আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

৫. অধ্যায়ঃ নামাজ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৪৮২ টি

হাদীস নং: ৫৬১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সংরক্ষণ এবং ঈমানের অপরিহার্যতার প্রতি অনুপ্রেরণা এ সম্পর্কে হযরত ইবন উমর (রা)-এর হাদীস এবং অপরাপর হাদীস
৫৬১. হযরত উসমান (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাত আদায় করা অপরিহার্য বলে মনে করে তা আদায় করে, সে জান্নাতী।
(আবূ ইয়ালা, আবদুল্লাহ ইবন ইমাম আহমদ মুসনাদ সনদে এবং হাকিমের সহীহ গ্রন্থে হাদীসখানা বর্ণিত। তবে তার এবং আবদুল্লাহর বর্ণনায় مَكْتُوب শব্দটির উল্লেখ নেই।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] ইনশা আল্লাহ এ বিষয়ে যাকাত, হজ্জ ও অন্যান্য অধ্যায়ে অসংখ্য হাদীস একত্রে সন্নিবেশিত করা হবে।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَوَات الْخمس والمحافظة عَلَيْهَا وَالْإِيمَان بِوُجُوبِهَا فِيهِ حَدِيث ابْن عمر وَغَيره
561 - وَعَن عُثْمَان رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من علم أَن الصَّلَاة حق مَكْتُوب وَاجِب دخل الْجنَّة
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَعبد الله ابْن الإِمَام أَحْمد على الْمسند وَالْحَاكِم وَصَححهُ وَلَيْسَ عِنْده وَلَا عِنْد عبد الله لَفْظَة مَكْتُوب
قَالَ الْحَافِظ رَضِي الله تَعَالَى عَنهُ وَسَتَأْتِي أَحَادِيث أخر تنتظم فِي سلك هَذَا الْبَاب فِي الزَّكَاة وَالْحج وَغَيرهمَا إِن شَاءَ الله تَعَالَى
হাদীস নং: ৫৬২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৬২. হযরত আবূ মালিক আশ'আরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: পবিত্রতা হল ঈমানের অর্ধেক। আলহামদু লিল্লাহ (সওয়াবের) পাল্লা পূর্ণ করে সুবহানাল্লাহ এবং ওয়ালহামদু লিল্লাহ পাল্লা পূর্ণকারী অথবা আসমানসমূহ ও যমীনের মধ্যকার স্থান পূর্ণ করে দেয়, সালাত হল নূর, সাদকা হল (দাতার জন্য ঈমানের) দলীল, সবর হল জ্যোতি এবং কুরআন হল তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে প্রমাণ।
(মুসলিম এবং অপরাপর মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
562 - عَن أبي مَالك الْأَشْعَرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الطّهُور شطر الْإِيمَان وَالْحَمْد لله تملأ الْمِيزَان وَسُبْحَان الله وَالْحَمْد لله تملآن أَو تملأ مَا بَين السَّمَاء وَالْأَرْض وَالصَّلَاة نور وَالصَّدَََقَة برهَان وَالصَّبْر ضِيَاء وَالْقُرْآن حجَّة لَك أَو عَلَيْك
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره وَتقدم
হাদীস নং: ৫৬৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৬৩. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) একদা শীতের মওসুমে বের হলেন, আর তখন গাছের পাতা ঝরে পড়ছিল। তিনি একটি গাছের ডাল ধরলেন। তিনি বললেনঃ আর তার পাতা ঝরে পড়তে লাগল। তিনি বললেনঃ হে আবু যর। আমি বললামঃ আমি উপস্থিত ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই যখন মুসলিম বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করে, এই গাছ থেকে পাতাগুলো যেভাবে ঝরে পড়ছে, তদ্রুপ তার থেকে গুনাহসমূহ ঝরে পড়ে।
(ইমাম আহমদ উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
563 - وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خرج فِي الشتَاء وَالْوَرق يتهافت فَأخذ بِغُصْن من شَجَرَة
قَالَ فَجعل ذَلِك الْوَرق يتهافت فَقَالَ يَا أَبَا ذَر
قلت لبيْك يَا رَسُول الله قَالَ إِن العَبْد الْمُسلم ليُصَلِّي الصَّلَاة يُرِيد بهَا وَجه الله فتهافت عَنهُ ذنُوبه كَمَا تهافت هَذَا الْوَرق عَن هَذِه الشَّجَرَة
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৫৬৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৬৪. হযরত মা'দান ইবন আবু তালহা (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) এর যুক্তদাস সাওবান (রা)-এর সাথে সাক্ষাত করে বললাম। আপনি আমাকে এমন একটি আমলের সংবাদ দিন, যার উপর আমল করলে আল্লাহ আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন অথবা তিনি বললেন: আমি বললাম: আপনি আমাকে আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয়তম আমলের সংবাদ দিন। তিনি নীরব রইলেন। আমি আবার বললাম: তিনি নীরব রইলেন। এরপর আমি তৃতীয়বারের মত জিজ্ঞাসা করলে তখন তিনি বললেন: আমি এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সা) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন: তোমার অপরিহার্য কর্তব্য হল বেশি বেশি সিজদা (সালাত আদায়)। কেননা যখনই তুমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটা সিজদা করবে, তখনই আল্লাহ তোমার মর্যাদা একধাপ
বাড়িয়ে দিবেন এবং তোমার একটি গুনাহ মাফ করে দিবেন।
(মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
564 - وَعَن معدان بن أبي طَلْحَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ لقِيت ثَوْبَان مولى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقلت أَخْبرنِي بِعَمَل أعمله يدخلني الله بِهِ الْجنَّة أَو قَالَ قلت بِأحب الْأَعْمَال إِلَى الله
فَسكت ثمَّ سَأَلته فَسكت ثمَّ سَأَلته الثَّالِثَة فَقَالَ سَأَلت عَن ذَلِك رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ عَلَيْك بِكَثْرَة السُّجُود فَإنَّك لَا تسْجد لله سَجْدَة إِلَّا رفعك الله بهَا دَرَجَة وَحط بهَا عَنْك خَطِيئَة
رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ৫৬৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৬৫. হযরত উবাদা ইবন সামিত (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটা সিজদা করবে, আল্লাহ তাকে একটি নেকী দিবেন, তার একটা গুনাহ মাফ করে দিবেন এবং তার মর্যাদা একধাপ বাড়িয়ে দিবেন। কাজেই তোমরা বেশি বেশি করে সিজদা করবে।
(ইবন মাজাহ সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
565 - وَعَن عبَادَة بن الصَّامِت رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا من عبد يسْجد لله سَجْدَة إِلَّا كتب الله لَهُ بهَا حَسَنَة ومحا عَنهُ بهَا سَيِّئَة وَرفع لَهُ بهَا دَرَجَة فاستكثروا من السُّجُود
رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد صَحِيح
হাদীস নং: ৫৬৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৬৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ সিজদাই বান্দাকে তার রবের অধিক নিকটবর্তী করে দেয়। অতএব তোমরা বেশি করে দু'আ করবে।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
566 - وَعَن ابي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أقرب مَا يكون العَبْد من ربه عز وَجل وَهُوَ ساجد فَأَكْثرُوا الدُّعَاء
رَوَاهُ مُسلم
হাদীস নং: ৫৬৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৬৭. রবী'আ ইবন কাব (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দিনে নবী (সা) এর খিদমত করতাম এবং রাতে রাসূলুল্লাহ-এর গৃহের দরজায় চলে আসতাম এবং তাঁর সংগে রাত যাপন করতাম। আমি সর্বদা তাঁকে বলতে শুনতাম। সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ এবং সুবহানা রাব্বি। এমনকি আমার জড়তা পেয়ে বসত অথবা চোখ জুড়ে ঘুম আসত। ফলে আমি ঘুমিয়ে পড়তাম। একদিন তিনি আমাকে বললেনঃ হে রবীআ। তুমি আমার কাছে চাও, আমি তোমাকে দান করব। আমি বললামঃ আমাকে সময় দিন, আমি ভেবে দেখি। পৃথিবী ধ্বংসশীল এবং ক্ষণভঙ্গুর আমি একথা স্মরণ করছিলাম। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমি আপনার কাছে এ দু'আ চাই যেন আল্লাহ আমাকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করান। রাসূলুল্লাহ নীরব রইলেন। তারপর তিনি বললেনঃ তোমাকে একথা বলার নির্দেশ কে দিল? আমি বললামঃ আমাকে কেউ নির্দেশ দেয়নি, বরং আমি জানতে পেরেছি পৃথিবী ধ্বংসশীল ও ক্ষণভঙ্গুর। আর আল্লাহর কাছে আপনার রয়েছে মহান মর্যাদা। কাজেই আমি চাই যে, আপনি আল্লাহর কাছে আমার জন্য দু'আ করবেন। তিনি বললেন: আমি তা করব। সুতরাং তুমি তোমার উপর বেশি বেশি সিজদা দিয়ে সহযোগিতা কর।
(ইবন ইসহাক সূত্রে নিজ শব্দযোগে তাবারানী এ হাদীস 'কাবীর' গ্রন্থে উল্লেখ করেন। ইমাম মুসলিম ও আবু দাউদ সংক্ষেপে উল্লেখ করেন। তবে ইমাম মুসলিমের বাক্যাবলী হলোঃ তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) এর সংগে রাত যাপন করতাম। একদা আমি তাঁর উযুর পানি এবং যা প্রয়োজন তা এগিয়ে দিলাম। তখন তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি আমার কাছে চাও। আমি বললাম: আমি জান্নাতে আপনার সাহচর্য চাই। তিনি বললেন: এছাড়া অন্য কিছু? আমি বললামঃ আমি এটাই চাই। তিনি বললেন: তাহলে তুমি অধিক সিজদা দ্বারা তোমার নিজের ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
567 - وَعَن ربيعَة بن كَعْب رَضِي الله عَنهُ قَالَ كنت أخدم النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهاري فَإِذا كَانَ اللَّيْل آويت إِلَى بَاب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَبت عِنْده فَلَا أَزَال أسمعهُ يَقُول سُبْحَانَ الله سُبْحَانَ الله سُبْحَانَ رَبِّي حَتَّى أمل أَو تغلبني عَيْني فأنام فَقَالَ يَوْمًا يَا ربيعَة سلني فأعطيك فَقلت أَنْظرنِي حَتَّى أنظر وتذكرت أَن الدُّنْيَا فانية مُنْقَطِعَة فَقلت يَا رَسُول الله أَسأَلك أَن تَدْعُو الله أَن ينجيني من النَّار ويدخلني الْجنَّة فَسكت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثمَّ قَالَ من أَمرك بِهَذَا قلت مَا أَمرنِي بِهِ أحد وَلَكِنِّي علمت أَن الدُّنْيَا مُنْقَطِعَة فانية وَأَنت من الله بِالْمَكَانِ الَّذِي أَنْت مِنْهُ فَأَحْبَبْت أَن تَدْعُو الله لي قَالَ إِنِّي فَاعل فأعني على نَفسك بِكَثْرَة السُّجُود
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير من رِوَايَة ابْن إِسْحَاق وَاللَّفْظ لَهُ وَرَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد مُخْتَصرا وَلَفظ مُسلم قَالَ كنت أَبيت مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فآتيه بوضوئه وَحَاجته فَقَالَ لي سلني
فَقلت أَسأَلك مرافقتك فِي الْجنَّة
قَالَ أَو غير ذَلِك قلت هُوَ ذَاك قَالَ فأعني على نَفسك بِكَثْرَة السُّجُود
হাদীস নং: ৫৬৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৬৮. হযরত আবূ ফাতিমা (রা) বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে এমন একটি আমলের সংবাদ দিন, যার উপর আমি অবিচল থাকতে পারি এবং আমল করতে পারি। তিনি বললেনঃ তোমার অপরিহার্য করণীয় কাজ সিজদা করা, কেননা তোমার একটি সিজদা যখন আল্লাহর উদ্দেশ্যে হবে, আল্লাহ তোমার মর্যাদা সমুন্নত করবেন এবং তোমার পাপরাশি ক্ষমা করে দিবেন।
(ইবন মাজাহ উত্তম সনদে এবং আহমদ সংক্ষিপ্ত সনদে হাদীসখানা বর্ণনা করেন। তাঁর শব্দমালা হলঃ তিনি বললেন: নবী (সা) আমাকে বললেন: হে আবু ফাতিমা। তুমি যদি (জান্নাতে) আমার সাক্ষাত চাও, তাহলে বেশি করে সিজদা কর।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
568 - وَعَن أبي فَاطِمَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قلت يَا رَسُول الله أَخْبرنِي بِعَمَل أستقيم عَلَيْهِ وأعمله قَالَ عَلَيْك بِالسُّجُود فَإنَّك لَا تسْجد لله سَجْدَة إِلَّا رفعك الله بهَا دَرَجَة وَحط عَنْك بهَا خَطِيئَة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه بِإِسْنَاد جيد وَرَوَاهُ أَحْمد مُخْتَصرا
وَلَفظه قَالَ قَالَ لي نَبِي الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا أَبَا فَاطِمَة إِن أردْت أَن تَلقانِي فَأكْثر السُّجُود
হাদীস নং: ৫৬৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৬৯. হযরত হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: বান্দা যখন চেহারা ধূলি-মলিন অবস্থায় সিজদারত থাকে, তখন আল্লাহ সে অবস্থায় বান্দাকে দেখতে খুবই পসন্দ করেন।
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, উসমান সূত্রে হাদীসটি মুফরাদ। )
[হাফিয বলেনঃ] ইনি হলেন উসমান ইবন কাসিম। ইবন হিব্বান তাঁকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
569 - وَعَن حُذَيْفَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من حَالَة يكون العَبْد عَلَيْهَا أحب إِلَى الله من أَن يرَاهُ سَاجِدا يعفر وَجهه فِي التُّرَاب
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَقَالَ تفرد بِهِ عُثْمَان
قَالَ الْحَافِظ عُثْمَان هَذَا هُوَ ابْن الْقَاسِم ذكره ابْن حبَان فِي الثِّقَات
হাদীস নং: ৫৭০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৭০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: সালাতের রয়েছে সর্বোত্তম মর্যাদা। কাজেই যে মর্যাদা বাড়াতে চায়, সে যেন বেশি করে সালাত আদায় করে।
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
570 - وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الصَّلَاة خير مَوْضُوع فَمن اسْتَطَاعَ أَن يستكثر فليستكثر
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
হাদীস নং: ৫৭১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৭১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) একদা একটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন: এ কবর কার? তারা বলল: অমুকের। তিনি বললেনঃ এই লোকটির নিকটে দুই রাকআত সালাত তোমাদের দুনিয়ার অবশিষ্ট সবকিছু অপেক্ষা প্রিয়।
(হাদীসটি তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণিত।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
571 - وعن أبي هريرة أيضاً رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم مَرَّ بقبرٍ فقال: من صاحب هذا القبر؟ فقالوا: فلانٌ، فقال: ركعتان أحبُّ إلى هذا من بقية دنياكم. رواه الطبراني في الأوسط بإسناد حسن.
হাদীস নং: ৫৭২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৭২. মুতাররফ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কুরায়শের কিছু লোকের কাছে বসলাম। এমন সময়। এক ব্যক্তি এসে সালাত আদায় করল, মাথা উত্তোলন করল এবং সিজদা করল, তবে সে বসল না। আমি বললাম: আল্লাহর কসম! সে কি জোড় না বেজোড় সালাত (এক রাকআত না দুই রাকআত) আদায় করেছে, তা আমি জানতে পারিনি এবং এরূপ কাউকে দেখিও নি। তারা বলল: সাবধান, তুমি দাঁড়িয়ে যাও এবং তাঁকে কিছু বল। তিনি বললেনঃ আমি দাঁড়িয়ে তাঁকে বললাম: হে আল্লাহর বান্দা। আমি তো জানতে পারিনি যে, আপনি কি জোড় না বেজোড় সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেন: কিন্তু আল্লাহ তো জানেন। আর আমি তো রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা করে, আল্লাহ তাকে একটি নেকী দান করেন, তার একটি গুনাহ ক্ষমা করেন এবং তার একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। আমি বললামঃ আপনি কে? তিনি বললেনঃ আবু যর। আমি আমার বন্ধুদের কাছে ফিরে গেলাম। আমি বললামঃ আল্লাহ তোমাদেরকে অসৎ সংগ থেকে রক্ষা করুন। তোমরা আমাকে রাসূলের একজন সাহাবী সম্পর্কে জানতে আদেশ করেছিলে।
অন্য বর্ণনায় আছেঃ আমি তাঁকে দীর্ঘ কিয়াম করতে দেখলাম এবং দেখলাম বেশি বেশি রুকু-সিজদা করতে। আমি তাঁর কাছে এ বিষয়ে আলোচনা করলাম। তিনি বললেনঃ আমি কি আরো সংক্ষেপে উত্তম কথা বলব? আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি একটি রুকু করবে অথবা একটি সিজদা করবে, আল্লাহ তার একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন এবং একটি গুনাহ মাফ করে দিবেন।
(ইমাম আহমদ ও বাযযার অনুরূপ শব্দযোগে হাসান অথবা সহীহ সনদে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
572 - وَعَن مطرف رَضِي الله عَنهُ قَالَ قعدت إِلَى نفر من قُرَيْش فجَاء رجل فَجعل يُصَلِّي وَيرْفَع وَيسْجد وَلَا يقْعد فَقلت وَالله مَا أرى هَذَا يدْرِي ينْصَرف على شفع أَو على وتر فَقَالُوا أَلا تقوم إِلَيْهِ فَتَقول لَهُ قَالَ فَقُمْت فَقلت لَهُ يَا عبد الله أَرَاك تَدْرِي تَنْصَرِف على شفع أَو على وتر قَالَ وَلَكِن الله يدْرِي وَسمعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من سجد لله سَجْدَة كتب الله لَهُ بهَا حَسَنَة وَحط عَنهُ بهَا خَطِيئَة وَرفع لَهُ بهَا دَرَجَة فَقلت من أَنْت فَقَالَ أَبُو ذَر فَرَجَعت إِلَى أَصْحَابِي فَقلت جزاكم الله من جلساء شرا أَمرْتُمُونِي أَن أعلم رجلا من أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
وَفِي رِوَايَة فرأيته يُطِيل الْقيام وَيكثر الرُّكُوع وَالسُّجُود فَذكرت ذَلِك لَهُ فَقَالَ مَا آلوت أَن أحسن إِنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من ركع رَكْعَة أَو سجد سَجْدَة رفع
الله لَهُ بهَا دَرَجَة وَحط عَنهُ بهَا خَطِيئَة
رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار بِنَحْوِهِ وَهُوَ بِمَجْمُوع طرقه حسن أَو صَحِيح
হাদীস নং: ৫৭৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৭৩. ইউসুফ ইবন আবদুল্লাহ ইবন সালাম (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হযরত আবুদ-দারদা (রা) যে রোগে ইনতিকাল করেন, সে সময় আমি তাঁর নিকট এলাম। তিনি বললেনঃ হে ভাতিজা। তুমি কি এই নগরী সম্পর্কে জান অথবা তিনি বললেনঃ তুমি কি উদ্দেশ্যে এসেছে? রাবী বললেনঃ না, বরং আমি আপনার এবং আমার পিতা আবদুল্লাহ ইবন সালামের মধ্যকার সম্পর্কের কারণেই এসেছি। তিনি বললেন: এটা কতইনা নিকৃষ্ট মিথ্যার সময়কাল। আমি তো রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি উযূ করবে এবং উত্তমরূপে উযূ করবে, তারপর দাঁড়িয়ে দুই রাকআত সালাত আদায় করবে অথবা (রাবী সাহলের সন্দেহ) চার রাক'আত সালাত আদায় করবে এবং তাতে উত্তমরূপে রুকু করবে এবং ভীতি-বিহবলতা অবলম্বন করবে, তারপর আল্লাহর কাছে ইসতিগফার করবে, তাকে ক্ষমা করা হবে।
(আহমদ হাসান সনদে এ হাদীস বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
573 - وَعَن يُوسُف بن عبد الله بن سَلام قَالَ أتيت أَبَا الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ فِي مَرضه الَّذِي قبض فِيهِ فَقَالَ يَا ابْن أخي مَا علمت إِلَى هَذِه الْبَلدة أَو مَا جَاءَ بك قَالَ قلت لَا إِلَّا صلَة مَا كَانَ بَيْنك وَبَين وَالِدي عبد الله بن سَلام فَقَالَ بئس سَاعَة الْكَذِب هَذِه سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من تَوَضَّأ فَأحْسن الْوضُوء ثمَّ قَامَ فصلى رَكْعَتَيْنِ أَو أَرْبعا يشك سهل يحسن فِيهِنَّ الرُّكُوع والخشوع ثمَّ يسْتَغْفر الله غفر لَهُ
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
হাদীস নং: ৫৭৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৭৪. হযরত যায়দ ইবন খালিদ জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি উযূ করবে এবং উত্তমরূপে উযূ করবে। অতঃপর দু'রাকআত সালাত আদায় করবে, তাতে ভুল করবে না, তার পূর্বের পাপ ক্ষমা করা হবে।
(হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন।)
অন্য বর্ণনায় আছেঃ যে ব্যক্তি উযূ করবে এবং উত্তমরূপে উযু করে দুই রাক'আত সালাত খালিস অন্তরে আদায় করবে, তার জন্য জান্নাত অবধারিত।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
574 - وَعَن زيد بن خَالِد الْجُهَنِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من تَوَضَّأ فَأحْسن وضوءه ثمَّ صلى رَكْعَتَيْنِ لَا يسهو فيهمَا غفر لَهُ مَا تقدم من ذَنبه
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
وَفِي رِوَايَة عِنْده مَا من أحد يتَوَضَّأ فَيحسن الْوضُوء وَيُصلي رَكْعَتَيْنِ يقبل بِقَلْبِه وبوجهه عَلَيْهِمَا إِلَّا وَجَبت لَهُ الْجنَّة
হাদীস নং: ৫৭৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৭৫. হযরত উকবা ইবন আমির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সা) এর সংগে থেকে পরস্পরের খিদমতে নিয়োজিত ছিলাম। পালাক্রমে আমরা আমাদের উট পাহারা দিতাম। একবার আমার উপর উট পাহারার দায়িত্ব এলো। এমন সময় দেখি, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা) লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন: তোমাদের কেউ যখন উযূ করবে এবং উত্তমরূপে উযূ করবে, এরপর সে সালাতে দাঁড়াবে এবং তার বাহ্যিক ও অভ্যন্তর উভয় দিক (আল্লাহর প্রতি রুজু করে) দুই রাক'আত সালাত আদায় করবে, সে জান্নাত অবধারিত করে নিল। আমি বললামঃ বাহ! বাহ! এটা কতইনা চমৎকার!
(মুসলিম, আবূ দাউদ নিজ শব্দযোগে, নাসাঈ, ইবন মাজাহ ও ইবন খুযায়মার 'সহীহ' গ্রন্থে এ হাদীসের একটি বর্ণিত হয়েছে এবং হাকিম। তবে তিনি বলেনঃ কোন মুসলিম ব্যক্তি উযু করে এবং ভালোভাবে উযূ করে এরপর সালাতে দাঁড়ায় এবং কিরাআত বুঝে শুনে পাঠ করে সালাত আদায় করে, সে সদ্য প্রসূত সন্তানের ন্যায় হয়ে যায়, যেন তার মা আজ তাকে প্রসব করেছে। হাদীসের শেষ পর্যন্ত। তিনি বলেন: হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
575 - وَعَن عقبَة بن عَامر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خدام أَنْفُسنَا نتناوب الرِّعَايَة رِعَايَة إبلنا فَكَانَت عَليّ رِعَايَة الْإِبِل فروحتها بالْعَشي فَإِذا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يخْطب النَّاس فَسَمعته يَوْمًا يَقُول مَا مِنْكُم من أحد يتَوَضَّأ فَيحسن الْوضُوء ثمَّ يقوم فيركع رَكْعَتَيْنِ يقبل عَلَيْهِمَا بِقَلْبِه وَوَجهه فقد أوجب فَقلت بخ بخ مَا أَجود هَذِه
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَهُوَ بعض حَدِيث وَرَوَاهُ الْحَاكِم إِلَّا أَنه قَالَ مَا من مُسلم يتَوَضَّأ فيسبغ الْوضُوء ثمَّ يقوم فِي صلَاته فَيعلم مَا يَقُول إِلَّا انْفَتَلَ وَهُوَ كَيَوْم وَلدته أمه
الحَدِيث وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
হাদীস নং: ৫৭৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং রুকু-সিজদা ও ভীতি-বিহ্বলতার ফযীলত
৫৭৬. হযরত আসিম ইবন সুফিয়ান সাকাফী (রা) থেকে বর্ণিত। একদল সাহাবী গাযওয়ায়ে সালাসীলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেন (তন্মধ্যে আমিও ছিলাম)। কিন্তু আমাদের জিহাদে অংশগ্রহণের পূর্বেই যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। পরে আমরা আমীর মুআবিয়া (রা)-এর নিকট গেলাম। আর তখন তাঁর নিকট আবু আইয়ুব ও উকবা ইবন আমির (রা) ছিলেন। তখন আসিম বললেনঃ হে আবু আইয়ুব। এ বছর আমরা জিহাদে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হলাম। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি চার মসজিদে সালাত আদায় করবে, তার গুনাহ ক্ষমা করা হবে। এরপর তিনি বললেনঃ হে ভাতিজা। আমি তোমাকে এর চেয়ে সহজতর নেককাজের কথা বলছি। আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি নির্দেশিত নিয়মে উযু করবে এবং নির্দেশিত নিয়মে সালাত আদায় করবে, তার জীবনের সমুদয় পাপ ক্ষমা করা হবে। হে উকবা। হাদীসটি এরূপ নয় কি? উকরা (রা) বললেন: হ্যাঁ! নাসাঈ, ইবন মাজাহ, ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হযরত আমর ইবন আবাসা হতে উযূর অধ্যায়ে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। আমর ইবন আবাসার হাদীসের শেষাংশে আছে: এরপর যদি সে সালাতের উদ্দেশ্যে দাঁড়ায়, আল্লাহর হামদ ও সানা করে, আল্লাহর যথাযথ মর্যাদা বর্ণনা করে এবং নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর জন্য সালাত আদায় করে, সে নবজাত সন্তানের মত নিষ্পাপ হয়ে যায়, যেন তাকে তার মা আজ প্রসব করেছে।
(মুসলিম (র) উপরোক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
এ অনুচ্ছেদের পূর্বে হযরত উসমান (রা) বর্ণিত হাদীসে আছেঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, কোন মুসলিমের নিকট যখন ফরয সালাতের সময় হয়, এরপর সে উত্তমরূপে উযূ করে এবং ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বিনয়ের সাথে যথাযথভাবে সালাত আদায় করে, কাবীরা গুনাহ না করা পর্যন্ত তার সালাতের পূর্বের যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করা হয়। এভাবে আজীবন চলতে থাকে। মুসলিমে হাদীসটি অনুরূপ হযরত উবাদা (রা) থেকে হাদীস বর্ণিত আছেঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সা) বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর ফরযকৃত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে উত্তমরূপে উযূ করে এবং যথাসময়ে সালাত আদায় করে, পূর্ণভাবে রুকু-সিজদা,আল্লাহ-ভীতিসহ আদায় করে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তার গুনাহ ক্ষমার অঙ্গীকার রয়েছে।
অন্য অধ্যায়ে হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদীস আসবে ইনশা আল্লাহ।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة مُطلقًا وَفضل الرُّكُوع وَالسُّجُود والخشوع
576 - وَعَن عَاصِم بن سُفْيَان الثَّقَفِيّ رَضِي الله عَنهُ أَنهم غزوا غَزْوَة السلَاسِل ففاتهم الْغَزْو فرابطوا ثمَّ رجعُوا إِلَى مُعَاوِيَة وَعِنْده أَبُو أَيُّوب وَعقبَة بن عَامر فَقَالَ عَاصِم يَا أَبَا أَيُّوب فاتنا الْغَزْو الْعَام وَقد أخبرنَا أَنه من صلى فِي الْمَسَاجِد الْأَرْبَعَة غفر لَهُ ذَنبه فَقَالَ يَا بن أخي أَلا أدلك على أيسر من ذَلِك إِنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من تَوَضَّأ كَمَا أَمر وَصلى كَمَا أَمر غفر لَهُ مَا قدم من عمل كَذَلِك يَا عقبَة قَالَ نعم
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَتقدم فِي الْوضُوء حَدِيث عَمْرو بن عبسة وَفِي آخِره فَإِن هُوَ قَامَ فَحَمدَ الله وَأثْنى عَلَيْهِ ومجده بِالَّذِي هُوَ لَهُ أهل وَفرغ قلبه لله تَعَالَى إِلَّا انْصَرف من خطيئته كَيَوْم وَلدته أمه
رَوَاهُ مُسلم وَتقدم فِي الْبَاب قبله حَدِيث عُثْمَان وَفِيه سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا من امرىء مُسلم تحضره صَلَاة مَكْتُوبَة فَيحسن وضوءها وخشوعها وركوعها إِلَّا كَانَت كَفَّارَة لما قبلهَا من الذُّنُوب مَا لم يُؤْت كَبِيرَة وَكَذَلِكَ الدَّهْر كُله
رَوَاهُ مُسلم وَتقدم أَيْضا حَدِيث عبَادَة سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول خمس صلوَات افترضهن الله من أحسن وضوءهن وصلاهن لوقتهن وَأتم ركوعهن وسجودهن وخشوعهن كَانَ لَهُ على الله عهد أَن يغْفر لَهُ
وَيَأْتِي فِي الْبَاب بعده حَدِيث أنس إِن شَاءَ الله تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৭৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৭৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে জিজ্ঞাসা করলামঃ কোন কাজ আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়? তিনি বললেন। ঠিক সময়ে সালাত আদায় করা। আমি বললামঃ এরপর কোনাট? তিনি বললেনঃ পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা। আমি বললাম। এরপর কোনটি? তিনি বললেন: আল্লাহর পথে জিহাদ করা। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) এ বিষয়ে আমাকে হাদীস বলেছেন। আমি যদি প্রশ্ন বাড়াতে চাইতাম, তাহলে তিনি আমার জন্য আরো বাড়াতেন।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي أول وَقتهَا
577 - عَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَأَلت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَي الْعَمَل أحب إِلَى الله تَعَالَى قَالَ الصَّلَاة على وَقتهَا قلت ثمَّ أَي قَالَ بر الْوَالِدين
قلت ثمَّ أَي قَالَ الْجِهَاد فِي سَبِيل الله قَالَ حَدثنِي بِهن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَلَو استزدته لزادني
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
হাদীস নং: ৫৭৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৭৮. আবদিল কায়স গোত্রের হযরত ইয়ায (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছেন। তোমাদের উপর অপরিহার্য কর্তব্য হল তোমাদের রবের যিকর করা। আর তোমরা প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায় করে নেবে। কেননা আল্লাহ তোমাদের পুরস্কার বাড়িয়ে দেবেন।
(তাবারানী 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي أول وَقتهَا
578 - وَرُوِيَ عَن رجل من بني عبد الْقَيْس يُقَال لَهُ عِيَاض أَنه سمع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول عَلَيْكُم بِذكر ربكُم وصلوا صَلَاتكُمْ فِي أول وقتكم فَإِن الله يُضَاعف لكم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৭৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৭৯. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: সালাতের প্রথম ওয়াক্তে রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং শেষ ওয়াক্তে রয়েছে আল্লাহর ক্ষমা।
(তিরমিযী ও দারু কুতনী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي أول وَقتهَا
579 - وَرُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الْوَقْت الأول من الصَّلَاة رضوَان الله وَالْآخر عَفْو الله
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالدَّارَقُطْنِيّ
হাদীস নং: ৫৮০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৮০. ইমাম দারু কুতনী (র) ইবরাহীম ইবন আবদুল আযীয ইবন আবদুল মালিক ইবন আবূ মাহযুরা (রা) তাঁর পিতা সূত্রে তাঁর দাদা থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: সালাতের প্রথম ওয়াক্তে রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি, মধ্যম ওয়াক্তে রয়েছে আল্লাহর রহমত এবং শেষ ওয়াক্তে রয়েছে আল্লাহর ক্ষমা।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي أول وَقتهَا
580 - وروى الدراقطنى من حديث إبراهيم بن عبد العزيز بن عبد الملك بن أبى محذورة عن أبيه عن جده قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: أول الوقت رضوان الله، ووسط الوقت رحمة الله وآخر الوقت عفو الله عز وجل.
tahqiq

তাহকীক: