মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
২১. চিকিৎসা ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং: ৪৪৬
চিকিৎসা, পীড়ার বরকত, দম ও দু'আর বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৪৬
হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আনসারদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হয়ে আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ভাগ্যে কোন সন্তান-সন্তুতি হয়নি। তখন তিনি বললেন: তোমার কি হয়েছে যে, তুমি বেশী বেশী ইসতিগফার কর না এবং অধিক পরিমাণে সদকা-খয়রাত কর না- যার বরকতে সন্তান ভাগ্যে হবে। অতঃপর ঐ ব্যক্তি অধিক পরিমাণে সদকা ও খয়রাত দান এবং অধিক পরিমাণে ইসতিগফার করতে থাকেন। হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, এরপর ঐ ব্যক্তির নয়টি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আনসারদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হয়ে আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ভাগ্যে কোন সন্তান-সন্তুতি হয়নি। তখন তিনি বললেন: তোমার কি হয়েছে যে, তুমি বেশী বেশী ইসতিগফার কর না এবং অধিক পরিমাণে সদকা-খয়রাত কর না- যার বরকতে সন্তান ভাগ্যে হবে। অতঃপর ঐ ব্যক্তি অধিক পরিমাণে সদকা ও খয়রাত দান এবং অধিক পরিমাণে ইসতিগফার করতে থাকেন। হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, এরপর ঐ ব্যক্তির নয়টি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا رُزِقْتُ وَلَدًا قَطُّ وَلَا وُلِدَ لِي، قَالَ: " فَأَيْنَ أَنْتَ مِنْ كَثْرَةِ الِاسْتِغْفَارِ، وَكَثْرَةِ الصَّدَقَةِ تُرْزَقُ بِهَا، قَالَ: فَكَانَ الرَّجُلُ يُكْثِرُ الصَّدَقَةَ وَيُكْثِرُ الِاسْتِغْفَارَ، قَالَ جَابِرٌ: فَوُلِدَ لَهُ تِسْعَةُ ذُكُورٍ "
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ নির্দেশে মূলত এ আয়াতের মধ্যে একটি সূত্র বিষয় উদ্ঘাটন করা হয়েছে। হযরত নূহ (আ)-এর কিসসার মধ্যে রয়েছে, তিনি তাঁর উম্মতদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেনঃ استغفروا ربكم إنه كان غفارا ـ يرسل السماء عليكم مدرارا ويمددكم بأموال وبنين "তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, কেননা তিনি ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি দ্বারা সাহায্য করবেন।" (৭১ঃ১০-১১) এটা হলো ইসতিগফারের বিস্ময়কর ক্রিয়া। সদকা সম্পর্কে অন্য স্থানে বলা হয়েছে : الصدقة يطفئ غضب الرب (সদকা-খয়রাত আল্লাহর ক্রোধ নিভিয়ে দেয়)। যখন আল্লাহর ক্রোধ শেষ হয়ে যায়, তখন তাকে পৃথিবীর সমস্ত নিয়ামত দ্বারা পরিপূর্ণ করে দেয়। এ অধ্যায়ের সাথে এ হাদীসের সংযোগ এভাবে হয়েছে যে,সন্তান-সন্তুতি দুনিয়াতে মানুষের জন্য নিন্দনীয় নয়; বরং সবচেয়ে কষ্টদায়ক হলো রোগ। সুতরাং রোগমুক্তির উপায় এতেই নিহিত রয়েছে যে, মানুষ আল্লাহর দরবারে স্বীয় গুনাহর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং আল্লাহর বান্দাদের উপর আল্লাহ্ প্রদত্ত সম্পদের প্রার্থনা করে। যাতে আল্লাহ্ তাআলা স্বীয় নিয়ামতের দরজা উন্মুক্ত করে দেন।
