আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১৫. অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩২২ টি

হাদীস নং: ২৮১২
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮১২. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদিন মসজিদে প্রবেশ করলেন। হঠাৎ দেখলেনঃ আবু উমামা নামক জনৈক আনসারী ব্যক্তি মসজিদে বসে রয়েছে। তিনি বললেন। হে আবু উমামা! কি হল যে, আমি তোমাকে মসজিদে বসা দেখছি। অথচ এটা নামাযের সময় নয়? সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ। দুশ্চিন্তা এবং প্রচুর ঋণ আমাকে পেয়ে বসেছে। তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে এমন বাক্য শিখিয়ে দিব না যে, তুমি যখন এটি পাঠ করবে, আল্লাহ্ তোমার দুশ্চিন্তা দূর করে দেবেন এবং তোমার ঋণ আদায় করে দেবেন? সে বলল, আলবৎ ইয়া রাসূলাল্লাহ্। রাসূলুল্লাহ্ তখন বললেনঃ তুমি সকাল ও সন্ধ্যায় বলবেঃ
اللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
"হে আল্লাহ! আমি দুশ্চিন্তা এবং দুঃখ-কষ্ট থেকে তোমার শরণ চাই, আমি তোমার শরণ চাই অপরাগতা ও অলসতা থেকে। আমি তোমার শরণ চাই কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে এবং আমি তোমার শরণ চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের দাপট থেকে।"
আবু সাঈদ বলেনঃ আমি এ দু'আটি পড়লাম। আল্লাহ তখন আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দিলেন এবং আমাকে 'ঋণমুক্ত করে দিলেন।
(হাদীসটি আবূ দাউদ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2812- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ دخل رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ذَات يَوْم الْمَسْجِد فَإِذا هُوَ بِرَجُل من الْأَنْصَار يُقَال لَهُ أَبُو أُمَامَة جَالِسا فِيهِ فَقَالَ يَا أَبَا أُمَامَة مَا لي أَرَاك جَالِسا فِي الْمَسْجِد فِي غير وَقت صَلَاة قَالَ هموم لزمتني وديون يَا رَسُول الله
قَالَ أَفلا أعلمك كلَاما إِذا قلته أذهب الله عز وَجل همك وَقضى عَنْك دينك فَقَالَ بلَى يَا رَسُول الله قَالَ قل إِذا أَصبَحت وَإِذا أمسيت اللَّهُمَّ إِنِّي أعوذ بك من الْهم والحزن وَأَعُوذ بك من الْعَجز والكسل وَأَعُوذ بك من الْبُخْل والجبن وَأَعُوذ بك من غَلَبَة الدّين وقهر الرِّجَال قَالَ فَقلت ذَلِك فَأذْهب الله عز وَجل همي وَقضى عني ديني

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮১৩
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮১৩. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুয়ায (রা)-কে বললেনঃ আমি কি তোমাকে এমন একটি দু'আ শিখিয়ে দেব না যে, তোমার উপর উহুদ পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও এ দু'আটি পাঠ করলে আল্লাহ্ অবশ্যই তোমার পক্ষ থেকে তা আদায় করে দেবেন? হে মুয়ায। তুমি বলঃ
اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْر إِنَّك على كل شَيْء قدير رحمان الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَرَحِيمُهُمَا تُعْطِيهُمَا مَنْ تَشَاءُ وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ ارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِينِي بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ
"হে আল্লাহ্! তুমিই রাজ্যের মালিক। তুমি যাকে ইচ্ছে রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমান কর। তোমার হাতেই রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। তুমি দুনিয়া এবং আখিরাতে রহমান এবং উভয় জগতে রহীম। তুমি দুনিয়া-আখিরাত থেকে যাকে ইচ্ছা দান কর এবং যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত রাখ। আমাকে তুমি এমন দয়া কর, যে দয়া তোমার দয়া ব্যতীত সকলের অনুগ্রহ থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দেয়।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর সগীরে একটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2813- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لِمعَاذ أَلا أعلمك دُعَاء تَدْعُو بِهِ لَو كَانَ عَلَيْك مثل جبل أحد دينا لأداه الله عَنْك قل يَا معَاذ اللَّهُمَّ مَالك الْملك تؤتي الْملك من تشَاء وتنزع الْملك مِمَّن تشَاء وتعز من تشَاء وتذل من تشَاء بِيَدِك الْخَيْر إِنَّك على كل شَيْء قدير
رَحْمَن الدُّنْيَا وَالْآخِرَة ورحيمهما تعطيهما من تشَاء وتمنع مِنْهُمَا من تشَاء ارْحَمْنِي رَحْمَة تغنيني بهَا عَن رَحْمَة من سواك

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير بِإِسْنَاد جيد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮১৪
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮১৪. হযরত মুয়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক শুক্রবারে তাঁকে (জামায়াতে) দেখতে পেলেন না। অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জুমু'আর নামায শেষ মুয়াযের কাছে আসলেন এবং বললেন, হে মুয়ায়। কি হল যে, আমি তোমাকে আজকাল জামায়াতে দেখতে পাচ্ছি না? মুয়ায বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ। জনৈক ইয়াহূদীর আমার কাছে এক উকিয়া স্বর্ণ পাওনা রয়েছে। আমি আপনার নিকট আসতে রওয়ানা হয়েছিলাম; কিন্তু সেই আপনার নিকট আসার পথে আমার পক্ষে বাধা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেনঃ হে মুয়ায়। আমি কি তোমাকে একটি দু'আ শিখিয়ে দেব না, যা দ্বারা তুমি প্রার্থনা করবে? তোমার উপর যদি সবীর পাহাড়তুল্য ঋণও থাকে, তবুও আল্লাহ তা আদায় করে দিবেন। (সবীর হচ্ছে ইয়েমেনে অবস্থিত একটি পাহাড়)। হে মুয়ায। তুমি আল্লাহর নিকট দু'আ করবে, তুমি বলবেঃ
اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ ، وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ ، وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ ، وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكِ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، تُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ ، وتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ ، وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ ، وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ ، وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ رَحْمَنَ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَرَحِيمَهُمَا ، تُعْطِي مَنْ تَشَاءُ مِنْهُمَا ، وتَمْنَعُ مَنْ تَشَاءُ ، ارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِيني بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ
"হে আল্লাহ্! তুমিই রাজ্যের অধিপতি। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। তুমি রাতকে দিনের ভিতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভিতরে প্রবেশ করাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভিতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভিতর থেকে বের করে আন। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা, বেহিসাব রিযক দান কর। তুমি দুনিয়া এবং আখিরাতে রহমান এবং উভয় জগতে তুমি রহীমও বটে। দুনিয়া ও আখিরাত থেকে তুমি যাকে ইচ্ছা দান কর এবং যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত রাখ। তুমি আমাকে এমন দয়া কর, যে দয়া তুমি ব্যতীত সকলের দয়া থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দেয়।"
অপর এক বর্ণনায়ঃ মুয়ায বলেন, জনৈক ব্যক্তির আমার নিকট কিছু পাওনা ছিল। আমি তাকে ভয় পেলাম এবং দু'দিন ঘরের বাইরে না গিয়ে কাটালাম। অতঃপর আমি বের হয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট আসলাম। তিনি বললেনঃ হে মুয়ায। কোন জিনিস তোমাকে পিছনে ফেলে রেখেছিল? আমি বললাম, জনৈক ব্যক্তির আমার নিকট কিছু পাওনা ছিল। আমি তাকে ভয় করলাম এবং লজ্জিত হয়ে থাকলাম। আর আমার নিকট এটি ভাল লাগছিল না যে, সে আমার মুখোমুখি হয়ে যাক। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি কি তোমাকে কয়েকটি বাক্য পাঠের নির্দেশ দিব না, যদি তোমার উপর পাহাড়তুল্য পাওনাও থাকে, তবে আল্লাহ তা' আদায় করে দেবেন? আমি বললাম, আলবৎ ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বললেনঃ তুমি বল, "হে আল্লাহ! তুমিই রাজ্যের অধিপতি। অতঃপর উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপই সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনার শেষাংশে এ কথাটি অতিরিক্ত রয়েছেঃ
اللَّهمَّ أَغنني مِنَ الفَقرِ ، و اقْضِ عَنِّي الدَّينَ ، و قَوِّني فِى عِبادتكَ ، و جِهادٍ في سَبيلكَ
"হে আল্লাহ! আমাকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দাও, আমার ঋণ পরিশোধ করে দাও এবং আমাকে তোমার ইবাদতের মধ্যে তোমার পথে জিহাদে মৃত্যু দান কর।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2814- وَرُوِيَ عَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم افتقده يَوْم الْجُمُعَة فَلَمَّا صلى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَتَى معَاذًا فَقَالَ يَا معَاذ مَا لي لم أرك فَقَالَ يَا رَسُول الله ليهودي عَليّ أُوقِيَّة من تبر فَخرجت إِلَيْك فحبسني عَنْك فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا معَاذ ألاأعلمك دُعَاء تَدْعُو بِهِ فَلَو كَانَ عَلَيْك من الدّين مثل صبير أَدَّاهُ الله عَنْك
وصبير جبل بِالْيمن فَادع الله يَا معَاذ قل اللَّهُمَّ مَالك الْملك تؤتي الْملك من تشَاء وتنزع الْملك مِمَّن تشَاء وتعز من تشَاء وتذل من تشَاء بِيَدِك الْخَيْر إِنَّك على كل شَيْء قدير
تولج اللَّيْل فِي النَّهَار وتولج النَّهَار فِي اللَّيْل وَتخرج الْحَيّ من الْمَيِّت وَتخرج الْمَيِّت من الْحَيّ وترزق من تشَاء بِغَيْر حِسَاب رَحْمَن الدُّنْيَا وَالْآخِرَة ورحيمهما تُعْطِي من تشَاء مِنْهُمَا وتمنع من تشَاء ارْحَمْنِي رَحْمَة تغنيني بهَا عَن رَحْمَة من سواك
وَفِي رِوَايَة قَالَ معَاذ كَانَ لرجل عَليّ بعض الْحق فخشيته فَلَبثت يَوْمَيْنِ لَا أخرج ثمَّ خرجت فَجئْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا معَاذ مَا خَلفك قلت كَانَ لرجل عَليّ بعض الْحق فخشيته حَتَّى استحييت وكرهت أَن يلقاني
قَالَ أَلا آمُرك بِكَلِمَات تقولهن لَو كَانَ عَلَيْك أَمْثَال الْجبَال قَضَاهُ الله قلت بلَى يَا رَسُول الله
قَالَ قل اللَّهُمَّ مَالك الْملك فَذكر نَحوه بِاخْتِصَار
وَزَاد فِي آخِره اللَّهُمَّ أغنني من الْفقر واقض عني الدّين وتوفني فِي عبادتك وَجِهَاد فِي سَبِيلك

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮১৫
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮১৫. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবু বকর (রা) একদিন আমার নিকট আসলেন এবং বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে একটি দু'আ শুনেছি, যা তিনি আমাকে শিখিয়েছিলেন। আমি বললাম, এ দু'আটি কি? তিনি বললেনঃ ঈসা ইবন মরিয়াম (আ) আপন সহচরদেরকে এ দু'আটি শিক্ষা দিতেন এবং বলতেন, তোমাদের কারো যিম্মায় যদি পাহাড় পরিমাণ দেনাও থাকে, তবুও এ দু'আটি দ্বারা আল্লাহকে ডাকলে তিনি তার দেনা আদায় করে দেবেন। দু'আটি এইঃ
اللَّهُمَّ فَارِجَ الْهَمِّ ، كَاشِفَ الْغَمِّ ، مُجِيبَ دَعْوَةِ المُضطَرِّينَ ، رَحْمنَ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَرَحِيمَهُمَا أَنْتَ تَرْحَمُني فَارْحَمْنِي بِرَحْمَةٍ تُغْنِيني بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ



"হে আল্লাহ! তুমি দুশ্চিন্তামুক্তকারী, তুমি বিপদ থেকে ত্রাণকারী, তুমি উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের আহ্বানে সাড়া প্রদানকারী, তুমি দুনিয়া এবং আখিরাতে রহমান এবং উভয় জগতেই রহীমও বটে। তুমিই কেবল আমাকে দয়া করতে পার। অতএব তুমি আমাকে দয়া কর, যে দয়া অপর সকলের অনুগ্রহ থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দেবে।"
আবু বকর সিদ্দীক (রা) বলেনঃ আমার কিছু ঋণ ছিল আর আমি ঋণ খুবই অপসন্দ করতাম। তাই আমি এ দু'আটির মাধ্যমে আল্লাহকে ডাকতে লাগলাম। এর ফলে আল্লাহ আমাকে খুবই উপকৃত করলেন এবং আমার দেনা শোধ করে দিলেন।
আয়েশা বলেনঃ আমার কাছে আসমা বিনত উমায়স (রা)-এর একটি দীনার ও তিনটি দিরহাম পাওনা ছিল। সে আমার নিকট আসত কিন্তু আমি তার চেহারা দর্শনে লজ্জাবোধ করতাম। কেননা তার পাওনা আদায়ের মত আমার নিকট কিছু ছিল না। তাই আমি এ দু'আটির মাধ্যমে আল্লাহকে ডাকতাম। বেশি দিন অতিবাহিত হয়নি যে, আল্লাহ আমাকে এমন সম্পদ দান করলেন যা কোন প্রকার সাদকা বাবদ প্রাপ্ত নয় বা উত্তরাধিকার সুত্রেও তা আমি পাইনি। আল্লাহ আমার দেনা পরিশোধ করে দিলেন এবং অতিরিক্ত সম্পদ আমি পরিবারের মধ্যে বণ্টন করে দিলাম। আর (আমার ভাই) আবদুর রহমানের কন্যাকে তিন উকিয়া রূপা দিয়ে একটি অলংকারও তৈরি করে দিলাম। এরপরও কিছু সম্পদ উদ্বৃত্ত থেকে গেল।
(হাদীসটি বাযযার, হাকিম ও ইস্পাহানী সবাই হাকাম ইবন আবদুল্লাহ আয়লীর সূত্রে কাসিম-এর মাধ্যমে আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেছেনঃ হাদীসটির সনদ সহীহ।
(হাফিয আবদুল আযীম বলেনঃ) এটি কেমন করে হয়। অথচ হাকাম একজন প্রত্যাখ্যাত ও অভিযুক্ত রাবী? আর কাসিমের এমনিতেও সমালোচনা রয়েছে, তদুপরি সে আয়েশা থেকে হাদীসও শুনেনি।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2815- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت دخل عَليّ أَبُو بكر فَقَالَ سَمِعت من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم دُعَاء علمنيه قلت مَا هُوَ قَالَ كَانَ عِيسَى ابْن مَرْيَم يعلم أَصْحَابه قَالَ لَو كَانَ على أحدكُم جبل ذهب دينا فَدَعَا الله بذلك لقضاه الله عَنهُ اللَّهُمَّ فارج الْهم وَكَاشف الْغم ومجيب دَعْوَة الْمُضْطَرين رَحْمَن الدُّنْيَا وَالْآخِرَة ورحيمهما أَنْت ترحمني فارحمني برحمة تغنيني بهَا عَن رَحْمَة من سواك
قَالَ أَبُو بكر الصّديق رَضِي الله عَنهُ وَكَانَت عَليّ بَقِيَّة من الدّين وَكنت للدّين كَارِهًا فَكنت أَدْعُو الله بذلك فَأَتَانِي الله بفائدة فَقضى عني ديني قَالَت عَائِشَة كَانَ لاسماء بنت عُمَيْس رَضِي الله عَنْهَا عَليّ دِينَار وَثَلَاثَة دَرَاهِم وَكَانَت تدخل عَليّ فأستحيي أَن أنظر فِي وَجههَا لَا أجد مَا أقضيها فَكنت أَدْعُو بذلك الدُّعَاء فَمَا لَبِثت إِلَّا يَسِيرا حَتَّى رَزَقَنِي الله رزقا مَا هُوَ بِصَدقَة تصدق بهَا عَليّ وَلَا مِيرَاث ورثته فقضاه الله عني وَقسمت فِي أَهلِي قسما حسنا وحليت ابْنة عبد الرَّحْمَن بِثَلَاث أَوَاقٍ من ورق وَفضل لنا فضل حسن

رَوَاهُ الْبَزَّار وَالْحَاكِم والأصبهاني كلهم عَن الحكم بن عبد الله الْأَيْلِي عَن الْقَاسِم عَنْهَا وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ عبد الْعَظِيم كَيفَ وَالْحكم مَتْرُوك مُتَّهم وَالقَاسِم مَعَ مَا قيل فِيهِ لم يسمع من عَائِشَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮১৬
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮১৬. হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কেউ যদি দুশ্চিন্তা ও বিপদে আক্রান্ত হয় এবং এ দু'আটি পাঠ করে, তবে মহান আল্লাহ্ তাকে বিপদমুক্ত করে দেবেন এবং দুঃখের স্থলে তাকে আনন্দ দান করবেন। দু'আটি এইঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ ، وَابْنُ عَبْدِكَ ، ابْنُ أَمَتِكَ ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي ، وَنُورَ صَدْرِي ، وَجِلاَءَ حُزْنِي ، وَذَهَابَ هَمِّي ، إِلاَّ أَذْهَبَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَمَّهُ ، وَأَبْدَلَهُ مَكَانَ حُزْنِهِ فَرَحًا
"হে আল্লাহ্। আমি তোমার বান্দা তোমার দাসের ছেলে এবং তোমার দাসীরও ছেলে। আমার কপালও তোমার হাতে। তোমার নির্দেশই আমার উপর কার্যকরী হয়। তোমার সিদ্ধান্ত ন্যায় বিচারের উপর প্রতিষ্ঠিত। আমি তোমার ঐ সকল নাম নিয়ে তোমার নিকট প্রার্থনা করছি, যে নামে তুমি নিজেকে অভিহিত করেছ অথবা যে নাম তুমি তোমার কিতাবে নাযিল করেছ অথবা তোমার কোন সৃষ্টিকে তা শিখিয়েছ অথবা ইলমে গায়বের মধ্যে তা সংরক্ষণ করে রেখেছ। আমি প্রার্থনা করছি যে, কুরআনকে আমার হৃদয়ের বসন্তকাল বানিয়ে দাও, আমার অন্তরে আলো বানিয়ে দাও। আমার দুশ্চিন্তা বিদূরিতকারী বানিয়ে দাও এবং আমার সকল দুঃখের অবসানকারী বানিয়ে দাও।"
লোকেরা বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ্। আমাদের সবার জন্যই কি এই দু'আটি শিখে নেয়া উচিত? তিনি বললেনঃ আলবৎ, যারা ঐ দু'আটির কথা শুনবে, তাদের সবারই এটি শিখে নেয়া উচিত।
(হাদীসটি আহমদ, বাযযার, আবু ইয়ালা, ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন। তাঁরা সবাই এটি আবূ সালামা জুহানী সূত্রে কাসিম ইবন আবদুর রহমান তাঁর পিতার মাধ্যমে এবং তিনি ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেনঃ আবদুর রহমান যদি তাঁর পিতা থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা না করে থাকেন, তবে হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ হবে।
(হাফিয বলেন:) হাদীসটি ইরসালের দোষ থেকে মুক্ত নয়। আর আবূ সালামার আলোচনা পরে আসবে।
তাবারানী এ হাদীসটি হযরত আবু মুসা আশআরী (রা) থেকে উপরের বর্ণনার মতই রিওয়ায়াত করেছেন এবং শেষাংশে এ কথাটি বৃদ্ধি করেছেনঃ জনৈক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এ বাক্যগুলো থেকে যে ব্যক্তি উদাসীন থাকবে, সে তো খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বললেন, অবশ্যই। অতএব তোমরা নিজেরা এগুলো পাঠ করবে এবং অন্যদেরকেও শিক্ষা দেবে। কেননা এর কল্যাণ ও বরকতের আশায় যে এগুলো পাঠ করবে এবং অন্যকে শিক্ষা দেবে, আল্লাহ তার বিপদ দূর করে দেবেন এবং তার খুশি ও আনন্দকে দীর্ঘস্থায়ী করে দেবেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2816- وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا أصَاب أحدا قطّ هم وَلَا حزن فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي عَبدك وَابْن عَبدك وَابْن أمتك ناصيتي بِيَدِك مَاض فِي حكمك عدل قضاؤك أَسأَلك بِكُل اسْم هُوَ لَك سميت بِهِ نَفسك أَو أنزلته فِي كتابك أَو عَلمته أحدا من خلقك أَو استأثرت بِهِ فِي علم الْغَيْب عنْدك أَن تجْعَل الْقُرْآن ربيع قلبِي
وَنور صَدْرِي وجلاء حزني وَذَهَاب همي إِلَّا أذهب الله عز وَجل همه وأبدله مَكَان حزنه فَرحا
قَالُوا يَا رَسُول الله يَنْبَغِي لنا أَن نتعلم هَؤُلَاءِ الْكَلِمَات قَالَ أجل يَنْبَغِي لمن سمعهن أَن يتعلمهن

رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار وَأَبُو يعلى وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم كلهم عَن أبي سَلمَة الْجُهَنِيّ عَن الْقَاسِم بن عبد الرَّحْمَن عَن أَبِيه عَن ابْن مَسْعُود وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط مُسلم إِن سلم من إرْسَال عبد الرَّحْمَن عَن أَبِيه
قَالَ الْحَافِظ لم يسلم وَأَبُو سَلمَة الْجُهَنِيّ يَأْتِي ذكره
وروى هَذَا الحَدِيث الطَّبَرَانِيّ من حَدِيث أبي مُوسَى الْأَشْعَرِيّ بِنَحْوِهِ وَقَالَ فِي آخِره قَالَ قَائِل يَا رَسُول الله إِن المغبون لمن غبن هَؤُلَاءِ الْكَلِمَات
قَالَ أجل فقولوهن وعلموهن فَإِنَّهُ من قالهن وعلمهن التمَاس مَا فِيهِنَّ أذهب الله كربه وَأطَال فرحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮১৭
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮১৭. হযরত আবূ বাক্‌রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ বিপদে পতিত ব্যক্তির দু'আ হলঃ
اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو فَلَا تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ
"হে আল্লাহ! আমি তোমার রহমতের প্রত্যাশা করছি। অতএব তুমি আমাকে এক পলকের জন্যও আমার নিজের উপর ছেড়ে দিও না এবং তুমি আমার সকল অবস্থা সংশোধন করে দাও।"
(হাদীসটি তাবারানী এবং ইব্‌ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বান হাদীসটির শেষাংশে এ কথাটি বৃদ্ধি করেছেনঃ لا اله الا أنت "তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই।")
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2817- وَعَن أبي بكرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ كَلِمَات المكروب اللَّهُمَّ رحمتك أَرْجُو فَلَا تَكِلنِي إِلَى نَفسِي طرفَة عين وَأصْلح لي شأني كُله

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
وَزَاد فِي آخِره لَا إِلَه إِلَّا أَنْت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮১৮
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮১৮. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সর্বদা ইসতিগফার* করতে থাকবে, আল্লাহ্ তাকে সকল সঙ্কট থেকে উত্তরণের পথ করে দেবেন, সকল দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবেন এবং এমন স্থান থেকে তাকে রিযিক দান করবেন যে, সে তা কোনদিন কল্পনা করতে পারেনি।
(হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন। নাসাঈ, ইবন মাজাহ, হাকিম এবং বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। তাঁরা সবাই হাদীসটি হাকাম ইবন মুস'আব সূত্রে বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)

*আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা 'আস্তাগাফিরুল্লাহ' পাঠ করা।
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2818- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من لزم الاسْتِغْفَار جعل الله لَهُ من كل ضيق مخرجا وَمن كل هم فرجا ورزقه من حَيْثُ لَا يحْتَسب

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَالْبَيْهَقِيّ كلهم من رِوَايَة الحكم بن مُصعب وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮১৯
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮১৯. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এ কথা বলবেঃ
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ قَبْلَ كُلِّ شَيْءٍ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَبْقَى وَيَفْنَى كُلُّ شَيْءٍ
“আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি সকল কিছুর পূর্বে ছিলেন। আল্লাহ ছাড়া কোন কোন মাবুদ নেই, তিনিই চিরদিন থাকবেন আর সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।"
তাকে সকল দুশ্চিন্তা ও বিপদ থেকে নিরাপদ রাখা হবে।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2819- وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس أَيْضا رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله قبل كل شَيْء وَلَا إِلَه إِلَّا الله يبْقى رَبنَا ويفنى كل شَيْء عوفي من الْهم والحزن

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮২০
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮২০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি "লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" পাঠ করবে, এটি তার নিরান্নবই রোগের চিকিৎসা হয়ে যাবে, যার মধ্যে সর্বনিম্নটি হল দুশ্চিন্তা।
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাতে' এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়েই এটি বিশর ইবন রাফি আবুল আসবাত সূত্রে বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ বিশুদ্ধ।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2820- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه كَانَ دَوَاء من تِسْعَة وَتِسْعين دَاء أيسرها الْهم

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْحَاكِم
كِلَاهُمَا من رِوَايَة بشر بن رَافع أبي الأسباط وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮২১
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮২১. হযরত আসমা বিনত উমায়স (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন। আমি কি তোমাকে কিছু বাক্য শিখিয়ে দিব। না, যা তুমি বিপদের সময় পাঠ করবে? তা হলোঃ
اللَّهَ اللَّهَ رَبِّي لَا أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا
"আল্লাহ্ আল্লাহই আমার প্রতিপালক, আমি তাঁর সাথে কোন কিছুকেই শরীক করি না।"
(হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। নাসাঈ এবং মাজাহও এটি বর্ণনা করেন। তাবারানী এটি দু'আ অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন এবং একথাটি অতিরিক্ত উল্লেখ করেছেন, "আর এটিই ছিল উমর ইবন আবদুল আযীযের মৃত্যুর সময় তাঁর অন্তিম কথা।")
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2821- وَعَن أَسمَاء بنت عُمَيْس رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ لي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَلا أعلمك كَلِمَات تقوليهن عِنْد الكرب أَو فِي الكرب الله رَبِّي لَا أشرك بِهِ شَيْئا

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الدُّعَاء وَعِنْده فَلْيقل الله رَبِّي لَا أشرك بِهِ شَيْئا ثَلَاث مَرَّات وَزَاد وَكَانَ ذَلِك آخر كَلَام عمر بن عبد الْعَزِيز عِنْد الْمَوْت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮২২
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮২২. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিপদ-মুসীবতের সময় এ দু'আটি পাঠ করতেনঃ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْعَظِيمُ ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ ورَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ
"আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, যিনি অত্যন্ত সহনশীল ও মহান। আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি মহান আরশের অধিপতি। আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের মালিক এবং মহান আরশের প্রভু।"
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি দু'আটির প্রথমাংশে 'আযীম' শব্দের স্থলে 'আলীয়্যু' শব্দ উল্লেখ করেছেন।
নাসাঈ এবং ইবন মাজাহও এটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁরা 'আযীম' শব্দের স্থলে 'কারীম' শব্দটি বর্ণনা করেছেন এবং "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এর স্থলে 'সুবহানাল্লাহি' বলেছেনঃঃ এবং আসমানসমূহের স্থলে সাত আসমানের কথা উল্লেখ করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2822- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يَقُول عِنْد الكرب لَا إِلَه إِلَّا الله الْحَلِيم الْعَظِيم لَا إِلَه إِلَّا الله رب الْعَرْش الْعَظِيم لَا إِلَه إِلَّا الله رب السَّمَوَات وَالْأَرْض وَرب الْعَرْش الْكَرِيم

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ إِلَّا أَنه قَالَ فِي الأولى لَا إِلَه إِلَّا الله الْعلي الْحَلِيم
وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه إِلَّا أَنه قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله الْحَلِيم الْكَرِيم
سُبْحَانَ الله رب الْعَرْش الْعَظِيم
سُبْحَانَ الله رب السَّمَوَات السَّبع وَرب الْعَرْش الْكَرِيم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮২৩
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮২৩. হযরত সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মাছওয়ালা {হযরত ইউনুস (আ)} মাছের পেটে থেকে যে দু'আটি পাঠ করেছিলেন, সেটি হলঃ 'লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুন্‌তু মিনায যালিমীন।" যখনই কোন মুসলিম বিপদে পড়ে এ দু'আটি পাঠ করেছে, আল্লাহ্ তার ডাকে সাড়া দিয়েছেন।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। নাসাঈ এবং হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেছেনঃ হাদীসটির সনদ সহীহ।
হাকিম তাঁর অপর এক বর্ণনায় এ কথাটি অতিরিক্ত উল্লেখ করেছেনঃ জনৈক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ। এটি কি কেবল ইউনুস (আ)-এর জন্যই, না সকল মু'মিনের জন্য? রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) তখন বললেনঃ তুমি কি মহান আল্লাহর একথাটি শুনছ না? "এবং আমি তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আর এমনিভাবে আমি মুমিনদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।")
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2823- وَعَن سعد بن أبي وَقاص رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم دَعْوَة ذِي النُّون إِذْ دَعَا وَهُوَ فِي بطن الْحُوت لَا إِلَه إِلَّا أَنْت سُبْحَانَكَ إِنِّي كنت من الظَّالِمين الْأَنْبِيَاء 78
فَإِنَّهُ لم يدع رجل مُسلم فِي شَيْء قطّ إِلَّا اسْتَجَابَ الله لَهُ

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
وَزَاد الْحَاكِم فِي رِوَايَة لَهُ فَقَالَ رجل يَا رَسُول الله هَل كَانَت ليونس خَاصَّة أم للْمُؤْمِنين عَامَّة فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَلا تسمع إِلَى قَول الله عز وَجل ونجيناه من الْغم وَكَذَلِكَ ننجي الْمُؤمنِينَ الْأَنْبِيَاء 88
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮২৪
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮২৪. হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ আমি কি তোমাকে ঐ বাক্যসমূহ শিখিয়ে দেব না, যে বাক্যগুলো মুসা (আ) বনী ইসরাঈলকে নিয়ে সাগর পাড়ি দেয়ার সময় বলেছিলেন? আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আপনি অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, তোমার বলঃ
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ وَإِلَيْكَ الْمُشْتَكَى , وَأَنْتَ الْمُسْتَعَانُ , وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ
"হে আল্লাহ্। তোমার জন্যই সকল প্রশংসা, তোমার কাছেই সকল ফরিয়াদ এবং তুমিই একমাত্র সাহায্য প্রার্থনার স্থল। আর মহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোন কল্যাণ সাধন ও অকল্যাণ থেকে আত্মরক্ষার কোন ক্ষমতা নেই।"
আবদুল্লাহ বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিকট থেকে এটি শোনার পর আমি কখনও এ দু'আটি পাঠ করা বাদ দেইনি।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'সগীরে' একটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2824 - وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَلا أعلمك الْكَلِمَات الَّتِي تكلم بهَا مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام حِين جَاوز الْبَحْر ببني إِسْرَائِيل فَقُلْنَا بلَى يَا رَسُول الله قَالَ قُولُوا اللَّهُمَّ لَك الْحَمد وَإِلَيْك المشتكى وَأَنت الْمُسْتَعَان وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه الْعلي الْعَظِيم قَالَ عبد الله فَمَا تركتهن مُنْذُ سَمِعتهنَّ من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير بِإِسْنَاد جيد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮২৫
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮২৫. হযরত আবু উমামা (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ মুয়াযযিন যখন আযান দেয়, তখন আসমানের দ্বারসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং এ সময় দু'আ কবুল করা হয়। অতএব যার উপর কোন মুসীবত এসেছে অথবা যার কোন কঠিন সমস্যা দেখা দিয়েছে, সে যেন ঐ সময়টির অপেক্ষা করে। মুয়াযযিন যখন আল্লাহু আকবর বলবে, সেও যেন আল্লাহু আকবর বলে। মুয়াযযিন যখন শাহাদাত বাক্য উচ্চারণ করবে, তখন সেও যেন শাহাদাত বাক্য উচ্চারণ করে। হাইয়া আলাস সালাহ বলার সময় সেও যেন এ বাক্যটি পাঠ করে আর মুয়াযযিনের হাইয়া আলাল ফালাহ' বলার সময় সে ও যেন হাইয়া আলাল ফালাহ বলে। অতঃপর সে যেন বলেঃ "হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ সত্যও কবুলকৃত আহবানের তুমিই মালিক। এ আহবান হকের দাওয়াত ও তাকওয়ার বাণীর উপর প্রতিষ্ঠিত। আমাদেরকে তুমি এর উপর জীবিত রাখ, এবং এর উপরই আমাদের মৃত্যু দান কর। এর উপরই আমাদের হাশর কর এবং জীবনে ও মৃত্যুতে আমাদেরকে এর উত্তম অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত রাখ।"
এরপর সে নিজের অভাবের বিষয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে।
(হাদীসটি হাকিম উফায়র ইবন মাদান সূত্রে বর্ণনা করেছেন। অবশ্য উফায়র খুবই দুর্বল রাবী। হাকিম বলেন। হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2825- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا نَادَى الْمُنَادِي فتحت لَهُ أَبْوَاب السَّمَاء واستجيب الدُّعَاء فَمن نزل بِهِ كرب أَو شدَّة فليتحين الْمُنَادِي فَإِذا كبر كبر وَإِذا تشهد تشهد وَإِذا قَالَ حَيّ على الصَّلَاة قَالَ حَيّ على الصَّلَاة وَإِذا قَالَ حَيّ على الْفَلاح قَالَ حَيّ على الْفَلاح ثمَّ يَقُول اللَّهُمَّ رب هَذِه الدعْوَة التَّامَّة الصادقة المستجابة المستجاب لَهَا دَعْوَة الْحق وَكلمَة التَّقْوَى أحينا عَلَيْهَا وأمتنا عَلَيْهَا وابعثنا عَلَيْهَا واجعلنا من خِيَار أَهلهَا أَحيَاء وأمواتا ثمَّ يسْأَل الله حَاجته

رَوَاهُ الْحَاكِم من رِوَايَة عفير بن معدان وَهُوَ واه وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮২৬
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮২৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার উপর যখনই কোন সমস্যা ও সঙ্কট এসেছে, তখন জিবরাঈল (আ) আমার সামনে এসেছেন এবং বলেছেনঃ হে মুহাম্মদ! আপনি বলুনঃ
تَوَكَّلْتُ عَلَى الحَيِّ الَّذِي لاَ يَمُوتُ وَالحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُنْ لَهُ شَرِيكٌ فِي المُلْكِ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ وَلِيٌّ مِنَ الذُّلِّ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيرًا
"আমি ঐ চিরঞ্জীব সত্তার উপর ভরসা করলাম, যিনি কখনও মৃত্যুবরণ করবেন না। সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি নিজের জন্য কোন সন্তান সাব্যস্ত করেননি এবং তাঁর রাজত্বে কোন অংশীদার নেই, তাঁকে দুর্দশা থেকে রক্ষা করার জন্য কোন সাহায্যকারী প্রয়োজন নেই। সুতরাং তুমি পূর্ণরূপে তাঁর মাহাত্ম্য বর্ণনা কর।"
(হাদীসটি তাবারানী ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটি সহীহ সনদবিশিষ্ট।
ইস্পাহানী ইবরাহীম ইবনুল আশআস থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেনঃ আমি ফুযায়ল (র)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে এক ব্যক্তিকে শত্রুরা বন্দী করে নিয়েছিল। লোকটির পিতা মুক্তিপণ দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনতে চাইল। কিন্তু শত্রুগণ প্রচুর সম্পদ ব্যতীত তাকে ছাড়তে রাযী হল না। অথচ তার এই পরিমাণ সম্পদ দেয়ার সাধ্য ছিল না। অবশেষে পিতা এসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট অভিযোগ করল। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার ছেলের নিকট একথা লিখে পাঠাও, সে যেন এই দু'আটি অধিক পরিমাণে পাঠ করঃ
تَوَكَّلْت عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا إِلَى آخِرِهَا
"আমি চিরঞ্জীব সত্তার উপর ভরসা করলাম, যিনি কখনও মৃত্যুবরণ করবেন না। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি নিজের জন্য কোন সন্তান সাব্যস্ত করেননি (দু'আর শেষ পর্যন্ত)। বর্ণনাকারী বলেনঃ লোকটি তার ছেলের নিকট এ দু'আটি লিখে পাঠাল। সে এই দু'আ পাঠ করতে লাগল। এক সময় শত্রু তার থেকে গাফিল হয়ে গেল এবং সে চল্লিশটি উট নিয়ে তার পিতার নিকট ফিরে আসল।
(হাফিয বলেন:) হাদীসটি মু'দাল আর এ হাদীসটি "লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা" অনুচ্ছেদে ইতিপূর্বেও এসেছে।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2826- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا كربني أَمر إِلَّا تمثل لي جِبْرِيل فَقَالَ يَا مُحَمَّد قل توكلت على الْحَيّ الَّذِي لَا يَمُوت وَالْحَمْد لله الَّذِي لم يتَّخذ ولدا وَلم يكن لَهُ شريك فِي الْملك وَلم يكن لَهُ ولي من الذل وَكبره تَكْبِيرا

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
وروى الْأَصْبَهَانِيّ عَن إِبْرَاهِيم يَعْنِي ابْن الْأَشْعَث قَالَ سَمِعت الفضيل يَقُول إِن رجلا على عهد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أسره الْعَدو فَأَرَادَ أَبوهُ أَن يفْدِيه فَأَبَوا عَلَيْهِ إِلَّا بِشَيْء كثير لم يطقه فَشَكا ذَلِك إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ اكْتُبْ إِلَيْهِ فليكثر من قَوْله توكلت على الْحَيّ الَّذِي لَا يَمُوت وَالْحَمْد لله الَّذِي لم يتَّخذ ولدا إِلَى آخرهَا قَالَ فَكتب بهَا الرجل إِلَى ابْنه فَجعل يَقُولهَا فَغَفَلَ الْعَدو عَنهُ فاستاق أَرْبَعِينَ بَعِيرًا فَقدم وَقدم بهَا إِلَى أَبِيه

قَالَ الْحَافِظ وَهَذَا معضل وَتقدم فِي بَاب لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه الْعلي الْعَظِيم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮২৭
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮২৭. মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হযরত মালিক আশজাঈ (রা) নবী করীম (ﷺ) এর নিকট এসে বললেনঃ আউফের পুত্র শত্রুদের হাতে বন্দী হয়ে গিয়েছে। তিনি তাকে বললেনঃ "তুমি তার কাছে এ বার্তা পাঠিয়ে দাও যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাকে অধিক পরিমাণে 'লা-হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন।" অতঃপর তিনি পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করলেন।
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2827- وَعَن مُحَمَّد بن إِسْحَاق رَضِي الله عَنهُ قَالَ جَاءَ مَالك الْأَشْجَعِيّ إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ أسر ابْن عَوْف فَقَالَ لَهُ أرسل إِلَيْهِ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَأْمُرك أَن تكْثر من قَول لَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه
فَذكر الحَدِيث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮২৮
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা কসম করা থেকে ভীতি প্রদর্শন
২৮২৮. হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ গ্রাস করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা শপথ করবে, সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাত করবে যে, তিনি তার প্রতি ক্রোধান্বিত থাকবেন। আবদুল্লাহ (ইবন মাসউদ) বলেনঃ অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মহান আল্লাহর কিতাব থেকে এর সত্যতা জ্ঞাপনকারী আয়াতটি পাঠ করলেনঃ "যারা আল্লাহর নামে কৃত অঙ্গীকার এবং প্রতিজ্ঞা সামান্য মূল্যে বিক্রি করে দেয়, আখিরাতে তাদের কোন অংশ নেই। (সূরা আলু ইমরান-আয়াত নং- ৭৭)
অনুরূপ অপর এক বর্ণনায় কথাটি অতিরিক্ত রয়েছে। আশ’আস ইসন কায়স এসে বললেন, আবু আবদুর রহমান তোমাদের নিকট কি হাদীস বর্ণনা করেন? আমরা বললাম, এমন এমন কথা। তিনি বললেনঃ আবূ আবদুর রহমান সত্যই বলেছেনঃ আমার এবং জনৈক ব্যক্তির মধ্যে একটি কূপ নিয়ে বিরোধ ছিল। আমরা রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এর মীমাংসার জন্য গেলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ (ফয়সালার জন্যে) তোমার দু'জন সাক্ষী অথবা তার শপথ লাগবে। আমি বললাম, তাহলে তো সে নির্দ্বিধায় কসম খেয়ে বসবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেনঃ যে ব্যক্তি কসমের সম্মুখীন হয়ে কোন মুসলিমের সম্পদ গ্রাস করার উদ্দেশ্যে পাপাচারী হয়ে মিথ্যা শপথ করবে, সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবেন যে, তিনি তার উপর ক্রোধান্বিত থাকবেন। এ সময় এ আয়াতটি নাযিল হলঃ যারা আল্লাহর নামে কৃত অঙ্গীকার ও প্রতিজ্ঞা সামান্য মূল্যে বিক্রি করে দেয়, আখিরাতে তাদের কোন অংশ নেই।"
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহও এটি সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الْيَمين الكاذبة الْغمُوس
2828- عَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من حلف على مَال امرء مُسلم بِغَيْر حَقه لَقِي الله وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَان
قَالَ عبد الله ثمَّ قَرَأَ علينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مصداقه
من كتاب الله عز وَجل إِن الَّذين يشْتَرونَ بِعَهْد الله وَأَيْمَانهمْ ثمنا قَلِيلا آل عمرَان 77
إِلَى آخر الْآيَة
زَاد فِي رِوَايَة بِمَعْنَاهُ قَالَ فَدخل الْأَشْعَث بن قيس الْكِنْدِيّ فَقَالَ مَا يُحَدثكُمْ أَبُو عبد الرَّحْمَن فَقُلْنَا كَذَا وَكَذَا قَالَ صدق أَبُو عبد الرَّحْمَن وَكَانَ بيني وَبَين رجل خُصُومَة فِي بِئْر فَاخْتَصَمْنَا إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم شَاهِدَاك أَو يَمِينه قلت إِذا يحلف وَلَا يُبَالِي فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من حلف على يَمِين صَبر يقتطع بهَا مَال امرىء مُسلم هُوَ فِيهَا فَاجر لَقِي الله وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَان وَنزلت إِن الَّذين يشْتَرونَ بِعَهْد الله وَأَيْمَانهمْ ثمنا قَلِيلا
إِلَى آخر الْآيَة

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه مُخْتَصرا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮২৯
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা কসম করা থেকে ভীতি প্রদর্শন
২৮২৯. হযরত ওয়ায়ল ইবন হুজর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হাদ্রামাউত থেকে এক ব্যক্তি ও কিন্দা থেকে এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ) -এর নিকট আসল। হাদ্রামাউত-এর অধিবাসী লোকটি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। এ লোকটি আমার পিতার একটি জমির উপর জবর দখল স্থাপন করে নিয়েছে। কিন্দার অধিবাসী লোকটি বলল, এটি আমার দখলভুক্ত ভূমি, আমিই এটি চাষাবাদ করছি। এতে তার কোন অধিকার নেই। নবী করীম (ﷺ) হাদ্রামাউতের অধিবাসী লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি কোন দলীল-প্রমাণ রয়েছে হে? সে বলল, জ্বী না। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন, তাহলে সে কসম খাবে। সে তখন বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! লোকটি পাপাচারী। তাই সে কসম করতে কোনরূপ দ্বিধা করবে না। আর সে কোন বিষয়ে তাকওয়া-পরহেযগারীর ধার ধারে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমার জন্য তার কসমের কোন বিকল্প নেই। কিন্দাবাসী লোকটি তখন কসম খেতে রওয়ানা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেন, লোকটি যদি অন্যায়ভাবে সম্পদ গ্রাস করার মতলবে কসম খায়, তাহলে সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাত করবে যে, তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখবেন।
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الْيَمين الكاذبة الْغمُوس
2829- وَعَن وَائِل بن حجر رَضِي الله عَنهُ قَالَ جَاءَ رجل من حَضرمَوْت وَرجل من كِنْدَة إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ الْحَضْرَمِيّ يَا رَسُول الله إِن هَذَا قد غلبني على أَرض كَانَت لابي فَقَالَ الْكِنْدِيّ هِيَ أرضي فِي يَدي أزرعها لَيْسَ لَهُ فِيهَا حق فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم للحضرمي أَلَك بَيِّنَة قَالَ لَا قَالَ فلك يَمِينه
قَالَ يَا رَسُول الله إِن الرجل فَاجر لَا يُبَالِي على مَا حلف عَلَيْهِ وَلَيْسَ يتورع عَن شَيْء فَقَالَ لَيْسَ لَك مِنْهُ إِلَّا يَمِينه فَانْطَلق ليحلف فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لما أدبر لَئِن حلف على مَال ليأكله ظلما ليلقين الله وَهُوَ عَنهُ معرض

رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮৩০
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা কসম করা থেকে ভীতি প্রদর্শন
২৮৩০. হযরত আশআস ইবন কায়স (রা) থেকে বর্ণিত যে, কিন্দার অধিবাসী এক লোক ও হাদ্রামাউত নিবাসী এক ব্যক্তি ইয়েমেনের একটি জমি নিয়ে বিবাদ করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট মীমাংসার জন্য আসল। হাদ্রামাউতের লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ। এ লোকটির পিতা আমার জমিটি জবর দখল করে নিয়েছিল আর এটি এখন তার দখলেই রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমার নিকট কি কোন প্রমাণ রয়েছে? সে বলল, জ্বী না। তবে আমি তাকে হলফ দিতে পারি। সে হলফ করে বলবে যে, এটি আমার ভূমি ও তার পিতা এটি আত্মসাৎ করে নিয়েছিল, একথা সে জানে না। কিন্দার অধিবাসী লোকটি তখন শপথ করার জন্য উদ্যত হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেন। যে ব্যক্তি শপথ করে কারো সম্পদ আত্মসাৎ করবে, সে আল্লাহর সাথে কুষ্ঠরোগীরণে সাক্ষাত করবে। কিন্দার লোকটি বলে উঠলো। এটি তারই জমি।
(হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। ইবন মাজাহ হাদীসটি এভাবে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেনঃ
যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে পাপাচারী অবস্থায় শপথ করবে, সে আল্লাহর সাথে কুষ্ঠরোগীরূপে সাক্ষাত করবে।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الْيَمين الكاذبة الْغمُوس
2830- وَعَن الْأَشْعَث بن قيس رَضِي الله عَنهُ أَن رجلا من كِنْدَة وَآخر من حَضرمَوْت اخْتَصمَا إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي أَرض من الْيمن فَقَالَ الْحَضْرَمِيّ يَا رَسُول الله إِن أرضي اغتصبنيها أَبُو هَذَا وَهِي فِي يَده قَالَ هَل لَك بَيِّنَة قَالَ لَا وَلَكِن أحلفه وَالله مَا يعلم أَنَّهَا أرضي اغتصبنيها أَبوهُ فتهيأ الْكِنْدِيّ للْيَمِين فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يقتطع أحد مَالا
بِيَمِين إِلَّا لَقِي الله وَهُوَ أَجْذم فَقَالَ الْكِنْدِيّ هِيَ أرضه

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه مُخْتَصرا قَالَ من حلف على يَمِين ليقتطع بهَا مَال امرىء مُسلم هُوَ فِيهَا فَاجر لَقِي الله أَجْذم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৮৩১
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা কসম করা থেকে ভীতি প্রদর্শন
২৮৩১. হযরত আবু মুসা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দু'ব্যক্তি একটি ভূমি সংক্রান্ত ব্যাপারে নবী করীম (ﷺ) এর নিকট মীমাংসার জন্য আসল। এদের একজন ছিল হাদ্রামাউতের অধিবাসী। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের একজনকে কসম খেতে বললেন। তখন অপর ব্যক্তিটি চীৎকার দিয়ে উঠল এবং বললঃ তা হলে তো নির্ঘাত আমার ভূমিটি সে নিয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে যদি এটি অন্যায়ভাবে কসম খেয়ে আত্মসাৎ করে নেয়, তাহলে সে এমন লোকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে, যাদের প্রতি আল্লাহ কিয়ামতের দিন (করুণার) দৃষ্টি দিবেন না, যাদেরকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য থাকবে কঠিন শাস্তি। বর্ণনাকারী বলেন। দ্বিতীয় পক্ষ তখন ভড়কে গেল এবং ভূমিটি ফেরত দিয়ে দিল।
(হাদীসটি আহমদ একটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। আবু ইয়ালা, বায্‌যার এবং তাবারানীও এটি তাঁর 'কবীরে' বর্ণনা করেছেন। ইমাম আহমদ এটি 'আদী ইবন আমীরা সূত্রেও উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এখানে তিনি বলেছেনঃ
ইমরুউল কায়স ইবন আবিস নামক কিন্দার অধিবাসী এক ব্যক্তি হাদ্রামাউতের এক ব্যক্তির সাথে, কলহে প্রবৃত্ত হলো। অতঃপর তিনি পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করলেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
{হাফিয আবদুল আযীয বলেনঃ} এ ঘটনাটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এখানে আমরা যা উল্লেখ করেছি, এটিই যথেষ্ট।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الْيَمين الكاذبة الْغمُوس
2831- وَعَن أبي مُوسَى رَضِي الله عَنهُ قَالَ اخْتصم رجلَانِ إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي أَرض أَحدهمَا من حَضرمَوْت
قَالَ فَجعل يَمِين أَحدهمَا فَضَجَّ الآخر
قَالَ إِذا يذهب بأرضي فَقَالَ إِن هُوَ اقتطعها بِيَمِينِهِ ظلما كَانَ مِمَّن لَا ينظر الله إِلَيْهِ يَوْم الْقِيَامَة وَلَا يُزَكِّيه وَله عَذَاب أَلِيم
قَالَ وورع الآخر فَردهَا

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَأَبُو يعلى وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرَوَاهُ أَحْمد أَيْضا بِنَحْوِهِ من حَدِيث عدي بن عميرَة إِلَّا أَنه قَالَ خَاصم رجل من كِنْدَة يُقَال لَهُ امرء الْقَيْس بن عَابس رجلا من حَضرمَوْت فَذكره وَرُوَاته ثِقَات

قَالَ الْحَافِظ عبد الْعَظِيم وَقد وَردت هَذِه الْقِصَّة من غير مَا وَجه وَفِيمَا ذَكرْنَاهُ كِفَايَة
tahqiq

তাহকীক: