আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১৫. অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩২২ টি
হাদীস নং: ২৭৯২
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৭৯২. হযরত আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তিকে ডেকে তাঁর সামনে দাঁড় করাবেন। তাকে বলা হবেঃ হে আদম সন্তান। তুমি কোন প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ করেছিলে এবং মানুষের অধিকার ও প্রাপ্য হক কোথায় বিনষ্ট করেছিলে? সে বলবেঃ হে আমার প্রতিপালক! তুমি তো জান যে, আমি ঋণ গ্রহণ করেছিলাম বটে, কিন্তু আমি এখান থেকে কিছু আহার করিনি, পান করিনি, পোশাক পরিধান করিনি এবং বিনষ্ট করিনি, বরং আমি অগ্নিকাণ্ড, চুরি অথবা ব্যবসায়ে লোকসানের সম্মুখীন হয়ে গিয়েছিলাম। আল্লাহ বলবেনঃ আমার বান্দা সত্যই বলেছে। তোমার ঋণ আদায়ের অধিক হকদার আমিই। তারপর আল্লাহ্ একটি জিনিস আনতে বলবেন এবং এটি তার মীযানের পাল্লায় রেখে দিবেন। তখন তার পুণ্যসমূহ পাপরাশির তুলনায় ভারী হয়ে যাবে। অতএব সে আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
(হাদীসটি আহমদ, বাযযার, তাবারানী ও আবু নুয়ায়ম বর্ণনা করেছেন। তাঁদের বর্ণিত সনদসমূহের মধ্যে একটি সনদ-হাসান।)
(হাদীসটি আহমদ, বাযযার, তাবারানী ও আবু নুয়ায়ম বর্ণনা করেছেন। তাঁদের বর্ণিত সনদসমূহের মধ্যে একটি সনদ-হাসান।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2792- وَعَن عبد الرَّحْمَن بن أبي بكر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَدْعُو الله بِصَاحِب الدّين يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى يُوقف بَين يَدَيْهِ فَيُقَال يَا ابْن آدم فيمَ أخذت هَذَا الدّين وفيم ضيعت حُقُوق النَّاس فَيَقُول يَا رب إِنَّك تعلم أَنِّي أَخَذته فَلم آكل وَلم أشْرب وَلم ألبس وَلم أضيع وَلَكِن أَتَى عَليّ إِمَّا حرق وَإِمَّا سرق وَإِمَّا وضيعة فَيَقُول الله صدق عَبدِي أَنا أَحَق من قضى عَنْك فيدعو الله بِشَيْء فيضعه فِي كفة مِيزَانه فترجح حَسَنَاته على سيئاته فَيدْخل الْجنَّة بِفضل رَحمته
رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَأَبُو نعيم أحد أسانيدهم حسن
رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَأَبُو نعيم أحد أسانيدهم حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৯৩
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৭৯৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ঋণ তার গ্রহীতার বিরুদ্ধে কিয়ামতের দিন বিচার প্রার্থনা করবে, তবে কেউ যদি এই তিন বিষয়ে ঋণ করেঃ (১) আল্লাহর পথে জিহাদ করতে গিয়ে কেউ দুর্বল হয়ে পড়ল, সে তখন আল্লাহর শত্রু ও তার শত্রুদের বিরুদ্ধে শক্তি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণ করল। (২) কারো কাছে কোন মুসলমান মারা গেল কিন্তু তার কাফন ও লজ্জা নিবারণের মত তার নিকট কিছুই নেই, তবে যদি সে ঋণ গ্রহণ করে। (৩) কোন ব্যক্তি নিঃসঙ্গতাকে নিজের জন্য আশংকাজনক মনে করল এবং দীনের হিফাযতের উদ্দেশ্যে (ঋণ গ্রহণ করে) বিয়ে করল। আল্লাহ কিয়ামতের দিন এদের ঋণ পরিশোধ করে দেবেন।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ এরূপ বর্ণনা করেছেন। বাযযার এটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ
তিনটি কাজে কেউ যদি ঋণ গ্রহণ করে এবং তা পরিশোধ করার পূর্বে সে মারা যায়, তবে আল্লাহ্ তার পক্ষ থেকে সে ঋণ পরিশোধ করে দেবেনঃ (১) কোন ব্যক্তি জিহাদের ময়দানের গেল, সেখানে তার পোশাক পুরাতন হয়ে এমন অবস্থা হল যে, লজ্জাস্থান প্রকাশ হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিল। অথবা তিনি অনুরূপ অন্য কোন শব্দ বলেছেন, এমতাবস্থায় সে ঋণ পরিশোধের পূর্বে মারা গেল। (২) কোন ব্যক্তির নিকট কোন মুসলমান মারা গেল; তার কাফন ও আবরণের জন্য লোকটি ঋণ গ্রহণ করল এবং তা পরিশোধ করার পূর্বেই সে মারা গেল। (৩) কোন ব্যক্তি নিজের ব্যাপারে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার আশংকা করল, অতএব কোন মহিলাকে বিয়ে করে চরিত্রকে রক্ষা করল এবং ঋণ পরিশোধের পূর্বেই সে মারা গেল। আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন এদের ঋণ আদায় করে দেবেন।)
(হাদীসটি ইবন মাজাহ এরূপ বর্ণনা করেছেন। বাযযার এটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ
তিনটি কাজে কেউ যদি ঋণ গ্রহণ করে এবং তা পরিশোধ করার পূর্বে সে মারা যায়, তবে আল্লাহ্ তার পক্ষ থেকে সে ঋণ পরিশোধ করে দেবেনঃ (১) কোন ব্যক্তি জিহাদের ময়দানের গেল, সেখানে তার পোশাক পুরাতন হয়ে এমন অবস্থা হল যে, লজ্জাস্থান প্রকাশ হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিল। অথবা তিনি অনুরূপ অন্য কোন শব্দ বলেছেন, এমতাবস্থায় সে ঋণ পরিশোধের পূর্বে মারা গেল। (২) কোন ব্যক্তির নিকট কোন মুসলমান মারা গেল; তার কাফন ও আবরণের জন্য লোকটি ঋণ গ্রহণ করল এবং তা পরিশোধ করার পূর্বেই সে মারা গেল। (৩) কোন ব্যক্তি নিজের ব্যাপারে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার আশংকা করল, অতএব কোন মহিলাকে বিয়ে করে চরিত্রকে রক্ষা করল এবং ঋণ পরিশোধের পূর্বেই সে মারা গেল। আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন এদের ঋণ আদায় করে দেবেন।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2793- وَرُوِيَ عَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الدّين يقْتَصّ من صَاحبه يَوْم الْقِيَامَة إِذا مَاتَ إِلَّا من تدين فِي ثَلَاث خلال الرجل تضعف قوته فِي سَبِيل الله فيستدين يتقوى بِهِ على عَدو الله وعدوه وَرجل يَمُوت عِنْده مُسلم لَا يجد بِمَا يُكَفِّنهُ ويواريه إِلَّا بدين وَرجل خَافَ على نَفسه الْعزبَة فينكح خشيَة على دينه فَإِن الله يقْضِي عَن هَؤُلَاءِ يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه هَكَذَا وَالْبَزَّار
وَلَفظه ثَلَاث من تدين فِيهِنَّ ثمَّ مَاتَ وَلم يقْض فَإِن الله يقْضِي عَنهُ رجل يكون فِي سَبِيل الله فيخلق ثَوْبه فيخاف أَن تبدو عَوْرَته أَو كلمة نَحْوهَا فَيَمُوت وَلم يقْض دينه وَرجل مَاتَ عِنْده رجل مُسلم فَلم يجد مَا يُكَفِّنهُ بِهِ وَلَا مَا يواريه فَمَاتَ وَلم يقْض دينه وَرجل خَافَ على نَفسه الْعَنَت فتعفف بِنِكَاح امْرَأَة فَمَاتَ وَلم يقْض فَإِن الله يقْضِي عَنهُ يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه هَكَذَا وَالْبَزَّار
وَلَفظه ثَلَاث من تدين فِيهِنَّ ثمَّ مَاتَ وَلم يقْض فَإِن الله يقْضِي عَنهُ رجل يكون فِي سَبِيل الله فيخلق ثَوْبه فيخاف أَن تبدو عَوْرَته أَو كلمة نَحْوهَا فَيَمُوت وَلم يقْض دينه وَرجل مَاتَ عِنْده رجل مُسلم فَلم يجد مَا يُكَفِّنهُ بِهِ وَلَا مَا يواريه فَمَاتَ وَلم يقْض دينه وَرجل خَافَ على نَفسه الْعَنَت فتعفف بِنِكَاح امْرَأَة فَمَاتَ وَلم يقْض فَإِن الله يقْضِي عَنهُ يَوْم الْقِيَامَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৯৪
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৭৯৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবন জা'ফর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ঋণদাতার সাথে থাকেন এবং তার ঋণ পরিশোধ করে দেন, যদি ঋণদান আল্লাহর অসন্তুষ্টির ক্ষেত্রে না হয়। বর্ণনাকারী বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবন জা'ফর তাঁর খাজাঞ্চীকে বলতেনঃ তুমি যাও এবং কোন ঋণ গ্রহীতাকে নিয়ে আস। কেননা আমি এটি অপসন্দ করি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ কথাটি শোনার পর আল্লাহকে সাথে না নিয়ে আমি একটি রাত কাটিয়ে দেব।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন, হাদীসটি সহীহ সনদবিশিষ্ট এবং এর সমর্থনে অনেক বর্ণনা রয়েছে।)
(হাদীসটি ইবন মাজাহ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন, হাদীসটি সহীহ সনদবিশিষ্ট এবং এর সমর্থনে অনেক বর্ণনা রয়েছে।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2794- وَعَن عبد الله بن جَعْفَر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله مَعَ الدَّائِن حَتَّى يقْضِي دينه مَا لم يكن فِيمَا يكرههُ الله
قَالَ وَكَانَ عبد الله بن جَعْفَر يَقُول لخازنه اذْهَبْ فَخذ لي بدين فَإِنِّي أكره أَن أَبيت لَيْلَة إِلَّا وَالله معي بعد إِذْ سمعته من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد حسن وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَله شَوَاهِد
قَالَ وَكَانَ عبد الله بن جَعْفَر يَقُول لخازنه اذْهَبْ فَخذ لي بدين فَإِنِّي أكره أَن أَبيت لَيْلَة إِلَّا وَالله معي بعد إِذْ سمعته من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد حسن وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَله شَوَاهِد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৯৫
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৭৯৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্ধারিত দণ্ডবিধি প্রয়োগের বেলায় সুপারিশ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে, সে যেন আল্লাহর ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করল। আর যে ঋণের বোঝা নিয়ে মারা গেল, সেখানে দীনার ও দিরহাম থাকবে না, বরং পাপ ও পুণ্য থাকবে (আর এ দিয়েই ফায়সালা করতে হবে)। যে ব্যক্তি জেনে শুনে কোন অন্যায় বিষয়ে ঝগড়া করল, সে যে পর্যন্ত এই অন্যায় থেকে ফিরে না আসবে, আল্লাহর ক্রোধে নিপতিত থাকবে। যে ব্যক্তি কোন মুমিন সম্পর্কে এমন উক্তি করবে, যা তার মধ্যে নেই, সে জাহান্নামীদের পুঁজ, রক্ত জমা হওয়ার স্থানে বন্দী অবস্থায় থাকবে, যে পর্যন্ত না সে তার উক্তি প্রত্যাহারকারী কোন জিনিস নিয়ে আসবে।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। আবূ দাউদ এবং তাবারানীও এটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাঁদের বর্ণিত শব্দমালা ইন্শা আল্লাহ সামনে আসবে।)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। আবূ দাউদ এবং তাবারানীও এটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাঁদের বর্ণিত শব্দমালা ইন্শা আল্লাহ সামনে আসবে।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2795- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من حَالَتْ شَفَاعَته دون حد من حُدُود الله فقد ضاد الله فِي أمره وَمن مَاتَ وَعَلِيهِ دين فَلَيْسَ ثمَّ دِينَار وَلَا دِرْهَم وَلكنهَا الْحَسَنَات والسيئات وَمن خَاصم فِي بَاطِل وَهُوَ يعلم لم يزل فِي سخط الله حَتَّى ينْزع وَمن قَالَ فِي مُؤمن مَا لَيْسَ فِيهِ حبس فِي ردغة الخبال حَتَّى يَأْتِي بالمخرج مِمَّا قَالَ
رَوَاهُ الْحَاكِم وَصَححهُ وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالطَّبَرَانِيّ بِنَحْوِهِ وَيَأْتِي لَفْظهمَا إِن شَاءَ الله تَعَالَى
رَوَاهُ الْحَاكِم وَصَححهُ وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالطَّبَرَانِيّ بِنَحْوِهِ وَيَأْتِي لَفْظهمَا إِن شَاءَ الله تَعَالَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৯৬
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৭৯৬. হযরত সামুরা ইবন জুনদুব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন ভাষণ দিতে গিয়ে বললেনঃ এখানে অমুখ গোত্রের কেউ আছে কি? তখন কেউ উত্তর করল না। তিনি আবার বললেনঃ এখানে অমুক গোত্রের কেউ আছে কি? এবারও কেউ উত্তর দিল না। তিনি আবার বললেনঃ এখানে অমুক গোত্রের কেউ আছে কি? তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আমি আছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, প্রথম দু’বারে ডাকে সাড়া দিতে তোমাকে কিসে নিষেধ করেছিল? অতঃপর তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের মঙ্গলের জন্যই তোমাদেরকে স্মরণ করেছিলাম। তোমাদের এক বন্ধু ঋনের কারণে আটকে গিয়েছিল, পরে দেখলাম যে, আল্লাহ তার পক্ষ থেকে সব পরিশোধ করে দিয়েছেন। এখন আর তাকে কেউ কোন কিছুর জন্য তাগাদা দিচ্ছে না।
(হাদীসটি আবু দাউদ, নাসাই এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন। তবে হাকিমের বর্ণনায় বলা হয়েছে। তোমাদের বন্ধুটি জান্নাতের দরজায় ঋণের কারণে আটকা পড়ে গিয়েছিল।
হাকিমের অপর এক বর্ণনায় এ অংশটিও উল্লেখ করেছেন। যদি তোমাদের ইচ্ছা হয়, তবে তাকে মুক্ত করে নিয়ে আস, আর যদি ইচ্ছা হয় তবে আল্লাহর আযাবের হাতে সোপর্দ করে দাও। তখন জনৈক ব্যক্তি বলে উঠল, তার ঋণের দায়িত্ব আমার উপর রইল, অতঃপর সে তা আদায় করে দিল।
হাকিম বলেনঃ হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।
(হাফিয আবদুল আযীম বলেনঃ) উপরে উল্লিখিত মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটি শাবী সূত্রে সাম'আন ইবন মুশান্নাজ-এর মাধ্যমে হযরত সামুরা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু বুখারী তাঁর 'তারীখে কবীর' নামক গ্রন্থে বলেছেন, সামআন সামুরা থেকে হাদীস শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই। অনুরূপভাবে শা’বী সাম'আন থেকে হাদীস শুনেছেন বলে আমরা জানি না।)
(হাদীসটি আবু দাউদ, নাসাই এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন। তবে হাকিমের বর্ণনায় বলা হয়েছে। তোমাদের বন্ধুটি জান্নাতের দরজায় ঋণের কারণে আটকা পড়ে গিয়েছিল।
হাকিমের অপর এক বর্ণনায় এ অংশটিও উল্লেখ করেছেন। যদি তোমাদের ইচ্ছা হয়, তবে তাকে মুক্ত করে নিয়ে আস, আর যদি ইচ্ছা হয় তবে আল্লাহর আযাবের হাতে সোপর্দ করে দাও। তখন জনৈক ব্যক্তি বলে উঠল, তার ঋণের দায়িত্ব আমার উপর রইল, অতঃপর সে তা আদায় করে দিল।
হাকিম বলেনঃ হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।
(হাফিয আবদুল আযীম বলেনঃ) উপরে উল্লিখিত মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটি শাবী সূত্রে সাম'আন ইবন মুশান্নাজ-এর মাধ্যমে হযরত সামুরা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু বুখারী তাঁর 'তারীখে কবীর' নামক গ্রন্থে বলেছেন, সামআন সামুরা থেকে হাদীস শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই। অনুরূপভাবে শা’বী সাম'আন থেকে হাদীস শুনেছেন বলে আমরা জানি না।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2796- وَعَن سَمُرَة بن جُنْدُب رَضِي الله عَنهُ قَالَ خَطَبنَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ هَاهُنَا أحد من بني فلَان فَلم يجبهُ أحد ثمَّ قَالَ هَاهُنَا أحد من بني فلَان فَلم يجبهُ أحد ثمَّ قَالَ هَاهُنَا أحد من بني فلَان فَقَامَ رجل فَقَالَ أَنا يَا رَسُول الله فَقَالَ من مَنعك أَن تُجِيبنِي فِي الْمَرَّتَيْنِ الْأَوليين
قَالَ إِنِّي لم أنوه بكم إِلَّا خيرا إِن صَاحبكُم مأسور بِدِينِهِ فَلَقَد رَأَيْته أُدي عَنهُ حَتَّى مَا أحد يَطْلُبهُ بِشَيْء
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَالْحَاكِم إِلَّا أَنه قَالَ إِن صَاحبكُم حبس على بَاب الْجنَّة بدين كَانَ عَلَيْهِ
زَاد فِي رِوَايَة فَإِن شِئْتُم فافدوه وَإِن شِئْتُم فأسلموه إِلَى عَذَاب الله
فَقَالَ رجل عَليّ دينه فقضاه
قَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ
قَالَ الْحَافِظ عبد الْعَظِيم رَوَوْهُ كلهم عَن الشّعبِيّ عَن سمْعَان وَهُوَ ابْن مشنج عَن سَمُرَة وَقَالَ البُخَارِيّ فِي تَارِيخه الْكَبِير لَا نعلم لسمعان سَمَاعا من سَمُرَة وَلَا لِلشَّعْبِيِّ سَمَاعا من سمْعَان
قَالَ إِنِّي لم أنوه بكم إِلَّا خيرا إِن صَاحبكُم مأسور بِدِينِهِ فَلَقَد رَأَيْته أُدي عَنهُ حَتَّى مَا أحد يَطْلُبهُ بِشَيْء
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَالْحَاكِم إِلَّا أَنه قَالَ إِن صَاحبكُم حبس على بَاب الْجنَّة بدين كَانَ عَلَيْهِ
زَاد فِي رِوَايَة فَإِن شِئْتُم فافدوه وَإِن شِئْتُم فأسلموه إِلَى عَذَاب الله
فَقَالَ رجل عَليّ دينه فقضاه
قَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ
قَالَ الْحَافِظ عبد الْعَظِيم رَوَوْهُ كلهم عَن الشّعبِيّ عَن سمْعَان وَهُوَ ابْن مشنج عَن سَمُرَة وَقَالَ البُخَارِيّ فِي تَارِيخه الْكَبِير لَا نعلم لسمعان سَمَاعا من سَمُرَة وَلَا لِلشَّعْبِيِّ سَمَاعا من سمْعَان
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৯৭
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৭৯৭. হযরত বারা ইবন আযিব (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি তার ঋণের কারণে বন্দী অবস্থায় পড়ে থাকে এবং আল্লাহর নিকট নিঃসঙ্গতার ফরিয়াদ জানায়।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। এর সনদে মুবারক ইবন ফুযালা নামক একজন বিতর্কিত রাবী রয়েছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। এর সনদে মুবারক ইবন ফুযালা নামক একজন বিতর্কিত রাবী রয়েছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2797- وَعَن الْبَراء بن عَازِب رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ صَاحب الدّين مأسور بِدِينِهِ يشكو إِلَى الله الْوحدَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَفِيه الْمُبَارك بن فضَالة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَفِيه الْمُبَارك بن فضَالة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৯৮
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৭৯৮. হযরত আবু মূসা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহর নিষিদ্ধ কবীরা গুনাহসমূহের পর আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বড় গুনাহ এই যে, কোন বান্দা এমন ঋণ নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে, যা পরিশোধের কোন ব্যবস্থা সে করে যায়নি।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি আবু দাউদ ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2798- وَعَن أبي مُوسَى رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن أعظم الذُّنُوب عِنْد الله أَن يلقاه بهَا عبد بعد الْكَبَائِر الَّتِي نهى الله عَنْهَا أَن يَمُوت رجل وَعَلِيهِ دين لَا يدع لَهُ قَضَاء
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالْبَيْهَقِيّ
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالْبَيْهَقِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৯৯
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৭৯৯. হযরত শাফি ইবন মাতি আসবাহী (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ চার ধরনের মানুষ জাহান্নামীদের কষ্টের উপর আরও কষ্ট বাড়িয়ে দেবে। এরা গরম পানি ও উত্তপ্ত আগুনের মধ্যে দৌড়াতে থাকবে এবং ধ্বংস ও মৃত্যুকে ডাকতে থাকবে। তখন কতিপয় জাহান্নামী বলবে। এদের কি হল যে, আমাদের কষ্টের উপর আরও কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে? বর্ণনাকারী বলেনঃ এদের মধ্যে একজন এমন ব্যক্তি থাকবে, যার উপর আগুনের একটি সিন্দুক লটকিয়ে দেয়া হবে, অন্য একজন পেটের অস্ত্রগুলো টানতে থাকবে, তৃতীয়জনের মুখ থেকে পুঁজ ও রক্ত নির্গত হতে থাকবে এবং চতুর্থ ব্যক্তিটি নিজের মাংস ভক্ষণ করতে থাকবে। তখন আগুনের সিন্দুক বহনকারী লোকটিকে জিজ্ঞাসা করা হবে, এই হতভাগা লোকটির কি হল যে, আমাদের কষ্টের উপর আরও কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে? সে বলবেঃ এই হতভাগা লোকটি নিজের ঘাড়ে ঋণের বোঝা নিয়ে মারা গিয়েছে অথচ তা আদায়ের অথবা পরিশোধের কোন ব্যবস্থা করে আসেনি। হাদীসের। শেষ পর্যন্ত।
(হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া এবং তাবারানী একটি দুর্বল সনদে বর্ণনা করেছেন। 'গীবত' অধ্যায়ে ইনশা আল্লাহ্ পূর্ণ হাদীসটি আসবে।)
(হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া এবং তাবারানী একটি দুর্বল সনদে বর্ণনা করেছেন। 'গীবত' অধ্যায়ে ইনশা আল্লাহ্ পূর্ণ হাদীসটি আসবে।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2799- وَعَن شفي بن ماتع الأصبحي رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أَرْبَعَة يُؤْذونَ أهل النَّار على مَا بهم من الْأَذَى يسعون مَا بَين الْحَمِيم والجحيم يدعونَ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُور يَقُول بعض أهل النَّار لبَعض مَا بَال هَؤُلَاءِ قد آذونا على مَا بِنَا من الْأَذَى
قَالَ فَرجل مُعَلّق عَلَيْهِ تَابُوت من جمر وَرجل يجر أمعاءه وَرجل يسيل فوه قَيْحا ودما وَرجل يَأْكُل لَحْمه فَيُقَال لصَاحب التابوت مَا بَال الْأَبْعَد قد آذَانا على مَا بِنَا من الْأَذَى فَيَقُول إِن الْأَبْعَد مَاتَ وَفِي عُنُقه أَمْوَال النَّاس لَا يجد لَهَا قَضَاء أَو وَفَاء
الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن أبي
الدُّنْيَا وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد لين وَيَأْتِي بِتَمَامِهِ فِي الْغَيْبَة إِن شَاءَ الله تَعَالَى
قَالَ فَرجل مُعَلّق عَلَيْهِ تَابُوت من جمر وَرجل يجر أمعاءه وَرجل يسيل فوه قَيْحا ودما وَرجل يَأْكُل لَحْمه فَيُقَال لصَاحب التابوت مَا بَال الْأَبْعَد قد آذَانا على مَا بِنَا من الْأَذَى فَيَقُول إِن الْأَبْعَد مَاتَ وَفِي عُنُقه أَمْوَال النَّاس لَا يجد لَهَا قَضَاء أَو وَفَاء
الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن أبي
الدُّنْيَا وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد لين وَيَأْتِي بِتَمَامِهِ فِي الْغَيْبَة إِن شَاءَ الله تَعَالَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮০০
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৮০০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ মুমিনের আত্মা তার ঋণের কারণে বন্দী অবস্থায় থাকে, যে পর্যন্ত না তার পক্ষ থেকে এ ঋণ পরিশোধ করা হয়।
(হাদীসটি আহমদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান। ইবন মাজাহও হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ মুমিনের আত্মা বন্দী দশায় থাকে, যে পর্যন্ত তার উপর সামান্য ঋণও থাকে। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।)
(হাদীসটি আহমদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান। ইবন মাজাহও হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ মুমিনের আত্মা বন্দী দশায় থাকে, যে পর্যন্ত তার উপর সামান্য ঋণও থাকে। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহ।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2800- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ نفس الْمُؤمن معلقَة بِدِينِهِ حَتَّى يقْضى عَنهُ
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَلَفظه قَالَ نفس الْمُؤمن معلقَة مَا كَانَ عَلَيْهِ دين
وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَلَفظه قَالَ نفس الْمُؤمن معلقَة مَا كَانَ عَلَيْهِ دين
وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮০১
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৮০১. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি মারা গেল। আমরা তাকে গোসল দিলাম, কাফন পরিয়ে সুগন্ধি মেখে দিলাম। অতঃপর তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট আসলাম, যেন তিমি জানাযা পড়িয়ে দেন। আমরা বললাম, আপনি কি এ লোকটির জানাযা পড়ে দেবেন? তিনি এক কদম আগ্রসর হলেন অতঃপর বললেন, তার যিম্মায় কি কারো পাওনা আছে? আমরা বললাম জ্বী হ্যাঁ, দু'দীনার ঋণ রয়েছে। তিনি তখন ফিরে আসলেন। এ সময় আবু কাতাদা এ ঋণ আদায়ের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। তাই আমরা রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট গেলাম। আবু কাতাদা বললেনঃ এ দু'টি দীনারের দায়িত্ব আমি গ্রহণ করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেন তাহলে কি পাওনাদারের হক আল্লাহ্ আদায় করে দিলেন এবং মৃত ব্যক্তিটিও দায়মুক্ত হয়ে গেল? আবু কাতাদা বললেন, জ্বী হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন তার জানাযা আদায় করলেন। এ ঘটনার দুদিন পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, দীনার দু'টির কি হল? আমি বললাম, গতকালই তো মাত্র লোকটি মারা গেল। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) পরদিন আবার জিজ্ঞাসা করলেন। আবু কাতাদা বললেন, আমি এগুলো পরিশোধ করে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন এখন তার দেহ শীতল হয়েছে।
(হাদীসাটি আহমদ একটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। হাকিম এবং দারা কুতনীও এটি বর্ণনা করেন। হাকিম বললেন, হাদীসটি সহীহ সনদবিশিষ্ট। আবু দাউদ এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসাটি আহমদ একটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। হাকিম এবং দারা কুতনীও এটি বর্ণনা করেন। হাকিম বললেন, হাদীসটি সহীহ সনদবিশিষ্ট। আবু দাউদ এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2801- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ توفّي رجل فغسلناه وكفناه وحنطناه ثمَّ أَتَيْنَا بِهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ليُصَلِّي عَلَيْهِ فَقُلْنَا تصلي عَلَيْهِ فخطا خطْوَة ثمَّ قَالَ أعليه دين قُلْنَا دِينَارَانِ فَانْصَرف فتحملهما أَبُو قَتَادَة فأتيناه فَقَالَ أَبُو قَتَادَة الديناران عَليّ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قد أوفى الله حق الْغَرِيم وبرىء مِنْهُمَا الْمَيِّت قَالَ نعم فصلى عَلَيْهِ ثمَّ قَالَ بعد ذَلِك بيومين مَا فعل الديناران قلت إِنَّمَا مَاتَ أمس
قَالَ فَعَاد إِلَيْهِ من الْغَد فَقَالَ قد قضيتهما فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْآن بردت جلدته
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَالْحَاكِم وَالدَّارَقُطْنِيّ وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه بِاخْتِصَار
قَالَ فَعَاد إِلَيْهِ من الْغَد فَقَالَ قد قضيتهما فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْآن بردت جلدته
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَالْحَاكِم وَالدَّارَقُطْنِيّ وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه بِاخْتِصَار
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮০২
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৮০২. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট কোন জানাযা আসলে তিনি লোকটির 'আমল সম্পর্কে তেমন জিজ্ঞাসাবাদ করতেন না, কিন্তু তার যিম্মায় কোন ঋণ রয়েছে কিনা, তা অবশ্যই জিজ্ঞাসা করতেন। যাদি বলা হতো যে, তার যিম্মায় ঋণ রয়েছে, তবে তিনি জানাযা পড়া থেকে বিরত থাকতেন। আর যদি বলা হতো যে, তার যিম্মায় কারো পাওনা নেই, তখন তিনি তাঁর জানাযা আদায় করতেন। একদিন একটি জানাযা নিয়ে আসা হল। তিনি যখন দাঁড়িয়ে আল্লাহু আকবার বলবেন তখন হঠাৎ জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের এ লোকটির যিম্মায় কি কোন ঋণ রয়েছে? লোকেরা বলল, জ্বী হ্যাঁ, দুটি দিনার। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) তখন পিছনে সরে গেলেন এবং বললেনঃ তোমরা তোমাদের সাথীর সালাতুল জানাযা আদায় করে ফেল। আলী (রা) তখন বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ। এ দু'টি দীনারের দায়িত্ব আমি গ্রহণ করে নিলাম। সে এর দায়িত্ব থেকে মুক্ত হয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সামনে অগ্রসর হলেন এবং জানাযা আদায় করলেন। অতঃপর আলী ইবন আবু তালিবকে বললেনঃ আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন, তুমি তোমার ভাইকে যেভাবে দায়মুক্ত করলে, আল্লাহ্ তোমাকে এভাবে মুক্ত করে দিন। মনে রাখবে, কোন ব্যক্তি যখন ঋণ নিয়ে মারা যায় তখন সে ঋণের কারণে বন্দীদশায় থাকে। আর যে ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তির গ্রীবামুক্তি করে দেয়, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তার গ্রীবামুক্তি করে দিবেন। একথা শুনে কেউ কেউ বলল, এটা কি কেবল আলী (রা)-এর জন্যই নির্দিষ্ট না সকল মুসলমানই এতে শরীক? তিনি বললেনঃ সকল মুসলমানের জন্যই এ সুসংবাদ।
(হাদীসটি দারা কুতনী বর্ণনা করেছেন। দারা কুতনী এ হাদীসটি উবায়দুল্লাহ ওয়াসসাফী সূত্রে ও অতিয়্যার মাধ্যমে আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি দারা কুতনী বর্ণনা করেছেন। দারা কুতনী এ হাদীসটি উবায়দুল্লাহ ওয়াসসাফী সূত্রে ও অতিয়্যার মাধ্যমে আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2802- وَرُوِيَ عَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا أُتِي بالجنازة لم يسْأَل عَن شَيْء من عمل الرجل وَيسْأل عَن دينه فَإِن قيل عَلَيْهِ دين كف عَن الصَّلَاة عَلَيْهِ وَإِن قيل لَيْسَ عَلَيْهِ دين صلى عَلَيْهِ فَأتي بِجنَازَة فَلَمَّا قَامَ ليكبر سَأَلَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هَل على صَاحبكُم دين قَالُوا دِينَارَانِ فَعدل عَنهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَ صلوا على صَاحبكُم فَقَالَ عَليّ رَضِي الله عَنهُ هما عَليّ يَا رَسُول الله برىء مِنْهُمَا فَتقدم رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فصلى عَلَيْهِ ثمَّ قَالَ لعَلي بن أبي طَالب جَزَاك الله خيرا فك الله رهانك كَمَا فَككت رهان أَخِيك
إِنَّه لَيْسَ من ميت يَمُوت وَعَلِيهِ دين إِلَّا وَهُوَ مُرْتَهن بِدِينِهِ وَمن فك رهان ميت فك الله رهانه يَوْم الْقِيَامَة فَقَالَ بَعضهم هَذَا لعَلي خَاصَّة أم للْمُسلمين عَامَّة قَالَ بل للْمُسلمين عَامَّة
رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيّ وَرَوَاهُ أَيْضا بِنَحْوِهِ عَن طَرِيق عبيد الله الْوَصَّافِي عَن عَطِيَّة عَن أبي سعيد
إِنَّه لَيْسَ من ميت يَمُوت وَعَلِيهِ دين إِلَّا وَهُوَ مُرْتَهن بِدِينِهِ وَمن فك رهان ميت فك الله رهانه يَوْم الْقِيَامَة فَقَالَ بَعضهم هَذَا لعَلي خَاصَّة أم للْمُسلمين عَامَّة قَالَ بل للْمُسلمين عَامَّة
رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيّ وَرَوَاهُ أَيْضا بِنَحْوِهِ عَن طَرِيق عبيد الله الْوَصَّافِي عَن عَطِيَّة عَن أبي سعيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮০৩
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৮০৩. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) এর নিকট জানাযা পড়ার জন্য একটি লাশ নিয়ে আসা হল। তিনি বললেনঃ তার যিম্মায় কি কোন ঋণ রয়েছে? লোকেরা বলল জ্বী, হ্যাঁ। নবী করীম (ﷺ) তখন বললেনঃ জিবরাঈল (আ) আমাকে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযা পড়তে নিষেধ করেছেন। অতঃপর বললেন, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি কবরে ঋণের দরুণ বন্দী অবস্থায় থাকে, যে পর্যন্ত না তার ঋণ আদায় করে দেয়া হয়।
(হাদীসটি আবূ ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেনঃ
আনাস বলেনঃ আমরা নবী করীম (ﷺ) এর নিকট ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তির জানাযা পড়ার জন্য তার লাশ নিয়ে আসা হল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এর যিম্মায় কি কোন ঋণ আছে? লোকেরা বলল, জ্বী হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এমন ব্যক্তির জানাযা পড়লে তোমাদের কি লাভ হবে, যার রূহটি কবরে বন্দী অবস্থায় থাকে এবং তার রূহ আকাশের দিকে উড়ে যেতে পারে না? তবে তোমাদের কেউ যদি তার ঋণ পরিশোধের যামিন হয়, তবে আমি দাঁড়িয়ে যাব এবং তার জানাযা আদায় করে দেব। কেননা তখন আমার জানাযা পাঠ তার উপকারে আসবে।
(হাফিয বলেনঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি এক সময় ঋণগ্রস্থ ব্যক্তির জানাযা পড়তেন না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এ বিধানটি রহিত হয়ে গিয়েছে।
যেমন মুসলিম প্রমুখ ইমামগণ হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট কোন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির শবদেহ (জানাযার জন্য) নিয়ে আসা হলে তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, সে কি ঋণ পরিশোধের মত কিছু রেখে গিয়েছে? যদি বলা হতো যে, ঋণ আদায়ের মত সম্পদ সে রেখে গিয়েছে, তবে তিনি তার জানাযা পড়তেন। অন্যথায় বলতেন। তোমরা তোমাদের সাথীটির জানাযা পড়ে নাও। অতঃপর আল্লাহ্ যখন রাজ্য জয়ের মাধ্যমে তাঁকে বিস্তর সম্পদ দান করলেন, তখন তিনি বলতেনঃ আমি মু'মিনদের নিকট তাদের নিজেদের চেয়েও অধিকতর ঘনিষ্ট। অতএব যে ব্যক্তি ঋণগ্রস্থ অবস্থায় মারা যাবে, সে ঋণ পরিশোধ করা আমার দায়িত্ব হবে। আর যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যাবে, সে সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য থাকবে।)
(হাদীসটি আবূ ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেনঃ
আনাস বলেনঃ আমরা নবী করীম (ﷺ) এর নিকট ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তির জানাযা পড়ার জন্য তার লাশ নিয়ে আসা হল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এর যিম্মায় কি কোন ঋণ আছে? লোকেরা বলল, জ্বী হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এমন ব্যক্তির জানাযা পড়লে তোমাদের কি লাভ হবে, যার রূহটি কবরে বন্দী অবস্থায় থাকে এবং তার রূহ আকাশের দিকে উড়ে যেতে পারে না? তবে তোমাদের কেউ যদি তার ঋণ পরিশোধের যামিন হয়, তবে আমি দাঁড়িয়ে যাব এবং তার জানাযা আদায় করে দেব। কেননা তখন আমার জানাযা পাঠ তার উপকারে আসবে।
(হাফিয বলেনঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি এক সময় ঋণগ্রস্থ ব্যক্তির জানাযা পড়তেন না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এ বিধানটি রহিত হয়ে গিয়েছে।
যেমন মুসলিম প্রমুখ ইমামগণ হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট কোন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির শবদেহ (জানাযার জন্য) নিয়ে আসা হলে তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, সে কি ঋণ পরিশোধের মত কিছু রেখে গিয়েছে? যদি বলা হতো যে, ঋণ আদায়ের মত সম্পদ সে রেখে গিয়েছে, তবে তিনি তার জানাযা পড়তেন। অন্যথায় বলতেন। তোমরা তোমাদের সাথীটির জানাযা পড়ে নাও। অতঃপর আল্লাহ্ যখন রাজ্য জয়ের মাধ্যমে তাঁকে বিস্তর সম্পদ দান করলেন, তখন তিনি বলতেনঃ আমি মু'মিনদের নিকট তাদের নিজেদের চেয়েও অধিকতর ঘনিষ্ট। অতএব যে ব্যক্তি ঋণগ্রস্থ অবস্থায় মারা যাবে, সে ঋণ পরিশোধ করা আমার দায়িত্ব হবে। আর যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যাবে, সে সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য থাকবে।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2803- وَرُوِيَ عَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أُتِي بِجنَازَة ليُصَلِّي عَلَيْهَا قَالَ هَل عَلَيْهِ دين قَالُوا نعم فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن جِبْرِيل نهاني أَن أُصَلِّي على من عَلَيْهِ دين فَقَالَ إِن صَاحب الدّين مُرْتَهن فِي قَبره حَتَّى يقْضى عَنهُ دينه
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ وَلَفظه قَالَ كُنَّا عِنْد النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَأتي بِرَجُل يُصَلِّي عَلَيْهِ فَقَالَ هَل على صَاحبكُم دين قَالُوا نعم
قَالَ فَمَا ينفعكم أَن أُصَلِّي على رجل روحه مُرْتَهن فِي قَبره لَا تصعد روحه إِلَى السَّمَاء فَلَو ضمن رجل دينه قُمْت فَصليت عَلَيْهِ فَإِن صَلَاتي تَنْفَعهُ
قَالَ الْحَافِظ قد صَحَّ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه كَانَ لَا يُصَلِّي على الْمَدِين ثمَّ نسخ ذَلِك
فروى مُسلم وَغَيره من حَدِيث أبي هُرَيْرَة وَغَيره أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يُؤْتى بِالرجلِ الْمَيِّت عَلَيْهِ الدّين فَيسْأَل هَل ترك لدينِهِ قَضَاء فَإِن حدث أَنه ترك وَفَاء صلى عَلَيْهِ وَإِلَّا قَالَ صلوا على صَاحبكُم فَلَمَّا فتح الله عَلَيْهِ الْفتُوح قَالَ أَنا أولى بِالْمُؤْمِنِينَ من أنفسهم فَمن توفّي وَعَلِيهِ دين فعلي قَضَاؤُهُ وَمن ترك مَالا فلورثته
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ وَلَفظه قَالَ كُنَّا عِنْد النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَأتي بِرَجُل يُصَلِّي عَلَيْهِ فَقَالَ هَل على صَاحبكُم دين قَالُوا نعم
قَالَ فَمَا ينفعكم أَن أُصَلِّي على رجل روحه مُرْتَهن فِي قَبره لَا تصعد روحه إِلَى السَّمَاء فَلَو ضمن رجل دينه قُمْت فَصليت عَلَيْهِ فَإِن صَلَاتي تَنْفَعهُ
قَالَ الْحَافِظ قد صَحَّ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه كَانَ لَا يُصَلِّي على الْمَدِين ثمَّ نسخ ذَلِك
فروى مُسلم وَغَيره من حَدِيث أبي هُرَيْرَة وَغَيره أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يُؤْتى بِالرجلِ الْمَيِّت عَلَيْهِ الدّين فَيسْأَل هَل ترك لدينِهِ قَضَاء فَإِن حدث أَنه ترك وَفَاء صلى عَلَيْهِ وَإِلَّا قَالَ صلوا على صَاحبكُم فَلَمَّا فتح الله عَلَيْهِ الْفتُوح قَالَ أَنا أولى بِالْمُؤْمِنِينَ من أنفسهم فَمن توفّي وَعَلِيهِ دين فعلي قَضَاؤُهُ وَمن ترك مَالا فلورثته
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮০৪
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ধনী ব্যক্তির পক্ষে পাওনা আদায়ে টালবাহানা করা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং পাওনাদারকে খুশি করার প্রতি উৎসাহ দান
২৮০৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ধনী ব্যক্তির পাওনা আদায়ে টালবাহানা করা যুলম স্বরূপ। আর তোমাদের কাউকে যখন কোন সামর্থ্যবান ব্যক্তির হাওয়ালা করা হয়, তখন সে যেন যামিন হয়ে যায়।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من مطل الْغَنِيّ وَالتَّرْغِيب فِي إرضاء صَاحب الدّين
2804- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مطل الْغَنِيّ ظلم وَإِذا أتبع أحدكُم على مَلِيء فَليتبعْ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮০৫
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ধনী ব্যক্তির পক্ষে পাওনা আদায়ে টালবাহানা করা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং পাওনাদারকে খুশি করার প্রতি উৎসাহ দান
২৮০৫. হযরত আমর ইবনুশ শারীদ সূত্রে তাঁর পিতা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সামর্থ্যবান ব্যক্তির পাওনা আদায়ে টালবাহানা করা তার সম্ভ্রম ও সম্পদের নিরাপত্তা বিনষ্ট করে দেয়।*
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর সহীহ গ্রন্থে এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
*সামর্থ্যবান ব্যক্তি টালবাহানা করলে তার ব্যাপারে এ আলোচনার অবকাশ সৃষ্টি হয় যে, লোকটি লেনদেনের ব্যাপারে ভাল নয় এবং তাকে জেলে বন্দী করে শাস্তি দেয়া যায়।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর সহীহ গ্রন্থে এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
*সামর্থ্যবান ব্যক্তি টালবাহানা করলে তার ব্যাপারে এ আলোচনার অবকাশ সৃষ্টি হয় যে, লোকটি লেনদেনের ব্যাপারে ভাল নয় এবং তাকে জেলে বন্দী করে শাস্তি দেয়া যায়।
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من مطل الْغَنِيّ وَالتَّرْغِيب فِي إرضاء صَاحب الدّين
2805- وَعَن عَمْرو بن الشريد عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لي الْوَاجِد
يحل عرضه وَمَاله
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
يحل عرضه وَمَاله
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮০৬
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ধনী ব্যক্তির পক্ষে পাওনা আদায়ে টালবাহানা করা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং পাওনাদারকে খুশি করার প্রতি উৎসাহ দান
২৮০৬. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্ যালিম ধনী, বৃদ্ধ মূর্খ এবং অহংকারী দরিদ্রকে ভালবাসেন না।
অপর এক বর্ণনায় রয়েছেঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যালিম ধনীকে, মূর্খ বৃদ্ধকে এবং অহংকারী দরিদ্রকে ঘৃণা করেন।
(হাদীসটি বাযযার এবং তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' হারিস আওয়ার সূত্রে হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। হারিসকে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। অন্য হাদীসের পোষকতায় তাঁর বর্ণনায় কোন দোষ নেই।)
অপর এক বর্ণনায় রয়েছেঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যালিম ধনীকে, মূর্খ বৃদ্ধকে এবং অহংকারী দরিদ্রকে ঘৃণা করেন।
(হাদীসটি বাযযার এবং তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' হারিস আওয়ার সূত্রে হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। হারিসকে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। অন্য হাদীসের পোষকতায় তাঁর বর্ণনায় কোন দোষ নেই।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من مطل الْغَنِيّ وَالتَّرْغِيب فِي إرضاء صَاحب الدّين
2806- وَعَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لَا يحب الله الْغَنِيّ الظلوم وَلَا الشَّيْخ الجهول وَلَا الْفَقِير المختال
وَفِي رِوَايَة إِن الله يبغض الْغَنِيّ الظلوم وَالشَّيْخ الجهول والعائل المختال
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة الْحَارِث الْأَعْوَر عَن عَليّ والْحَارث وثق وَلَا بَأْس بِهِ فِي المتابعات
وَفِي رِوَايَة إِن الله يبغض الْغَنِيّ الظلوم وَالشَّيْخ الجهول والعائل المختال
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة الْحَارِث الْأَعْوَر عَن عَليّ والْحَارث وثق وَلَا بَأْس بِهِ فِي المتابعات
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮০৭
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ধনী ব্যক্তির পক্ষে পাওনা আদায়ে টালবাহানা করা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং পাওনাদারকে খুশি করার প্রতি উৎসাহ দান
২৮০৭. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ তিন প্রকার মানুষকে আল্লাহ্ ভালবাসেন এবং তিন প্রকার লোককে তিনি ঘৃণা করেন। এরপর পূর্ণ হাদীসটি উল্লেখ করে শেষাংশে বললেনঃ যে তিন ব্যক্তিকে আল্লাহ্ ঘৃণা করেন, তারা হলঃ বৃদ্ধ ব্যভিচারী, অহংকারী দরিদ্র এবং যালিম ধনী।
(হাদীসটি আবূ দাউদ ও ইব্ন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁদেরই। নাসাঈ, ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে, তিরমিযী এবং হাকিমও হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেও উল্লেখ করেছেন।)
(হাদীসটি আবূ দাউদ ও ইব্ন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁদেরই। নাসাঈ, ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে, তিরমিযী এবং হাকিমও হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেও উল্লেখ করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من مطل الْغَنِيّ وَالتَّرْغِيب فِي إرضاء صَاحب الدّين
2807- وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ثَلَاثَة يُحِبهُمْ الله وَثَلَاثَة يبغضهم الله فَذكر الحَدِيث إِلَى أَن قَالَ وَالثَّلَاثَة الَّذين يبغضهم الله الشَّيْخ الزَّانِي وَالْفَقِير المختال والغني الظلوم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهما وَرَوَاهُ بِنَحْوِهِ النَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالتِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم وصححاه
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهما وَرَوَاهُ بِنَحْوِهِ النَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالتِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم وصححاه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮০৮
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ধনী ব্যক্তির পক্ষে পাওনা আদায়ে টালবাহানা করা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং পাওনাদারকে খুশি করার প্রতি উৎসাহ দান
২৮০৮. হযরত হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)-এর স্ত্রী খাওলা বিনতে কায়স (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ ঐ জাতিকে পবিত্র করেন না, যে জাতির দুর্বল লোকগণ তাদের শক্তিশালীদের থেকে নিজেদের অধিকার বেগ না পেয়ে আদায় করতে পারে না। এরপর তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তির পাওনাদার তার নিকট থেকে সন্তুষ্ট চিত্তে ফিরে যায়, পৃথিবীর সকল প্রাণী এবং পানির মাছও তার জন্য দু'আ করতে থাকে। আর যে ব্যক্তির পাওনাদার তার নিকট থেকে অসন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যায়, তার আমলনামায় প্রতিদিনে ও প্রতিরাতে, প্রতি জুমুআয়, প্রতি সপ্তাহে এবং প্রতি মাসে যুলমের পাপ লিখা হয়।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীরে' বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীরে' বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من مطل الْغَنِيّ وَالتَّرْغِيب فِي إرضاء صَاحب الدّين
2808- وَرُوِيَ عَن خَوْلَة بنت قيس امْرَأَة حَمْزَة بن عبد الْمطلب رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا قدس الله أمة لَا يَأْخُذ ضعيفها الْحق من قويها غير متعتع ثمَّ قَالَ من انْصَرف غَرِيمه عَنهُ وَهُوَ رَاض صلت عَلَيْهِ دَوَاب الأَرْض وَنون المَاء وَمن انْصَرف غَرِيمه وَهُوَ ساخط كتب عَلَيْهِ فِي كل يَوْم وَلَيْلَة وجمعة وَشهر ظلم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮০৯
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ধনী ব্যক্তির পক্ষে পাওনা আদায়ে টালবাহানা করা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং পাওনাদারকে খুশি করার প্রতি উৎসাহ দান
২৮০৯. উক্ত হযরত খাওলা বিন্ত কায়স (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, বনু সায়িদাহ গোত্রের জনৈক ব্যক্তির রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট এক ওসাক খেজুর পাওনা ছিল। লোকটি তাঁর কাছে এর তাগাদা দিতে আসল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জনৈক আনসারী ব্যক্তিকে তার পাওনাটি আদায় করে দিতে বললেন। আনসারী লোকটি তার পাওনা খেজুরের চেয়ে নিম্নমানের খেজুর দিয়ে তা আদায় করতে চাইল, কিন্তু সে তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করল। আনসারী লোকটি তখন বলে উঠলঃ তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর জিনিসটি প্রত্যাখ্যান করছ? সে বলল, হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর চেয়ে অধিক ন্যায়পরায়ণ আর কে আছেন? এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ এর চক্ষুদ্বয় অশ্রু সজল হয়ে উঠল। তিনি বললেন, লোকটি যথার্থই বলেছে। আমার চেয়ে অধিক ন্যায়পরায়ণ আর কে হবে? আল্লাহ ঐ উম্মতকে পবিত্র করবেন না, যার দুর্বলগণ শক্তিশালীদের নিকট থেকে তাদের অধিকার আদায় করতে পারবে না এবং তাদের উপর চাপ প্রয়োগও করতে পারবে না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে খাওলা। তুমি সঠিক পরিমাপে পূর্ণরূপে তাকে তার পাওনা চুকিয়ে দাও। কেননা কোন পাওনাদার যখন তার পাওনা নিয়ে খুশি মনে বেরিয়ে যায়, তখন পৃথিবীর সকল প্রাণী এবং সাগরের মাছ পর্যন্ত তার জন্য দু'আ করতে থাকে। আর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে বান্দা তার পাওনাদারকে বার বার ফিরিয়ে দেয়, আল্লাহ্ প্রতিদিন এবং প্রতি রাতে তার আমলনামায় গুনাহ্ লিখতে থাকেন।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর আওসাতে ও কবীরে হিব্বান ইবন আলী সূত্রে বর্ণনা করেছেন। অবশ্য হিব্বানের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম আহমদ এটি উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপই হযরত আয়েশা (রা)-এর হাদীস হিসেবে উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর আওসাতে ও কবীরে হিব্বান ইবন আলী সূত্রে বর্ণনা করেছেন। অবশ্য হিব্বানের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম আহমদ এটি উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপই হযরত আয়েশা (রা)-এর হাদীস হিসেবে উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من مطل الْغَنِيّ وَالتَّرْغِيب فِي إرضاء صَاحب الدّين
2809- وعنها رَضِي الله عَنْهَا قَالَت كَانَ على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وسق من تمر لرجل من بني سَاعِدَة فَأَتَاهُ يَقْتَضِيهِ فَأمر رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رجلا من الْأَنْصَار أَن يَقْضِيه فقضاه تَمرا دون تمره فَأبى أَن يقبله فَقَالَ أترد على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ نعم وَمن أَحَق بِالْعَدْلِ من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فاكتحلت عينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بدموعه ثمَّ قَالَ صدق وَمن أَحَق بِالْعَدْلِ مني لَا قدس الله أمة لَا يَأْخُذ ضعيفها حَقه من شديدها وَلَا يتعتعه ثمَّ قَالَ يَا خَوْلَة عديه واقضيه فَإِنَّهُ لَيْسَ من غَرِيم يخرج من عِنْد غَرِيمه رَاضِيا إِلَّا صلت عَلَيْهِ دَوَاب
الأَرْض وَنون الْبحار وَلَيْسَ من عبد يلوي غَرِيمه وَهُوَ يجد إِلَّا كتب الله عَلَيْهِ فِي كل يَوْم وَلَيْلَة إِثْمًا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْكَبِير من رِوَايَة حبَان بن عَليّ وَاخْتلف فِي توثيقه وَرَوَاهُ بِنَحْوِهِ الإِمَام أَحْمد من حَدِيث عَائِشَة بِإِسْنَاد جيد قوي
الأَرْض وَنون الْبحار وَلَيْسَ من عبد يلوي غَرِيمه وَهُوَ يجد إِلَّا كتب الله عَلَيْهِ فِي كل يَوْم وَلَيْلَة إِثْمًا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْكَبِير من رِوَايَة حبَان بن عَليّ وَاخْتلف فِي توثيقه وَرَوَاهُ بِنَحْوِهِ الإِمَام أَحْمد من حَدِيث عَائِشَة بِإِسْنَاد جيد قوي
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮১০
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ধনী ব্যক্তির পক্ষে পাওনা আদায়ে টালবাহানা করা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং পাওনাদারকে খুশি করার প্রতি উৎসাহ দান
২৮১০. হযরত আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ঐ জাতি পবিত্র ও সম্মানিত হবে না যার দুর্বলদের অধিকার বিনা বেগে আদায় করা হয় না।
(হাদীসটি আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ হাদীসের বর্ণনাকারীদের মতই। ইবন মাজাহ এ হাদীসটি একটি ঘটনার সূত্রে নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ
হযরত আবু সাঈদ বলেনঃ জনৈক বেদুঈন নবী করীম (ﷺ) -এর নিকট তার পাওনা আদায়ের তাগাদা দিকে আসল। সে এসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে কঠোর আচরণ করল, এমনকি সে বলে উঠল। তুমি যদি আমার পাওনা আদায় না কর, তাহলে আমি তোমার উপর শক্তি প্রয়োগ করব। সাহাবীগণ তাকে ধমক দিলেন এবং বললেনঃ সর্বনাশ। তুমি জান, কার সাথে কথা বলছ? লোকটি বললঃ আমি তো আমার অধিকার আদায় করতে চাচ্ছি। নবী করীম (ﷺ) তখন বললেনঃ তোমরা কেন পাওনাদারের সঙ্গে থাকছ না? অতঃপর তিনি খাওলা বিনত কায়স-এর কাছে দূত পাঠালেন এবং তাঁকে বললেন। তোমার নিকট যদি খেজুর থাকে তবে আমাকে ধার হিসাবে দাও, আমার নিকট যখন খেজুর আসবে, তোমাকে পরিশোধ করে দেব। খাওলা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আমার পিতামাতা আপনার উপর উৎসর্গিত হোন। আমি তাই করব। অতঃপর খাওলা তাঁকে খেজুর ধার দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেদুঈন লোকটির পাওনা পরিশোধ করে দিলেন এবং তাকে আহার্য দ্বারা আপ্যায়ন করলেন। লোকটি বলল, আপনি আমাকে পরিপূর্ণ দিয়েছেন, আল্লাহও আপনাকে পরিপূর্ণ দান করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন। ওরা হ'ল উত্তম মানুষ (যারা পরিপূর্ণভাবে পাওনা আদায় করে দেয়)। মনে রাখবে, ঐ জাতিকে পবিত্র ও সম্মানিত করা হবে না, যার দুর্বলগণ বেগ না পেয়ে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে পারে না।
(হাদীসটি বাযযার হযরত আয়েশা (রা)-এর বর্ণনা থেকে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন। তাবারানী এটি হযরত ইবন মাসউদ (রা)-এর বর্ণনা থেকে উত্তম সূত্রে বর্ণনা করেন।)
(হাদীসটি আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ হাদীসের বর্ণনাকারীদের মতই। ইবন মাজাহ এ হাদীসটি একটি ঘটনার সূত্রে নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ
হযরত আবু সাঈদ বলেনঃ জনৈক বেদুঈন নবী করীম (ﷺ) -এর নিকট তার পাওনা আদায়ের তাগাদা দিকে আসল। সে এসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে কঠোর আচরণ করল, এমনকি সে বলে উঠল। তুমি যদি আমার পাওনা আদায় না কর, তাহলে আমি তোমার উপর শক্তি প্রয়োগ করব। সাহাবীগণ তাকে ধমক দিলেন এবং বললেনঃ সর্বনাশ। তুমি জান, কার সাথে কথা বলছ? লোকটি বললঃ আমি তো আমার অধিকার আদায় করতে চাচ্ছি। নবী করীম (ﷺ) তখন বললেনঃ তোমরা কেন পাওনাদারের সঙ্গে থাকছ না? অতঃপর তিনি খাওলা বিনত কায়স-এর কাছে দূত পাঠালেন এবং তাঁকে বললেন। তোমার নিকট যদি খেজুর থাকে তবে আমাকে ধার হিসাবে দাও, আমার নিকট যখন খেজুর আসবে, তোমাকে পরিশোধ করে দেব। খাওলা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আমার পিতামাতা আপনার উপর উৎসর্গিত হোন। আমি তাই করব। অতঃপর খাওলা তাঁকে খেজুর ধার দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেদুঈন লোকটির পাওনা পরিশোধ করে দিলেন এবং তাকে আহার্য দ্বারা আপ্যায়ন করলেন। লোকটি বলল, আপনি আমাকে পরিপূর্ণ দিয়েছেন, আল্লাহও আপনাকে পরিপূর্ণ দান করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন। ওরা হ'ল উত্তম মানুষ (যারা পরিপূর্ণভাবে পাওনা আদায় করে দেয়)। মনে রাখবে, ঐ জাতিকে পবিত্র ও সম্মানিত করা হবে না, যার দুর্বলগণ বেগ না পেয়ে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে পারে না।
(হাদীসটি বাযযার হযরত আয়েশা (রা)-এর বর্ণনা থেকে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন। তাবারানী এটি হযরত ইবন মাসউদ (রা)-এর বর্ণনা থেকে উত্তম সূত্রে বর্ণনা করেন।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من مطل الْغَنِيّ وَالتَّرْغِيب فِي إرضاء صَاحب الدّين
2810- وَعَن أبي سعيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا قدست أمة لَا يعْطى الضَّعِيف فِيهَا حَقه غير متعتع
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح
وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه بِقصَّة وَلَفظه قَالَ جَاءَ أَعْرَابِي إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يتقاضاه دينا كَانَ عَلَيْهِ فَاشْتَدَّ عَلَيْهِ حَتَّى قَالَ أخرج عَلَيْك إِلَّا قضيتني فانتهره أَصْحَابه فَقَالُوا وَيحك تَدْرِي من تكلم فَقَالَ إِنِّي أطلب حَقي فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هلا مَعَ صَاحب الْحق كُنْتُم ثمَّ أرسل إِلَى خَوْلَة بنت قيس فَقَالَ لَهَا إِن كَانَ عنْدك تمر فأقرضينا حَتَّى يأتينا تمر فنقضيك فَقَالَت نعم بِأبي أَنْت وَأمي يَا رَسُول الله فاقترضه فَقضى الْأَعرَابِي وأطعمه فَقَالَ أوفيت أوفى الله لَك فَقَالَ أُولَئِكَ خِيَار النَّاس إِنَّه لَا قدست أمة لَا يَأْخُذ الضَّعِيف فِيهَا حَقه غير متعتع
رَوَاهُ الْبَزَّار من حَدِيث عَائِشَة مُخْتَصرا وَالطَّبَرَانِيّ من حَدِيث ابْن مَسْعُود بِإِسْنَاد جيد
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح
وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه بِقصَّة وَلَفظه قَالَ جَاءَ أَعْرَابِي إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يتقاضاه دينا كَانَ عَلَيْهِ فَاشْتَدَّ عَلَيْهِ حَتَّى قَالَ أخرج عَلَيْك إِلَّا قضيتني فانتهره أَصْحَابه فَقَالُوا وَيحك تَدْرِي من تكلم فَقَالَ إِنِّي أطلب حَقي فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هلا مَعَ صَاحب الْحق كُنْتُم ثمَّ أرسل إِلَى خَوْلَة بنت قيس فَقَالَ لَهَا إِن كَانَ عنْدك تمر فأقرضينا حَتَّى يأتينا تمر فنقضيك فَقَالَت نعم بِأبي أَنْت وَأمي يَا رَسُول الله فاقترضه فَقضى الْأَعرَابِي وأطعمه فَقَالَ أوفيت أوفى الله لَك فَقَالَ أُولَئِكَ خِيَار النَّاس إِنَّه لَا قدست أمة لَا يَأْخُذ الضَّعِيف فِيهَا حَقه غير متعتع
رَوَاهُ الْبَزَّار من حَدِيث عَائِشَة مُخْتَصرا وَالطَّبَرَانِيّ من حَدِيث ابْن مَسْعُود بِإِسْنَاد جيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮১১
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বন্দী ব্যক্তিকে কিছু দু'আ বাক্য পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৮১১. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক চুক্তিবদ্ধ গোলাম তাঁর নিকট এসে বললঃ আমি বন্দীদশা থেকে মুক্তির জন্য মালিকের সাথে কৃত চুক্তির অর্থ আদায়ে অক্ষম হয়ে পড়েছি। অতএব আমাকে কিছু সাহায্য করুন। আলী (রা) বললেন। আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দেব না, যা রাসূসুল্লাহ (ﷺ) আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন? তোমার উপর যদি সবীর পাহাড় সমতুল্য ঋণও থাকে, তবুও (এগুলো পাঠ করলে) আল্লাহ্ তোমার পক্ষ থেকে তা আদায় করে দেবেন।
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
হে আল্লাহ! তোমার প্রদত্ত হালাল রিযককে আমার জন্য যথেষ্ট করে দাও এবং হারাম থেকে নিবৃত রাখ। আর তোমার অপার অনুগ্রহে আমাকে তুমি ছাড়া অপর সকল থেকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।"
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান-গরীব। হাকিমও হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ এর সনদ সহীহ।)
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
হে আল্লাহ! তোমার প্রদত্ত হালাল রিযককে আমার জন্য যথেষ্ট করে দাও এবং হারাম থেকে নিবৃত রাখ। আর তোমার অপার অনুগ্রহে আমাকে তুমি ছাড়া অপর সকল থেকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।"
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান-গরীব। হাকিমও হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ এর সনদ সহীহ।)
كتاب البيوع
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يقولهن الْمَدْيُون والمهموم والمكروب والمأسور
2811- عَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ أَن مكَاتبا جَاءَهُ فَقَالَ إِنِّي عجزت عَن مكاتبتي فأعني فَقَالَ أَلا أعلمك كَلِمَات علمنيهن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَو كَانَ عَلَيْك مثل جبل صبير دينا أَدَّاهُ الله عَنْك قل اللَّهُمَّ اكْفِنِي بحلالك عَن حرامك وأغنني بِفَضْلِك عَمَّن سواك
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক: