আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৫. অধ্যায়ঃ নামাজ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪৮২ টি
হাদীস নং: ৬২১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬২১. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি আযান শুনেছে অথচ জামাআতে হাযির হয় নি, তার সালাত আদায় হয় নি। তবে যদি কোন ওযর থাকে (তাহলে তা কবূল করা হবে)।
(কাসিম ইবন আসবাগ তাঁর গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন মাজাহ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিমও হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন, বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী এ হাদীসখানা সহীহ।)
(কাসিম ইবন আসবাগ তাঁর গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন মাজাহ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিমও হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন, বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী এ হাদীসখানা সহীহ।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
621 - وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من سمع النداء فَلم يجب فَلَا صَلَاة لَهُ إِلَّا من عذر
رَوَاهُ الْقَاسِم بن أصبغ فِي كِتَابه وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
رَوَاهُ الْقَاسِم بن أصبغ فِي كِتَابه وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬২২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬২২. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি। যে গ্রামে বা প্রান্তরে তিনজন লোকও অবস্থান করে, অথচ তারা জামাআতে সালাত আদায় করে না, তাদের উপর শয়তান সওয়ার হয়ে যায়। কাজেই জামাআতের সাথে সালাত আদায় করা তোমাদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য। কেননা দলত্যাগী বিচ্ছিন্ন বকরীকেই নেকড়ে বাঘ খেয়ে ফেলে।
(আহমদ, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং হাকিমও। তবে রাযীন তাঁর জামে গ্রন্থে বাড়িয়ে বলেনঃ মানুষের জন্য নেকড়ে বাঘ হল শয়তান, যখন সে কাউকে একাকী পায়, তখন সে তাকে ধ্বংস করে।
হযরত ইবন মাসউদ (রা) সূত্রে পূর্বে এই মর্মে হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে যে, তোমরা যদি নিজ ঘরে সালাত আদায় কর, যেমন জামাআত বর্জনকারী একদল লোক ঘরে সালাত আদায় করে, তাহলে তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাত বর্জন করলে। আর তোমরা যদি তোমাদের নবীর সুন্নাত বর্জন কর, তাহলে তোমরা গুমরাহ হয়ে যাবে। হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
(মুসলিম ও আবু দাউদ এবং এতদ্ব্যতীত অপরাপর হাদীস গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(আহমদ, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান উভয়ে তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং হাকিমও। তবে রাযীন তাঁর জামে গ্রন্থে বাড়িয়ে বলেনঃ মানুষের জন্য নেকড়ে বাঘ হল শয়তান, যখন সে কাউকে একাকী পায়, তখন সে তাকে ধ্বংস করে।
হযরত ইবন মাসউদ (রা) সূত্রে পূর্বে এই মর্মে হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে যে, তোমরা যদি নিজ ঘরে সালাত আদায় কর, যেমন জামাআত বর্জনকারী একদল লোক ঘরে সালাত আদায় করে, তাহলে তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাত বর্জন করলে। আর তোমরা যদি তোমাদের নবীর সুন্নাত বর্জন কর, তাহলে তোমরা গুমরাহ হয়ে যাবে। হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
(মুসলিম ও আবু দাউদ এবং এতদ্ব্যতীত অপরাপর হাদীস গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
622 - وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا من ثَلَاثَة فِي قَرْيَة وَلَا بَدو لَا تُقَام فيهم الصَّلَاة إِلَّا قد استحوذ عَلَيْهِم الشَّيْطَان فَعَلَيْكُم بِالْجَمَاعَة فَإِنَّمَا يَأْكُل الذِّئْب من الْغنم القاصية
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن
حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَزَاد رزين فِي جَامعه وَإِن ذِئْب الْإِنْسَان الشَّيْطَان إِذا خلا بِهِ أكله
وَتقدم حَدِيث ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ وَفِيه وَلَو أَنكُمْ صليتم فِي بُيُوتكُمْ كَمَا يُصَلِّي هَذَا المتخلف فِي بَيته لتركتم سنة نَبِيكُم وَلَو تركْتُم سنة نَبِيكُم لَضَلَلْتُمْ الحَدِيث رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَغَيرهمَا
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن
حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَزَاد رزين فِي جَامعه وَإِن ذِئْب الْإِنْسَان الشَّيْطَان إِذا خلا بِهِ أكله
وَتقدم حَدِيث ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ وَفِيه وَلَو أَنكُمْ صليتم فِي بُيُوتكُمْ كَمَا يُصَلِّي هَذَا المتخلف فِي بَيته لتركتم سنة نَبِيكُم وَلَو تركْتُم سنة نَبِيكُم لَضَلَلْتُمْ الحَدِيث رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَغَيرهمَا
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬২৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬২৩. আবূ দাউদ শরীফে বর্ণিত আছে যে, তোমরা যদি তোমাদের নবীর সুন্নাত বর্জন কর, তাহলে তোমরা কুফরী করলে। ইতোপূর্বে আবূ উমামা (রা)-এর বরাতে মারফ্ সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
623 - وَفِي رِوَايَة لابي دَاوُد وَلَو تركْتُم سنة نَبِيكُم لكَفَرْتُمْ
وَتقدم حَدِيث أبي أُمَامَة فِي الْمَعْنى مَرْفُوعا
وَتقدم حَدِيث أبي أُمَامَة فِي الْمَعْنى مَرْفُوعا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬২৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬২৪. হযরত মুআয ইবন আনাস (রা) থেকে রাসূলুল্লাহ (সা) সূত্রে বর্ণিত। কষ্ট পুরোপুরিই কষ্ট। আর তা রয়েছে কুফরী ও নিফাকে। যে ব্যক্তি আল্লাহর আহবানকারীর সালাতের আহবান শুনল, অথচ সাড়া দিল না।
(আহমদ ও তাবারানী যবান ইবন ফায়িদ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(আহমদ ও তাবারানী যবান ইবন ফায়িদ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
624 - وَعَن معَاذ بن أنس رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ الْجفَاء كل الْجفَاء وَالْكفْر والنفاق من سمع مُنَادِي الله يُنَادي إِلَى الصَّلَاة فَلَا يجِيبه
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ من رِوَايَة زبان بن فائد
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ من رِوَايَة زبان بن فائد
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬২৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬২৫. তাবারানীর এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: মুমিনের হতভাগ্য ও বঞ্চিত হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে মুআযযিনের আযান শুনল, অথচ তাতে সে সাড়া দিল না।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
625 - وَفِي رِوَايَة للطبراني قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِحَسب الْمُؤمن من الشَّقَاء والخيبة أَن يسمع الْمُؤَذّن يثوب بِالصَّلَاةِ فَلَا يجِيبه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬২৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬২৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: আমার মনে চায় যে, আমি আমার যুবকদেরকে লাকড়ীর আঁটি একত্র করার নির্দেশ দেই। এরপর আমি ঐ সকল লোকের কাছে যাই যারা বিনা ওযরে ঘরে সালাত আদায় করে। ইয়াযীদ ইবন আসামকে বলা হল, এখানে কি জুমুআ উদ্দেশ্য, না অন্য কিছু? তিনি বলেনঃ আমি যদি আবূ হুরায়রা (রা) থেকে এভাবে শুনে না থাকি, তাহলে আমার উভয় কান বধির হোক। যা তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে শুনেছেন। তবে তিনি جُمُعَة وَلَا غَيرهَا উল্লেখ করেন নি।
(মুসলিম, আবু দাউদ, ইবন মাজাহ ও তিরমিযী সংক্ষেপে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(মুসলিম, আবু দাউদ, ইবন মাজাহ ও তিরমিযী সংক্ষেপে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
626 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لقد هَمَمْت أَن آمُر فتيتي فيجمعوا لي حزما من حطب ثمَّ آتِي قوما يصلونَ فِي بُيُوتهم لَيست بهم عِلّة فأحرقها عَلَيْهِم فَقيل ليزِيد هُوَ ابْن الْأَصَم الْجُمُعَة عَنى أَو غَيرهَا
قَالَ صمت أذناي إِن لم أكن سَمِعت أَبَا هُرَيْرَة يأثره عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَلم يذكر جُمُعَة وَلَا غَيرهَا
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ مُخْتَصرا
قَالَ صمت أذناي إِن لم أكن سَمِعت أَبَا هُرَيْرَة يأثره عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَلم يذكر جُمُعَة وَلَا غَيرهَا
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ مُخْتَصرا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬২৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬২৭. হযরত আমর ইবন উম্মু মাকতুম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি একজন অন্ধ এবং মসজিদ থেকে আমার বাড়ি অনেক দূরে। আমার একজন পরিচারক আছে, তবে সে আমার সাথে সদয় আচরণ করে না। কাজেই আমার জন্য কি (জামাআত বর্জনের) অবকাশ আছে, যাতে আমি নিজ ঘরে সালাত আদায় করতে পারি? তিনি বললেনঃ তুমি কি আযান শুনতে পাও? তিনি বললেন: হ্যাঁ। নবী (সা) বললেনঃ আমি তোমার জন্য অবকাশ দানের সুযোগ পাচ্ছি না।
(আহমদ, আবু দাউদ, ইবন মাজাহ, ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(আহমদ, আবু দাউদ, ইবন মাজাহ, ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
627 - وَعَن عَمْرو بن أم مَكْتُوم رَضِي الله عَنهُ قَالَ قلت يَا رَسُول الله أَنا ضَرِير شاسع الدَّار ولي قَائِد لَا يلايمني فَهَل تَجِد لي رخصَة أَن أُصَلِّي فِي بَيْتِي قَالَ أتسمع النداء
قَالَ نعم
قَالَ مَا أجد لَك رخصَة
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم
قَالَ نعم
قَالَ مَا أجد لَك رخصَة
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬২৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬২৮. আহমদ-এর বর্ণনায় আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ (সা) মসজিদে আসেন এবং একদল দুর্বল লোক দেখতে পান। তখন তিনি বলেন: আমার মনে চায় লোকদের জন্য একজন ইমাম নিযুক্ত করি। এরপর বেরিয়ে যাই ঐ সব লোকের উদ্দেশ্যে, যারা পেছনে থেকে ঘরে সালাত আদায় করে এবং আমি তাদের জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করে দেই। ইবন উন্মু মাকতুম বলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার ঘর এবং মসজিদের মধ্যপথে রয়েছে খেজুর বাগান ও বৃক্ষরাজি, আর আমি সর্বদা একজন পরিচারক রাখারও সামর্থ্য রাখি না। কাজেই আমার ঘরে সালাত আদায় করার অবকাশ আছে কি? তিনি বললেনঃ তুমি কি ইকামত শুনতে পাও? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেন: তাহলে তুমি জামাআতে চলে আসবে।
(এ হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত।)
[হাফিয আবু বকর ইবন মুনযির বলেন:] আমরা এ হাদীসখানা রাসূলুল্লাহ (সা) এর অনেক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছি। তাঁরা বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আযান শুনে ওযর ব্যতীত জামাআতে সালাত আদায় করে নি, তার সালাত আদায় হয় নি। হযরত ইবন মাসউদ ও আবু মুসা আশ'আরী (রা) প্রমুখ হাদীসখানা বর্ণনা করেন। নবী থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, জামাআতে সালাত আদায় করা ফরয। এ বিষয়ে আতা, আহমদ ইবন হাম্বল ও আবু সাওর (র) ঐকমত্য পোষণ করেন। ইমাম শাফিঈ (র) বলেনঃ ওযর ব্যতীত কাউকে আমি জামাআতে সালাত আদায়ের ব্যাপারে অবকাশ দিতে পারি না।
[খাত্তাবী হযরত ইবন উম্মু মাকতুম (রা) বর্ণিত হাদীস উল্লেখের পর বলেনঃ] এ হাদীস জামাআতে উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব সাব্যস্তের দলীল। যদি তা মুস্তাহাব হতো, তাহলে জামাআত বর্জনকারী মাযুর ও দুর্বলদের অপেক্ষা অধিক সুযোগ পেয়ে যেত। যদি তা মুস্তাহাব হত, তাহলে সে ইবন উম্মু মাকতূমের ন্যায় ফযীলত অর্জন করত। আতা ইবন আবু রাবাহ গ্রামে-গঞ্জে আল্লাহর সৃষ্টিলোকের মধ্যে যে আযান শুনে, তার জামা'আতে সালাত বর্জনের ব্যাপারে অবকাশ নেই।
[আওযাঈ (র) বলেনঃ] জুমুআ ও জামাআত বর্জনের ব্যাপারে পিতার আনুগত্য করা যাবে না।
(এ হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত।)
[হাফিয আবু বকর ইবন মুনযির বলেন:] আমরা এ হাদীসখানা রাসূলুল্লাহ (সা) এর অনেক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছি। তাঁরা বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আযান শুনে ওযর ব্যতীত জামাআতে সালাত আদায় করে নি, তার সালাত আদায় হয় নি। হযরত ইবন মাসউদ ও আবু মুসা আশ'আরী (রা) প্রমুখ হাদীসখানা বর্ণনা করেন। নবী থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, জামাআতে সালাত আদায় করা ফরয। এ বিষয়ে আতা, আহমদ ইবন হাম্বল ও আবু সাওর (র) ঐকমত্য পোষণ করেন। ইমাম শাফিঈ (র) বলেনঃ ওযর ব্যতীত কাউকে আমি জামাআতে সালাত আদায়ের ব্যাপারে অবকাশ দিতে পারি না।
[খাত্তাবী হযরত ইবন উম্মু মাকতুম (রা) বর্ণিত হাদীস উল্লেখের পর বলেনঃ] এ হাদীস জামাআতে উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব সাব্যস্তের দলীল। যদি তা মুস্তাহাব হতো, তাহলে জামাআত বর্জনকারী মাযুর ও দুর্বলদের অপেক্ষা অধিক সুযোগ পেয়ে যেত। যদি তা মুস্তাহাব হত, তাহলে সে ইবন উম্মু মাকতূমের ন্যায় ফযীলত অর্জন করত। আতা ইবন আবু রাবাহ গ্রামে-গঞ্জে আল্লাহর সৃষ্টিলোকের মধ্যে যে আযান শুনে, তার জামা'আতে সালাত বর্জনের ব্যাপারে অবকাশ নেই।
[আওযাঈ (র) বলেনঃ] জুমুআ ও জামাআত বর্জনের ব্যাপারে পিতার আনুগত্য করা যাবে না।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
628 - وَفِي رِوَايَة لاحمد عَنهُ أَيْضا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَتَى الْمَسْجِد فَرَأى فِي الْقَوْم رقة فَقَالَ إِنِّي لأهم أَن أجعَل للنَّاس إِمَامًا ثمَّ أخرج فَلَا أقدر على إِنْسَان يتَخَلَّف عَن الصَّلَاة فِي بَيته إِلَّا أحرقته عَلَيْهِ فَقَالَ ابْن أم مَكْتُوم يَا رَسُول الله إِن بيني وَبَين الْمَسْجِد نخلا وشجرا وَلَا أقدر على قَائِد كل سَاعَة أيسعني أَن أُصَلِّي فِي بَيْتِي
قَالَ أتسمع الْإِقَامَة قَالَ نعم
قَالَ فائتها
وَإسْنَاد هَذِه جيد
قَوْله شاسع الدَّار هُوَ بالشين الْمُعْجَمَة أَولا وَالسِّين وَالْعين الْمُهْمَلَتَيْنِ بعد الْألف أَي بعيد الدَّار وَلَا يلايمني أَي لَا يوافقني وَفِي نسخ أبي دَاوُد لَا يلاومني بِالْوَاو وَلَيْسَ بصواب قَالَه الْخطابِيّ وَغَيره
قَالَ الْحَافِظ أَبُو بكر بن الْمُنْذر روينَا عَن غير وَاحِد من أَصْحَاب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنهم قَالُوا من سمع النداء ثمَّ لم يجب من غير عذر فَلَا صَلَاة لَهُ مِنْهُم ابْن مَسْعُود وَأَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيّ
وَقد رُوِيَ ذَلِك عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَمن كَانَ يرى أَن حُضُور الْجَمَاعَات فرض عَطاء وَأحمد بن حَنْبَل وَأَبُو ثَوْر وَقَالَ الشَّافِعِي رَضِي الله عَنهُ لَا أرخص لمن قدر على صَلَاة الْجَمَاعَة فِي ترك إتيانها إِلَّا من عذر انْتهى
وَقَالَ الْخطابِيّ بعد ذكر حَدِيث ابْن أم مَكْتُوم وَفِي هَذَا دَلِيل على أَن حُضُور الْجَمَاعَة وَاجِب وَلَو كَانَ ذَلِك ندبا لَكَانَ أولى من يَسعهُ التَّخَلُّف عَنْهَا أهل الضَّرُورَة والضعف وَمن كَانَ فِي مثل حَال ابْن أم مَكْتُوم وَكَانَ عَطاء بن أبي رَبَاح يَقُول لَيْسَ لأحد من خلق الله فِي الْحَضَر وبالقرية رخصَة إِذا سمع النداء فِي أَن يدع الصَّلَاة
وَقَالَ الْأَوْزَاعِيّ لَا طَاعَة للوالد فِي ترك الْجُمُعَة وَالْجَمَاعَات انْتهى
قَالَ أتسمع الْإِقَامَة قَالَ نعم
قَالَ فائتها
وَإسْنَاد هَذِه جيد
قَوْله شاسع الدَّار هُوَ بالشين الْمُعْجَمَة أَولا وَالسِّين وَالْعين الْمُهْمَلَتَيْنِ بعد الْألف أَي بعيد الدَّار وَلَا يلايمني أَي لَا يوافقني وَفِي نسخ أبي دَاوُد لَا يلاومني بِالْوَاو وَلَيْسَ بصواب قَالَه الْخطابِيّ وَغَيره
قَالَ الْحَافِظ أَبُو بكر بن الْمُنْذر روينَا عَن غير وَاحِد من أَصْحَاب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنهم قَالُوا من سمع النداء ثمَّ لم يجب من غير عذر فَلَا صَلَاة لَهُ مِنْهُم ابْن مَسْعُود وَأَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيّ
وَقد رُوِيَ ذَلِك عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَمن كَانَ يرى أَن حُضُور الْجَمَاعَات فرض عَطاء وَأحمد بن حَنْبَل وَأَبُو ثَوْر وَقَالَ الشَّافِعِي رَضِي الله عَنهُ لَا أرخص لمن قدر على صَلَاة الْجَمَاعَة فِي ترك إتيانها إِلَّا من عذر انْتهى
وَقَالَ الْخطابِيّ بعد ذكر حَدِيث ابْن أم مَكْتُوم وَفِي هَذَا دَلِيل على أَن حُضُور الْجَمَاعَة وَاجِب وَلَو كَانَ ذَلِك ندبا لَكَانَ أولى من يَسعهُ التَّخَلُّف عَنْهَا أهل الضَّرُورَة والضعف وَمن كَانَ فِي مثل حَال ابْن أم مَكْتُوم وَكَانَ عَطاء بن أبي رَبَاح يَقُول لَيْسَ لأحد من خلق الله فِي الْحَضَر وبالقرية رخصَة إِذا سمع النداء فِي أَن يدع الصَّلَاة
وَقَالَ الْأَوْزَاعِيّ لَا طَاعَة للوالد فِي ترك الْجُمُعَة وَالْجَمَاعَات انْتهى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬২৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬২৯. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) এর নিকট এক অন্ধ ব্যক্তি এলো এবং বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার এমন কোন লোক নেই, যে আমাকে মসজিদে দিয়ে যাবে। সে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর কাছে তার নিজ ঘরে সালাত আদায়ের অবকাশ (অনুমতি) চাইল। তিনি তাকে অবকাশ (অনুমতি) দিলেন। কিন্তু যখন সে উঠে গেল, তিনি তাকে ডেকে বললেন: তুমি কি সালাতের আযান শুনতে পাও? সে বলল: হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন: তাহলে তুমি (আযানের ডাকে) সাড়া দিও।
(মুসলিম ও নাসাঈ এবং অপরাপর হাদীস গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(মুসলিম ও নাসাঈ এবং অপরাপর হাদীস গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
629 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ أَتَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رجل أعمى فَقَالَ يَا رَسُول الله لَيْسَ لي قَائِد يقودني إِلَى الْمَسْجِد فَسَأَلَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن يرخص لَهُ يُصَلِّي فِي بَيته فَرخص لَهُ فَلَمَّا ولى دَعَاهُ فَقَالَ هَل تسمع النداء بِالصَّلَاةِ قَالَ نعم
قَالَ فأجب
رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ وَغَيرهمَا
قَالَ فأجب
رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ وَغَيرهمَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৩০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬৩০. হযরত আবূ শা'সা মুহারিবী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মসজিদে বসা ছিলাম। এমন সময় মুআযযিন আযান দিল। এরপর এক ব্যক্তি মসজিদ থেকে উঠে চলে গেল। আবূ হুরায়রা (রা) তার দিকে তাকিয়ে রইলেন, এমন কি সে মসজিদে থেকে বেরিয়ে গেল। আবু হুরায়রা (রা) বললেনঃ এই ব্যক্তি আবুল কাসিম-এর নাফরমানী করল।
(সামাই হাদীসটি মুসলিম এবং অপরাপর হাদীসের গ্রন্থরাজি হতে বর্ণিত। এ বিষয়ক হাদীস পূর্ববর্তী অধ্যায়সমূহেও বর্ণিত হয়েছে।)
(সামাই হাদীসটি মুসলিম এবং অপরাপর হাদীসের গ্রন্থরাজি হতে বর্ণিত। এ বিষয়ক হাদীস পূর্ববর্তী অধ্যায়সমূহেও বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
630 - وَعَن أبي الشعْثَاء الْمحَاربي رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا قعُودا فِي الْمَسْجِد فَأذن الْمُؤَذّن فَقَامَ رجل من الْمَسْجِد يمشي فَأتبعهُ أَبُو هُرَيْرَة بَصَره حَتَّى خرج من الْمَسْجِد فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَة أما هَذَا فقد عصى أَبَا الْقَاسِم صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره وَتقدم
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره وَتقدم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৩১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬৩১. হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: অন্ধ ইবন উম্মে মাকতুম (রা) ছিলেন কুরায়শ
বংশের লোক। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট এলেন। আর তাঁকে ঘিরেই নাযিল হয়েছিল عبس وَتَوَلَّى أَن جَاءَهُ الْأَعْمَى সে ভ্রু কুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল, কারণ তার নিকট অন্ধলোকটি এলো)। (সূরা আবাসা, ৮০৪১-২)। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতামাতা আপনার প্রতি উৎসর্গিত হোন। আপনি আমাকে অতি বৃদ্ধ দেখতে পাচ্ছেন। আমার হাড়গুলো নাজুক হয়ে গেছে এবং আমার চোখের জ্যোতি নিভে গেছে। আমার এমন কোন পথ প্রদর্শক নেই, যে আমাকে সময়মত (মসজিদে) পৌছিয়ে দেবে? কাজেই আপনি আমাকে আমার ঘরে সালাত আদায়ের (অনুমতি) দিতে পারেন কি? রাসূলুল্লাহ বললেনঃ তুমি যে ঘরে থাক, সে ঘর থেকে কি মুআযযিনের আযান শুনতে পাও? তিনি বললেন হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন: তাহলে আমি তোমাকে অনুমতি দিতে পারছি না। সালাতের জামাআত থেকে পিছনে অবস্থানকারী যদি জানত, পদব্রজে মসজিদে আসায় কী সওয়াব রয়েছে,তাহলে সে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে আসত।
(তাবারানী 'কবীর' গ্রন্থে আলী ইবন ইয়াযীদ ইলহান সূত্রে কাসিম হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
বংশের লোক। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট এলেন। আর তাঁকে ঘিরেই নাযিল হয়েছিল عبس وَتَوَلَّى أَن جَاءَهُ الْأَعْمَى সে ভ্রু কুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল, কারণ তার নিকট অন্ধলোকটি এলো)। (সূরা আবাসা, ৮০৪১-২)। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতামাতা আপনার প্রতি উৎসর্গিত হোন। আপনি আমাকে অতি বৃদ্ধ দেখতে পাচ্ছেন। আমার হাড়গুলো নাজুক হয়ে গেছে এবং আমার চোখের জ্যোতি নিভে গেছে। আমার এমন কোন পথ প্রদর্শক নেই, যে আমাকে সময়মত (মসজিদে) পৌছিয়ে দেবে? কাজেই আপনি আমাকে আমার ঘরে সালাত আদায়ের (অনুমতি) দিতে পারেন কি? রাসূলুল্লাহ বললেনঃ তুমি যে ঘরে থাক, সে ঘর থেকে কি মুআযযিনের আযান শুনতে পাও? তিনি বললেন হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন: তাহলে আমি তোমাকে অনুমতি দিতে পারছি না। সালাতের জামাআত থেকে পিছনে অবস্থানকারী যদি জানত, পদব্রজে মসজিদে আসায় কী সওয়াব রয়েছে,তাহলে সে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে আসত।
(তাবারানী 'কবীর' গ্রন্থে আলী ইবন ইয়াযীদ ইলহান সূত্রে কাসিম হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
631 - وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ أقبل ابْن أم مَكْتُوم وَهُوَ أعمى وَهُوَ الَّذِي أنزل فِيهِ {عبس وَتَوَلَّى أَن جَاءَهُ الْأَعْمَى} عبس 1 2 وَكَانَ رجلا من قُرَيْش إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا رَسُول الله بِأبي وَأمي أَنا كَمَا تراني قد دبرت سني ورق عظمي وَذهب بَصرِي ولي قَائِد لَا يلايمني قياده إيَّايَ فَهَل تَجِد لي رخصَة أُصَلِّي فِي بَيْتِي الصَّلَوَات فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هَل تسمع الْمُؤَذّن فِي الْبَيْت الَّذِي أَنْت فِيهِ قَالَ نعم يَا رَسُول الله
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا أجد لَك رخصَة وَلَو يعلم هَذَا المتخلف عَن الصَّلَاة فِي الْجَمَاعَة مَا لهَذَا الْمَاشِي إِلَيْهَا لأتاها وَلَو حبوا على يَدَيْهِ وَرجلَيْهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير من طَرِيق عَليّ بن يزِيد الالهاني عَن الْقَاسِم عَن أبي أُمَامَة
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا أجد لَك رخصَة وَلَو يعلم هَذَا المتخلف عَن الصَّلَاة فِي الْجَمَاعَة مَا لهَذَا الْمَاشِي إِلَيْهَا لأتاها وَلَو حبوا على يَدَيْهِ وَرجلَيْهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير من طَرِيق عَليّ بن يزِيد الالهاني عَن الْقَاسِم عَن أبي أُمَامَة
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৩২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬৩২. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবন উম্মু মাকতুম (রা) নবী (সা)এর কাছে এসে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার ঘর (মসজিদ থেকে) অনেক দূরে অবস্থিত, আমি একজন অন্ধ লোক, তবে আমি আযান শুনতে পাই। তিনি বললেনঃ যদি তুমি আযান শুনতে পাও, তাহলে তুমি আযানে সাড়া দেবে (জামাআতে অংশগ্রহণ করবে), যদি তা হামাগুড়ি দিয়ে অথবা কষ্ট করেও হয়।
(আহমদ, আবু ইয়ালা, তাবারানী তাঁর 'আওসাত' গ্রন্থে এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি أَو زحفا শব্দটি বলেন নি।)
(আহমদ, আবু ইয়ালা, তাবারানী তাঁর 'আওসাত' গ্রন্থে এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি أَو زحفا শব্দটি বলেন নি।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
632 - وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ أَتَى ابْن أم مَكْتُوم النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا رَسُول الله إِن منزلي شاسع وَأَنا مكفوف الْبَصَر وَأَنا أسمع الْأَذَان قَالَ فَإِن سَمِعت الْأَذَان فأجب وَلَو حبوا أَو زحفا
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَلم يقل أَو زحفا
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَلم يقل أَو زحفا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৩৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬৩৩. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। দিনে সিয়াম পালনকারী এবং কিয়ামুল লায়ল অবলম্বনকারী (নফল) অথচ জামা'আত ও জুমুআয় উপস্থিত হয় না এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে তিনি জিজ্ঞাসিত হন। তিনি বলেন: এই ব্যক্তি দোযখী।
(ইমাম তিরমিযী এ হাদীসকে মাওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেন।)
(ইমাম তিরমিযী এ হাদীসকে মাওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
633 - وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَنه سُئِلَ عَن رجل يَصُوم النَّهَار وَيقوم اللَّيْل وَلَا يشْهد الْجَمَاعَة وَلَا الْجُمُعَة فَقَالَ هَذَا فِي النَّار
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ مَوْقُوفا
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ مَوْقُوفا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৩৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬৩৪. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি হাইয়্যা আলাল ফালাহ শুনল অথচ তাতে সাড়া দিল না, সে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ (সা) এর সুন্নাত বর্জন করল। তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণিত।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
634 - وَعنهُ أَيْضا رَضِي الله عَنهُ قَالَ من سمع حَيّ على الْفَلاح فَلم يجب فقد ترك سنة مُحَمَّد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৩৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬৩৫. হযরত উসামা ইবন যায়দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: অবশ্যই লোকেরা যেন জামাআত বর্জন না করে। অন্যথায় আমি তাদের ঘরগুলো জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করে দেব।
(ইবন মাজাহ যাবারকা ইবন আমর যামরী (র) থেকে হযরত উসামা (রা) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি তাঁর থেকে হাদীসটি শুনেন নি।)
(ইবন মাজাহ যাবারকা ইবন আমর যামরী (র) থেকে হযরত উসামা (রা) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি তাঁর থেকে হাদীসটি শুনেন নি।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
635 - وَعَن أُسَامَة بن زيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لينتهين رجال عَن ترك الْجَمَاعَة أَو لأحرقن بُيُوتهم
رَوَاهُ ابْن مَاجَه من رِوَايَة الزبْرِقَان بن عَمْرو الضمرِي عَن أُسَامَة وَلم يسمع مِنْهُ
رَوَاهُ ابْن مَاجَه من رِوَايَة الزبْرِقَان بن عَمْرو الضمرِي عَن أُسَامَة وَلم يسمع مِنْهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৩৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওজরে জামাআত বর্জনের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬৩৬. হযরত ইবন বুরায়দা (রা) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি পূর্ণ অবসর ও সুস্থ অবস্থায় আযান শুনতে পায় অথচ তাতে সাড়া দেয় না, তার সালাত হয় না। হাকিম আবু বকর ইবন আইয়াশ থেকে আবু হুসায়ন সূত্রে ইবন বুরায়দা (রা) থেকে এ হাদীসখানা বর্ণনা করেন।
(তিনি বলেন: হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত।)
(তিনি বলেন: হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من ترك حُضُور الْجَمَاعَة لغير عذر
636 - وَعَن ابْن بُرَيْدَة عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من سمع النداء فَارغًا صَحِيحا فَلم يجب فَلَا صَلَاة لَهُ
رَوَاهُ الْحَاكِم من رِوَايَة أبي بكر بن عَيَّاش عَن أبي حُصَيْن عَن ابْن بُرَيْدَة وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ الْحَاكِم من رِوَايَة أبي بكر بن عَيَّاش عَن أبي حُصَيْن عَن ابْن بُرَيْدَة وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৩৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ নফল সালাত ঘরে আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৩৭. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন, তোমরা তোমাদের ঘরে (কিছু) সালাত আদায় করবে এবং ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করবে না।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة النَّافِلَة فِي الْبيُوت
637 - عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ اجعلوا من صَلَاتكُمْ فِي بُيُوتكُمْ وَلَا تتخذوها قبورا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৩৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ নফল সালাত ঘরে আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৩৮. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন মসজিদে সালাত আদায় করে, তখন যেন ঘরের জন্য তার সালাতের কিছু অংশ রেখে দেয়। কেননা আল্লাহ তার সালাতের জন্য তার ঘরে বরকত দান করেন।
(মুসলিম ও অপরাপর হাদীস গ্রন্থে এবং ইবন খুযায়মার 'সহীহ' গ্রন্থে হযরত আবূ সা'ঈদ (রা) থেকে এ হাদীসখানা বর্ণিত।)
(মুসলিম ও অপরাপর হাদীস গ্রন্থে এবং ইবন খুযায়মার 'সহীহ' গ্রন্থে হযরত আবূ সা'ঈদ (রা) থেকে এ হাদীসখানা বর্ণিত।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة النَّافِلَة فِي الْبيُوت
638 - وَعَن جَابر هُوَ ابْن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا قضى أحدكُم الصَّلَاة فِي مَسْجده فليجعل لبيته نَصِيبا من صلَاته فَإِن الله جَاعل فِي بَيته من صلَاته خيرا
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره وَرَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه من حَدِيث أبي سعيد
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره وَرَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه من حَدِيث أبي سعيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৩৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ নফল সালাত ঘরে আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৩৯. হযরত আবু মুসা আশআরী (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন: যে ঘরে আল্লাহ যিকর করা হয় এবং যে ঘরে আল্লাহর যিকর করা হয় না, তার উপমা হল জীবিত ও মৃতের ন্যায়।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة النَّافِلَة فِي الْبيُوت
639 - وَعَن أبي مُوسَى الْأَشْعَرِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مثل الْبَيْت الَّذِي يذكر الله فِيهِ وَالْبَيْت الَّذِي لَا يذكر الله فِيهِ مثل الْحَيّ وَالْمَيِّت
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৪০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ নফল সালাত ঘরে আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৪০. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, আমার ঘরে সালাত আদায় করা উত্তম, না মসজিদে আদায় করা উত্তম? তিনি বললেন: তুমি কি আমার ঘরের দিকে লক্ষ্য কর না যে, মসজিদের অতি নিকটে আমার ঘর অবস্থিত, অথচ আমি ফরয সালাত ব্যতীত অপরাপর সালাত আমার ঘরে আদায় করাই অধিক পসন্দ করি।
(আহমদ, ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(আহমদ, ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة النَّافِلَة فِي الْبيُوت
640 - وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَأَلت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَيّمَا أفضل الصَّلَاة فِي بَيْتِي أَو الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد قَالَ أَلا ترى إِلَى بَيْتِي مَا أقربه من الْمَسْجِد فَلِأَن أُصَلِّي فِي بَيْتِي أحب إِلَيّ من أَن أُصَلِّي فِي الْمَسْجِد إِلَّا أَن تكون صَلَاة مَكْتُوبَة
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
তাহকীক: