আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

৩. অধ্যায়ঃ ইলেম - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪১ টি

হাদীস নং: ২২১
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ ইলম শিখে সে অনুযায়ী আমল না করা এবং যা বলা হয় তা না করার পরিণতি সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
২২১. হযরত ওয়াসিলা ইব্ন আসকা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: প্রত্যেক ইমারতই তার মালিকের জন্য অনিষ্টকর। তবে যা এরূপ এবং এ কথা বলে তিনি তাঁর হাতের তালু দ্বারা ইশারা করেন এবং (বলেন) আলিমের ইলম তার জন্য অনিষ্টকর, তবে যার উপর আমল করা হয়, সেই ইলম নয়।
(ইমাম তাবারানী তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর সনদে হানী ইব্‌ন মুতাওয়াককাল নামক একজন সন্দিগ্ধ রাবী রয়েছেন। ইব্‌ন হিব্বান তাঁর সমালোচনা করেছেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من أَن يعلم وَلَا يعْمل بِعِلْمِهِ وَيَقُول وَلَا يَفْعَله
221 - وَعَن وَاثِلَة بن الْأَسْقَع قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كل بُنيان وبال على صَاحبه إِلَّا
مَا كَانَ هَكَذَا وَأَشَارَ بكفه وكل علم وبال على صَاحبه إِلَّا من عمل بِهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير أَيْضا وَفِيه هانىء بن المتَوَكل تكلم فِيهِ ابْن حبَان
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২২২
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ ইলম শিখে সে অনুযায়ী আমল না করা এবং যা বলা হয় তা না করার পরিণতি সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
২২২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: কিয়ামতের দিন সর্বাধিক কঠিন শাস্তি হবে ঐ ব্যক্তির, যে তার নিজ ইলম দ্বারা উপকৃত হতে পারেনি।
(ইমাম তাবারানী তাঁর 'সগীর' গ্রন্থে এবং বায়হাকী হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من أَن يعلم وَلَا يعْمل بِعِلْمِهِ وَيَقُول وَلَا يَفْعَله
222 - وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَشد النَّاس عذَابا يَوْم الْقِيَامَة عَالم لم يَنْفَعهُ علمه رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير وَالْبَيْهَقِيّ
হাদীস নং: ২২৩
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ ইলম শিখে সে অনুযায়ী আমল না করা এবং যা বলা হয় তা না করার পরিণতি সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
২২৩. হযরত আম্মার ইবন ইয়াসার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে কায়স গোত্রের একটি মহল্লায় প্রেরণ করেন যেন আমি তাদের ইসলামী বিধি-বিধানসমূহ শিক্ষা দেই। (আমি সেখানে গিয়ে দেখলাম), তারা যেন বন্য উট, তারা অত্যন্ত লোভী। বকরী ও উট ব্যতীত তাদের অন্য কোন চিন্তা নেই। আমি সেখান থেকে রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার, তুমি কি করেছ? আমি তাঁর নিকট ঐ সম্প্রদায়ের অবস্থা ও ত্রুটির কথা বিধৃত করলাম। তখন তিনি বললেন, আম্মার! আমি কি তোমাকে তাদের চেয়েও বিস্ময়কর লোকদের সম্পর্কে অবহিত করবো না? তারা হচ্ছে ঐ সব লোক, যারা জানে অথচ মানে না। তাদের ত্রুটি এ সম্প্রদায়ের ত্রুটির মতই।
(ইমাম বাযযার ও তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من أَن يعلم وَلَا يعْمل بِعِلْمِهِ وَيَقُول وَلَا يَفْعَله
223 - وَرُوِيَ عَن عمار بن يَاسر رَضِي الله عَنهُ قَالَ بَعَثَنِي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَى حَيّ من قيس أعلمهم شرائع الْإِسْلَام فَإِذا قوم كَأَنَّهُمْ الْإِبِل الوحشية طامحة أَبْصَارهم لَيْسَ لَهُم هم إِلَّا شَاة أَو بعير فَانْصَرَفت إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا عمار مَا عملت فقصصت عَلَيْهِ قصَّة الْقَوْم وأخبرته بِمَا فيهم من السهوة فَقَالَ يَا عمار أَلا أخْبرك بِأَعْجَب مِنْهُم قوم علمُوا مَا جهل أُولَئِكَ ثمَّ سَهوا كسهوهم
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
হাদীস নং: ২২৪
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ ইলম শিখে সে অনুযায়ী আমল না করা এবং যা বলা হয় তা না করার পরিণতি সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
২২৪. হযরত আলী ইবন আবূ তালিব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: আমি আমার উম্মতের মুমিন ও মুশরিকদের সম্পর্কে ভয় করি না। মুমিন ব্যক্তির ঈমান তাকে (জাহান্নাম থেকে) রক্ষা করবে আর মুশরিক ব্যক্তির কুফর (ও শিরক) তাকে জাহান্নামের দিকে টেনে নেবে। কিন্তু আমি তোমাদের মধ্যে ঐ মুনাফিকদের ব্যাপারে শংকিত, যে শুধুমাত্র ভাষার পণ্ডিত। তোমরা যা উত্তম মনে কর, সে তা বলবে অথচ তোমরা যা মন্দ মনে কর, সে তা করবে।
(ইমাম তাবারানী তাঁর 'সগীর' ও 'আওসাতে' হারিস সূত্রে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেন। তিনি হলেন হারিস আওয়ার। তাঁকে ইব্‌ন হিব্বান ও অন্যান্যরা বিশ্বস্ত মনে করেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من أَن يعلم وَلَا يعْمل بِعِلْمِهِ وَيَقُول وَلَا يَفْعَله
224 - وَعَن عَليّ بن أبي طَالب رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِنِّي لَا أَتَخَوَّف على أمتِي مُؤمنا وَلَا مُشْركًا فَأَما الْمُؤمن فيحجزه إيمَانه وَأما الْمُشرك فيقمعه كفره وَلَكِن أَتَخَوَّف عَلَيْكُم منافقا عَالم اللِّسَان يَقُول مَا تعرفُون وَيعْمل مَا تنكرون
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير والأوسط من رِوَايَة الْحَارِث وَهُوَ الْأَعْوَر وَقد وَثَّقَهُ ابْن حبَان وَغَيره
হাদীস নং: ২২৫
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ ইলম শিখে সে অনুযায়ী আমল না করা এবং যা বলা হয় তা না করার পরিণতি সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
২২৫. হযরত ইমরান ইবন হুসাইন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: আমার পরে তোমাদের সম্পর্কে আমার অধিক ভয় হল ঐ সকল মুনাফিকের ব্যাপারে, যারা কেবল ভাষায় পণ্ডিত।
(ইমাম তাবারানী তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে এবং বাযযার হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। এর রাবীগণ সহীহ হিসেবে দলীলরূপে গণ্য। অত্র হাদীসটি আহমদ ইবন হাম্বল (র) উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من أَن يعلم وَلَا يعْمل بِعِلْمِهِ وَيَقُول وَلَا يَفْعَله
225 - وَعَن عمرَان بن حُصَيْن رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن أخوف مَا أَخَاف عَلَيْكُم بعدِي كل مُنَافِق عليم اللِّسَان
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَالْبَزَّار وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح وَرَوَاهُ أَحْمد من حَدِيث عمر بن الْخطاب
হাদীস নং: ২২৬
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ ইলম শিখে সে অনুযায়ী আমল না করা এবং যা বলা হয় তা না করার পরিণতি সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
২২৬. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না যাবৎ না তার রসনাটির সাথে অন্তরের মিল হবে এবং তার কথা ও কাজে বিরোধিতা দূর হবে এবং তার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ হবে।
(ইমাম ইস্পাহানী হাদীসটি এমন সনদে বর্ণনা করেছেন যাতে সন্দেহের অবকাশ আছে।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من أَن يعلم وَلَا يعْمل بِعِلْمِهِ وَيَقُول وَلَا يَفْعَله
226 - وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الرجل لَا يكون مُؤمنا حَتَّى يكون قلبه مَعَ لِسَانه سَوَاء وَيكون لِسَانه مَعَ قلبه سَوَاء وَلَا يُخَالف قَوْله عمله ويأمن جَاره بوائقه
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ بِإِسْنَاد فِيهِ نظر
হাদীস নং: ২২৭
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ ইলম শিখে সে অনুযায়ী আমল না করা এবং যা বলা হয় তা না করার পরিণতি সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
২২৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার ধারণা, কোন আলিম ইল্‌ম অর্জনের পর তা কেবল তার কৃত গুনাহের কারণেই ভুলে যায়।
(ইমাম তাবারানী (র) কাসিম ইব্‌ন আবদুর রহমান ইব্‌ন আবদুল্লাহ হতে তাঁর দাদার সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। অথচ তিনি তাঁর দাদা থেকে হাদীসটি শুনেননি। তবে এর রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من أَن يعلم وَلَا يعْمل بِعِلْمِهِ وَيَقُول وَلَا يَفْعَله
227 - وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ إِنِّي لأحسب الرجل ينسى الْعلم كَمَا تعلمه للخطيئة يعملها
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ مَوْقُوفا من رِوَايَة الْقَاسِم بن عبد الرَّحْمَن بن عبد الله عَن جده عبد الله وَلم يسمع مِنْهُ وَرُوَاته ثِقَات
হাদীস নং: ২২৮
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ ইলম শিখে সে অনুযায়ী আমল না করা এবং যা বলা হয় তা না করার পরিণতি সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
২২৮. হযরত মনসূর ইব্‌ন যাযান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে এই মর্মে অবহিত করা হয় যে, কতিপয় জাহান্নামীকে কতিপয় জাহান্নামীর দুর্গন্ধ কষ্ট দেবে। অতঃপর তাকে বলা হবে, তোমার ধ্বংস হোক। আমরা যে দুরবস্থায় রয়েছি তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল। তুমি কি এমন কাজ করেছ যে, আমরা তোমার কারণে এবং তোমার দুর্গন্ধে বাড়তি বিপদে পড়েছি? সে বলবে, আমি একজন আলিম ছিলাম? কিন্তু আমি নিজ ইলম দ্বারা উপকৃত হইনি।
(ইমাম আহমদ ও বায়হাকী হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من أَن يعلم وَلَا يعْمل بِعِلْمِهِ وَيَقُول وَلَا يَفْعَله
228 - وَعَن مَنْصُور بن زَاذَان قَالَ نبئت أَن بعض من يلقى فِي النَّار تتأذى أهل النَّار بريحه فَيُقَال لَهُ وَيلك مَا كنت تعْمل مَا يكفينا مَا نَحن فِيهِ من الشَّرّ حَتَّى ابتلينا بك وبنتن رِيحك فَيَقُول كنت عَالما فَلم أنتفع بعلمي
رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَيْهَقِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২২৯
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ ইলম এবং কুরআনের বিশেষজ্ঞ হওয়ার দাবিদারের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২২৯. হযরত উবাই ইব্‌ন কা'ব (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন: একদা মূসা (আ) বনী ইসরাঈলের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, সর্বাধিক জ্ঞানী কে? তিনি বললেন, আমি সর্বাধিক জ্ঞানী। তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে তিরস্কার করলেন। কেননা তিনি ইলমকে আল্লাহর দিকে সম্পর্কিত করেন নি। আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কাছে এ মর্মে ওহী অবতীর্ণ করলেন যে, দুই সাগরের সংযোগস্থলে আমার এক বান্দা রয়েছে, সে তোমার চেয়ে অধিক জ্ঞানবান। তিনি বললেন, হে আমার রব। তাঁকে আমি কিভাবে পেতে পারি? তাঁকে বলা হল, তুমি থলের মধ্যে একটি মাছ বহন কর এবং তা যেখানে হারিয়ে ফেলবে, সেখানেই তাকে পাবে। অতঃপর রাবী খিযির (আ) সম্পর্কিত সুদীর্ঘ হাদীসটি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তাঁরা দু'জন নদীর তীর ধরে চলছিলেন এ সময় তাঁদের জন্য নদী পার হওয়ার কোন নৌকা ছিল না। তাঁদের নিকট দিয়ে একটি নৌকা যাচ্ছিল, তাঁরা নৌকার আরোহীদের সাথে তাদের দু'জনকে বহন করার ব্যাপারে কথা বললেন। তারা খিযির (আ)-কে চিনতে পেরে বিনা ভাড়ায় তাদের পার করিয়ে দিলেন। একটি চড়ুই নৌকার কিনারে বসে তার চন্ধু দ্বারা এক ফোঁটা বা দুই ফোঁটা পানি সমুদ্র থেকে উঠাল। তখন খিযির (আ) বললেনঃ হে মূসা। আপনি এবং আমি যে পরিমাণ ইলম অর্জন করেছি, তা আল্লাহর ইলমের তুলনায় সমুদ্র হতে চড়ুই পাখির চঞ্চুর দ্বারা উঠানোতে তার পানি যতটুকু কমেছে, তার তুল্য। অতঃপর তিনি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন।
অন্য বর্ণনায় আছে, একদা মূসা (আ) বনী ইসরাঈলের এক সমাবেশের নিকট দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলল, আপনি কি আপনার চাইতে কাউকে অধিকতর জ্ঞানী মনে করেন? মূসা (আ) বললেন, না। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা মুসা (আ)-এর প্রতি এই মর্মে ওহী করেন যে, (না) বরং আমার খিযির নামে এক বান্দা রয়েছে। মূসা (আ) তাঁর কাছে যাওয়ার দিক-নির্দেশনা চাইলেন। হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
(ইমাম বুখারী, মুসলিম ও অপরাপর হাদীস গ্রন্থে এ হাদীসটি বিবৃত হয়েছে।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من الدَّعْوَى فِي الْعلم وَالْقُرْآن
229 - عَن أبي بن كَعْب رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ قَامَ مُوسَى صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خَطِيبًا فِي بني إِسْرَائِيل فَسئلَ أَي النَّاس أعلم فَقَالَ أَنا أعلم فعتب الله عَلَيْهِ إِذْ لم يرد الْعلم إِلَيْهِ فَأوحى الله إِلَيْهِ أَن عبدا من عبَادي بمجمع الْبَحْرين هُوَ أعلم مِنْك
قَالَ يَا رب كَيفَ بِهِ فَقيل لَهُ احْمِلْ حوتا فِي مكتل فَإِذا فقدته فَهُوَ ثمَّ
فَذكر الحَدِيث فِي اجتماعه بالخضر إِلَى أَن قَالَ فَانْطَلقَا يمشيان على سَاحل الْبَحْر لَيْسَ لَهما سفينة فمرت بهما سفينة فَكَلمُوهُمْ أَن يحملوهما فَعرف الْخضر فحملوهما بِغَيْر نول فجَاء عُصْفُور فَوَقع على حرف السَّفِينَة فَنقرَ نقرة أَو نقرتين فِي الْبَحْر فَقَالَ الْخضر يَا مُوسَى مَا نقص علمي وعلمك من علم الله إِلَّا كنقرة هَذَا العصفور فِي هَذَا الْبَحْر
فَذكر الحَدِيث بِطُولِهِ
وَفِي رِوَايَة بَيْنَمَا مُوسَى يمشي فِي مَلأ من بني إِسْرَائِيل إِذْ جَاءَهُ رجل فَقَالَ لَهُ هَل تعلم أحدا أعلم مِنْك قَالَ مُوسَى لَا فَأوحى الله إِلَى مُوسَى بل عَبدنَا الْخضر فَسَأَلَ مُوسَى السَّبِيل إِلَيْهِ
الحَدِيث رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا
হাদীস নং: ২৩০
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ ইলম এবং কুরআনের বিশেষজ্ঞ হওয়ার দাবিদারের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৩০. হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলল্লাহ (সা) বলেছেনঃ ইসলাম (পৃথিবীর আনাচে কানাচে) ছড়িয়ে পড়বে। এমনকি বণিক দল সমুদ্রের বিভিন্ন পথে গমনাগমন করবে এবং যুদ্ধের জন্য শত্রুর সন্ধানে ছড়িয়ে পড়বে। অতঃপর এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হবে যারা কুরআন তিলাওয়াত করবে এবং তারা দাবি করবে যে, আমাদের চাইতে উত্তম তিলাওয়াতকারী কে আছে? আমাদের চাইতে অধিকতর জ্ঞানী কে আছে? আমাদের চাইতে বেশি ফিক্‌হবিদ কে আছে? অতঃপর তিনি তাঁর সাহাবাদের বললেন: ঐ লোকদের মধ্যে কোন কল্যাণ আছে কি? তাঁরা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (এ বিষয়ে) সর্বাধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন, তারা তোমাদের মধ্যকার আমার উম্মতেরই একটি দল, তারা হবে জাহান্নামের ইন্ধন।
(ইমাম তাবারানী তাঁর 'আওসাত' গ্রন্থে ও বাযযার ত্রুটিমুক্ত সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। আবূ ই'য়ালা, রাযযার এবং তাবরানী হযরত আব্বাস ইব্‌ন আবদুল মুত্তালিব (রা) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من الدَّعْوَى فِي الْعلم وَالْقُرْآن
230 - وَعَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يظْهر الْإِسْلَام حَتَّى تخْتَلف التُّجَّار فِي الْبَحْر وَحَتَّى تخوض الْخَيل فِي سَبِيل الله ثمَّ يظْهر قوم يقرؤون الْقُرْآن يَقُولُونَ من أَقرَأ منا من أعلم منا من أفقه منا ثمَّ قَالَ لاصحابه هَل فِي أُولَئِكَ من خير وَقَالُوا الله وَرَسُوله أعلم
قَالَ أُولَئِكَ مِنْكُم من هَذِه الْأمة وَأُولَئِكَ هم وقود النَّار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْبَزَّار بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَرَوَاهُ أَبُو يعلى وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ أَيْضا من حَدِيث الْعَبَّاس بن عبد الْمطلب
হাদীস নং: ২৩১
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ ইলম এবং কুরআনের বিশেষজ্ঞ হওয়ার দাবিদারের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৩১. হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (সা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, এক রাতে তিনি মক্কাতে (সাহাবীদের উদ্দেশ্যে) ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ্! আমি কি (দ্বীনের দাওয়াত) পৌছাইনি (তিনি এই বাক্যটি তিনবার বললেন)। অতঃপর উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) দাঁড়ালেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত আল্লাহগতপ্রাণ ব্যক্তি। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্। নিশ্চয়ই (হে রাসূল) আপনি অনুপ্রাণিত করেছেন, আপনি প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন এবং আপনি সদুপদেশ দিয়েছেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, ঈমান (ব্যাপকভাবে) প্রসার লাভ করবে, ফলে কুফর স্বস্থানে চলে যাবে। মুবাল্লিগগণ সমুদ্র পথে ইসলাম নিয়ে ছড়িয়ে পড়বে। লোকদের কাছে এমন একটি যুগ আসবে যে, তারা কুরআন শিক্ষা করবে এবং কুরআন তিলাওয়াত করবে। অতঃপর তারা বলবে, আমরা তিলাওয়াত করেছি ও শিখেছি। আমাদের চেয়ে উত্তম আর কে আছে? তাদের মধ্যে কি কোন কল্যাণ আছে? তাঁরা বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তারা কারা? তিনি বললেন, তারা তোমাদের মধ্য হতেই। তারা হবে জাহান্নামের ইন্ধন।
(ইমাম তাবারানী তাঁর কাবীর' গ্রন্থে হাসান সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من الدَّعْوَى فِي الْعلم وَالْقُرْآن
231 - وَعَن عبد الله بن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَامَ لَيْلَة بِمَكَّة من اللَّيْل فَقَالَ اللَّهُمَّ هَل بلغت ثَلَاث مَرَّات فَقَامَ عمر بن الْخطاب وَكَانَ أواها فَقَالَ اللَّهُمَّ نعم وحرضت وجهدت وَنَصَحْت فَقَالَ لَيظْهرَن الْإِيمَان حَتَّى يرد الْكفْر إِلَى
مواطنه ولتخاضن الْبحار بالإس وليأتين على النَّاس زمَان يتعلمون فِيهِ الْقُرْآن يتعلمونه ويقرؤونه ثمَّ يَقُولُونَ قد قَرَأنَا وَعلمنَا فَمن ذَا الَّذِي هُوَ خير منا فَهَل فِي أُولَئِكَ من خير قَالُوا يَا رَسُول الله من أُولَئِكَ قَالَ أُولَئِكَ مِنْكُم وَأُولَئِكَ هم وقود النَّار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَإِسْنَاده حسن إِن شَاءَ الله تَعَالَى
হাদীস নং: ২৩২
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ ইলম এবং কুরআনের বিশেষজ্ঞ হওয়ার দাবিদারের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৩২. মুজাহিদ (র) সূত্রে হযরত ইব্‌ন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবীকে (সা) বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি বলবে, আমি আলিম, (প্রকৃতপক্ষে) সে-ই জাহিল।
(ইমাম তাবারানী (র) লায়স ইব্‌ন আবূ সালীম থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এই সনদ ব্যতীত অন্য কোন সনদে রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে হাদীসটি বর্ণিত হয়নি।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من الدَّعْوَى فِي الْعلم وَالْقُرْآن
232 - وَعَن مُجَاهِد عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا لَا أعلمهُ إِلَّا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ إِنِّي عَالم فَهُوَ جَاهِل
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ عَن لَيْث هُوَ ابْن أبي سليم عَنهُ وَقَالَ لَا يرْوى عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৩
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ কলহ্ ও অনর্থক বাদানুবাদ, পারস্পরিক অনর্থক যুক্তি প্রদান, ক্ষুব্ধ হওয়া এবং বিজয়ী হওয়ার প্রবণতার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং সত্য প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যা তিরোহিত করার প্রতি অনুপ্রেরণা
২৩৩. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বাতিলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা অবস্থায় তা বর্জন করে, তার জন্য জান্নাতের কিনারায় একটি ঘর তৈরি করা হবে। আর যে ব্যক্তি হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা সত্ত্বেও তা পরিহার করবে, তার জন্য জান্নাতের মধ্যভাগে একটি ঘর তৈরি করা হবে এবং যে ব্যক্তি উত্তম চরিত্রের অধিকারী, তার জন্য জান্নাতের উর্ধ্বদেশে ঘর তৈরি করা হবে।
(ইমাম আবু দাউদ এবং তিরমিযী নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং ইবন মাজাহ ও বায়হাকী হাদীসটি রিওয়ায়াত করেন। তিরমিযী (র) বলেন, হাদীসটি হাসান। তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হযরত ইবন উমর (রা) সূত্রে বর্ণিত, "রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি হকের উপর থাকা সত্ত্বেও বাদানুবাদ থেকে বিরত থাকে, আমি তার জন্য জান্নাতের কিনারায় একটি ঘরের যিম্মাদার, আর যে ব্যক্তি বিদ্রুপচ্ছলেও মিথ্যা পরিহার করে, আমি জান্নাতের মধ্যখানে তার ঘরের যামিনদার। আর যে ব্যক্তি উত্তম চরিত্রের অধিকারী, জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে তার ঘরের জন্য আমি যিম্মাদার।")
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من المراء والجدال والمخاصمة والمحاججة والقهر وَالْغَلَبَة وَالتَّرْغِيب فِي تَركه للمحق والمبطل
233 - عَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ترك المراء وَهُوَ مُبْطل بني لَهُ بَيت فِي ربض الْجنَّة وَمن تَركه وَهُوَ محق بني لَهُ فِي وَسطهَا وَمن حسن خلقه بني لَهُ فِي أَعْلَاهَا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من حَدِيث ابْن عمر وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنا زعيم بِبَيْت فِي ربض الْجنَّة لمن ترك المراء وَهُوَ محق وببيت فِي وسط الْجنَّة لمن ترك الْكَذِب وَهُوَ مازح وببيت فِي أَعلَى الْجنَّة لمن حسنت سَرِيرَته
হাদীস নং: ২৩৪
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ কলহ্ ও অনর্থক বাদানুবাদ, পারস্পরিক অনর্থক যুক্তি প্রদান, ক্ষুব্ধ হওয়া এবং বিজয়ী হওয়ার প্রবণতার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং সত্য প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যা তিরোহিত করার প্রতি অনুপ্রেরণা
২৩৪. হযরত আবুদ-দারদা, হযরত আবু উমামা ও হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, একদা কোন দ্বীনী বিষয়ে আমাদের বাদানুবাদে রত থাকা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ (সা) আমাদের নিকট এলেন। তিনি ভীষণ ক্রদ্ধ হলেন, যার অনুরূপ ক্রদ্ধ তিনি কখনো হননি। অতঃপর তিনি আমাদের ধমক দিলেন। তিনি বললেন, হে উম্মতে মুহাম্মদী। তোমাদের পূর্বেকার উম্মত এজন্যই ধ্বংস হয়ে গেছে। তোমরা বাক-বিতণ্ডা বর্জন কর। কেননা এতে খুব অল্পই মঙ্গল রয়েছে। তোমরা বাক-বিতণ্ডা বর্জন কর। কেননা মুমিন বাক-বিতণ্ডা করে না। তোমরা ঝগড়া-বিবাদ বর্জন কর। কেননা বাক-বিতণ্ডাকারীর সর্বনাশের পূর্ণতা সাধিত হয়েছে। তোমরা বাক-বিতন্ডা পরিহার কর। কেননা কোন ব্যক্তির পাপী হওয়ার জন্যে তার অহরহ বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত থাকাটাই যথেষ্ট। বাক-বিতণ্ডা পরিহার কর, কেননা বাক-বিতণ্ডাকারীর জন্য আমি কিয়ামতের দিন শাফাআত করব না। তোমরা ঝগড়া-বিবাদ বর্জন করে চলো। কেননা যথার্থ দলীল-প্রমাণের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি তা বর্জন করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের পার্শ্বে, মধ্যস্থানে ও ঊর্ধ্বদেশে অবস্থিত তিনটি ঘরের যামিনদার। তোমরা ঝগড়া-বিবাদ বর্জন কর। কেননা মূর্তিপূজা বর্জনের পর আমার প্রতিপালক আমাকে যা সর্বপ্রথম নিষেধ করেন তা হলো, ঝগড়া-বিবাদ।
(ইমাম তাবারানী তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من المراء والجدال والمخاصمة والمحاججة والقهر وَالْغَلَبَة وَالتَّرْغِيب فِي تَركه للمحق والمبطل
234 - وَرُوِيَ عَن أبي الدَّرْدَاء وَأبي أُمَامَة وواثلة بن الْأَسْقَع وَأنس بن مَالك رَضِي الله عَنْهُم قَالُوا خرج علينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْمًا وَنحن نتمارى فِي شَيْء من أَمر الدّين فَغَضب غَضبا شَدِيدا لم يغْضب مثله ثمَّ انتهرنا فَقَالَ مهلا يَا أمة مُحَمَّد إِنَّمَا هلك من كَانَ قبلكُمْ
بِهَذَا ذَروا المراء لقلَّة خَيره ذَروا المراء فَإِن الْمُؤمن لَا يُمَارِي ذَروا المراء فَإِن المماري قد تمت خسارته ذَروا المراء فَكفى إِثْمًا أَن لَا تزَال مماريا ذَروا المراء فَإِن المماري لَا أشفع لَهُ يَوْم الْقِيَامَة ذَروا المراء فَأَنا زعيم بِثَلَاثَة أَبْيَات فِي الْجنَّة فِي رباضها ووسطها وأعلاها لمن ترك المراء وَهُوَ صَادِق ذَروا المراء فَإِن أول مَا نهاني عَنهُ رَبِّي بعد عبَادَة الْأَوْثَان المراء
الحَدِيث رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
হাদীস নং: ২৩৫
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ কলহ্ ও অনর্থক বাদানুবাদ, পারস্পরিক অনর্থক যুক্তি প্রদান, ক্ষুব্ধ হওয়া এবং বিজয়ী হওয়ার প্রবণতার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং সত্য প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যা তিরোহিত করার প্রতি অনুপ্রেরণা
২৩৫. হযরত মু'আয ইব্‌ন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হকপন্থী হয়েও বাক-বিতণ্ডা পরিহার করে, উপহাসচ্ছলেও যে ব্যক্তি মিথ্যা বর্জন করে এবং নিজ চরিত্রকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে, আমি তার জন্য জান্নাতের প্রান্তে, মধ্যখানে ও উর্ধ্বদেশে ঘরের জন্য যামিনদার।
(ইমাম বাযযার এবং তাবারানী তাঁর তিনটি 'মুজামে' হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। তাঁর সনদে সুয়ায়দ ইব্‌ন ইবরাহীম আবু হাতিম নামে একজন সন্দিগ্ধ রাবী রয়েছেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من المراء والجدال والمخاصمة والمحاججة والقهر وَالْغَلَبَة وَالتَّرْغِيب فِي تَركه للمحق والمبطل
235 - وَعَن معَاذ بن جبل قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنا زعيم بِبَيْت فِي ربض الْجنَّة وببيت فِي وسط الْجنَّة وببيت فِي أَعلَى الْجنَّة لمن ترك المراء وَإِن كَانَ محقا وَترك الْكَذِب وَإِن كَانَ مازحا وَحسن خلقه
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي معاجيمه الثَّلَاثَة وَفِيه سُوَيْد بن إِبْرَاهِيم أَبُو حَاتِم
হাদীস নং: ২৩৬
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ কলহ্ ও অনর্থক বাদানুবাদ, পারস্পরিক অনর্থক যুক্তি প্রদান, ক্ষুব্ধ হওয়া এবং বিজয়ী হওয়ার প্রবণতার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং সত্য প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যা তিরোহিত করার প্রতি অনুপ্রেরণা
২৩৬. হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সা) এর ঘরের দরজায় বসে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লাম, কেউ এ আয়াত দিয়ে কেউ ঐ আয়াত দিয়ে দলীল দিচ্ছিলাম। তিনি রক্তিম বর্ণ চেহারা যা পাকা ডালিমের ন্যায়, নিয়ে আমাদের কাছে আসলেন। তিনি বললেন, ওহে! তোমরা কি এ জন্য প্রেরিত হয়েছ, না কি তোমরা এ কাজের জন্য আদিষ্ট হয়েছ? তোমরা আমার পরে একে অপরের
গর্দান উড়িয়ে দিয়ে কুফরের দিকে ফিরে যেয়ো না।
(ইমাম তাবারানী হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। তবে এর সনদেও সুয়ায়দ রয়েছেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من المراء والجدال والمخاصمة والمحاججة والقهر وَالْغَلَبَة وَالتَّرْغِيب فِي تَركه للمحق والمبطل
236 - وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْد بَاب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نتذاكر ينْزع هَذَا بِآيَة وَينْزع هَذَا بِآيَة فَخرج علينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَمَا يفقأ فِي وَجهه حب الرُّمَّان فَقَالَ يَا هَؤُلَاءِ بِهَذَا بعثتم أم بِهَذَا أمرْتُم لَا ترجعوا بعدِي كفَّارًا يضْرب بَعْضكُم رِقَاب بعض
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَفِيه سُوَيْد أَيْضا
হাদীস নং: ২৩৭
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ কলহ্ ও অনর্থক বাদানুবাদ, পারস্পরিক অনর্থক যুক্তি প্রদান, ক্ষুব্ধ হওয়া এবং বিজয়ী হওয়ার প্রবণতার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং সত্য প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যা তিরোহিত করার প্রতি অনুপ্রেরণা
২৩৭. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ (অনর্থক) ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়া ব্যতীত কোন জাতিই হিদায়াত লাভের পর পথভ্রষ্ট হয় নি। তারপর তিনি তিলাওত করলেন: مَا ضربوه لَك إِلَّا جدلا এরা কেবল বাক-বিতন্ডার উদ্দেশেই তোমাকে এ কথা বলে।" (সূরা যুখরুফ: ৫৮)।
(ইমাম তিরমিযী, ইবন্ মাজাহ ইব্‌ন আবিদ দুনিয়ার 'কিতাবুস সামৃত' প্রভৃতিতে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। তিরমিযী (র) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من المراء والجدال والمخاصمة والمحاججة والقهر وَالْغَلَبَة وَالتَّرْغِيب فِي تَركه للمحق والمبطل
237 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا ضل قوم بعد هدى كَانُوا عَلَيْهِ إِلَّا أُوتُوا الجدل
ثمَّ قَرَأَ {مَا ضربوه لَك إِلَّا جدلا} الزخرف 85
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب الصمت وَغَيره وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح
হাদীস নং: ২৩৮
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ কলহ্ ও অনর্থক বাদানুবাদ, পারস্পরিক অনর্থক যুক্তি প্রদান, ক্ষুব্ধ হওয়া এবং বিজয়ী হওয়ার প্রবণতার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং সত্য প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যা তিরোহিত করার প্রতি অনুপ্রেরণা
২৩৮. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ অধিক ঝগড়াটে লোক আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা ঘৃণিত।
(ইমাম বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من المراء والجدال والمخاصمة والمحاججة والقهر وَالْغَلَبَة وَالتَّرْغِيب فِي تَركه للمحق والمبطل
238 - وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن أبْغض الرِّجَال إِلَى الله الألد الْخصم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
হাদীস নং: ২৩৯
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ কলহ্ ও অনর্থক বাদানুবাদ, পারস্পরিক অনর্থক যুক্তি প্রদান, ক্ষুব্ধ হওয়া এবং বিজয়ী হওয়ার প্রবণতার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং সত্য প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যা তিরোহিত করার প্রতি অনুপ্রেরণা
২৩৯. হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: অহরহ ঝগড়াটে হওয়াটাই গুনাহগার সাব্যস্ত হওয়ার জন্যে যথেষ্ট।
(ইমাম তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেন, হাদীসটি গরীব।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من المراء والجدال والمخاصمة والمحاججة والقهر وَالْغَلَبَة وَالتَّرْغِيب فِي تَركه للمحق والمبطل
239 - وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ كفى بك إِثْمًا أَن لَا تزَال مخاصما
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث غَرِيب
হাদীস নং: ২৪০
অধ্যায়ঃ ইলেম
পরিচ্ছেদঃ কলহ্ ও অনর্থক বাদানুবাদ, পারস্পরিক অনর্থক যুক্তি প্রদান, ক্ষুব্ধ হওয়া এবং বিজয়ী হওয়ার প্রবণতার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং সত্য প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যা তিরোহিত করার প্রতি অনুপ্রেরণা
২৪০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: কুরআন মজীদ নিয়ে বাক-বিতণ্ডা করা
কুফরী কাজ।
(ইমাম আবু দাউদ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। হযরত যায়দ ইবন সাবিত (রা) সূত্রে তাবারানী প্রমুখও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من المراء والجدال والمخاصمة والمحاججة والقهر وَالْغَلَبَة وَالتَّرْغِيب فِي تَركه للمحق والمبطل
240 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ المراء فِي الْقُرْآن كفر
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَغَيره من حَدِيث زيد بن ثَابت