আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১২. অধ্যায়ঃ জিহাদ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২৮৯ টি
হাদীস নং: ১৯২৩
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: জিহাদ
মহান আল্লাহর পথে প্রতিরক্ষা কাজে সশস্ত্র প্রতীক্ষারত থাকার উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
মহান আল্লাহর পথে প্রতিরক্ষা কাজে সশস্ত্র প্রতীক্ষারত থাকার উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯২৩. হযরত উম্মে মালিক বাহ্যিয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-একদা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) একটি বিপর্যয়ের। কথা বললেন এবং এটি নিকটবর্তী বলেও উল্লেখ করলেন। উম্মে মালিক বাহযিয়া বলেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ(ﷺ)-কে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ। ঐ সময় কোন ব্যক্তি সর্বোত্তম ব্যক্তি হবে? তিনি বললেনঃ সে ব্যক্তিই সব চেয়ে উত্তম, যে গোটা কয়েক চতুষ্পদ জন্তু নিয়ে নির্জনে বাস করে এবং এগুলোর হক আদায় করে ও তার প্রভুর ইবাদত করে। আর ঐ ব্যক্তি, সর্বদা যে ঘোড়া বাগ ধরে থেকে শত্রুকে ভীতিগ্রস্ত করে এবং শত্রুরাও তাকে ভীতিগ্রস্ত করে।
(হাদীসটি তিরমিযী জনৈক ব্যক্তি... তাউস... উম্মে মালিক সূত্রে বর্ণনা করেন। তিরমিযী বলেন, এ সূত্রে হাদীসটি গরীব। হাদীসটি লাইস... ইবন আবু সুলায়ম তাউস থেকে এবং তাউস উম্মে মালিক থেকে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তিরমিযী জনৈক ব্যক্তি... তাউস... উম্মে মালিক সূত্রে বর্ণনা করেন। তিরমিযী বলেন, এ সূত্রে হাদীসটি গরীব। হাদীসটি লাইস... ইবন আবু সুলায়ম তাউস থেকে এবং তাউস উম্মে মালিক থেকে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الرِّبَاط فِي سَبِيل الله عز وَجل
التَّرْغِيب فِي الرِّبَاط فِي سَبِيل الله عز وَجل
1923- وَعَن أم مَالك البهزية رَضِي الله عَنْهَا قَالَت ذكر رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فتْنَة فقربها قَالَت قلت يَا رَسُول الله من خير النَّاس فِيهَا قَالَ رجل فِي مَاشِيَة يُؤَدِّي حَقّهَا ويعبد ربه وَرجل آخذ بِرَأْس فرسه يخيف الْعَدو ويخيفونه
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ عَن رجل عَن طَاوس عَن أم مَالك وَقَالَ حَدِيث غَرِيب من هَذَا الْوَجْه وَرَوَاهُ لَيْث بن أبي سليم عَن طَاوس عَن أم مَالك انْتهى
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ عَن رجل عَن طَاوس عَن أم مَالك وَقَالَ حَدِيث غَرِيب من هَذَا الْوَجْه وَرَوَاهُ لَيْث بن أبي سليم عَن طَاوس عَن أم مَالك انْتهى
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯২৪
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: জিহাদ
মহান আল্লাহর পথে প্রতিরক্ষা কাজে সশস্ত্র প্রতীক্ষারত থাকার উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
মহান আল্লাহর পথে প্রতিরক্ষা কাজে সশস্ত্র প্রতীক্ষারত থাকার উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯২৪. বায়হাকী হাদীসটি উম্মে মুবাশ্বির সূত্রে সংক্ষিপ্তাকারে নবী করীম হয় থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন: মর্যাদার দিক থেকে সেই ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে অশ্বপৃষ্ঠে থেকে শত্রুকে আতঙ্কিত রাখে এবং শত্রুরাও তাকে আতঙ্কিত করে তোলে।
كتاب الْجِهَاد
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الرِّبَاط فِي سَبِيل الله عز وَجل
التَّرْغِيب فِي الرِّبَاط فِي سَبِيل الله عز وَجل
1924- وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ مُخْتَصرا من حَدِيث أم مُبشر تبلغ بِهِ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ خير النَّاس منزلَة رجل على متن فرسه يخيف الْعَدو ويخيفونه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯২৫
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯২৫. হযরত ইবন আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছেনঃ দু'ধরনের চোখকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না: (১) যে চোখ আল্লাহর ভয়ে অশ্রু বিসর্জন করে এবং (২) যে চোখ আল্লাহর পথে প্রহরায় বিনিদ্র রাত কাটায়।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেন, হাদীসটি হাসান-গরীব।)
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বলেন, হাদীসটি হাসান-গরীব।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1925- عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول عينان لَا تمسهما النَّار عين بَكت من خشيَة الله وَعين باتت تحرس فِي سَبِيل الله
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯২৬
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯২৬. হযরত মুয়ায ইবন আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন। যে ব্যক্তি মুসলমানদের পশ্চাতে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের পাহারাদারী করল, কোন শাসকের চাপের মুখে নয়, তার দু'চোখ দিয়ে সে কখনো জাহান্নামের আগুন দেখবে না। তবে আল্লাহর কসমটি পূর্ণ করার জন্য, কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ "তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে, তথায় পৌছবে না।” (১৯:৭১)
(হাদীসটি আহমদ, আবু ইয়ালা ও তাবারানী বর্ণনা করেছেন: তাবারানী বলেন, অন্য হাদীসের পোষকতায় এতে কোন দোষ নেই।)
(হাদীসটি আহমদ, আবু ইয়ালা ও তাবারানী বর্ণনা করেছেন: তাবারানী বলেন, অন্য হাদীসের পোষকতায় এতে কোন দোষ নেই।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1926- وَعَن معَاذ بن أنس رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من حرس من وَرَاء الْمُسلمين فِي سَبِيل الله تبَارك وَتَعَالَى مُتَطَوعا لَا يَأْخُذهُ سُلْطَان لم ير النَّار بِعَيْنِه إِلَّا تَحِلَّة
الْقسم فَإِن الله تَعَالَى يَقُول {وَإِن مِنْكُم إِلَّا واردها} مَرْيَم 17
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ وَلَا بَأْس بِإِسْنَادِهِ فِي المتابعات
الْقسم فَإِن الله تَعَالَى يَقُول {وَإِن مِنْكُم إِلَّا واردها} مَرْيَم 17
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ وَلَا بَأْس بِإِسْنَادِهِ فِي المتابعات
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯২৭
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯২৭. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: আল্লাহর রাহে এক রাতের প্রহরা পরিবার-পরিজনের সাথে এক হাজার বছর দিনে রোযা ও রাতে ইবাদত করার চেয়েও উত্তম। তিনশত ষাট দিনে এক বছর আর একটি দিন হবে একহাজার বছরের সমপরিমাণ।
(হাদীসটি ইব্ন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত হাদীসটি মাওযূ।)
(হাদীসটি ইব্ন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত হাদীসটি মাওযূ।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1927- وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول حرس لَيْلَة فِي سَبِيل الله أفضل من صِيَام رجل وقيامه فِي أَهله ألف سنة السّنة ثَلَاثمِائَة يَوْم وَسِتُّونَ يَوْمًا الْيَوْم كألف سنة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَيُشبه أَن يكون مَوْضُوعا
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَيُشبه أَن يكون مَوْضُوعا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯২৮
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯২৮. আবূ ইয়ালা সূত্রে সংক্ষেপে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বলেছেন: যে ব্যক্তি রাতের বেলায় সমুদ্র উপকূলে* পাহারা দেয়, স্বগৃহে পরিবার-পরিজনের মধ্যে থেকে এক হাজার বছর ইবাদত করার চেয়েও তা উত্তম।
*সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় কনকনে শীতের মধ্যে রাতের বেলা প্রহরাকর্ম একটি সুকঠিন ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার বলে হাদীসে বিশেষভাবে এর উল্লেখ করা হয়েছে।
*সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় কনকনে শীতের মধ্যে রাতের বেলা প্রহরাকর্ম একটি সুকঠিন ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার বলে হাদীসে বিশেষভাবে এর উল্লেখ করা হয়েছে।
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1928- وَرَوَاهُ أَبُو يعلى مُخْتَصرا قَالَ من حرس لَيْلَة على سَاحل الْبَحْر كَانَ أفضل من عِبَادَته فِي أَهله ألف سنة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯২৯
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯২৯. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: দু'ধরনের চোখকে কস্মিনকালেও জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। যে চোখ সারারাত ধরে জেগে আল্লাহর রাহে প্রহরাকর্মে নিয়োজিত থাকে এবং যে চোখ আল্লাহর ভয়ে অশ্রু বিসর্জন করে।
(হাদীসটি আবু ইয়ালা বর্ণনা করেন। তাঁর সূত্র- পরম্পরা নির্ভরযোগ্য। তাবারানীও হাদীসটি তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি বলেছেন: 'দু'ধরনের চোখ দোযখ দেখবে না।')
(হাদীসটি আবু ইয়ালা বর্ণনা করেন। তাঁর সূত্র- পরম্পরা নির্ভরযোগ্য। তাবারানীও হাদীসটি তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি বলেছেন: 'দু'ধরনের চোখ দোযখ দেখবে না।')
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1929- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عينان لَا تمسهما النَّار أبدا عين باتت تكلأ فِي سَبِيل الله وَعين بَكت من خشيَة الله
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَرُوَاته ثِقَات وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط إِلَّا أَنه قَالَ عينان لَا تريان النَّار
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَرُوَاته ثِقَات وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط إِلَّا أَنه قَالَ عينان لَا تريان النَّار
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৩০
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৩০. হযরত মু'আবিয়া ইবন হাইদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ)বলেছেন: তিন ধরনের লোক এমন যাদের চোখ দোযখের আগুন দেখবে না : (১) যে চোখ আল্লাহর রাহে পাহারাদারী করে, (২) যে-চোখ আল্লাহর ভয়ে রোদন করে এবং (৩) যে চোখ আল্লাহ্ তা'আলার নিষিদ্ধ বস্তু (দর্শন) থেকে বিরত থাকে
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন এ সকল বর্ণনাকারীই নির্ভরযোগ্য। কিন্তু আবুল হাবীব আব্কারী নামক বর্ণনাকারীর অবস্থা এখন আমার মনে পড়ছে না।)
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন এ সকল বর্ণনাকারীই নির্ভরযোগ্য। কিন্তু আবুল হাবীব আব্কারী নামক বর্ণনাকারীর অবস্থা এখন আমার মনে পড়ছে না।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1930- وَعَن مُعَاوِيَة بن حيدة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاثَة لَا ترى أَعينهم النَّار عين حرست فِي سَبِيل الله وَعين بَكت من خشيَة الله وَعين كفت عَن محارم الله
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن أَبَا الحبيب العبقري لَا يحضرني حَاله
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن أَبَا الحبيب العبقري لَا يحضرني حَاله
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৩১
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৩১. হযরত ইবন উমর (রা) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি রাতের-কথা বলব? যে রাতটি লায়লাতুল কদর থেকে উত্তম? তাহলে ঐ প্রহরী ব্যক্তির রাত, যে এমন ভীতিসংকুল স্থানে পাহারা দেয়, যেখান থেকে তার পরিবারে ফিরে যাওয়ার আশা খুব ক্ষীণ থাকে।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটি বুখারীর শর্তানুযায়ী সহীহ্।)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটি বুখারীর শর্তানুযায়ী সহীহ্।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1931- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أَلا أنبئكم لَيْلَة أفضل من لَيْلَة الْقدر حارس حرس فِي أَرض خوف لَعَلَّه أَن لَا يرجع إِلَى أَهله
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৩২
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৩২. হযরত উসমান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহর রাহে এক রাত প্রহরা এমন এক হাজার রাতের চেয়েও উত্তম, যার দিনে বেলায় রোযা রেখে রাতের বেলায় ইবাদত করা হয়েছে।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, হাদীসটির বর্ণনা সূত্র সহীহ।)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, হাদীসটির বর্ণনা সূত্র সহীহ।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1932- وَعَن عُثْمَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول حرس لَيْلَة فِي سَبِيل الله أفضل من ألف لَيْلَة يُقَام لَيْلهَا ويصام نَهَارهَا
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৩৩
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৩৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(ﷺ)বলেছেন: তিন প্রকার চোখকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। (১) যে চোখ আল্লাহর পথে বিনষ্ট হয়ে গেছে, (২) যে চোখ আল্লাহর পথে প্রহরাকার্যে বিনিদ্র থেকেছে এবং (৩) যে চোখ আল্লাহর ভয়ে অশ্রু বিসর্জন করেছে।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনা সূত্র সহীহ। | শ্রুতি লিখক (র) বলেন। তবে এ সনদে উমর ইবন রাশেদ ইয়ামানী নামক একজন সন্দিগ্ধ বর্ণনাকারী রয়েছেন।)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনা সূত্র সহীহ। | শ্রুতি লিখক (র) বলেন। তবে এ সনদে উমর ইবন রাশেদ ইয়ামানী নামক একজন সন্দিগ্ধ বর্ণনাকারী রয়েছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1933- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاثَة أعين لَا تمسها النَّار عين فقئت فِي سَبِيل الله وَعين حرست فِي سَبِيل الله وَعين بَكت من خشيَة الله
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ المملي رَضِي الله عَنهُ بل فِي إِسْنَاده عمر بن رَاشد الْيَمَانِيّ
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ المملي رَضِي الله عَنهُ بل فِي إِسْنَاده عمر بن رَاشد الْيَمَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৩৪
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৩৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন। দু'ধরনের চোখের জাহান্নামের। আগুন নাগাল পাওয়া হারাম করে দেয়া হয়েছে। (১) যে চোখ আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করেছে এবং (২) যে চোখ কাফিরদের শত্রুতা থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের রক্ষায় প্রহরাকার্যে রাত্রি যাপন করেছে।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাদীসের বর্ণনা সূত্রে ইনকিতা রয়েছে।)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাদীসের বর্ণনা সূত্রে ইনকিতা রয়েছে।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1934- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَيْضا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ حرم على عينين أَن تنالهما النَّار عين بَكت من خشيَة الله وَعين باتت تحرس الْإِسْلَام وَأَهله من الْكفْر
رَوَاهُ الْحَاكِم وَفِي إِسْنَاده انْقِطَاع
رَوَاهُ الْحَاكِم وَفِي إِسْنَاده انْقِطَاع
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৩৫
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৩৫. হযরত আবু রায়হানা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমরা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর সাথে এক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। একদিন আমরা একটি উঁচু জায়গায় রাত যাপনের জন্য উপস্থিত হলাম। রাত্রে আমাদের এমন ঠাণ্ডা লেগে গেল যে, আমরা দেখতে গেলাম, মানুষ ঠাণ্ডা থেকে আত্মরক্ষার জন্য মাটি খুঁড়ে গর্ত তৈরি করছে এবং তার মধ্যে ঢুকে উপরে ঢাল রাখছে। রাসূলুল্লাহ্ মানুষের এ অবস্থা দেখে বললেনঃ কে আছো, যে আজ রাতে আমাদের পাহারাদারী করবে? আমি তার জন্য অতিরিক্ত দু'আ করব। জনৈক আনসার সাহাবী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আমি প্রস্তুত। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বললেন: আমার কাছে এসো। তিনি কাছে আসলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন: তুমি কে হে? আনসার সাহাবী তাঁর নাম বললেন। তারপর রাসূলুল্লাহ্ দীর্ঘক্ষণ ধরে দু'আ করলেন।
হযরত আবু রায়হানা (রা) বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর এ দু'আ শুনে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমিও আছি। তিনি বললেন: আমার কাছে আস। আমি তাঁর কাছে গেলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন। তুমি কে হে? আমি বললাম, আবু রায়হানা। তখন তিনি আমার জন্য দু'আ করলেন, যা ছিল আনসারী সাহাবীর জন্য কৃত দু'আর চেয়ে কম। তারপর তিনি বললেনঃ যে চোখ আল্লাহর ভয়ে অশ্রু বিসর্জন করে অথবা ক্রন্দন করে, সেই চোখের জন্য জাহান্নাম হারাম। যে চোখ মহান আল্লাহর পথে প্রহরায় বিনিদ্র রজনী কাটায়, তার জন্যও জাহান্নাম হারাম এবং তৃতীয় আর এক ধরনের চোখের জন্য আল্লাহ্ তা'আলা জাহান্নাম হারাম করে নিয়েছেন, তা মুহাম্মদ ইব্ন শুমায়র (বর্ণনাকারী) শুনতে পাননি।)
(হাদীসটি আহমদ উপরে বর্ণিত শব্দমালায় রিওয়ায়াত করেছেন। আহমদ-এর বর্ণনাটির অংশবিশেষ নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। তাবারানী তাঁর 'কবীর' ও 'আওসাত'-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিমও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত।)
হযরত আবু রায়হানা (রা) বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর এ দু'আ শুনে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমিও আছি। তিনি বললেন: আমার কাছে আস। আমি তাঁর কাছে গেলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন। তুমি কে হে? আমি বললাম, আবু রায়হানা। তখন তিনি আমার জন্য দু'আ করলেন, যা ছিল আনসারী সাহাবীর জন্য কৃত দু'আর চেয়ে কম। তারপর তিনি বললেনঃ যে চোখ আল্লাহর ভয়ে অশ্রু বিসর্জন করে অথবা ক্রন্দন করে, সেই চোখের জন্য জাহান্নাম হারাম। যে চোখ মহান আল্লাহর পথে প্রহরায় বিনিদ্র রজনী কাটায়, তার জন্যও জাহান্নাম হারাম এবং তৃতীয় আর এক ধরনের চোখের জন্য আল্লাহ্ তা'আলা জাহান্নাম হারাম করে নিয়েছেন, তা মুহাম্মদ ইব্ন শুমায়র (বর্ণনাকারী) শুনতে পাননি।)
(হাদীসটি আহমদ উপরে বর্ণিত শব্দমালায় রিওয়ায়াত করেছেন। আহমদ-এর বর্ণনাটির অংশবিশেষ নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। তাবারানী তাঁর 'কবীর' ও 'আওসাত'-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিমও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1935- وَعَن أبي رَيْحَانَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي غَزْوَة فأتينا ذَات يَوْم على شرف فبتنا عَلَيْهِ فأصابنا برد شَدِيد حَتَّى رَأَيْت من يحْفر فِي الأَرْض حُفْرَة يدْخل فِيهَا ويلقي عَلَيْهِ الحجفة يَعْنِي الترس فَلَمَّا رأى ذَلِك رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من النَّاس قَالَ من يحرسنا اللَّيْلَة وأدعو لَهُ بِدُعَاء يكون فِيهِ فضل فَقَالَ رجل من الْأَنْصَار أَنا يَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ادنه فَدَنَا فَقَالَ من أَنْت فتسمى لَهُ الْأنْصَارِيّ فَفتح رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِالدُّعَاءِ فَأكْثر مِنْهُ
قَالَ أَبُو رَيْحَانَة فَلَمَّا سَمِعت مَا دَعَا بِهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقلت أَنا رجل آخر قَالَ ادنه فدنوت فَقَالَ من أَنْت فَقلت أَبُو رَيْحَانَة فَدَعَا لي بِدُعَاء وَهُوَ دون مَا دَعَا للْأَنْصَارِيِّ ثمَّ قَالَ حرمت النَّار على عين دَمَعَتْ أَو بَكت من خشيَة الله وَحرمت النَّار على عين سهرت فِي سَبِيل الله عز وَجل وَقَالَ حرمت النَّار على عين أُخْرَى ثَالِثَة لم يسْمعهَا مُحَمَّد بن شمير
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَرُوَاته ثِقَات للنسائي بِبَعْضِه وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ أَبُو رَيْحَانَة فَلَمَّا سَمِعت مَا دَعَا بِهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقلت أَنا رجل آخر قَالَ ادنه فدنوت فَقَالَ من أَنْت فَقلت أَبُو رَيْحَانَة فَدَعَا لي بِدُعَاء وَهُوَ دون مَا دَعَا للْأَنْصَارِيِّ ثمَّ قَالَ حرمت النَّار على عين دَمَعَتْ أَو بَكت من خشيَة الله وَحرمت النَّار على عين سهرت فِي سَبِيل الله عز وَجل وَقَالَ حرمت النَّار على عين أُخْرَى ثَالِثَة لم يسْمعهَا مُحَمَّد بن شمير
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَرُوَاته ثِقَات للنسائي بِبَعْضِه وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৩৬
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৩৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : প্রত্যেক চোখ কিয়ামতের দিন কাদবে; কিন্তু যে চোখ আল্লাহ্ তা'আলার নিষিদ্ধ বস্তুসমূহ থেকে অত্যন্ত কঠোরতার সাথে বেঁচে রয়েছে এবং যে চোখ আল্লাহর পথে বিনিদ্র রাত কাটিয়েছে এবং যে চোখ আল্লাহর ভয়ে মাছির মাথা পরিমাণ অশ্রুত প্রবাহিত করেছে, সেসব চোখ কিয়ামতের দিন কাঁদবে না।
(হাদীসটি ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1936- وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كل عين باكية يَوْم الْقِيَامَة إِلَّا عين غضت عَن محارم الله وَعين سهرت فِي سَبِيل الله وَعين خرج مِنْهَا مثل رَأس الذُّبَاب من خشيَة الله
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৩৭
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ তা'আলার পথে প্রহরাকার্যে উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৩৭. হযরত সাহল ইবন হান্যালিয়্যা (রা) থেকে বর্ণিত। হুনায়নের দিনে আমরা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর সফরসঙ্গী ছিলাম। আমরা এত দীর্ঘ সফর করি যে, অপরাহ্ন হয়ে যায়। আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর সাথে যুহরের সালাতে শরীক হই। এমন সময় এক অশ্বারোহী ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমি আপনাদের আগে আগে পথ চলতে চলতে অমুক অমুক পাহাড়ে উপনীত হলাম। হঠাৎ দেখলাম, হাওয়াযিন গোত্রের লোকেরা তাদের উট-ঘোড়া ও মহিলাসহ সেখানে সমবেত হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তার কথা শুনে মুচকি হেসে বললেনঃ ইনশা আল্লাহ্ এগুলো আগামীকালই মুসলমানদের গনীমতে পরিণত হবে। তারপর তিনি বললেন: কে আছ হে, যে রাতের বেলায় আমাদের পাহারা দেবে? আনাস ইবন আবু মারসাদ গানাবী (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি প্রস্তুত আছি। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি সওয়ার হও। আবু মারসাদ তাঁর ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে গেলেন। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে বললেন: তুমি ঐ গিরিপথে গিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করবে। রাতে যেন তোমার দিক থেকে কোন ধোঁকায় পড়তে না হয়। যখন সকাল হল, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সালাতের স্থানে গিয়ে দু'রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর বললেন: তোমরা কি তোমাদের অশ্বারোহীর কোন সন্ধান পেলে হে? সবাই বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমরা তো তার সন্ধান পাইনি? তারপর সালাতের জন্য লোকজনকে একত্রিত করা হলে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) গিরিপথটির দিকে দৃষ্টি রেখে সালাত আদায় করলেন। সালাত সম্পন্ন করে তিনি বললেন। সুসংবাদ গ্রহণ কর। ঐ তোমাদের অশ্বারোহী আসছে। আমরা গাছের ফাঁক দিয়ে গিরিপথটির দিকে তাকাচ্ছিলাম, এমন সময় সেই অশ্বারোহী রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সামনে এসে দাঁড়াল। তারপর বলল, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নির্দেশ মুতাবিক ঐ পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করেছিলাম। সকালে আমি গিরিপথ দু'টিতে লক্ষ্য করলাম, কিন্তু শত্রুপক্ষের কেউ দৃষ্টিগোচর হলো না। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন। : রাত্রে তুমি কি কোথাও অবতরণ করেছিলে? অশ্বারোহী বলল, না। সালাত ও প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়া ছাড়া অন্য কোন প্রয়োজনে আমি অবতরণ করিনি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন: তুমি জান্নাত অবশ্যম্ভাবী করে নিয়েছ। ।। এরপর তুমি কোন নেক আমল না করলেও তোমার কোন ক্ষতি হবে না।
(নাসাঈ ও আবু দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত পাঠ আবু দাউদের।)
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তার কথা শুনে মুচকি হেসে বললেনঃ ইনশা আল্লাহ্ এগুলো আগামীকালই মুসলমানদের গনীমতে পরিণত হবে। তারপর তিনি বললেন: কে আছ হে, যে রাতের বেলায় আমাদের পাহারা দেবে? আনাস ইবন আবু মারসাদ গানাবী (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি প্রস্তুত আছি। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি সওয়ার হও। আবু মারসাদ তাঁর ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে গেলেন। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে বললেন: তুমি ঐ গিরিপথে গিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করবে। রাতে যেন তোমার দিক থেকে কোন ধোঁকায় পড়তে না হয়। যখন সকাল হল, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সালাতের স্থানে গিয়ে দু'রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর বললেন: তোমরা কি তোমাদের অশ্বারোহীর কোন সন্ধান পেলে হে? সবাই বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমরা তো তার সন্ধান পাইনি? তারপর সালাতের জন্য লোকজনকে একত্রিত করা হলে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) গিরিপথটির দিকে দৃষ্টি রেখে সালাত আদায় করলেন। সালাত সম্পন্ন করে তিনি বললেন। সুসংবাদ গ্রহণ কর। ঐ তোমাদের অশ্বারোহী আসছে। আমরা গাছের ফাঁক দিয়ে গিরিপথটির দিকে তাকাচ্ছিলাম, এমন সময় সেই অশ্বারোহী রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সামনে এসে দাঁড়াল। তারপর বলল, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নির্দেশ মুতাবিক ঐ পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করেছিলাম। সকালে আমি গিরিপথ দু'টিতে লক্ষ্য করলাম, কিন্তু শত্রুপক্ষের কেউ দৃষ্টিগোচর হলো না। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন। : রাত্রে তুমি কি কোথাও অবতরণ করেছিলে? অশ্বারোহী বলল, না। সালাত ও প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়া ছাড়া অন্য কোন প্রয়োজনে আমি অবতরণ করিনি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন: তুমি জান্নাত অবশ্যম্ভাবী করে নিয়েছ। ।। এরপর তুমি কোন নেক আমল না করলেও তোমার কোন ক্ষতি হবে না।
(নাসাঈ ও আবু দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত পাঠ আবু দাউদের।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي الحراسة فِي سَبِيل الله تَعَالَى
1937- وَعَن سهل ابْن الحنظلية رَضِي الله عَنهُ أَنهم سَارُوا مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْم حنين فأطنبوا السّير حَتَّى كَانَ عَشِيَّة فَحَضَرت صَلَاة الظّهْر مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فجَاء فَارس فَقَالَ
يَا رَسُول الله إِنِّي انْطَلَقت بَين أَيْدِيكُم حَتَّى طلعت على جبل كَذَا وَكَذَا فَإِذا أَنا بهوازن على بكرَة أَبِيهِم بظعنهم ونعمهم وَنِسَائِهِمْ اجْتَمعُوا إِلَى حنين فَتَبَسَّمَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَ تِلْكَ غنيمَة الْمُسلمين غَدا إِن شَاءَ الله تَعَالَى ثمَّ قَالَ من يحرسنا اللَّيْلَة قَالَ أنس بن أبي مرْثَد الغنوي أَنا يَا رَسُول الله
قَالَ اركب فَركب فرسا لَهُ وَجَاء إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اسْتقْبل هَذَا الشّعب حَتَّى تكون فِي أَعْلَاهُ وَلَا تغرن من قبلك اللَّيْلَة فَلَمَّا أَصْبَحْنَا خرج رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَى مُصَلَّاهُ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ ثمَّ قَالَ هَل أحسستم فارسكم قَالُوا يَا رَسُول الله مَا أحسسناه فثوب بِالصَّلَاةِ فَجعل رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُصَلِّي وَهُوَ يلْتَفت إِلَى الشّعب حَتَّى إِذا قضى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صلَاته وَسلم قَالَ أَبْشِرُوا فقد جَاءَ فارسكم فَجعلنَا نَنْظُر إِلَى خلال الشّجر فِي الشّعب فَإِذا هُوَ قد جَاءَ حَتَّى وقف على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ إِنِّي انْطَلَقت حَتَّى كنت فِي أَعلَى هَذَا الشّعب حَيْثُ أَمرنِي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَلَمَّا أَصبَحت اطَّلَعت الشعبين كِلَاهُمَا فَنَظَرت فَلم أر أحدا فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هَل نزلت اللَّيْلَة قَالَ لَا إِلَّا مُصَليا أَو قَاضِي حَاجَة فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قد أوجبت فَلَا عَلَيْك أَن لَا تعْمل بعْدهَا
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَأَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ
أوجبت أَي أتيت بِفعل أوجب لَك الْجنَّة
يَا رَسُول الله إِنِّي انْطَلَقت بَين أَيْدِيكُم حَتَّى طلعت على جبل كَذَا وَكَذَا فَإِذا أَنا بهوازن على بكرَة أَبِيهِم بظعنهم ونعمهم وَنِسَائِهِمْ اجْتَمعُوا إِلَى حنين فَتَبَسَّمَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَ تِلْكَ غنيمَة الْمُسلمين غَدا إِن شَاءَ الله تَعَالَى ثمَّ قَالَ من يحرسنا اللَّيْلَة قَالَ أنس بن أبي مرْثَد الغنوي أَنا يَا رَسُول الله
قَالَ اركب فَركب فرسا لَهُ وَجَاء إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اسْتقْبل هَذَا الشّعب حَتَّى تكون فِي أَعْلَاهُ وَلَا تغرن من قبلك اللَّيْلَة فَلَمَّا أَصْبَحْنَا خرج رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَى مُصَلَّاهُ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ ثمَّ قَالَ هَل أحسستم فارسكم قَالُوا يَا رَسُول الله مَا أحسسناه فثوب بِالصَّلَاةِ فَجعل رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُصَلِّي وَهُوَ يلْتَفت إِلَى الشّعب حَتَّى إِذا قضى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صلَاته وَسلم قَالَ أَبْشِرُوا فقد جَاءَ فارسكم فَجعلنَا نَنْظُر إِلَى خلال الشّجر فِي الشّعب فَإِذا هُوَ قد جَاءَ حَتَّى وقف على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ إِنِّي انْطَلَقت حَتَّى كنت فِي أَعلَى هَذَا الشّعب حَيْثُ أَمرنِي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَلَمَّا أَصبَحت اطَّلَعت الشعبين كِلَاهُمَا فَنَظَرت فَلم أر أحدا فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هَل نزلت اللَّيْلَة قَالَ لَا إِلَّا مُصَليا أَو قَاضِي حَاجَة فَقَالَ لَهُ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قد أوجبت فَلَا عَلَيْك أَن لَا تعْمل بعْدهَا
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَأَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ
أوجبت أَي أتيت بِفعل أوجب لَك الْجنَّة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৩৮
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর পথে ব্যয়, মুজাহিদদের প্রস্তুতিতে সহযোগিতা ও তাদের পরিবার-পরিজনদের দেখাশোনার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৩৮. হযরত খুরায়ম ইব্ন ফাতিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে (জিহাদে) সামান্য খরচ করল, সাতশ' গুণ সওয়াব তার আমলনামায় লিখিত হবে।
(হাদীসটি নাসাঈ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকীমও এটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত।)
(হাদীসটি নাসাঈ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকীমও এটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي النَّفَقَة فِي سَبِيل الله وتجهيز الْغُزَاة وخلفهم فِي أهلهم
1938- عَن خريم بن فاتك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من أنْفق نَفَقَة فِي سَبِيل الله كتبت بسبعمائة ضعف
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৩৯
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর পথে ব্যয়, মুজাহিদদের প্রস্তুতিতে সহযোগিতা ও তাদের পরিবার-পরিজনদের দেখাশোনার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৩৯. বাযযার (র) মি'রাজ সম্পর্কিত হাদীসটি রবী' ইব্ন আনাস সূত্রে আবুল আলিয়া অথবা অন্যের বরাতে হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে এমন একটি সওয়ারী আনা হল, যে বাহনটি প্রতি পদক্ষেপে তার দৃষ্টিসীমার শেষ পর্যন্ত চলে যেত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিবরাঈল (আ)-কে সাথী করে সফর করলেন। তাঁরা এমন এক স্থানে উপনীত হলেন যে, সেখানকার মানুষ যেদিন চাষ করে, সেই দিনই ফসল কেটে ফেলে। যখন তারা ফসল সংগ্রহ করে ফেলে, শীষগুলো আবার পূর্বের ন্যায় দানায় পূর্ণ হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিবরাঈলকে জিজ্ঞেস করলেন, এরা কারা? জিবরাঈল বললেন, এরা হল আল্লাহর পথের মুজাহিদ। প্রত্যেক কাজেই তাদেরকে সাতশ' পরিমাণ সওয়াব দেয়া হবে। ওরা যা খরচ করবে, তার সবটুকুতেই আল্লাহ্ তা'আলা এমন বর্ধিত সওয়াব দিবেন। তারপর দীর্ঘ হাদীসটি বর্ণনা করেন।
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي النَّفَقَة فِي سَبِيل الله وتجهيز الْغُزَاة وخلفهم فِي أهلهم
1939 - وروى الْبَزَّار حَدِيث الْإِسْرَاء من طَرِيق الرّبيع بن أنس عَن أبي الْعَالِيَة أَو غَيره عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أُتِي بفرس يَجْعَل كل خطو مِنْهُ أقْصَى بَصَره فَسَار وَسَار مَعَه جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام فَأتى على قوم يزرعون فِي يَوْم ويحصدون فِي يَوْم كلما حصدوا عَاد كَمَا كَانَ فَقَالَ يَا جِبْرَائِيل من هَؤُلَاءِ قَالَ هَؤُلَاءِ المجاهدون فِي سَبِيل الله
تضَاعف لَهُم الْحَسَنَة بسبعمائة ضعف وَمَا أَنْفقُوا من شَيْء فَهُوَ يخلفه
فَذكر الحَدِيث بِطُولِهِ
تضَاعف لَهُم الْحَسَنَة بسبعمائة ضعف وَمَا أَنْفقُوا من شَيْء فَهُوَ يخلفه
فَذكر الحَدِيث بِطُولِهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৪০
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর পথে ব্যয়, মুজাহিদদের প্রস্তুতিতে সহযোগিতা ও তাদের পরিবার-পরিজনদের দেখাশোনার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৪০. হযরত ইবন উমর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন কুরআন কারীমের নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হল:
مَثَلُ الَّذِينَ يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنْبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنْبُلَةٍ مِائَةُ حَبَّةٍ وَاللَّهُ يُضَاعِفُ لِمَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
"যারা আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের উদাহরণ হল, যেমন একটি বীজ থেকে সাতটি শীষ গজায় এবং প্রতিটি শীষে থাকে একশ' দানা, আল্লাহ্ তা'আলা অতি দানশীল ও সর্বজ্ঞ।" (সূরা বাকারা,আয়াত নং-২৬১)
রাসূলুল্লাহ তখন বললেনঃ হে আল্লাহ! আমার উম্মতের প্রতিদান আরো বাড়িয়ে দিন। তারপরই নাযিল হল:
إِنَّمَا يُوفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُم بِغَيْرِ حِساب
"নিশ্চয়ই ধৈর্য ধারণকারীদের অগণিত সওয়াব প্রদান করা হয়।"
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর সহীহ গ্রন্থে এবং বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
مَثَلُ الَّذِينَ يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنْبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنْبُلَةٍ مِائَةُ حَبَّةٍ وَاللَّهُ يُضَاعِفُ لِمَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
"যারা আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের উদাহরণ হল, যেমন একটি বীজ থেকে সাতটি শীষ গজায় এবং প্রতিটি শীষে থাকে একশ' দানা, আল্লাহ্ তা'আলা অতি দানশীল ও সর্বজ্ঞ।" (সূরা বাকারা,আয়াত নং-২৬১)
রাসূলুল্লাহ তখন বললেনঃ হে আল্লাহ! আমার উম্মতের প্রতিদান আরো বাড়িয়ে দিন। তারপরই নাযিল হল:
إِنَّمَا يُوفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُم بِغَيْرِ حِساب
"নিশ্চয়ই ধৈর্য ধারণকারীদের অগণিত সওয়াব প্রদান করা হয়।"
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর সহীহ গ্রন্থে এবং বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي النَّفَقَة فِي سَبِيل الله وتجهيز الْغُزَاة وخلفهم فِي أهلهم
1940- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ لما نزلت {مثل الَّذين يُنْفقُونَ أَمْوَالهم فِي سَبِيل الله كَمثل حَبَّة أنبتت سبع سنابل فِي كل سنبلة مائَة حَبَّة وَالله يُضَاعف لمن يَشَاء وَالله وَاسع عليم} الْبَقَرَة 162
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رب زد أمتِي فَنزلت {إِنَّمَا يُوفى الصَّابِرُونَ أجرهم بِغَيْر حِسَاب} الزمر 01
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رب زد أمتِي فَنزلت {إِنَّمَا يُوفى الصَّابِرُونَ أجرهم بِغَيْر حِسَاب} الزمر 01
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৪১
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর পথে ব্যয়, মুজাহিদদের প্রস্তুতিতে সহযোগিতা ও তাদের পরিবার-পরিজনদের দেখাশোনার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৪১. হযরত হাসান ইবন আলী ইবন আবু তালিব, আবুদ-দারদা, আবু হুরায়রা, আবু উমামা বাহিলী, আবদুল্লাহ ইবন উমর, জাবির ইবন আবদুল্লাহ ও ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) হতে বর্ণিত। এঁরা সবাই রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে খরচের জন্য একটি দিরহাম পাঠালো এবং নিজে বাড়িতেই থাকল, সে তার প্রত্যেক দিরহামের পরিবর্তে সাতশ' করে নেকী পাবে, আর যে ব্যক্তি জিহাদে সক্রিয়ভবে অংশগ্রহণ করল এবং জিহাদে খরচও করল, সে প্রতি দিরহামের পরিবর্তে সাত লক্ষ সওয়াব পাবে। তারপর তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন:
والله يضاعف لِمَنْ يَشَاءُ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
"আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন বহুগুণে বাড়িয়ে দেন।"
(হাদীসটি ইবন মাজাহ খলীল ইবন আবদুল্লাহ সূত্রে হাসান থেকে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির কোন সমালোচনা বা নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে আমি বলতে পারছি না। এ হাদীসটি ইবন আবু হাতিম হাসান সূত্রে শুধু ইমরান থেকে বর্ণনা করেছেন।
[হাফিয (র) বলেন: হাসান হযরত ইমরান কিংবা ইবন উমর (রা) থেকে হাদীসটি শুনেননি। হাকিম বলেন: আমাদের অধিকাংশ মাশায়েখের মতে হাসান ইমরান (রা) থেকে হাদীসটি শুনেছেন। জমহূর আলিমগণের মতে তিনি হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেও হাদীসটি শুনেননি, বরং অন্য কারো নিকট থেকে শুনে থাকবেন। আল্লাহ্ ভাল জানেন।)
والله يضاعف لِمَنْ يَشَاءُ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
"আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন বহুগুণে বাড়িয়ে দেন।"
(হাদীসটি ইবন মাজাহ খলীল ইবন আবদুল্লাহ সূত্রে হাসান থেকে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির কোন সমালোচনা বা নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে আমি বলতে পারছি না। এ হাদীসটি ইবন আবু হাতিম হাসান সূত্রে শুধু ইমরান থেকে বর্ণনা করেছেন।
[হাফিয (র) বলেন: হাসান হযরত ইমরান কিংবা ইবন উমর (রা) থেকে হাদীসটি শুনেননি। হাকিম বলেন: আমাদের অধিকাংশ মাশায়েখের মতে হাসান ইমরান (রা) থেকে হাদীসটি শুনেছেন। জমহূর আলিমগণের মতে তিনি হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেও হাদীসটি শুনেননি, বরং অন্য কারো নিকট থেকে শুনে থাকবেন। আল্লাহ্ ভাল জানেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي النَّفَقَة فِي سَبِيل الله وتجهيز الْغُزَاة وخلفهم فِي أهلهم
1941- وَعَن الْحسن بن عَليّ بن أبي طَالب وَأبي الدَّرْدَاء وَأبي هُرَيْرَة وَأبي أُمَامَة الْبَاهِلِيّ وَعبد الله بن عمر وَجَابِر بن عبد الله وَعمْرَان بن حُصَيْن رَضِي الله عَنْهُم كلهم يحدث عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ من أرسل نَفَقَة فِي سَبِيل الله وَأقَام فِي بَيته فَلهُ بِكُل دِرْهَم سَبْعمِائة دِرْهَم وَمن غزا بِنَفسِهِ فِي سَبِيل الله وَأنْفق فِي وَجهه ذَلِك فَلهُ بِكُل دِرْهَم سَبْعمِائة ألف دِرْهَم
ثمَّ تَلا هَذِه الْآيَة {وَالله يُضَاعف لمن يَشَاء} الْبَقَرَة 162
رَوَاهُ ابْن مَاجَه عَن الْخَلِيل بن عبد الله وَلَا يحضرني فِيهِ جرح وَلَا عَدَالَة عَن الْحسن عَنْهُم وَرَوَاهُ ابْن أبي حَاتِم عَن الْحسن عَن عمرَان فَقَط
قَالَ الْحَافِظ وَالْحسن لم يسمع من عمرَان وَلَا من ابْن عمر وَقَالَ الْحَاكِم أَكثر مَشَايِخنَا على أَن الْحسن سمع من عمرَان انْتهى
وَالْجُمْهُور على أَنه لم يسمع من أبي هُرَيْرَة أَيْضا وَقد سمع من غَيرهم وَالله أعلم
ثمَّ تَلا هَذِه الْآيَة {وَالله يُضَاعف لمن يَشَاء} الْبَقَرَة 162
رَوَاهُ ابْن مَاجَه عَن الْخَلِيل بن عبد الله وَلَا يحضرني فِيهِ جرح وَلَا عَدَالَة عَن الْحسن عَنْهُم وَرَوَاهُ ابْن أبي حَاتِم عَن الْحسن عَن عمرَان فَقَط
قَالَ الْحَافِظ وَالْحسن لم يسمع من عمرَان وَلَا من ابْن عمر وَقَالَ الْحَاكِم أَكثر مَشَايِخنَا على أَن الْحسن سمع من عمرَان انْتهى
وَالْجُمْهُور على أَنه لم يسمع من أبي هُرَيْرَة أَيْضا وَقد سمع من غَيرهم وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৪২
অধ্যায়ঃ জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর পথে ব্যয়, মুজাহিদদের প্রস্তুতিতে সহযোগিতা ও তাদের পরিবার-পরিজনদের দেখাশোনার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৪২. হযরত মুয়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথের জিহাদে অধিক যিক্র করে, তার জন্য সুসংবাদ। তাঁর প্রত্যেকটি কালেমার বিনিময়ে সত্তর হাজার সওয়াব লিখা হবে। এগুলোকে আবার দশগুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে এবং আল্লাহর নিকট তার 'বাড়তি' পুরস্কারের সাথে যুক্ত করা হবে। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করলেও কি এ রকম সওয়াব পাওয়া যাবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন। খরচের বেলাও এমন সওয়াব দেয়া হবে। আবদুর রহমান বলেন, আমি মুয়ায (রা)-কে বললাম, আল্লাহর পথে ব্যয় করলে সাতশ' গুণ সওয়াব দেয়া হবে। মুয়ায (রা) বললেন, তুমি বুঝতে পারো নি। এই সওয়াব তো তখন, যখন সে জিহাদ না করে বাড়িতে থাকা অবস্থায় খরচ করবে। আর যদি সক্রিয়ভাবে জিহাদে থাকা অবস্থায় খরচ করে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর রহমতের খনিতে এর নেকী এই পরিমাণ বৃদ্ধি করতে থাকেন, মানুষের ধারণা ও জ্ঞান যা অনুমান করতে অপারগ। এরাই হচ্ছে আল্লাহর দল, আর আল্লাহর দল নিশ্চয়ই বিজয়ী।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটির বর্ণনা সূত্রে এমন একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন, যাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটির বর্ণনা সূত্রে এমন একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন, যাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي النَّفَقَة فِي سَبِيل الله وتجهيز الْغُزَاة وخلفهم فِي أهلهم
1942- وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ طُوبَى لمن أَكثر فِي الْجِهَاد فِي سَبِيل الله من ذكر الله فَإِن لَهُ بِكُل كلمة سبعين ألف حَسَنَة كل حَسَنَة مِنْهَا عشرَة أَضْعَاف مَعَ الَّذِي لَهُ عِنْد الله من الْمَزِيد
قيل يَا رَسُول الله النَّفَقَة قَالَ النَّفَقَة على قدر ذَلِك
قَالَ عبد الرَّحْمَن فَقلت لِمعَاذ إِنَّمَا النَّفَقَة بسبعمائة ضعف فَقَالَ معَاذ قل فهمك إِنَّمَا ذَاك إِذا أنفقوها وهم مقيمون فِي أَهْليهمْ غير غزَاة فَإِذا غزوا وأنفقوا خبأ الله لَهُم من خَزَائِن رَحمته مَا يَنْقَطِع عَنهُ علم الْعباد وصفتهم فَأُولَئِك حزب الله وحزب الله هم الغالبون
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَفِي إِسْنَاده راو لم يسم
قيل يَا رَسُول الله النَّفَقَة قَالَ النَّفَقَة على قدر ذَلِك
قَالَ عبد الرَّحْمَن فَقلت لِمعَاذ إِنَّمَا النَّفَقَة بسبعمائة ضعف فَقَالَ معَاذ قل فهمك إِنَّمَا ذَاك إِذا أنفقوها وهم مقيمون فِي أَهْليهمْ غير غزَاة فَإِذا غزوا وأنفقوا خبأ الله لَهُم من خَزَائِن رَحمته مَا يَنْقَطِع عَنهُ علم الْعباد وصفتهم فَأُولَئِك حزب الله وحزب الله هم الغالبون
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَفِي إِسْنَاده راو لم يسم
তাহকীক: