আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
২৫. অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১১ টি
হাদীস নং: ৫৪৮০
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৮০. হযরত মুহাম্মদ ইবন আবূ আমীরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি ছিলেন নবী (ﷺ)-এর একজন সাহাবী। আমার ধারণা, তিনি হাদীসটি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, যদি কোন লোক জন্ম দিন থেকে বৃদ্ধ হয়ে তার মারা যাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ্ তা'আলার আনুগত্যের জন্য সিজদায় পড়ে থাকে, তবে ঐ দিনটি এটাকে তুচ্ছ প্রতিপন্ন করে দেবে। সে আকাঙ্ক্ষা করবে যে, যদি তাকে দুনিয়ায় ফিরিয়ে দেওয়া হত তবে তার পুরস্কার ও সাওয়াব বৃদ্ধি পেত।
(আহমাদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী সহীহ হাদীসের রাবী।)
(আহমাদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী সহীহ হাদীসের রাবী।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5480- وَعَن مُحَمَّد بن أبي عميرَة رَضِي الله عَنهُ وَكَانَ من أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَحْسبهُ رَفعه إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَو أَن رجلا خر على وَجهه من يَوْم ولد إِلَى يَوْم يَمُوت هرما فِي طَاعَة الله عز وَجل لحقره ذَلِك الْيَوْم ولود أَنه رد إِلَى الدُّنْيَا كَيْمَا يزْدَاد من الْأجر وَالثَّوَاب
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৮১
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৮১. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) এ সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন আদম সন্তানের তিনটি দফতর বের করা হবে, একটি দফতরে থাকবে (তার) নেক আমল, আরেক দফতরে থাকবে তার গুণাহসমূহ, অপর দফতরে থাকবে তার প্রতি আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে প্রদত্ত নিয়ামতসমূহ। তারপর আল্লাহ তা'আলা সবচেয়ে ক্ষুদ্র নিয়ামতটিকে বলবেন, (বর্ণনাকারী বলেন) আমার যত দূর মনে হয়, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, "নেয়ামতের দফতরে সবচেয়ে ক্ষুদ্র নেয়ামতটিকে বলবেন," তুমি তার নেক আমল থেকে তোমার বিনিময় নিয়ে যাও। তখন সে নিয়ামত তার সমস্ত নেক আমল নিয়ে নেবে। তারপর সে সরে যাবে এবং বলবে, তোমার ইযযতের কসম, আমি আমার বিনিময়ের সবটুকু পাইনি। অথচ তার গুণাহসমূহ ও নিয়ামতরাশি অবশিষ্ট রয়ে যাবে এবং নেক আমল শেষ হয়ে যাবে। তারপর যখন আল্লাহ্ তা'আলা কোন বান্দার প্রতি দয়া করতে ইচ্ছা করবেন, তখন বলবেন, হে আমার বান্দা! (যাও আমি তোমার জন্যে তোমার নেকীসমূহ দ্বিগুণ করে দিলাম, তোমার গুণাহসমূহ মার্জনা দিলাম। আমার যতদূর মনে হয়, তিনি বলেছেন, "এবং আমি আমার নিয়ামতসমূহ ঢেকে দান করে দিলাম।
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5481- وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يخرج لِابْنِ آدم يَوْم الْقِيَامَة ثَلَاثَة دواوين ديوَان فِيهِ الْعَمَل الصَّالح وديوان فِيهِ ذنُوبه وديوان فِيهِ النعم من الله عَلَيْهِ فَيَقُول الله عز وَجل لأصغر نعْمَة أَحْسبهُ قَالَ فِي ديوَان النعم خذي ثمنك من عمله الصَّالح فتستوعب عمله الصَّالح ثمَّ تنحى وَتقول وَعزَّتك مَا استوفيت وَتبقى
الذُّنُوب وَالنعَم وَقد ذهب الْعَمَل الصَّالح فَإِذا أَرَادَ الله أَن يرحم عبدا قَالَ يَا عَبدِي قد ضاعفت لَك حَسَنَاتك وتجاوزت عَن سيئاتك أَحْسبهُ قَالَ ووهبت لَك نعمي
رَوَاهُ الْبَزَّار
الذُّنُوب وَالنعَم وَقد ذهب الْعَمَل الصَّالح فَإِذا أَرَادَ الله أَن يرحم عبدا قَالَ يَا عَبدِي قد ضاعفت لَك حَسَنَاتك وتجاوزت عَن سيئاتك أَحْسبهُ قَالَ ووهبت لَك نعمي
رَوَاهُ الْبَزَّار
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৮২
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৮২. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, হাবশার অধিবাসী জনৈক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! বর্ণে ও নবুওয়াতে আপনারা তো আমাদের উপর প্রাধান্য পেয়েছেন। তবে আপনার কি অভিমত, আপনি যার প্রতি ঈমান রাখেন, আমিও যদি তার প্রতি ঈমান রাখি এবং আপনি যা আমল করেন, আমিও যদি তা আমল করি, আমি কি আপনার সাথে জান্নাতে থাকতে পারব? নবী (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলে, তার জন্য এর বদৌলতে আল্লাহর কাছে একটি অঙ্গীকার লিপিবদ্ধ হয় এবং যে ব্যক্তি সুবহানাল্লাহ্” বলে, তার জন্য এক লাখ নেকী লিখা হয়। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এরপরও আমরা কিভাবে ধ্বংস হব। নবী (ﷺ) বললেন, সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, নিশ্চয় মানুষ কিয়ামতের দিন এমন আমল নিয়ে আসবে, যদি তা কোন পর্বতের উপর রাখা হয়, তবে তার পক্ষেও তা ভারী হয়ে যাবে। তখন আল্লাহ্ তা'আলার নিয়ামতসমূহের মধ্য থেকে একটি নিয়ামত দাঁড়াবে এবং তার সমস্ত আমল শেষ করে ফেলার উপক্রম হবে। যদি না আল্লাহ্ তা'আলা নিজ দয়ায় তার প্রতি অনুগ্রহ করেন। তারপরই অবতীর্ণ হলঃ
هَلْ أَتَى عَلَى الْإِنْسَانِ حِينٌ مِنَ الدَّهْرِ لَمْ يَكُنْ شَيْئًا مَذْكُورًا (إلى قوله) : وَإِذَا رَأَيْتَ ثَمَّ رَأَيْتَ نَعِيمًا وَمُلْكًا كَبِيرًا
"কাল প্রবাহে মানুষের উপর এমন এক সময় এসেছিল, যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্র বিন্দু থেকে, তাকে পরীক্ষা করার জন্য। এজন্য আমি তাকে করেছি শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন। আমি তাকে পথের নির্দেশ দিয়েছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে। আমি অকৃতজ্ঞদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি শৃংখল, বেড়ি ও লেলিহান অগ্নি। সংকর্মশীলেরা পান করবে এমন পানীয়, যার মিশ্রণ হবে কাফুর। এমন একটি প্রস্রবণের, যা থেকে আল্লাহর বান্দাগণ পান করবে। তারা এ প্রস্রবণকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করবে। তারা কর্তব্য পালন করে এবং সেই দিনের ভয় করে, যেদিনের ইচ্ছা প্রবাহিত করবে। তারা কর্তব্য পালন করে এবং সেই দিনের ভয় করে, যেদিনের বিপত্তি হবে ব্যাপক। আহার্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে এবং বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি। আমরা তোমাদের নিকট থেকে প্রতিদান চাই না, কৃতজ্ঞতাও নয়। আমরা আশংকা করি আমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের। পরিণামে আল্লাহ্ তাদেরকে রক্ষা করবেন সে দিবসের অনিষ্ট থেকে এবং তাদেরকে দিবেন উৎফুল্লতা ও আনন্দ। আর তাদের ধৈর্যশীলদের পুরস্কার স্বরূপ তাদেরকে দেবেন উদ্যান ও রেশমী বস্তু। সেখানে তারা সমাসীন হবে সুসজ্জিত আসনে, তারা সেখানে অতিশয় গরম অথবা অতিশয় শীতবোধ করবে না। সন্নিহিত বৃক্ষ-ছায়া তাদের উপর থাকবে এবং তার ফলমূল সম্পূর্ণরূপে তাদের আওতাধীন করা হবে। তাদেরকে পরিবেশন করা হবে রৌপ্যপাত্রে এবং স্ফটিকের মত স্বচ্ছ পানপাত্রে রজতশুভ্র স্ফটিক পাত্রে, পরিবেশনকারীরা যথাযথ পরিমাণে তা পূর্ণ করবে। সেখানে তাদেরকে পান করতে দেওয়া হবে অদ্রক মিশ্রিত পানীয়, জান্নাতের এমন এক প্রস্রবণের, যার নাম সালসাবীল। তাদেরকে পরিবেশন করবে চির কিশোরগণ, তাদেরকে দেখে মনে হবে তারা যেন বিক্ষিপ্ত মুক্তা। তুমি যখন সেখানে দেখবে, দেখতে পাবে ভোগ বিলাসের উপকরণ এবং বিশাল রাজ্য।" (৭৬ঃ ১-২০) তখন হাবশার লোকটি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। জান্নাতে আপনার চোখ যা দেখবে, আমার চোখ কি সেরূপই দেখবে? নবী (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। তারপর হাবশী লোকটি এমন কান্নাই কাঁদল যে, তার প্রাণ বায়ু বেরিয়ে গেল। ইবন উমর (র) বলেন, আমি স্বচক্ষে দেখেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ তাকে তার কবরে রাখছেন।
(তাবারানী (র) আইয়ুব ইব্ন উৎবার রিওয়ায়েতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
هَلْ أَتَى عَلَى الْإِنْسَانِ حِينٌ مِنَ الدَّهْرِ لَمْ يَكُنْ شَيْئًا مَذْكُورًا (إلى قوله) : وَإِذَا رَأَيْتَ ثَمَّ رَأَيْتَ نَعِيمًا وَمُلْكًا كَبِيرًا
"কাল প্রবাহে মানুষের উপর এমন এক সময় এসেছিল, যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্র বিন্দু থেকে, তাকে পরীক্ষা করার জন্য। এজন্য আমি তাকে করেছি শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন। আমি তাকে পথের নির্দেশ দিয়েছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে। আমি অকৃতজ্ঞদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি শৃংখল, বেড়ি ও লেলিহান অগ্নি। সংকর্মশীলেরা পান করবে এমন পানীয়, যার মিশ্রণ হবে কাফুর। এমন একটি প্রস্রবণের, যা থেকে আল্লাহর বান্দাগণ পান করবে। তারা এ প্রস্রবণকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করবে। তারা কর্তব্য পালন করে এবং সেই দিনের ভয় করে, যেদিনের ইচ্ছা প্রবাহিত করবে। তারা কর্তব্য পালন করে এবং সেই দিনের ভয় করে, যেদিনের বিপত্তি হবে ব্যাপক। আহার্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে এবং বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি। আমরা তোমাদের নিকট থেকে প্রতিদান চাই না, কৃতজ্ঞতাও নয়। আমরা আশংকা করি আমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের। পরিণামে আল্লাহ্ তাদেরকে রক্ষা করবেন সে দিবসের অনিষ্ট থেকে এবং তাদেরকে দিবেন উৎফুল্লতা ও আনন্দ। আর তাদের ধৈর্যশীলদের পুরস্কার স্বরূপ তাদেরকে দেবেন উদ্যান ও রেশমী বস্তু। সেখানে তারা সমাসীন হবে সুসজ্জিত আসনে, তারা সেখানে অতিশয় গরম অথবা অতিশয় শীতবোধ করবে না। সন্নিহিত বৃক্ষ-ছায়া তাদের উপর থাকবে এবং তার ফলমূল সম্পূর্ণরূপে তাদের আওতাধীন করা হবে। তাদেরকে পরিবেশন করা হবে রৌপ্যপাত্রে এবং স্ফটিকের মত স্বচ্ছ পানপাত্রে রজতশুভ্র স্ফটিক পাত্রে, পরিবেশনকারীরা যথাযথ পরিমাণে তা পূর্ণ করবে। সেখানে তাদেরকে পান করতে দেওয়া হবে অদ্রক মিশ্রিত পানীয়, জান্নাতের এমন এক প্রস্রবণের, যার নাম সালসাবীল। তাদেরকে পরিবেশন করবে চির কিশোরগণ, তাদেরকে দেখে মনে হবে তারা যেন বিক্ষিপ্ত মুক্তা। তুমি যখন সেখানে দেখবে, দেখতে পাবে ভোগ বিলাসের উপকরণ এবং বিশাল রাজ্য।" (৭৬ঃ ১-২০) তখন হাবশার লোকটি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। জান্নাতে আপনার চোখ যা দেখবে, আমার চোখ কি সেরূপই দেখবে? নবী (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। তারপর হাবশী লোকটি এমন কান্নাই কাঁদল যে, তার প্রাণ বায়ু বেরিয়ে গেল। ইবন উমর (র) বলেন, আমি স্বচক্ষে দেখেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ তাকে তার কবরে রাখছেন।
(তাবারানী (র) আইয়ুব ইব্ন উৎবার রিওয়ায়েতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5482- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رجلا من الْحَبَشَة أَتَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا رَسُول الله فضلْتُمْ علينا بالألوان والنبوة أَفَرَأَيْت إِن آمَنت بِمثل مَا آمَنت بِهِ وعملت بِمثل مَا عملت بِهِ إِنِّي لكائن مَعَك فِي الْجنَّة فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نعم ثمَّ قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله كَانَ لَهُ بهَا عهد عِنْد الله وَمن قَالَ سُبْحَانَ الله كتب لَهُ مائَة ألف حَسَنَة فَقَالَ رجل يَا رَسُول الله كَيفَ نهلك بعد هَذَا فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَالَّذِي نَفسِي بِيَدِهِ إِن الرجل ليجيء يَوْم الْقِيَامَة بِعَمَل لَو وضع على جبل لأثقله فتقوم النِّعْمَة من نعم الله فتكاد تستنفد ذَلِك كُله لَوْلَا مَا يتفضل الله من رَحمته ثمَّ نزلت هَل أَتَى على الْإِنْسَان حِين من الدَّهْر لم يكن شَيْئا مَذْكُورا الْإِنْسَان 1 إِلَى قَوْله وَإِذا رَأَيْت ثمَّ رَأَيْت نعيما وملكا كَبِيرا الْإِنْسَان 02
فَقَالَ الحبشي يَا رَسُول الله وَهل ترى عَيْني فِي الْجنَّة مثل مَا ترى عَيْنك فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نعم فَبكى الحبشي حَتَّى فاضت نَفسه قَالَ ابْن عمر فَأَنا رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يدليه فِي حفرته
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من رِوَايَة أَيُّوب بن عتبَة
فَقَالَ الحبشي يَا رَسُول الله وَهل ترى عَيْني فِي الْجنَّة مثل مَا ترى عَيْنك فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نعم فَبكى الحبشي حَتَّى فاضت نَفسه قَالَ ابْن عمر فَأَنا رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يدليه فِي حفرته
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من رِوَايَة أَيُّوب بن عتبَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৮৩
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৮৩. হযরত ওয়াসিলা ইবন আসকা (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন এক বান্দাকে পুনরুত্থিত করবেন, যার কোন গুণাহ নেই। তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাকে বললেনঃ ওহে! আমি তোমার আমল মুতাবিক পুরস্কার দেব না, কি তোমার প্রতি আমার প্রদত্ত নিয়ামত মুতাবিক পুরস্কার দেব। এ দু'টির মধ্যে তোমার কাছে কোনটি প্রিয়তর? লোকটি বলবে, হে আমার প্রতিপালক। নিশ্চয় তুমি জান, আমি কখনও তোমার অবাধ্যচরণ করিনি। তিনি বলবেন, তোমরা (ফিরিশতাগণ) আমার বান্দা থেকে আমার নিয়ামতসমূহের মধ্য থেকে একটি নিয়ামতের বিনিময় গ্রহণ কর। তখন তার কোন নেকীই আর অবশিষ্ট থাকবে না। সে নিয়ামতটি তার সমস্ত নেকী শেষ করে ফেলবে। তারপর সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক। তোমার নিয়ামত ও রহমত মুতাবিক দান কর। তখন তিনি বলবেন, (যাও) আমি আমার নিয়ামত ও রহমত মুতাবিকই দান করলাম।
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5483- وَرُوِيَ عَن وَاثِلَة بن الْأَسْقَع رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يبْعَث الله يَوْم الْقِيَامَة عبدا لَا ذَنْب لَهُ فَيَقُول الله أَي الْأَمريْنِ أحب إِلَيْك أَن أجزيك بعملك أَو بنعمتي عنْدك قَالَ يَا رب إِنَّك تعلم أَنِّي لم أعصك قَالَ خُذُوا عَبدِي بِنِعْمَة من نعمي فَمَا تبقى لَهُ حَسَنَة إِلَّا استغرقتها تِلْكَ النِّعْمَة فَيَقُول رب بنعمتك ورحمتك فَيَقُول بنعمتي ورحمتي
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৮৪
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৮৪. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের কছে বেরিয়ে এসে বললেন, এইমাত্র আমাদের বন্ধু জিবরীল (আ) আমার কাছ থেকে বেরিয়ে গেলেন। তিনি বললেনঃ ‘হে মুহাম্মদ সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য দ্বীন সহকারে প্রেরণ করেছেন, নিশ্চয় আল্লাহর বান্দাদের থেকে কোন এক বান্দা সমুদ্রের মধ্যে অবস্থিত এমন এক পর্বতের চূড়ায় বসে পাঁচশ বছর অবধি আল্লাহর ইবাদত করেছে, যার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ত্রিশ হাত-ত্রিশ হাত (৩০ X ৩০) এবং তার প্রত্যেক দিকে ঘিরে রয়েছে চার হাজার ফরসখ (১২০০০ মাইল) সমুদ্র। সে পর্বত চূড়ায় রয়েছে এর জন্য আঙ্গুরের প্রস্থ পরিমান একটি মিঠা পানির ঝর্ণা। সে ঝর্ণা থেকে মিঠা পানি প্রবাহিত হয়ে পর্বতের পাদদেশে জমা হয় এবং একটি ডালিম গাছ প্রতি রাত্রে তার জন্য একটি ডালিমের ফলন দেয়। সে দিনের বেলায় ইবাদত করে। যখন সন্ধ্যা হয়, তখন সে নিচে নেমে উযূ করে এবং সে ডালিমটি নিয়ে খায়, তারপর সালাতের উদ্দ্যেশ্য দাঁড়িয়ে যায়। (এভাবে তার জীবন কেটে গেল) তারপর মৃত্যুর সময় সে তার প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করল, যাতে তিনি তাকে সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু দেন এবং ভূমি বা কোন কিছুকে যেন তাঁর এ অবস্থা বিনষ্ট করার সুযোগ না দেন এবং এভাবে তাকে সিজদারত অবস্থায়ই পুনরুত্থিত করেন। তিনি (জিবরীল আ), আল্লাহ তাআলা তাই করলেন। এখন যখন আমরা (পৃথিবীতে) অবতরণ করি এবং (অকাশে)। আরোহন করি তখন। আর তার উপর দিয়েই গমনাগমন করি। তার ব্যাপারে আমরা লাওহে মাহফুজের মধ্যে দেখতে পাই যে, ওকে কিয়ামতের দিন পুনরুত্থিত করা হবে এবং তাকে অল্লাহ তাআলার সামনে দণ্ডায়মান করা হবে। অতপর আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর সম্পর্কে বলবেন, তোমরা আমার বান্দাকে আমার দয়ায় জান্নাতে দাখিল কর। সে বলবে, প্রভু! বরং আমার আমলের বিনিময়ে। তারপর তিনি বলবেন, তোমরা আমার বান্দাকে আমার দয়ায় জান্নাতে দাখিল কর। সে বলবে, প্রভু! বরং আমার আমলের বিনিময়ে। এরপর অল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা আমার বান্দার প্রতি আমার প্রদত্ত নিয়ামত ও তার আমলের অনুগত কর। তখন দেখা যাবে যে কেবল এক দর্শনেন্দ্রিয়ের নিয়ামতই তার পাঁচশ বছরের ইবাদতকে গিলে নিয়েছে এবং শরীরে অবশিষ্ট এ প্রতঙ্গের নিয়ামত তার জন্য অবশিষ্ট রয়ে গেছে।
এবার অল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তোমরা আমার বান্দাকে জাহান্নামে দাখিল কর। সেমতে তাকে জাহান্নামের নিকে হেঁচড়িয়ে নেওয়া হবে। তখন সে ডেকে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! তোমার দয়ায় আমাকে জান্নাতে দাখিল কর। তিনি বলবেন, তাকে ফিরিয়ে আন। সুতরাং তাকে আল্লাহ তাআলার সামনে দাঁড় করানো হলে তখন তিনি বলবেনঃ হে আমার বান্দা। তুই তো কিছুই ছিলে না, কে তোকে সৃষ্টি করেছে? সে বলবে প্রভু তুমিই। তিনি আবার জিজ্ঞেস করবেন, কে তোকে পাঁচশ বছর ইবাদত করার শক্তি দিয়েছিল? সে বলবে, প্রভু তুমিই। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, কে তোকে সমুদ্রের মাঝখানে একটি পর্বতে উপনীত করেছিল, তোর জন্য লবণাক্ত পানির মধ্য থেকে মিঠা পানি বের করে দিয়েছিল। তোর জন্য প্রত্যেক রাত্রে একটি করে ডালিম সৃষ্টি করে দিয়েছিল, অথচ ডালিম বছরে একবারই উৎপন্ন হয় এবং তুই কার কাছে প্রার্থনা করেছিলে যে- তিনি যেন তোকে সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু দেন, যার ফলে তিনি তাই করেছিলেন? সে বলবে, হে প্রভু তুমিই। তিনি বলবেন, এসব আমার দয়ায়ই হয়েছিল এবং আমি আমার দয়ায় তোকে জান্নাতে দাখিল করব। (ফিরিশতাকূল।) তোমরা আমার বান্দাকে জান্নাতে দাখিল কর। হে আমার বান্দা! তুই ভাল বান্দাই ছিলে। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। জিব্রীল (আ) বলেন, হে মুহাম্মদ (ﷺ) সবকিছু আল্লাহর রহমতেই হয়।
(হাকিম সুলায়মান-এর সূত্রে মুহাম্মদ ইবন মুনকাদির-এর মধ্যস্থতায় জাবির থেকে হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, এর সনদ সহীহ।)
এবার অল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তোমরা আমার বান্দাকে জাহান্নামে দাখিল কর। সেমতে তাকে জাহান্নামের নিকে হেঁচড়িয়ে নেওয়া হবে। তখন সে ডেকে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! তোমার দয়ায় আমাকে জান্নাতে দাখিল কর। তিনি বলবেন, তাকে ফিরিয়ে আন। সুতরাং তাকে আল্লাহ তাআলার সামনে দাঁড় করানো হলে তখন তিনি বলবেনঃ হে আমার বান্দা। তুই তো কিছুই ছিলে না, কে তোকে সৃষ্টি করেছে? সে বলবে প্রভু তুমিই। তিনি আবার জিজ্ঞেস করবেন, কে তোকে পাঁচশ বছর ইবাদত করার শক্তি দিয়েছিল? সে বলবে, প্রভু তুমিই। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, কে তোকে সমুদ্রের মাঝখানে একটি পর্বতে উপনীত করেছিল, তোর জন্য লবণাক্ত পানির মধ্য থেকে মিঠা পানি বের করে দিয়েছিল। তোর জন্য প্রত্যেক রাত্রে একটি করে ডালিম সৃষ্টি করে দিয়েছিল, অথচ ডালিম বছরে একবারই উৎপন্ন হয় এবং তুই কার কাছে প্রার্থনা করেছিলে যে- তিনি যেন তোকে সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু দেন, যার ফলে তিনি তাই করেছিলেন? সে বলবে, হে প্রভু তুমিই। তিনি বলবেন, এসব আমার দয়ায়ই হয়েছিল এবং আমি আমার দয়ায় তোকে জান্নাতে দাখিল করব। (ফিরিশতাকূল।) তোমরা আমার বান্দাকে জান্নাতে দাখিল কর। হে আমার বান্দা! তুই ভাল বান্দাই ছিলে। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। জিব্রীল (আ) বলেন, হে মুহাম্মদ (ﷺ) সবকিছু আল্লাহর রহমতেই হয়।
(হাকিম সুলায়মান-এর সূত্রে মুহাম্মদ ইবন মুনকাদির-এর মধ্যস্থতায় জাবির থেকে হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, এর সনদ সহীহ।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5484- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ خرج علينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ خرج من عِنْدِي خليلي جِبْرِيل آنِفا فَقَالَ يَا مُحَمَّد وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ إِن لله عبدا من عباده عبد الله خَمْسمِائَة سنة على رَأس جبل فِي الْبَحْر عرضه وَطوله ثَلَاثُونَ ذِرَاعا فِي ثَلَاثِينَ ذِرَاعا وَالْبَحْر مُحِيط بِهِ أَرْبَعَة آلَاف فَرسَخ من كل نَاحيَة وَأخرج لَهُ عينا عذبة بِعرْض الْأصْبع تفيض بِمَاء عذب فيستنقع فِي أَسْفَل الْجَبَل وشجرة رمان تخرج لَهُ فِي كل لَيْلَة رمانة يتعبد يَوْمه فَإِذا أَمْسَى نزل فَأصَاب من الْوضُوء وَأخذ تِلْكَ الرمانة فَأكلهَا ثمَّ قَامَ لصلاته فَسَأَلَ
ربه عِنْد وَقت الْأَجَل أَن يقبضهُ سَاجِدا وَأَن لَا يَجْعَل للْأَرْض وَلَا لشَيْء يُفْسِدهُ عَلَيْهِ سَبِيلا حَتَّى يَبْعَثهُ الله وَهُوَ ساجد قَالَ فَفعل فَنحْن نمر عَلَيْهِ إِذا هبطنا وَإِذا عرجنا فنجد لَهُ فِي الْعلم أَنه يبْعَث يَوْم الْقِيَامَة فَيُوقف بَين يَدي الله فَيَقُول لَهُ الرب أدخلُوا عَبدِي الْجنَّة برحمتي فَيَقُول رب بل بعملي فَيَقُول أدخلُوا عَبدِي الْجنَّة برحمتي فَيَقُول رب بل بعملي فَيَقُول الله قايسوا عَبدِي بنعمتي عَلَيْهِ وبعمله فتوجد نعْمَة الْبَصَر قد أحاطت بِعبَادة خَمْسمِائَة سنة وَبقيت نعْمَة الْجَسَد فضلا عَلَيْهِ فَيَقُول أدخلُوا عَبدِي النَّار فيجر إِلَى النَّار فينادي رب بِرَحْمَتك أدخلني الْجنَّة فَيَقُول ردُّوهُ فَيُوقف بَين يَدَيْهِ فَيَقُول يَا عَبدِي من خلقك وَلم تَكُ شَيْئا فَيَقُول أَنْت يَا رب فَيَقُول من قواك لعبادة خَمْسمِائَة سنة فَيَقُول أَنْت يَا رب فَيَقُول من أنزلك فِي جبل وسط اللجة وَأخرج لَك المَاء العذب من المَاء المالح وَأخرج لَك كل لَيْلَة رمانة وَإِنَّمَا تخرج مرّة فِي السّنة وَسَأَلته أَن يقبضك سَاجِدا فَفعل فَيَقُول أَنْت يَا رب قَالَ فَذَلِك برحمتي وبرحمتي أدْخلك الْجنَّة أدخلُوا عَبدِي الْجنَّة فَنعم العَبْد كنت يَا عَبدِي فَأدْخلهُ الله الْجنَّة
قَالَ جِبْرِيل إِنَّمَا الْأَشْيَاء برحمة الله يَا مُحَمَّد
رَوَاهُ الْحَاكِم عَن سُلَيْمَان بن هرم عَن مُحَمَّد بن الْمُنْكَدر عَن جَابر وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
ربه عِنْد وَقت الْأَجَل أَن يقبضهُ سَاجِدا وَأَن لَا يَجْعَل للْأَرْض وَلَا لشَيْء يُفْسِدهُ عَلَيْهِ سَبِيلا حَتَّى يَبْعَثهُ الله وَهُوَ ساجد قَالَ فَفعل فَنحْن نمر عَلَيْهِ إِذا هبطنا وَإِذا عرجنا فنجد لَهُ فِي الْعلم أَنه يبْعَث يَوْم الْقِيَامَة فَيُوقف بَين يَدي الله فَيَقُول لَهُ الرب أدخلُوا عَبدِي الْجنَّة برحمتي فَيَقُول رب بل بعملي فَيَقُول أدخلُوا عَبدِي الْجنَّة برحمتي فَيَقُول رب بل بعملي فَيَقُول الله قايسوا عَبدِي بنعمتي عَلَيْهِ وبعمله فتوجد نعْمَة الْبَصَر قد أحاطت بِعبَادة خَمْسمِائَة سنة وَبقيت نعْمَة الْجَسَد فضلا عَلَيْهِ فَيَقُول أدخلُوا عَبدِي النَّار فيجر إِلَى النَّار فينادي رب بِرَحْمَتك أدخلني الْجنَّة فَيَقُول ردُّوهُ فَيُوقف بَين يَدَيْهِ فَيَقُول يَا عَبدِي من خلقك وَلم تَكُ شَيْئا فَيَقُول أَنْت يَا رب فَيَقُول من قواك لعبادة خَمْسمِائَة سنة فَيَقُول أَنْت يَا رب فَيَقُول من أنزلك فِي جبل وسط اللجة وَأخرج لَك المَاء العذب من المَاء المالح وَأخرج لَك كل لَيْلَة رمانة وَإِنَّمَا تخرج مرّة فِي السّنة وَسَأَلته أَن يقبضك سَاجِدا فَفعل فَيَقُول أَنْت يَا رب قَالَ فَذَلِك برحمتي وبرحمتي أدْخلك الْجنَّة أدخلُوا عَبدِي الْجنَّة فَنعم العَبْد كنت يَا عَبدِي فَأدْخلهُ الله الْجنَّة
قَالَ جِبْرِيل إِنَّمَا الْأَشْيَاء برحمة الله يَا مُحَمَّد
رَوَاهُ الْحَاكِم عَن سُلَيْمَان بن هرم عَن مُحَمَّد بن الْمُنْكَدر عَن جَابر وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৮৫
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৮৫. নবী সহধর্মিনী আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি প্রায়ই বলতেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা সঠিক পথে চল, (ইবাদত ইত্যাদির ক্ষেত্রে) ভারসাম্যপূর্ণ পন্থা অবলম্বন কর এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর। কেননা, কাউকে তার আমল জান্নাতে দাখিল করতে পারবে না। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনাকেও নয়? তিনি বললেন, না, আমাকেও নয়। যদি না আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে তার রহমতের দ্বারা ঢেকে নেন।
(বুখারী, মুসলিম প্রমুখ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী, মুসলিম প্রমুখ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5485- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا زوج النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنَّهَا كَانَت تَقول قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سددوا وقاربوا وَأَبْشِرُوا فَإِنَّهُ لن يدْخل أحدا الْجنَّة عمله
قَالُوا وَلَا أَنْت يَا رَسُول الله قَالَ وَلَا أَنا إِلَّا أَن يتغمدني الله برحمته
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا
قَالُوا وَلَا أَنْت يَا رَسُول الله قَالَ وَلَا أَنا إِلَّا أَن يتغمدني الله برحمته
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৮৬
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৮৬. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহর রহমত ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনি ও নন? তিনি বললেন, না আমিও নই। যদি না আল্লাহ তা'আলা আমাকে তাঁর রহমতের দ্বারা ঢেকে নেন। তিনি তাঁর নিজ মাথার উপর তাঁর হাত রেখে এ কথাটি বললেন।
(আহমাদ হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বাযযার ও তাবারানী আবু মূসা (রা)-এর রিওয়ায়েতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাবারানী আবার উসামা ইব্ন শুরাইক এর রিওয়ায়েতে এবং বাযযার শুরাইক ইবন তারিখ-এর রিওয়ায়েতেও উৎকৃষ্ট সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(আহমাদ হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বাযযার ও তাবারানী আবু মূসা (রা)-এর রিওয়ায়েতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাবারানী আবার উসামা ইব্ন শুরাইক এর রিওয়ায়েতে এবং বাযযার শুরাইক ইবন তারিখ-এর রিওয়ায়েতেও উৎকৃষ্ট সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5486- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لن يدْخل الْجنَّة أحد إِلَّا برحمة الله قَالُوا وَلَا أَنْت يَا رَسُول الله قَالَ وَلَا أَنا إِلَّا أَن يتغمدني الله برحمته وَقَالَ بِيَدِهِ فَوق رَأسه
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَرَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ من حَدِيث أبي مُوسَى وَالطَّبَرَانِيّ أَيْضا من حَدِيث أُسَامَة بن شريك وَالْبَزَّار أَيْضا من حَدِيث شريك بن طَارق بِإِسْنَاد جيد
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَرَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ من حَدِيث أبي مُوسَى وَالطَّبَرَانِيّ أَيْضا من حَدِيث أُسَامَة بن شريك وَالْبَزَّار أَيْضا من حَدِيث شريك بن طَارق بِإِسْنَاد جيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৮৭
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৮৭. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন হকদারের হক পরিশোধ করে দেওয়া হবে। এমনকি শিকারী বকরী থেকে শিঙ বিহীন বকরীর বদলা নেওয়া হবে।
(মুসলিম ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আহমাদ ও হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর বর্ণিত
রিওয়ায়েতের ভাষা হলঃ রাসূলুল্লাহ বলেছেন, (কিয়ামতের দিন) এক সৃষ্টিজীব থেকে অপর সৃষ্টিজীবের বদলা নেওয়া হবে। এমনকি শিঙধারী প্রাণী থেকে শিঙবিহীন প্রাণীর এবং পিঁপড়া থেকে পিঁপড়ারও বদলা নেওয়া হবে। এর সকল বর্ণনাকারী সহীহ হাদীসের রাবী।)
(মুসলিম ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আহমাদ ও হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর বর্ণিত
রিওয়ায়েতের ভাষা হলঃ রাসূলুল্লাহ বলেছেন, (কিয়ামতের দিন) এক সৃষ্টিজীব থেকে অপর সৃষ্টিজীবের বদলা নেওয়া হবে। এমনকি শিঙধারী প্রাণী থেকে শিঙবিহীন প্রাণীর এবং পিঁপড়া থেকে পিঁপড়ারও বদলা নেওয়া হবে। এর সকল বর্ণনাকারী সহীহ হাদীসের রাবী।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5487- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لتؤدن الْحُقُوق إِلَى أَهلهَا
يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى يُقَاد للشاة الجلحاء من الشَّاة القرناء
رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ
وَرَوَاهُ أَحْمد وَلَفظه أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يقْتَصّ لِلْخلقِ بَعضهم من بعض حَتَّى للجماء من القرناء وَحَتَّى للذرة من الذّرة
وَرُوَاته رَوَاهُ الصَّحِيح
الجلحاء الَّتِي لَا قرن لَهَا
يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى يُقَاد للشاة الجلحاء من الشَّاة القرناء
رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ
وَرَوَاهُ أَحْمد وَلَفظه أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يقْتَصّ لِلْخلقِ بَعضهم من بعض حَتَّى للجماء من القرناء وَحَتَّى للذرة من الذّرة
وَرُوَاته رَوَاهُ الصَّحِيح
الجلحاء الَّتِي لَا قرن لَهَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৮৮
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৮৮. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, সবকিছু কিয়ামতের দিন বিচার তলব করবে। এমনকি দু'টো বকরী তাদের পারস্পরিক বাড়াবাড়ির ব্যাপারেও।
(আহমাদ হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আহমাদ পুনরায় ও আবু ইয়া'লা আবু সাঈদের রিওয়ায়েতে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।)
(আহমাদ হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আহমাদ পুনরায় ও আবু ইয়া'লা আবু সাঈদের রিওয়ায়েতে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5488- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ليختصمن كل شَيْء يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى الشاتان فِيمَا انتطحتا
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَرَوَاهُ أَحْمد أَيْضا وَأَبُو يعلى من حَدِيث أبي سعيد
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَرَوَاهُ أَحْمد أَيْضا وَأَبُو يعلى من حَدِيث أبي سعيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৮৯
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৮৯. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর একজন সাহাবী তাঁর সামনে বসে বল্লেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমার কতক গোলাম আছে। তারা আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং আমার হুকুম অমান্য করে। আমি তাদেরকে প্রহার করি এবং তাদেরকে গালাগাল দেই। সুতরাং তাদের ব্যাপারে আমার অবস্থা কি হবে?
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তারা তোমার সাথে যে বিশ্বাঘাতকতা করে, তোমার হুকুম অমান্য করে ও তোমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে এবং তাদেরকে তুমি যে শাস্তি দান কর সবকিছু হিসাব করা হবে। যদি তাদেরকে তোমার শাস্তি দান তাদের অপরাধের চেয়ে কম হয়, তবে তা হবে তোমার সাওয়াবের উপায়। যদি তাদেরকে তোমার শাস্তি দান তাদের অপরাধ পরিমাণ হয়, তবে তা হবে যথেষ্ট। তোমার পক্ষেও যাবে না, এবং তোমার বিপক্ষেও যাবে না। কিন্তু যদি তাদেরকে তোমার শাস্তি দান তাদের অপরাধের তুলনায় বেশি হয় তবে তোমার থেকে তাদের জন্য সেই অতিরিক্তটুকুর বদলা নেওয়া হবে, যা তোমার পক্ষ থেকে অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তখন লোকটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে কাঁদতে এবং চিৎকার করতে লাগল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বললেন, তোমার কি হয়েছে তুমি আল্লাহর কালাম পড় না?
ونضع الموازين الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلا تُظْلَمُ شَيْئًا، وَإِنْ كَانَ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بها وكفى بنا حاسبين
"আমি কিয়ামতের দিন ন্যায়ের পাল্লা কায়েম করব, সুতরাং কাউকে কোন যুলুম করা হবে না। যদি কোন আমল সরষের বীজ পরিমাণও হয়, তাও আমি উপস্থিত করব এবং আমি হিসাবরক্ষক হিসাবে যথেষ্ট।" (২১ঃ ৪৭) তখন লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ। তাদেরকে অর্থাৎ, আমার গোলামগুলোকে-পৃথক করে দেওয়ার চেয়ে উত্তম কিছু আমি দেখছি না। আমি আপনাকে সাক্ষী করে বলছি যে, তারা সবাই মুক্ত। (আহমাদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব। কেবল আব্দুর রহমান ইবন গাযওয়ান-এর রিওয়ায়েত ব্যতীত অন্য কোন রিওয়ায়েতে হাদীসটি আমার জানা নেই। আহমাদ ইবন হাম্বল আব্দুর রহমান ইব্ন গাযওয়ানের সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[হাফিয (র) বলেনঃ], আহমাদ ও তিরমিযীর সনদ মুত্তাসিল, উভয় সনদের রাবীগণ নির্ভযোগ্য। উপরিউক্ত আব্দুর রহমান এর উপনাম আবূ নূহ। তিনি নির্ভরযোগ্য রাবী। বুখারী তাঁর রিওয়ায়েত প্রমাণ স্বরূপ গ্রহণ করেছেন এবং আহমাদের অবশিষ্ট রাবীগণও নির্ভযোগ্য। বুখারী ও মুসলিম তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা স্বীকার করেছেন।।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তারা তোমার সাথে যে বিশ্বাঘাতকতা করে, তোমার হুকুম অমান্য করে ও তোমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে এবং তাদেরকে তুমি যে শাস্তি দান কর সবকিছু হিসাব করা হবে। যদি তাদেরকে তোমার শাস্তি দান তাদের অপরাধের চেয়ে কম হয়, তবে তা হবে তোমার সাওয়াবের উপায়। যদি তাদেরকে তোমার শাস্তি দান তাদের অপরাধ পরিমাণ হয়, তবে তা হবে যথেষ্ট। তোমার পক্ষেও যাবে না, এবং তোমার বিপক্ষেও যাবে না। কিন্তু যদি তাদেরকে তোমার শাস্তি দান তাদের অপরাধের তুলনায় বেশি হয় তবে তোমার থেকে তাদের জন্য সেই অতিরিক্তটুকুর বদলা নেওয়া হবে, যা তোমার পক্ষ থেকে অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তখন লোকটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে কাঁদতে এবং চিৎকার করতে লাগল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বললেন, তোমার কি হয়েছে তুমি আল্লাহর কালাম পড় না?
ونضع الموازين الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلا تُظْلَمُ شَيْئًا، وَإِنْ كَانَ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بها وكفى بنا حاسبين
"আমি কিয়ামতের দিন ন্যায়ের পাল্লা কায়েম করব, সুতরাং কাউকে কোন যুলুম করা হবে না। যদি কোন আমল সরষের বীজ পরিমাণও হয়, তাও আমি উপস্থিত করব এবং আমি হিসাবরক্ষক হিসাবে যথেষ্ট।" (২১ঃ ৪৭) তখন লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ। তাদেরকে অর্থাৎ, আমার গোলামগুলোকে-পৃথক করে দেওয়ার চেয়ে উত্তম কিছু আমি দেখছি না। আমি আপনাকে সাক্ষী করে বলছি যে, তারা সবাই মুক্ত। (আহমাদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব। কেবল আব্দুর রহমান ইবন গাযওয়ান-এর রিওয়ায়েত ব্যতীত অন্য কোন রিওয়ায়েতে হাদীসটি আমার জানা নেই। আহমাদ ইবন হাম্বল আব্দুর রহমান ইব্ন গাযওয়ানের সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[হাফিয (র) বলেনঃ], আহমাদ ও তিরমিযীর সনদ মুত্তাসিল, উভয় সনদের রাবীগণ নির্ভযোগ্য। উপরিউক্ত আব্দুর রহমান এর উপনাম আবূ নূহ। তিনি নির্ভরযোগ্য রাবী। বুখারী তাঁর রিওয়ায়েত প্রমাণ স্বরূপ গ্রহণ করেছেন এবং আহমাদের অবশিষ্ট রাবীগণও নির্ভযোগ্য। বুখারী ও মুসলিম তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা স্বীকার করেছেন।।
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5489- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رجلا من أَصْحَاب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جلس بَين يَدَيْهِ فَقَالَ يَا رَسُول الله إِن لي مملوكين يكذبونني ويخونونني ويعصونني وأضربهم وأشتمهم فَكيف أَنا مِنْهُم فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يحْسب مَا خانوك وعصوك وكذبوك وعقابك إيَّاهُم فَإِن كَانَ عقابك إيَّاهُم دون ذنوبهم كَانَ فضلا لَك وَإِن كَانَ عقابك إيَّاهُم بِقدر ذنوبهم كَانَ كفافا لَا لَك وَلَا عَلَيْك وَإِن كَانَ عقابك إيَّاهُم فَوق ذنوبهم اقْتصّ لَهُم مِنْك الْفضل الَّذِي بَقِي قبلك فَجعل الرجل يبكي بَين يَدي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ويهتف فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا لَك مَا تقْرَأ كتاب الله وَنَضَع الموازين الْقسْط ليَوْم الْقِيَامَة فَلَا تظلم نفس شَيْئا وَإِن كَانَ مِثْقَال حَبَّة من خَرْدَل أَتَيْنَا بهَا وَكفى بِنَا حاسبين الْأَنْبِيَاء 74
فَقَالَ الرجل يَا رَسُول الله مَا أجد شَيْئا خيرا من فِرَاق هَؤُلَاءِ يَعْنِي عبيده أشهدك أَنهم كلهم أَحْرَار
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب لَا نعرفه إِلَّا من حَدِيث عبد الرَّحْمَن بن غَزوَان وَقد روى أَحْمد بن حَنْبَل هَذَا الحَدِيث عَن عبد الرَّحْمَن بن غَزوَان انْتهى
قَالَ الْحَافِظ وَإسْنَاد أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ متصلان ورواتهما ثِقَات عبد الرَّحْمَن هَذَا يكنى أَبَا نوح ثِقَة احْتج بِهِ البُخَارِيّ وَبَقِيَّة رجال أَحْمد ثِقَات احْتج بهم البُخَارِيّ وَمُسلم
فَقَالَ الرجل يَا رَسُول الله مَا أجد شَيْئا خيرا من فِرَاق هَؤُلَاءِ يَعْنِي عبيده أشهدك أَنهم كلهم أَحْرَار
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب لَا نعرفه إِلَّا من حَدِيث عبد الرَّحْمَن بن غَزوَان وَقد روى أَحْمد بن حَنْبَل هَذَا الحَدِيث عَن عبد الرَّحْمَن بن غَزوَان انْتهى
قَالَ الْحَافِظ وَإسْنَاد أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ متصلان ورواتهما ثِقَات عبد الرَّحْمَن هَذَا يكنى أَبَا نوح ثِقَة احْتج بِهِ البُخَارِيّ وَبَقِيَّة رجال أَحْمد ثِقَات احْتج بهم البُخَارِيّ وَمُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৯০
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৯০. উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার ঘরে ছিলেন। তাঁর হাতে মিসওয়াক। তিনি তাঁর অথবা উম্মু সালামা (রা)-এর একটি বাঁদীকে এভাবে ডাকলেন যে, তাঁর
চেহারায় ক্রোধের ছাপ প্রকাশ পেল। তখন উম্মু সালামা (রা) হুজরার দিকে গেলেন এবং সে বাঁদীটিকে একটি ভেড়ার বাচ্চা নিয়ে খেলতে দেখতে পেলেন। তখন তিনি বললেন, ওহে! আমি তোকে এ ভেড়ার বাচ্চা নিয়ে খেলতে দেখছি, অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোকে ডাকছেন। তখন বাঁদীটি (এসে) বলল, সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য দ্বীন সহকারে প্রেরণ করেছেন, আমি আপনার ডাক শুনতে পাই নি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, যদি বদলার ভয় না থাকত, তবে আমি তোকে এ মিসওয়াক দিয়ে জর্জরিত করতাম। অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, "যদি বদলা (এর ভয়) না থাকত তবে আমি তোকে এ মিসওয়াক দিয়ে পেটাতাম।"
(আবু ইয়া'লা কয়েক সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি উৎকৃষ্ট।)
চেহারায় ক্রোধের ছাপ প্রকাশ পেল। তখন উম্মু সালামা (রা) হুজরার দিকে গেলেন এবং সে বাঁদীটিকে একটি ভেড়ার বাচ্চা নিয়ে খেলতে দেখতে পেলেন। তখন তিনি বললেন, ওহে! আমি তোকে এ ভেড়ার বাচ্চা নিয়ে খেলতে দেখছি, অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোকে ডাকছেন। তখন বাঁদীটি (এসে) বলল, সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য দ্বীন সহকারে প্রেরণ করেছেন, আমি আপনার ডাক শুনতে পাই নি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, যদি বদলার ভয় না থাকত, তবে আমি তোকে এ মিসওয়াক দিয়ে জর্জরিত করতাম। অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, "যদি বদলা (এর ভয়) না থাকত তবে আমি তোকে এ মিসওয়াক দিয়ে পেটাতাম।"
(আবু ইয়া'লা কয়েক সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি উৎকৃষ্ট।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5490- وَعَن أم سَلمَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي بَيْتِي وَكَانَ بِيَدِهِ سواك فَدَعَا وصيفة لَهُ أَو لَهَا حَتَّى استبان الْغَضَب فِي وَجهه فَخرجت أم سَلمَة إِلَى الحجرات فَوجدت الوصيفة وَهِي تلعب ببهمة فَقَالَت أَلا أَرَاك تلعبين بِهَذِهِ البهمة وَرَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَدْعُوك فَقَالَت لَا وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ مَا سَمِعتك فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَوْلَا خشيَة الْقود لأوجعتك بِهَذَا السِّوَاك
وَفِي رِوَايَة لَوْلَا الْقصاص لضربتك بِهَذَا السِّوَاك
رَوَاهُ أَبُو يعلى بأسانيد أَحدهَا جيد
وَفِي رِوَايَة لَوْلَا الْقصاص لضربتك بِهَذَا السِّوَاك
رَوَاهُ أَبُو يعلى بأسانيد أَحدهَا جيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৯১
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৯১. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার গোলামকে অন্যায়ভাবে একটি বেত্রাঘাত করে, কিয়ামতের দিন তার থেকে বদলা নেওয়া হবে।
(বাযযার ও তাবারানী হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বাযযার ও তাবারানী হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5491- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ضرب مَمْلُوكه سَوْطًا ظلما اقْتصّ مِنْهُ يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৯২
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৯২. হযরত আদুলাল্লাহ্ ইবন উনায়স (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন বান্দাদেরকে সমবেত করবেন। অথবা বলেছেন, মানুষকে সমবেত করবেন উলঙ্গ, খাতনাহীন ও বুহম অবস্থায়।
তিনি বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, 'বুহম’ মানে কি? তিনি বললেন, তাদের সাথে কিছু থাকবে না। তারপর তিনি এভাবে ডাক দিয়ে বলবেন যে, সে ডাক যেমন নিকটবর্তীরা শুনবে, তেমনি দূরবর্তীরাও শুনবে, (তিনি বলবেন,) আমিই বিচারক, আমিই রাজাধিরাজ। কোন জাহান্নামী এমতাবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে না যে, কোন জান্নাতীর কাছে তার কোন প্রাপ্য রয়েছে, যে পর্যন্ত না আমি জান্নাতীর কাছ থেকে তাকে তা আঘাত করে দেই এবং কোন জান্নাতী এমতাবস্থায় জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যে, তার কাছে কোন জাহান্নামীর কোন প্রাপ্য রয়েছে, যে পর্যন্ত না আমি তার কাছ থেকে জাহান্নামীকে তা আদায় করে দেই, এমন কি একটি চপেটাঘাত পর্যন্ত। তিনি বলেন, আমরা বললাম। এটা কিভাবে সম্ভব, আমরা তো উলঙ্গ, খাতনাহীন ও বুহম অবস্থায় পুনরুত্থিত হব? তিনি (রাসূলুল্লাহ ﷺ) বললেন, নেক আমল ও গুনাহ।
(আহমাদ হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
তিনি বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, 'বুহম’ মানে কি? তিনি বললেন, তাদের সাথে কিছু থাকবে না। তারপর তিনি এভাবে ডাক দিয়ে বলবেন যে, সে ডাক যেমন নিকটবর্তীরা শুনবে, তেমনি দূরবর্তীরাও শুনবে, (তিনি বলবেন,) আমিই বিচারক, আমিই রাজাধিরাজ। কোন জাহান্নামী এমতাবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে না যে, কোন জান্নাতীর কাছে তার কোন প্রাপ্য রয়েছে, যে পর্যন্ত না আমি জান্নাতীর কাছ থেকে তাকে তা আঘাত করে দেই এবং কোন জান্নাতী এমতাবস্থায় জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যে, তার কাছে কোন জাহান্নামীর কোন প্রাপ্য রয়েছে, যে পর্যন্ত না আমি তার কাছ থেকে জাহান্নামীকে তা আদায় করে দেই, এমন কি একটি চপেটাঘাত পর্যন্ত। তিনি বলেন, আমরা বললাম। এটা কিভাবে সম্ভব, আমরা তো উলঙ্গ, খাতনাহীন ও বুহম অবস্থায় পুনরুত্থিত হব? তিনি (রাসূলুল্লাহ ﷺ) বললেন, নেক আমল ও গুনাহ।
(আহমাদ হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5492- وَعَن عبد الله بن أنيس رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول يحْشر الله الْعباد يَوْم الْقِيَامَة أَو قَالَ النَّاس عُرَاة غرلًا بهما
قَالَ قُلْنَا وَمَا بهما قَالَ لَيْسَ مَعَهم شَيْء ثمَّ يناديهم بِصَوْت يسمعهُ من بعد كَمَا يسمعهُ من قرب أَنا الديَّان أَنا الْملك لَا يَنْبَغِي لأحد من أهل النَّار أَن يدْخل النَّار وَله عِنْد أحد من أهل الْجنَّة حق حَتَّى أقصه مِنْهُ وَلَا يَنْبَغِي لأحد من أهل الْجنَّة أَن يدْخل الْجنَّة ولأحد من أهل النَّار عِنْده حق حَتَّى أقصه مِنْهُ حَتَّى اللَّطْمَة
قَالَ قُلْنَا كَيفَ وإننا نأتي عُرَاة غرلًا بهما قَالَ الْحَسَنَات والسيئات
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
قَالَ قُلْنَا وَمَا بهما قَالَ لَيْسَ مَعَهم شَيْء ثمَّ يناديهم بِصَوْت يسمعهُ من بعد كَمَا يسمعهُ من قرب أَنا الديَّان أَنا الْملك لَا يَنْبَغِي لأحد من أهل النَّار أَن يدْخل النَّار وَله عِنْد أحد من أهل الْجنَّة حق حَتَّى أقصه مِنْهُ وَلَا يَنْبَغِي لأحد من أهل الْجنَّة أَن يدْخل الْجنَّة ولأحد من أهل النَّار عِنْده حق حَتَّى أقصه مِنْهُ حَتَّى اللَّطْمَة
قَالَ قُلْنَا كَيفَ وإننا نأتي عُرَاة غرلًا بهما قَالَ الْحَسَنَات والسيئات
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৯৩
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৯৩. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: অত্যাচারী ব্যক্তি কিয়ামতের দিন এভাবে হাযির হবে যে, যখন সে জাহান্নামের পুলের উপর অন্ধকার ও সংকটের মাঝে থাকবে, তখন তার সাথে মযলুমের সাক্ষাৎ হবে। সে মযলুমকে চিনতে পারবে এবং মযলুমকে যে ব্যাপারে যুলুম করেছিল, তাও বুঝতে পারবে। অতঃপর যালিমদের কাছ থেকে মযলুমদের বদলা প্রদান করা হতে থাকবে। এভাবে তারা যালিমদের কাছে যা কিছু নেকী থাকবে, তা ছিনিয়ে নেবে। যদি তাদের কোন নেকী না থাকে, তবে তাদেরকে মযলুমদের গুণাহসমূহ দিয়ে দেওয়া হবে। এমনিভাবে তাদেরকে জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরে ফেলে দেওয়া হবে।
(তাবারানী 'আল-আওসাতে' হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণের নির্ভরযোগ্যতার ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে।
গীবত অধ্যায়ে আবু হুরায়রা (রা)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমার উম্মাতের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি: যে কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাত নিয়ে হাযির হবে এবং সে এমতাবস্থায় আসবে যে, সে একে গাল দিয়েছে, একে অপবাদ দিয়েছে, এর সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, একে খুন করেছে এবং একে প্রহার করেছে। তখন একে তার নেক আমল থেকে কিছু এবং একে তার নেক আমল থেকে কিছু দেওয়া হবে। তারপর যদি তার থেকে প্রাপ্য পরিশোধ হওয়ার পূর্বে তার নেক আমলসমূহ শেষ হয়ে যায়, তবে তাদের গুণাহসমূহ থেকে কিছু নিয়ে তার উপর নিক্ষেপ করা হবে এবং ফলশ্রুতিতে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
মুসলিম প্রমুখ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(তাবারানী 'আল-আওসাতে' হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণের নির্ভরযোগ্যতার ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে।
গীবত অধ্যায়ে আবু হুরায়রা (রা)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমার উম্মাতের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি: যে কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাত নিয়ে হাযির হবে এবং সে এমতাবস্থায় আসবে যে, সে একে গাল দিয়েছে, একে অপবাদ দিয়েছে, এর সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, একে খুন করেছে এবং একে প্রহার করেছে। তখন একে তার নেক আমল থেকে কিছু এবং একে তার নেক আমল থেকে কিছু দেওয়া হবে। তারপর যদি তার থেকে প্রাপ্য পরিশোধ হওয়ার পূর্বে তার নেক আমলসমূহ শেষ হয়ে যায়, তবে তাদের গুণাহসমূহ থেকে কিছু নিয়ে তার উপর নিক্ষেপ করা হবে এবং ফলশ্রুতিতে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
মুসলিম প্রমুখ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5493- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَجِيء الظَّالِم يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى إِذا كَانَ على جسر جَهَنَّم بَين الظلمَة والوعرة لقِيه الْمَظْلُوم فَعرفهُ وَعرف مَا ظلمه بِهِ فَمَا يبرح الَّذين ظلمُوا يقصون من الَّذين ظلمُوا حَتَّى ينزعوا مَا فِي أَيْديهم من الْحَسَنَات فَإِن لم يكن لَهُم حَسَنَات رد عَلَيْهِم من سيئاتهم حَتَّى يوردوا الدَّرك الْأَسْفَل من النَّار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته مُخْتَلف فِي توثيقهم
وَتقدم فِي الْغَيْبَة حَدِيث عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الْمُفلس من أمتِي من يَأْتِي يَوْم الْقِيَامَة بِصَلَاة وَصِيَام وَزَكَاة وَيَأْتِي قد شتم هَذَا وَقذف هَذَا وَأكل
مَال هَذَا وَسَفك دم هَذَا وَضرب هَذَا فَيعْطى هَذَا من حَسَنَاته وَهَذَا من حَسَنَاته فَإِن فنيت حَسَنَاته قبل أَن يقْضى مَا عَلَيْهِ أَخذ من خطاياهم فطرحت عَلَيْهِ ثمَّ طرح فِي النَّار
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته مُخْتَلف فِي توثيقهم
وَتقدم فِي الْغَيْبَة حَدِيث عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الْمُفلس من أمتِي من يَأْتِي يَوْم الْقِيَامَة بِصَلَاة وَصِيَام وَزَكَاة وَيَأْتِي قد شتم هَذَا وَقذف هَذَا وَأكل
مَال هَذَا وَسَفك دم هَذَا وَضرب هَذَا فَيعْطى هَذَا من حَسَنَاته وَهَذَا من حَسَنَاته فَإِن فنيت حَسَنَاته قبل أَن يقْضى مَا عَلَيْهِ أَخذ من خطاياهم فطرحت عَلَيْهِ ثمَّ طرح فِي النَّار
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৯৪
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৯৪. হযরত যাযান (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)-এর কাছে গেলাম। তখন ধনী লোকজন তাঁর মজলিসে আগে থেকেই বসা ছিল। আমি বললাম, আপনি তো লোকজনকে নিকটে স্থান দিয়েছেন, আর আমাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন? তিনি বললেন, নিকটে আস। এ বলে তিনি আমাকে নিকটে নিয়ে তাঁর বিছানায় আমাকে বসালেন। এরপর তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, সন্তানের উপর পিতামাতার ঋণ থাকে। যখন কিয়ামতের দিন সংঘটিত হবে তারা তার সাহায্য চাইবে। সে বলবে আমি তোমাদের সন্তান। তখন তারা উভয়ে মনে মনে কামনা করবে অথবা আকাঙ্ক্ষা করবে যে হায় যদি এর চেয়ে বেশি সন্তান থাকত।
(তাবারানী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(তাবারানী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5494- وَرُوِيَ عَن زَاذَان قَالَ دخلت على عبد الله بن مَسْعُود وَقد سبق إِلَى مَجْلِسه أَصْحَاب الْخَزّ والديباج فَقلت أدنيت النَّاس وأقصيتني فَقَالَ لي ادن فأدناني حَتَّى أقعدني على بساطه ثمَّ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِنَّه يكون للْوَالِدين على ولدهما دين فَإِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة يتعلقان بِهِ فَيَقُول أَنا ولدكما فيودان أَو يتمنيان لَو كَانَ أَكثر من ذَلِك
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৯৫
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৯৫. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসা ছিলেন, হঠাৎ আমরা তাঁকে এভাবে হাসতে দেখলাম, যে, তাঁর উপরের মাড়ির দাঁত দুটি দেখা গেল। উমর (রা) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার প্রতি আমার পিতামাতা কুরবান। আপনার হাসির হেতু কি? তিনি বললেন, আমার উম্মাতের দু'জন লোক রাব্বুল ইযযতের সম্মুখে দু'জানু হয়ে বসা, তাদের একজন বলল, হে আমার রব। আপনি আমার ভাই থেকে আমার (প্রতি কৃত) যুলুমের বদলা নিন। আল্লাহ তা'আলা বললেন, তুমি তোমার ভাই থেকে কিভাবে প্রতিশোধ নেবে, তার কোন নেক আমলই যে অবশিষ্ট নেই। সে বলল, হে আমার রব। তবে আমার গুণাহসমূহ থেকে কিছু তার উপর চাপিয়ে দিন। (একথা বলার সময়) কান্নায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দু'চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। তারপর তিনি বললেন, নিশ্চয় সেদিন হবে মহা সংকটের দিন। মানুষ এজন্য মুখাপেক্ষী হবে যে, যেন তাদের কিছু গুনাহ সরিয়ে অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। ………..অতঃপরর হাদীসটির অবশিষ্টাংশ বর্ণিত হয়েছে।
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ। পূর্ণাঙ্গ হাদীসটি "ক্ষমা" অধ্যায়ে পূর্বে উল্লেখিত হয়েছে।)
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ। পূর্ণাঙ্গ হাদীসটি "ক্ষমা" অধ্যায়ে পূর্বে উল্লেখিত হয়েছে।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5495- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ بَينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جَالس إِذْ رَأَيْنَاهُ ضحك حَتَّى بَدَت ثناياه فَقَالَ لَهُ عمر مَا أضْحكك يَا رَسُول الله بِأبي أَنْت وَأمي قَالَ رجلَانِ من أمتِي جثيا بَين يَدي رب الْعِزَّة فَقَالَ أَحدهمَا يَا رب خُذ لي مظلمتي من أخي فَقَالَ الله كَيفَ تصنع بأخيك وَلم يبْق من حَسَنَاته شَيْء قَالَ يَا رب فليحمل من أوزاري وفاضت عينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بالبكاء ثمَّ قَالَ إِن ذَلِك ليَوْم عَظِيم يحْتَاج النَّاس أَن يحمل عَنْهُم من أوزارهم فَذكر الحَدِيث
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَتقدم بِتَمَامِهِ فِي الْعَفو
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَتقدم بِتَمَامِهِ فِي الْعَفو
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৯৬
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৯৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। সাহাবায়ে কিরাম বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? তিনি বললেন, নির্মেঘ সূর্য দেখতে কি তোমাদের কোন অসুবিধা হয়? তাঁর বললেন, জ্বী না। তিনি বললেন, সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে। তোমাদের প্রতিপালককে দেখতে তোমাদের কোনই অসুবিধা হবে না, কেবল তোমাদেরকে চন্দ্র-সূর্যের কোন একটি দেখতে যতটুকু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় ততটুকু। তারপর বান্দা তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ করবে তখন তিনি বলবেন, হে অমুক। আমি কি তোমাকে সম্মান দেই নি? তোমাকে নেতৃত্ব দান করিনি? তোমাকে স্ত্রী দান করিনি? ঘোড়া ও উট তোমার বশীভূত দেই নি? তোমাকে কি নেতা হতে এবং গণীমতের এক চতুর্থাংশ লাভ করতে সুযোগ দেই নি? সে বলবে নিশ্চয়ই আমার প্রভু। পুনরায় তিনি তাকে জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি ধারণা করতে যে, আমার সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে? সে বলবে, না। তিনি বলবেন, সুতরাং আমি তোমাকে ঠিক তেমনি ভুলে যাব, যেমনটি তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছিলে। তারপর দ্বিতীয় জনের সাথে তার সাক্ষাৎ হবে তখন তিনি জিজ্ঞেস করবেন, হে অমুক! আমি কি তোমাকে সম্মান দেই নি? তোমাকে নেতৃত্ব দান করি নিং তোমাকে স্ত্রী দান করিনি? ঘোড়া ও উট তোমার বশীভূত করে দেই নি? তোমাকে কি নেতা হতে এবং এক চতুর্থাংশ গণীমত লাভ করতে সুযোগ দেইনি? সে বলবে, নিশ্চয়ই আমার রব (তুমি তা-ই করেছ) পুনরায় তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি ধারণা করতে যে, আমার সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে? সে বলবে না। তিনি বলবেন, আমি তোমাকে ঠিক তেমনি ভুলে যাব, যেমনটি তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছিলে। এরপর তৃতীয় জনের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হবে। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, হে অমুক। আমি কি তোমাকে সম্মান দেই নি? তোমাকে নেতৃত্ব দান করিনি? তোমাকে স্ত্রী দান করিনি? ঘোড়া ও উট তোমার বশীভূত করে দেইনি? তোমাকে কি নেতা হতে এবং এক চতুর্থাংশ গণীমত লাভ করতে সুযোগ দেই নি? সে বলবে নিশ্চয় আমার রব। (তুমি তাই করেছ।) তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি ধারণা করতে যে, আমার সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে? সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার প্রতি তোমার কিতাবের প্রতি ও তোমার রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছি। আমি সালাত আদায় করেছি। রোযা রেখেছি এবং সাদাকা করেছি। এভাবে সে যতটুকু সম্ভব ভাল কাজের প্রশংসা করবে। তিনি বলবেন, তবে তো ভালই। তারপর তিনি বলবেন। এখন আমি তোমার বিপক্ষে সাক্ষী উপস্থিত করব। সে মনে মনে চিন্তা করবে, কে সে ব্যক্তি, যে আমার বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে? তখন তার মুখের উপর মোহর মেরে দেওয়া হবে এবং তার উরুকে বলা হবে, তুমি কথা বল। তখন তার উরু, তার মাংস ও তার হাঁড় তার আমল সম্পর্কে বলে দেবে। এটা একারণে করা হবে, যাতে তার পক্ষ থেকে ওজর শেষ হয়ে যায়। এলোক হবে মুনাফিক এবং এ হবে সে ব্যক্তি, যার প্রতি আল্লাহ্ তা'আলা
অসন্তুষ্ট থাকবেন।
(মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
অসন্তুষ্ট থাকবেন।
(মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5496- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالُوا يَا رَسُول الله هَل نرى رَبنَا يَوْم الْقِيَامَة فَقَالَ هَل تضَارونَ فِي رُؤْيَة الشَّمْس فِي الظهيرة لَيست فِي سَحَابَة قَالُوا لَا
قَالَ فَهَل تضَارونَ فِي رُؤْيَة الْقَمَر لَيْلَة الْبَدْر لَيْسَ فِي سَحَابَة قَالُوا لَا قَالَ فوالذي نَفسِي بِيَدِهِ لَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة ربكُم إِلَّا كَمَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة أَحدهمَا فَيلقى العَبْد ربه فَيَقُول أَي فل ألم أكرمك وأسودك وأزوجك وأسخر لَك الْخَيل وَالْإِبِل وأذرك ترأس وتربع فَيَقُول بلَى يَا رب فَيَقُول أظننت أَنَّك ملاقي فَيَقُول لَا فَيَقُول فَإِنِّي أنساك كَمَا نسيتني ثمَّ يلقى الثَّانِي فَيَقُول أَي فل ألم أكرمك وأسودك وأزوجك وأسخر
لَك الْخَيل وَالْإِبِل وأذرك ترأس وتربع فَيَقُول بلَى يَا رب فَيَقُول أظننت أَنَّك ملاقي فَيَقُول لَا فَيَقُول إِنِّي أنساك كَمَا نسيتني ثمَّ يلقى الثَّالِث فَيَقُول أَي فل ألم أكرمك وأسودك وأزوجك وأسخر لَك الْخَيل وَالْإِبِل وأذرك ترأس وتربع فَيَقُول بلَى يَا رب
فَيَقُول أظننت أَنَّك ملاقي فَيَقُول أَي رب آمَنت بك وبكتابك وبرسلك وَصليت وَصمت وتصدقت ويثني بِخَير مَا اسْتَطَاعَ فَيَقُول هَهُنَا إِذا ثمَّ يَقُول الْآن نبعث شَاهدا عَلَيْك فيتفكر فِي نَفسه من ذَا الَّذِي يشْهد عَليّ فيختم على فِيهِ وَيُقَال لفخذه انْطِقِي فينطق فَخذه ولحمه وعظامه بِعَمَلِهِ وَذَلِكَ ليعذر من نَفسه وَذَلِكَ الْمُنَافِق وَذَلِكَ الَّذِي يسْخط الله عَلَيْهِ
رَوَاهُ مُسلم
ترأس بمثناة فَوق ثمَّ رَاء سَاكِنة ثمَّ همزَة مَفْتُوحَة أَي تصير رَئِيسا
وتربع بموحدة بعد الرَّاء مَفْتُوحَة مَعْنَاهُ يَأْخُذ مَا يَأْخُذهُ رَئِيس الْجَيْش لنَفسِهِ وَهُوَ ربع الْمَغَانِم وَيُقَال لَهُ المرباع
قَالَ فَهَل تضَارونَ فِي رُؤْيَة الْقَمَر لَيْلَة الْبَدْر لَيْسَ فِي سَحَابَة قَالُوا لَا قَالَ فوالذي نَفسِي بِيَدِهِ لَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة ربكُم إِلَّا كَمَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة أَحدهمَا فَيلقى العَبْد ربه فَيَقُول أَي فل ألم أكرمك وأسودك وأزوجك وأسخر لَك الْخَيل وَالْإِبِل وأذرك ترأس وتربع فَيَقُول بلَى يَا رب فَيَقُول أظننت أَنَّك ملاقي فَيَقُول لَا فَيَقُول فَإِنِّي أنساك كَمَا نسيتني ثمَّ يلقى الثَّانِي فَيَقُول أَي فل ألم أكرمك وأسودك وأزوجك وأسخر
لَك الْخَيل وَالْإِبِل وأذرك ترأس وتربع فَيَقُول بلَى يَا رب فَيَقُول أظننت أَنَّك ملاقي فَيَقُول لَا فَيَقُول إِنِّي أنساك كَمَا نسيتني ثمَّ يلقى الثَّالِث فَيَقُول أَي فل ألم أكرمك وأسودك وأزوجك وأسخر لَك الْخَيل وَالْإِبِل وأذرك ترأس وتربع فَيَقُول بلَى يَا رب
فَيَقُول أظننت أَنَّك ملاقي فَيَقُول أَي رب آمَنت بك وبكتابك وبرسلك وَصليت وَصمت وتصدقت ويثني بِخَير مَا اسْتَطَاعَ فَيَقُول هَهُنَا إِذا ثمَّ يَقُول الْآن نبعث شَاهدا عَلَيْك فيتفكر فِي نَفسه من ذَا الَّذِي يشْهد عَليّ فيختم على فِيهِ وَيُقَال لفخذه انْطِقِي فينطق فَخذه ولحمه وعظامه بِعَمَلِهِ وَذَلِكَ ليعذر من نَفسه وَذَلِكَ الْمُنَافِق وَذَلِكَ الَّذِي يسْخط الله عَلَيْهِ
رَوَاهُ مُسلم
ترأس بمثناة فَوق ثمَّ رَاء سَاكِنة ثمَّ همزَة مَفْتُوحَة أَي تصير رَئِيسا
وتربع بموحدة بعد الرَّاء مَفْتُوحَة مَعْنَاهُ يَأْخُذ مَا يَأْخُذهُ رَئِيس الْجَيْش لنَفسِهِ وَهُوَ ربع الْمَغَانِم وَيُقَال لَهُ المرباع
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৯৭
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৯৭. তাঁরই থেকে বর্ণিত আছে যে, লোকজন আরয করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? তিনি বললেন, নির্মেঘ পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে কি তোমাদের পারস্পরিক বিবাদ হয়? তারা বলল জ্বী না ইয়া রাসূলাল্লাহ।। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সূর্যের উপর যখন মেঘ না থাকে তখন সূর্য দেখতে কি তোমাদের পারস্পরিক বিবাদ হয়? তারা বলল, জ্বী না। তিনি বললেন, নিশ্চয় তোমরা তাকে এভাবে দেখবে।
কিয়ামতের দিন মানুষকে সমবেত করা হবে। তখন তিনি বলবেন, যে যার ইবাদত কর, সে যেন তার অনুসরণ করে। সেমতে তাদের মধ্য থেকে কেউ সূর্যের অনুসরণ করবে, কেউ চন্দ্রের অনুসরণ করবে, কেউ প্রতিমাও শয়তানের অনুসরণ করবে এবং এ উম্মাত বাকি থাকবে। তাদের সাথে থাকবে এ উম্মাতের মুনাফিকরাও। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা তাদের সামনে হাযির হয়ে বলবেন, আমি তোমাদের প্রতিপালক, তারা বলবে, আমাদের প্রতিপালক আমাদের কাছে না আসা পর্যন্ত এটা আমাদের স্থান। যখন আমাদের প্রতিপালক আমদের কাছে আসবেন, তখন আমরা তাকে চিনতে পারব। তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের কাছে এসে বলবেন, আমিই তো তোমাদের প্রতিপালক। তারা বলবে, (হ্যাঁ,) আপনিই আমাদের প্রতিপালক। এরপর তিনি তাদেরকে ডাকবেন, এবং জাহান্নামের উপর দিয়ে পুলসিরাত কায়েম করা হবে। আমি সেসব রাসূলদের মধ্যে প্রথম থাকব, যারা তাঁদের উম্মাত নিয়ে সেই পুলসিরাত পার হবেন। সেদিন রাসূলগণ ব্যতীত কেউ কথা বলবে না। সেদিন রাসূলদের সালাম হবে "আল্লাহুম্মা সাল্লিম, সাল্লিম।" অর্থাৎ "হে আল্লাহ্। তুমি নিরাপদে। রাখ, তুমি নিরাপদে রাখ।" জাহান্নামের মধ্যে সা'দানের কাঁটার মত বহু কাঁটা থাকবে। তোমরা কি সা'দানের। কাঁটা দেখেছ? তারা বলল, জ্বী হ্যাঁ। তিনি বললেন, সে হুক হবে সা'দানের কাঁটার মত। তবে তা যে কত বড় হবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। এ হুক মানুষকে তাদের আমল সহকারে ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে। তাদের মধ্যকার কাউকে তার আমলের কারণে ধ্বংস করা হবে এবং কাউকে ন্যায়ের নিক্তিতে মাপা হবে। তারপরই সে মুক্তি পাবে। এরপর আল্লাহ তা'আলা যখন কোন জাহান্নামীর প্রতি দয়া করতে ইচ্ছা করবেন, তখন আল্লাহ্ তা'আলা ফিরিশতাদেরকে নির্দেশ দেবেন, যাতে যারা আল্লাহর ইবাদত করত তাদেরকে তারা বের করে নেয়। সুতরাং তারা তাদেরকে সিজদার চিহ্নের সাহায্যে বের করবে। আল্লাহ্ তা'আলা জাহান্নামের জন্য সিজদার চিহ্ন জ্বালানো হারাম করে দেবেন। সেমতে তারা জাহান্নাম থেকে জ্বলে-পুড়ে বের হবে। এরপর তার উপর অমৃতের পানি ঢেলে দেওয়া হবে। তখন তারা (এতদ্রুত সুস্থ হয়ে) উঠবে, যেমন বন্যার পানিতে ভেসে আসা পলির মধ্যে বীজ অংকুরিত হয়। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা বান্দাদের বিচার থেকে নিষ্ক্রান্ত হবেন এক ব্যক্তি তখনও জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যস্থলে বাকি রয়ে যাবে। সে হবে সর্বশেষ জাহান্নামী ব্যক্তি, যে জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে তখনও জাহান্নাম অভিমুখী হয়ে থাকবে। সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক। জাহান্নামের দিক থেকে আমার চেহারা ফিরিয়ে দিন। জাহান্নামের বায়ু যে আমার শরীরে বিষ মিশিয়ে দিল এবং জাহান্নামের অগ্নি শিখা যে আমাকে পুড়িয়ে দিল। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি আশা কর, যদি আমি তোমার এ আবেদন পূর্ণ করি তবে তুমি এছাড়া আরও কিছু চাইবে? সে বলবে, আপনার সম্ভ্রমের কসম, না, (চাইবনা)। তারপর সে আল্লাহ্ তা'আলার সাথে যা ইচ্ছা ওয়াদা-অঙ্গীকার করবে। তখন আল্লাহ তার চেহারা জাহান্নামের দিক থেকে ফিরিয়ে দেবেন। যখন তাকে জান্নাতের অভিমুখী করে দেবেন তখন সে জান্নাতের সজীবতা শ্যামলিমা দেখে যতক্ষণ তার চুপ থাকা আল্লাহর ইচ্ছা হয়, সে চুপ থাকবে। এরপর বলবে, হে আমার প্রতিপালক। আমাকে একটু জান্নাতের দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিন। আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তুমি কি একটু আগে ওয়াদা-অঙ্গীকার কর নি যে, তুমি যা কিছু চেয়েছিলে, তাছাড়া আর কিছু চাইবে না? সে বলবে, হে আমার যা আমি তোমার সর্বাধিক হতভাগা মাখলুক হতে চাই না। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি আশা কর, যদি আমি তোমার এ আবেদন মঞ্জুর করি তবে তুমি এছাড়া আরও কিছু চাইবে? সে বলবে, আপনার সম্ভ্রমের ভাসম, না এছাড়া আর কিছুই চাইব না। এ বলে সে আল্লাহ্ তা'আলার সাথে যা ইচ্ছা ওয়াদা-অঙ্গীকার করবে। সেমতে তিনি তাকে জান্নাতের দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেবেন। যখন সে জান্নাতের দরজায় পৌঁছবে তখন সে জান্নাতের সজীবতা শ্যামলিমা ও তার আনন্দ-প্রাচুর্য প্রত্যক্ষ করবে। এবং যতক্ষণ তার চুপ থাকা আল্লাহর ইচ্ছা হয়, সে চুপ থাকবে। এরপর বলবে, হে আমার প্রতিপালক। আমাকে জান্নাতে দাখিল কর। আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তোমার সর্বনাশ হোক। হে আদম সন্তান। তুমি কতই না প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী। তুমি কি আমার সাথে ওয়াদা-অঙ্গীকার করনি যে, তোমাকে যা দেওয়া হয়েছে, তা ছাড়া তুমি আর কিছু চাইবে না? সে বলবে, হে আত্মার প্রতিপালক। তুমি আমাকে তোমার সর্বাধিক হতভাগা মাখলুক পরিণত করো না। তখন আল্লাহ্ তা'আলা তার ব্যাপারে হেসে দেবেন। এরপর তাকে জান্নাতে প্রবেশ করতে অনুমতি দেবেন এবং বলবেন, তুমি (আমার কাছে যা ইচ্ছা) চাও। সে চাইবে। যখন তার চাওয়া শেষ হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তুমি মন খুলে চাও। আল্লাহ্ তা'আলা তাকে স্মরণ করিয়ে দেবেন। সে তখন মন খুলে অনেক কিছুই চাইবে। যখন তার সব চাওয়া শেষ হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, এগুলো এবং এর সাথে এর সমপরিমাণ তোমাকে দান করলাম।
আবু সাঈদ খুদরী (রা) আবূ হুরায়রা (রা)-কে বললেন, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, এগুলো এবং এগুলোর দশগুণ তোমাকে দিলাম। আবু হুরায়রা (রা) বললেন, আমার কেবল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর এ উক্তিটিই স্মরণ আছে, "এগুলো এবং এর সাথে এর সমপরিমাণ তোমাকে দিলাম।' আবু সাঈদ (রা) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, "এগুলো এবং এগুলোর দশগুণ তোমাকে দিলাম।" আবু হুরায়রা (রা) বললেন, এ ব্যক্তি হচ্ছে জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বশেষ জান্নাতী ব্যক্তি।
(বুখারী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
কিয়ামতের দিন মানুষকে সমবেত করা হবে। তখন তিনি বলবেন, যে যার ইবাদত কর, সে যেন তার অনুসরণ করে। সেমতে তাদের মধ্য থেকে কেউ সূর্যের অনুসরণ করবে, কেউ চন্দ্রের অনুসরণ করবে, কেউ প্রতিমাও শয়তানের অনুসরণ করবে এবং এ উম্মাত বাকি থাকবে। তাদের সাথে থাকবে এ উম্মাতের মুনাফিকরাও। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা তাদের সামনে হাযির হয়ে বলবেন, আমি তোমাদের প্রতিপালক, তারা বলবে, আমাদের প্রতিপালক আমাদের কাছে না আসা পর্যন্ত এটা আমাদের স্থান। যখন আমাদের প্রতিপালক আমদের কাছে আসবেন, তখন আমরা তাকে চিনতে পারব। তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের কাছে এসে বলবেন, আমিই তো তোমাদের প্রতিপালক। তারা বলবে, (হ্যাঁ,) আপনিই আমাদের প্রতিপালক। এরপর তিনি তাদেরকে ডাকবেন, এবং জাহান্নামের উপর দিয়ে পুলসিরাত কায়েম করা হবে। আমি সেসব রাসূলদের মধ্যে প্রথম থাকব, যারা তাঁদের উম্মাত নিয়ে সেই পুলসিরাত পার হবেন। সেদিন রাসূলগণ ব্যতীত কেউ কথা বলবে না। সেদিন রাসূলদের সালাম হবে "আল্লাহুম্মা সাল্লিম, সাল্লিম।" অর্থাৎ "হে আল্লাহ্। তুমি নিরাপদে। রাখ, তুমি নিরাপদে রাখ।" জাহান্নামের মধ্যে সা'দানের কাঁটার মত বহু কাঁটা থাকবে। তোমরা কি সা'দানের। কাঁটা দেখেছ? তারা বলল, জ্বী হ্যাঁ। তিনি বললেন, সে হুক হবে সা'দানের কাঁটার মত। তবে তা যে কত বড় হবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। এ হুক মানুষকে তাদের আমল সহকারে ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে। তাদের মধ্যকার কাউকে তার আমলের কারণে ধ্বংস করা হবে এবং কাউকে ন্যায়ের নিক্তিতে মাপা হবে। তারপরই সে মুক্তি পাবে। এরপর আল্লাহ তা'আলা যখন কোন জাহান্নামীর প্রতি দয়া করতে ইচ্ছা করবেন, তখন আল্লাহ্ তা'আলা ফিরিশতাদেরকে নির্দেশ দেবেন, যাতে যারা আল্লাহর ইবাদত করত তাদেরকে তারা বের করে নেয়। সুতরাং তারা তাদেরকে সিজদার চিহ্নের সাহায্যে বের করবে। আল্লাহ্ তা'আলা জাহান্নামের জন্য সিজদার চিহ্ন জ্বালানো হারাম করে দেবেন। সেমতে তারা জাহান্নাম থেকে জ্বলে-পুড়ে বের হবে। এরপর তার উপর অমৃতের পানি ঢেলে দেওয়া হবে। তখন তারা (এতদ্রুত সুস্থ হয়ে) উঠবে, যেমন বন্যার পানিতে ভেসে আসা পলির মধ্যে বীজ অংকুরিত হয়। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা বান্দাদের বিচার থেকে নিষ্ক্রান্ত হবেন এক ব্যক্তি তখনও জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যস্থলে বাকি রয়ে যাবে। সে হবে সর্বশেষ জাহান্নামী ব্যক্তি, যে জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে তখনও জাহান্নাম অভিমুখী হয়ে থাকবে। সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক। জাহান্নামের দিক থেকে আমার চেহারা ফিরিয়ে দিন। জাহান্নামের বায়ু যে আমার শরীরে বিষ মিশিয়ে দিল এবং জাহান্নামের অগ্নি শিখা যে আমাকে পুড়িয়ে দিল। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি আশা কর, যদি আমি তোমার এ আবেদন পূর্ণ করি তবে তুমি এছাড়া আরও কিছু চাইবে? সে বলবে, আপনার সম্ভ্রমের কসম, না, (চাইবনা)। তারপর সে আল্লাহ্ তা'আলার সাথে যা ইচ্ছা ওয়াদা-অঙ্গীকার করবে। তখন আল্লাহ তার চেহারা জাহান্নামের দিক থেকে ফিরিয়ে দেবেন। যখন তাকে জান্নাতের অভিমুখী করে দেবেন তখন সে জান্নাতের সজীবতা শ্যামলিমা দেখে যতক্ষণ তার চুপ থাকা আল্লাহর ইচ্ছা হয়, সে চুপ থাকবে। এরপর বলবে, হে আমার প্রতিপালক। আমাকে একটু জান্নাতের দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিন। আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তুমি কি একটু আগে ওয়াদা-অঙ্গীকার কর নি যে, তুমি যা কিছু চেয়েছিলে, তাছাড়া আর কিছু চাইবে না? সে বলবে, হে আমার যা আমি তোমার সর্বাধিক হতভাগা মাখলুক হতে চাই না। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি আশা কর, যদি আমি তোমার এ আবেদন মঞ্জুর করি তবে তুমি এছাড়া আরও কিছু চাইবে? সে বলবে, আপনার সম্ভ্রমের ভাসম, না এছাড়া আর কিছুই চাইব না। এ বলে সে আল্লাহ্ তা'আলার সাথে যা ইচ্ছা ওয়াদা-অঙ্গীকার করবে। সেমতে তিনি তাকে জান্নাতের দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেবেন। যখন সে জান্নাতের দরজায় পৌঁছবে তখন সে জান্নাতের সজীবতা শ্যামলিমা ও তার আনন্দ-প্রাচুর্য প্রত্যক্ষ করবে। এবং যতক্ষণ তার চুপ থাকা আল্লাহর ইচ্ছা হয়, সে চুপ থাকবে। এরপর বলবে, হে আমার প্রতিপালক। আমাকে জান্নাতে দাখিল কর। আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তোমার সর্বনাশ হোক। হে আদম সন্তান। তুমি কতই না প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী। তুমি কি আমার সাথে ওয়াদা-অঙ্গীকার করনি যে, তোমাকে যা দেওয়া হয়েছে, তা ছাড়া তুমি আর কিছু চাইবে না? সে বলবে, হে আত্মার প্রতিপালক। তুমি আমাকে তোমার সর্বাধিক হতভাগা মাখলুক পরিণত করো না। তখন আল্লাহ্ তা'আলা তার ব্যাপারে হেসে দেবেন। এরপর তাকে জান্নাতে প্রবেশ করতে অনুমতি দেবেন এবং বলবেন, তুমি (আমার কাছে যা ইচ্ছা) চাও। সে চাইবে। যখন তার চাওয়া শেষ হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তুমি মন খুলে চাও। আল্লাহ্ তা'আলা তাকে স্মরণ করিয়ে দেবেন। সে তখন মন খুলে অনেক কিছুই চাইবে। যখন তার সব চাওয়া শেষ হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, এগুলো এবং এর সাথে এর সমপরিমাণ তোমাকে দান করলাম।
আবু সাঈদ খুদরী (রা) আবূ হুরায়রা (রা)-কে বললেন, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, এগুলো এবং এগুলোর দশগুণ তোমাকে দিলাম। আবু হুরায়রা (রা) বললেন, আমার কেবল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর এ উক্তিটিই স্মরণ আছে, "এগুলো এবং এর সাথে এর সমপরিমাণ তোমাকে দিলাম।' আবু সাঈদ (রা) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, "এগুলো এবং এগুলোর দশগুণ তোমাকে দিলাম।" আবু হুরায়রা (রা) বললেন, এ ব্যক্তি হচ্ছে জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বশেষ জান্নাতী ব্যক্তি।
(বুখারী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5497- وَعنهُ أَيْضا رَضِي الله عَنهُ أَن النَّاس قَالُوا يَا رَسُول الله هَل نرى رَبنَا يَوْم الْقِيَامَة قَالَ هَل تمارون فِي الْقَمَر لَيْلَة الْبَدْر لَيْسَ دونه سَحَاب قَالُوا لَا يَا رَسُول الله قَالَ هَل تمارون فِي الشَّمْس لَيْسَ دونهَا سَحَاب قَالُوا لَا
قَالَ فَإِنَّكُم تَرَوْنَهُ كَذَلِك يحْشر النَّاس يَوْم الْقِيَامَة فَيَقُول من كَانَ يعبد شَيْئا فليتبعه فَمنهمْ من يتبع الشَّمْس وَمِنْهُم من يتبع الْقَمَر وَمِنْهُم من يتبع الطواغيت وَتبقى هَذِه الْأمة فِيهَا منافقوها فيأتيهم الله فَيَقُول أَنا ربكُم فَيَقُولُونَ هَذَا مَكَاننَا حَتَّى يأتينا رَبنَا فَإِذا جَاءَ رَبنَا عَرفْنَاهُ فيأتيهم الله فَيَقُول أَنا ربكُم فَيَقُولُونَ أَنْت رَبنَا فيدعوهم وَيضْرب الصِّرَاط بَين ظهراني جَهَنَّم فَأَكُون أول من يجوز من الرُّسُل بأمته وَلَا يتَكَلَّم يَوْمئِذٍ أحد إِلَّا الرُّسُل وَسَلام الرُّسُل يَوْمئِذٍ اللَّهُمَّ سلم سلم وَفِي جَهَنَّم كلاليب مثل شوك السعدان
هَل رَأَيْتُمْ شوك السعدان قَالُوا نعم
قَالَ فَإِنَّهَا مثل شوك السعدان غير أَنه لَا يعلم قدر عظمها إِلَّا الله تخطف النَّاس بأعمالهم فَمنهمْ من يوبق بِعَمَلِهِ وَمِنْهُم من يخردل ثمَّ ينجو حَتَّى إِذا أَرَادَ الله رَحْمَة من أَرَادَ من أهل النَّار أَمر الله الْمَلَائِكَة أَن يخرجُوا من كَانَ يعبد الله فيخرجونهم بآثار السُّجُود وَحرم الله على النَّار أَن تَأْكُل أثر السُّجُود فَيخْرجُونَ من النَّار وَقد امتحشوا فَيصب عَلَيْهِم مَاء الْحَيَاة فينبتون كَمَا تنْبت الْحبَّة فِي حميل السَّيْل ثمَّ يفرغ الله من الْقَضَاء بَين الْعباد وَيبقى رجل بَين الْجنَّة وَالنَّار وَهُوَ آخر أهل النَّار دُخُولا الْجنَّة مقبل بِوَجْهِهِ قبل النَّار فَيَقُول يَا رب اصرف وَجْهي عَن النَّار قد قشبني رِيحهَا وأحرقني ذكاها فَيَقُول هَل عَسَيْت إِن أفعل أَن
تسْأَل غير ذَلِك فَيَقُول لَا وَعزَّتك فيعطي الله مَا شَاءَ من عهد وميثاق فَيصْرف الله وَجهه عَن النَّار فَإِذا أقبل بِهِ على الْجنَّة رأى بهجتها سكت مَا شَاءَ الله أَن يسكت ثمَّ قَالَ يَا رب قدمني عِنْد بَاب الْجنَّة فَيَقُول الله أَلَيْسَ قد أَعْطَيْت الْعَهْد والميثاق أَن لَا تسْأَل غير الَّذِي كنت سَأَلت فَيَقُول يَا رب لَا أكون أَشْقَى خلقك فَيَقُول فَمَا عَسَيْت إِن أَعطيتك ذَلِك أَن تسْأَل غَيره فَيَقُول لَا وَعزَّتك لَا أَسأَلك غير هَذَا فيعطي ربه مَا شَاءَ من عهد وميثاق فَيقدمهُ إِلَى بَاب الْجنَّة فَإِذا بلغ بَابهَا رأى زهرتها وَمَا فِيهَا من النضرة وَالسُّرُور فَسكت مَا شَاءَ الله أَن يسكت فَيَقُول يَا رب أدخلني الْجنَّة فَيَقُول الله وَيحك يَا ابْن آدم مَا أغدرك أَلَيْسَ قد أَعْطَيْتنِي العهود أَن لَا تسْأَل غير الَّذِي أَعْطَيْت فَيَقُول يَا رب لَا تجعلني أَشْقَى خلقك فيضحك الله مِنْهُ ثمَّ يَأْذَن لَهُ فِي دُخُول الْجنَّة فَيَقُول تمن فيتمنى حَتَّى إِذا انْقَطَعت أمْنِيته قَالَ الله تمن من كَذَا وَكَذَا يذكرهُ ربه حَتَّى إِذا انْتَهَت بِهِ الْأَمَانِي قَالَ الله لَك ذَلِك وَمثله مَعَه
قَالَ أَبُو سعيد الْخُدْرِيّ لأبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنْهُمَا إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ قَالَ الله لَك ذَلِك وَعشرَة أَمْثَاله
قَالَ أَبُو هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ لم أحفظ من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَّا قَوْله لَك ذَلِك وَمثله مَعَه
قَالَ أَبُو سعيد رَضِي الله عَنهُ أشهد أَنِّي سمعته من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لَك ذَلِك وَعشرَة أَمْثَاله
قَالَ أَبُو هُرَيْرَة وَذَلِكَ الرجل آخر أهل الْجنَّة دُخُولا الْجنَّة
رَوَاهُ البُخَارِيّ
قَالَ فَإِنَّكُم تَرَوْنَهُ كَذَلِك يحْشر النَّاس يَوْم الْقِيَامَة فَيَقُول من كَانَ يعبد شَيْئا فليتبعه فَمنهمْ من يتبع الشَّمْس وَمِنْهُم من يتبع الْقَمَر وَمِنْهُم من يتبع الطواغيت وَتبقى هَذِه الْأمة فِيهَا منافقوها فيأتيهم الله فَيَقُول أَنا ربكُم فَيَقُولُونَ هَذَا مَكَاننَا حَتَّى يأتينا رَبنَا فَإِذا جَاءَ رَبنَا عَرفْنَاهُ فيأتيهم الله فَيَقُول أَنا ربكُم فَيَقُولُونَ أَنْت رَبنَا فيدعوهم وَيضْرب الصِّرَاط بَين ظهراني جَهَنَّم فَأَكُون أول من يجوز من الرُّسُل بأمته وَلَا يتَكَلَّم يَوْمئِذٍ أحد إِلَّا الرُّسُل وَسَلام الرُّسُل يَوْمئِذٍ اللَّهُمَّ سلم سلم وَفِي جَهَنَّم كلاليب مثل شوك السعدان
هَل رَأَيْتُمْ شوك السعدان قَالُوا نعم
قَالَ فَإِنَّهَا مثل شوك السعدان غير أَنه لَا يعلم قدر عظمها إِلَّا الله تخطف النَّاس بأعمالهم فَمنهمْ من يوبق بِعَمَلِهِ وَمِنْهُم من يخردل ثمَّ ينجو حَتَّى إِذا أَرَادَ الله رَحْمَة من أَرَادَ من أهل النَّار أَمر الله الْمَلَائِكَة أَن يخرجُوا من كَانَ يعبد الله فيخرجونهم بآثار السُّجُود وَحرم الله على النَّار أَن تَأْكُل أثر السُّجُود فَيخْرجُونَ من النَّار وَقد امتحشوا فَيصب عَلَيْهِم مَاء الْحَيَاة فينبتون كَمَا تنْبت الْحبَّة فِي حميل السَّيْل ثمَّ يفرغ الله من الْقَضَاء بَين الْعباد وَيبقى رجل بَين الْجنَّة وَالنَّار وَهُوَ آخر أهل النَّار دُخُولا الْجنَّة مقبل بِوَجْهِهِ قبل النَّار فَيَقُول يَا رب اصرف وَجْهي عَن النَّار قد قشبني رِيحهَا وأحرقني ذكاها فَيَقُول هَل عَسَيْت إِن أفعل أَن
تسْأَل غير ذَلِك فَيَقُول لَا وَعزَّتك فيعطي الله مَا شَاءَ من عهد وميثاق فَيصْرف الله وَجهه عَن النَّار فَإِذا أقبل بِهِ على الْجنَّة رأى بهجتها سكت مَا شَاءَ الله أَن يسكت ثمَّ قَالَ يَا رب قدمني عِنْد بَاب الْجنَّة فَيَقُول الله أَلَيْسَ قد أَعْطَيْت الْعَهْد والميثاق أَن لَا تسْأَل غير الَّذِي كنت سَأَلت فَيَقُول يَا رب لَا أكون أَشْقَى خلقك فَيَقُول فَمَا عَسَيْت إِن أَعطيتك ذَلِك أَن تسْأَل غَيره فَيَقُول لَا وَعزَّتك لَا أَسأَلك غير هَذَا فيعطي ربه مَا شَاءَ من عهد وميثاق فَيقدمهُ إِلَى بَاب الْجنَّة فَإِذا بلغ بَابهَا رأى زهرتها وَمَا فِيهَا من النضرة وَالسُّرُور فَسكت مَا شَاءَ الله أَن يسكت فَيَقُول يَا رب أدخلني الْجنَّة فَيَقُول الله وَيحك يَا ابْن آدم مَا أغدرك أَلَيْسَ قد أَعْطَيْتنِي العهود أَن لَا تسْأَل غير الَّذِي أَعْطَيْت فَيَقُول يَا رب لَا تجعلني أَشْقَى خلقك فيضحك الله مِنْهُ ثمَّ يَأْذَن لَهُ فِي دُخُول الْجنَّة فَيَقُول تمن فيتمنى حَتَّى إِذا انْقَطَعت أمْنِيته قَالَ الله تمن من كَذَا وَكَذَا يذكرهُ ربه حَتَّى إِذا انْتَهَت بِهِ الْأَمَانِي قَالَ الله لَك ذَلِك وَمثله مَعَه
قَالَ أَبُو سعيد الْخُدْرِيّ لأبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنْهُمَا إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ قَالَ الله لَك ذَلِك وَعشرَة أَمْثَاله
قَالَ أَبُو هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ لم أحفظ من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَّا قَوْله لَك ذَلِك وَمثله مَعَه
قَالَ أَبُو سعيد رَضِي الله عَنهُ أشهد أَنِّي سمعته من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لَك ذَلِك وَعشرَة أَمْثَاله
قَالَ أَبُو هُرَيْرَة وَذَلِكَ الرجل آخر أهل الْجنَّة دُخُولا الْجنَّة
رَوَاهُ البُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৯৮
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৯৮. হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের প্রতিপালককে দেখব? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। নির্মেঘ দুপুর বেলায় সূর্য দেখতে কি তোমাদেরকে কোন অসুবিধা হয়? এবং খরাপূর্ণ নির্মেঘ পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে কি তোমাদেরকে কোন অসুবিধা হয়? সাহাবায়ে কিরাম বললেন জ্বী না ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা'আলাকে দেখতে তোমাদেরকে কেবল ততটুকু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। যতটুকু চন্দ্র-সূর্যের মধ্যে কোন একটি দেখতে তোমাদেরকে অসুবিধা হয়। যখন কিয়ামতের দিন হবে তখন একজন ঘোষক ঘোষণা করবে। প্রতিটি সম্প্রদায় যে যার ইবাদত করত, সে যেন তার অনুসরণ করে। এরপর যারা আল্লাহ্ তা'আলার পরিবর্তে প্রতিমা ও পাথরের পূজা করত তারা সবাই জাহান্নামে পড়ে যাবে। যখন (এ উম্মাতের) নেককার, বদকার ও অবশিষ্ট কিতাবী সম্প্রদায় যারা আল্লাহর ইবাদত করত তারা ব্যতীত কেউ বাকি থাকবে না। তখন ইয়াহুদীদের ডেকে তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরা কার ইবাদত করতে হে? তারা বলবে, আমরা আল্লাহর পুত্র উযায়র-এর ইবাদত করতাম। তখন বলা হবে, তোমরা মিথ্যা বলেছ। আল্লাহ্ তা'আলা কোন স্ত্রী বা পুত্র গ্রহণ করেন নি। তবে তোমরা কি চাও? তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমাদের তৃষ্ণা পেয়েছে, আমাদেরকে পানি পান করান। তখন তাদেরকে ইশারা করে বলা হবে. তোমরা পানস্থানে অবতরণ করছ না যে! এরপর তাদেরকে জাহান্নামের দিকে সমবেত করা হবে। যেন জাহান্নামটি মরীচিকা, তার একাংশ অপরাংশের উপর আচড়ে পড়ছে। সুতরাং তারা জাহান্নামে পড়ে যাবে। এরপর খৃস্টানদের ডাকা হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমরা কার ইবাদত করতে হে? তারা বলবে, আমরা আল্লাহর পুত্র মাসীহ-এর ইবাদত করতাম। তখন তাদেরকে বলা হবে, তোমরা মিথ্যা বলেছ। আল্লাহ তা'আলা কোন স্ত্রী বা পুত্র গ্রহণ করেন নি। তবে তোমরা কি চাও? তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমাদের তৃষ্ণা পেয়েছে, আমাদেরকে পানি পান করান। তখন তাদেরকে ইশারা করে বলা হবে, তোমরা পানস্থানে অবতরণ করছ না যে? এরপর তাদেরকে জাহান্নামের দিকে সমবেত করা হবে। জাহান্নাম যেন মরীচিকা। তার একাংশ অপরাংশের উপর আছড়ে পড়ছে। অতএব তারা জাহান্নামে পড়ে যাবে। যখন নেককারও বদকার যারা আল্লাহর ইবাদত করত তারা ব্যতীত কেউ বাকি থাকবে না। তখন তারা আল্লাহ তা'আলাকে যে আকৃতিতে দেখেছিল, তার চেয়ে সাধারণ আকৃতিতে তিনি তাদের কাছে এসে বলবেন, তোমরা কিসের অপেক্ষা করছ? প্রতিটি সম্প্রদায় যে যার ইবাদত করত সে তার অনুসরণ করছে। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমরা দুনিয়াতে মানুষকে পরিত্যাগ করেছি, যখন আমরা তাদের প্রতি অধিক মুখাপেক্ষী ছিলাম এবং আমরা তাদের সান্নিধ্য গ্রহণ করিনি। তিনি বলবেন, আমি তোমাদের প্রতিপালক। তারা বলবে, আমরা তোমার থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করি, আমরা আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করি না। কথাটি তারা দু'বার অথবা তিনবার বলবে। এমনকি তাদের কেউ কেউ ফিরে যাওয়ার উপক্রম হবে। তখন তিনি জিজ্ঞেস করবেন তোমাদের ও তার মাঝে কি এমন কোন নিদর্শন আছে, যদ্বারা তোমরা তাকে চিনতে পারবে? তারা বলবে জ্বী, হ্যাঁ। তখন তাঁর পায়ের গোছা অনাবৃত করা হবে। তখন যারা আল্লাহ্ তা'আলাকে স্বেচ্ছায় সিজদা করত, তাদের সবাইকে আল্লাহ তা'আলা সিজদার অনুমতি দেবেন এবং যারা সমাজের ভয় ও লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সিজদা করত, তাদের প্রত্যেকের পৃষ্ঠকে এক পাট (একাকার) করে দেবেন। যখন সে সিজদা করতে ইচ্ছা করবে, তখন সে চিৎ হয়ে পড়ে যাবে। তারপর তারা তাদের মাখা তুলবে। ইত্যবসরে তারা আল্লাহ্ তা'আলাকে প্রথমবার যে আকৃতিতে দেখেছিল, সে আকৃতিতে তিনি পরিবর্তিত হয়ে যাবেন এবং বলবেন, আমিই তোমাদের প্রতিপালক। তারা বলবে, আপনি আমাদের প্রতিপালক। তারপর জাহান্নামের উপর পুলসিরাত কায়েম করা হবে এবং শাফা'আতের সময় হবে। তারা বলবে, "আল্লাহুম্মা সাল্লিম, সাল্লিম" "হে আল্লাহ। তুমি নিরাপদে রাখ, তুমি নিরাপদে রাখ।" জিজ্ঞেস করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। পুলসিরাত কি? তিনি বললেন, পিচ্ছিল ও পদস্খলনের স্থান, সেখানে রয়েছে অংকুশ, হুক এবং এক প্রকার বৃক্ষ, যা নজদে উৎপন্ন হয় এবং তাতে কাঁটা থাকে। তাকে সা'দান বলা হয়। মু'মিনরা চোখের গতিতে, বিদ্যুতের গতিতে, বায়ুর গতিতে, পাখির গতিতে এবং উত্তম ঘোড়াও উঠের গতিতে তা পার হয়ে যাবে। সুতরাং মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিরাপদে থাকবে, আঁচড় খাওয়া লোক ছাড়া পাবে এবং আটক ব্যক্তি জাহান্নামের আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে। তারপর যখন মু'মিনরা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, তখন মু'মিনগণ কিয়ামতের দিন জাহান্নামে পড়ে থাকা তাদের (মু'মিন) ভাইদের পূর্ণ প্রাপ্য লাভের জন্য আল্লাহর কাছে যেমন ফরিয়াদ করবে, তোমাদের কেউ আল্লাহর কাছে তাদের চেয়ে বেশী ফরিয়াদ করবে না।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, তোমরা সেই হকের ব্যাপারে, যা তোমাদের সামনে (কিয়ামতের দিন) প্রকাশ পাবে, মু'মিনরা সে দিন পরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে যেভাবে ফরিয়াদ করবে, তোমরা তাদের চেয়ে বেশী ফরিয়াদ করবে না। যখন তারা দেখবে যে, তাদের ভাইদের মাঝে তারা মুক্তি পেয়ে গেছে, তখন তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। তারা আমাদের সাথে রোযা রাখত, সালাত আদায় করত এবং হজ্জ পালন করত। তখন তাদেরকে বলা হবে, যাদেরকে তোমরা চেন, তাদেরকে বের কর। তখন তাদের অবয়ব-আকৃতি বিকৃত করা জান্নামের জন্য হারাম (অসম্ভব) হবে। ফলে তারা অনেক লোককে বের করে আনবে, তাদের কারও পায়ের গোছা পর্যন্ত, কারও হাঁটু পর্যন্ত আগুন স্পর্শ করেছে। এরপর তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আপনি যাদের ব্যাপারে আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন, তাদের কেউ জাহান্নামে অবশিষ্ট নেই। তারপর বলা হবে, তোমরা ফিরে যাও, যার অন্তরে এক দীনার পরিমাণ কল্যাণ (ঈমান) পাও, তাকে বের কর। তখন তার অনেক লোককে বের করে আনবে। এরপর তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। যাদের ব্যাপার আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন তাদের কাউকে আমরা জাহান্নামে ছেড়ে আসিনি। এরপর তিনি বলবেন, তোমরা ফিরে যাও, যার অন্তরে অর্ধেক দীনার পরিমান কল্যাণ (ঈমান) পাও, তাকে বের করে নিয়ে এসো। তখন তারা অনেক লোককে বের করে আনবে। এরপর বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। যাদের ব্যাপারে আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন তাদের কাউকে আমরা জাহান্নাম ছেড়ে আসি নি। তিনি আবার বলবেন, তোমরা ফিরে যাও, যার অন্তরে ছোট পিঁপড়ে পরিমাণ (সামান্য) কল্যাণ পাও তাকে বের কর। তখন তারা অনেক লোককে বের করে আনবে এবং বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমরা কোন কল্যাণই সেখানে ছেড়ে আসিনি। আবু সাঈদ (রা) বলতেন, যদি তোমরা এ হাসীদের ব্যাপারে আমাকে বিশ্বাস না কর, তবে তোমরা ইচ্ছা করলে পড়:
إن الله لا يظلم مثقال ذرة وإن تك حسنة يُضَاعِفَهَا وَيُؤْتِ مِنْ لَدُنْهُ أَجْرًا عَظِيمًا
'নিশ্চয় আল্লাহ্ অনু পরিমাণ ও যুলুম করেন না এবং অণু পরিমাণ পূণ্যকার্য হলে ও আল্লাহ্ তা দ্বিগুণ করে দেন এবং আল্লাহ্ তার নিকট থেকে মহা পুরস্কার প্রদান করেন" (৪ঃ ৪০)। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, ফিরিশতাগণ সুপারিশ করেছে এবং নবীগণ সুপারিশ করেছেন। কেবল দয়ালুদের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ অবশিষ্ট নেই। এবলে তিনি জাহান্নাম থেকে এক মুর্তি তুলে নেবেন এবং সেখান যেতে জাহান্নামের এমন একটি সম্প্রদায়কে বের করবেন, যারা কখনও ভাল কাজ করে নি। তারা অঙ্গারের দাহনে দগ্ধীভূত হতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এরপর তাদেরকে জান্নাতের দরজায় একটি নহরে ফেলা হবে, যাকে বলা হবে নহরে-হায়াত বা জীবন-নদী। ফলে তারা (সেখান থেকে) এভাবে বের হবে, যেমন ঢল-বাহিত পলির মাঝে বীজ অংকুরিত হয়। তোমরা কি দেখনা, অংকুরিত বৃক্ষটি পাথরের মত রঙ হয় অথবা বৃক্ষের মত রঙ হয়। যেটা সূর্যের আলো পার, সেটা হলদে ও সবুজ হয় এবং তন্মধ্যে যেটা ছায়া পায়, সেটা সাদা হন। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। যেন আপনি গ্রামে বিচরণ করতেন। তিনি বলেন, অতঃপর করা মুক্তার মত হয়ে বের হবে। তাদের ঘাঁড়ে থাকবে মোহর। তাদেরকে জান্নাতীগণ চিনবে যে, এরা আল্লাহর সে সব মুক্তিপ্রাপ্ত বান্দা, যাদেরকে তিনি তাদের কৃত কোন আমল অথবা পেশকৃত কোন সাওয়াব ব্যতিরেকেই জান্নাতে দাখিল করেছেন। এরপর তিনি বলবেন, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর এবং তোমরা যা কিছু দেখতে পাও তার সবটাই তোমাদের। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমাদেরকে তুমি এমন নিয়ামত দান করেছ, যা তুমি জগতের অন্য কাউকে দান করনি। তিনি বলবেন, আমার কাছে তোমাদের জন্য এর চেয়ে উৎকৃষ্ট বস্তু রয়েছে। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। এর চেয়ে উৎকৃষ্ট বস্তুটা কি? তিনি বলবেন, আমর সন্তুষ্টি। সুতরাং আমি কখনও তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্টি হব না।
(বুখারী ও মুসলিম (র) হাসীসটি বর্ণন্য করেছেন।)
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, তোমরা সেই হকের ব্যাপারে, যা তোমাদের সামনে (কিয়ামতের দিন) প্রকাশ পাবে, মু'মিনরা সে দিন পরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে যেভাবে ফরিয়াদ করবে, তোমরা তাদের চেয়ে বেশী ফরিয়াদ করবে না। যখন তারা দেখবে যে, তাদের ভাইদের মাঝে তারা মুক্তি পেয়ে গেছে, তখন তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। তারা আমাদের সাথে রোযা রাখত, সালাত আদায় করত এবং হজ্জ পালন করত। তখন তাদেরকে বলা হবে, যাদেরকে তোমরা চেন, তাদেরকে বের কর। তখন তাদের অবয়ব-আকৃতি বিকৃত করা জান্নামের জন্য হারাম (অসম্ভব) হবে। ফলে তারা অনেক লোককে বের করে আনবে, তাদের কারও পায়ের গোছা পর্যন্ত, কারও হাঁটু পর্যন্ত আগুন স্পর্শ করেছে। এরপর তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আপনি যাদের ব্যাপারে আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন, তাদের কেউ জাহান্নামে অবশিষ্ট নেই। তারপর বলা হবে, তোমরা ফিরে যাও, যার অন্তরে এক দীনার পরিমাণ কল্যাণ (ঈমান) পাও, তাকে বের কর। তখন তার অনেক লোককে বের করে আনবে। এরপর তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। যাদের ব্যাপার আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন তাদের কাউকে আমরা জাহান্নামে ছেড়ে আসিনি। এরপর তিনি বলবেন, তোমরা ফিরে যাও, যার অন্তরে অর্ধেক দীনার পরিমান কল্যাণ (ঈমান) পাও, তাকে বের করে নিয়ে এসো। তখন তারা অনেক লোককে বের করে আনবে। এরপর বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। যাদের ব্যাপারে আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন তাদের কাউকে আমরা জাহান্নাম ছেড়ে আসি নি। তিনি আবার বলবেন, তোমরা ফিরে যাও, যার অন্তরে ছোট পিঁপড়ে পরিমাণ (সামান্য) কল্যাণ পাও তাকে বের কর। তখন তারা অনেক লোককে বের করে আনবে এবং বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমরা কোন কল্যাণই সেখানে ছেড়ে আসিনি। আবু সাঈদ (রা) বলতেন, যদি তোমরা এ হাসীদের ব্যাপারে আমাকে বিশ্বাস না কর, তবে তোমরা ইচ্ছা করলে পড়:
إن الله لا يظلم مثقال ذرة وإن تك حسنة يُضَاعِفَهَا وَيُؤْتِ مِنْ لَدُنْهُ أَجْرًا عَظِيمًا
'নিশ্চয় আল্লাহ্ অনু পরিমাণ ও যুলুম করেন না এবং অণু পরিমাণ পূণ্যকার্য হলে ও আল্লাহ্ তা দ্বিগুণ করে দেন এবং আল্লাহ্ তার নিকট থেকে মহা পুরস্কার প্রদান করেন" (৪ঃ ৪০)। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, ফিরিশতাগণ সুপারিশ করেছে এবং নবীগণ সুপারিশ করেছেন। কেবল দয়ালুদের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ অবশিষ্ট নেই। এবলে তিনি জাহান্নাম থেকে এক মুর্তি তুলে নেবেন এবং সেখান যেতে জাহান্নামের এমন একটি সম্প্রদায়কে বের করবেন, যারা কখনও ভাল কাজ করে নি। তারা অঙ্গারের দাহনে দগ্ধীভূত হতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এরপর তাদেরকে জান্নাতের দরজায় একটি নহরে ফেলা হবে, যাকে বলা হবে নহরে-হায়াত বা জীবন-নদী। ফলে তারা (সেখান থেকে) এভাবে বের হবে, যেমন ঢল-বাহিত পলির মাঝে বীজ অংকুরিত হয়। তোমরা কি দেখনা, অংকুরিত বৃক্ষটি পাথরের মত রঙ হয় অথবা বৃক্ষের মত রঙ হয়। যেটা সূর্যের আলো পার, সেটা হলদে ও সবুজ হয় এবং তন্মধ্যে যেটা ছায়া পায়, সেটা সাদা হন। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। যেন আপনি গ্রামে বিচরণ করতেন। তিনি বলেন, অতঃপর করা মুক্তার মত হয়ে বের হবে। তাদের ঘাঁড়ে থাকবে মোহর। তাদেরকে জান্নাতীগণ চিনবে যে, এরা আল্লাহর সে সব মুক্তিপ্রাপ্ত বান্দা, যাদেরকে তিনি তাদের কৃত কোন আমল অথবা পেশকৃত কোন সাওয়াব ব্যতিরেকেই জান্নাতে দাখিল করেছেন। এরপর তিনি বলবেন, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর এবং তোমরা যা কিছু দেখতে পাও তার সবটাই তোমাদের। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমাদেরকে তুমি এমন নিয়ামত দান করেছ, যা তুমি জগতের অন্য কাউকে দান করনি। তিনি বলবেন, আমার কাছে তোমাদের জন্য এর চেয়ে উৎকৃষ্ট বস্তু রয়েছে। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। এর চেয়ে উৎকৃষ্ট বস্তুটা কি? তিনি বলবেন, আমর সন্তুষ্টি। সুতরাং আমি কখনও তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্টি হব না।
(বুখারী ও মুসলিম (র) হাসীসটি বর্ণন্য করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5498- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قُلْنَا يَا رَسُول الله هَل نرى رَبنَا يَوْم الْقِيَامَة قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نعم فَهَل تضَارونَ فِي رُؤْيَة الشَّمْس بالظهيرة صحوا لَيْسَ مَعهَا سَحَاب وَهل تضَارونَ فِي رُؤْيَة الْقَمَر لَيْلَة الْبَدْر صحوا لَيْسَ فِيهَا سَحَاب قَالُوا لَا يَا رَسُول الله
قَالَ فَمَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة الله تَعَالَى يَوْم الْقِيَامَة إِلَّا كَمَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة أَحدهمَا إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة أذن مُؤذن لتتبع كل أمة مَا كَانَت تعبد فَلَا يبْقى أحد كَانَ يعبد غير الله من الْأَصْنَام والأنصاب إِلَّا يتساقطون فِي النَّار حَتَّى إِذا لم يبْق إِلَّا من كَانَ يعبد الله من بر وَفَاجِر وغبر أهل الْكتاب فيدعى الْيَهُود فَيُقَال لَهُم مَا كُنْتُم تَعْبدُونَ قَالُوا كُنَّا نعْبد عُزَيْرًا ابْن الله فَيُقَال كَذبْتُمْ مَا اتخذ الله من صَاحِبَة وَلَا ولد فَمَاذَا تبغون قَالُوا عطشنا يَا رَبنَا فاسقنا فيشار إِلَيْهِم أَلا تردون فيحشرون إِلَى النَّار كَأَنَّهَا سراب يحطم بَعْضهَا بَعْضًا فيتساقطون فِي النَّار ثمَّ تدعى النَّصَارَى فَيُقَال لَهُم مَا كُنْتُم تَعْبدُونَ قَالُوا كُنَّا نعْبد الْمَسِيح ابْن الله فَيُقَال لَهُم كَذبْتُمْ مَا اتخذ الله من صَاحِبَة وَلَا ولد فَمَاذَا تبغون فَيَقُولُونَ عطشنا يَا رَبنَا فاسقنا فيشار إِلَيْهِم أَلا تردون فيحشرون إِلَى جَهَنَّم كَأَنَّهَا سراب يحطم بَعْضهَا بَعْضًا فيتساقطون فِي النَّار حَتَّى إِذا لم يبْق إِلَّا من كَانَ يعبد الله من بر وَفَاجِر أَتَاهُم الله فِي أدنى صُورَة من الَّتِي رَأَوْهُ فِيهَا قَالَ فَمَا تنتظرون تتبع كل أمة مَا كَانَت تعبد قَالُوا يَا رَبنَا فارقنا النَّاس فِي الدُّنْيَا أفقر مَا كُنَّا إِلَيْهِم وَلم نصاحبهم فَيَقُول أَنا ربكُم
فَيَقُولُونَ نَعُوذ بِاللَّه مِنْك لَا نشْرك بِاللَّه شَيْئا مرَّتَيْنِ أَو ثَلَاثًا حَتَّى إِن بَعضهم ليكاد أَن يَنْقَلِب فَيَقُول هَل بَيْنكُم وَبَينه آيَة فتعرفونه بهَا فَيَقُولُونَ نعم فَيكْشف عَن سَاق فَلَا
يبْقى من كَانَ يسْجد لله من تِلْقَاء نَفسه أَلا أذن الله لَهُ بِالسُّجُود وَلَا يبْقى من كَانَ يسْجد اتقاء ورياء إِلَّا جعل الله ظَهره طبقَة وَاحِدَة كلما أَرَادَ أَن يسْجد خر على قَفاهُ ثمَّ يرفعون رؤوسهم وَقد تحول فِي صورته الَّتِي رَأَوْهُ فِيهَا أول مرّة فَقَالَ أَنا ربكُم فَيَقُولُونَ أَنْت رَبنَا ثمَّ يضْرب الجسر على جَهَنَّم وَتحل الشَّفَاعَة وَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ سلم سلم قيل يَا رَسُول الله وَمَا الجسر قَالَ دحض مزلة فِيهِ خطاطيف وكلاليب وحسكة يكون بِنَجْد فِيهَا تشويكة يُقَال لَهَا السعدان
فيمر الْمُؤْمِنُونَ كطرف الْعين وكالبرق وكالريح وكالطير وكأجاويد الْخَيل والركاب فناج مُسلم ومخدوش مُرْسل ومكدوش فِي نَار جَهَنَّم حَتَّى إِذا خلص الْمُؤْمِنُونَ من النَّار فوالذي نَفسِي بِيَدِهِ مَا من أحد مِنْكُم بأشد مناشدة لله فِي اسْتِيفَاء الْحق من الْمُؤمنِينَ لله يَوْم الْقِيَامَة لإخوانهم الَّذين فِي النَّار
وَفِي رِوَايَة فَمَا أَنْتُم بأشد مناشدة فِي الْحق قد تبين لكم من الْمُؤمنِينَ يَوْمئِذٍ للجبار إِذا رَأَوْا أَنهم قد نَجوا فِي إخْوَانهمْ فَيَقُولُونَ رَبنَا كَانُوا يَصُومُونَ مَعنا وَيصلونَ ويحجون فَيُقَال لَهُم أخرجُوا من عَرَفْتُمْ فَتحرم صورهم على النَّار فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا قد أخذت النَّار إِلَى نصف سَاقه وَإِلَى ركبته ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا مَا بَقِي فِيهَا مِمَّن أمرتنا بِهِ فَيُقَال ارْجعُوا فَمن وجدْتُم فِي قلبه مِثْقَال دِينَار من خير فأخرجوه فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا لم نذر فِيهَا أحدا مِمَّن أمرتنا ثمَّ يَقُول ارْجعُوا فَمن وجدْتُم فِي قلبه مِثْقَال نصف دِينَار من خير فأخرجوه فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا لم نذر فِيهَا مِمَّن أمرتنا أحدا ثمَّ يَقُول ارْجعُوا فَمن وجدْتُم فِي قلبه مِثْقَال ذرة من خير فأخرجوه فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا لم نذر فِيهَا خيرا وَكَانَ أَبُو سعيد يَقُول إِن لم تصدقوني بِهَذَا الحَدِيث فاقرؤوا إِن شِئْتُم إِن الله لَا يظلم مِثْقَال ذرة وَإِن تَكُ حَسَنَة يُضَاعِفهَا وَيُؤْت من لَدنه أجرا عَظِيما النِّسَاء 04 فَيَقُول الله عز وَجل شفعت الْمَلَائِكَة وشفع النَّبِيُّونَ وَلم يبْق إِلَّا أرْحم الرَّاحِمِينَ فَيقبض قَبْضَة من النَّار فَيخرج مِنْهَا قوما من النَّار لم يعملوا خيرا قطّ قد عَادوا حمما فيلقيهم فِي نهر فِي أَفْوَاه الْجنَّة يُقَال لَهُ نهر الْحَيَاة فَيخْرجُونَ كَمَا تخرج الْحبَّة فِي حميل السَّيْل أَلا ترونها تكون إِلَى الْحجر أَو إِلَى الشّجر مَا يكون إِلَى الشَّمْس أصيفر وأخيضر وَمَا يكون مِنْهَا إِلَى الظل يكون أَبيض فَقَالُوا يَا رَسُول الله كَأَنَّك كنت ترعى بالبادية قَالَ فَيخْرجُونَ كَاللُّؤْلُؤِ فِي رقابهم الخواتيم يعرفهُمْ أهل الْجنَّة هَؤُلَاءِ عُتَقَاء الله الَّذين أدخلهم الله الْجنَّة بِغَيْر عمل عملوه وَلَا خير قدموه ثمَّ
يَقُول ادخُلُوا الْجنَّة فَمَا رَأَيْتُمُوهُ فَهُوَ لكم فَيَقُولُونَ رَبنَا أَعطيتنَا مَا لم تعط أحدا من الْعَالمين فَيَقُول لكم عِنْدِي أفضل من هَذَا فَيَقُولُونَ يَا رَبنَا أَي شَيْء أفضل من هَذَا فَيَقُول رضاي فَلَا أَسخط عَلَيْكُم أبدا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ
قَالَ فَمَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة الله تَعَالَى يَوْم الْقِيَامَة إِلَّا كَمَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة أَحدهمَا إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة أذن مُؤذن لتتبع كل أمة مَا كَانَت تعبد فَلَا يبْقى أحد كَانَ يعبد غير الله من الْأَصْنَام والأنصاب إِلَّا يتساقطون فِي النَّار حَتَّى إِذا لم يبْق إِلَّا من كَانَ يعبد الله من بر وَفَاجِر وغبر أهل الْكتاب فيدعى الْيَهُود فَيُقَال لَهُم مَا كُنْتُم تَعْبدُونَ قَالُوا كُنَّا نعْبد عُزَيْرًا ابْن الله فَيُقَال كَذبْتُمْ مَا اتخذ الله من صَاحِبَة وَلَا ولد فَمَاذَا تبغون قَالُوا عطشنا يَا رَبنَا فاسقنا فيشار إِلَيْهِم أَلا تردون فيحشرون إِلَى النَّار كَأَنَّهَا سراب يحطم بَعْضهَا بَعْضًا فيتساقطون فِي النَّار ثمَّ تدعى النَّصَارَى فَيُقَال لَهُم مَا كُنْتُم تَعْبدُونَ قَالُوا كُنَّا نعْبد الْمَسِيح ابْن الله فَيُقَال لَهُم كَذبْتُمْ مَا اتخذ الله من صَاحِبَة وَلَا ولد فَمَاذَا تبغون فَيَقُولُونَ عطشنا يَا رَبنَا فاسقنا فيشار إِلَيْهِم أَلا تردون فيحشرون إِلَى جَهَنَّم كَأَنَّهَا سراب يحطم بَعْضهَا بَعْضًا فيتساقطون فِي النَّار حَتَّى إِذا لم يبْق إِلَّا من كَانَ يعبد الله من بر وَفَاجِر أَتَاهُم الله فِي أدنى صُورَة من الَّتِي رَأَوْهُ فِيهَا قَالَ فَمَا تنتظرون تتبع كل أمة مَا كَانَت تعبد قَالُوا يَا رَبنَا فارقنا النَّاس فِي الدُّنْيَا أفقر مَا كُنَّا إِلَيْهِم وَلم نصاحبهم فَيَقُول أَنا ربكُم
فَيَقُولُونَ نَعُوذ بِاللَّه مِنْك لَا نشْرك بِاللَّه شَيْئا مرَّتَيْنِ أَو ثَلَاثًا حَتَّى إِن بَعضهم ليكاد أَن يَنْقَلِب فَيَقُول هَل بَيْنكُم وَبَينه آيَة فتعرفونه بهَا فَيَقُولُونَ نعم فَيكْشف عَن سَاق فَلَا
يبْقى من كَانَ يسْجد لله من تِلْقَاء نَفسه أَلا أذن الله لَهُ بِالسُّجُود وَلَا يبْقى من كَانَ يسْجد اتقاء ورياء إِلَّا جعل الله ظَهره طبقَة وَاحِدَة كلما أَرَادَ أَن يسْجد خر على قَفاهُ ثمَّ يرفعون رؤوسهم وَقد تحول فِي صورته الَّتِي رَأَوْهُ فِيهَا أول مرّة فَقَالَ أَنا ربكُم فَيَقُولُونَ أَنْت رَبنَا ثمَّ يضْرب الجسر على جَهَنَّم وَتحل الشَّفَاعَة وَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ سلم سلم قيل يَا رَسُول الله وَمَا الجسر قَالَ دحض مزلة فِيهِ خطاطيف وكلاليب وحسكة يكون بِنَجْد فِيهَا تشويكة يُقَال لَهَا السعدان
فيمر الْمُؤْمِنُونَ كطرف الْعين وكالبرق وكالريح وكالطير وكأجاويد الْخَيل والركاب فناج مُسلم ومخدوش مُرْسل ومكدوش فِي نَار جَهَنَّم حَتَّى إِذا خلص الْمُؤْمِنُونَ من النَّار فوالذي نَفسِي بِيَدِهِ مَا من أحد مِنْكُم بأشد مناشدة لله فِي اسْتِيفَاء الْحق من الْمُؤمنِينَ لله يَوْم الْقِيَامَة لإخوانهم الَّذين فِي النَّار
وَفِي رِوَايَة فَمَا أَنْتُم بأشد مناشدة فِي الْحق قد تبين لكم من الْمُؤمنِينَ يَوْمئِذٍ للجبار إِذا رَأَوْا أَنهم قد نَجوا فِي إخْوَانهمْ فَيَقُولُونَ رَبنَا كَانُوا يَصُومُونَ مَعنا وَيصلونَ ويحجون فَيُقَال لَهُم أخرجُوا من عَرَفْتُمْ فَتحرم صورهم على النَّار فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا قد أخذت النَّار إِلَى نصف سَاقه وَإِلَى ركبته ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا مَا بَقِي فِيهَا مِمَّن أمرتنا بِهِ فَيُقَال ارْجعُوا فَمن وجدْتُم فِي قلبه مِثْقَال دِينَار من خير فأخرجوه فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا لم نذر فِيهَا أحدا مِمَّن أمرتنا ثمَّ يَقُول ارْجعُوا فَمن وجدْتُم فِي قلبه مِثْقَال نصف دِينَار من خير فأخرجوه فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا لم نذر فِيهَا مِمَّن أمرتنا أحدا ثمَّ يَقُول ارْجعُوا فَمن وجدْتُم فِي قلبه مِثْقَال ذرة من خير فأخرجوه فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا لم نذر فِيهَا خيرا وَكَانَ أَبُو سعيد يَقُول إِن لم تصدقوني بِهَذَا الحَدِيث فاقرؤوا إِن شِئْتُم إِن الله لَا يظلم مِثْقَال ذرة وَإِن تَكُ حَسَنَة يُضَاعِفهَا وَيُؤْت من لَدنه أجرا عَظِيما النِّسَاء 04 فَيَقُول الله عز وَجل شفعت الْمَلَائِكَة وشفع النَّبِيُّونَ وَلم يبْق إِلَّا أرْحم الرَّاحِمِينَ فَيقبض قَبْضَة من النَّار فَيخرج مِنْهَا قوما من النَّار لم يعملوا خيرا قطّ قد عَادوا حمما فيلقيهم فِي نهر فِي أَفْوَاه الْجنَّة يُقَال لَهُ نهر الْحَيَاة فَيخْرجُونَ كَمَا تخرج الْحبَّة فِي حميل السَّيْل أَلا ترونها تكون إِلَى الْحجر أَو إِلَى الشّجر مَا يكون إِلَى الشَّمْس أصيفر وأخيضر وَمَا يكون مِنْهَا إِلَى الظل يكون أَبيض فَقَالُوا يَا رَسُول الله كَأَنَّك كنت ترعى بالبادية قَالَ فَيخْرجُونَ كَاللُّؤْلُؤِ فِي رقابهم الخواتيم يعرفهُمْ أهل الْجنَّة هَؤُلَاءِ عُتَقَاء الله الَّذين أدخلهم الله الْجنَّة بِغَيْر عمل عملوه وَلَا خير قدموه ثمَّ
يَقُول ادخُلُوا الْجنَّة فَمَا رَأَيْتُمُوهُ فَهُوَ لكم فَيَقُولُونَ رَبنَا أَعطيتنَا مَا لم تعط أحدا من الْعَالمين فَيَقُول لكم عِنْدِي أفضل من هَذَا فَيَقُولُونَ يَا رَبنَا أَي شَيْء أفضل من هَذَا فَيَقُول رضاي فَلَا أَسخط عَلَيْكُم أبدا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৯৯
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৯৯. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে ছিলাম। তখন তিনি হেসে দিয়ে বললেন, তোমরা কি জান, আমি কেন হাসছি। আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, আমি বান্দার তাঁর প্রতিপালকের সাথে কথোপকথনের ধরণ দেখে হাসছি। সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক। আপনি কি আমাকে যুলুম থেকে রক্ষা করবেন না? তিনি বলবেন, অবশ্যই। সে বলবে, তবে আমি আজ আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যতীত আমার বিপক্ষে কোন সাক্ষীকে (কথা বলতে) অনুমতি দেব না। তিনি বলবেন, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাবকারীরূপে এবং লিপিকর ফিরিশতাগণ সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট। তিনি (রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তারপর আল্লাহ্ তা'আলা তার মুখের উপর মোহর মেরে দেবেন এবং তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে বলবেন, তোমরা প্রত্যেকে যার যার কথা বল, তখন তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তার আমলসমূহের কথা বলে দেবে এবং তার মুখের কথা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন সে বলবে, অভিশাপ তোদের জন্যে। তোরা ধ্বংস হ'? তোমাদেরই জন্যে আমি (সারা জীবন) খেটেছি।
(মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5499- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا عِنْد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَضَحِك فَقَالَ هَل تَدْرُونَ مِم أضْحك قُلْنَا الله وَرَسُوله أعلم
قَالَ من مُخَاطبَة العَبْد ربه فَيَقُول يَا رب ألم تُجِرْنِي من الظُّلم يَقُول بلَى
فَيَقُول إِنِّي لَا أُجِيز الْيَوْم على نَفسِي شَاهدا إِلَّا مني فَيَقُول كفى بِنَفْسِك الْيَوْم عَلَيْك حسيبا والكرام الْكَاتِبين شُهُودًا
قَالَ فيختم على فِيهِ وَيَقُول لِأَرْكَانِهِ انْطِقِي فَتَنْطِق بِأَعْمَالِهِ ثمَّ يخلي بَينه وَبَين الْكَلَام فَيَقُول بعدا لَكِن وَسُحْقًا فَعَنْكُنَّ كنت أُنَاضِل
رَوَاهُ مُسلم
قَالَ من مُخَاطبَة العَبْد ربه فَيَقُول يَا رب ألم تُجِرْنِي من الظُّلم يَقُول بلَى
فَيَقُول إِنِّي لَا أُجِيز الْيَوْم على نَفسِي شَاهدا إِلَّا مني فَيَقُول كفى بِنَفْسِك الْيَوْم عَلَيْك حسيبا والكرام الْكَاتِبين شُهُودًا
قَالَ فيختم على فِيهِ وَيَقُول لِأَرْكَانِهِ انْطِقِي فَتَنْطِق بِأَعْمَالِهِ ثمَّ يخلي بَينه وَبَين الْكَلَام فَيَقُول بعدا لَكِن وَسُحْقًا فَعَنْكُنَّ كنت أُنَاضِل
رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক: