আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
২৫. অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১১ টি
হাদীস নং: ৫৪৬০
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৬০. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় সত্যবাদী ও সত্যতা সমর্থিত ব্যক্তি (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ ﷺ) আমাকে বলেছেন যে, তিনটি দলে মানুষের হাশর হবে, একদল, আরোহী ভোজন-তুষ্ট ও পোষাক পরিহিত। একদল, তাদেরকে ফিরিশতাগণ তাদের মুখমণ্ডলের উপর দিয়ে হেঁচড়িয়ে নেবেন এবং অগ্নি তাদেরকে একত্রিত করবে। আর একদল, পায়ে হাঁটবে এবং দৌড়াবে।
(নাসাঈ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(নাসাঈ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5460- وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ قَالَ إِن الصَّادِق المصدوق حَدثنِي أَن النَّاس يحشرون ثَلَاثَة أَفْوَاج فوجا راكبين طاعمين كاسين وفوجا تسحبهم الْمَلَائِكَة على وُجُوههم وتحشرهم النَّار وفوجا يَمْشُونَ ويسعون
الحَدِيث
رَوَاهُ النَّسَائِيّ
الحَدِيث
رَوَاهُ النَّسَائِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৬১
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৬১. হযরত জাবির (রা)-সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন কিছু লোককে পিঁপড়ার মাথার আকৃতিতে পুনরুত্থিত করবেন। তাদেরকে মানুষ নিজেদের পদতলে মাড়াবে। জিজ্ঞেস করা হবে, পিঁপড়ার আকৃতিতে এগুলো কি? উত্তরে বলা হবে, এরা হচ্ছে দুনিয়ার দাম্ভিক লোকজন।
(বাযযার (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বাযযার (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5461- وَرُوِيَ عَن جَابر رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يبْعَث الله يَوْم الْقِيَامَة نَاسا فِي صور الذَّر يطؤهم النَّاس بأقدامهم فَيُقَال مَا هَؤُلَاءِ فِي صور الذَّر فَيُقَال هَؤُلَاءِ المتكبرون فِي الدُّنْيَا
رَوَاهُ الْبَزَّار
رَوَاهُ الْبَزَّار
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৬২
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৬২. হযরত আমর ইবন শু'আয়ব-এ সূত্রে তাঁর পিতার মধ্যস্থতায় তাঁর পিতামহ থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন অহংকারীদেরকে পুরুষের আকৃতিতে পিঁপড়ার মত সমবেত করা হবে। সর্বস্থান থেকে লাঞ্ছনা তাদেরকে ঢেকে ফেলবে। তাদেরকে জাহান্নামের একটি বন্দীশালার দিকে হাঁকিয়া নিয়ে যাওয়া হবে, তাকে বলা হয়, বুলাস, তাদের উপর মহা অগ্নি বিস্তার করবে, তাদেরকে জাহান্নামীদের ঘাম তাহা নিকৃষ্ট আবর্জনাময় ঘোলা পানি পান করানো হবে।
(নাসাঈ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। 'আল-কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটির দুর্লভ শব্দাবলীর ব্যাখ্যা সহ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(নাসাঈ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। 'আল-কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটির দুর্লভ শব্দাবলীর ব্যাখ্যা সহ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5462- وَعَن عَمْرو بن شُعَيْب عَن أَبِيه عَن جده أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يحْشر المتكبرون يَوْم الْقِيَامَة أَمْثَال الذَّر فِي صور الرِّجَال يَغْشَاهُم الذل من كل مَكَان يساقون إِلَى سجن فِي جَهَنَّم يُقَال لَهُ بؤلس تعلوهم نَار الأنيار يسقون من عصارة أهل النَّار طِينَة الخبال
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَتقدم مَعَ غَرِيبه فِي الْكَبِير
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَتقدم مَعَ غَرِيبه فِي الْكَبِير
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৬৩
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৬৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন তিন অবস্থায় মানুষের হাশর হবে, সংসার বিরাগী অবস্থায়, দু'জন একটি উটের উপর, তিনজন আরেকটি উটের উপর, চারজন আরেকটি উটের উপর, দশজন আরেকটি উটের উপর। এবং অবশিষ্টদেরকে একত্রিত করবে আগুন, তা তাদের সাথে দুপুরে অবস্থান করবে, যেখানে তারা দুপুরে বিশ্রাম করবে, তাদের সাথে রাত কাটাবে, যেখানে তারা রাত কাটাবে, তাদের সাথে তার সকালে থাকবে যেখানে তাদের সকাল হবে এবং তাদের সাথে তার সন্ধ্যায় থাকবে, যেখানে তাদের সন্ধ্যা হবে।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5463- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يحْشر النَّاس يَوْم الْقِيَامَة على ثَلَاث طرائق راغبين وراهبين وَاثْنَانِ على بعير وَثَلَاثَة على بعير وَأَرْبَعَة على بعير وَعشرَة على بعير ويحشر بَقِيَّتهمْ النَّار تقيل مَعَهم حَيْثُ قَالُوا وتبيت مَعَهم حَيْثُ باتوا وتصبح مَعَهم حَيْثُ أَصْبحُوا وتمسي مَعَهم حَيْثُ أَمْسوا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
الطرائق جمع طَريقَة وَهِي الْحَالة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
الطرائق جمع طَريقَة وَهِي الْحَالة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৬৪
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৬৪. তাঁরই থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন মানুষ এভাবে ঘর্মাক্ত হবে যে, তাদের ঘাম ভূমিতে সত্তর হাত নিচে পর্যন্ত যাবে। ঘাম তাদের মুখের লাগাত পর্যন্ত হবে এমনকি তাদের ঘাম কান পর্যন্ত পৌঁছবে।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5464- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يعرق النَّاس يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى يذهب فِي الأَرْض عرقهم سبعين ذِرَاعا وَإنَّهُ يلجمهم حَتَّى يبلغ آذانهم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৬৫
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৬৫. হযরত ইবন উমর (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি ( يَوْمَ يَقُوْمُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ) "যেদিন মানুষ সমগ্র জগতের রবের সম্মুখে দাঁড়াবে।" (৮৩ঃ ৬) প্রসঙ্গে বলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার কানের অর্ধেক পর্যন্ত তার ঘামের মধ্যে দাঁড়াবে।
(বুখারী ও মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির উল্লিখিত ভাষা মুসলিম বর্ণিত। তিরমিযীও মারফু ও মাওকুফ উভয়ভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি মারফু' সূত্রটি সহীহ্ বলে সাব্যস্ত করেছেন।)
(বুখারী ও মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির উল্লিখিত ভাষা মুসলিম বর্ণিত। তিরমিযীও মারফু ও মাওকুফ উভয়ভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি মারফু' সূত্রটি সহীহ্ বলে সাব্যস্ত করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5465- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْم يقوم النَّاس لرب الْعَالمين المطففين 6 قَالَ يقوم أحدهم فِي رشحه إِلَى أَنْصَاف أُذُنَيْهِ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ مَرْفُوعا وموقوفا وَصحح الْمَرْفُوع
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ مَرْفُوعا وموقوفا وَصحح الْمَرْفُوع
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৬৬
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৬৬. হযরত মিকদাদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সূর্য মানুষের এতটুকু নিকটবর্তী হবে, যে তাদের থেকে এক 'মাইল' পরিমাণ দূরত্বে থাকবে। সালীম ইবন আমির বলেন, আল্লাহর কসম, আমি জানি না, তিনি মাইল দ্বারা কি বুঝিয়েছেন, ভূমির দূরত্ব (মাইল)। নাকি চোখে সুরমা ব্যবহার করার শলাকা। তিনি বলেন, মানুষ তাদের আমলের অনুপাতে ঘামের মধ্যে থাকবে। তাদের মধ্যে কেউ তার পায়ের গিঁট পর্যন্ত ঘামের মধ্যে থাকবে, কেউ তার হাঁটু পর্যন্ত ঘামের মধ্যে থাকবে, কেউ তার কোমর পর্যন্ত ঘামের মধ্যে থাকবে এবং কারও ঘাম তার মুখের লাগাম পর্যন্ত হবে। এ বলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আপন হাত দ্বারা তাঁর মুখ পর্যন্ত ইশারা করে দেখালেন।
(মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5466- وَعَن الْمِقْدَاد رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول تدنى الشَّمْس يَوْم الْقِيَامَة من الْخلق حَتَّى تكون مِنْهُم كمقدار ميل
قَالَ سليم بن عَامر وَالله مَا أَدْرِي مَا يَعْنِي بالميل مَسَافَة الأَرْض أَو الْميل الَّتِي تكحل بِهِ الْعين قَالَ فَتكون النَّاس على قدر أَعْمَالهم فِي الْعرق فَمنهمْ من يكون إِلَى كعبيه وَمِنْهُم من يكون إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَمِنْهُم من يكون إِلَى حقْوَيْهِ وَمِنْهُم من يلجمه الْعرق إلجاما وَأَشَارَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِيَدِهِ إِلَى فِيهِ
رَوَاهُ مُسلم
قَالَ سليم بن عَامر وَالله مَا أَدْرِي مَا يَعْنِي بالميل مَسَافَة الأَرْض أَو الْميل الَّتِي تكحل بِهِ الْعين قَالَ فَتكون النَّاس على قدر أَعْمَالهم فِي الْعرق فَمنهمْ من يكون إِلَى كعبيه وَمِنْهُم من يكون إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَمِنْهُم من يكون إِلَى حقْوَيْهِ وَمِنْهُم من يلجمه الْعرق إلجاما وَأَشَارَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِيَدِهِ إِلَى فِيهِ
رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৬৭
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৬৭. হযরত উকবা ইব্ন আমির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, (কিয়ামতের দিন) সূর্য পৃথিবীর নিকটে আসবে এবং মানুষ ঘর্মাক্ত হবে। কোন কোন মানুষের ঘাম তার পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছবে, কারও অর্থ পায়ের গোছা পর্যন্ত পৌঁছবে কারও হাঁটু পর্যন্ত পৌছবে, কারও নিতম্ব পর্যন্ত পৌছবে, কারও কোমর পর্যন্ত পৌছবে, কারও কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছবে, কারও ঘাড় পর্যন্ত পৌঁছবে, কারও ঘাড়ের অর্ধেক পর্যন্ত হবে এবং আপন হাত দ্বারা ইশারা করে হাত তিনি আপন মুখ পর্যন্ত তুললেন। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এভাবে ইশারা করতে দেখেছি। তাদের মধ্যে কারও ঘাম তাকে ডুবিয়ে ফেলবে। এ বলে তিনি আপন হাত তুললেন এবং তাঁর মাথার উপর তার হাত ঘুরিয়ে ইশারা করে দেখালেন। তবে সমগ্র মাথায় ডানে-বামে তার হাতের ঘূর্ণন পৌছেনি।
(আহমাদ, তাবারানী ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, এর সদন সহীহ্।)
(আহমাদ, তাবারানী ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, এর সদন সহীহ্।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5467- وَعَن عقبَة بن عَامر رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول تَدْنُو
الشَّمْس من الأَرْض فيعرق النَّاس فَمن النَّاس من يبلغ عرقه عَقِبَيْهِ وَمِنْهُم من يبلغ نصف السَّاق وَمِنْهُم من يبلغ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَمِنْهُم من يبلغ إِلَى الْعَجز وَمِنْهُم من يبلغ الخاصرة وَمِنْهُم من يبلغ مَنْكِبَيْه وَمِنْهُم من يبلغ عُنُقه وَمِنْهُم من يبلغ وَسطه وَأَشَارَ بِيَدِهِ ألجمها فَاه رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُشِير هَكَذَا وَمِنْهُم من يغطيه عرقه وَضرب بِيَدِهِ وَأَشَارَ وَأمر يَده فَوق رَأسه من غير أَن يُصِيب الرَّأْس دور راحتيه يَمِينا وَشمَالًا
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
الشَّمْس من الأَرْض فيعرق النَّاس فَمن النَّاس من يبلغ عرقه عَقِبَيْهِ وَمِنْهُم من يبلغ نصف السَّاق وَمِنْهُم من يبلغ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَمِنْهُم من يبلغ إِلَى الْعَجز وَمِنْهُم من يبلغ الخاصرة وَمِنْهُم من يبلغ مَنْكِبَيْه وَمِنْهُم من يبلغ عُنُقه وَمِنْهُم من يبلغ وَسطه وَأَشَارَ بِيَدِهِ ألجمها فَاه رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُشِير هَكَذَا وَمِنْهُم من يغطيه عرقه وَضرب بِيَدِهِ وَأَشَارَ وَأمر يَده فَوق رَأسه من غير أَن يُصِيب الرَّأْس دور راحتيه يَمِينا وَشمَالًا
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৬৮
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৬৮. হযরত আব্দুল আযীয আত্তার সূত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। আমার জানা মতে, তিনি হাদীসটি মারফূ'ই বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা আদম সন্তানকে সৃষ্টি করার পর থেকে সে মৃত্যুর চেয়ে কঠিনতম কোন কিছুর সম্মুখীন হয়নি। অথচ মৃত্যু হচ্ছে তার পরবর্তী সবকিছু থেকে সহজতম ব্যাপার। নিশ্চয় তারা সেদিন প্রচণ্ড ভয়াবহতার সম্মুখীন হবে। যার ফলে ঘাম তাদের মুখের লাগাম পর্যন্ত পৌছবে। এমনকি যদি তাতে নৌকা চালানো হয়, তবে তাও চলবে।
(আহমাদ মারফু' সূত্রে সংক্ষিপ্তাকারে এবং তাবারানী 'আল-আওসাত' উপরিউক্ত সন্দেহ সহকারে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির উল্লিখিত পাঠ তাবারানী বর্ণিত। উভয়ের সদন উৎকৃষ্ট।)
(আহমাদ মারফু' সূত্রে সংক্ষিপ্তাকারে এবং তাবারানী 'আল-আওসাত' উপরিউক্ত সন্দেহ সহকারে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির উল্লিখিত পাঠ তাবারানী বর্ণিত। উভয়ের সদন উৎকৃষ্ট।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5468- وَعَن عبد الْعَزِيز الْعَطَّار عَن أنس رَضِي الله عَنهُ لَا أعلمهُ إِلَّا رَفعه قَالَ لم يلق ابْن آدم شَيْئا مُنْذُ خلقه الله عز وَجل أَشد عَلَيْهِ من الْمَوْت ثمَّ إِن الْمَوْت أَهْون مِمَّا بعده وَإِنَّهُم ليلقون من هول ذَلِك الْيَوْم شدَّة حَتَّى يلجمهم الْعرق حَتَّى إِن السفن لَو أجريت فِيهِ لجرت
رَوَاهُ أَحْمد مَرْفُوعا بِاخْتِصَار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط على الشَّك هَكَذَا وَاللَّفْظ لَهُ وإسنادهما جيد
رَوَاهُ أَحْمد مَرْفُوعا بِاخْتِصَار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط على الشَّك هَكَذَا وَاللَّفْظ لَهُ وإسنادهما جيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৬৯
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৬৯. হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন সমগ্র পৃথিবীতে হতে আগুন এবং জান্নাতের সামনে থাকবে তার উদ্ভিন্ন যৌবনা তরুণীগণ ও তার কুঁজোরাশি। সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আব্দুল্লাহর প্রাণ রয়েছে, নিশ্চয় মানুষ এরূপ ঘর্মাক্ত হবে যে, ভূমির উপর দিয়ে তার দেহের উচ্চতা পরিমাণ উঁচু হয়ে ঘাম প্রবাহিত হবে। তারপর ঘাম আরও উঁচু হবে। এমন কি তা তার নাক পর্যন্ত পৌছবে। অথচ তখনও তার হিসাব শুরু হয়নি। লোকজন জিজ্ঞেস করল, হে আবু আব্দুর রহমান! এরূপ কেন হবে? তিনি বললেন, লোকজন যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে, তা প্রত্যক্ষ করে।
(তাবারানী (র) মাওকূফ সূত্রে উৎকৃষ্ট ও শক্তিশালী সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(তাবারানী (র) মাওকূফ সূত্রে উৎকৃষ্ট ও শক্তিশালী সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5469- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ الأَرْض كلهَا نَار يَوْم الْقِيَامَة وَالْجنَّة من وَرَائِهَا كواعبها وأكوابها وَالَّذِي نفس عبد الله بِيَدِهِ إِن الرجل ليفيض عرقا حَتَّى يسيح فِي الأَرْض قامته ثمَّ يرْتَفع حَتَّى يبلغ أَنفه وَمَا مَسّه الْحساب
قَالُوا مِم ذَلِك يَا أَبَا عبد الرَّحْمَن قَالَ مِمَّا يرى النَّاس يلقون
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ مَوْقُوفا بِإِسْنَاد جيد قوي
قَالُوا مِم ذَلِك يَا أَبَا عبد الرَّحْمَن قَالَ مِمَّا يرى النَّاس يلقون
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ مَوْقُوفا بِإِسْنَاد جيد قوي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৭০
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৭০. হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় কিয়ামতের দিন ঘাম মানুষের মুখের লাগাম পর্যন্ত পৌঁছবে। তখন সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এ অবস্থা থেকে মুক্তি দাও। যদিও আমাকে জাহান্নামে যেতে হবে।
(তাবারানী 'আল কবীর’ গ্রন্থে উৎকৃষ্ট সনদে আবু ইয়া'লা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবু ইয়ালার সনদে ইবন হিব্বানও এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁরা উভয়ে (মানুষের মুখের লাগাম পর্যন্ত না বলে) কাফিরের মুখের লাগাম.... বলেছেন। বাযযারও হাকিম ফযল ইব্ন ঈসার রিওয়ায়েতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি মুনকাদিরের সূত্রে জাবির থেকে হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে আস্থাহীন। হাকিম বর্ণিত রিওয়ায়েতের ভাষা এরূপ: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় কিয়ামতের দিন ঘাম মানুষকে এভাবে ঘিরে ফেলবে যে, সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি যে অবস্থার সম্মুখীন তার চেয়ে আমাকে তোমার জাহান্নামে প্রেরণ আমার কাছে সহজতর। অথচ জাহান্নামের আযাব যে কী গুরুতর তা তার জ্ঞান থাকবে। হাকিম (র) বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
(তাবারানী 'আল কবীর’ গ্রন্থে উৎকৃষ্ট সনদে আবু ইয়া'লা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবু ইয়ালার সনদে ইবন হিব্বানও এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁরা উভয়ে (মানুষের মুখের লাগাম পর্যন্ত না বলে) কাফিরের মুখের লাগাম.... বলেছেন। বাযযারও হাকিম ফযল ইব্ন ঈসার রিওয়ায়েতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি মুনকাদিরের সূত্রে জাবির থেকে হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে আস্থাহীন। হাকিম বর্ণিত রিওয়ায়েতের ভাষা এরূপ: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় কিয়ামতের দিন ঘাম মানুষকে এভাবে ঘিরে ফেলবে যে, সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি যে অবস্থার সম্মুখীন তার চেয়ে আমাকে তোমার জাহান্নামে প্রেরণ আমার কাছে সহজতর। অথচ জাহান্নামের আযাব যে কী গুরুতর তা তার জ্ঞান থাকবে। হাকিম (র) বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5470- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الرجل ليلجمه الْعرق يَوْم الْقِيَامَة فَيَقُول يَا رب أرحني وَلَو إِلَى النَّار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد جيد وَأَبُو يعلى وَمن طَرِيقه ابْن حبَان إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَا إِن الْكَافِر
وَرَوَاهُ الْبَزَّار وَالْحَاكِم من حَدِيث الْفضل بن عِيسَى وَهُوَ واه عَن الْمُنْكَدر عَن جَابر وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الْعرق ليلزم الْمَرْء فِي الْموقف حَتَّى يَقُول يَا رب إرسالك بِي إِلَى النَّار أَهْون عَليّ مِمَّا أجد وَهُوَ يعلم مَا فِيهَا من شدَّة الْعَذَاب
وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد جيد وَأَبُو يعلى وَمن طَرِيقه ابْن حبَان إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَا إِن الْكَافِر
وَرَوَاهُ الْبَزَّار وَالْحَاكِم من حَدِيث الْفضل بن عِيسَى وَهُوَ واه عَن الْمُنْكَدر عَن جَابر وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الْعرق ليلزم الْمَرْء فِي الْموقف حَتَّى يَقُول يَا رب إرسالك بِي إِلَى النَّار أَهْون عَليّ مِمَّا أجد وَهُوَ يعلم مَا فِيهَا من شدَّة الْعَذَاب
وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৭১
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৭১. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি يَوْمَ يَقُوْمُ النَّاسِ لرب العالمين ["যেদিন মানুষ সমগ্র জগতের রবের সম্মুখে দণ্ডায়মান হবে।" (৮৩ঃ ৬) প্রসঙ্গে বলেন, পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান একটি দিনের অর্ধেকের পরিমাণ দাঁড়িয়ে থাকবে। এটা মু'মিনের জন্য সূর্য ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়ে ডুবে যাওয়া পর্যন্ত সময়ের মত সহজ হবে।
(আবু ইয়া'লা সহীহ্ সনদে ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ্' কিতাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(আবু ইয়া'লা সহীহ্ সনদে ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ্' কিতাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5471- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَوْم يقوم النَّاس لرب الْعَالمين المطففين 6 مِقْدَار نصف يَوْم من خمسين ألف سنة فيهون ذَلِك على الْمُؤمن كتدلي الشَّمْس للغروب إِلَى أَن تغرب
رَوَاهُ أَبُو يعلى بِإِسْنَاد صَحِيح وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ أَبُو يعلى بِإِسْنَاد صَحِيح وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৭২
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৭২. হযরত আবু সাঈদ (রা)-এ সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, সেদিন হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। বলা হল, কতই না দীর্ঘ ঐ দিনটি। নবী (ﷺ) বললেন, সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, নিশ্চয় সেদিন মু'মিনের জন্য সহজ হবে। এমনকি তাঁর জন্য একটি ফরয সালাত আদায়ের চেয়েও সহজতর হবে।
(আহমাদ, আবু ইয়া'লা, ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ্' এ সকলেই দাররাজের সনদে আবুল হায়সাম থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(আহমাদ, আবু ইয়া'লা, ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ্' এ সকলেই দাররাজের সনদে আবুল হায়সাম থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5472- وَعَن أبي سعيد رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ يَوْمًا كَانَ مِقْدَاره خمسين ألف سنة فَقيل مَا أطول هَذَا الْيَوْم قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَالَّذِي نَفسِي بِيَدِهِ إِنَّه ليخفف على الْمُؤمن حَتَّى يكون أخف عَلَيْهِ من صَلَاة مَكْتُوبَة
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كلهم من طَرِيق دراج عَن أبي الْهَيْثَم
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كلهم من طَرِيق دراج عَن أبي الْهَيْثَم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৭৩
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৭৩. হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আমর (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন তোমরা একত্রিত হবে, তখন বলা হবে, এ উম্মাতের দরিদ্র ও অভাবী লোকেরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরা কি আমল করেছ? তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে মুসিবতে ফেলেছ। তখন আমরা সবর করেছি। তুমি আমাদের পরিবর্তে অন্যদেরকে সম্পদ ও ক্ষমতার মালিক বানিয়েছ। আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তোমরা সত্যই বলেছ। তিনি (রাসূলুল্লাহ) বলেন, তারপর তারা (ধনী) লোকজনের পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং সম্পদশালী ও ক্ষমতাবান লোকদের জন্য তখনও কঠোর হিসাব অবশিষ্ট থাকবে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন, মু'মিনরা সেদিন কোথায় অবস্থান করবে? তিনি বললেন, তাদের জন্য নূরের কেদারা রাখা থাকবে, এবং মেঘমালা তাদেরকে ছায়া দেবে। এ দিনটি মু'মিনদের জন্য দিনের একটি লহমার চেয়েও সংক্ষিপ্ততর হবে।
(তাবারানী ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ'-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[হাফিয (র) বলেনঃ], সহীহ হাদীসে আছে যে, 'দরিদ্রগণ ধনীদের পাঁচশ বছর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে"। দারিদ্র্যের ফযীলত' অধ্যায়ে হাদীসটি পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে।)
(তাবারানী ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ'-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[হাফিয (র) বলেনঃ], সহীহ হাদীসে আছে যে, 'দরিদ্রগণ ধনীদের পাঁচশ বছর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে"। দারিদ্র্যের ফযীলত' অধ্যায়ে হাদীসটি পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5473- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ تجتمعون يَوْم الْقِيَامَة فَيُقَال أَيْن فُقَرَاء هَذِه الْأمة ومساكينها فَيقومُونَ فَيُقَال لَهُم مَاذَا عملتم فَيَقُولُونَ رَبنَا ابتليتنا فصبرنا وَوليت الْأَمْوَال وَالسُّلْطَان غَيرنَا فَيَقُول الله عز وَجل صَدقْتُمْ
قَالَ فَيدْخلُونَ الْجنَّة قبل النَّاس وَتبقى شدَّة الْحساب على ذَوي الْأَمْوَال وَالسُّلْطَان
قَالُوا فَأَيْنَ الْمُؤْمِنُونَ يَوْمئِذٍ قَالَ تُوضَع لَهُم كراسي من نور ويظلل عَلَيْهِم الْغَمَام يكون ذَلِك الْيَوْم أقصر على الْمُؤمنِينَ من سَاعَة من نَهَار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
قَالَ الْحَافِظ وَقد صَحَّ أَن الْفُقَرَاء يدْخلُونَ الْجنَّة قبل الْأَغْنِيَاء بِخَمْسِمِائَة عَام وَتقدم ذَلِك فِي الْفقر
قَالَ فَيدْخلُونَ الْجنَّة قبل النَّاس وَتبقى شدَّة الْحساب على ذَوي الْأَمْوَال وَالسُّلْطَان
قَالُوا فَأَيْنَ الْمُؤْمِنُونَ يَوْمئِذٍ قَالَ تُوضَع لَهُم كراسي من نور ويظلل عَلَيْهِم الْغَمَام يكون ذَلِك الْيَوْم أقصر على الْمُؤمنِينَ من سَاعَة من نَهَار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
قَالَ الْحَافِظ وَقد صَحَّ أَن الْفُقَرَاء يدْخلُونَ الْجنَّة قبل الْأَغْنِيَاء بِخَمْسِمِائَة عَام وَتقدم ذَلِك فِي الْفقر
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৭৪
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৭৪. হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তা'আলা অগ্রবর্তী ও পশ্চাৎবর্তী সমস্ত মানুষকে এক নির্ধারিত সীমিত সময়ে চল্লিশ বছর দণ্ডায়মান অবস্থায় সমবেত রাখলে, তাদের দৃষ্টি হবে স্থির। তারা বিচারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবে। তিনি বলেন, আল্লাহ তা'আলা মেঘের শামিয়ানার ছায়ায় আরশ থেকে কুরসীতে অবতরণ করবেন। অতঃপর একজন আহ্বানকারী আহ্বান করে বলবে, হে মানব সম্প্রদায়। তোমরা কি তোমাদের সেই প্রতিপালকের প্রতি, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তোমাদেরকে রিযিক দিয়েছেন এবং তোমাদেরকে তাঁর ইবাদত করতে ও তাঁর সাথে কিছু শরীক না করতে নির্দেশ দিয়েছেন, এ ব্যাপারে সন্তুষ্ট যে, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি দুনিয়াতে যার ইবাদত করতে তাকে তার অভিভাবক বানিয়ে দেবেন? এটা কি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সুবিচার হবে না? তারা বলবে জ্বী হ্যাঁ। অতঃপর প্রত্যেক সম্প্রদায় দুনিয়ায় যে যার ইবাদত করত এবং যাকে সে অভিভাবকরূপে মান্য করত, তার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। তিনি বলেন, তারা যাবে এবং তারা যেসব বস্তুর ইবাদত করত, তাদের সামনে সেগুলোর অবিকল ছবি পেশ করা হবে। সুতরাং তাদের মধ্য থেকে কেউ সূর্যের কাছে যাবে, কেউ চন্দ্র পাথরের প্রতিমা, এবং তারা যেসব বস্তুর ইবাদত করত সেগুলোর প্রতিকৃতির কাছে যাবে। তিনি বলেন, যারা ঈসা (আ)-এর ইবাদত করত তাদের জন্য ঈসা (আ)-এর শয়তানের ছবি পেশ করা হবে এবং যারা উযায়র (আ)-এর ইবাদত করত, তাদের জন্য উযায়ব (আ)-এর শয়তানের ছবি পেশ করা হবে। অবশিষ্ট থাকবে মুহাম্মাদ ও তাঁর উম্মাত। তিনি বলেন, তারপর আল্লাহ তা'আলা একটি আকার ধারণ করে তাদের কাছে আসবেন এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন। তোমাদের কি হল, মানুষ যেমন যাচ্ছে, তোমরা সেরূপ যাচ্ছ না যে? তিনি বলেন, তারা বলবে, নিশ্চয় আমাদের একজন মা'বুদ রয়েছেন যাকে আমরা দেখি নাই। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, যদি তোমরা তাকে দেখ, তবে কি তোমরা তাকে চিনতে পারবে? তারা বলবে, নিশ্চয় আমাদের ও তাঁর মধ্যে একটি চিহ্ন রয়েছে, যখন আমরা সে চিহ্নটি দেখতে পার, তখন তা চিনতে পারব। তিনি বলেন, আল্লাহ তা'আলা জিজ্ঞেস করবেন, সে চিহ্নটি কি? তারা বলবে, তিনি তাঁর পায়ের গোছা অনাবৃত করবেন। তখন তিনি তাঁর পায়ের গোছা অনাবৃত করবেন। ফলে তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়বে। কিন্তু যারা (প্রকৃতপক্ষে) মুশরিক ছিল, অথচ মানুষকে দেখাবার জন্য সিজদা করত তারা চিৎ হয়ে পড়ে যাবে। এবং এক সম্প্রদায় অবশিষ্ট থাকবে তাদের পৃষ্ঠ হবে গরুর শিশু-এর মত। তারা সিজদা করতে ইচ্ছা করবে, কিন্তু তারা তাতে সক্ষম হবে না। তাদেরকে দুনিয়াতে সিজদার জন্য ডাকা হত এবং তারা ছিল সুস্থ। অতঃপর তিনি বলবেন, তোমরা তোমাদের মাথা উঠাও। তারা তাদের মাথা উঠাবে তখন তাদেরকে তাদের আমল অনুপাতে নূর প্রদান করা হবে। তন্মধ্যে কাউকে বিশাল পর্বত পরিমাণ নূর প্রদান করা হবে, যা তাদের সামনে দৌড়াতে থাকবে, কাউকে এর চেয়ে কম নূর প্রদান করা হবে, কারও হাতে খেজুর গাছ পরিমাণ (নূর) প্রদান করা হবে, কাউকে এর চেয়ে কম প্রদান করা হবে। অবশেষে তাদের সর্বশেষ ব্যক্তিকে তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে নূর প্রদান করা হবে। একবার আলোকিত হবে, আবার নিভিয়ে দেয়া হবে। যখন তার পা আলোকিত হবে, তখন সে হাঁটবে, আবার যখন নিভিয়ে দেওয়া হবে। আর সে দাঁড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, আল্লাহ তা'আলা তাদের সামনে থাকবেন। এভাবে তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবেন এবং তাঁর গমনের চিহ্ন থাকবে তরবারির ধারের মত। তিনি বলেন, তারপর আল্লাহ তা'আলা বলবেন, তোমরা পা অতিক্রম কর। তখন তারা তাদের নূর অনুপাতে অতিক্রম করবে। তাদের মধ্য থেকে কেউ পলক গতিতে চলবে, কেউ বিদ্যুতের গতিতে চলবে, কেউ মেঘের গতিতে চলবে, কেউ নক্ষত্র পতনের গতিতে চলবে, কেউ বায়ুর গতিতে চলবে, কেউ ঘোড়ায় আরোহণের মত চলবে, কেউ পায়ে হাঁটার মত চলবে। অবশেষে যাকে তার পদ পৃষ্ঠে নূর প্রদান করা হবে, সে তার মুখমণ্ডলের উপর ভর করে দু'হাত ও দু'পায়ে হামাগুড়ি দিয়ে চলবে। এক হাত টানা হবে। আরেক হাত ঝুলিয়ে রাখা হবে, এক পা টানা হবে, আরেক পা ঝুলিয়ে রাখা হবে এবং তার আশে-পাশে থাকবে আগুন। এভাবে সে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে, যখন সে মুক্তি পেয়ে যাবে, তখন সে জাহান্নামের সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ্ তা'আলার জন্য, তিনি আমাকে এমন পুরস্কার দিয়েছেন, যা অন্য কাউকে দেন নি। কেননা, তিনি আমাকে আমার জাহান্নাম প্রত্যক্ষ করার পর তা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেন, তারপর তাকে জান্নাতের দরজার সামনে অবস্থিত একটি দীঘির দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। সে তাতে গোসল করবে। ফলে জান্নাতীদের ঘ্রাণ ও জান্নাতীদের রঙ তার গায়ে ফিরে আসবে এবং সে দরজার ফাঁক দিয়ে জান্নাতের নেয়ামত সমূহ দেখতে পাবে। তখন সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক। তুমি আমাকে জান্নাতে দাখিল কর। আল্লাহ তা'আলা বলবেন, তুমি কি আমার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করছ অথচ আমি তোমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছি? সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক। আমার ও জাহান্নামের মাঝে পর্দা টেনে দিন, যাতে আমি তার কোন গুঞ্জরণ শুনতে না পাই তিনি বলেন, তারপর সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং সে দেখবে অথবা তার জন্য এর সামনে আরেকটি প্রাসাদ প্রদর্শন করা হবে। যেন সে প্রাসাদের মধ্যে যা কিছু রয়েছে তা তার প্রাসাদের তুলনায় স্বপ্নতুল্য। সে বলবে, প্রভু! আমাকে এ প্রাসাদটি দান করুন। তখন তিনি বলবেন, যদি আমি তোমাকে এ প্রাসাদটি দান করি, তবে তুমি হয়ত আরেকটি চেয়ে বসবে। সে বলবে, জ্বী না, আপনার ইযযতের কসম, আমি আরেকটি চাইব না। আর এ প্রাসাদের চেয়ে উৎকৃষ্ট আর কী ই বা হতে পারি? তারপর তাকে সে প্রাসাদটি দান করা হবে।
সে উক্ত প্রাসাদে প্রবেশ করবে এবং তার সামনে আরেকটি এমন প্রাসাদ দেখতে পাবে, যেন উক্ত প্রাসাদে যা কিছু রয়েছে, তা তার প্রাসাদের তুলনায় স্বপ্নতুল্য। সে বলবে, প্রভু! আমাকে এ প্রাসাদটি দান করুন। আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেন, যদি আমি তোমাকে এ প্রসাদটি দান করি, তবে তুমি হয়ত আরেকটি চেয়ে বসবে।
সে বলবে জ্বী না, আপনার ইযযতের কসম, আর কোন প্রাসাদই এর চেয়ে উৎকৃষ্ট হতে পারে? তখন তাকে সে প্রাসাদটি দান করা হবে, সে তাতে প্রবেশ করবে এবং সে নীরব হয়ে যাবে। আল্লাহ তা'আলা জিজ্ঞেস করবেন, তোমার কি হলো হে? তুমি যে আর কিছু প্রার্থনা করছ না। সে বলবে, হে আমার রব। আমি আপনার কাছে চাইতে লজ্জিত হয়ে গেছি। তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, আমার দুনিয়া সৃষ্টি করার পর থেকে ধ্বংস করা পর্যন্ত দুনিয়ার সমান ও তার দশগুণ আমি তোমাকে দান করব? সে বলবে, আপনি কি আমার সাথে উপহাস করছেন, অথচ আপনি হচ্ছেন রাব্বুল ইযযত। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, না, বরং আমি তা করতে সক্ষম। সে বলবে, আপনি আমাকে মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিন। তিনি বলবেন, তুমি মানুষের সাথে সাক্ষাৎ কর। তিনি বলেন, তারপর সে দ্রুত গতিতে জান্নাতের মধ্যে হাঁটতে থাকবে। যখন সে মানুষের নিকটবর্তী হবে তখন তার জন্য একটি মুক্তার প্রাসাদ উঠানো হবে। তখন সে সিজদায় লুটিয়ে পড়বে। আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি তোমার মাথা উঠাও। তোমার কি হয়েছে? সে বলবে, আমি আমার প্রতিপালককে দেখেছি, অথবা আমার প্রতিপালক আমাকে দেখা দিয়েছেন। তখন তাকে বলা হবে, এটা তোমার প্রাসাদসমূহের মধ্য থেকে একটি প্রাসাদ।
তিনি বলেন, অতঃপর সে এক লোকের কাছে যাবে এবং তাকে সিজদা করতে উদ্যত হবে। তখন তাকে বলা হবে। বিরত হও। সে বলবে, আমি দেখছি, তুমি ফিরিশতাদের মধ্যকার একজন ফিরিশতা। ফিরিশতা বলবে, আমি আপনার কোষাধ্যক্ষদের মধ্যেকার একজন কোষাধ্যক্ষমাত্র এবং আপনার গোলাম সমূহের মধ্য থেকে একজন গোলাম মাত্র। আমি যে দায়িত্বে রয়েছে, তাতে আমার অধীনে এক হাজার কর্মচারী রয়েছে। তিনি বলেন, তারপর ফিরিশতা তার সামনে চলতে থাকবে এবং তার জন্য উক্ত প্রাসাদের দরজা খুলবে। তিনি বলেন, সে প্রাসাদটি হবে ফাঁপা মুক্তায় নির্মিত। তার ছাদ, দরজা ও তালা চাবি ও হবে ফাঁপা মুক্তার তৈরী। প্রাসাদটির সামনে থাকবে সবুজ যহরত, যার ভেতরে থাকবে লাল যহরত। তাতে থাকতে সত্তরটি দরজা। প্রতিটি দরজা একটি সবুজ যহরত পর্যন্ত পৌছিয়ে দেবে, যার ভিতর ভাগ থাকবে ঠাসা। প্রতিটি যহরত ভিন্ন রঙের একটি যহরত পর্যন্ত পৌছিয়ে দেবে। প্রত্যেক যহরতে থাকবে পালংক, স্ত্রী ও বাঁদী-দাসী। তন্মধ্যে সর্ব নিম্নমানের হবে শুভ্রবর্ণা ও আয়ত লোচনা রমনী। তার পরনে থাকবে সত্তরটি পোষাক। তার সেসব পোষাকের উপর থেকে তার পায়ের গোছার মগজ দেখা যাবে। তার কলজে হবে (জান্নাতী) পুরুষের আয়না, এবং সে পুরুষের কলজে হবে তার আয়না স্বরূপ। যখন সে তার প্রতি একটু বিমুখতা প্রদর্শন করবে, তার চোখে যতটুকু সুন্দরী ছিল, তার চেয়ে সত্তরগুণ বেশি সুন্দরী হয়ে যাবে। তখন সে তাকে বলবে, আল্লাহর কসম তুমি তো আমার দৃষ্টিতে সত্তরগুণ বেশি সুন্দরী হয়ে গিয়েছ এবং রমণী বলবে, তুমিও আমার দৃষ্টিতে সত্তরগুণ বেশি সুন্দর হয়ে গিয়েছ। তারপর তাকে বলা হবে, তুমি নিকটে আস। সে নিকটে আসবে। তাকে বলা হবে, একশ বছরের দূরত্ব তোমার মালিকানাধীন। তাতে তোমার দৃষ্টি শক্তি পৌঁছবে।
তিনি বলেন, তারপর উমর (রা) তাকে বললেন, হে কা'ব। ইবনু উম্মে আব্দ একজন নিম্নতম পর্যায়ের জান্নাতী সম্পর্কে আমাদেরকে যা বলে, তা কি তুমি শুনছ? সুতরাং উচ্চতম পর্যায়ে জান্নাতীদের অবস্থা কি হবে। সে বলল, হে আমীরুল মু'মিনীন। যা কোন চোখ কোনদিন দেখেনি, এবং কোন কান কোনদিন শুনেনি এ বলে সে হাদীসটি বর্ণনা করল।
(ইবনু আবুদ দুনিয়া ও তাবারানী বিভিন্ন সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি সনদ সহীহ। হাদীসটির উল্লিখিত পাঠ তাবারানী বর্ণিত। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
সে উক্ত প্রাসাদে প্রবেশ করবে এবং তার সামনে আরেকটি এমন প্রাসাদ দেখতে পাবে, যেন উক্ত প্রাসাদে যা কিছু রয়েছে, তা তার প্রাসাদের তুলনায় স্বপ্নতুল্য। সে বলবে, প্রভু! আমাকে এ প্রাসাদটি দান করুন। আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেন, যদি আমি তোমাকে এ প্রসাদটি দান করি, তবে তুমি হয়ত আরেকটি চেয়ে বসবে।
সে বলবে জ্বী না, আপনার ইযযতের কসম, আর কোন প্রাসাদই এর চেয়ে উৎকৃষ্ট হতে পারে? তখন তাকে সে প্রাসাদটি দান করা হবে, সে তাতে প্রবেশ করবে এবং সে নীরব হয়ে যাবে। আল্লাহ তা'আলা জিজ্ঞেস করবেন, তোমার কি হলো হে? তুমি যে আর কিছু প্রার্থনা করছ না। সে বলবে, হে আমার রব। আমি আপনার কাছে চাইতে লজ্জিত হয়ে গেছি। তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, আমার দুনিয়া সৃষ্টি করার পর থেকে ধ্বংস করা পর্যন্ত দুনিয়ার সমান ও তার দশগুণ আমি তোমাকে দান করব? সে বলবে, আপনি কি আমার সাথে উপহাস করছেন, অথচ আপনি হচ্ছেন রাব্বুল ইযযত। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, না, বরং আমি তা করতে সক্ষম। সে বলবে, আপনি আমাকে মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিন। তিনি বলবেন, তুমি মানুষের সাথে সাক্ষাৎ কর। তিনি বলেন, তারপর সে দ্রুত গতিতে জান্নাতের মধ্যে হাঁটতে থাকবে। যখন সে মানুষের নিকটবর্তী হবে তখন তার জন্য একটি মুক্তার প্রাসাদ উঠানো হবে। তখন সে সিজদায় লুটিয়ে পড়বে। আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি তোমার মাথা উঠাও। তোমার কি হয়েছে? সে বলবে, আমি আমার প্রতিপালককে দেখেছি, অথবা আমার প্রতিপালক আমাকে দেখা দিয়েছেন। তখন তাকে বলা হবে, এটা তোমার প্রাসাদসমূহের মধ্য থেকে একটি প্রাসাদ।
তিনি বলেন, অতঃপর সে এক লোকের কাছে যাবে এবং তাকে সিজদা করতে উদ্যত হবে। তখন তাকে বলা হবে। বিরত হও। সে বলবে, আমি দেখছি, তুমি ফিরিশতাদের মধ্যকার একজন ফিরিশতা। ফিরিশতা বলবে, আমি আপনার কোষাধ্যক্ষদের মধ্যেকার একজন কোষাধ্যক্ষমাত্র এবং আপনার গোলাম সমূহের মধ্য থেকে একজন গোলাম মাত্র। আমি যে দায়িত্বে রয়েছে, তাতে আমার অধীনে এক হাজার কর্মচারী রয়েছে। তিনি বলেন, তারপর ফিরিশতা তার সামনে চলতে থাকবে এবং তার জন্য উক্ত প্রাসাদের দরজা খুলবে। তিনি বলেন, সে প্রাসাদটি হবে ফাঁপা মুক্তায় নির্মিত। তার ছাদ, দরজা ও তালা চাবি ও হবে ফাঁপা মুক্তার তৈরী। প্রাসাদটির সামনে থাকবে সবুজ যহরত, যার ভেতরে থাকবে লাল যহরত। তাতে থাকতে সত্তরটি দরজা। প্রতিটি দরজা একটি সবুজ যহরত পর্যন্ত পৌছিয়ে দেবে, যার ভিতর ভাগ থাকবে ঠাসা। প্রতিটি যহরত ভিন্ন রঙের একটি যহরত পর্যন্ত পৌছিয়ে দেবে। প্রত্যেক যহরতে থাকবে পালংক, স্ত্রী ও বাঁদী-দাসী। তন্মধ্যে সর্ব নিম্নমানের হবে শুভ্রবর্ণা ও আয়ত লোচনা রমনী। তার পরনে থাকবে সত্তরটি পোষাক। তার সেসব পোষাকের উপর থেকে তার পায়ের গোছার মগজ দেখা যাবে। তার কলজে হবে (জান্নাতী) পুরুষের আয়না, এবং সে পুরুষের কলজে হবে তার আয়না স্বরূপ। যখন সে তার প্রতি একটু বিমুখতা প্রদর্শন করবে, তার চোখে যতটুকু সুন্দরী ছিল, তার চেয়ে সত্তরগুণ বেশি সুন্দরী হয়ে যাবে। তখন সে তাকে বলবে, আল্লাহর কসম তুমি তো আমার দৃষ্টিতে সত্তরগুণ বেশি সুন্দরী হয়ে গিয়েছ এবং রমণী বলবে, তুমিও আমার দৃষ্টিতে সত্তরগুণ বেশি সুন্দর হয়ে গিয়েছ। তারপর তাকে বলা হবে, তুমি নিকটে আস। সে নিকটে আসবে। তাকে বলা হবে, একশ বছরের দূরত্ব তোমার মালিকানাধীন। তাতে তোমার দৃষ্টি শক্তি পৌঁছবে।
তিনি বলেন, তারপর উমর (রা) তাকে বললেন, হে কা'ব। ইবনু উম্মে আব্দ একজন নিম্নতম পর্যায়ের জান্নাতী সম্পর্কে আমাদেরকে যা বলে, তা কি তুমি শুনছ? সুতরাং উচ্চতম পর্যায়ে জান্নাতীদের অবস্থা কি হবে। সে বলল, হে আমীরুল মু'মিনীন। যা কোন চোখ কোনদিন দেখেনি, এবং কোন কান কোনদিন শুনেনি এ বলে সে হাদীসটি বর্ণনা করল।
(ইবনু আবুদ দুনিয়া ও তাবারানী বিভিন্ন সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি সনদ সহীহ। হাদীসটির উল্লিখিত পাঠ তাবারানী বর্ণিত। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5474- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يجمع الله الْأَوَّلين والآخرين لميقات يَوْم مَعْلُوم قيَاما أَرْبَعِينَ سنة شاخصة أَبْصَارهم ينتظرون فصل الْقَضَاء
قَالَ وَينزل الله عز وَجل فِي ظلل من الْغَمَام من الْعَرْش إِلَى الْكُرْسِيّ ثمَّ يُنَادي مُنَاد أَيهَا النَّاس ألم ترضوا من ربكُم الَّذِي خَلقكُم ورزقكم وأمركم أَن تَعْبُدُوهُ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئا أَن يولي كل إِنْسَان مِنْكُم مَا كَانُوا يعْبدُونَ فِي الدُّنْيَا أَلَيْسَ ذَلِك عدلا من ربكُم قَالُوا بلَى فَينْطَلق كل قوم إِلَى مَا كَانُوا يعْبدُونَ ويتولون فِي الدُّنْيَا قَالَ فَيَنْطَلِقُونَ ويمثل لَهُم أشباه
مَا كَانُوا يعْبدُونَ فَمنهمْ من ينْطَلق إِلَى الشَّمْس وَمِنْهُم من ينْطَلق إِلَى الْقَمَر والأوثان من الْحِجَارَة وَأَشْبَاه مَا كَانُوا يعْبدُونَ
قَالَ ويمثل لمن كَانَ يعبد عِيسَى شَيْطَان عِيسَى ويمثل لمن كَانَ يعبد عُزَيْرًا شَيْطَان عُزَيْر وَيبقى مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأمته قَالَ فيتمثل الرب تبَارك وَتَعَالَى فيأتيهم فَيَقُول مَا لكم لَا تنطلقون كَمَا انْطلق النَّاس قَالَ فَيَقُولُونَ إِن لنا إِلَهًا مَا رَأَيْنَاهُ
فَيَقُول هَل تعرفونه إِن رَأَيْتُمُوهُ فَيَقُولُونَ إِن بَيْننَا وَبَينه عَلامَة إِذا رأيناها عرفناها
قَالَ فَيَقُول مَا هِيَ فَيَقُولُونَ يكْشف عَن سَاقه فَعِنْدَ ذَلِك يكْشف عَن سَاقه فيخر كل من كَانَ مُشْركًا يرائي لظهره وَيبقى قوم ظُهُورهمْ كصياصي الْبَقر يُرِيدُونَ السُّجُود فَلَا يَسْتَطِيعُونَ وَقد كَانُوا يدعونَ إِلَى السُّجُود وهم سَالِمُونَ ثمَّ يَقُول ارْفَعُوا رؤوسكم فيرفعون رؤوسهم فيعطيهم نورهم على قدر أَعْمَالهم فَمنهمْ من يعْطى نوره مثل الْجَبَل الْعَظِيم يسْعَى بَين أَيْديهم وَمِنْهُم من يعْطى نوره أَصْغَر من ذَلِك وَمِنْهُم من يعْطى مثل النَّخْلَة بِيَدِهِ وَمِنْهُم من يعْطى أَصْغَر من ذَلِك حَتَّى يكون آخِرهم رجلا يعْطى نوره على إِبْهَام قدمه يضيء مرّة ويطفأ مرّة فَإِذا أَضَاء قدمه قدم وَإِذا أطفىء قَامَ
قَالَ والرب تبَارك وَتَعَالَى أمامهم حَتَّى يمر بهم إِلَى النَّار فَيبقى أَثَره كَحَد السَّيْف
قَالَ فَيَقُول مروا فيمرون على قدر نورهم مِنْهُم من يمر كطرفة الْعين وَمِنْهُم من يمر كالبرق وَمِنْهُم من يمر كالسحاب وَمِنْهُم من يمر كانقضاض الْكَوَاكِب وَمِنْهُم من يمر كَالرِّيحِ وَمِنْهُم من يمر كشد الْفرس وَمِنْهُم من يمر كشد الرجل حَتَّى يمر الَّذِي يعْطى نوره على ظهر قَدَمَيْهِ يحبو على وَجهه وَيَديه وَرجلَيْهِ تجر يَد وَتعلق يَد وتجر رجل وَتعلق رجل وتصيب جوانبه النَّار فَلَا يزَال كَذَلِك حَتَّى يخلص فَإِذا خلص وقف عَلَيْهَا فَقَالَ الْحَمد لله الَّذِي أَعْطَانِي مَا لم يُعْط أحدا إِذْ أنجاني مِنْهَا بعد إِذْ رَأَيْتهَا
قَالَ فَينْطَلق بِهِ إِلَى غَدِير عِنْد بَاب الْجنَّة فيغتسل فَيَعُود إِلَيْهِ ريح أهل الْجنَّة وألوانهم فَيرى مَا فِي الْجنَّة من خلل الْبَاب فَيَقُول رب أدخلني الْجنَّة فَيَقُول الله أتسأل الْجنَّة وَقد نجيتك من النَّار فَيَقُول رب اجْعَل بيني وَبَينهَا حِجَابا حَتَّى لَا أسمع حَسِيسهَا قَالَ فَيدْخل الْجنَّة وَيرى أَو يرفع لَهُ منزل أَمَام ذَلِك كَأَن مَا هُوَ فِيهِ بِالنِّسْبَةِ إِلَيْهِ حلم فَيَقُول رب أَعْطِنِي ذَلِك الْمنزل فَيَقُول لَعَلَّك إِن أَعْطيته تسْأَل غَيره فَيَقُول لَا وَعزَّتك لَا أسأَل غَيره وَأي منزل أحسن مِنْهُ فيعطاه فينزله وَيرى أَمَام ذَلِك منزلا كَأَن مَا هُوَ فِيهِ بِالنِّسْبَةِ إِلَيْهِ حلم قَالَ رب أَعْطِنِي ذَلِك الْمنزل فَيَقُول الله تبَارك وَتَعَالَى لَهُ لَعَلَّك إِن أَعْطيته تسْأَل غَيره فَيَقُول لَا وَعزَّتك وَأي منزل أحسن مِنْهُ فيعطاه فينزله ثمَّ يسكت
فَيَقُول الله جلّ ذكره مَا لَك لَا تسْأَل فَيَقُول رب قد سَأَلتك حَتَّى استحييتك فَيَقُول الله جلّ ذكره ألم ترض أَن أُعْطِيك مثل الدُّنْيَا مُنْذُ خلقتها إِلَى يَوْم أفنيتها وَعشرَة أضعافه فَيَقُول أتهزأ بِي وَأَنت رب الْعِزَّة قَالَ فَيَقُول الرب جلّ ذكره لَا وَلَكِنِّي على ذَلِك قَادر فَيَقُول ألحقني بِالنَّاسِ فَيَقُول الْحق بِالنَّاسِ قَالَ فَينْطَلق يرمل فِي الْجنَّة حَتَّى إِذا دنا من النَّاس رفع لَهُ قصر من درة فيخر سَاجِدا فَيَقُول لَهُ ارْفَعْ رَأسك مَا لَك فَيَقُول رَأَيْت رَبِّي أَو ترَاءى لي رَبِّي فَيُقَال إِنَّمَا هُوَ منزل من منازلك قَالَ ثمَّ يَأْتِي رجلا فيتهيأ للسُّجُود لَهُ فَيُقَال لَهُ مَه فَيَقُول رَأَيْت أَنَّك ملك من الْمَلَائِكَة فَيَقُول إِنَّمَا أَنا خَازِن من خزانك وَعبد من عبيدك تَحت يَدي ألف قهرمان على مَا أَنا عَلَيْهِ
قَالَ فَينْطَلق أَمَامه حَتَّى يفتح لَهُ بَاب الْقصر قَالَ وَهُوَ من درة مجوفة سقائفها وأبوابها وأغلافها ومفاتيحها مِنْهَا يستقبله جَوْهَرَة خضراء مبطنة بِحَمْرَاء فِيهَا سَبْعُونَ بَابا كل بَاب يُفْضِي إِلَى جَوْهَرَة خضراء مبطنة كل جَوْهَرَة تُفْضِي إِلَى جَوْهَرَة على غير لون الْأُخْرَى فِي كل جَوْهَرَة سرر وَأَزْوَاج ووصائف أدناهن حوراء عيناء عَلَيْهَا سَبْعُونَ حلَّة يرى مخ سَاقهَا من وَرَاء حللها كَبِدهَا مرآته وكبده مرآتها إِذا أعرض عَنْهَا إعراضة ازدادت فِي عينه سبعين ضعفا عَمَّا كَانَت قبل ذَلِك فَيَقُول لَهَا وَالله لقد ازددت فِي عَيْني سبعين ضعفا وَتقول لَهُ وَأَنت لقد ازددت فِي عَيْني سبعين ضعفا فَيُقَال لَهُ أشرف فيشرف فَيُقَال لَهُ ملكك مسيرَة مائَة عَام ينفذهُ بَصرك قَالَ فَقَالَ لَهُ عمر أَلا تسمع مَا يحدثنا ابْن أم عبد يَا كَعْب عَن أدنى أهل الْجنَّة منزلا فَكيف أعلاهم قَالَ يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ مَا لَا عين رَأَتْ وَلَا أذن سَمِعت فَذكر الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالطَّبَرَانِيّ من طرق أَحدهَا صَحِيح وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ وَينزل الله عز وَجل فِي ظلل من الْغَمَام من الْعَرْش إِلَى الْكُرْسِيّ ثمَّ يُنَادي مُنَاد أَيهَا النَّاس ألم ترضوا من ربكُم الَّذِي خَلقكُم ورزقكم وأمركم أَن تَعْبُدُوهُ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئا أَن يولي كل إِنْسَان مِنْكُم مَا كَانُوا يعْبدُونَ فِي الدُّنْيَا أَلَيْسَ ذَلِك عدلا من ربكُم قَالُوا بلَى فَينْطَلق كل قوم إِلَى مَا كَانُوا يعْبدُونَ ويتولون فِي الدُّنْيَا قَالَ فَيَنْطَلِقُونَ ويمثل لَهُم أشباه
مَا كَانُوا يعْبدُونَ فَمنهمْ من ينْطَلق إِلَى الشَّمْس وَمِنْهُم من ينْطَلق إِلَى الْقَمَر والأوثان من الْحِجَارَة وَأَشْبَاه مَا كَانُوا يعْبدُونَ
قَالَ ويمثل لمن كَانَ يعبد عِيسَى شَيْطَان عِيسَى ويمثل لمن كَانَ يعبد عُزَيْرًا شَيْطَان عُزَيْر وَيبقى مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأمته قَالَ فيتمثل الرب تبَارك وَتَعَالَى فيأتيهم فَيَقُول مَا لكم لَا تنطلقون كَمَا انْطلق النَّاس قَالَ فَيَقُولُونَ إِن لنا إِلَهًا مَا رَأَيْنَاهُ
فَيَقُول هَل تعرفونه إِن رَأَيْتُمُوهُ فَيَقُولُونَ إِن بَيْننَا وَبَينه عَلامَة إِذا رأيناها عرفناها
قَالَ فَيَقُول مَا هِيَ فَيَقُولُونَ يكْشف عَن سَاقه فَعِنْدَ ذَلِك يكْشف عَن سَاقه فيخر كل من كَانَ مُشْركًا يرائي لظهره وَيبقى قوم ظُهُورهمْ كصياصي الْبَقر يُرِيدُونَ السُّجُود فَلَا يَسْتَطِيعُونَ وَقد كَانُوا يدعونَ إِلَى السُّجُود وهم سَالِمُونَ ثمَّ يَقُول ارْفَعُوا رؤوسكم فيرفعون رؤوسهم فيعطيهم نورهم على قدر أَعْمَالهم فَمنهمْ من يعْطى نوره مثل الْجَبَل الْعَظِيم يسْعَى بَين أَيْديهم وَمِنْهُم من يعْطى نوره أَصْغَر من ذَلِك وَمِنْهُم من يعْطى مثل النَّخْلَة بِيَدِهِ وَمِنْهُم من يعْطى أَصْغَر من ذَلِك حَتَّى يكون آخِرهم رجلا يعْطى نوره على إِبْهَام قدمه يضيء مرّة ويطفأ مرّة فَإِذا أَضَاء قدمه قدم وَإِذا أطفىء قَامَ
قَالَ والرب تبَارك وَتَعَالَى أمامهم حَتَّى يمر بهم إِلَى النَّار فَيبقى أَثَره كَحَد السَّيْف
قَالَ فَيَقُول مروا فيمرون على قدر نورهم مِنْهُم من يمر كطرفة الْعين وَمِنْهُم من يمر كالبرق وَمِنْهُم من يمر كالسحاب وَمِنْهُم من يمر كانقضاض الْكَوَاكِب وَمِنْهُم من يمر كَالرِّيحِ وَمِنْهُم من يمر كشد الْفرس وَمِنْهُم من يمر كشد الرجل حَتَّى يمر الَّذِي يعْطى نوره على ظهر قَدَمَيْهِ يحبو على وَجهه وَيَديه وَرجلَيْهِ تجر يَد وَتعلق يَد وتجر رجل وَتعلق رجل وتصيب جوانبه النَّار فَلَا يزَال كَذَلِك حَتَّى يخلص فَإِذا خلص وقف عَلَيْهَا فَقَالَ الْحَمد لله الَّذِي أَعْطَانِي مَا لم يُعْط أحدا إِذْ أنجاني مِنْهَا بعد إِذْ رَأَيْتهَا
قَالَ فَينْطَلق بِهِ إِلَى غَدِير عِنْد بَاب الْجنَّة فيغتسل فَيَعُود إِلَيْهِ ريح أهل الْجنَّة وألوانهم فَيرى مَا فِي الْجنَّة من خلل الْبَاب فَيَقُول رب أدخلني الْجنَّة فَيَقُول الله أتسأل الْجنَّة وَقد نجيتك من النَّار فَيَقُول رب اجْعَل بيني وَبَينهَا حِجَابا حَتَّى لَا أسمع حَسِيسهَا قَالَ فَيدْخل الْجنَّة وَيرى أَو يرفع لَهُ منزل أَمَام ذَلِك كَأَن مَا هُوَ فِيهِ بِالنِّسْبَةِ إِلَيْهِ حلم فَيَقُول رب أَعْطِنِي ذَلِك الْمنزل فَيَقُول لَعَلَّك إِن أَعْطيته تسْأَل غَيره فَيَقُول لَا وَعزَّتك لَا أسأَل غَيره وَأي منزل أحسن مِنْهُ فيعطاه فينزله وَيرى أَمَام ذَلِك منزلا كَأَن مَا هُوَ فِيهِ بِالنِّسْبَةِ إِلَيْهِ حلم قَالَ رب أَعْطِنِي ذَلِك الْمنزل فَيَقُول الله تبَارك وَتَعَالَى لَهُ لَعَلَّك إِن أَعْطيته تسْأَل غَيره فَيَقُول لَا وَعزَّتك وَأي منزل أحسن مِنْهُ فيعطاه فينزله ثمَّ يسكت
فَيَقُول الله جلّ ذكره مَا لَك لَا تسْأَل فَيَقُول رب قد سَأَلتك حَتَّى استحييتك فَيَقُول الله جلّ ذكره ألم ترض أَن أُعْطِيك مثل الدُّنْيَا مُنْذُ خلقتها إِلَى يَوْم أفنيتها وَعشرَة أضعافه فَيَقُول أتهزأ بِي وَأَنت رب الْعِزَّة قَالَ فَيَقُول الرب جلّ ذكره لَا وَلَكِنِّي على ذَلِك قَادر فَيَقُول ألحقني بِالنَّاسِ فَيَقُول الْحق بِالنَّاسِ قَالَ فَينْطَلق يرمل فِي الْجنَّة حَتَّى إِذا دنا من النَّاس رفع لَهُ قصر من درة فيخر سَاجِدا فَيَقُول لَهُ ارْفَعْ رَأسك مَا لَك فَيَقُول رَأَيْت رَبِّي أَو ترَاءى لي رَبِّي فَيُقَال إِنَّمَا هُوَ منزل من منازلك قَالَ ثمَّ يَأْتِي رجلا فيتهيأ للسُّجُود لَهُ فَيُقَال لَهُ مَه فَيَقُول رَأَيْت أَنَّك ملك من الْمَلَائِكَة فَيَقُول إِنَّمَا أَنا خَازِن من خزانك وَعبد من عبيدك تَحت يَدي ألف قهرمان على مَا أَنا عَلَيْهِ
قَالَ فَينْطَلق أَمَامه حَتَّى يفتح لَهُ بَاب الْقصر قَالَ وَهُوَ من درة مجوفة سقائفها وأبوابها وأغلافها ومفاتيحها مِنْهَا يستقبله جَوْهَرَة خضراء مبطنة بِحَمْرَاء فِيهَا سَبْعُونَ بَابا كل بَاب يُفْضِي إِلَى جَوْهَرَة خضراء مبطنة كل جَوْهَرَة تُفْضِي إِلَى جَوْهَرَة على غير لون الْأُخْرَى فِي كل جَوْهَرَة سرر وَأَزْوَاج ووصائف أدناهن حوراء عيناء عَلَيْهَا سَبْعُونَ حلَّة يرى مخ سَاقهَا من وَرَاء حللها كَبِدهَا مرآته وكبده مرآتها إِذا أعرض عَنْهَا إعراضة ازدادت فِي عينه سبعين ضعفا عَمَّا كَانَت قبل ذَلِك فَيَقُول لَهَا وَالله لقد ازددت فِي عَيْني سبعين ضعفا وَتقول لَهُ وَأَنت لقد ازددت فِي عَيْني سبعين ضعفا فَيُقَال لَهُ أشرف فيشرف فَيُقَال لَهُ ملكك مسيرَة مائَة عَام ينفذهُ بَصرك قَالَ فَقَالَ لَهُ عمر أَلا تسمع مَا يحدثنا ابْن أم عبد يَا كَعْب عَن أدنى أهل الْجنَّة منزلا فَكيف أعلاهم قَالَ يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ مَا لَا عين رَأَتْ وَلَا أذن سَمِعت فَذكر الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالطَّبَرَانِيّ من طرق أَحدهَا صَحِيح وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৭৫
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৭৫. হযরত আবু বুরদা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন বান্দার পদযুগল নড়বে না, যে পর্যন্ত না তাকে চারটি (বিষয়ে) প্রশ্ন করা হয়, তার আয়ু সম্পর্কে, সে কোথায় তা ব্যয় করেছে? তার ইলম সম্পর্কে, তদনুযায়ী সে কি আমল করেছে? তার সম্পদ সম্পর্কে, সে কোথায় থেকে তা উপার্জন করেছে এবং কোথায় তা ব্যয় করেছে? তার শরীর সম্পর্কে, সে কোথায় তা খাটিয়েছে।
(হাদীসটি ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। একং তিনি বলেন হাদীসটি হাসান ও সহীহ।)
(হাদীসটি ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। একং তিনি বলেন হাদীসটি হাসান ও সহীহ।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5475- عَن أبي بردة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا تَزُول قدما عبد يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى يسْأَل عَن أَربع عَن عمره فِيمَا أفناه وَعَن علمه مَا عمل بِهِ وَعَن مَاله من أَيْن اكْتَسبهُ وَفِيمَا أنفقهُ وَعَن جِسْمه فِيمَا أبلاه
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৭৬
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৭৬. হযরত মু'আয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন বান্দার পদযুগল নড়বে না, যে পর্যন্ত না তাকে চারটি বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। তার আয়ু সম্পর্কে কোথায় সে তা বায় করেছে? তার যৌবন সম্পর্কে, কোথায় সে তা খাটিয়েছে। তার সম্পদ সম্পর্কে, কোথা থেকে সে তা উপার্জন করেছে এবং কোথায় তা ব্যয় করেছে। তার ইলম সম্পর্কে, তদনুযায়ী সে কি আমল করেছে।
(বাযযার ও তাবারনী সহীহ্ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির উল্লিখিত পাঠ তাবারানী বর্ণিত।)
(বাযযার ও তাবারনী সহীহ্ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির উল্লিখিত পাঠ তাবারানী বর্ণিত।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5476- وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لن تَزُول قدما عبد يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى يسْأَل عَن أَربع خِصَال عَن عمره فِيمَا أفناه وَعَن شبابه فِيمَا أبلاه وَعَن مَاله من أَيْن اكْتَسبهُ وَفِيمَا أنفقهُ وَعَن علمه مَاذَا عمل فِيهِ
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح وَاللَّفْظ لَهُ
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح وَاللَّفْظ لَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৭৭
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৭৭. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেন, যার হিসাব নেওয়া হবে, তাকে শাস্তি দেওয়া হবে, আমি বললাম, কেন আল্লাহ তা'আলা কি বলেন নিঃ
فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ (7) فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا (8) وَيَنْقَلِبُ إِلَى أَهْلِهِ مَسْرُورًا (9) "সুতরাং যার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে, অনতিবিলম্বে তার হিসাব নিকাশ সহজ হবে এবং সে তার পরিবার পরিজনের কাছে আনন্দিত চিত্তে ফিরে যাবে।" (৮৪ঃ ৭, ৮, ৯) তিনি বললেন, এটা হবে উপস্থাপনা মাত্র। কিয়ামতের দিন যাঁরই হিসাব নেওয়া হবে, সে ধ্বংস হবে।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ (7) فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا (8) وَيَنْقَلِبُ إِلَى أَهْلِهِ مَسْرُورًا (9) "সুতরাং যার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে, অনতিবিলম্বে তার হিসাব নিকাশ সহজ হবে এবং সে তার পরিবার পরিজনের কাছে আনন্দিত চিত্তে ফিরে যাবে।" (৮৪ঃ ৭, ৮, ৯) তিনি বললেন, এটা হবে উপস্থাপনা মাত্র। কিয়ামতের দিন যাঁরই হিসাব নেওয়া হবে, সে ধ্বংস হবে।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5477- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من نُوقِشَ الْحساب عذب فَقلت أَلَيْسَ يَقُول الله فَأَما من أُوتِيَ كِتَابه بِيَمِينِهِ فَسَوف يُحَاسب حسابا يَسِيرا وينقلب إِلَى أَهله مَسْرُورا الانشقاق 7 9 فَقَالَ إِنَّمَا ذَلِك الْعرض وَلَيْسَ أحد يُحَاسب يَوْم الْقِيَامَة إِلَّا هلك
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৭৮
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৭৮. হযরত ইব্ন যুবায়র (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যার হিসাব নিকাশ
নেওয়া হবে, সে ধ্বংস হবে।
(বাযযার ও তাবারানী 'আল-কাবীর' গ্রন্থে সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
নেওয়া হবে, সে ধ্বংস হবে।
(বাযযার ও তাবারানী 'আল-কাবীর' গ্রন্থে সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5478- وَعَن ابْن الزبير رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من نُوقِشَ الْحساب هلك
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد صَحِيح
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৭৯
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৭৯. হযরত উতবা ইবন আব্দুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন লোক জন্ম দিন থেকে বৃদ্ধ হয়ে তার মারা যাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সিজদায় পড়ে থাকে, তবে তিনি কিয়ামতের দিন এটাকে তুচ্ছ প্রতিপন্ন করবেন।
(তাবারানী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বাকিয়্যা ব্যতীত এর সকল বর্ণনাকারীই নির্ভরযোগ্য।)
(তাবারানী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বাকিয়্যা ব্যতীত এর সকল বর্ণনাকারীই নির্ভরযোগ্য।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5479- وَعَن عتبَة بن عبد الله رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَو أَن رجلا يخر على وَجهه من يَوْم ولد إِلَى يَوْم يَمُوت هرما فِي مرضاة الله عز وَجل لحقره يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا بَقِيَّة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا بَقِيَّة
তাহকীক: