মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي

১. ঈমান-আকাঈদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৩
শাফাআতের বর্ণনা
২৩। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা গুনাহগার মুমিনদেরকে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর শাফা'আতে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান করবেন। হযরত জাবির (রাযিঃ)-এর ছাত্র ইয়াযিদ ইবনে সুহাইব (রাহঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ বলেছেনঃ وَمَا هُمْ بِخَارِجِينَ مِنْهَا “জাহান্নামীদেরকে সেখান থেকে বের করা হবে না।" হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, একটু পূর্ব থেকেই পাঠ কর- إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا - এখানে কাফিরদের সম্পর্কে জাহান্নাম থেকে বের না হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

অন্য এক রিওয়ায়েতে এভাবে বর্ণিত আছে, মুমিনদের থেকে একদলকে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর শাফা'আতে জাহান্নাম হতে বের করা হবে। ইয়াযিদ বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ বলেছেনঃ তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে না। হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, একটু পূর্ব থেকে অর্থাৎ – إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا থেকে পাঠ কর। এখানে কাফিরদের সম্পর্কে বলা হয়েছে।

অন্য এক রিওয়ায়েতে ইয়াযিদ থেকে এভাবে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি হযরত জাবিরের নিকট শাফাআত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তরে বলেন, মুমিনদের থেকে একটি দলকে আল্লাহ্ তা'আলা তাদের পাপের কারণে শাস্তি প্রদান করবেন। অতঃপর হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর শাফা'আতের কারণে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে বা মুক্তি দেওয়া হবে। ইয়াযিদ বলেন, এরপর আমি বললাম, তাহলে আল্লাহর এ বাণীর অর্থ কি হবে? এই বলে তিনি হাদীসের শেষ পর্যন্ত উল্লেখ করেন।
عَنْ يَزِيدَ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «يُخْرِجُ اللَّهُ تَعَالَى مِنَ النَّارِ مِنْ أَهْلِ الْإِيمَانِ بِشَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» ، قَالَ يَزِيدُ: فَقُلْتُ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ: {وَمَا هُمْ بِخَارِجِينَ مِنَ النَّارِ} [البقرة: 167] ، قَالَ جَابِرٌ: اقْرَأْ مَا قَبْلَهَا: {إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا} [البقرة: 161] إِنَّمَا هِيَ فِي الْكُفَّارِ.
وَفِي رِوَايَةٍ: يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْإِيمَانِ بِشَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ يَزِيدُ: قُلْتُ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ: {وَمَا هُمْ بِخَارِجِينَ مِنْهَا} [المائدة: 37] ، فَقَالَ جَابِرٌ: اقْرَأْ مَا قَبْلَهَا: {إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا} [المائدة: 36] ، ذَلِكَ الْكُفَّارُ.
وَفِي رِوَايَةٍ عَنْ يَزِيدَ، قَالَ: سَأَلْتُ جَابِرًا عَنِ الشَّفَاعَةِ، فَقَالَ: يُعَذِّبُ اللَّهُ تَعَالَى قَوْمًا مِنْ أَهْلِ الْإِيمَانِ بِذُنُوبِهِمْ، ثُمَّ يُخْرِجُهُمْ بِشَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَأَيْنَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ؟ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ
হাদীস নং:২৪
শাফাআতের বর্ণনা
২৪। হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলে করীম (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ মুমিনদের একটি দলকে জাহান্নাম থেকে বের করবেন যখন তারা জ্বলে কয়লা হয়ে যাবে এবং তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। অতঃপর তারা আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করবে যাতে তাদের জাহান্নামীর পরিবর্তে জান্নাতী বলে ডাকা হয়। তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাদের থেকে এ নাম মিটিয়ে দিবেন।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَالَ: «يُخْرِجُ اللَّهُ قَوْمًا مِنَ الْمُوَحِّدِينَ مِنَ النَّارِ بَعْدَ مَا امْتَحَشُوا، وَصَارُوا فَحْمًا، فَيُدْخلُهُمُ اللَّهُ تَعَالَى الْجَنَّةَ، فَيَسْتَغِيثُونَ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى مِمَّا يُسَمِّيهِمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ جَهَنَّمِيِّينَ، فَيُذْهِبُ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُمْ ذَلِكَ»
হাদীস নং:২৫
শাফাআতের বর্ণনা
২৫। হযরত আবু সাঈদ (রাযিঃ) আল্লাহ্ তা'আলার পবিত্র বাণীঃ عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا (তোমার প্রতিপালক তোমাকে মাকামে মাহমুদে পৌছাবেন) সম্পর্কে হযরত (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, 'মাকামে মাহমুদ'- এর অর্থ হলো শাফা'আত। আল্লাহ মুমিনদের একটি দলকে তাদের পাপের কারণে শাস্তি প্রদান করবেন। অতঃপর হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর শাফা'আতের কারণে তাদেরকে দোযখ থেকে বের করা হবে। এরপর তাদেরকে হায়াওয়ান নামক নহরে নিয়ে গোসল করানো হবে এবং জান্নাতে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু জান্নাতে তাদের নাম জাহান্নামী বলে পরিচিত হবে। তাই তারা এই ব্যাপারে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করবে। তখন আল্লাহ্ তাদের এ নাম মিটিয়ে দিবেন।

অন্য এক রিওয়াতে এভাবে বর্ণিত আছে যে, ঈমানদার ও কিবলা বিশ্বাসী জাহান্নামে প্রবেশকারী একটি দলকে আল্লাহ হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর শাফাআতে জাহান্নাম থেকে বের করে মুক্তি প্রদান করবেন এবং এটাই হলো মাকামে মাহমুদ। অতঃপর তাদেরকে হায়াওয়ান নামক নহরে নিক্ষেপ করা হবে। তখন তারা টাটকা শশার মত তাজা ও সতেজ হয়ে উঠবে। অতঃপর সেখান থেকে বের করে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। কিন্তু জান্নাতে তাদের নাম জাহান্নামী হিসেবে পরিচিত হয়ে যাবে। ফলে তারা আল্লাহর নিকট এ নাম মিটিয়ে দেওয়ার জন্য ফরিয়াদ করবে। তখন আল্লাহ তাদের এ নাম মিটিয়ে দিবেন।

এ বর্ণনার শেষে عُتَقَاءَ اللَّهِ অর্থাৎ "আল্লাহ কর্তৃক আযাদকৃত" সংযুক্ত করা হয়েছে (এ নামে ডাকা হবে)। আবু হানীফা (রাযিঃ) এ হাদীস আবী রাওবা শাদ্দাদ ইবনে আব্দুর রহমান থেকে এবং তিনি হযরত আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، " {عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا} [الإسراء: 79] ، قَالَ: الْمَقَامُ الْمَحْمُودُ: الشَّفَاعَةُ، يُعَذِّبُ اللَّهُ تَعَالَى قَوْمًا مِنْ أَهْلِ الْإِيمَانِ بِذُنُوبِهِمْ، ثُمَّ يُخْرِجُ بِشَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيُؤْتَى بِهِمْ نَهْرًا، يُقَالُ لَهُ: الْحَيَوَانُ فَيَغْتَسِلُونَ فِيهِ، ثُمَّ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ فَيُسَمَّوْنَ فِي الْجَنَّةِ الْجُهَنَّمِيِّينَ، ثُمَّ يَطْلُبُونَ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى فَيُذْهِبُ عَنْهُمْ ذَلِكَ الِاسْمَ "
رِوَايَةٍ، قَالَ: " يُخْرِجُ اللَّهُ قَوْمًا مِنْ أَهْلِ النَّارِ مِنْ أَهْلِ الْإِيمَانِ وَالْقِبْلَةِ بِشَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَلِكَ هُوَ الْمَقَامُ الْمَحْمُودُ فَيُؤْتَى بِهِمْ نَهْرًا يُقَالُ لَهُ: الْحَيَوَانُ، فَيُلْقَوْنَ فِيهِ فَيَنْبُتُونَ بِهِ كَمَا يَنْبُتُ الثَّعَارِيرُ، ثُمَّ يَخْرُجُونَ مِنْهُ وَيَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ، فَيُسَمَّوْنَ فِيهَا الْجَهَنَّمِيِّينَ، ثُمَّ يَطْلَبُونَ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى أَنْ يُذْهِبَ عَنْهُمْ ذَلِكَ الِاسْمَ، فَيُذْهِبَ عَنْهُمْ ".
وَزَادَ فِي آخِرِهِ: فَيُسَمَّوْنَ عُتَقَاءَ اللَّهِ، وَرَوَى أَبُو حَنِيفَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ هَذَا الْحَدِيثَ، عَنْ أَبِي شَدَّادِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ.
হাদীস নং:২৬
শাফাআতের বর্ণনা
২৬। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا -এ আয়াত তিলাওয়াত করতে শুনেছি। অতঃপর তিনি বলেছেনঃ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর শাফা'আতের কারণে আল্লাহ্ তা'আলা একদল ঈমানদার ও কিবলায় বিশ্বাসী লোককে জাহান্নাম থেকে বের করবেন এবং এটাই হলো মাকামে মাহমুদ এরপর তাদেরকে হায়াওয়ান নামক একটি নহরে নিক্ষেপ করা হবে। ফলে তারা টাটকা শশার মত তাজা ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। অতঃপর এখান থেকে বের হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু সেখানে তারা জাহান্নামী হিসেবে পরিচিত হবে। তাই তারা এ নাম মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করবে। তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের এ নামকে মিটিয়ে দিবেন।
عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقْرَأُ: " {عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا} [الإسراء: 79] ، قَالَ: يُخْرِجُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَوْمًا مِنَ النَّارِ مِنْ أَهْلِ الْإِيمَانِ وَالْقِبْلَةِ بِشَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَلِكَ الْمَقَامُ الْمَحْمُودُ، فَيُؤْتِي بِهِمْ نَهْرًا يُقَالُ لَهُ: الْحَيَوَانُ، فَيُلْقَوْنَ فِيهِ، فَيَنْبُتُونَ كَمَا يَنْبُتُ الثَّعَارِيرُ، ثُمَّ يُخْرَجُونَ فَيَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ، فَيُسَمَّوْنَ الْجَهَنَّمِيِّينَ، ثُمَّ يَطْلُبُونَ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى أَنْ يُذْهِبَ عَنْهُمْ ذَلِكَ الِاسْمَ، فَيُذْهِبَهُ عَنْهُمْ
হাদীস নং:২৭
শাফাআতের বর্ণনা
২৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। হযরত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মুমিনদের একটি দল তাদের গুনাহের কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। তখন মুশরিকগণ তাদেরকে বলবে, তোমাদের ঈমান তোমাদের কোন উপকারে আসেনি, তাই তোমরা ও আমরা একত্রেই শাস্তি ভোগ করছি। তখন আল্লাহ তা'আলার ক্রোধে আবেগ ও জোশের সৃষ্টি হবে এবং তিনি নির্দেশ প্রদান করবেন যাতে একজন তাওহীদে বিশ্বাসী লোকও জাহান্নামে না থাকে। অতঃপর তাদেরকে এ অবস্থায় জাহান্নাম থেকে বের করা হবে যে, তাদের মুখমণ্ডল ব্যতীত সমস্ত দেহ জ্বলে কাল কয়লা হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের চোখ নীল এবং মুখমণ্ডল কাল হবে না।

এরপর তাদেরকে জান্নাতের দরজায় অবস্থিত একটি নহরের নিকট নিয়ে যাওয়া হবে এবং তারা সেখানে গোসল করবে। ফলে সাথে সাথে তাদের মানসিক দুশ্চিন্তা ও দৈহিক ব্যথা-যন্ত্রণা দূর হয়ে যাবে। তখন তাদেরকে জান্নাতে প্রেরণ করা হবে এবং জান্নাতের দারোগা তাদেরকে বলবে, তোমরা পবিত্র হয়ে গিয়েছ। সুতরাং তোমরা চিরকালের জন্য জান্নাতে অবস্থান কর। কিন্তু জান্নাতে তারা জাহান্নামী হিসেবে আখ্যায়িত হবে। হুযূর (ﷺ) বলেনঃ অতঃপর তারা আল্লাহর দরবারে এ নাম মিটিয়ে দেওয়ার জন্য দু'আ করবে। তখন তাদের এ নামকে মিটিয়ে দেওয়া হবে। এরপর কখনো তাদেরকে এ নামে ডাকা হবে না।

যখন এদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে তখন কাফিরগণ বলবে, হায়। যদি আমরা মুসলমান হতাম! আল্লাহর পবিত্র বাণীঃ رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ (কাফিরগণ বলবে, যদি আমরা মুসলমান হতাম!) এ অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে।
عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " يَدْخُلُ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْإِيمَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ النَّارَ بِسَبَبِ ذُنُوبِهِمْ، فَيَقُولُ لَهُمُ الْمُشْرِكُونَ: مَا أَغْنَى عَنْكُمْ إِيمَانُكُمْ، وَنَحْنُ وَأَنْتُمْ فِي دَارٍ وَاحِدَةٍ نُعَذَّبُ، فَيَغْضَبُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُمْ، فَيَأْمُرُ أَنْ لَا يَبْقَى فِي النَّارِ أَحَدٌ يَقُولُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَيَخْرُجُونَ وَقَدِ احْتَرَقُوا حَتَّى صَارُوا كَالْحِمَمَةِ السَّوْدَاءِ، إِلَّا وُجُوهَهُمْ، فَإِنَّهُ لَا تَزْرَقُّ أَعْيُنُهُمْ، وَلَا تَسْوَدُّ وُجُوهُهُمْ، فَيُؤْتَى بِهِمْ نَهْرًا عَلَى بَابِ الْجَنَّةِ، فَيَغْتَسِلُونَ فِيهِ، فَتَذْهَبُ كُلُّ فِتْنَةٍ وَأَذًى، ثُمَّ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ، فَيَقُولُ لَهُمُ الْمَلَكُ: {طِبْتُمْ فَادْخُلُوهَا خَالِدِينَ} [الزمر: 73] ، فَيُسَمَّوْنَ الْجَهَنَّمِيِّينَ فِي الْجَنَّةِ، قَالَ: ثُمَّ يَدْعُونَ، فَيَذْهَبُ عَنْهُمْ ذَلِكَ الِاسْمُ، فَلَا يُدْعَوْنَ أَبَدًا، فَإِذَا خَرَجُوا، قَالَ الْكُفَّارُ: يَا لَيْتَنَا كُنَّا مُسْلِمِينَ، فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ} [الحجر: 2]
হাদীস নং:২৮
শাফাআতের বর্ণনা
২৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি হুযূর (ﷺ)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! তাওহীদে বিশ্বাসী কোন ব্যক্তি কি জাহান্নামে বাকী থাকবে (অর্থাৎ মুসলমানদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করার পর)? হযরত (ﷺ) বললেনঃ হ্যা, এক ব্যক্তি বাকী থাকবে। জাহান্নামের অতল গহ্বরে একটি লোক ইয়া হান্নান, ইয়া মান্নান বলে চিৎকার করতে থাকবে। এমন কি অবশেষে হযরত জিবরাঈল (আ) তার আওয়াজ শুনে হতবাক হয়ে বলবেন, আশ্চর্য! আশ্চর্য!! অতঃপর তিনি ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না এবং আরশের সামনে গিয়ে সিজদাবনত হয়ে পড়বেন। তখন আল্লাহ্ বলবেন, হে জিবরাঈল! মাথা উঠাও। তিনি মাথা উঠাবেন। আল্লাহ বলবেন, তুমি আশ্চর্যের কি প্রত্যক্ষ করলে ? অথচ আল্লাহ খুব ভালভাবে অবগত আছেন যা কিছু হযরত জিবরাঈল (আ) দেখেছেন।

তিনি বলবেন, হে প্রভু! আমি জাহান্নামের অতল গহ্বর থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। কে যেন চিৎকার দিয়ে বলছে, ইয়া হান্নান, ইয়া মান্নান। এই আওয়াজ শুনে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি। তখন আল্লাহ্ বলবেন, হে জিবরাঈল! তুমি জাহান্নামের দারোগার নিকট যাও এবং তাকে বল, যেন ঐ লোকটিকে বের করে দেয়, যে ইয়া হান্নান, ইয়া মান্নান বলে চিৎকার করছে। অতঃপর হযরত জিবরাঈল (আ) জাহান্নামের কোন একটি দরওয়াজার নিকট গিয়ে খট্‌খট্ আওয়াজ দিবেন। তখন জাহান্নামের দারোগা তাঁর নিকট আগমণ করবেন এবং হযরত জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তাঁকে বলবেন, আল্লাহর নির্দেশ হয়েছে, ঐ বান্দা যে ইয়া হান্নান, ইয়া মান্নান' বলে চিৎকার করছে, তাকে বের করে দাও। তখন দারোগা ভিতরে প্রবেশ করবেন এবং তাকে খুঁজতে থাকবেন, কিন্তু তাকে পাবেন না। অথচ মা তার সন্তানকে ততটুকু চিনতে পারে না যতটুকু দারোগা জাহান্নামবাসীদেরকে চিনতে পারবেন।

অবশেষে ক্লান্ত হয়ে বাইরে এসে হযরত জিবরাঈল (আ)-এর নিকট বলবেন, জাহান্নাম এ মুহূর্তে এমন এক নিশ্বাস গ্রহণ করেছে যে, পাথর ও লোহা এবং লোহা ও মানুষের মধ্যে আমি পার্থক্য করতে পারছি না। হযরত জিবরাঈল (আ) ফিরে গিয়ে পুনরায় আরশের সামনে সিজদাবনত হবেন। তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেন, হে জিবরাঈল মাথা উঠাও। তুমি কি আমার বান্দাকে নিয়ে আসনি? তিনি বলবেন, প্রতিপালক জাহান্নামের দারোগা বলল যে, “জাহান্নাম এরূপ একটি নিশ্বাস গ্রহণ করেছে যায় ফলে আমি পাথর ও লোহা এবং লোহা ও মানুষের মধ্যে কোন পার্থক্য করতে পারিনি।" তখন আল্লাহ বলবেন, জাহান্নামের দারোগার নিকট গিয়ে বল, আমার বান্দা অমুক গর্ভের এরূপ কোটরে অবস্থান করছে।

হযরত জিবরাঈল গিয়ে দারোগাকে এ সংবাদ দিলে দারোগা ভিতরে প্রবেশ করে তাকে পায়ের সাথে কপাল, গলার সাথে হাত বাঁধা এবং সাপ-বিচ্ছু দ্বারা আক্রান্ত অবস্থায় দেখতে পাবেন। তখন দারোগা এমন জোরে হেঁচকা টান মারবেন যার ফলে সাপ-বিচ্ছু তার উপর থেকে পড়ে যাবে। দ্বিতীয়বার হেঁচকা টান মারবেন যার ফলে হাত-পা ও গলার সমস্ত বাঁধন ও বেড়ী খুলে যাবে। অতঃপর তাকে আগুন থেকে বের করে হায়াওয়ান নামক নহরে নিক্ষেপ করা হবে। সেখান থেকে বের করার পর হযরত জিবরাঈল (আ)-এর নিকট তাকে সোপর্দ করা হবে। তিনি তাকে কপালে ধরে নিয়ে যেতে থাকবেন এবং ফিরিশতাদের যে জামাআতের নিকট দিয়ে অতিক্রম করবেন। তারাই বলবেন, এ বান্দার জন্য আফসোস!

অতঃপর হযরত জিবরাঈল (আ) আরশের সামনে গিয়ে সিজদাবনত হয়ে পড়বেন। তখন আল্লাহ্ বলবেন, হে জিবরাঈল! মাথা উঠাও। তিনি মাথা উঠাবেন। আল্লাহ বলবেন, হে আমার বান্দা! আমি কি তোমাকে সুন্দর আকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করিনি? আমি কি তোমাদের নিকট পয়গম্বর প্রেরণ করিনি? তিনি কি তোমাকে আমার কিতাব তিলাওয়াত করে শোনান নি? সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজ থেকে বাধা প্রদান করেন নি? ঐ ব্যক্তি তখন সবকিছুই স্বীকার করবে। আল্লাহ বলবেন, তাহলে তুমি এভাবে চিৎকার করছ কেন? তখন সে বলবে, হে প্রভু! আমি আমার জীবনের উপর যুলুম করেছি। যার শাস্তি হিসেবে আমি দীর্ঘদিন জাহান্নামে পড়ে আছি। কিন্তু আমি তোমার করুণা ও দয়ার আশা পরিত্যাগ করিনি। তাই তোমাকে ইয়া হান্নান, ইয়া মান্নান বলে ডাকছি। তুমি তোমার করুণা দ্বারা আমাকে জাহান্নাম থেকে বের করে এনেছ। সুতরাং আজ তুমি আমার উপর তোমার রহমতের বারিধারা বর্ষণ কর। তখন আল্লাহ্ তা'আলা ফিরিশতাদেরকে বলবেন, তোমরা সাক্ষী থাক, আমি এ বান্দার উপর রহমত ও অনুগ্রহ করলাম।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ يَبْقَى أَحَدٌ مِنَ الْمُوَحِّدِينَ فِي النَّارِ؟ قَالَ: " نَعَمْ، رَجُلٌ فِي قَعْرِ جَهَنَّمَ يُنَادِي بِالْحَنَّانِ الْمَنَّانِ، حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتَهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَيَعْجَبُ مِنْ ذَلِكَ الصَّوْتِ، فَقَالَ: الْعَجَبَ الْعَجَبَ، ثُمَّ لَمْ يَصْبِرْ حَتَّي يَصِيرَ بَيْنَ يَدَيْ عَرْشِ الرَّحْمَنِ سَاجِدًا، فَيَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: ارْفَعْ رَأْسَكَ يَا جِبْرِيلُ، فَيَرْفَعُ رَأْسَهُ، فَيَقُولُ: مَا رَأَيْتُ مِنَ الْعَجَايِبِ؟ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا رَآهُ، فَيَقُولُ: يَا رَبُّ، سَمِعْتُ صَوْتًا مِنْ قَعْرِ جَهَنَّمَ يُنَادِي بِالْحَنَّانِ الْمَنَّانِ، فَتَعَجَّبْتُ مِنْ ذَلِكَ الصَّوْتُ، فَيَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: يَا جِبْرِيلُ، اذْهَبْ إِلَى مَالِكٍ، قُلْ لَهُ: أَخْرِجِ الْعَبْدَ الَّذِي يُنَادِي بِالْحَنَّانِ الْمَنَّانِ، فَيَذْهَبُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ جَهَنَّمَ، فَيَضْرِبُهُ، فَيَخْرُجُ إِلَيْهِ مَالِكٌ، فَيَقُولُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ: إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى، يَقُولُ: أَخْرِجِ الْعَبْدَ الَّذِي يُنَادِي بِالْحَنَّانِ الْمَنَّانِ، فَيَدْخُلُ فَيَطْلُبُهُ، فَلَا يُوجَدُ، وَإِنَّ مَالِكًا أَعْرَفُ بِأَهْلِ النَّارِ مِنَ الْأُمِّ بِأَوْلَادِهَا، فَيَخْرُجُ، فَيَقُولُ لِجِبْرِيلَ: إِنَّ جَهَنَّمَ زَفَرَتْ زَفْرَةً لَا أَعْرِفُ الْحِجَارَةَ مِنَ الْحَدِيدِ، وَلَا الْحَدِيدَ مِنَ الرِّجَالِ، فَيَرْجِعُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ حَتَّى يَصِيرَ بَيْنَ يَدَيْ عَرْشِ الرَّحْمَنِ سَاجِدًا، فَيَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: ارْفَعْ رَأْسَكَ يَا جِبْرِيلُ، لِمَ لَمْ تَجِيءْ بِعَبْدِي؟ فَيَقُولُ: يَا رَبُّ، إِنَّ مَالِكًا يَقُولُ: إِنَّ جَهَنَّمَ قَدْ زَفَرَتْ زَفْرَةً لَا أَعْرِفُ الْحِجَارَةَ مِنَ الْحَدِيدِ، وَلَا الْحَدِيدَ مِنَ الرِّجَالِ، فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: قُلْ لِمَالِكٍ: إنَّ عَبْدِي فِي قَعْرِ كَذَا وَكَذَا، فِي سِرِّ كَذَا وَكَذَا.
وَفِي رِوَايَةٍ: كَذَا وَكَذَا، فَيَدْخُلُ جِبْرِيلُ فَيُخْبِرُهُ بِذَلِكَ، فَيَدْخُلُ مَالِكٌ، فَيَجِدُهُ مَطْرُوحًا مَنْكُوسًا مَشْدُودًا نَاصِيَتُهُ إِلَى قَدَمَيْهِ، وَيَداهُ إِلَى عُنُقِهِ، وَاجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ الْحَيَّاتُ وَالْعَقَارِبُ، فَيَجْذِبُهُ حَتَّى تَسْقُطَ عَنْهُ الْحَيَّاتُ وَالْعَقَارِبُ، ثُمَّ يَجْذِبُهُ جَذْبَةً أُخْرَى حَتَّى تَنْقَطِعَ مِنْهُ السَّلَاسِلُ وَالْأَغْلَالُ، ثُمَّ يُخْرِجُهُ مِنَ النَّارِ، فَيُصَيِّرُهُ فِي مَاءِ الْحَيَاةِ وَيَدْفَعُهُ إِلَى جِبْرِيلَ، فَيَأْخُذُ بِنَاصِيَتِهِ وَيَمُدَّهُ مَدًّا، فَمَا يَمُرُّ بِهِ جِبْرِيلُ عَلَى مَلَأٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ إِلَّا وَهُمْ يَقُولُونَ: أُفٍّ لِهَذَا الْعَبْدِ، حَتَّى يَصِيرَ بَيْنَ يَدَيْ عَرْشِ الرَّحْمَنِ سَاجِدًا، فَيَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: ارْفَعْ رَأْسَكَ يَا جِبْرِيلُ، وَيَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: عَبْدِي أَلَمْ أَخْلُقْكَ بِخَلْقٍ حَسَنٍ؟ أَلَمْ أُرْسِلْ إِلَيْكَ رَسُولًا؟ أَلَمْ يُقْرَأْ عَلَيْكَ كِتَابِي؟ أَلَمْ يَأْمُرْكَ وَيَنْهَكَ؟ حَتَّى يُقِرَّ الْعَبْدُ.
فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: لِمَ فَعَلْتَ كَذَا وَكَذَا؟ فَيَقُولُ الْعَبْدُ: يَا رَبُّ، ظَلَمْتُ نَفْسِي حَتَّى بَقِيتُ فِي النَّارِ كَذَا وَكَذَا خَرِيفًا لَمْ أَقْطَعْ رَجَائِي مِنْكَ، يَا رَبُّ، دَعَوْتُكَ بِالْحَنَّانِ الْمَنَّانِ وأَخْرَجْتَنِي بِفَضْلِكَ، فَارْحَمْنِي بِرَحْمَتِكَ، فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: اشْهَدُوا يَا مَلَائِكَتِي بِأَنِّي رَحِمْتُهُ "
হাদীস নং:২৯
শাফাআতের বর্ণনা
২৯। হযরত আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) বলেন, আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! কিয়ামতের দিন আপনি কোন কোন লোকদের জন্য শাফা'আত করবেন? হযরত (ﷺ) বললেন আহলে কাবায়ের, আহলে আযায়েম এবং যারা অন্যায়ভাবে রক্তপাত ঘটিয়েছে।
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَنْصُورِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ الْبَلْخِيِّ، وَمُحَمَّدِ بْنِ عِيسَى، وَيَزِيدَ الطُّوسِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ أُمَيَّةَ الْحَذَّاءِ الْعَدَوِيِّ، عَنْ نُوحِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لِمَنْ تَشْفَعُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ قَالَ: «لِأَهْلِ الْكَبَائِرِ، وَأَهْلِ الْعَظَائِمِ، وَأَهْلِ الدِّمَاءِ»
হাদীস নং:৩০
শাফাআতের বর্ণনা
৩০। হযরত কায়েস ইবনে আবী হায়েম (রাযিঃ) বলেন, আমি জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-কে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, রাসূল করীম (ﷺ) বলেছেন নিশ্চয়ই তোমরা অচিরে তোমাদের প্রভুকে এমনিভাবে দেখতে পারে যেমন তোমরা চৌদ্দ তারিখের পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাও। ভিড়ের কারণে তাকে দেখতে তোমাদের কোন অসুবিধা হয় না। সুতরাং খেয়াল রাখবে (শয়তানের কুমন্ত্রণার কারণে) সূর্যোদয়ের পূর্বের নামায (ফজর) এবং সূর্যাস্তের পূর্বের নামাযসমূহ (যোহর ও আসর) আদায়ের ব্যাপারে কোনরূপ অবহেলা করবে না।

হাম্মাদ বলেন, অর্থাৎ প্রত্যুষ ও সন্ধ্যা।
عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، وَبَيَانِ بْنِ بِشْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لَيْلَةَ الْبَدْرِ لَا تُضَامُونَ فِي رُؤْيَتِهِ، فَانْظُرُوا أَنْ لَا تُغْلَبُوا فِي صَلَوَاتٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا» ، قَالَ حَمَّادٌ: يَعْنِي: الْغَدَاةَ وَالْعَشِيَّ