আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৩১৭ টি

হাদীস নং: ২৩৩৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ যিকরের মজলিসসমূহে উপস্থিত হওয়া ও আল্লাহর যিক্‌রের উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়ার প্রতি উৎসাহ দান
২৩৩৫. হযরত আমর ইবন আবাসা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি। আল্লাহর ডানদিকে অবশ্য তাঁর উভয় হাতই ডান- এমন কিছু লোক থাকবে যারা নবীও নন, শহীদও নন; কিন্তু তাঁদের চেহারার উজ্জ্বল্য দৃষ্টিপাতকারীদের দৃষ্টিকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে। তাঁদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান ও আল্লাহর নৈকট্য দেখে নবী-রাসূল এবং শহীদগণ ঈর্ষা করবেন। প্রশ্ন করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এঁরা কারা? তিনি বললেন, বিভিন্ন গোত্রের বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী যারা আল্লাহর যিকরের উদ্দেশ্যে সমবেত হয় এবং উত্তম বাণীকে চয়ণ করে নেয়। যেমন খেজুর আহারকারী উত্তম খেজুরগুলোকে বেছে নেয়।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন। এর সনদটি নির্দোষ ও গ্রহণযোগ্য।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي حُضُور مجَالِس الذّكر والاجتماع على ذكر الله تَعَالَى
2335- وَعَن عَمْرو بن عبسة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول عَن يَمِين الرَّحْمَن وكلتا يَدَيْهِ يَمِين رجال لَيْسُوا بِأَنْبِيَاء وَلَا شُهَدَاء يغشى بَيَاض وُجُوههم نظر الناظرين يَغْبِطهُمْ النَّبِيُّونَ وَالشُّهَدَاء بِمَقْعَدِهِمْ وقربهم من الله عز وَجل
قيل يَا رَسُول الله من هم قَالَ هم جماع من نوازع الْقَبَائِل يَجْتَمعُونَ على ذكر الله فينتقون أطايب الْكَلَام كَمَا ينتقي آكل التَّمْر أطايبه

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَإِسْنَاده مقارب لَا بَأْس بِهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৩৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ যিকরের মজলিসসমূহে উপস্থিত হওয়া ও আল্লাহর যিক্‌রের উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়ার প্রতি উৎসাহ দান
২৩৩৬. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন এমন একদল লোককে উঠাবেন, যাদের চেহারায় থাকবে নূরের ছটা আর তারা অবস্থান করবে নূরের মিম্বরের উপর। লোকেরা তাদেরকে দেখে ঈর্ষা করতে থাকবে, অথচ তারা নবীও নয়, শহীদও নয়। একথা শুনে এক বেদুঈন হাঁটু পেতে বসে গেল এবং বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি তাদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন যাতে করে আমরা তাদেরকে চিনে নিতে পারি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তারা হল আল্লাহর উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালবাসা পোষণকারী। যারা বিভিন্ন গোত্র ও অঞ্চল থেকে আল্লাহর যিকরের উদ্দেশ্যে একত্রিত হয় এবং তাঁকে স্মরণ করে।
(হাদীসটি তাবারানী হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي حُضُور مجَالِس الذّكر والاجتماع على ذكر الله تَعَالَى
2336- وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ليبْعَثن الله أَقْوَامًا يَوْم الْقِيَامَة فِي وُجُوههم النُّور على مَنَابِر اللُّؤْلُؤ يَغْبِطهُمْ النَّاس لَيْسُوا بِأَنْبِيَاء وَلَا شُهَدَاء
قَالَ فَجَثَا أَعْرَابِي على رُكْبَتَيْهِ فَقَالَ يَا رَسُول الله حلهم لنا نعرفهم قَالَ هم المتحابون فِي الله من قبائل شَتَّى وبلاد شَتَّى يَجْتَمعُونَ على ذكر الله يذكرُونَهُ

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৩৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ যিকরের মজলিসসমূহে উপস্থিত হওয়া ও আল্লাহর যিক্‌রের উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়ার প্রতি উৎসাহ দান
২৩৩৭. হযরত আবূ হুরায়রা ও আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তাঁরা রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে সাক্ষী রেখে বলেন যে, তিনি বলেছেনঃ কোন মানবগোষ্ঠী যখন আল্লাহর যিকর করতে বসে, তখন ফিরিশতাগণ তাদেরকে ঘিরে নেয়। আল্লাহর রহমত তাদেরকে ঢেকে ফেলে এবং তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল হয়। আর আল্লাহ্ তাঁর নিকটের ফিরিশতাদের কাছে তাদের আলোচনা করেন।
(হাদীসটি মুসলিম, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي حُضُور مجَالِس الذّكر والاجتماع على ذكر الله تَعَالَى
2337- وَعَن أبي هُرَيْرَة وَأبي سعيد رَضِي الله عَنْهُمَا أَنَّهُمَا شَهدا على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ لَا يقْعد قوم يذكرُونَ الله إِلَّا حفتهم الْمَلَائِكَة وَغَشِيَتْهُمْ الرَّحْمَة وَنزلت عَلَيْهِم السكينَة وَذكرهمْ الله فِيمَن عِنْده

رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৩৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ যিকরের মজলিসসমূহে উপস্থিত হওয়া ও আল্লাহর যিক্‌রের উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়ার প্রতি উৎসাহ দান
২৩৩৮. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা যখন জান্নাতের বাগানের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে, তখন মনের সাধে এতে ফলমূল আহার করবে। সাহাবীগণ বললেন, জান্নাতের বাগান কি? তিনি বললেন, যিকরের মজলিসসমূহ।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এটি হাসান-গরীব হাদীস।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي حُضُور مجَالِس الذّكر والاجتماع على ذكر الله تَعَالَى
2338- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا مررتم برياض الْجنَّة فارتعوا
قَالُوا وَمَا رياض الْجنَّة قَالَ حلق الذّكر

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৩৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ মানুষ কোন মজলিসে বসল অথচ আল্লাহর যিকর ও তাঁর নবী মুহাম্মদ-এর প্রতি দরূদ পাঠ করলনা, এ প্রসঙ্গে সতর্কবাণী
২৩৩৯. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ কতিপয় লোক যখন কোন মজলিসে বসে অথচ এতে তারা আল্লাহর যিকর করে না এবং তাদের নবীর প্রতি দরূদ প্রেরণ করে না, তখন এ মজলিসটি তাদের ক্ষতি ও মন্দ পরিণামের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তিও দিতে পারেন আর তিনি ইচ্ছা করলে ক্ষমাও করে দিতে পারেন।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তিরমিযীর। তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান। ইবন আবুদ-দুনিয়া এবং বায়হাকীও এটি উপরোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদের ভাষ্য হল নিম্নরূপঃ যে ব্যক্তি কোন মজলিসে বসল অথচ এতে আল্লাহর যিকর করল না, তার এ মজলিসটি আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষতির কারণ হবে। যে ব্যক্তি শয্যাগ্রহণ করল আর এতে আল্লাহর যিকর করল না, এটি তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষতির কারণ হবে। আর যে ব্যক্তি কোন পথ চলবে অথচ এতে আল্লাহর যিকির করল না, তার এ পথ চলার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষতির কারণ হবে।
(হাদীসটি আহমদ, ইব্‌ন আবুদ-দুনিয়া, নাসাঈ এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে আবু দাউদের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْهِيب من أَن يجلس الْإِنْسَان مَجْلِسا لَا يذكر الله فِيهِ وَلَا يصلى على نبيه مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
2339- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا جلس قوم مَجْلِسا لم يذكرُوا الله فِيهِ وَلم يصلوا على نَبِيّهم إِلَّا كَانَ عَلَيْهِم ترة فَإِن شَاءَ عذبهم وَإِن شَاءَ غفر لَهُم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن وَرَوَاهُ بِهَذَا اللَّفْظ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالْبَيْهَقِيّ
وَلَفظ أبي دَاوُد قَالَ من قعد مقْعدا لم يذكر الله فِيهِ كَانَ عَلَيْهِ من الله ترة وَمن اضْطجع مضجعا لَا يذكر الله فِيهِ كَانَت عَلَيْهِ من الله ترة وَمَا مَشى أحد ممشى لَا يذكر الله
فِيهِ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِ من الله ترة

وَرَوَاهُ أَحْمد وَابْن أبي الدُّنْيَا وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كلهم بِنَحْوِ أبي دَاوُد
হাদীস নং: ২৩৪০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ মানুষ কোন মজলিসে বসল অথচ আল্লাহর যিকর ও তাঁর নবী মুহাম্মদ-এর প্রতি দরূদ পাঠ করলনা, এ প্রসঙ্গে সতর্কবাণী
২৩৪০. উক্ত হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কতিপয় লোক যদি কোন মজলিসে বসে, আর এতে মহান আল্লাহর যিকর ও নবী করীম-এর প্রতি দরূদ পাঠ না করে, তাহলে কিয়ামতের দিন এটি তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হবে। যদিও তারা পুণ্যের ভিত্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করে।
(হাদীসটি আহমদ বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি বুখারীর শর্ত অনুযায়ী সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْهِيب من أَن يجلس الْإِنْسَان مَجْلِسا لَا يذكر الله فِيهِ وَلَا يصلى على نبيه مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
2340- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا قعد قوم مقْعدا لم يذكرُوا الله عز وَجل فِيهِ وَيصلونَ على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَّا كَانَ عَلَيْهِم حسرة يَوْم الْقِيَامَة وَإِن دخلُوا الْجنَّة للثَّواب

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد صَحِيح وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ
হাদীস নং: ২৩৪১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ মানুষ কোন মজলিসে বসল অথচ আল্লাহর যিকর ও তাঁর নবী মুহাম্মদ-এর প্রতি দরূদ পাঠ করলনা, এ প্রসঙ্গে সতর্কবাণী
২৩৪১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন দল যখন কোন মজলিস থেকে আল্লাহর যিকর ব্যতীতই উঠে যায়, তখন তারা যেন একটি মৃত গাধার নিকট থেকে উঠে যায়। আর এ মজলিসটি কিয়ামতের দিন তাদের আক্ষেপের কারণ হবে।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْهِيب من أَن يجلس الْإِنْسَان مَجْلِسا لَا يذكر الله فِيهِ وَلَا يصلى على نبيه مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
2341- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من قوم يقومُونَ من مجْلِس لَا يذكرُونَ الله فِيهِ إِلَّا قَامُوا عَن مثل جيفة حمَار وَكَانَ عَلَيْهِم حسرة يَوْم الْقِيَامَة

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
হাদীস নং: ২৩৪২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ মানুষ কোন মজলিসে বসল অথচ আল্লাহর যিকর ও তাঁর নবী মুহাম্মদ-এর প্রতি দরূদ পাঠ করলনা, এ প্রসঙ্গে সতর্কবাণী
২৩৪২. হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মুগাফফাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন দল যখন কোন মজলিসে সমবেত হয় এবং আল্লাহর যিকর ছাড়াই তারা আবার বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, কিয়ামতের দিন এ মজলিসটি তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হবে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' ও 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেছেন। তারাবানীর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের হাদীস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْهِيب من أَن يجلس الْإِنْسَان مَجْلِسا لَا يذكر الله فِيهِ وَلَا يصلى على نبيه مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
2342- وَعَن عبد الله بن مُغفل رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من قوم اجْتَمعُوا فِي مجْلِس فَتَفَرَّقُوا وَلم يذكرُوا الله إِلَّا كَانَ ذَلِك الْمجْلس حسرة عَلَيْهِم يَوْم الْقِيَامَة

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَالْبَيْهَقِيّ ورواة الطَّبَرَانِيّ مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
হাদীস নং: ২৩৪৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কোন মজলিসে অহেতুক কথাবার্তার কাফফারা হয়, এমন বাক্যসমূহের প্রতি উৎসাহ দান
২৩৪৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কেউ যখন কোন মজলিসে বসে এবং এতে কোন অহেতুক কথাবার্তা হয়ে যায় তখন যদি মজলিস থেকে উঠার আগে সে এই দু'আটি পাঠ করে দেয়, তবে এই মসলিসে যা সংঘটিত হয়েছে, এগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। দু'আটি এইঃ
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
"হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র, আমি তোমার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার দিকে ফিরে আসছি”।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তিরমিযীর। নাসাঈ, ইবন হিব্বান তার 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ-গরীব।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يكفرن لغط الْمجْلس
2343- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من جلس مَجْلِسا كثر فِيهِ لغطه فَقَالَ قبل أَن يقوم من مَجْلِسه ذَلِك سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا أَنْت أستغفرك وَأَتُوب إِلَيْك إِلَّا غفر لَهُ مَا كَانَ فِي مَجْلِسه ذَلِك

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح غَرِيب
হাদীস নং: ২৩৪৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কোন মজলিসে অহেতুক কথাবার্তার কাফফারা হয়, এমন বাক্যসমূহের প্রতি উৎসাহ দান
২৩৪৪. হযরত আবু বারযা আসলামী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন কোন মজলিসে বসতেন তখন মজলিস থেকে উঠে যাবার সময় বলতেনঃ
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
"হে আল্লাহ্! তুমি পবিত্র, আমি তোমার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার দিকেই ফিরে আসছি।" জনৈক ব্যক্তি বলে উঠল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আপনি আজ এমন কথা বলছেন, যা পূর্বে বলতেন না। তিনি উত্তরে বললেন, এটি হল মজলিসে যা সংঘটিত হয়, সে বিষয়ের কাফফারা।
(হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يكفرن لغط الْمجْلس
2344- وَعَن أبي بَرزَة الْأَسْلَمِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا جلس مَجْلِسا يَقُول بِآخِرهِ إِذا أَرَادَ أَن يقوم من الْمجْلس سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا أَنْت أستغفرك وَأَتُوب إِلَيْك فَقَالَ رجل يَا رَسُول الله إِنَّك لتقول قولا مَا كنت تَقوله فِيمَا مضى فَقَالَ كَفَّارَة لما يكون فِي الْمجْلس

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ২৩৪৫
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কোন মজলিসে অহেতুক কথাবার্তার কাফফারা হয়, এমন বাক্যসমূহের প্রতি উৎসাহ দান
২৩৪৫. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন কোন মজলিসে বসতেন অথবা সালাত আদায় করতেন, তখন কয়েকটি বাক্য পাঠ করতেন। আয়েশা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে এ বাক্যগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, কেউ যদি ভাল কথা বলে থাকে, তাহলে এগুলো ঐ সব ভাল কথার উপর কিয়ামত পর্যন্ত সীলমোহর হয়ে থাকে। আর যদি খারাপ কথা বলে থাকে, তাহলে এগুলোর কাফফারা হয়ে যায়, বাক্যগুলো এইঃ
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
"হে আল্লাহ। আমি তোমার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার দিকেই ফিরে আসছি।"
(হাদীসটি ইবন আবুদ-দুনিয়া, নাসাঈ বর্ণনা করেছেন, শব্দমালা উভয়ের। হাকিম এবং বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يكفرن لغط الْمجْلس
2345- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ إِذا جلس مَجْلِسا أَو صلى تكلم بِكَلِمَات فَسَأَلته عَائِشَة عَن الْكَلِمَات فَقَالَ إِن تكلم بِخَير كَانَ طابعا عَلَيْهِنَّ إِلَى يَوْم الْقِيَامَة وَإِن تكلم بشر كَانَ كَفَّارَة لَهُ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك لَا إِلَه إِلَّا أَنْت أستغفرك وَأَتُوب إِلَيْك

رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالنَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهما وَالْحَاكِم وَالْبَيْهَقِيّ
হাদীস নং: ২৩৪৬
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কোন মজলিসে অহেতুক কথাবার্তার কাফফারা হয়, এমন বাক্যসমূহের প্রতি উৎসাহ দান
২৩৪৬. হযরত জুবায়র ইবন মুত'ইম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন যিকরের মজলিসে এই বাক্যগুলো বলবে, মিত্রের উপর এগুলো সীলমোহরের মত হয়ে থাকবে। আর কেউ যদি কোন অহেতুক কথাবার্তা মজলিসে এগুলো বলে, তবে, তা মজলিসের কাফ্ফারা হয়ে যাবে। বাক্যগুলো এই।
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
"আল্লাহ পবিত্র ও প্রশংসার অধিকারী। হে আল্লাহ। আমি তোমার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তোমার দিকেই ফিরে আসছি।"
(হাদীসটি নাসাঈ ও তাবারানী বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের বর্ণনাকারীদের মতই। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يكفرن لغط الْمجْلس
2346- وَعَن جُبَير بن مطعم رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا أَنْت أستغفرك وَأَتُوب إِلَيْك فَقَالَهَا فِي مجْلِس ذكر كَانَ كالطابع يطبع عَلَيْهِ وَمن قَالَهَا فِي مجْلِس لَغْو كَانَ كَفَّارَة لَهُ

رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالطَّبَرَانِيّ ورجالهما رجال الصَّحِيح وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
হাদীস নং: ২৩৪৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কোন মজলিসে অহেতুক কথাবার্তার কাফফারা হয়, এমন বাক্যসমূহের প্রতি উৎসাহ দান
২৩৪৭. এ হাদীসটি ইবন আবুদ দুনিয়া নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোন মজলিসে বসে, তখন সে যেন তিনবার এই বাক্যগুলো পাঠ না করে মজলিসে থেকে না উঠে।
سبحانك اللهم وبحمدك لا اله انت اغفرلي وتب علي
হে আল্লাহ। আমি তোমার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং আমার প্রতি মনযোগ প্রদান কর।"
কেননা সে যদি ভাল করে থাকে, তবে এটি তার উপর সীলমোহর হয়ে থাকবে। আর মজলিসটি যদি অহেতুক কথার হয়ে থাকে, তাহলে মজলিসে যা কিছু হয়েছে, এবদ্বারা তার কাফফারা হয়ে যাবে।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يكفرن لغط الْمجْلس
2347- وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا جلس أحدكُم فِي مجْلِس فَلَا يبرحن مِنْهُ حَتَّى يَقُول ثَلَاث مَرَّات سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك لَا إِلَه إِلَّا أَنْت اغْفِر لي وَتب عَليّ فَإِن كَانَ أَتَى خيرا كَانَ كالطابع عَلَيْهِ وَإِن كَانَ مجْلِس لَغْو كَانَ كَفَّارَة لما كَانَ فِي ذَلِك الْمجْلس
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৪৮
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কোন মজলিসে অহেতুক কথাবার্তার কাফফারা হয়, এমন বাক্যসমূহের প্রতি উৎসাহ দান
২৩৪৮. হযরত রাফি' ইবন খাদীজ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর শেষ জীবনের অবস্থা এই ছিল যে, তাঁর নিকট সাহাবীগণ যখন সমবেত হতেন আর তিনি মজলিস শেষে উঠতে চাইতেন, তখন এই বাক্যগুলো বলতেনঃ-
سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ، عَمِلْتُ سُوءًا وَظَلَمْتُ نَفْسِي، فَاغْفِرْ لِي، إِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
"হে আল্লাহ! আমি তোমার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তোমার দিকেই ফিরে আসছি। আমি মন্দকাজ করেছি ও নিজের উপর যুলুম করেছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কেননা তুমি ছাড়া অন্য কেউ গুনাহ মাফ করতে পারবে না।"
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এ বাক্যগুলো কি আপনি নতুন পাঠ করতে শুরু করলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, জিবরাঈল আমার নিকট এসে বললেন, হে মুহাম্মদ। এগুলো হল মজলিসের কাফফারা।
(হাদীসটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। হাকিমও এটি বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। তাবারানী এটি তাঁর গ্রন্থত্রয়ে সংক্ষেপে এবং উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يكفرن لغط الْمجْلس
2348- وَعَن رَافع بن خديج رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بأخره إِذا اجْتمع إِلَيْهِ أَصْحَابه فَأَرَادَ أَن ينْهض قَالَ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا أَنْت أستغفرك وَأَتُوب إِلَيْك عملت سوءا وظلمت نَفسِي فَاغْفِر لي إِنَّه لَا يغْفر الذُّنُوب إِلَّا أَنْت
قَالَ قُلْنَا يَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن هَذِه كَلِمَات أحدثتهن قَالَ أجل جَاءَنِي جِبْرَائِيل فَقَالَ يَا مُحَمَّد هن كَفَّارَات الْمجْلس

رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَصَححهُ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الثَّلَاثَة بِاخْتِصَار بِإِسْنَاد جيد
হাদীস নং: ২৩৪৯
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কোন মজলিসে অহেতুক কথাবার্তার কাফফারা হয়, এমন বাক্যসমূহের প্রতি উৎসাহ দান
২৩৪৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কয়েকটি এমন বাক্য হয়েছে যে, কেউ যদি এগুলো কোন হক অথবা বাতিল মজলিস থেকে উঠার সময় তিনবার বলে নেয়, তবে তা এ মজলিসের কাফফারা হয়ে যাবে। আর কোন কল্যাণের অথবা যিকরের মজলিসে এগুলো পাঠ করলে আল্লাহ এগুলো দিয়ে সীলমোহর লাগিয়ে দিবেন, যেমন কাগজের উপর আংটি দিয়ে সীলমোহর লাগানো হয়। বাক্যগুলো এইঃ
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
"হে আল্লাহ! আমি তোমার প্রশংসার সাথে পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি ছাড়া কোন মা'বুদ নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমারই দিকে ফিরে আসছি।"
(হাদীসটি আবু দাউদ এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي كَلِمَات يكفرن لغط الْمجْلس
2349- وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن العَاصِي رَضِي الله عَنْهُمَا أَنه قَالَ كَلِمَات لَا يتَكَلَّم بِهن أحد فِي مجْلِس حق أَو مجْلِس بَاطِل عِنْد قِيَامه ثَلَاث مَرَّات إِلَّا كفر بِهن عَنهُ وَلَا يقولهن فِي مجْلِس خير ومجلس ذكر إِلَّا ختم الله لَهُ بِهن كَمَا يخْتم بالخاتم على الصَّحِيفَة سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك لَا إِلَه إِلَّا أَنْت أستغفرك وَأَتُوب إِلَيْك

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
হাদীস নং: ২৩৫০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৫০. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। কিয়ামতের দিন আপনার শাফায়াত লাভে কে সর্বাধিক সৌভাগ্যশালী হবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আবু হুরায়রা! তোমার হাদীস শিখার আগ্রহ দেখে আমি অবশ্যই ধারণা করেছিলাম যে, এ বিষয়ে তোমার পূর্বে আর কেউ প্রশ্ন করবে না। কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত লাভে সর্বাধিক সৌভাগ্যশালী হবে ঐ ব্যক্তি, যে খাঁটি অন্তরে অথবা খাঁটি মনে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" পাঠ করেছে।
(হাদীসটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2350- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قلت يَا رَسُول الله من أسعد النَّاس بشفاعتك يَوْم الْقِيَامَة قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لقد ظَنَنْت يَا أَبَا هُرَيْرَة أَن لَا يسألني عَن هَذَا الحَدِيث أحد أول مِنْك لما رَأَيْت من حرصك على الحَدِيث أسعد النَّاس بشفاعتي يَوْم الْقِيَامَة من قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله خَالِصا من قلبه أَو نَفسه

رَوَاهُ البُخَارِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৫১
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৫১. হযরত উবাদা ইব্‌ন সামিত (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এ কথার সাক্ষ্য দিয়েছে যে, "আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল এবং ঈসা (আ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল এবং আল্লাহর কালিমা যা তিনি মরিয়মের নিকট নিক্ষেপ করেছিলেন এবং তাঁর রূহ, জান্নাত সত্য এবং জাহান্নামও সত্য" আল্লাহ তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন, সে যেমন আমলই করে থাকুক না কেন।
হুবাযাহ নামক বর্ণনাকারী এ অংশটুকু বৃদ্ধি করে বর্ণনা করেনঃ "আট বেহেশতের যে কোন দরজা দিয়ে সে ঢুকতে চায়।"
(হাদীসটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। মুসলিমও এটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2351 - وَعَن عبَادَة بن الصَّامِت رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من شهد أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ وَأَن مُحَمَّدًا عَبده وَرَسُوله وَأَن عِيسَى عبد الله وَرَسُوله وكلمته أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَم وروح مِنْهُ وَالْجنَّة حق وَالنَّار حق أدخلهُ الله الْجنَّة على مَا كَانَ من عمل
زَاد عبَادَة من أَبْوَاب الْجنَّة الثَّمَانِية أَيهَا شَاءَ

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَمُسلم
হাদীস নং: ২৩৫২
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৫২. মুসলিমের একটি বর্ণনায় ও তিরমিযীতে রয়েছে। আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি এ কথার সাক্ষ্য দিবেঃ আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই এবং মুহাম্মদ (ﷺ) আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ তাঁর উপর জাহান্নামকে হারাম করে দিবেন।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2352- وَفِي رِوَايَة لمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من شهد أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَأَن مُحَمَّدًا رَسُول الله حرم الله عَلَيْهِ النَّار
হাদীস নং: ২৩৫৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৫৩. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, মুয়ায (রা) একবার রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর হাওদার পিছনে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, হে মুয়ায ইবন জাবাল। মুয়ায বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমি হাযির, আমি আপনার ডাকে সাড়া দিতে প্রস্তুত। কথাটি মুয়ায তিনবার বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেন। যে কেউ খাঁটি অন্তরে এ কথার সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই এবং মুহাম্মদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ্ তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিবেন। মুয়ায বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমি কি লোকদেরকে এ সংবাদ শুনিয়ে দিব না যাতে করে তারা খুশি হয়? তিনি বললেন, এমন করলে তারা তো এর উপরই ভরসা করে বসে থাকবে। মুয়ায পরে মৃত্যুর সময় গুনাহের ভয়ে* এ হাদীসটি বর্ণনা করেছিলেন।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।) (সংকলক) আবদুল আযীম বলেনঃ যে সকল হাদীসে কালেমায়ে তাওহীদের উপর জান্নাতের প্রতিশ্রুতি অথবা জাহান্নাম হারাম হয়ে যাবার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে বিজ্ঞ আলিমদের মত হল এই যে, এগুলো ইসলামের প্রাথমিক যুগের সাথে সম্পৃক্ত যখন কেবল তাওহীদ ও ঈমানের প্রতি আহবান করার নির্দেশ ছিল। পরবর্তীতে যখন শরীয়তের বিধি-বিধান তথা ফরয-ওয়াজিব ইত্যাদি নাযিল হয় এবং বিভিন্ন অপরাধের ক্ষেত্রে দণ্ডবিধির নির্দেশ আসে, তখন এ হাদীসগুলোর বিধান রহিত হয়ে যায়। এর উপর যথেষ্ট দলীল-প্রমাণ বর্তমান রয়েছে। ইতোপূর্বে সালাত, যাকাত, সাওম ও হজ্জ ইত্যাদি অধ্যায়সমূহে এমন অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যেগুলো আমলের প্রয়োজনীয়তা ও এর গুরুত্বের নিদর্শন বহন করে। সামনেরও বিভিন্ন অধ্যায়ে এ ধরনের অনেক হাদীস আসবে। উল্লিখিত মতের পক্ষে রয়েছেন যাহহাক, যুহরী ও সুফিয়ান সাওরী প্রমুখ আলিমগণ। অন্য একদল আলিম বলেন, এখানে হাদীসগুলো রহিত হয়ে গিয়েছে, এ কথা বলার কোন প্রয়োজন নেই। কেননা দীনের স্তঞ্জ ও ইসলামের যে কোন বিধানই আল্লাহর একত্ব ও রাসূল-এর রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদানের ক্ষেত্রে আবশ্যিক বিষয়সমূহের অন্তর্ভুক্ত এবং ঈমানের দাবি। সুতরাং কেউ যখন তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদানের পর অস্বীকৃতি অথবা তুচ্ছ জ্ঞান করে কোন ফরয আদায়ে বিরত থাকবে, তখন তার উপর কুফর-এর হুকুম আসবে এবং জান্নাতে প্রবেশ থেকে সে বঞ্চিত হয়ে যাবে। এ মতটিও পূর্বোক্ত মতের কাছাকাছিই। অপর এক দল বলেন, কালেমায়ে তাওহীদ উচ্চারণ জান্নাতে প্রবেশ ও জাহান্নাম থেকে নিরাপদ থাকার দাবি করে। কিন্তু শর্ত এই যে, উচ্চারণকারী ফরযসমূহ আদায় করবে এবং কবীরা গুনাহসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে। তাই সে যদি ফরয পালন না করে এবং কবীরা গুনাহসমূহ থেকে বিরত না থাকে, তবে তার এই কালেমা পাঠ জাহান্নামে প্রবেশে অন্তরায় হবে না। এ মতটি পূর্বোক্ত মতের মতই অথবা এটি অবিকল পূর্বোক্ত মতটিই। এ ব্যাপারে আমরা আমাদের কিতাবে ভিন্নমত সহ বিস্তারিত আলোচনা করেছি। মহান আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।

*সত্য গোপন করার গুনাহর ভয়ের কথা এখানে উল্লেখিত হয়েছে।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2353- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ومعاذ رديفه على الرحل قَالَ يَا معَاذ بن جبل قَالَ لبيْك يَا رَسُول الله وَسَعْديك ثَلَاثًا
قَالَ مَا من أحد يشْهد أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَأَن مُحَمَّدًا رَسُول الله صدقا من قلبه إِلَّا حرمه الله على النَّار
قَالَ يَا رَسُول الله أَفلا أخبر بِهِ النَّاس فيستبشروا قَالَ إِذا يتكلوا وَأخْبر بهَا معَاذ عِنْد مَوته تأثما

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم

تأثما أَي تحرجا من الْإِثْم وخوفا مِنْهُ أَن يلْحقهُ إِن كتمه
قَالَ المملي عبد الْعَظِيم وَقد ذهب طوائف من أساطين أهل الْعلم إِلَى أَن مثل هَذِه الإطلاقات الَّتِي وَردت فِيمَن قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله دخل الْجنَّة أَو حرم الله عَلَيْهِ النَّار
وَنَحْو ذَلِك إِنَّمَا كَانَ فِي ابْتِدَاء الْإِسْلَام حِين كَانَت الدعْوَة إِلَى مُجَرّد الْإِقْرَار بِالتَّوْحِيدِ فَلَمَّا فرضت الْفَرَائِض وحدت الْحُدُود نسخ ذَلِك والدلائل على هَذَا كَثِيرَة متظاهرة وَقد تقدم غير مَا حَدِيث يدل على ذَلِك فِي كتاب الصَّلَاة وَالزَّكَاة وَالصِّيَام وَالْحج وَيَأْتِي أَحَادِيث أخر مُتَفَرِّقَة إِن شَاءَ الله وَإِلَى هَذَا القَوْل ذهب الضَّحَّاك وَالزهْرِيّ وسُفْيَان الثَّوْريّ وَغَيرهم وَقَالَت طَائِفَة أُخْرَى لَا احْتِيَاج إِلَى ادِّعَاء النّسخ فِي ذَلِك فَإِن كل مَا هُوَ من أَرْكَان الدّين وفرائض الْإِسْلَام هُوَ من لَوَازِم الْإِقْرَار بِالشَّهَادَتَيْنِ وتتماته فَإِذا أقرّ ثمَّ امْتنع عَن شَيْء من الْفَرَائِض جحدا أَو تهاونا على تَفْصِيل الْخلاف فِيهِ حكمنَا عَلَيْهِ بالْكفْر وَعدم دُخُول الْجنَّة وَهَذَا القَوْل أَيْضا قريب وَقَالَت طَائِفَة أُخْرَى التَّلَفُّظ بِكَلِمَة التَّوْحِيد سَبَب يَقْتَضِي دُخُول الْجنَّة والنجاة من النَّار بِشَرْط أَن يَأْتِي بالفرائض ويجتنب الْكَبَائِر فَإِن لم يَأْتِ بالفرائض وَلم يجْتَنب الْكَبَائِر لم يمنعهُ التَّلَفُّظ بِكَلِمَة التَّوْحِيد من دُخُول النَّار وَهَذَا قريب مِمَّا قبله أَو هُوَ هُوَ
وَقد بسطنا الْكَلَام على هَذَا وَالْخلاف فِيهِ فِي غير مَا مَوضِع من كتبنَا وَالله سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أعلم
হাদীস নং: ২৩৫৪
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
পরিচ্ছেদঃ কালেমায়ে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২৩৫৪. হযরত যায়দ ইব্‌ন আরকাম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইখলাসের সাথে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করবে, সে জান্নাতে যাবে। প্রশ্ন করা হল, কালেমার ইখলাস কি? তিনি বললেন, কালেমা পাঠকারীকে আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তু থেকে ফিরিয়ে রাখা।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। 'কবীর'-এ তিনি এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ "আল্লাহ যা হারাম করে দিয়েছেন তা থেকে সে ফিরিয়ে রাখবে।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2354- وَرُوِيَ عَن زيد بن أَرقم رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله مخلصا دخل الْجنَّة
قيل وَمَا إخلاصها قَالَ أَن تحجزه عَن محارم الله

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَفِي الْكَبِير إِلَّا أَنه قَالَ أَن تحجزه عَمَّا حرم الله عَلَيْهِ
tahqiq

তাহকীক: