُهَاجِرين الشعث رؤوسا الدنس ثيابًا الَّذين لَا ينْكحُونَ الْمُنَعَّمَاتِ وَلَا تفتح لَهُم أَبْوَاب السدد فَقَالَ عمر قد أنكحت الْمُنَعَّمَاتِ فَاطِمَة بنت عبد الْملك وَفتحت لي أَبْوَاب السدد لَا جرم لَا أغسل رَأْسِي حَتَّى يشعث وَلَا ثوبي الَّذِي يَلِي جَسَدِي حَتَّى يتسخ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫০৭
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫০৭. হযরত ইবন উমার (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমার হাওয়ের বিস্তৃতি আদন ও আম্মানের মধ্যবর্তী স্থানের সমান। তার পানি বরফের চেয়ে অধিক ঠান্ডা, মধুর চেয়ে অধিক মিষ্টি ও মিশকের চেয়ে অধিক সুগন্ধিময়। তার পানপাত্রগুলো সংখ্যায় আকাশের তারকারাজির সমান। যে তা থেকে এক ঢোক পানি পান করবে সে এরপর কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না। তাতে পানি পানের জন্য সর্বপ্রথম আগমনকারী মানুষ হবে দরিদ্র মুহাজিরগণ। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তারা কারা? তিনি বললেন, যাদের মাথার চুল উসকো খুসকো, চেহারা জীর্ণ-শীর্ণ, কাপড় ময়লাযুক্ত, যাদের জন্য দরজা খোলা হয় না, যারা প্রাচুর্য মন্ডিতা নারীদেরকে বিবাহ করে না, যারা তাদের কাছে প্রাপ্য সবকিছু আদায় করে দেয় এবং তাদের পাপ্য তারা পুরোপুরি গ্রহণ করে না।
(আহমাদ (র) হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(আহমাদ (র) হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5507- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ حَوْضِي كَمَا بَين عدن وعمان أبرد من الثَّلج وَأحلى من الْعَسَل وَأطيب ريحًا من الْمسك أكوابه مثل نُجُوم السَّمَاء من شرب مِنْهُ شربة لم يظمأ بعْدهَا أبدا أول النَّاس عَلَيْهِ ورودا صعاليك الْمُهَاجِرين
قَالَ قَائِل من هم يَا رَسُول الله قَالَ الشعثة رؤوسهم الشحبة وُجُوههم الدنسة ثِيَابهمْ لَا تفتح لَهُم السدد وَلَا ينْكحُونَ الْمُنَعَّمَاتِ الَّذين يُعْطون كل الَّذِي عَلَيْهِم وَلَا يَأْخُذُونَ كل الَّذِي لَهُم
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
قَالَ قَائِل من هم يَا رَسُول الله قَالَ الشعثة رؤوسهم الشحبة وُجُوههم الدنسة ثِيَابهمْ لَا تفتح لَهُم السدد وَلَا ينْكحُونَ الْمُنَعَّمَاتِ الَّذين يُعْطون كل الَّذِي عَلَيْهِم وَلَا يَأْخُذُونَ كل الَّذِي لَهُم
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫০৮
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫০৮. হযরত আবু উমামা বাহিলী (রা)-এ সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার হাওযে কাওসার আদন ও আম্মানের মধ্যবর্তী স্থানের সমান। তাতে পানপাত্র রাশি রয়েছে আকাশের তারকারাজির সংখ্যায়। যে তা থেকে পানি পান করবে, সে এরপর কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না। আমার উম্মাতের যারা আমার কাছে পানি পাত্র করতে যাবে তাদের মাথার চুল হবে উসকো খুসকো তাদের কাপড় হবে ময়লাযুক্ত, তারা প্রাচুর্যমণ্ডিতা নারীদেরকে বিবাহ করে না এবং তারা ক্ষমতাসীনদের দরজায় যায় না।
(তাবারানী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মুতাবি'আতের ক্ষেত্রে হাদীসটির সনদ হাসান।)
(তাবারানী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মুতাবি'আতের ক্ষেত্রে হাদীসটির সনদ হাসান।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5508- وَعَن أبي أُمَامَة الْبَاهِلِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ حَوْضِي كَمَا بَين عدن وعمان فِيهِ أكاويب عدد نُجُوم السَّمَاء من شرب مِنْهُ لم يظمأ بعْدهَا أبدا وَإِن من يردهُ عَليّ من أمتِي الشعثة رؤوسهم الدنسة ثِيَابهمْ لَا ينْكحُونَ الْمُنَعَّمَاتِ وَلَا يحْضرُون السدد يَعْنِي أَبْوَاب السُّلْطَان
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَإِسْنَاده حسن فِي المتابعات
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَإِسْنَاده حسن فِي المتابعات
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫০৯
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫০৯. হযরত আনাস (রা) সূত্রে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমার হাওযে কাওসারের দুই
পার্শ্বের মধ্যবর্তী স্থান সানা'আ ও মদীনার মধ্যবর্তী স্থানের সমান।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, 'মদীনা ও আম্মানের মধ্যবর্তী স্থানের সমান'।
আরেক রিওয়ায়েতে আছে, তুমি তাতে আকাশের তারকারাজির সংখ্যায় স্বর্ণ ও রূপার পানপাত্র রাশি দেখতে পাবে'। অন্য এক রিওয়ায়েতে এটুকু বেশি আছে, 'অথবা আকাশের তারকারাজির সংখ্যার চেয়ে অধিক।"
( হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও প্রমুখ বর্ণনা করেছেন।
পার্শ্বের মধ্যবর্তী স্থান সানা'আ ও মদীনার মধ্যবর্তী স্থানের সমান।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, 'মদীনা ও আম্মানের মধ্যবর্তী স্থানের সমান'।
আরেক রিওয়ায়েতে আছে, তুমি তাতে আকাশের তারকারাজির সংখ্যায় স্বর্ণ ও রূপার পানপাত্র রাশি দেখতে পাবে'। অন্য এক রিওয়ায়েতে এটুকু বেশি আছে, 'অথবা আকাশের তারকারাজির সংখ্যার চেয়ে অধিক।"
( হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও প্রমুখ বর্ণনা করেছেন।
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5509- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا بَين جنبتي حَوْضِي كَمَا بَين صنعاء وَالْمَدينَة
وَفِي رِوَايَة مثل مَا بَين الْمَدِينَة وعمان
وَفِي رِوَايَة ترى فِيهِ أَبَارِيق الذَّهَب وَالْفِضَّة كعدد نُجُوم السَّمَاء
زَاد فِي رِوَايَة أَو أَكثر من عدد نُجُوم السَّمَاء
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا
وَفِي رِوَايَة مثل مَا بَين الْمَدِينَة وعمان
وَفِي رِوَايَة ترى فِيهِ أَبَارِيق الذَّهَب وَالْفِضَّة كعدد نُجُوم السَّمَاء
زَاد فِي رِوَايَة أَو أَكثر من عدد نُجُوم السَّمَاء
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫১০
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫১০. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমাকে হাওযে কাওসার প্রদান করা হয়েছে। অতঃপর আমি তাতে হাত দিয়ে দেখলাম যে, তা উৎকৃষ্ট সুগন্ধিময় মিশক। তার কংকরগুলো হচ্ছে মুক্তা এবং তার কিনারসমূহ (বর্ণনাকারী বলেন,) আমার ধারণা মতে, তিনি বলেছেন, কতগুলো গুম্বুজ। সে হাওযের পানি ভূমিতে এভাবে প্রবাহিত হয় যে, হাওযের পাড়ে কোন ভাঙ্গন নেই।
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর সনদ মুতাবি'আতের ক্ষেত্রে হাসান। হাওযে কাওসার সম্পর্কিত অনেক হাদীস ইনশা আল্লাহ্ জান্নাতের বর্ণনায় পরে উল্লিখিত হবে।)
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর সনদ মুতাবি'আতের ক্ষেত্রে হাসান। হাওযে কাওসার সম্পর্কিত অনেক হাদীস ইনশা আল্লাহ্ জান্নাতের বর্ণনায় পরে উল্লিখিত হবে।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5510- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أَعْطَيْت الْكَوْثَر فَضربت بيَدي فَإِذا هِيَ مسكة ذفرة وَإِذا حصباؤها اللُّؤْلُؤ وَإِذا حافتاه أَظُنهُ قَالَ قباب تجْرِي على الأَرْض جَريا لَيْسَ بمشقوق
رَوَاهُ الْبَزَّار وَإِسْنَاده حسن فِي المتابعات وَيَأْتِي أَحَادِيث الْكَوْثَر فِي صِفَات الْجنَّة إِن شَاءَ الله تَعَالَى
رَوَاهُ الْبَزَّار وَإِسْنَاده حسن فِي المتابعات وَيَأْتِي أَحَادِيث الْكَوْثَر فِي صِفَات الْجنَّة إِن شَاءَ الله تَعَالَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫১১
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫১১. হযরত উৎবা ইবনে আব্দুস সুলামী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন গ্রামীণ লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, আপনি যে হাওযে কাওসারের বর্ণনা দেন, তা কি? তিনি বললেন, এটা সান'আ থেকে বুসরা'র মধ্যবর্তী স্থানের সমান। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে তার একটি দিক বৃদ্ধি করে দিয়ে সাহায্য করবেন, যার দুইটি দিকের কোন একটি দিক কোন সৃষ্ট মানুষ জানে না। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তারপর উমর (রা) আল্লাহ্ আকবর বলে উঠলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হাওযে কাওসারে দরিদ্র মুহাজিরগণ ভিড় জমাবে, যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয় এবং আল্লাহর পথে জীবন দেয়। আমি আশা করি, আল্লাহ তা'আলা আমাকে হাওযে কাওসারের কিনারায় হাযির করবেন এবং আমি তা থেকে পানি পান করব।
(ইবন হিব্বান (র) তাঁর 'সহীহ' কিতাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(ইবন হিব্বান (র) তাঁর 'সহীহ' কিতাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5511- وَعَن عتبَة بن عبد السّلمِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَامَ أَعْرَابِي إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ مَا حوضك الَّذِي تحدث عَنهُ فَقَالَ هُوَ كَمَا بَين صنعاء إِلَى بصرى ثمَّ يمدني الله فِيهِ بكراع لَا يدْرِي بشر مِمَّن خلق أَي طَرفَيْهِ قَالَ فَكبر عمر رضوَان الله عَلَيْهِ فَقَالَ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أما الْحَوْض فيزدحم عَلَيْهِ فُقَرَاء الْمُهَاجِرين الَّذين يقتلُون فِي سَبِيل الله ويموتون فِي سَبِيل الله وَأَرْجُو أَن يوردني الله الكراع فأشرب مِنْهُ
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫১২
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫১২. হযরত আবূ বারযা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আমার হাওযে কাওসারের দুই পার্শ্বের দূরত্ব আয়লা থেকে সান'আর মধ্যবর্তী স্থানের সমান, এক মাসের দূরত্ব। এর দৈর্ঘ্য প্রস্থের সমান। তাতে দু'টি সোনা ও রূপার নালী রয়েছে, নালী দু'টি জান্নাত থেকে উৎসারিত। যার পানি দুধের চেয়ে অধিক সাদা, বরফের চেয়ে অধিক ঠাণ্ডা। তাতে আকাশের তারকারাজির সংখ্যা পানপাত্র রয়েছে।
(তাবারানী ও ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ্' কিতাবে আবুল ওয়াযি'-এর রিওয়ায়েতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর মূল নাম জাবির ইবন 'আমর' তিনি আবু বারযা থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির উল্লিখিত ভাষা ইবন হিব্বান বর্ণিত।)
(তাবারানী ও ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ্' কিতাবে আবুল ওয়াযি'-এর রিওয়ায়েতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর মূল নাম জাবির ইবন 'আমর' তিনি আবু বারযা থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির উল্লিখিত ভাষা ইবন হিব্বান বর্ণিত।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5512- وَعَن أبي بَرزَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا بَين ناحيتي حَوْضِي كَمَا بَين أَيْلَة إِلَى صنعاء مسيرَة شهر عرضه كَطُولِهِ فِيهِ مرزابان ينبعثان من الْجنَّة من ورق وَذهب أَبيض من اللَّبن وأبرد من الثَّلج فِيهِ أَبَارِيق عدد نُجُوم السَّمَاء
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه من رِوَايَة أبي الْوَازِع واسْمه جَابر بن عَمْرو عَن أبي بَرزَة وَاللَّفْظ لِابْنِ حبَان
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه من رِوَايَة أبي الْوَازِع واسْمه جَابر بن عَمْرو عَن أبي بَرزَة وَاللَّفْظ لِابْنِ حبَان
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫১৩
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫১৩. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় আমার একটি হাওয রয়েছে, যা কা'বা ও বায়তুল মুকাদ্দাস-এর মধ্যবর্তী স্থান। যার পানি দুধের চেয়ে অধিক সাদা। তার পানপাত্র তারকারাজির সংখ্যার সমান এবং নিশ্চয় আমি কিয়ামতের দিন নবীদের মধ্যে সর্বাধিক অনুসারীর অধিকারী হব।
(ইবন মাজাহ যাকারিয়ার রিওয়ায়েতে আতিয়্যা আওফীর সূত্রে আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(ইবন মাজাহ যাকারিয়ার রিওয়ায়েতে আতিয়্যা আওফীর সূত্রে আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5513- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن لي حوضا مَا بَين الْكَعْبَة وَبَيت الْمُقَدّس أَبيض مثل اللَّبن آنيته كعدد النُّجُوم وَإِنِّي لأكْثر الْأَنْبِيَاء تبعا يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه من حَدِيث زَكَرِيَّا عَن عَطِيَّة وَهُوَ الْعَوْفِيّ عَنهُ
رَوَاهُ ابْن مَاجَه من حَدِيث زَكَرِيَّا عَن عَطِيَّة وَهُوَ الْعَوْفِيّ عَنهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫১৪
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫১৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, একসময় আমি হাওযে কাওসারের পাড়ে দাঁড়ানো থাকব। তখন একটি দল আসবে। তখন আমি তাদেরকে চিনব। তখন আমার ও তাদের মাঝ থেকে একজন লোক বের হবে এবং বলবে, অগ্রসর হও। আমি জিজ্ঞেস করব, কোন দিকে? সে বলবে, আল্লাহর কসম, জাহান্নামের দিকে। আমি জিজ্ঞেস করব, তাদের হয়েছেটা কি? সে বলবে, তারা উন্মতদের পেছনের দিকে ফিরে গিয়েছিল।
এরপর আরেকটি দল আসবে। যখন আমি তাদেরকে চিনব, তখন আমার ও তাদের মাঝ থেকে একজন লোক বের হবে এবং তাদেরকে বলবে, অগ্রসর হও। আমি জিজ্ঞেস করব, কোন দিকে? সে বলবে, আল্লাহর কসম জাহান্নামের দিকে। আমি জিজ্ঞেস করব, তাদের হয়েছেটা কি? সে বলবে, তারা তাদের পেছনের দিকে ফিরে গিয়েছিল। তখন পশুপাল থেকে হারিয়ে যাওয়া (দু'একটি) পশুর মত (নগন্যসংখ্যক) ব্যতীত তন্মধ্যে কাউকে মুক্তি পেতে দেখব না।
(বুখারী ও মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
এরপর আরেকটি দল আসবে। যখন আমি তাদেরকে চিনব, তখন আমার ও তাদের মাঝ থেকে একজন লোক বের হবে এবং তাদেরকে বলবে, অগ্রসর হও। আমি জিজ্ঞেস করব, কোন দিকে? সে বলবে, আল্লাহর কসম জাহান্নামের দিকে। আমি জিজ্ঞেস করব, তাদের হয়েছেটা কি? সে বলবে, তারা তাদের পেছনের দিকে ফিরে গিয়েছিল। তখন পশুপাল থেকে হারিয়ে যাওয়া (দু'একটি) পশুর মত (নগন্যসংখ্যক) ব্যতীত তন্মধ্যে কাউকে মুক্তি পেতে দেখব না।
(বুখারী ও মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5514- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ بَينا أَنا قَائِم على الْحَوْض إِذا زمرة حَتَّى إِذا عرفتهم خرج رجل من بيني وَبينهمْ فَقَالَ هَلُمَّ فَقلت إِلَى أَيْن قَالَ إِلَى النَّار وَالله
فَقلت مَا شَأْنهمْ فَقَالَ إِنَّهُم ارْتَدُّوا على أدبارهم الْقَهْقَرَى ثمَّ إِذا زمرة أُخْرَى حَتَّى إِذا عرفتهم خرج رجل من بيني وَبينهمْ
فَقَالَ لَهُم هَلُمَّ قلت إِلَى أَيْن قَالَ إِلَى النَّار وَالله قلت مَا شَأْنهمْ قَالَ إِنَّهُم ارْتَدُّوا على أدبارهم فَلَا أرَاهُ يخلص مِنْهُم إِلَّا مثل همل النعم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
فَقلت مَا شَأْنهمْ فَقَالَ إِنَّهُم ارْتَدُّوا على أدبارهم الْقَهْقَرَى ثمَّ إِذا زمرة أُخْرَى حَتَّى إِذا عرفتهم خرج رجل من بيني وَبينهمْ
فَقَالَ لَهُم هَلُمَّ قلت إِلَى أَيْن قَالَ إِلَى النَّار وَالله قلت مَا شَأْنهمْ قَالَ إِنَّهُم ارْتَدُّوا على أدبارهم فَلَا أرَاهُ يخلص مِنْهُم إِلَّا مثل همل النعم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫১৫
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫১৫. মুসলিমের অপর এক রিওয়ায়েতে তিনি বলেন, আমার উম্মাত হাওযে কাওসারে আমার কাছে পানি পান করতে আসবে এবং আমি লোকজনকে সেখান থেকে এভাবে সরাব, যেমন কোন ব্যক্তি অন্যের উটকে তার উট থেকে সরিয়ে দেয়। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর নবী। আপনি আমাদেরকে চিনবেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তোমাদের এমন একটি চিহ্ন থাকবে, যা তোমাদের ব্যতীত অন্য কারই থাকবে না। তোমরা উযূর চিহ্নের কারণে আমার কাছে (তোমাদের) উযূর অঙ্গগুলো ও চেহারা উজ্জ্বল অবস্থায় পানি পান করতে আসবে। তোমাদের একটি দলকে আমার কাছে আসতে বারণ করা হবে। তাই তারা পৌঁছতে পারবে না। তখন আমি বলব, হে আমার প্রতিপালক। এরা তো আমার অনুসারী। একজন ফিরিশতা আমাকে জবাব দিয়ে বলবে, আপনি কি জানেন, তারা আপনার পরে কি নতুন ব্যাপার স্যাপার করেছে?
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5515- وَلمُسلم قَالَ ترد عَليّ أمتِي الْحَوْض وَأَنا أذود النَّاس عَنهُ كَمَا يذود الرجل إبل الرجل عَن إبِله
قَالُوا يَا نَبِي الله تعرفنا قَالَ نعم لكم سِيمَا لَيست لأحد غَيْركُمْ تردون عَليّ غرا محجلين من آثَار الْوضُوء وليصدن عني طَائِفَة مِنْكُم فَلَا يصلونَ فَأَقُول يَا رب هَؤُلَاءِ من أَصْحَابِي فيجيبني ملك فَيَقُول وَهل تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بعْدك
قَالُوا يَا نَبِي الله تعرفنا قَالَ نعم لكم سِيمَا لَيست لأحد غَيْركُمْ تردون عَليّ غرا محجلين من آثَار الْوضُوء وليصدن عني طَائِفَة مِنْكُم فَلَا يصلونَ فَأَقُول يَا رب هَؤُلَاءِ من أَصْحَابِي فيجيبني ملك فَيَقُول وَهل تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بعْدك
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫১৬
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫১৬. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে তার সাহাবীদের সামনে বলতে শুনেছি, তোমাদের থেকে যে আমার কাছে পান করার জন্য আসবে, আমি হাওযে কাওসারের পাড়ে তাকে দেখব। আল্লাহর কসম, তখন কিছু লোককে আমার কাছে আসতে বাধা দেওয়া হবে। আমি বলব, হে আমার প্রতিপালক। তারা আমার উম্মত। তিনি বলবেন, নিশ্চয় আপনি জানেন না, তারা আপনার পরে কি নতুন ব্যাপার স্যাপার করেছে। তারা তাদের পেছনের দিকে ফিরে গিয়েছিল।
(মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এতদসম্পর্কিত আরও বহু হাদীস রয়েছে।)
(মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এতদসম্পর্কিত আরও বহু হাদীস রয়েছে।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5516- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول وَهُوَ بَين ظهراني أَصْحَابه إِنِّي على الْحَوْض أنظر من يرد عَليّ مِنْكُم فوَاللَّه ليقتطعن دوني رجال فلأقولن أَي رب من أمتِي فَيَقُول إِنَّك لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بعْدك مَا زَالُوا يرجعُونَ على أَعْقَابهم
رَوَاهُ مُسلم وَالْأَحَادِيث فِي هَذَا الْمَعْنى كَثِيرَة
رَوَاهُ مُسلم وَالْأَحَادِيث فِي هَذَا الْمَعْنى كَثِيرَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫১৭
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫১৭. তাঁরই থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাহান্নামের কথা স্মরণ করে কাঁদলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, আমি জাহান্নামের কথা স্মরণ করে কাঁদছি। আপনি কি কিয়ামতের দিন আপনার পরিবার পরিজনের কথা স্মরণ রাখবেন? তিনি বললেন, তিন জায়গায় কেউ কাউকে স্মরণ রাখবে না। (১) মীযানের কাছে, যে পর্যন্ত না জানা যায়, তার পাল্লা হাল্কা হবে না কি ভারি হবে। (২) আমলনামা উড়বার সময়, যে পর্যন্ত না জানা যায়, তার আমলনামা কোথায় পড়ে, তার ডান হাতে, নাকি তার বাম হাতে, নাকি পিঠের পেছনে? এবং (৩) পুলসিরাতের কাছে, যখন জাহান্নামের উপর পুলসিরাত কায়েম করা হবে। যে পর্যন্ত না সে পুলসিরাত পার হয়।
(আবূ দাউদ হাসানের রিওয়ায়েতে আয়েশা (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম ও হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বলেন, "এবং পুলসিরাতের কাছে, যখন জাহান্নামের উপর পুলসিরাত কায়েম করা হবে। তার দুই পার্শ্বে থাকে বহু হুক ও সা'দান নামক কাঁটা। আল্লাহ তা'আলা সেগুলো দ্বারা মানুষের মধ্যে থেকে যাকে ইচ্ছা আটক করে রাখবেন। যে পর্যন্ত না জানা যায়, সে মুক্তি পাবে কি, পাবে না।" (হাকিম বলেন, হাসান ও আয়েশা (রা)-এর মাঝে যদি 'ইরসাল' না থাকত তবে হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ হত।)
(আবূ দাউদ হাসানের রিওয়ায়েতে আয়েশা (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম ও হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বলেন, "এবং পুলসিরাতের কাছে, যখন জাহান্নামের উপর পুলসিরাত কায়েম করা হবে। তার দুই পার্শ্বে থাকে বহু হুক ও সা'দান নামক কাঁটা। আল্লাহ তা'আলা সেগুলো দ্বারা মানুষের মধ্যে থেকে যাকে ইচ্ছা আটক করে রাখবেন। যে পর্যন্ত না জানা যায়, সে মুক্তি পাবে কি, পাবে না।" (হাকিম বলেন, হাসান ও আয়েশা (রা)-এর মাঝে যদি 'ইরসাল' না থাকত তবে হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ হত।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5517- وعنها رَضِي الله عَنْهَا قَالَت ذكرت النَّار فَبَكَيْت فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا يبكيك قلت ذكرت النَّار فَبَكَيْت
فَهَل تذكرُونَ أهليكم يَوْم الْقِيَامَة فَقَالَ أما فِي ثَلَاثَة مَوَاطِن فَلَا يذكر أحد أحدا عِنْد الْمِيزَان حَتَّى يعلم أيخف مِيزَانه أم يثقل وَعند تطاير الصُّحُف حَتَّى يعلم أَيْن يَقع كِتَابه فِي يَمِينه أم فِي شِمَاله أم وَرَاء ظَهره وَعند الصِّرَاط إِذا وضع بَين ظَهْري جَهَنَّم حَتَّى يجوز
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد من رِوَايَة الْحسن عَن عَائِشَة وَالْحَاكِم إِلَّا أَنه قَالَ
وَعند الصِّرَاط إِذا وضع بَين ظَهْري جَهَنَّم حافتاه كلاليب كَثِيرَة وحسك كَثِيرَة يحبس الله بهَا من يَشَاء من خلقه حَتَّى يعلم أينجو أم لَا الحَدِيث وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا لَوْلَا إرْسَال فِيهِ بَين الْحسن وَعَائِشَة
فَهَل تذكرُونَ أهليكم يَوْم الْقِيَامَة فَقَالَ أما فِي ثَلَاثَة مَوَاطِن فَلَا يذكر أحد أحدا عِنْد الْمِيزَان حَتَّى يعلم أيخف مِيزَانه أم يثقل وَعند تطاير الصُّحُف حَتَّى يعلم أَيْن يَقع كِتَابه فِي يَمِينه أم فِي شِمَاله أم وَرَاء ظَهره وَعند الصِّرَاط إِذا وضع بَين ظَهْري جَهَنَّم حَتَّى يجوز
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد من رِوَايَة الْحسن عَن عَائِشَة وَالْحَاكِم إِلَّا أَنه قَالَ
وَعند الصِّرَاط إِذا وضع بَين ظَهْري جَهَنَّم حافتاه كلاليب كَثِيرَة وحسك كَثِيرَة يحبس الله بهَا من يَشَاء من خلقه حَتَّى يعلم أينجو أم لَا الحَدِيث وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا لَوْلَا إرْسَال فِيهِ بَين الْحسن وَعَائِشَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫১৮
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫১৮. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে নিবেদন করলাম, যেন তিনি কিয়ামতের দিন আমার জন্য সুপারিশ করেন। তিনি বললেন, ইনশা আল্লাহ্ আমি সুপারিশ করব। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনাকে কোথায় খোঁজ করব? তিনি বললেন, প্রথম তুমি আমাকে পুলসিরাতের কাছে খোঁজ করবে। আমি বললাম, যদি আপনাকে পুলসিরাতের কাছে না পাই? তিনি বললেন, তবে তুমি আমাকে মীযানের কাছে খোঁজ করবে। আমি বললাম, যদি আপনাকে মীযানের কাছে না পাই। তিনি বললেন, তবে তুমি আমাকে হাওযে কাওসারের কাছে খোঁজ করবে। কেননা, আমি এ তিন জায়গা ব্যতীত কোথাও থাকবে না।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব বায়হাকী 'আল-বাস' ইত্যাদিতে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।)
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব বায়হাকী 'আল-বাস' ইত্যাদিতে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5518- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَأَلت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن يشفع لي يَوْم الْقِيَامَة فَقَالَ أَنا فَاعل إِن شَاءَ الله تَعَالَى قلت فَأَيْنَ أطلبك قَالَ أول مَا تطلبني على الصِّرَاط
قلت فَإِن لم ألقك على الصِّرَاط
قَالَ فاطلبني عِنْد الْمِيزَان
قلت فَإِن لم ألقك عِنْد الْمِيزَان قَالَ فاطلبني عِنْد الْحَوْض فَإِنِّي لَا أخطىء هَذِه الثَّلَاثَة مَوَاطِن
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَالْبَيْهَقِيّ فِي الْبَعْث وَغَيره
قلت فَإِن لم ألقك على الصِّرَاط
قَالَ فاطلبني عِنْد الْمِيزَان
قلت فَإِن لم ألقك عِنْد الْمِيزَان قَالَ فاطلبني عِنْد الْحَوْض فَإِنِّي لَا أخطىء هَذِه الثَّلَاثَة مَوَاطِن
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَالْبَيْهَقِيّ فِي الْبَعْث وَغَيره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫১৯
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাওযে কাওসার, পাল্লা ও পুলসিরাত সম্পর্কে আলোচনা
৫৫১৯. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি হাদীসটি মারফু সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একজন ফিরিশতা মীযানের কাছে নিযুক্ত থাকবে। তারপর আদম সন্তানকে আনা হবে এবং পাল্লার দুই পাটের মাঝে তাকে দাঁড় করানো হবে। যদি তার পাল্লা ভারী হয়, তবে একজন ফিরিশতা সমস্ত মাখলুককে শুনিয়ে শব্দ করে ডেকে বলবে, অমুখ এমন সৌভাগ্যবান হয়েছে যে, এরপর কখনও সে হতভাগা হবে না। আর যদি তার পাল্লা হাল্কা হয়, তবে একজন ফিরিশ্তা সমস্ত মাখলুককে শুনিয়ে শব্দ করে ডেকে বলবে, অমুক এমন হতভাগা হয়েছে যে, এরপর সে কখনও সৌভাগ্যবান হবে না।
(বাযযার ও বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বাযযার ও বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَوْض وَالْمِيزَان والصراط
5519- وَرُوِيَ عَن أنس يرفعهُ قَالَ ملك مُوكل بالميزان فَيُؤتى بِابْن آدم فَيُوقف بَين كفتي الْمِيزَان فَإِن ثقل مِيزَانه نَادَى ملك بِصَوْت يسمع الْخَلَائق سعد فلَان سَعَادَة لَا يشقى بعْدهَا أبدا وَإِن خف مِيزَانه نَادَى ملك بِصَوْت يسمع الْخَلَائق شقي فلَان شقاوة لَا يسْعد بعْدهَا أبدا
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالْبَيْهَقِيّ
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالْبَيْهَقِيّ
তাহকীক: