মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
২১. চিকিৎসা ও দু'আর বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৩৬
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৩৬
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ্ তা'আলা এক বান্দার জন্য বেহেশতে উঁচু মর্যাদা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু ঐ মর্যাদায় পৌঁছার মত তার আমল নেই। তখন আল্লাহ তা'আলা তাকে সব সময়ের জন্যে রোগে আক্রান্ত করে রাখেন। ফলে ঐ ব্যক্তি ঐ মর্যাদায় পৌঁছে যায়।
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ্ তা'আলা এক বান্দার জন্য বেহেশতে উঁচু মর্যাদা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু ঐ মর্যাদায় পৌঁছার মত তার আমল নেই। তখন আল্লাহ তা'আলা তাকে সব সময়ের জন্যে রোগে আক্রান্ত করে রাখেন। ফলে ঐ ব্যক্তি ঐ মর্যাদায় পৌঁছে যায়।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ لَيَكْتُبُ لِلْإِنْسَانِ الدَّرَجَةَ الْعُلْيَا فِي الْجَنَّةِ، وَلَا يَكُونُ لَهُ مِنَ الْعَمَلِ مَا يَبْلُغُهَا، فَلَا يَزَالُ يَبْتَلِيهِ اللَّهُ حَتَّى يَبْلُغَهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৭
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৩৭
অনুবাদঃ হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যখন কোন এরূপ বান্দা অসুস্থ হয়, যে সুস্থ অবস্থায় উত্তম ও নেককাজ করে, তখন আল্লাহ তাবারাক ওয়া তা'আলা ফিরিশতাগণকে নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমার বান্দার জন্য ঐ আমলের সওয়াব লিপিবদ্ধ কর যে আমল সে সুস্থ অবস্থায় করতো।
অন্য এক রিওয়ায়েতে এতটুকু অতিরিক্ত রয়েছে যে, রোগের সওয়াবও (অর্থাৎ এর উপর ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতার সওয়াব)।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, আমার বান্দার জন্য ঐ আমল লিপিবদ্ধ কর, যা সে সুস্থ অবস্থায় করতো।
অন্য এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, যখন কোন ইবাদতকারী বান্দা অসুস্থ হয়, তখন আল্লাহ তা'আলা কিরামুন কাতেবীনকে নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমার বান্দার জন্য ঐ আমলের পূণ্য লিপিবদ্ধ কর, যা সে সুস্থ অবস্থায় করতো।
অনুবাদঃ হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যখন কোন এরূপ বান্দা অসুস্থ হয়, যে সুস্থ অবস্থায় উত্তম ও নেককাজ করে, তখন আল্লাহ তাবারাক ওয়া তা'আলা ফিরিশতাগণকে নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমার বান্দার জন্য ঐ আমলের সওয়াব লিপিবদ্ধ কর যে আমল সে সুস্থ অবস্থায় করতো।
অন্য এক রিওয়ায়েতে এতটুকু অতিরিক্ত রয়েছে যে, রোগের সওয়াবও (অর্থাৎ এর উপর ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতার সওয়াব)।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, আমার বান্দার জন্য ঐ আমল লিপিবদ্ধ কর, যা সে সুস্থ অবস্থায় করতো।
অন্য এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, যখন কোন ইবাদতকারী বান্দা অসুস্থ হয়, তখন আল্লাহ তা'আলা কিরামুন কাতেবীনকে নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমার বান্দার জন্য ঐ আমলের পূণ্য লিপিবদ্ধ কর, যা সে সুস্থ অবস্থায় করতো।
عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيْهِ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ، وَهُوَ عَلَى طَائِفَةٍ مِنَ الْخَيْرِ، قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى لِمَلَائِكَتِهِ: اكْتُبُوْا لِعَبْدِيْ أَجْرَ مَا كَانَ يَعْمَلُ وَهُوَ صَحِيْحٌ».
زَادَ فِيْ رِوَايَةٍ: «مَعَ أَجْرِ الْبَلَاءِ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «اكْتُبُوْا لِعَبْدِيْ مَا كَانَ يَعْمَلُ، وَهُوَ صَحِيْحٌ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «إذَا مَرِضَ الْعَبْدُ، وَهُوَ عَلَى عَمَلٍ مِنَ الطَّاعَةِ، فَإِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى، يَقُوْلُ لِحَفَظَتِهِ: اكْتُبُوْا لِعَبْدِيْ أَجْرَ مَا كَانَ يَعْمَلُ، وَهُوَ صَحِيْحٌ».
زَادَ فِيْ رِوَايَةٍ: «مَعَ أَجْرِ الْبَلَاءِ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «اكْتُبُوْا لِعَبْدِيْ مَا كَانَ يَعْمَلُ، وَهُوَ صَحِيْحٌ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «إذَا مَرِضَ الْعَبْدُ، وَهُوَ عَلَى عَمَلٍ مِنَ الطَّاعَةِ، فَإِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى، يَقُوْلُ لِحَفَظَتِهِ: اكْتُبُوْا لِعَبْدِيْ أَجْرَ مَا كَانَ يَعْمَلُ، وَهُوَ صَحِيْحٌ».
হাদীস নং:৪৩৮
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৩৮
হযরত জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ্ তা'আলা প্রত্যেক রোগের ঔষধ তৈরী করেছেন। সুতরাং যখন রোগের সঠিক ঔষধ পাওয়া যায়, তখন আল্লাহর ফযলে মানুষ সুস্থ হয়ে যায়।
হযরত জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ্ তা'আলা প্রত্যেক রোগের ঔষধ তৈরী করেছেন। সুতরাং যখন রোগের সঠিক ঔষধ পাওয়া যায়, তখন আল্লাহর ফযলে মানুষ সুস্থ হয়ে যায়।
مُقَاتِلُ بْنُ سُلَيْمَانَ: عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لِكُلِّ دَاءٍ جَعَلَ اللهُ تَعَالَى دَوَاءً، فَإِذَا أَصَابَ الدَّاءَ دَوَاءٌ بَرِئَ بِإِذْنِ اللهِ».
হাদীস নং:৪৩৯
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৩৯
হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত নবী করীম (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ্ তা'আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার কোন ঔষধ নেই মৃত্যু এবং বার্ধক্য ব্যতীত (এ গুলোর কোন ঔষধ নেই)। তোমরা গাভীর দুধ অবশ্যই পান করবে। কেননা এতে সমস্ত গাছ ও তরুলতার অংশ বিদ্যমান রয়েছে।
হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত নবী করীম (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ্ তা'আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার কোন ঔষধ নেই মৃত্যু এবং বার্ধক্য ব্যতীত (এ গুলোর কোন ঔষধ নেই)। তোমরা গাভীর দুধ অবশ্যই পান করবে। কেননা এতে সমস্ত গাছ ও তরুলতার অংশ বিদ্যমান রয়েছে।
عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلَّا وَضَعَ لَهُ دَوَاءً، إِلَّا السَّامَ وَالْهَرَمَ، فَعَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ، فَإِنَّهَا تَخْلِطُهُ مِنْ كُلِّ شَجَرٍ»
হাদীস নং:৪৪০
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৪০
অনুবাদঃ হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা এমন কোন রোগ প্রেরণ করেননি একমাত্র বার্ধক্য ব্যতীত, যার জন্য ঔষধ প্রেরণ করেননি। তোমরা গাভীর দুধ পান কর, কেননা ঐ দুধে সমস্ত গাছপালার অংশ অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।
অন্য এক বিওয়ায়েতে আছে, আল্লাহ্ তা'আলা পৃথিবীতে এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার কোন চিকিৎসা বা ঔষধ তৈরী করেন নি। একমাত্র বার্ধক্য ও মৃত্যু ব্যতীত। সুতরাং তোমরা গাভীর দুধ অবশ্যই পান করবে। কেননা এতে সমস্ত তরুলতার নির্যাস নিশ্রিত হয়ে থাকে।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহ তা'আলা এমন কোন রোগ প্রেরণ করেননি যার কোন ঔষধ প্রেরণ করেন নি, একমাত্র মৃত্যু ও বার্ধক্য ব্যতীত। সুতরাং তোমরা গাভীর দুধ অবশ্যই পান করবে। কেননা এর মধ্যে গাছপালা ও তরুলতার অংশ মিশ্রিত থাকে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, আল্লাহ তা'আলা ভূমিতে এমন কোন রোগ রাখেননি বা প্রেরণ করেননি যার জন্য কোন শেফা অথবা ঔষধ রাখেননি বা সৃষ্টি করেননি। সুতরাং তোমরা গাভীর দুধ অবশ্যই পান করবে। কেননা এতে সমস্ত গাছপালা ও তরুলতার অংশ অন্তর্ভুক্ত করে। তিনি পুনরায় ইরশাদ করেন : তোমরা গাভীর দুধ অবশ্যই পান কর। কেননা এতে সমস্ত বৃক্ষ ও তরুলতার অংশ অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং এতে সর্ব রোগের শেফা ও রোগ মুক্তি রয়েছে।
অনুবাদঃ হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা এমন কোন রোগ প্রেরণ করেননি একমাত্র বার্ধক্য ব্যতীত, যার জন্য ঔষধ প্রেরণ করেননি। তোমরা গাভীর দুধ পান কর, কেননা ঐ দুধে সমস্ত গাছপালার অংশ অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।
অন্য এক বিওয়ায়েতে আছে, আল্লাহ্ তা'আলা পৃথিবীতে এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার কোন চিকিৎসা বা ঔষধ তৈরী করেন নি। একমাত্র বার্ধক্য ও মৃত্যু ব্যতীত। সুতরাং তোমরা গাভীর দুধ অবশ্যই পান করবে। কেননা এতে সমস্ত তরুলতার নির্যাস নিশ্রিত হয়ে থাকে।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহ তা'আলা এমন কোন রোগ প্রেরণ করেননি যার কোন ঔষধ প্রেরণ করেন নি, একমাত্র মৃত্যু ও বার্ধক্য ব্যতীত। সুতরাং তোমরা গাভীর দুধ অবশ্যই পান করবে। কেননা এর মধ্যে গাছপালা ও তরুলতার অংশ মিশ্রিত থাকে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, আল্লাহ তা'আলা ভূমিতে এমন কোন রোগ রাখেননি বা প্রেরণ করেননি যার জন্য কোন শেফা অথবা ঔষধ রাখেননি বা সৃষ্টি করেননি। সুতরাং তোমরা গাভীর দুধ অবশ্যই পান করবে। কেননা এতে সমস্ত গাছপালা ও তরুলতার অংশ অন্তর্ভুক্ত করে। তিনি পুনরায় ইরশাদ করেন : তোমরা গাভীর দুধ অবশ্যই পান কর। কেননা এতে সমস্ত বৃক্ষ ও তরুলতার অংশ অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং এতে সর্ব রোগের শেফা ও রোগ মুক্তি রয়েছে।
عَنْ قَيْسٍ، عَنْ طَارِقٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ، قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمْ يُنَزِّلِ اللهُ دَاءً إِلَّا وَأَنْزَلَ مَعَهُ الدَّوَاءَ، إِلَّا الْهَرَمَ، فَعَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ، فَإِنَّهَا تَرُمُّ مِنَ الشَّجَرِ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «إِنَّ اللهَ تَعَالَى لَمْ يَجْعَلْ فِي الْأَرْضِ دَاءً إِلَّا جَعَلَ لَهُ دَوَاءً، إِلَّا الْهَرَمَ وَالسَّامَ، فَعَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ، فَإِنَّهَا تَخْلِطُ مِنْ كُلِّ الشَّجَرِ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «مَا أَنْزَلَ اللهُ مِنْ دَاءٍ إِلَّا أَنْزَلَ مَعَهُ دَوَاءً، إِلَّا السَّامَ وَالْهَرَمَ، فَعَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ، فَإِنَّهَا تَخْلِطُ مِنَ الشَّجَرِ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «إِنَّ اللهَ تَعَالَى لَمْ يَضَعْ فِي الْأَرْضِ دَاءً، إِلَّا وَضَعَ لَهُ شِفَاءً، أَوْ دَوَاءً، فَعَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ، فَإِنَّهَا تَخْلِطُ مِنْ كُلِّ الشَّجَرِ، عَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ، فَإِنَّهَا تَرُمُّ مِنْ كُلِّ شَجَرَةٍ، وَفِيْهَا شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ»
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «إِنَّ اللهَ تَعَالَى لَمْ يَجْعَلْ فِي الْأَرْضِ دَاءً إِلَّا جَعَلَ لَهُ دَوَاءً، إِلَّا الْهَرَمَ وَالسَّامَ، فَعَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ، فَإِنَّهَا تَخْلِطُ مِنْ كُلِّ الشَّجَرِ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «مَا أَنْزَلَ اللهُ مِنْ دَاءٍ إِلَّا أَنْزَلَ مَعَهُ دَوَاءً، إِلَّا السَّامَ وَالْهَرَمَ، فَعَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ، فَإِنَّهَا تَخْلِطُ مِنَ الشَّجَرِ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «إِنَّ اللهَ تَعَالَى لَمْ يَضَعْ فِي الْأَرْضِ دَاءً، إِلَّا وَضَعَ لَهُ شِفَاءً، أَوْ دَوَاءً، فَعَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ، فَإِنَّهَا تَخْلِطُ مِنْ كُلِّ الشَّجَرِ، عَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ، فَإِنَّهَا تَرُمُّ مِنْ كُلِّ شَجَرَةٍ، وَفِيْهَا شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ»
হাদীস নং:৪৪১
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৪১
হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ পাক কলুনজি (কালজিরা), শিংগা, মধু ও আকাশের (বৃষ্টির) পানিতে শেফা রেখেছেন।
হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ পাক কলুনজি (কালজিরা), শিংগা, মধু ও আকাশের (বৃষ্টির) পানিতে শেফা রেখেছেন।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «جُعِلَ الشِّفَاءُ فِي الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ وَالْحِجَامَةِ وَالْعَسَلِ وَمَاءِ السَّمَاءِ»
হাদীস নং:৪৪২
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৪২
হযরত সাঈদ ইব্ন যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : সাপের বা ব্যাঙের ছাতা মান (আসমানী খাদ্য)-এর অন্তর্ভুক্ত। এর পানি চোখের জন্য শেফা ও উপকারী।
হযরত সাঈদ ইব্ন যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : সাপের বা ব্যাঙের ছাতা মান (আসমানী খাদ্য)-এর অন্তর্ভুক্ত। এর পানি চোখের জন্য শেফা ও উপকারী।
عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَمْرِو الْجُرَشِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ مِنَ الْمَنِّ الْكَمْأَةُ، وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ»
হাদীস নং:৪৪৩
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৪৩
হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে তিনবার أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ (আমি আশ্রয় প্রার্থনা করি আল্লাহর পূর্ণ কালেমা দ্বারা) পাঠ করে, তা হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে বিচ্ছু দংশন করবে না এবং যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এ কালেমা পাঠ করবে, তাকে ভোর পর্যন্ত বিচ্ছু দংশন করবে না।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, যে ব্যক্তি أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ ভোরে সূর্য উদয়ের পূর্বে তিনবার পাঠ করবে, তাকে ঐ দিন বিচ্ছু দংশন করবে না। যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এ কালেমা পাঠ করবে, সে রাতে বিচ্ছু তাকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে তিনবার أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ (আমি আশ্রয় প্রার্থনা করি আল্লাহর পূর্ণ কালেমা দ্বারা) পাঠ করে, তা হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে বিচ্ছু দংশন করবে না এবং যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এ কালেমা পাঠ করবে, তাকে ভোর পর্যন্ত বিচ্ছু দংশন করবে না।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, যে ব্যক্তি أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ ভোরে সূর্য উদয়ের পূর্বে তিনবার পাঠ করবে, তাকে ঐ দিন বিচ্ছু দংশন করবে না। যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এ কালেমা পাঠ করবে, সে রাতে বিচ্ছু তাকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
عَنِ الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ: أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ لَمْ يَضُرَّهُ عَقْرَبٌ حَتَّى يُمْسِيَ، وَمَنْ قَالَ حِينَ يُمْسِي لَمْ يَضُرَّهُ عَقْرَبٌ حَتَّى يُصْبِحَ "، وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: " مَنْ قَالَ: أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ حِينَ يُصْبِحَ، قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ لَمْ يَضُرَّهُ عَقْرَبٌ يَوْمَئِذٍ، وَإِذَا قَالَهَا حِينَ يُمْسِي لَمْ يَضُرَّهُ عَقْرَبٌ لَيْلَتَهُ "
হাদীস নং:৪৪৪
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস - ৪৪৪
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: নবী করীম (ﷺ) যখন কোন রোগীর পরিদর্শনে গমন করতেন, তখন তার জন্য তিনি এ দু'আ করতেনঃ «أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ، اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا» “হে মানব জাতির পালনকর্তা, রোগ দূরীভূত কর, শেফা দান কর, তুমি শেফাদানকারী। তোমার শেফা মূলত প্রকৃত শেফা যা থেকে কোন রোগই ব্যতিক্রম নয়।
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: নবী করীম (ﷺ) যখন কোন রোগীর পরিদর্শনে গমন করতেন, তখন তার জন্য তিনি এ দু'আ করতেনঃ «أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ، اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا» “হে মানব জাতির পালনকর্তা, রোগ দূরীভূত কর, শেফা দান কর, তুমি শেফাদানকারী। তোমার শেফা মূলত প্রকৃত শেফা যা থেকে কোন রোগই ব্যতিক্রম নয়।
عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: لَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أُتِيَ بِمَرِيضٍ يَدْعُو لَهُ، يَقُولُ: «أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ، اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৫
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৪৫
হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : মু'মিন ব্যক্তির জন্য নিজকে অপদস্থ বা অপমানিত করা উচিত নয়। জিজ্ঞাসা করা হয়, হে আল্লাহর রাসূল! কিভাবে মুমিন নিজকে অপদস্থ করে। তখন তিনি বলেন: তা এভাবে যে, সে নিজকে এমন মুসীবতে ফেলে দেয় যা সহ্য করার মত ক্ষমতা সে রাখে না।
হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : মু'মিন ব্যক্তির জন্য নিজকে অপদস্থ বা অপমানিত করা উচিত নয়। জিজ্ঞাসা করা হয়, হে আল্লাহর রাসূল! কিভাবে মুমিন নিজকে অপদস্থ করে। তখন তিনি বলেন: তা এভাবে যে, সে নিজকে এমন মুসীবতে ফেলে দেয় যা সহ্য করার মত ক্ষমতা সে রাখে না।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَيْسَ لِلْمُؤْمِنِ أَنْ يُذِلَّ نَفْسَهُ، قِيلَ: وَكَيْفَ يُذِلُّ نَفْسَهُ؟ قَالَ: يَتَعَرَّضُ مِنَ الْبَلَاءِ مَا لَا يُطِيقُ "
হাদীস নং:৪৪৬
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৪৬
হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আনসারদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হয়ে আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ভাগ্যে কোন সন্তান-সন্তুতি হয়নি। তখন তিনি বললেন: তোমার কি হয়েছে যে, তুমি বেশী বেশী ইসতিগফার কর না এবং অধিক পরিমাণে সদকা-খয়রাত কর না- যার বরকতে সন্তান ভাগ্যে হবে। অতঃপর ঐ ব্যক্তি অধিক পরিমাণে সদকা ও খয়রাত দান এবং অধিক পরিমাণে ইসতিগফার করতে থাকেন। হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, এরপর ঐ ব্যক্তির নয়টি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আনসারদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হয়ে আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ভাগ্যে কোন সন্তান-সন্তুতি হয়নি। তখন তিনি বললেন: তোমার কি হয়েছে যে, তুমি বেশী বেশী ইসতিগফার কর না এবং অধিক পরিমাণে সদকা-খয়রাত কর না- যার বরকতে সন্তান ভাগ্যে হবে। অতঃপর ঐ ব্যক্তি অধিক পরিমাণে সদকা ও খয়রাত দান এবং অধিক পরিমাণে ইসতিগফার করতে থাকেন। হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, এরপর ঐ ব্যক্তির নয়টি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا رُزِقْتُ وَلَدًا قَطُّ وَلَا وُلِدَ لِي، قَالَ: " فَأَيْنَ أَنْتَ مِنْ كَثْرَةِ الِاسْتِغْفَارِ، وَكَثْرَةِ الصَّدَقَةِ تُرْزَقُ بِهَا، قَالَ: فَكَانَ الرَّجُلُ يُكْثِرُ الصَّدَقَةَ وَيُكْثِرُ الِاسْتِغْفَارَ، قَالَ جَابِرٌ: فَوُلِدَ لَهُ تِسْعَةُ ذُكُورٍ "
হাদীস নং:৪৪৭
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৪৭
হযরত উম্মে হানী (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এটা অবগত যে, আল্লাহ্ তা'আলা নিশ্চয়ই তাকে ক্ষমা করে দেবেন, তা হলে সে ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে।
হযরত উম্মে হানী (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এটা অবগত যে, আল্লাহ্ তা'আলা নিশ্চয়ই তাকে ক্ষমা করে দেবেন, তা হলে সে ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে।
عَنْ إسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أُمِّ هَانِئٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ عَلِمَ أَنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ لَهُ، فَهُوَ مَغْفُورٌ لَهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৮
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৪৮
হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা হলেন সালাম (শান্তি) এবং সালাম বা শান্তি তাঁর থেকেই এসে থাকে।
হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা হলেন সালাম (শান্তি) এবং সালাম বা শান্তি তাঁর থেকেই এসে থাকে।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلَامُ، وَمِنْهُ السَّلَامُ»