আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১৫. অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩২২ টি

হাদীস নং: ২৬৭২
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৭২. হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হালাল সম্পদ উপার্জন করল এবং নিজে আহার করল অথবা তার চেয়ে নিম্নবিত্ত ক্যাউকে বস্ত্র দান করল, এটি তার জন্য পরিশুদ্ধির হেতু হবে।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে দাররাজ আবুল হায়সাম সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2672- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ أَيّمَا رجل اكْتسب مَالا من حَلَال فأطعم نَفسه أَو كساها فَمن دونه من خلق الله كَانَ لَهُ بِهِ زَكَاة

رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه من طَرِيق دراج عَن أبي الْهَيْثَم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৭৩
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৭৩. নসীহ আন্‌সী সূত্রে রাক্‌ব মিসরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ধন্য সেই ব্যক্তি, যার উপার্জন পবিত্র, অন্তর পরিচ্ছন্ন, বাহ্যিক অবস্থা সুন্দর এবং যে মানুষকে নিজের অনিষ্ট থেকে দূরে রাখে। ধন্য সে ব্যক্তি, যে নিজের ইলম অনুযায়ী আমল করে, নিজের অতিরিক্ত সম্পদ বিলিয়ে দেয় এবং অনর্থক কথা বলা থেকে বিরত থাকে।
(হাদীসটি তাবারানী একটি দীর্ঘ হাদীসের আলোচনায় উল্লেখ করেছেন। ইনশা আল্লাহ 'বিনয়' অনুচ্ছেদে পূর্ণ হাদীসটি আসবে।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2673- وَعَن نصيح الْعَنسِي عَن ركب الْمصْرِيّ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم طُوبَى لمن طَابَ كَسبه وصلحت سَرِيرَته وكرمت عَلَانِيَته وعزل عَن النَّاس شَره طُوبَى لمن عمل بِعِلْمِهِ وَأنْفق الْفضل من مَاله وَأمْسك الْفضل من قَوْله

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي حَدِيث يَأْتِي بِتَمَامِهِ فِي التَّوَاضُع إِن شَاءَ الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৭৪
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৭৪. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এ আয়াতটি তিলাওয়াত করা হলঃ 'হে মানবমণ্ডলী। পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু সামগ্রী ভক্ষণ কর। (২ঃ১৬৮) তখন সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) দাঁড়িয়ে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ। আপনি দু'আ করুন, আল্লাহ যেন আমাকে মকবুল দু'আর অধিকারী বানিয়ে নেন। নবী করীম (ﷺ) তাঁকে বললেনঃ হে সা'দা তোমার আহারকে পবিত্র রাখ, আল্লাহ তোমার দু'আ কবুল করবেন। ঐ সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মদের জীবন, বান্দা একটি হারাম গ্রাস তার উদরে পুরে দেয়, যার কারণে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার কোন নেক আমল কবুল করা হয় না। আর যে বান্দার মাংস হারাম খাদ্য থেকে উৎপন্ন হয়েছে, জাহান্নামই তার অধিক উপযোগী।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'সগীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2674- وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ تليت هَذِه الْآيَة عِنْد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا أَيهَا النَّاس كلوا مِمَّا فِي الأَرْض حَلَالا طيبا الْبَقَرَة 861
فَقَامَ سعد بن أبي وَقاص رَضِي الله عَنهُ فَقَالَ يَا رَسُول الله ادْع الله أَن يَجْعَلنِي مستجاب الدعْوَة فَقَالَ لَهُ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا سعد أطب مطعمك تكن مستجاب الدعْوَة وَالَّذِي نفس مُحَمَّد بِيَدِهِ إِن العَبْد
ليقذف اللُّقْمَة الْحَرَام فِي جَوْفه مَا يتَقَبَّل مِنْهُ عمل أَرْبَعِينَ يَوْمًا وَأَيّمَا عبد نبت لَحْمه من سحت فَالنَّار أولى بِهِ

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৭৫
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৭৫. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মজলিসে বসা ছিলাম। হঠাৎ মদীনার উঁচু ভূমির একজন লোক আসল এবং বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই দীনের সবচেয়ে কঠিন ও সর্বপেক্ষা সহজ বিষয়টি আমাকে বলে দিন।
তিনি বললেনঃ সবচেয়ে সহজ হল এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। আর হে উঁচু ভূমির অধিবাসী। সবচেয়ে কঠিন বিষয়টি হল আমানত। মনে রাখবে, যার আমানতদারী নেই, তার দীন নেই, তার সালাত নেই এবং তার যাকাতও নেই। হে উঁচু ভূমির অধিবাসী। মনে রেখো, যে ব্যক্তি কোন হারাম সম্পদ লাভ করে এরদ্বারা কোন জামা পরিধান করল, যে পর্যন্ত না সে এটি তার শরীর থেকে সরিয়ে ফেলবে, তার সালাত কবুল হবে না। হে উঁচু ভূমির অধিবাসী। মহান আল্লাহ্ অত্যন্ত সম্মানিত এবং অমুখাপেক্ষী যে, তিনি কারো গায়ে হারাম মালের জামা থাকলেও তার কোন আমল অথবা তার নামায কবুল করে নিতে পারেন না।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। তবে এতে মুনকার হওয়ার লক্ষণ রয়েছে।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2675- وَرُوِيَ عَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا جُلُوسًا مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فطلع علينا رجل من أهل الْعَالِيَة فَقَالَ يَا رَسُول الله أَخْبرنِي بأشد شَيْء فِي هَذَا الدّين وألينه فَقَالَ ألينه شَهَادَة أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَأَن مُحَمَّدًا عَبده وَرَسُوله وأشده يَا أَخا الْعَالِيَة الْأَمَانَة إِنَّه لَا دين لمن لَا أَمَانَة لَهُ وَلَا صَلَاة لَهُ وَلَا زَكَاة لَهُ يَا أَخا الْعَالِيَة إِنَّه من أصَاب مَالا من حرَام فَلبس مِنْهُ جلبابا يَعْنِي قَمِيصًا لم تقبل صلَاته حَتَّى ينحى ذَلِك الجلباب عَنهُ إِن الله عز وَجل أكْرم وَأجل يَا أَخا الْعَالِيَة من أَن يقبل عمل رجل أَو صلَاته وَعَلِيهِ جِلْبَاب من حرَام

رَوَاهُ الْبَزَّار وَفِيه نَكَارَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৭৬
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৭৬. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি দশ দিরহাম দিয়ে একটি কাপড় ক্রয় করল আর এতে একটি হারাম দিরহামের সংমিশ্রণ ছিল, যতক্ষণ এ কাপড় তার গায়ে থাকবে, মহান আল্লাহ তার কোন সালাত কবুল করবেন না। বর্ণনাকারী বলেনঃ তারপর ইবন উমর তাঁর দুটি আঙ্গুল দু'কানে ঢুকিয়ে দিয়ে বললেনঃ এগুলো বধির হয়ে যাক, যদি আমি নবী করীম (ﷺ) -কে একথা বলতে না শুনে থাকি।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2676- وَرُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ من اشْترى ثوبا بِعشْرَة دَرَاهِم وَفِيه دِرْهَم من حرَام لم يقبل الله عز وَجل لَهُ صَلَاة مَا دَامَ عَلَيْهِ قَالَ ثمَّ أَدخل أصبعيه فِي أُذُنَيْهِ ثمَّ قَالَ صمتا إِن لم يكن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سمعته يَقُوله

رَوَاهُ أَحْمد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৭৭
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৭৭. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জেনেশুনে কোন চুরির মাল ক্রয় করল, সে এর অপমান ও অপরাধে অংশীদার হয়ে গেল।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনা সূত্র দেখে মনে হয় হাদীসটি হাসান। আর সম্ভবত এটি মাওকুফ হাদীস হবে।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2677- وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من اشْترى سَرقَة وَهُوَ يعلم أَنَّهَا سَرقَة فقد اشْترك فِي عارها وإثمها

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَفِي إِسْنَاده احْتِمَال للتحسين وَيُشبه أَن يكون مَوْقُوفا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৭৮
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৭৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ঐ সত্তার শপথ যার হাতে আমার জীবন। তোমাদের কেউ যদি রশি নিয়ে পাহাড়ে গিয়ে কাঠ সংগ্রহ করে এবং এটি নিয়ে এসে নিজ পিঠে বহন করে (বিক্রি করে) জীবিকা নির্বাহ করে, তবে এটিই তার জন্য মানুষের কাছে ভিক্ষার হাত পাতার চেয়ে উত্তম হবে। আর তোমাদের কেউ যদি কিছু মাটি নিয়ে নিজের মুখে পুরে দেয়, তবে আল্লাহ যা তার পক্ষে হারাম করেছেন, ঐ বস্তু আহার করার চেয়ে এটিই তার পক্ষে উত্তম।
(হাদীসটি আহমদ একটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2678- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَيْضا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَالَّذِي نَفسِي بِيَدِهِ لِأَن يَأْخُذ أحدكُم حبله فَيذْهب بِهِ إِلَى الْجَبَل فيحتطب ثمَّ يَأْتِي بِهِ فيحمله على ظَهره فيأكل خير لَهُ من أَن يسْأَل النَّاس وَلِأَن يَأْخُذ تُرَابا فَيَجْعَلهُ فِي فِيهِ خير لَهُ من أَن يَجْعَل فِي فِيهِ مَا حرم الله عَلَيْهِ

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد
হাদীস নং: ২৬৭৯
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৭৯. উক্ত হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ তুমি যখন তোমার সম্পদের যাকাত আদায় করে ফেলেছ, তখন তোমার দায়িত্ব পালন করে ফেলেছ। আর যে ব্যক্তি হারাম মাল সঞ্চয় করল, তারপর তা দান করে দিল, এতে তার কোন পুণ্য হবে না বরং এ গুনাহ তার উপরই বর্তাবে।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তাঁদের নিজ নিজ 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন। তাঁরা সবাই হাদীসটি দাররাজ সূত্রে ইবন হুজায়রার মাধ্যমে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তাবারানী এ হাদীসটি আবুত-তুফায়ল থেকে নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হারাম সম্পদ উপার্জন করল, তারপর তা দিয়ে কোন গোলাম আযাদ করল অথবা আত্মীয়তার হক আদায় করল, এগুলো তার জন্য গুনাহের কারণ হবে।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2679- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا أدّيت زَكَاة مَالك فقد قضيت مَا عَلَيْك وَمن جمع مَالا حَرَامًا ثمَّ تصدق بِهِ لم يكن لَهُ فِيهِ أجر وَكَانَ إصره عَلَيْهِ

رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم كلهم من رِوَايَة دراج عَن ابْن حجيرة عَنهُ
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من حَدِيث أبي الطُّفَيْل وَلَفظه قَالَ من كسب مَالا من حرَام فَأعتق مِنْهُ وَوصل مِنْهُ رَحمَه كَانَ ذَلِك إصرا عَلَيْهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৮০
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৮০. ইমাম আবূ দাউদ তাঁর 'মারাসীল' গ্রন্থে হযরত কাসিম ইবন মুখায়মারা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অবৈধ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করল, তারপর এরদ্বারা সে আত্মীয়তার হক আদায় করল অথবা দান করল অথবা আল্লাহর পথে ব্যয় করল, এগুলো একত্রিত করা হবে এবং তার সাথে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2680- وروى أَبُو دَاوُد فِي الْمَرَاسِيل عَن الْقَاسِم بن مخيمرة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من اكْتسب مَالا من مأثم فوصل بِهِ رَحمَه أَو تصدق بِهِ أَو أنفقهُ فِي سَبِيل الله جمع ذَلِك كُله جَمِيعًا فقذف بِهِ فِي جَهَنَّم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৮১
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৮১. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের মধ্যে চারিত্রিক গুণাবলী ভাগ-বণ্টন করে দিয়েছেন, যেমন তোমাদের রিয্‌ক তিনি ভাগ-বণ্টন করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদ তিনি যাকে ভালবাসেন এবং যাকে তিনি ভালবাসেন না উভয়কেই দান করেন। কিন্তু দ্বীন তিনি কেবল তাকেই দান করেন, যাকে তিনি ভালবাসেন। অতএব আল্লাহ যাকে দীন দান করেন, তিনি অবশ্যই তাকে প্রিয়পাত্র করে নেন। ঐ সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ। কোন বান্দা অনুগত ও মুসলিম নামে অভিহিত হতে পারবে না যে পর্যন্ত না তার অন্তর ও রসনা মুসলিম হবে। আর কেউ মুমিন হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ হবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, অনিষ্টের অর্থ কি? তিনি বললেনঃ কারো হক নষ্ট করা ও যুলম করা। কোন বান্দা হারাম মাল উপার্জন করে দান করে দিলেও তা কবুল করা হবে না। এ অর্থ থেকে ব্যয় করলে এতে বরকত হবে না। আর নিজের পশ্চাতে এ সম্পদ রেখে গেলে তা জাহান্নামেরই পাথেয় হবে। আল্লাহ মন্দকে মন্দ দ্বারা মুছে দেন না, বরং মন্দকে উত্তম দ্বারা মুছে দেন। একটি কদর্য বস্তু কোন কিছুর কদর্যতা দূর করতে পারে না।
(হাদীসটি আহমদ প্রমুখ আবান ইবন ইসহাক সূত্রে সাবাহ ইবন মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেছেন। অনেকেই এটিকে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2681- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله قسم بَيْنكُم أخلاقكم كَمَا قسم بَيْنكُم أرزاقكم وَإِن الله يُعْطي الدُّنْيَا من يحب وَمن لَا يحب وَلَا يُعْطي الدّين إِلَّا من يحب فَمن أعطَاهُ الله الدّين فقد أحبه وَلَا وَالَّذِي نَفسِي بِيَدِهِ لَا يسلم أَو لَا يسلم عبد حَتَّى يسلم أَو يسلم قلبه وَلسَانه وَلَا يُؤمن حَتَّى يُؤمن جَاره بوائقه قَالُوا وَمَا بوائقه قَالَ غشمه وظلمه وَلَا يكْسب عبد مَالا حَرَامًا فَيتَصَدَّق بِهِ فَيقبل مِنْهُ وَلَا ينْفق مِنْهُ فيبارك لَهُ فِيهِ وَلَا يتْركهُ خلف ظَهره إِلَّا كَانَ زَاده إِلَى النَّار
إِن الله تَعَالَى لَا يمحو السيىء بالسيىء وَلَكِن يمحو السيىء بالْحسنِ إِن الْخَبيث لَا يمحو الْخَبيث

رَوَاهُ أَحْمد وَغَيره من طَرِيق أبان بن إِسْحَاق عَن الصَّباح بن مُحَمَّد وَقد حسنها بَعضهم وَالله أعلم
হাদীস নং: ২৬৮২
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৮২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মানুষের উপর এমন একটি যুগ আসবে যখন কোন বাক্তি পরওয়ামাত্র করবে না যে, সে সম্পদ কোত্থেকে আহরণ করল-হালাল থেকে, না হারাম থেকে।
(হাদীসটি বুখারী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। রযীন তাঁর বর্ণনায় এ অংশটি অতিরিক্ত উল্লেখ করেছেন। এটিই ঐ সময় যখন মানুষের দু'আ কবুল করা হবে না।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2682- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَأْتِي على النَّاس زمَان لَا يُبَالِي الْمَرْء مَا أَخذ أَمن الْحَلَال أم من الْحَرَام

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَالنَّسَائِيّ وَزَاد رزين فِيهِ فَإذْ ذَلِك لَا تجاب لَهُم دَعْوَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৮৩
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৮৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে প্রশ্ন করা হল, কোন জিনিস সর্বাধিক সংখ্যক মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে? তিনি বললেনঃ রসনা ও লজ্জাস্থান। তাঁকে আবার প্রশ্ন করা হল, কোন জিনিস সর্বাধিক সংখ্যক মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে? তিনি উত্তর দিলেনঃ আল্লাহর ভয় এবং সচ্চরিত্র।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলছেনঃ হাদীসটি সহীহ-গরীব।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2683- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سُئِلَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن أَكثر مَا يدْخل النَّاس النَّار قَالَ الْفَم والفرج وَسُئِلَ عَن أَكثر مَا يدْخل النَّاس الْجنَّة قَالَ تقوى الله وَحسن الْخلق

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث صَحِيح غَرِيب
হাদীস নং: ২৬৮৪
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৮৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহকে যথাযথ সমীহ করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর নবী! আল্লাহর শোক্‌র যে. আমরা আল্লাহকে যথারীতি সমীহ করে থাকি। তিনি বললেন, এ সমীহ নয়, বরং আল্লাহকে যথারীতি সমীহ করার অর্থ হল এই যে, তুমি আপন মস্তিষ্ক ও এর চিন্তা-ভাবনার সংরক্ষণ করবে, উদর ও এর অভ্যন্তরস্থ খাদ্যের প্রতি খেয়াল রাখবে এবং মৃত্যু ও ধ্বংসের কথা স্মরণ রাখবে। আর যে ব্যক্তি আখিরাতের প্রত্যাশী হয়, সে দুনিয়ার শোভা-সৌন্দর্যকে বর্জন করে থাকে। অতএব যে ব্যক্তি এ কাজগুলো করল, সেই যথার্থভাবে আল্লাহকে সমীহ করল।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ হাদীসটি গরীব। এটি কেবল আবান ইবন ইসহাক সূত্রে সাব্বাহ ইবন মুহাম্মদ থেকে বর্ণিত হয়েছে বলেই আমরা জানি।
(হাফিয বলেন)ঃ আবান এবং সাব্বাহ উভয়েই বিতর্কিত রাবী। এ হাদীসটি মারফু বর্ণনা করার কারণেই সাব্বাহকে দুর্বল রাবী গণ্য করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এটি ইবন মাসউদের মাওকূফ হাদীস। তাবারানী এ হাদীসটি হযরত আয়েশা (রা) সূত্রে মারফুরূপে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2684- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اسْتَحْيوا من الله حق الْحيَاء
قَالَ قُلْنَا يَا نَبِي الله إِنَّا لنستحيي وَالْحَمْد لله
قَالَ لَيْسَ ذَلِك وَلَكِن
الاستحياء من الله حق الْحيَاء أَن تحفظ الرَّأْس وَمَا وعى وَتحفظ الْبَطن وَمَا حوى ولتذكر الْمَوْت والبلى وَمن أَرَادَ الْآخِرَة ترك زِينَة الدُّنْيَا فَمن فعل ذَلِك فقد استحيا من الله حق الْحيَاء

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب إِنَّمَا نعرفه من حَدِيث أبان بن إِسْحَاق عَن الصَّباح بن مُحَمَّد
قَالَ الْحَافِظ أبان والصباح مُخْتَلف فيهمَا وَقد ضعف الصَّباح بِرَفْعِهِ هَذَا الحَدِيث وَصَوَابه عَن ابْن مَسْعُود مَوْقُوفا عَلَيْهِ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من حَدِيث عَائِشَة مَرْفُوعا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৮৫
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৮৫. হযরত ইবন আব্বাস (রা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃঃ'। অবৈধ পন্থায় অথবা বলেছেনঃঃ অন্যায়ভাবে সম্পদ সঞ্চয়কারীকে দেখে তুমি ঈর্ষান্বিত হয়ো না। কেননা সে যদি এ থেকে দান করে, তবে তা কবুল করা হবে না। আর যা অবশিষ্ট থাকবে, তা তার জাহান্নামের পাথেয় হবে।
(হাদীসটি হাকিম হানাশ সূত্রে বর্ণনা করেছেন, যার পূর্ণ নাম হল হুসায়ন ইবন কায়স। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।
[শ্রুতি লিখিয়ে বলেনঃ এটি কেমন করে হয় অথচ হানাশ হলেন প্রত্যাখ্যাত রাবী?
বায়হাকী এ হাদীসটি আপন সূত্রে নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ রক্তে রঞ্জিত প্রশস্ত বাহুর অধিকারী এবং অবৈধ পন্থায় মাল সঞ্চয়কারী ব্যক্তিকে দেখে তুমি প্রীত হয়ো না। কেননা সে যদি এ সম্পদ দান করে দেয়, তবুও তা কবুল করা হবে না। আর যা অবশিষ্ট থাকল, তা তার জাহান্নামের পাথেয় হবে।
(হাদীসটি বায়হাকী ইবন মাসউদ (রা) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2685- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا تغبطن جَامع المَال من غير حلّه أَو قَالَ من غير حَقه فَإِنَّهُ إِن تصدق بِهِ لم يقبل مِنْهُ وَمَا بَقِي كَانَ زَاده إِلَى النَّار

رَوَاهُ الْحَاكِم من طَرِيق حَنش واسْمه حُسَيْن بن قيس وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ المملي كَيفَ وحنش مَتْرُوك
وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ من طَرِيقه وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يعجبنك رحب الذراعين بِالدَّمِ وَلَا جَامع المَال من غير حلّه فَإِنَّهُ إِن تصدق لم يقبل مِنْهُ وَمَا بَقِي كَانَ زَاده إِلَى النَّار
وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ أَيْضا من حَدِيث ابْن مَسْعُود بِنَحْوِهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৮৬
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৮৬. হযরত মুয়ায (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন কোন বান্দার পদদ্বয় চারটি প্রশ্নের উত্তর না দেয়া পর্যন্ত আপন স্থান থেকে সরতে পারবে নাঃ (১) তাঁর জীবন সে কোথায় ব্যয় করেছে, (২) তাঁর যৌবন সে কোথায় ক্ষয় করেছে, (৩) তার সম্পদ সে কোথেকে আহরণ করেছে আর কোন কাজে ব্যয় করেছে এবং (৪) নিজ ইলম অনুসারে সে কতটুকু আমল করেছে।
(হাদীসটি বায়হাকী প্রমুখ বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী এ হাদীসটি আবু বারযা সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। 'ইলম' অধ্যায়ে এ হাদীসটি এবং এ ধরনের অনেক হাদীস ইতোপূর্বেও বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2686- وَعَن معَاذ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا تزَال قدما عبد يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى يسْأَل عَن أَربع عَن عمره فيمَ أفناه وَعَن شبابه فيمَ أبلاه وَعَن مَاله من أَيْن اكْتَسبهُ وفيم أنفقهُ وَعَن علمه مَاذَا عمل فِيهِ

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَغَيره وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ من حَدِيث أبي بَرزَة وَصَححهُ وَتقدم هُوَ وَغَيره فِي الْعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৮৭
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৮৭. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃঃ ও দুনিয়া হচ্ছে সবুজ শ্যামল ও আকর্ষণীয়। যে ব্যক্তি এখানে বৈধ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে এবং যথাযথ খাতে তা ব্যয় করে আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করবেন এবং জান্নাতে তাকে অধিষ্ঠিত করবেন। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অবৈধ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করবে এবং না-হক খাতে তা ব্যয় করবে, আল্লাহ তাকে বিষাদময় আবাসে প্রবেশ করাবেন। অনেক মানুষ এমন রয়েছে, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সম্পদে ডুবে রয়েছে,* কিন্তু কিয়ামতের দিন তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম। আল্লাহ বলেনঃ 'যখনই নির্বাপিত হওয়ার উপক্রম হবে, আমি তখন তাদের জন্য অগ্নি আরও বৃদ্ধি করে দিব।' (১৭ঃ৯৭)
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)

*সমস্ত সম্পদের মালিকই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্, কিন্তু রসূলের সম্পদ বলতে এখানে কী বুঝানো হয়েছে? এখানে জিহাদলব্ধ গনীমত ও ফায়-এ রসূলের প্রাপ্য যে অংশ, তাতে আত্মসাৎকৃত অর্থের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2687- وَرُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الدُّنْيَا خضرَة حلوة من اكْتسب فِيهَا مَالا من حلّه وأنفقه فِي حَقه أثابه الله عَلَيْهِ وَأوردهُ جنته وَمن اكْتسب فِيهَا مَالا من غير حلّه وأنفقه فِي غير حَقه أحله الله دَار الهوان وَرب متخوض فِي
مَال الله وَرَسُوله لَهُ النَّار يَوْم الْقِيَامَة يَقُول الله كلما خبت زدناهم سعيرا الْإِسْرَاء 79

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৮৮
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৮৮. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ হে কা'ব ইবন উজরা! যে মাংস হারাম থেকে উৎপন্ন হয়েছে, তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে একটি দীর্ঘ হাদীসের অধীনে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2688- وَعَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَا كَعْب بن عجْرَة إِنَّه لَا يدْخل الْجنَّة لحم نبت من سحت

رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه فِي حَدِيث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৮৯
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৮৯. হযরত কা'ব ইবন উজরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেনঃ হে কা'ব ইবন উজরা! যে রক্ত-মাংস হারাম উপার্জন থেকে উৎপন্ন হয়েছে, জাহান্নামই তার জন্য যথার্থ স্থান। হে কা'ব ইবন উজরা! মানুষ প্রভাতে ঘর থেকে বের হয় আর কেউ তো নিজেকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসে। আর কেউ প্রভাতে ছুটে গিয়ে নিজেকে ধ্বংস করে দেয়।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে একটি দীর্ঘ হাদীসের আলোচনায় উল্লেখ করেছেন। তিরমিযীর ভাষ্যটি হল ঃ হে কা'ব ইবন উজরা। যে মাংসই হারাম দ্বারা উৎপন্ন ও পরিপুষ্ট হয়, জাহান্নামই তার জন্য অধিকতর উপযোগী।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2689- وَعَن كَعْب بن عجْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ لي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا كَعْب بن عجْرَة إِنَّه لَا يدْخل الْجنَّة لحم وَدم نبتا على سحت النَّار أولى بِهِ يَا كَعْب بن عجْرَة النَّاس غاديان فغاد فِي فكاك نَفسه فمعتقها وغاد موبقها

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه فِي حَدِيث
وَلَفظ التِّرْمِذِيّ يَا كَعْب بن عجْرَة إِنَّه لَا يَرْبُو لحم نبت من سحت إِلَّا كَانَت النَّار أولى بِهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৯০
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ হালাল উপার্জন ও হালাল ভক্ষণের প্রতি উৎসাহ দান এবং হারাম উপার্জন, হারাম ভক্ষণ ও হারাম পরিধান ইত্যাদির বেলায় সতর্কবাণী
২৬৯০. হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃঃও যে দেহের পরিপুষ্টি হারাম খাদ্য দ্বারা হয়েছে, তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
(হাদীসটি আবু ইয়ালা, বাযযার এবং তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেছেন। তাদের কোন কোন বর্ণনা সূত্র খুবই চমৎকার।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي طلب الْحَلَال وَالْأكل مِنْهُ والترهيب من اكْتِسَاب الْحَرَام وَأكله ولبسه وَنَحْو ذَلِك
2690- وَعَن أبي بكر الصّديق رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يدْخل الْجنَّة جَسَد غذي بِحرَام
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْبَيْهَقِيّ وَبَعض أسانيدهم حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৯১
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ সতর্কতা অবলম্বন ও সন্দেহযুক্ত এবং অন্তরে খটকা সৃষ্টিকারী বস্তু বর্জনের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
২৬৯১. হযরত নুমান ইবন বশীর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি। হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর এতদুভয়ের মধ্যে কিন্তু সন্দেহযুক্ত বস্তু রয়েছে, যা অধিকাংশ মানুষের জানে না। অতএব যে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাকল, সে নিজের দীন ও সম্ভ্রমকে হিফাযত করল। আর যে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত ক্ষেত্রসমূহে পা দিল, সে হারামে নিপতিত হয়ে গেল। ঠিক ঐ রাখালের মত, যে বাদশাহর সংরক্ষিত এলাকার পার্শ্বে পশুচারণ করতে গেলে আশংকা থাকে যে, পশু না জানি এখানে মুখ দিয়ে ফেলে। শুনে রাখ। প্রত্যেক বাদশাহরই একটি সংরক্ষিত চারণ ভূমি থাকে। মনে রেখো। আল্লাহর সংরক্ষিত চারণ ভূমি হল তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ। জেনে রেখো, মানুষের দেহে একটি মাংসপিও রয়েছে। এটি যখন ঠিক থাকে, তখন সারা দেহই ঠিক থাকে। আর এটি যখন নষ্ট হয়ে যায়, সারা দেহই তখন নষ্ট হয়ে যায়। মনে রেখো, এটি হল অন্তর।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেনঃ
হালাল ও সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর এগুলোর মাঝে কিছু সন্দেহযুক্ত বিষয় রয়েছে, অনেক মানুষই জানে না যে, এগুলো কি হালালের অন্তর্ভুক্ত, না কি হারামের অন্তর্ভুক্ত। অতএব যে ব্যক্তি নিজের দীন ও সম্ভ্রমের খাতিরে এগুলো বর্জন করল, সে নিরাপদ থাকল। আর যে ব্যক্তি এগুলোর কোন একটিতে নিপতিত হয়ে গেল, খুবই আশংকা রয়েছে যে, সে হারামে লিপ্ত হয়ে যাবে। যেমন যে ব্যক্তি সংরক্ষিত চারণ ভূমির আশেপাশে পশু চরায়, সেখানে আশংকা থাকে যে, সে সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে পড়তেও পারে। মনে রেখো, প্রত্যেক বাদশাহরই একটি সংরক্ষিত এলাকা থাকে, আর আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হল তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ।
আবু দাউদ এবং ইবন মাজাহও এটি সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেনঃ আবু দাউদ এবং নাসাঈর অপর এক বর্ণনায় রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই হালালও সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর এ দু'য়ের মাঝে কিছু সন্দেহযুক্ত বিষয়ও রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আমি তোমাদেরকে একটি উদাহরণ দিচ্ছিঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ একটি চারণ ভূমি সংরক্ষিত করে রেখেছেন। আর আল্লাহর সংরক্ষিত চারণ ভূমি হল তাঁর হারামকৃত বস্তুসমূহ। যে ব্যক্তি সংরক্ষিত এলাকার আশেপাশে পশু চরাতে যায়, সেখানে, আশংকা থাকে যে, সে ভিতরে বাইরে তালগোল পাকিয়ে ফেলতে পারে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত বস্তুর সাথে তালগোল পাকিয়ে ফেলবে, তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
বুখারী ও নাসাঈর অপর এক বর্ণনায় এরূপ রয়েছেঃ হালালও সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে সন্দেহযুক্ত বিষয়াবলী। অতএব যে ব্যক্তি গুনাহের আশংকাযুক্ত বিষয়াবলী বর্জন করে ফেলল, সে সুস্পষ্ট গুনাহকে অবশ্যই বর্জন করবে। আর যে ব্যক্তি গুনাহের আশংকাযুক্ত বিষয়ের প্রতি অগ্রসর হল, তার গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। গুনাহ হচ্ছে আল্লাহর সংরক্ষিত চারণ ভূমি। আর যে ব্যক্তি সংরক্ষিত ভূমির আশেপাশে পশু চরায়, সে পশু চরাতে গিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে বসতেও পারে।
এ হাদীসটি তাবারানী ইব্‌ন আব্বাসের হাদীসরূপে এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট, আর এর মাঝে কিছু সন্দেহের বস্তু রয়েছে। অতএব যে ব্যক্তি সন্দেহের মধ্যে প্রবেশ করল, সে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই গুনাহর মধ্যে লিপ্ত হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি এগুলো থেকে সাবধান থাকল, সে নিজের দীনের পূর্ণ সংরক্ষণকারী হয়ে গেল। কোন সংরক্ষিত চারণ ভূমির আশেপাশে যে পশু চরায়, ঠিক তারই মত। আর আল্লাহর সংরক্ষিত চারণ ভূমি হল তাঁর হারামকৃত বস্তু।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي الْوَرع وَترك الشُّبُهَات وَمَا يحوك فِي الصُّدُور
2691- عَن النُّعْمَان بن بشير رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول
الْحَلَال بَين وَالْحرَام بَين وَبَينهمَا مُشْتَبهَات لَا يعلمهُنَّ كثير من النَّاس فَمن اتَّقى الشُّبُهَات اسْتَبْرَأَ لدينِهِ وَعرضه وَمن وَقع فِي الشُّبُهَات وَقع فِي الْحَرَام كَالرَّاعِي يرْعَى حول الْحمى يُوشك أَن يرتع فِيهِ أَلا وَإِن لكل ملك حمى أَلا وَإِن حمى الله مَحَارمه أَلا وَإِن فِي الْجَسَد مُضْغَة إِذا صلحت صلح الْجَسَد كُله وَإِذا فَسدتْ فسد الْجَسَد كُله أَلا وَهِي الْقلب

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَلَفظه الْحَلَال بَين وَالْحرَام بَين وَبَين ذَلِك أُمُور مُشْتَبهَات لَا يدْرِي كثير من النَّاس أَمن الْحَلَال هِيَ أم من الْحَرَام فَمن تَركهَا اسْتَبْرَأَ لدينِهِ وَعرضه فقد سلم وَمن وَاقع شَيْئا مِنْهَا يُوشك أَن يواقع الْحَرَام كَمَا أَنه من يرْعَى حول الْحمى أوشك أَن يواقعه أَلا وَإِن لكل ملك حمى أَلا وَإِن حمى الله مَحَارمه
وَأَبُو دَاوُد بِاخْتِصَار وَابْن مَاجَه
وَفِي رِوَايَة لابي دَاوُد وَالنَّسَائِيّ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الْحَلَال بَين وَالْحرَام بَين وَبَينهمَا أُمُور مُشْتَبهَات وسأضرب لكم فِي ذَلِك مثلا إِن الله حمى حمى وَإِن حمى الله مَا حرم وَإنَّهُ من يرتع حول الْحمى يُوشك أَن يخالطه وَإِن من يخالط الرِّيبَة يُوشك أَن يخسر
وَفِي رِوَايَة للْبُخَارِيّ وَالنَّسَائِيّ الْحَلَال بَين وَالْحرَام بَين وَبَينهمَا أُمُور مشتبهة فَمن ترك مَا شبه عَلَيْهِ من الْإِثْم كَانَ لما استبان أترك وَمن اجترأ على مَا يشك فِيهِ من الْإِثْم أوشك أَن يواقع مَا استبان والمعاصي حمى الله وَمن يرتع حول الْحمى يُوشك أَن يواقعه
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من حَدِيث ابْن عَبَّاس وَلَفظه الْحَلَال بَين وَالْحرَام بَين وَبَين ذَلِك شُبُهَات فَمن أوقع بِهن فَهُوَ قمن أَن يَأْثَم وَمن اجتنبهن فَهُوَ أوفر لدينِهِ كمرتع إِلَى جنب حمى وَحمى الله الْحَرَام