আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩১৭ টি

হাদীস নং: ২৩৫৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৫৫. হযরত রিফা'আ জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে ভ্রমণ করলাম। যখন কালীদ অথবা ক্বাদীদ নামক স্থানে পৌছলাম, তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং উত্তম। বাক্য উচ্চারণ করলেন। আর বললেন, আমি আল্লাহর নিকট সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, কোন ব্যক্তি যদি এ কথার সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল। অতঃপর সঠিক পেলে জীবন পরিচালনা করে, তবে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে।
(হাদীসটি আহমদ নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছন। আর এটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশবিশেষ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2355- وَعَن رِفَاعَة الْجُهَنِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ أَقبلنَا مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حَتَّى إِذا كُنَّا بالكديد أَو بِقديد فَحَمدَ الله وَقَالَ خيرا وَقَالَ أشهد عِنْد الله لَا يَمُوت عبد يشْهد أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَأَنِّي رَسُول الله صدقا من قلبه ثمَّ يسدد إِلَّا سلك فِي الْجنَّة

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَهُوَ قِطْعَة من حَدِيث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৫৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৫৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যখনই ইখলাসের সাথে কালেমা পাঠ করে, তখন এর জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এমন কি তা আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, যতক্ষণ কবীরা গুনাহসমূহ হতে বেঁচে থাকা হয়।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃঃ এটি হাসান-গরীব হাদীস।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2356- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا قَالَ عبد لَا إِلَه إِلَّا الله قطّ مخلصا إِلَّا فتحت لَهُ أَبْوَاب السَّمَاء حَتَّى يُفْضِي إِلَى الْعَرْش مَا اجْتنبت الْكَبَائِر

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৫৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৫৭. উক্ত হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলল, তার জীবনে কোন কোন দিন এটি উপকার করবে। তার উপর যে মুসীবতই আসুক না কেন, সর্বাগ্রে এটি তার কাজে আসবে।
(হাদীসটি বায্‌যার ও তাবারানী বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ হাদীসের বর্ণনাকারীদের মতই।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2357- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله نفعته يَوْمًا من دهره يُصِيبهُ قبل ذَلِك مَا أَصَابَهُ

رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৫৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৫৮. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ মূসা (আ) বলেছিলেনঃ প্রভূ! আমাকে এমন একটি বাক্য শিখিয়ে দাও, যার দ্বারা আমি তোমাকে স্মরণ করব ও তোমাকে ডাকব। আল্লাহ বলেন, তুমি বল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। মূসা (আ) বললেন, তোমার প্রত্যেক বান্দাই তো এটা বলে। আল্লাহ্ বললেন, বল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্। মূসা বললেনঃ আমি তো তোমার কাছে একটি বিশেষ জিনিস চাই, যা আমার বৈশিষ্ট্য হবে। আল্লাহ্ বললেন, হে মূসা। যদি সাত আকাশ ও সাত যমীনকে এক পাল্লায় রাখা হয় আর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহকে অপর পাল্লায় রাখা হয়, তবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর পাল্লাই ওজনে ভারী হয়ে যাবে।
(হাদীসটি নাসাঈ ও ইব্‌ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন। তাঁরা সবাই এটি দাররাজ... আবুল হায়সাম... আবু সাঈদ (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2358- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ قَالَ مُوسَى صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا رب عَلمنِي شَيْئا أذكرك بِهِ وأدعوك بِهِ قَالَ قل لَا إِلَه إِلَّا الله
قَالَ يَا رب كل عِبَادك يَقُول هَذَا قَالَ قل لَا إِلَه إِلَّا الله
قَالَ إِنَّمَا أُرِيد شَيْئا تخصني بِهِ قَالَ يَا مُوسَى لَو أَن السَّمَوَات السَّبع وَالْأَرضين السَّبع فِي كفة وَلَا إِلَه إِلَّا الله فِي كفة مَالَتْ بهم لَا إِلَه إِلَّا الله

رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم كلهم من طَرِيق دراج عَن أبي الْهَيْثَم عَنهُ وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৫৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৫৯. হযরত জাবির (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ শ্রেষ্ঠ যিকির হল, 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' আর শ্রেষ্ঠ দু'আ হল 'আলহামদু লিল্লাহ'।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ, নাসাঈ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন। তাঁরা সবাই কালহা ইবন খিরাশ সুত্রে জাবির (রা) থেকে বর্ণনা করেন। হাকিম বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2359- وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أفضل الذّكر لَا إِلَه إِلَّا الله وَأفضل الدُّعَاء الْحَمد لله

رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم كلهم من طَرِيق طَلْحَة بن خرَاش عَنهُ وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৬০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৬০. ইয়ালা ইবন শাদ্দাদ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা শাদ্দাদ ইবন আউস (রা) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর হাদীস বর্ণনার সময় উবাদা ইবন সামিত (রা)ও উপস্থিত ছিলেন এবং এর সত্যতা জ্ঞাপন করছিলেন। তিনি বলেছেনঃ আমরা একদিন নবী করীম (ﷺ) -এর নিকট ছিলাম। তিনি তখন বললেন, তোমাদের মধ্যে অপরিচিত অর্থাৎ আহলে কিতাবের কেউ রয়েছে কি? আমরা বললাম, জ্বী, না, যে আল্লাহর রাসূল। তিনি তখন দরজা বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দিলেন এবং বললেন, তোমরা হাত উঠাও এবং বল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আমরা কিছুক্ষণ হাত উঠিয়ে রাখলাম। একটু পরে তিনি বললেন, আলহামদুলিল্লাহ, হে আল্লাহ্। তুমি আমাকে এই বাক্য দিয়ে পাঠিয়েছ ও এটি পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছ, এর উপর জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছ। আর তুমি তো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কর না। তারপর তিনি বললেন, সুসংবাদ গ্রহণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে মার্জনা করে দিয়েছেন।
(হাদীসটি আহমদ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। তাবারানী প্রমুখও এটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2360- وَعَن يعلى بن شَدَّاد قَالَ حَدثنِي أبي شَدَّاد بن أَوْس رَضِي الله عَنهُ وَعبادَة بن الصَّامِت حَاضر يصدقهُ قَالَ كُنَّا عِنْد النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ هَل فِيكُم غَرِيب يَعْنِي أهل الْكتاب قُلْنَا لَا يَا رَسُول الله فَأمر بغلق الْبَاب وَقَالَ ارْفَعُوا أَيْدِيكُم وَقُولُوا لَا إِلَه إِلَّا الله فرفعنا أَيْدِينَا سَاعَة ثمَّ قَالَ الْحَمد لله اللَّهُمَّ إِنَّك بعثتني بِهَذِهِ الْكَلِمَة وأمرتني بهَا ووعدتني عَلَيْهَا الْجنَّة وَأَنت لَا تخلف الميعاد ثمَّ قَالَ أَبْشِرُوا فَإِن الله قد غفر لكم

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَالطَّبَرَانِيّ وَغَيرهمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৬১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৬১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা নিজেদের ঈমানকে নবায়ন কর। প্রশ্ন করা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আমরা কিভাবে ঈমানের নবায়ন করব? তিনি বললেন, অধিক পরিমাণে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠ কর।
(হাদীসটি আহমদ ও তাবারানী বর্ণনা করেছেন। আহমদ-এর সনদটি হাসান।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2361- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جددوا إيمَانكُمْ
قيل يَا رَسُول الله وَكَيف نجدد إيمَاننَا قَالَ أَكْثرُوا من قَول لَا إِلَه إِلَّا الله

رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ وَإسْنَاد أَحْمد حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৬২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৬২. হযরত আবুদল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরআনের বাণী "যে ব্যক্তি পুণ্য নিয়ে আসবে" এর অর্থ হল, যে ব্যক্তি “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ" নিয়ে আসবে। আর "যে ব্যক্তি পাপ নিয়ে আসবে" এর অর্থ হল "যে শিরক নিয়ে আসবে।"
(হাদীসটি হাকিম মাওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এটি বুখারী-মুসলিমের শর্তানুসারে সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2362- وَعَن عبد الله رَضِي الله عَنهُ من جَاءَ بِالْحَسَنَة قَالَ من جَاءَ بِلَا إِلَه إِلَّا الله وَمن جَاءَ بِالسَّيِّئَةِ قَالَ من جَاءَ بالشرك

رَوَاهُ الْحَاكِم مَوْقُوفا وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৬৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৬৩. হযরত আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি। আমি এমন একটি কালেমার কথা জানি যে, কোন বান্দা যদি এটি খাঁটি অন্তরে পাঠ করে এবং এর উপর মৃত্যুবরণ করে। তবে জাহান্নামের জন্যে সে হারাম হয়ে যাবে। সেটি হলঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এটি বুখারী-মুসলিমের শর্তানুসারে সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2363- وَعَن عَمْرو رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِنِّي لأعْلم كلمة لَا يَقُولهَا عبد حَقًا من قلبه فَيَمُوت على ذَلِك إِلَّا حرم على النَّار لَا إِلَه إِلَّا الله

رَوَاهُ الْحَاكِم
وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا وروياه بِنَحْوِهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৬৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৬৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা অধিক পরিমাণে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" সাক্ষ্য দান কর, এর পূর্বেই যে, তোমাদের ও এর মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দেয়া হবে।
(হাদীসটি আবূ ইয়ালা অত্যন্ত উত্তম ও শক্তিশালী সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2364- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَكْثرُوا من شَهَادَة أَن لَا إِلَه إِلَّا الله قبل أَن يُحَال بَيْنكُم وَبَينهَا

رَوَاهُ أَبُو يعلى بِإِسْنَاد جيد قوي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৬৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৬৫. হযরত মুয়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ জান্নাতের চাবি হল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর সাক্ষ্য দান।
(হাদীসটি আহমদ ও বাযযার বর্ণনা করেছেন)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2365- وَرُوِيَ عَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَفَاتِيح الْجنَّة شَهَادَة أَن لَا إِلَه إِلَّا الله

رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار
হাদীস নং: ২৩৬৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৬৬. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন বান্দা রাত্র-দিনের যে কোন মুহূর্তে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠ করে, তখন তার আমলনামায় পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়। এমনকি সে সমপরিমাণ পুণ্য নিয়ে শান্ত হয়।
(হাদীসটি আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2366- وَرُوِيَ عَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من عبد قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله فِي سَاعَة من ليل أَو نَهَار إِلَّا طمست مَا فِي الصَّحِيفَة من السَّيِّئَات حَتَّى تسكن إِلَى مثلهَا من الْحَسَنَات

رَوَاهُ أَبُو يعلى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৬৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৬৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ মহান আল্লাহর আরশের সামনে নূরের একটি খুঁটি রয়েছে। বান্দা যখন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে, তখন খুঁটিটি কাঁপতে থাকে। আল্লাহ্ তখন বলেন, তুমি স্থির হও। সে বলে, আমি কি করে স্থির হব অথচ এর প্রবক্তাকে এখনও মার্জনা করা হয়নি। আল্লাহ্ তখন বলেন, আমি তাকে মার্জনা করে দিলাম। এ সময় সে স্থির হয়ে যায়।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন আর এটি গরীব হাদীস।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2367- وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن لله تبَارك وَتَعَالَى عمودا من نور بَين يَدي الْعَرْش فَإِذا قَالَ العَبْد لَا إِلَه إِلَّا الله اهتز ذَلِك العمود فَيَقُول الله تبَارك وَتَعَالَى اسكن فَيَقُول كَيفَ أسكن وَلم تغْفر لقائلها فَيَقُول إِنِّي قد غفرت لَهُ فيسكن عِنْد ذَلِك

رَوَاهُ الْبَزَّار وَهُوَ غَرِيب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৬৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৬৮. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়ালারা কবরে এবং হাশরে নিঃসঙ্গতা অনুভব করবে না। আমি যেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহওয়ালাদেরকে দেখতে পাচ্ছি যে, তারা নিজেদের মাথা থেকে ধুলোবালি ঝাড়ছে আর বলছেঃ সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের থেকে দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়েছেন।
অন্য বর্ণনায় রয়েছে। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহওয়ালাদের মৃত্যুর সময় এবং কবরে কোন ভয়-ভীতি নেই।
(হাদীসটি তাবারানী ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়েই এটিই ইয়াহইয়া ইব্‌ন আবদুল হামীদ হিমানী সূত্রে বর্ণনা করেন। হাদীসটির পাঠ অপ্রসিদ্ধ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2368- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَيْسَ على أهل لَا إِلَه إِلَّا الله وَحْشَة فِي قُبُورهم وَلَا منشرهم وَكَأَنِّي أنظر إِلَى أهل لَا إِلَه إِلَّا الله وهم يَنْفضونَ التُّرَاب عَن رؤوسهم وَيَقُولُونَ الْحَمد لله الَّذِي أذهب عَنَّا الْحزن

وَفِي رِوَايَة لَيْسَ على أهل لَا إِلَه إِلَّا الله وَحْشَة عِنْد الْمَوْت وَلَا عِنْد الْقَبْر

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَالْبَيْهَقِيّ كِلَاهُمَا من رِوَايَة يحيى بن عبد الحميد الْحمانِي وَفِي مَتنه نَكَارَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৬৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৬৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে বলব না যে, নূহ (আ) তাঁর ছেলেকে কি ওসীয়ত করেছিলেন? সবাই বলল, জ্বী হ্যাঁ, বলুন। তিনি তখন বললেন, নূহ (আ) তাঁর ছেলেকে বলেছিলেনঃ হে বৎস। আমি তোমাকে দু'টি কাজ করার ওসীয়ত করছি আর দু'টি কাজ থেকে বারণ করছি। তোমাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করার ওসীয়ত করছি। কেননা এটি যদি এক পাল্লায় রাখা হয় আর সপ্ত আকাশ ও যমীন অপর পাল্লায় রাখা হয়, তবুও এটি ভারী হয়ে যাবে। আসমান-যমীন সব মিলে যদি একটি গোলক হয়ে যায়, তা হলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এটিকে ভেদ করে আল্লাহর নিকট পৌছে যাবে। তারপর তিনি সম্পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করলেন।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। ইবন ইসহাক ব্যতীত এর সকল বর্ণনাকারীই সহীহ গ্রন্থের হাদীস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য। এ হাদীসটি নাসাঈতে সালিহ ইবন সাঈদ... সুলায়মান ইবন ইয়াসার... জনৈক আনসারী সাহাবী থেকে, যাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি-মারফুরূপে বর্ণিত হয়েছে। হাকিম এটি আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর ভাষ্যটি হলঃ তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়ার নির্দেশ দিচ্ছি। কেননা আসমান-যমীন ও এগুলোর মধ্যস্থিত সবকিছুকে যদি এক পাল্লায় রাখা হয় আর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহকে অপর পাল্লায় রাখা হয়, তবেএ পাল্লাটিই আসমান-যমীনের চেয়ে ওজনে ভারী হয়ে যাবে। সকল আসমান-যমীন ও এগুলোর মধ্যস্থিত সবকিছু যদি একটি লোহার গোলকে পরিণত হয়ে যায় আর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহকে এগুলোর উপর রেখে দেয়া হয়, তবে এটি আসমান-যমীনকে ভেদ করে যাবে। আমি তোমাদেরকে "সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি" পাঠ করার নির্দেশ দিচ্ছি। কেননা এটি হল সকল জিনিসের তাসবীহ এবং এর বিনিময়েই সকল বস্তুকে জীবিকা প্রদান করা হয়।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2369- وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَيْضا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَلا أخْبركُم بِوَصِيَّة نوح ابْنه قَالُوا بلَى
قَالَ أوصى نوح ابْنه فَقَالَ لِابْنِهِ يَا بني إِنِّي أوصيك بِاثْنَتَيْنِ وأنهاك عَن اثْنَتَيْنِ أوصيك بقول لَا إِلَه إِلَّا الله فَإِنَّهَا لَو وضعت فِي كفة وَوضعت السَّمَوَات وَالْأَرْض فِي كفة لرجحت بِهن وَلَو كَانَت حَلقَة لقصمتهن حَتَّى تخلص إِلَى الله
فَذكر الحَدِيث
رَوَاهُ الْبَزَّار وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح إِلَّا ابْن إِسْحَاق وَهُوَ فِي النَّسَائِيّ عَن صَالح بن سعيد رَفعه إِلَى سُلَيْمَان بن يسَار إِلَى رجل من الْأَنْصَار لم يسمه
وَرَوَاهُ الْحَاكِم عَن عبد الله وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَلَفظه قَالَ وآمركما بِلَا إِلَه إِلَّا الله فَإِن السَّمَوَات وَالْأَرْض وَمَا فيهمَا لَو وضعت فِي كفة وَوضعت لَا إِلَه إِلَّا الله فِي الكفة الْأُخْرَى كَانَت أرجح مِنْهُمَا وَلَو أَن السَّمَوَات وَالْأَرْض وَمَا فيهمَا كَانَت حَلقَة فَوضعت لَا إِلَه إِلَّا الله عَلَيْهِمَا لقصمتهما وآمركما بسبحان الله وَبِحَمْدِهِ فَإِنَّهَا صَلَاة كل شَيْء وَبهَا يرْزق كل شَيْء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৭০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৭০. তিরমিযী হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ একবার 'সুবহানাল্লাহ' পাঠ মীযানের পাল্লায় অর্ধেক, 'আলহামদুলিল্লাহ' একে পূর্ণ করে দেয়। আর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর সামনে কোন অন্তরায় নেই যতক্ষণ না এটি আল্লাহর নিকট গিয়ে পৌঁছে।
(তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2370- وروى التِّرْمِذِيّ عَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ التَّسْبِيح نصف الْمِيزَان وَالْحَمْد لله تملؤه وَلَا إِلَه إِلَّا الله لَيْسَ لَهَا دون الله حجاب حَتَّى تخلص إِلَيْهِ

وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৭১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৭১. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃঃ ও কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা'আলা সমস্ত সৃষ্টি জগতের সম্মুখে আমার উম্মতের এক ব্যক্তিকে বিচারের জন্য উপস্থিত করবেন ও তার সামনে ৯৯টি ফাইল খুলে ধরবেন। এর প্রতিটি ফাইল দৃষ্টিসীমার শেষ পর্যন্ত বিস্তৃত আকারের হবে।
তারপর আল্লাহ বলবেন, তুমি কি এর মধ্য থেকে কোনটি অস্বীকার করবে? আমার সংরক্ষণকারী লিখকগণ কি তোমার উপর যুলুম করেছে? সে বলবে, জ্বী না প্রভূ! আল্লাহ তখন বলবেন, হ্যাঁ, আমার নিকট তোমার একটি পুণ্য আছে আর তোমার উপর তো আজ কোন প্রকার যুলম করা হবে না। এই বলে একটি চিরকূট বের করে আনা হবে, যার মধ্যে লিখা থাকবেঃ "আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।" আল্লাহ বলবেন, তুমি ওজনের ক্ষেত্রে উপস্থিত হও। সে বলবে, এ সকল ফাইলের সামনে এই ক্ষুদ্র চিরকুটের কি মূল্য হবে? আল্লাহ বলবেন, তোমার উপর যুলম তো করা হবে না। তারপর এই ফাইলগুলো এক পাল্লায় ও ঐ চিরকুটটি অপর পাল্লায় রাখা হবে। তখন ফাইলগুলো হালকা ও চিরকুটটি ভারী প্রতিপন্ন হবে। বস্তুত আল্লাহর নামের তুলনায় অন্য কোন জিনিস ভারী হতে পারে না।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃঃ এটি হাসান-গরীব। ইবন মাজাহ, ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে, হাকিম এবং বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2371- وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن العَاصِي رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الله يستخلص رجلا من أمتِي على رُؤُوس الْخَلَائق يَوْم الْقِيَامَة فينشر عَلَيْهِ تِسْعَة وَتِسْعين سجلا كل سجل مثل مد الْبَصَر ثمَّ يَقُول أتنكر من هَذَا شَيْئا أظلمك كتبتي الحافظون فَيَقُول لَا يَا رب فَيَقُول أَفَلَك عذر فَقَالَ لَا يَا رب فَيَقُول الله تَعَالَى بلَى إِن لَك عندنَا حَسَنَة فَإِنَّهُ لَا ظلم عَلَيْك الْيَوْم فَتخرج بطاقة فِيهَا أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَأشْهد أَن مُحَمَّدًا عَبده وَرَسُوله فَيَقُول احضر وزنك فَيَقُول يَا رب مَا هَذِه البطاقة مَعَ هَذِه السجلات فَقَالَ فَإنَّك لَا تظلم فتوضع السجلات فِي كفة والبطاقة فِي كفة فطاشت السجلات وثقلت البطاقة فَلَا يثقل مَعَ اسْم الله شَيْء

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৭২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু' বাক্যটি পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৩৭২. হযরত আবু আইয়ূব (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
"আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁর জনাই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।" দু'আটি দশবার পাঠ করল সে যেন বনী ইসমাঈলের চারটি দাসকে মুক্ত করে দিল।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ
2372- عَن أبي أَيُّوب رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير عشر مَرَّات كَانَ كمن أعتق أَرْبَعَة أنفس من ولد إِسْمَاعِيل

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৭৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু' বাক্যটি পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৩৭৩. আহমদ এবং তাবারানী এটি এভাবে বর্ণনা করেছেন। এ দু'আটি দশটি অথবা একটি দাস মুক্তির পুণ্যের সমান হবে। তাবারানী এরূপ শব্দমালায়ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেনঃ "বনী ইসমাঈলের দশটি দাসমুক্তির সমপরিমাণ পুণ্য লাভ হবে।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ
2373- وَرَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ فَقَالَا كن لَهُ عدل عشر رِقَاب أَو رَقَبَة على الشَّك فِيهِ وَقَالَ الطَّبَرَانِيّ فِي بعض أَلْفَاظه كن لَهُ كَعدْل عشر رِقَاب من ولد إِسْمَاعِيل عَلَيْهِ السَّلَام من غير شكّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৭৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু' বাক্যটি পাঠের প্রতি উৎসাহ দান
২৩৭৪. হযরত ইয়াকুব ইবন আসিম (র) সূত্রে দু'জন সাহাবী থেকে বর্ণিত যে, তাঁরা নবী করীম (ﷺ) -কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
দু'আটি পবিত্র আত্মায় ও আন্তরিক বিশ্বাসে মুখে উচ্চারণ করবে, মহান আল্লাহ্ তার প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন। আর আল্লাহ্ যে বান্দার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন তার মনোবাঞ্ছা পূরণ অবধারিত হয়ে যায়।
(হাদীসটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ
2374- وَعَن يَعْقُوب بن عَاصِم رَضِي الله عَنهُ عَن رجلَيْنِ من أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنَّهُمَا سمعا النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا قَالَ عبد قطّ لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير مخلصا بهَا روحه مُصدقا بهَا قلبه ناطقا بهَا لِسَانه إِلَّا
فتق الله عز وَجل لَهُ السَّمَاء فتقا حَتَّى ينظر إِلَى قَائِلهَا من الأَرْض وَحقّ لعبد نظر الله إِلَيْهِ أَن يُعْطِيهِ سؤله

رَوَاهُ النَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক: