মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১. ঈমান-আকাঈদ অধ্যায়
হাদীস নং: ২৭
শাফাআতের বর্ণনা
২৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। হযরত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মুমিনদের একটি দল তাদের গুনাহের কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। তখন মুশরিকগণ তাদেরকে বলবে, তোমাদের ঈমান তোমাদের কোন উপকারে আসেনি, তাই তোমরা ও আমরা একত্রেই শাস্তি ভোগ করছি। তখন আল্লাহ তা'আলার ক্রোধে আবেগ ও জোশের সৃষ্টি হবে এবং তিনি নির্দেশ প্রদান করবেন যাতে একজন তাওহীদে বিশ্বাসী লোকও জাহান্নামে না থাকে। অতঃপর তাদেরকে এ অবস্থায় জাহান্নাম থেকে বের করা হবে যে, তাদের মুখমণ্ডল ব্যতীত সমস্ত দেহ জ্বলে কাল কয়লা হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের চোখ নীল এবং মুখমণ্ডল কাল হবে না।
এরপর তাদেরকে জান্নাতের দরজায় অবস্থিত একটি নহরের নিকট নিয়ে যাওয়া হবে এবং তারা সেখানে গোসল করবে। ফলে সাথে সাথে তাদের মানসিক দুশ্চিন্তা ও দৈহিক ব্যথা-যন্ত্রণা দূর হয়ে যাবে। তখন তাদেরকে জান্নাতে প্রেরণ করা হবে এবং জান্নাতের দারোগা তাদেরকে বলবে, তোমরা পবিত্র হয়ে গিয়েছ। সুতরাং তোমরা চিরকালের জন্য জান্নাতে অবস্থান কর। কিন্তু জান্নাতে তারা জাহান্নামী হিসেবে আখ্যায়িত হবে। হুযূর (ﷺ) বলেনঃ অতঃপর তারা আল্লাহর দরবারে এ নাম মিটিয়ে দেওয়ার জন্য দু'আ করবে। তখন তাদের এ নামকে মিটিয়ে দেওয়া হবে। এরপর কখনো তাদেরকে এ নামে ডাকা হবে না।
যখন এদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে তখন কাফিরগণ বলবে, হায়। যদি আমরা মুসলমান হতাম! আল্লাহর পবিত্র বাণীঃ رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ (কাফিরগণ বলবে, যদি আমরা মুসলমান হতাম!) এ অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে।
এরপর তাদেরকে জান্নাতের দরজায় অবস্থিত একটি নহরের নিকট নিয়ে যাওয়া হবে এবং তারা সেখানে গোসল করবে। ফলে সাথে সাথে তাদের মানসিক দুশ্চিন্তা ও দৈহিক ব্যথা-যন্ত্রণা দূর হয়ে যাবে। তখন তাদেরকে জান্নাতে প্রেরণ করা হবে এবং জান্নাতের দারোগা তাদেরকে বলবে, তোমরা পবিত্র হয়ে গিয়েছ। সুতরাং তোমরা চিরকালের জন্য জান্নাতে অবস্থান কর। কিন্তু জান্নাতে তারা জাহান্নামী হিসেবে আখ্যায়িত হবে। হুযূর (ﷺ) বলেনঃ অতঃপর তারা আল্লাহর দরবারে এ নাম মিটিয়ে দেওয়ার জন্য দু'আ করবে। তখন তাদের এ নামকে মিটিয়ে দেওয়া হবে। এরপর কখনো তাদেরকে এ নামে ডাকা হবে না।
যখন এদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে তখন কাফিরগণ বলবে, হায়। যদি আমরা মুসলমান হতাম! আল্লাহর পবিত্র বাণীঃ رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ (কাফিরগণ বলবে, যদি আমরা মুসলমান হতাম!) এ অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে।
عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " يَدْخُلُ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْإِيمَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ النَّارَ بِسَبَبِ ذُنُوبِهِمْ، فَيَقُولُ لَهُمُ الْمُشْرِكُونَ: مَا أَغْنَى عَنْكُمْ إِيمَانُكُمْ، وَنَحْنُ وَأَنْتُمْ فِي دَارٍ وَاحِدَةٍ نُعَذَّبُ، فَيَغْضَبُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُمْ، فَيَأْمُرُ أَنْ لَا يَبْقَى فِي النَّارِ أَحَدٌ يَقُولُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَيَخْرُجُونَ وَقَدِ احْتَرَقُوا حَتَّى صَارُوا كَالْحِمَمَةِ السَّوْدَاءِ، إِلَّا وُجُوهَهُمْ، فَإِنَّهُ لَا تَزْرَقُّ أَعْيُنُهُمْ، وَلَا تَسْوَدُّ وُجُوهُهُمْ، فَيُؤْتَى بِهِمْ نَهْرًا عَلَى بَابِ الْجَنَّةِ، فَيَغْتَسِلُونَ فِيهِ، فَتَذْهَبُ كُلُّ فِتْنَةٍ وَأَذًى، ثُمَّ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ، فَيَقُولُ لَهُمُ الْمَلَكُ: {طِبْتُمْ فَادْخُلُوهَا خَالِدِينَ} [الزمر: 73] ، فَيُسَمَّوْنَ الْجَهَنَّمِيِّينَ فِي الْجَنَّةِ، قَالَ: ثُمَّ يَدْعُونَ، فَيَذْهَبُ عَنْهُمْ ذَلِكَ الِاسْمُ، فَلَا يُدْعَوْنَ أَبَدًا، فَإِذَا خَرَجُوا، قَالَ الْكُفَّارُ: يَا لَيْتَنَا كُنَّا مُسْلِمِينَ، فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ} [الحجر: 2]
হাদীসের ব্যাখ্যা:
পবিত্র কুরআনের এ আয়াতের তাফসীরে ইবনুল মুবারক, ইবনে জারীর এবং ইমাম বায়হাকী (র) হযরত আনাস (রা) ও হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ্ তা'আলা জাহান্নামে গুনাহ্গার মুসলমান ও মুশরিকদেরকে একত্র করবেন। তখন মুশরিকগণ বলবে, তোমরা যার ইবাদত করেছিলে, তিনি তোমাদের কোন উপকারে আসেননি। এ কথা শুনে আল্লাহ্ ক্রোধান্বিত হবেন এবং স্বীয় রহমতের দ্বারা ঐ সমস্ত গুনাহ্গারকে জাহান্নাম থেকে বের করবেন।
ইমাম হাম্মাদ ও সাঈদ ইবন মানসূর স্বীয় 'সুনান' নামক গ্রন্থে এবং ইমাম বায়হাকী হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ তা'আলা শাফা'আত ও রহমতের কারণে গুনাহ্গার মুসলমানদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে থাকবেন। অবশেষে এটাও বলবেন যে, যে কোন মুসলমান হোক না কেন, সে যেন জান্নাতে প্রবেশ করে। আল্লাহর এ বাণীঃ رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ-তে ঐ দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। আল্লামা তিবরানী 'আওসাত' নামক গ্রন্থে সহীহ সনদসহ হযরত জাবির (রা) থেকে মরফূ' হাদীস রিওয়ায়েত করে বলেন, হযরত (সা) বলেছেনঃ যতদিন আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন আমার উম্মতের মধ্য থেকে অনেক লোককে জাহান্নামে শাস্তি প্রদান করবেন। অতঃপর পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে কাফিরদের এ উক্তিও বর্ণিত হয়েছে। এরপর মুসলমানদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। অতঃপর হযরত (সা) এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ
আল্লামা তিবরানী হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে, তিনি হযরত (সা) থেকে একই রিওয়ায়েত করেছেন। এতে আম্বিয়া, ফিরিশতা এবং মুমিনদের শাফা'আতের কথা উল্লেখ রয়েছে।
ইমাম হাম্মাদ ও সাঈদ ইবন মানসূর স্বীয় 'সুনান' নামক গ্রন্থে এবং ইমাম বায়হাকী হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ তা'আলা শাফা'আত ও রহমতের কারণে গুনাহ্গার মুসলমানদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে থাকবেন। অবশেষে এটাও বলবেন যে, যে কোন মুসলমান হোক না কেন, সে যেন জান্নাতে প্রবেশ করে। আল্লাহর এ বাণীঃ رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ-তে ঐ দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। আল্লামা তিবরানী 'আওসাত' নামক গ্রন্থে সহীহ সনদসহ হযরত জাবির (রা) থেকে মরফূ' হাদীস রিওয়ায়েত করে বলেন, হযরত (সা) বলেছেনঃ যতদিন আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন আমার উম্মতের মধ্য থেকে অনেক লোককে জাহান্নামে শাস্তি প্রদান করবেন। অতঃপর পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে কাফিরদের এ উক্তিও বর্ণিত হয়েছে। এরপর মুসলমানদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। অতঃপর হযরত (সা) এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ
আল্লামা তিবরানী হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে, তিনি হযরত (সা) থেকে একই রিওয়ায়েত করেছেন। এতে আম্বিয়া, ফিরিশতা এবং মুমিনদের শাফা'আতের কথা উল্লেখ রয়েছে।
