আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৫. অধ্যায়ঃ নামাজ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪৮২ টি
হাদীস নং: ৫৮১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৮১. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ দুনিয়ার উপর আখিরাতের যেমন মর্যাদা রয়েছে, তদ্রুপ সালাতের শেষ ওয়াক্তের উপর প্রথম ওয়াক্তের মর্যাদা রয়েছে।
(আবু মানসূর দায়লামীর 'মুসনাদুল ফিরদাউস' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(আবু মানসূর দায়লামীর 'মুসনাদুল ফিরদাউস' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي أول وَقتهَا
581 - وَرُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ فضل أول الْوَقْت على آخِره كفضل الْآخِرَة على الدُّنْيَا رَوَاهُ أَبُو مَنْصُور الديلمي فِي مُسْند الفردوس
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৮২. রাসূলুল্লাহ (সা) এর জনৈক সাহাবী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে জিজ্ঞসা করা হলঃ কোন কাজ সর্বোত্তম? শুবা বলেন, তিনি বলেছেন: সর্বোত্তম কাজ হল যথাসময়ে সালাত
আদায় করা, পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং জিহাদ করা।
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের বর্ণনাকারীর অনুরূপ।)
আদায় করা, পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং জিহাদ করা।
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের বর্ণনাকারীর অনুরূপ।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي أول وَقتهَا
582 - وَعَن رجل من أَصْحَاب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ سُئِلَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَي الْعَمَل أفضل قَالَ شُعْبَة قَالَ أفضل الْعَمَل الصَّلَاة لوَقْتهَا وبر الْوَالِدين وَالْجهَاد
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৮৩. নবী (সা) এর কাছে বায়আতকারিণী হযরত উম্মু ফারওয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী (সা) এর কাছে জিজ্ঞাসা করা হল: সর্বোত্তম কাজ কোনটি? তিনি বললেন: প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায় করা।
(আবূ দাউদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর উমরীর সূত্র ব্যতীত এ হাদীসের কোন সূত্র নেই। এ হাদীসটি মুহাদ্দিসগণের নিকট সনদের দিক থেকে শক্তিশালী নয়; বরং তাঁরা একে হাদীসে মুযতারাব বলেছেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আবদুল্লাহ হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সত্যবাদী। আহমদ (র) বলেনঃ আবদুল্লাহ হাদীস বর্ণনাক্ষেত্রে ভালো এবং ত্রুটিমুক্ত। ইবন মুঈন (র) বলেনঃ তাঁর হাদীস লিখে রাখা যায়। ইবন আদী বলেন: আবদুল্লাহ সত্যবাদী এবং দোষমুক্ত। আবূ হাতিম তাঁকে যঈফ বলেছেন। ইবন মাদিনী (র) বলেন: উন্মু ফারওয়া হলেন আবূ বকর (রা)-এর বৈপিত্রেয় বোন, যে বলে উম্মু ফারওয়া আনসার মহিলা, সে সন্দেহের শিকার হয়েছে।
(আবূ দাউদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর উমরীর সূত্র ব্যতীত এ হাদীসের কোন সূত্র নেই। এ হাদীসটি মুহাদ্দিসগণের নিকট সনদের দিক থেকে শক্তিশালী নয়; বরং তাঁরা একে হাদীসে মুযতারাব বলেছেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আবদুল্লাহ হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সত্যবাদী। আহমদ (র) বলেনঃ আবদুল্লাহ হাদীস বর্ণনাক্ষেত্রে ভালো এবং ত্রুটিমুক্ত। ইবন মুঈন (র) বলেনঃ তাঁর হাদীস লিখে রাখা যায়। ইবন আদী বলেন: আবদুল্লাহ সত্যবাদী এবং দোষমুক্ত। আবূ হাতিম তাঁকে যঈফ বলেছেন। ইবন মাদিনী (র) বলেন: উন্মু ফারওয়া হলেন আবূ বকর (রা)-এর বৈপিত্রেয় বোন, যে বলে উম্মু ফারওয়া আনসার মহিলা, সে সন্দেহের শিকার হয়েছে।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي أول وَقتهَا
583 - وَعَن أم فَرْوَة رَضِي الله عَنْهَا وَكَانَت مِمَّن بَايع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَت سُئِلَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَي الْأَعْمَال أفضل قَالَ الصَّلَاة لأوّل وَقتهَا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ لَا يرْوى إِلَّا من حَدِيث عبد الله بن عمر الْعمريّ
وَلَيْسَ بِالْقَوِيّ عِنْد أهل الحَدِيث
واضطربوا فِي هَذَا الحَدِيث
قَالَ الْحَافِظ رَضِي الله عَنهُ عبد الله هَذَا صَدُوق حسن الحَدِيث فِيهِ لين
قَالَ أَحْمد صَالح الحَدِيث لَا بَأْس بِهِ وَقَالَ ابْن معِين يكْتب حَدِيثه وَقَالَ ابْن عدي صَدُوق لَا بَأْس بِهِ وَضَعفه أَبُو حَاتِم وَابْن الْمَدِينِيّ
وَأم فَرْوَة هَذِه هِيَ أُخْت أبي بكر الصّديق لِأَبِيهِ وَمن قَالَ فِيهَا أم فَرْوَة الْأَنْصَارِيَّة فقد وهم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ لَا يرْوى إِلَّا من حَدِيث عبد الله بن عمر الْعمريّ
وَلَيْسَ بِالْقَوِيّ عِنْد أهل الحَدِيث
واضطربوا فِي هَذَا الحَدِيث
قَالَ الْحَافِظ رَضِي الله عَنهُ عبد الله هَذَا صَدُوق حسن الحَدِيث فِيهِ لين
قَالَ أَحْمد صَالح الحَدِيث لَا بَأْس بِهِ وَقَالَ ابْن معِين يكْتب حَدِيثه وَقَالَ ابْن عدي صَدُوق لَا بَأْس بِهِ وَضَعفه أَبُو حَاتِم وَابْن الْمَدِينِيّ
وَأم فَرْوَة هَذِه هِيَ أُخْت أبي بكر الصّديق لِأَبِيهِ وَمن قَالَ فِيهَا أم فَرْوَة الْأَنْصَارِيَّة فقد وهم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৮৪. হযরত উবাদা ইবন সামিত (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি: আল্লাহ তা'আলা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যে ব্যক্তি উত্তমরূপে উযু করে এবং আল্লাহ-ভীতি অবলম্বন করে ওয়াক্তমত সালাত আদায় করবে এবং রুকু ও সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করবে, তার জন্য আল্লাহর নিকট রয়েছে অঙ্গীকার। তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি তা করবে না, তার জন্য আল্লাহর নিকট কোন অঙ্গীকার নেই। ইচ্ছা করলে তিনি তাকে ক্ষমা করবেন, আর ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তিও দিতে পারেন।
(মালিক, আবু দাউদ, নাসাঈ এবং ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(মালিক, আবু দাউদ, নাসাঈ এবং ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي أول وَقتهَا
584 - وَعَن عبَادَة بن الصَّامِت رَضِي الله عَنهُ قَالَ أشهد أَنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
يَقُول خمس صلوَات افترضهن الله عز وَجل من أحسن وضوءهن وصلاهن لوقتهن وَأتم ركوعهن وسجودهن وخشوعهن كَانَ لَهُ على الله عهد أَن يغْفر لَهُ وَمن لم يفعل فَلَيْسَ لَهُ على الله عهد إِن شَاءَ غفر لَهُ وَإِن شَاءَ عذبه
رَوَاهُ مَالك وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
يَقُول خمس صلوَات افترضهن الله عز وَجل من أحسن وضوءهن وصلاهن لوقتهن وَأتم ركوعهن وسجودهن وخشوعهن كَانَ لَهُ على الله عهد أَن يغْفر لَهُ وَمن لم يفعل فَلَيْسَ لَهُ على الله عهد إِن شَاءَ غفر لَهُ وَإِن شَاءَ عذبه
رَوَاهُ مَالك وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৮৫. হযরত কা'ব ইবন উজরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের চারজন মুক্তদাস এবং তিনজন অপরিচিত ব্যক্তি, এই সাতজন আমরা মসজিদে নববীতে পিঠ ঘেঁষে বসা ছিলাম। এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের কাছে এলেন। তিনি বললেন: কিসে তোমাদের এখানে বসিয়েছে? বললাম: আমরা সালাতের অপেক্ষায় বসে আছি। বর্ণনাকারী বলেনঃ তিনি কিছুক্ষণ নীরব রইলেন, এরপর তিনি আমাদের কাছে এসে বললেন: তোমাদের রব কি বলছেন, তা কি তোমরা জান? আমরা বললামঃ না। তিনি বললেনঃ তোমাদের রব বলছেন: যে ব্যক্তি যথাসময়ে সালাত আদায় করবে, তা সংরক্ষণ করবে এবং তা হালকা মনে করে নষ্ট করবে না, তাকে আমি জান্নাতে প্রবেশ করাব। আমার পক্ষ থেকে তার জন্য রয়েছে অঙ্গীকার। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সময়মত সালাত আদায় করবে না, তা সংরক্ষণ করবে না, বরং তা হালকা মনে করে বিনষ্ট করবে, তার জন্য আমার কোন অঙ্গীকার নেই। আমি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দেব, নতুবা তাকে আমি ক্ষমা করব।
(তাবারানীর 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে এবং আহমদ অনুরূপভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(তাবারানীর 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে এবং আহমদ অনুরূপভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي أول وَقتهَا
585 - وَرُوِيَ عَن كَعْب بن عجْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ خرج علينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَنحن سَبْعَة نفر أَرْبَعَة من موالينا وَثَلَاثَة من غربنا مسندي ظُهُورنَا إِلَى مَسْجده فَقَالَ مَا أجلسكم قُلْنَا جلسنا نَنْتَظِر الصَّلَاة قَالَ فأرم قَلِيلا ثمَّ أقبل علينا فَقَالَ هَل تَدْرُونَ مَا يَقُول ربكُم قُلْنَا لَا قَالَ فَإِن ربكُم يَقُول من صلى الصَّلَاة لوَقْتهَا وحافظ عَلَيْهَا وَلم يضيعها اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهَا فَلهُ عَليّ عهد أَن أدخلهُ الْجنَّة وَمن لم يصلها لوَقْتهَا وَلم يحافظ عَلَيْهَا وضيعها اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهَا فَلَا عهد لَهُ عَليّ إِن شِئْت عَذبته وَإِن شِئْت غفرت لَهُ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَأحمد بِنَحْوِهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَأحمد بِنَحْوِهِ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৫৮৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৮৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। একদা নবী (সা) তাঁর সাহাবীদের নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। তিনি তাদের বললেনঃ তোমরা কি জান তোমাদের সম্পর্কে তোমাদের রব কি বলেন? তারা বললেনঃ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সর্বাধিক জ্ঞাত, একথা তারা তিনবার বললেন। তিনি বললেনঃ তিনি। বলেছেন: আমার মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের কসম, যে কেউ সময়মত সালাত আদায় করবে, আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাব। আর যে ব্যক্তি অসময়ে সালাত আদায় করবে, আমি ইচ্ছা করলে তার উপর রহমত বর্ষণ করব, নতুবা আমি ইচ্ছা করলে তাকে শান্তি দেব।
(হাদীসটি তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে ইনশা আল্লাহ হাসান সনদে বর্ণিত আছে।)
(হাদীসটি তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে ইনশা আল্লাহ হাসান সনদে বর্ণিত আছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي أول وَقتهَا
586 - وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مر على أَصْحَابه يَوْمًا فَقَالَ لَهُم هَل تَدْرُونَ مَا يَقُول ربكُم تبَارك وَتَعَالَى قَالُوا الله وَرَسُوله أعلم قَالَهَا ثَلَاثًا قَالَ وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لَا يُصليهَا أحد لوَقْتهَا إِلَّا أدخلته الْجنَّة وَمن صلاهَا بِغَيْر وَقتهَا إِن شِئْت رَحمته وَإِن شِئْت عَذبته
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَإِسْنَاده حسن إِن شَاءَ الله تَعَالَى
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَإِسْنَاده حسن إِن شَاءَ الله تَعَالَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৮৭. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সময় মত সালাতসমূহ আদায় করবে, উত্তমরূপে উযু করবে, কিয়াম, আল্লাহ-ভীতি, রুকু-সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করবে, সে গুনাহসমূহ থেকে উজ্জ্বল দীপ্তিমান চেহারা নিয়ে বেরিয়ে আসবে। সালাত তাকে বলবেঃ তুমি আমাকে যেরূপ রক্ষা করেছ, আল্লাহ তা'আলা সেরূপ তোমাকে রক্ষা করুন। যে ব্যক্তি যথাসময়ে সালাত আদায় করবে না, উযূ আল্লাহ-ভীতি, রুকু-সিজদা পুরোপুরি করবে না, সে কাল চেহারায় বেরিয়ে আসবে। সালাত তাকে বলবেঃ যেরূপ তুমি আমাকে বরবাদ করেছ, আল্লাহ তা'আলা তোমাকে সেরূপ বরবাদ করুন। এমনকি যেখানে আল্লাহর ইচ্ছায় সালাত শেষ হয়, ঐ (মুসল্লীর) সালাতকে পুরাতন কাপড়ের ন্যায় ভাঁজ করা হয়, এরপর তা তার চেহারায় নিক্ষেপ করা হয়।
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে الصَّلَوَات الْخمس অধ্যায়ে এ বিষয়ক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।)
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে الصَّلَوَات الْخمس অধ্যায়ে এ বিষয়ক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي أول وَقتهَا
587 - وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى الصَّلَوَات لوَقْتهَا وأسبغ لَهَا وضوءها وَأتم لَهَا قِيَامهَا وخشوعها وركوعها وسجودها خرجت وَهِي بَيْضَاء مسفرة تَقول حفظك الله كَمَا حفظتني وَمن صلاهَا لغير وَقتهَا وَلم يسبغ لَهَا وضوءها وَلم يتم لَهَا خشوعها وَلَا ركوعها وَلَا سجودها خرجت وَهِي سَوْدَاء مظْلمَة تَقول ضيعك الله كَمَا ضيعتني حَتَّى إِذا كَانَت حَيْثُ شَاءَ الله لفت كَمَا يلف الثَّوْب الْخلق ثمَّ ضرب بهَا وَجهه
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَتقدم فِي بَاب الصَّلَوَات الْخمس حَدِيث أبي الدَّرْدَاء وَغَيره
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَتقدم فِي بَاب الصَّلَوَات الْخمس حَدِيث أبي الدَّرْدَاء وَغَيره
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে বের হওয়া এবং জামাআত না পাওয়া সত্ত্বেও মসজিদে আসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৮৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: কোন ব্যক্তি জামাআতে সালাত আদায় করা সে তার ঘরে বা বাজারে সালাত আদায়ের চাইতে পঁচিশগুণ বেশি সওয়াবের অধিকারী হয়। আর এটা তখন হয়, যখন সে উযু করে এবং ভাল করে উযূ করে, তারপর বের হয়ে মসজিদের দিকে চলতে থাকে, সে একমাত্র সালাতের জন্যই ঘর থেকে বের হয়। এ অবস্থায় সে যতবার পা ফেলে, তার প্রতি পদক্ষেপের পরিবর্তে একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি করে গুনাহ ক্ষমা করা হয়। তারপর যখন সে সালাত আদায় করতে থাকে, ফিরিশতাগণ তার জন্য রহমতের দু'আ করেন, যতক্ষণ সে সালাতের মুসল্লায় থাকে এবং উযূ না ভাঙ্গে। ফিরিশতাদের সেই দু'আ হচ্ছে এইঃ হে আল্লাহ! এই ব্যক্তির উপর রহমত নাযিল কর। হে আল্লাহ। এর উপর রহমত কর। আর যতক্ষণ সে সালাতের অপেক্ষা করতে থাকে, সে সালাতের মধ্যে আছে বলে গণ্য হয়।
(বুখারী নিজ শব্দযোগে, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী নিজ শব্দযোগে, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يُرِيد الْجَمَاعَة فَوجدَ النَّاس قد صلوا
588 - عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَلَاة الرجل فِي جمَاعَة تضعف على صلَاته فِي بَيته وَفِي سوقه خمْسا وَعشْرين ضعفا وَذَلِكَ أَنه إِذا تَوَضَّأ فَأحْسن الْوضُوء ثمَّ خرج إِلَى الْمَسْجِد لَا يُخرجهُ إِلَّا الصَّلَاة لم يخط خطْوَة إِلَّا رفعت لَهُ بهَا دَرَجَة وَحط عَنهُ بهَا خَطِيئَة فَإِذا صلى لم تزل الْمَلَائِكَة تصلي عَلَيْهِ مَا دَامَ فِي مُصَلَّاهُ مَا لم يحدث اللَّهُمَّ صل عَلَيْهِ اللَّهُمَّ ارحمه وَلَا يزَال فِي صَلَاة مَا انْتظر الصَّلَاة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ৫৮৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে বের হওয়া এবং জামাআত না পাওয়া সত্ত্বেও মসজিদে আসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৮৯. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: জামা'আতের সাথে সালাত আদায়কারী,
একাকী সালাত আদায় করার চাইতে সাতাশগুণ বেশি মর্যাদার অধিকারী।
(মালিক, বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
একাকী সালাত আদায় করার চাইতে সাতাশগুণ বেশি মর্যাদার অধিকারী।
(মালিক, বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يُرِيد الْجَمَاعَة فَوجدَ النَّاس قد صلوا
589 - وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ صَلَاة الْجَمَاعَة أفضل من صَلَاة الْفَذ بِسبع وَعشْرين دَرَجَة
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে বের হওয়া এবং জামাআত না পাওয়া সত্ত্বেও মসজিদে আসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৯০. হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি কাল কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে মুসলিম হিসেবে সাক্ষাত কামনা করে, তার এই সালাতসমূহের প্রতি অতীব গুরুত্ব দেয়া কর্তব্য, যার জন্য আযান দেয়া হয়। কারণ আল্লাহ তা'আলা তোমাদের নবীর জন্য সুনানে হুদা নির্ধারণ করেছেন, আর সালাত এই সুনানে হুদার অন্তর্ভুক্ত। কাজেই তোমরা যদি ঘরে সালাত আদায় করতে থাক, যেভাবে জামা'আত বর্জনকারীরা তাদের ঘরে সালাত আদায় করে থাকে, তাহলে তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাত বর্জন করলে। আর যদি তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাত ত্যাগ কর, তাহলে তোমরা নিশ্চিত গুমরাহ হয়ে যাবে। যে কেউ উযু করে এবং উত্তমরূপে উযূ করে মসজিদসমূহের কোন মসজিদের দিকে যতবার পা বাড়ায়, ততবার তার প্রত্যেক কদমের জন্য আল্লাহ একটি নেকী দান করেন, একটি মর্যাদা সমুন্নত করেন এবং তা দ্বারা তার একটি গুনাহ মোচন করে দেন। আর আমরা আমাদের লোকদের এমন অবস্থায় দেখেছি যে, তাদের মধ্যে একমাত্র পরিচিত মুনাফিক ছাড়া আর কেউ জামাআত বর্জন করত না। আর কোন কোন লোক এমনও ছিল যে, দু'জন লোকের সহায়তায় তাকে আনা হতো এবং সালাতের কাতারের মধ্যে দাঁড় করিয়ে দেয়া হতো।
অন্য বর্ণনায় আছে যে, আমরা আমাদের লোকদের এমন অবস্থায় দেখেছি যে, তাদের মধ্যে একমাত্র পরিচিত মুনাফিক অথবা রোগী ছাড়া আর কেউ জামাআত বর্জন করত না। (আমি আরও দেখেছি যে,) দু'জনের সহায়তায় এসে লোকেরা জামাআতে অংশগ্রহণ করত। এরপর তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের 'সুনানে হুদা' শিক্ষা দিয়েছেন। আর সুনানে হুদা হল যে মসজিদে আযান দেওয়া হয়, সেখানে সালাত আদায় করা।
(মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
অন্য বর্ণনায় আছে যে, আমরা আমাদের লোকদের এমন অবস্থায় দেখেছি যে, তাদের মধ্যে একমাত্র পরিচিত মুনাফিক অথবা রোগী ছাড়া আর কেউ জামাআত বর্জন করত না। (আমি আরও দেখেছি যে,) দু'জনের সহায়তায় এসে লোকেরা জামাআতে অংশগ্রহণ করত। এরপর তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের 'সুনানে হুদা' শিক্ষা দিয়েছেন। আর সুনানে হুদা হল যে মসজিদে আযান দেওয়া হয়, সেখানে সালাত আদায় করা।
(মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يُرِيد الْجَمَاعَة فَوجدَ النَّاس قد صلوا
590 - وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ من سره أَن يلقى الله غَدا مُسلما فليحافظ على هَؤُلَاءِ الصَّلَوَات حَيْثُ يُنَادى بِهن فَإِن الله تَعَالَى شرع لنبيكم صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سنَن الْهدى وإنهن من سنَن الْهدى وَلَو أَنكُمْ صليتم فِي بُيُوتكُمْ كَمَا يُصَلِّي هَذَا المتخلف فِي بَيته لتركتم سنة نَبِيكُم وَلَو تركْتُم سنة نَبِيكُم لَضَلَلْتُمْ وَمَا من رجل يتَطَهَّر فَيحسن الطّهُور ثمَّ يعمد إِلَى مَسْجِد من هَذِه الْمَسَاجِد إِلَّا كتب الله لَهُ بِكُل خطْوَة يخطوها حَسَنَة وَيَرْفَعهُ بهَا دَرَجَة ويحط عَنهُ بهَا سَيِّئَة وَلَقَد رَأَيْتنَا وَمَا يتَخَلَّف عَنْهَا إِلَّا مُنَافِق مَعْلُوم النِّفَاق وَلَقَد كَانَ الرجل يُؤْتى بِهِ يهادي بَين الرجلَيْن حَتَّى يُقَام فِي الصَّفّ
وَفِي رِوَايَة لقد رَأَيْتنَا وَمَا يتَخَلَّف عَن الصَّلَاة إِلَّا مُنَافِق قد علم نفَاقه أَو مَرِيض إِن كَانَ الرجل ليمشي بَين رجلَيْنِ حَتَّى يَأْتِي الصَّلَاة وَقَالَ إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم علمنَا سنَن
الْهدى وَإِن من سنَن الْهدى الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الَّذِي يُؤذن فِيهِ
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
وَفِي رِوَايَة لقد رَأَيْتنَا وَمَا يتَخَلَّف عَن الصَّلَاة إِلَّا مُنَافِق قد علم نفَاقه أَو مَرِيض إِن كَانَ الرجل ليمشي بَين رجلَيْنِ حَتَّى يَأْتِي الصَّلَاة وَقَالَ إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم علمنَا سنَن
الْهدى وَإِن من سنَن الْهدى الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الَّذِي يُؤذن فِيهِ
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ৫৯১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে বের হওয়া এবং জামাআত না পাওয়া সত্ত্বেও মসজিদে আসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৯১. হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: একাকী সালাত আদায়ের চেয়ে জামাআতে সালাত আদায়ে রয়েছে বিশ গুণের বেশি সওয়াব।
অন্য বর্ণনায় আছে যে, তার ঘরের সালাতের অনুরূপ সালাত।
(আহমদ হাসান সনদে, আবু ইয়ালা, বাযযার, তাবারানী ও ইবন খুযারমার 'সহীহ' গ্রন্থে অনুরূপ শব্দে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
অন্য বর্ণনায় আছে যে, তার ঘরের সালাতের অনুরূপ সালাত।
(আহমদ হাসান সনদে, আবু ইয়ালা, বাযযার, তাবারানী ও ইবন খুযারমার 'সহীহ' গ্রন্থে অনুরূপ শব্দে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يُرِيد الْجَمَاعَة فَوجدَ النَّاس قد صلوا
591 - وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فضل صَلَاة الرجل فِي الْجَمَاعَة على صلَاته وَحده بضع وَعِشْرُونَ دَرَجَة
وَفِي رِوَايَة كلهَا مثل صلَاته فِي بَيته
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَأَبُو يعلى وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه بِنَحْوِهِ
وَفِي رِوَايَة كلهَا مثل صلَاته فِي بَيته
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَأَبُو يعلى وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه بِنَحْوِهِ
হাদীস নং: ৫৯২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে বের হওয়া এবং জামাআত না পাওয়া সত্ত্বেও মসজিদে আসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৯২. হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ জামাআতে সালাত আদায় করায় আল্লাহ অত্যন্ত খুশি হন।
(আহমদ হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাবারনীও অনুরূপ হযরত ইবন উমর (রা) সূত্রে হাসান সনদে হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন।)
(আহমদ হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাবারনীও অনুরূপ হযরত ইবন উমর (রা) সূত্রে হাসান সনদে হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يُرِيد الْجَمَاعَة فَوجدَ النَّاس قد صلوا
592 - وَعَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن الله تبَارك وَتَعَالَى ليعجب من الصَّلَاة فِي الْجمع
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من حَدِيث ابْن عمر بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من حَدِيث ابْن عمر بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে বের হওয়া এবং জামাআত না পাওয়া সত্ত্বেও মসজিদে আসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৯৩. হযরত উসমান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি উযু করে এবং উত্তমরূপে উযূ করে, এরপর ফরয সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে পথ চলে এবং ইমামের সাথে (জামাআতে) সালাত আদায় করে, তার গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
(ইবন খুযায়মার 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(ইবন খুযায়মার 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يُرِيد الْجَمَاعَة فَوجدَ النَّاس قد صلوا
593 - وَعَن عُثْمَان رَضِي الله عَنهُ أَنه قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من تَوَضَّأ فأسبغ الْوضُوء ثمَّ مَشى إِلَى صَلَاة مَكْتُوبَة فَصلاهَا مَعَ الإِمَام غفر لَهُ ذَنبه
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৫৯৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে বের হওয়া এবং জামাআত না পাওয়া সত্ত্বেও মসজিদে আসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৯৪. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: একদা আমার রবের পক্ষ থেকে একজন আগন্তুক এলেন।
অন্য বর্ণনায় আছে যে, আমি একবার আমার রবকে অতি উত্তম সূরতে (স্বপ্নে) দেখলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ হে মুহাম্মদ! আমি বললামঃ হে আমার রব! আপনার খিদমতে আমি উপস্থিত আছি। তিনি বললেন: মালায়ে আলায় (শীর্ষস্থানীয় ফিরিশতাগণ) কি বিষয় নিয়ে বাদানুবাদ করছে, তা কি তুমি জান? আমি বললাম: আমি জানি না। তখন তিনি আমার দুই কাঁধের মাঝখানে তাঁর (কুদরতের) হাত রাখলেন, যার শীতলতা আমি বুকে অনুভব করলাম অথবা তিনি বলেছেনঃ তিনি আমার গর্দানে হাত রাখলেন। ফলে আমি আসমান ও যমীনের যাবতীয় বিষয়ে অবগত হলাম, অথবা তিনি বলেছেনঃ পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যকার যাবতীয় বিষয়ে অবগত হলাম। এরপর তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মদ। তুমি কি জান মালায় আলায়ে কোন বিষয় নিয়ে বাদানুবাদ চলছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ দারাজাত, কাফ্ফারাত এবং এবং জামাআতে অংশগ্রহণের জন্য পদচারণা, প্রচণ্ড শীতের সময় পূর্ণরূপে উযু করা, এক সালাতের পর অন্য সালাতের অপেক্ষায় থাকা (ইত্যাদি বিষয়ে বাদানুবাদ চলছে)। এসব যে ব্যক্তি পুরোপুরি সংরক্ষণ করবে, সে লাভ করবে সুখময় জীবন এবং কল্যাণের সাথে মৃত্যুবরণ করবে এবং সে পাপরাশি থেকে পবিত্র হবে সে দিনের ন্যায়, যে দিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল। তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মদ! আমি বললামঃ আমি আপনার খিদমতে উপস্থিত আছি। তিনি বললেন: সালাত আদায়কালে এই দু'আ পড়বেঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك فعل الْخيرَات وَترك الْمُنْكَرَات وَحب الْمَسَاكِين وَإِذا أردْت بعبادك فتْنَة فاقبضني إِلَيْك غير مفتون
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে উত্তম কাজ করার (তাওফীক) প্রার্থনা করছি, প্রার্থনা করছি মন্দকাজসমূহ বর্জন করতে এবং দুঃস্থদের ভালবাসতে। (হে আল্লাহ)! যখন তুমি তোমার বান্দাদের পরীক্ষা করতে চাও, তখন আমাকে ফিতনামুক্ত রেখে তোমার দিকে উঠিয়ে নেবে।"
তিনি (রাসূলুল্লাহ সা.) বললেনঃ দারাজাত হল, সালামের ব্যাপক প্রচলন, অন্ন দান এবং রাতে সালাত আদায় করা যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন, এ হাদীসখানা হাসান-গরীব।)
অন্য বর্ণনায় আছে যে, আমি একবার আমার রবকে অতি উত্তম সূরতে (স্বপ্নে) দেখলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ হে মুহাম্মদ! আমি বললামঃ হে আমার রব! আপনার খিদমতে আমি উপস্থিত আছি। তিনি বললেন: মালায়ে আলায় (শীর্ষস্থানীয় ফিরিশতাগণ) কি বিষয় নিয়ে বাদানুবাদ করছে, তা কি তুমি জান? আমি বললাম: আমি জানি না। তখন তিনি আমার দুই কাঁধের মাঝখানে তাঁর (কুদরতের) হাত রাখলেন, যার শীতলতা আমি বুকে অনুভব করলাম অথবা তিনি বলেছেনঃ তিনি আমার গর্দানে হাত রাখলেন। ফলে আমি আসমান ও যমীনের যাবতীয় বিষয়ে অবগত হলাম, অথবা তিনি বলেছেনঃ পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যকার যাবতীয় বিষয়ে অবগত হলাম। এরপর তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মদ। তুমি কি জান মালায় আলায়ে কোন বিষয় নিয়ে বাদানুবাদ চলছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ দারাজাত, কাফ্ফারাত এবং এবং জামাআতে অংশগ্রহণের জন্য পদচারণা, প্রচণ্ড শীতের সময় পূর্ণরূপে উযু করা, এক সালাতের পর অন্য সালাতের অপেক্ষায় থাকা (ইত্যাদি বিষয়ে বাদানুবাদ চলছে)। এসব যে ব্যক্তি পুরোপুরি সংরক্ষণ করবে, সে লাভ করবে সুখময় জীবন এবং কল্যাণের সাথে মৃত্যুবরণ করবে এবং সে পাপরাশি থেকে পবিত্র হবে সে দিনের ন্যায়, যে দিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল। তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মদ! আমি বললামঃ আমি আপনার খিদমতে উপস্থিত আছি। তিনি বললেন: সালাত আদায়কালে এই দু'আ পড়বেঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك فعل الْخيرَات وَترك الْمُنْكَرَات وَحب الْمَسَاكِين وَإِذا أردْت بعبادك فتْنَة فاقبضني إِلَيْك غير مفتون
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে উত্তম কাজ করার (তাওফীক) প্রার্থনা করছি, প্রার্থনা করছি মন্দকাজসমূহ বর্জন করতে এবং দুঃস্থদের ভালবাসতে। (হে আল্লাহ)! যখন তুমি তোমার বান্দাদের পরীক্ষা করতে চাও, তখন আমাকে ফিতনামুক্ত রেখে তোমার দিকে উঠিয়ে নেবে।"
তিনি (রাসূলুল্লাহ সা.) বললেনঃ দারাজাত হল, সালামের ব্যাপক প্রচলন, অন্ন দান এবং রাতে সালাত আদায় করা যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন, এ হাদীসখানা হাসান-গরীব।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يُرِيد الْجَمَاعَة فَوجدَ النَّاس قد صلوا
594 - وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَتَانِي اللَّيْلَة آتٍ من رَبِّي
وَفِي رِوَايَة رَأَيْت رَبِّي فِي أحسن صُورَة فَقَالَ لي يَا مُحَمَّد
قلت لبيْك رب وَسَعْديك
قَالَ هَل تَدْرِي فيمَ يخْتَصم الْمَلأ الْأَعْلَى قلت لَا أعلم فَوضع يَده بَين كَتِفي حَتَّى وجدت بردهَا بَين ثديي أَو قَالَ فِي نحري فَعلمت مَا فِي السَّمَوَات وَمَا فِي الأَرْض أَو قَالَ مَا بَين الْمشرق وَالْمغْرب
قَالَ يَا مُحَمَّد أَتَدْرِي فيمَ يخْتَصم الْمَلأ الْأَعْلَى قلت نعم
فِي الدَّرَجَات وَالْكَفَّارَات وَنقل الْأَقْدَام إِلَى الْجَمَاعَات
وإسباغ
الْوضُوء فِي السبرات وانتظار الصَّلَاة وَمن حَافظ عَلَيْهِنَّ عَاشَ بِخَير وَمَات بِخَير وَكَانَ من ذنُوبه كَيَوْم وَلدته أمه
قَالَ يَا مُحَمَّد قلت لبيْك وَسَعْديك فَقَالَ إِذا صليت قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك فعل الْخيرَات وَترك الْمُنْكَرَات وَحب الْمَسَاكِين وَإِذا أردْت بعبادك فتْنَة فاقبضني إِلَيْك غير مفتون
قَالَ والدرجات إفشاء السَّلَام وإطعام الطَّعَام وَالصَّلَاة بِاللَّيْلِ وَالنَّاس نيام
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
وَفِي رِوَايَة رَأَيْت رَبِّي فِي أحسن صُورَة فَقَالَ لي يَا مُحَمَّد
قلت لبيْك رب وَسَعْديك
قَالَ هَل تَدْرِي فيمَ يخْتَصم الْمَلأ الْأَعْلَى قلت لَا أعلم فَوضع يَده بَين كَتِفي حَتَّى وجدت بردهَا بَين ثديي أَو قَالَ فِي نحري فَعلمت مَا فِي السَّمَوَات وَمَا فِي الأَرْض أَو قَالَ مَا بَين الْمشرق وَالْمغْرب
قَالَ يَا مُحَمَّد أَتَدْرِي فيمَ يخْتَصم الْمَلأ الْأَعْلَى قلت نعم
فِي الدَّرَجَات وَالْكَفَّارَات وَنقل الْأَقْدَام إِلَى الْجَمَاعَات
وإسباغ
الْوضُوء فِي السبرات وانتظار الصَّلَاة وَمن حَافظ عَلَيْهِنَّ عَاشَ بِخَير وَمَات بِخَير وَكَانَ من ذنُوبه كَيَوْم وَلدته أمه
قَالَ يَا مُحَمَّد قلت لبيْك وَسَعْديك فَقَالَ إِذا صليت قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك فعل الْخيرَات وَترك الْمُنْكَرَات وَحب الْمَسَاكِين وَإِذا أردْت بعبادك فتْنَة فاقبضني إِلَيْك غير مفتون
قَالَ والدرجات إفشاء السَّلَام وإطعام الطَّعَام وَالصَّلَاة بِاللَّيْلِ وَالنَّاس نيام
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
হাদীস নং: ৫৯৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে বের হওয়া এবং জামাআত না পাওয়া সত্ত্বেও মসজিদে আসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৯৫. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: জামআত বর্জনকারী যদি জানত যে, পায়ে হেঁটে জামআতে অংশ গ্রহণ করে সালাত আদায়ে কী সওয়াব রয়েছে, তাহলে সে দুই হাত-পায়ে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও জামাআতে অংশগ্রহণ করত।
(তাবারানী, হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। সালাতের জামা'আত বর্জনের ভয়াবহ পরিণাম' অধ্যায়ে এ বিষয়ে ইনশা আল্লাহ দীর্ঘ হাদীসের আলোচনা আসবে।)
(তাবারানী, হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। সালাতের জামা'আত বর্জনের ভয়াবহ পরিণাম' অধ্যায়ে এ বিষয়ে ইনশা আল্লাহ দীর্ঘ হাদীসের আলোচনা আসবে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يُرِيد الْجَمَاعَة فَوجدَ النَّاس قد صلوا
595 - وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَو يعلم هَذَا المتخلف عَن الصَّلَاة فِي الْجَمَاعَة مَا لهَذَا الْمَاشِي إِلَيْهَا لأتاها وَلَو حبوا على يَدَيْهِ وَرجلَيْهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي حَدِيث يَأْتِي بِتَمَامِهِ فِي ترك الْجَمَاعَة إِن شَاءَ الله تَعَالَى
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي حَدِيث يَأْتِي بِتَمَامِهِ فِي ترك الْجَمَاعَة إِن شَاءَ الله تَعَالَى
হাদীস নং: ৫৯৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে বের হওয়া এবং জামাআত না পাওয়া সত্ত্বেও মসজিদে আসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৯৬. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তাকবীরে উলার সাথে চল্লিশ দিন জামাআতে সালাত আদায় করবে, তাকে দুটো জিনিস থেকে মুক্ত লেখা হবে। আর তা হলঃ জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং নিফাক থেকে মুক্তি।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মুসলিম ইবন কুতায়বা কর্তৃক তুম'আ ইবন আমর থেকে বর্ণিত বর্ণনা ব্যতীত মারফু বর্ণনা সম্পর্কে আমার জানা নেই।)
[গ্রন্থকার মুনযিরী (র) বলেন:] মুসলিম, তুমআ ও বাকীয়া প্রমুখ বর্ণনার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত। তবে আমরা এ কিতাব ব্যতীত অপরাপর হাদীস গ্রন্থে এ বিষয়ে অভিমত রেখেছি।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মুসলিম ইবন কুতায়বা কর্তৃক তুম'আ ইবন আমর থেকে বর্ণিত বর্ণনা ব্যতীত মারফু বর্ণনা সম্পর্কে আমার জানা নেই।)
[গ্রন্থকার মুনযিরী (র) বলেন:] মুসলিম, তুমআ ও বাকীয়া প্রমুখ বর্ণনার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত। তবে আমরা এ কিতাব ব্যতীত অপরাপর হাদীস গ্রন্থে এ বিষয়ে অভিমত রেখেছি।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يُرِيد الْجَمَاعَة فَوجدَ النَّاس قد صلوا
596 - وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى لله أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جمَاعَة يدْرك التَّكْبِيرَة الأولى كتب لَهُ براءتان بَرَاءَة من النَّار وَبَرَاءَة من النِّفَاق
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ لَا أعلم أحدا رَفعه إِلَّا مَا روى مُسلم بن قُتَيْبَة عَن طعمة بن عَمْرو
قَالَ المملي رَضِي الله عَنهُ وَمُسلم وطعمة وَبَقِيَّة رُوَاته ثِقَات وَقد تكلمنا على هَذَا الحَدِيث فِي غير هَذَا الْكتاب
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ لَا أعلم أحدا رَفعه إِلَّا مَا روى مُسلم بن قُتَيْبَة عَن طعمة بن عَمْرو
قَالَ المملي رَضِي الله عَنهُ وَمُسلم وطعمة وَبَقِيَّة رُوَاته ثِقَات وَقد تكلمنا على هَذَا الحَدِيث فِي غير هَذَا الْكتاب
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে বের হওয়া এবং জামাআত না পাওয়া সত্ত্বেও মসজিদে আসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৯৭. হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলতেনঃ যে ব্যক্তি ইশার সালাত থেকে (শুরু করে) তাকবীরে উলার সাথে চল্লিশ দিন জামাআতে সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন।
(ইবন মাজাহ নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিরমিযী পূর্বে বর্ণিত হযরত আনাসের হাদীসের অনুরূপ শব্দে বর্ণনা করেন। তবে তিনি হুবহু শব্দ উল্লেখ করেন নি। তিনি বলেনঃ হাদীসটি মুরসাল অর্থাৎ উম্মারা ইবন গুযায়্যা রাবী আনাস থেকে বর্ণনা করেন অথচ তিনি আনাসের সাক্ষাত পান নি। রুযায়ন আবদারী তাঁর জামে' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আমি তাঁর নীতিমালা সূত্রে হাদীসটি তাঁর জামে' গ্রন্থে দেখি নাই। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
(ইবন মাজাহ নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিরমিযী পূর্বে বর্ণিত হযরত আনাসের হাদীসের অনুরূপ শব্দে বর্ণনা করেন। তবে তিনি হুবহু শব্দ উল্লেখ করেন নি। তিনি বলেনঃ হাদীসটি মুরসাল অর্থাৎ উম্মারা ইবন গুযায়্যা রাবী আনাস থেকে বর্ণনা করেন অথচ তিনি আনাসের সাক্ষাত পান নি। রুযায়ন আবদারী তাঁর জামে' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আমি তাঁর নীতিমালা সূত্রে হাদীসটি তাঁর জামে' গ্রন্থে দেখি নাই। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يُرِيد الْجَمَاعَة فَوجدَ النَّاس قد صلوا
597 - وَعَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه كَانَ يَقُول من صلى فِي مَسْجِد جمَاعَة أَرْبَعِينَ لَيْلَة لَا تفوته الرَّكْعَة الأولى من صَلَاة الْعشَاء كتب الله لَهُ بهَا عتقا من النَّار
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ نَحْو حَدِيث أنس يَعْنِي الْمُتَقَدّم وَلم يذكر لَفظه وَقَالَ هَذَا الحَدِيث مُرْسل
يَعْنِي أَن عمَارَة بن غزيَّة الرَّاوِي عَن أنس لم يدْرك
أنسا وَذكره رزين الْعَبدَرِي فِي جَامعه وَلم أره فِي شَيْء من الْأُصُول الَّتِي جمعهَا وَالله أعلم
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ نَحْو حَدِيث أنس يَعْنِي الْمُتَقَدّم وَلم يذكر لَفظه وَقَالَ هَذَا الحَدِيث مُرْسل
يَعْنِي أَن عمَارَة بن غزيَّة الرَّاوِي عَن أنس لم يدْرك
أنسا وَذكره رزين الْعَبدَرِي فِي جَامعه وَلم أره فِي شَيْء من الْأُصُول الَّتِي جمعهَا وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে বের হওয়া এবং জামাআত না পাওয়া সত্ত্বেও মসজিদে আসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৯৮. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি উযূ করবে এবং উত্তমরূপে উযূ করে মসজিদে এসে লোকদের এমন অবস্থায় পাবে যে, তারা সালাত (জামাআত সহকারে) আদায় করেছে। আল্লাহ তা'আলা তাকে জামাআতে সালাত আদায়কারীর অনুরূপ সওয়াব দেবেন। যে ব্যক্তি সময়মত উপস্থিত হয়েছে এবং (জামাআতে) সালাত আদায় করেছে, এতে তাদের সওয়াব কমানো হবে না।
(আবূ দাউদ, নাসাঈ এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেনঃ হাদীসটি মুসলিমের শর্তে সহীহ।
بَاب الْمَشْي إِلَى الْمَسَاجِد শীর্ষক অনুচ্ছেদে সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (র) সূত্রে এক আনসার সাহাবী থেকে বর্ণনাটি পূর্বে এসেছে। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ-কে বলতে শুনেছি: তারপর তিনি হাদীস উল্লেখ করেন। হাদীসটি এরূপ :
যদি সে মসজিদে এসে জামাআতের সাথে সালাত আদায় করে, তাকে ক্ষমা করা হবে। আর যদি সে মসজিদে এসে তাদের কিছু অংশ সালাত আদায় করা হয়েছে এবং কিছু বাকী আছে এমন অবস্থায় পায়, তাহলে সে যা পায় তা আদায় করবে এবং অবশিষ্ট (সালাত) নিজে আদায় করে নেবে। আর যদি সে মসজিদে এসে দেখে যে, তারা সালাত আদায় করে ফেলেছে, তাহলে সে নিজে নিজে পুরো সালাত আদায় করে নেবে।
(আবূ দাউদ, নাসাঈ এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেনঃ হাদীসটি মুসলিমের শর্তে সহীহ।
بَاب الْمَشْي إِلَى الْمَسَاجِد শীর্ষক অনুচ্ছেদে সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (র) সূত্রে এক আনসার সাহাবী থেকে বর্ণনাটি পূর্বে এসেছে। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ-কে বলতে শুনেছি: তারপর তিনি হাদীস উল্লেখ করেন। হাদীসটি এরূপ :
যদি সে মসজিদে এসে জামাআতের সাথে সালাত আদায় করে, তাকে ক্ষমা করা হবে। আর যদি সে মসজিদে এসে তাদের কিছু অংশ সালাত আদায় করা হয়েছে এবং কিছু বাকী আছে এমন অবস্থায় পায়, তাহলে সে যা পায় তা আদায় করবে এবং অবশিষ্ট (সালাত) নিজে আদায় করে নেবে। আর যদি সে মসজিদে এসে দেখে যে, তারা সালাত আদায় করে ফেলেছে, তাহলে সে নিজে নিজে পুরো সালাত আদায় করে নেবে।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْجَمَاعَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يُرِيد الْجَمَاعَة فَوجدَ النَّاس قد صلوا
598 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من تَوَضَّأ فَأحْسن وضوءه ثمَّ رَاح فَوجدَ النَّاس قد صلوا أعطَاهُ الله مثل أجر من صلاهَا وحضرها لَا ينقص ذَلِك من أُجُورهم شَيْئا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم وَتقدم فِي بَاب الْمَشْي إِلَى الْمَسَاجِد حَدِيث سعيد بن الْمسيب عَن رجل من الْأَنْصَار قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول فَذكر الحَدِيث وَفِيه فَإِن أَتَى الْمَسْجِد فصلى فِي جمَاعَة غفر لَهُ فَإِن أَتَى الْمَسْجِد وَقد صلوا بَعْضًا وَبَقِي بعض صلى مَا أدْرك وَأتم مَا بَقِي كَانَ كَذَلِك فَإِن أَتَى الْمَسْجِد وَقد صلوا فَأَتمَّ الصَّلَاة كَانَ كَذَلِك
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم وَتقدم فِي بَاب الْمَشْي إِلَى الْمَسَاجِد حَدِيث سعيد بن الْمسيب عَن رجل من الْأَنْصَار قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول فَذكر الحَدِيث وَفِيه فَإِن أَتَى الْمَسْجِد فصلى فِي جمَاعَة غفر لَهُ فَإِن أَتَى الْمَسْجِد وَقد صلوا بَعْضًا وَبَقِي بعض صلى مَا أدْرك وَأتم مَا بَقِي كَانَ كَذَلِك فَإِن أَتَى الْمَسْجِد وَقد صلوا فَأَتمَّ الصَّلَاة كَانَ كَذَلِك
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতে অধিক সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৯৯. হযরত উবাই ইবন কাব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করেন। এরপর তিনি বললেনঃ অমুক উপস্থিত আছে কি? তারা বললঃ না। তিনি বললেন: অমুক উপস্থিত আছে কি? তারা বলল: না। তিনি বললেনঃ এই দুই ওয়াক্ত সালাত (ফজর ও ইশা) মুনাফিকদের উপর খুবই কষ্টদায়ক ও ভারী। তারা যদি জানত যে, এই দুই সালাতে কী (সওয়াব) রয়েছে, তাহলে তারা হাঁটুর উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এর জন্য উপস্থিত হতো। আর প্রথম সারি হল ফিরিশতাদের সারিতুল্য। তোমরা যদি জানতে প্রথম সারিতে কী ফযীলত রয়েছে, তাহলে তার জন্য তোমরা তড়িঘড়ি করতে। একাকী সালাত আদায় অপেক্ষা এক ব্যক্তির সাথে সালাত আদায় করা উত্তম। আর দুই ব্যক্তির সাথে সালাত আদায় উত্তম এক ব্যক্তির সাথে সালাত আদায় করার চেয়ে। এভাবে যতই অধিক লোক হবে, ততই তা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়।
(আহমদ, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তদীয় 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে এ হাদীসখানা বর্ণনা করেন এবং হাকিমও। ইয়াহইয়া ইবন মুঈন এবং যাহলী (র) এ হাদীসটি সহীহ বলেছেন।)
(আহমদ, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তদীয় 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে এ হাদীসখানা বর্ণনা করেন এবং হাকিমও। ইয়াহইয়া ইবন মুঈন এবং যাহলী (র) এ হাদীসটি সহীহ বলেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي كَثْرَة الْجَمَاعَة
599 - عَن أبي بن كَعْب رَضِي الله عَنهُ قَالَ صلى بِنَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْمًا الصُّبْح فَقَالَ أشاهد فلَان قَالُوا لَا
قَالَ أشاهد فلَان قَالُوا لَا
قَالَ إِن هَاتين الصَّلَاتَيْنِ أثقل الصَّلَوَات على الْمُنَافِقين وَلَو تعلمُونَ مَا فيهمَا لأتيتموها وَلَو حبوا على الركب وَإِن الصَّفّ الأول على مثل صف الْمَلَائِكَة وَلَو علمْتُم مَا فضيلته لابتدرتموه وَإِن صَلَاة الرجل مَعَ الرجل أزكى من صلَاته وَحده وَصلَاته مَعَ الرجلَيْن أزكى من صلَاته مَعَ الرجل وكل مَا كثر فَهُوَ أحب إِلَى الله عز وَجل
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَقد جزم يحيى بن معِين والذهلي بِصِحَّة هَذَا الحَدِيث
قَالَ أشاهد فلَان قَالُوا لَا
قَالَ إِن هَاتين الصَّلَاتَيْنِ أثقل الصَّلَوَات على الْمُنَافِقين وَلَو تعلمُونَ مَا فيهمَا لأتيتموها وَلَو حبوا على الركب وَإِن الصَّفّ الأول على مثل صف الْمَلَائِكَة وَلَو علمْتُم مَا فضيلته لابتدرتموه وَإِن صَلَاة الرجل مَعَ الرجل أزكى من صلَاته وَحده وَصلَاته مَعَ الرجلَيْن أزكى من صلَاته مَعَ الرجل وكل مَا كثر فَهُوَ أحب إِلَى الله عز وَجل
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَقد جزم يحيى بن معِين والذهلي بِصِحَّة هَذَا الحَدِيث
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬০০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ জামাআতে অধিক সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬০০. হযরত কুবাস ইবন আশীম লায়সী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: দু'জনের একজনকে ইমাম নিযুক্ত করে সালাত আদায় করা, চারজন বিচ্ছিন্নভাবে সালাত আদায় করা অপেক্ষা আল্লাহর কাছে অধিক পবিত্র ও উত্তম। চারজনে জামাআতবদ্ধভাবে সালাত আদায় করা আটজন বিচ্ছিন্নভাবে সালাত আদায় করা অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অধিক পবিত্র ও উত্তম। আটজনে জামাআতবদ্ধভাবে সালাত আদায় করা, একশজনের বিচ্ছিন্নভাবে সালাত আদায় অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অধিক পবিত্র ও উত্তম।
(বাযযার এবং তাবারানী ত্রুটিমুক্ত সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(বাযযার এবং তাবারানী ত্রুটিমুক্ত সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي كَثْرَة الْجَمَاعَة
600 - وَعَن قباث بن أَشْيَم اللَّيْثِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَلَاة الرجلَيْن يؤم أَحدهمَا صَاحبه أزكى عِنْد الله من صَلَاة أَرْبَعَة تترى وَصَلَاة أَرْبَعَة أزكى عِنْد الله من صَلَاة ثَمَانِيَة تترى وَصَلَاة ثَمَانِيَة يؤمهم أحدهم أزكى عِنْد الله من صَلَاة مائَة تترى
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
তাহকীক: