ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিসক্লেইমার
ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিসক্লেইমার
ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ বা এলজিবিটি এই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইডিওলজিক্যাল ইস্যু। এই মতাদর্শ যে যেকোন সামাজিক এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে যে বাস্তবসম্মত নয় তা নিয়ে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রপ্রধান, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, ক্লিনিসিয়ানরা প্রতিবাদ করছেন। প্রসংগত, হাংগেরির সরকার জেন্ডার স্টাডিজ-ই নিষিদ্ধ করেছে। রাশিয়া এলজিবিটি মুভমেন্টকে চরমপন্থী মতবাদ হিসেবে নিষিদ্ধ করতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে।
পুরো মুসলিম বিশ্ব, আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশ, রাশিয়া ও চায়না এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমেরিকার জনগণের বড় একটি অংশ এই আইডিওলজি নিয়ে প্রতিবাদ করছেন। বিশ্বের বিখ্যাত টেক বিলিনিয়ার ইলন মাস্ক এই ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
প্রসংগত, বিখ্যাত নারীবাদী লেখিকা JK Rowling (যিনি Harry Potter লিখেছেন) এই ট্রান্সজেন্ডারিজম (ইচ্ছা-স্বাধীন নিজেকে পুরুষ বা নারী দাবী করাকে অধিকার মনে করা) মাধ্যমে যে মেয়েদের অস্তিত্ব-ই বিলীন হয়ে যাবে এই আশংকা প্রকাশ করার কারণে লেখিকাকে ট্রান্সফোবিক ট্যাগ দিয়ে ভিলিফাই করা করেছে প্রতিপক্ষ!
তেমনিভাবে বিশ্বের নামকরা বিবর্তনবাদী প্রফেসর রিসার্চ ডকিন্স (অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়) এই মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন যে বায়োলজিক্যালি শুধু মেয়ে বা ছেলে সম্ভব (বাইনারী)। অর্থাৎ তাদের দাবী অনুযায়ী নন-বাইনারী সম্ভব নয়। প্রফেসর ডকিন্স এই মন্তব্য করায় তাকেও ট্রান্সফোবিক ট্যাগ গিয়ে ভিলিফাই করা হয়েছে!
সম্প্রতি সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নারীবাদী ক্যাথলিন স্টক এই ইস্যুতে প্রতিবাদ করায় তাকেও ট্যাগিং করা হয়েছে। এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে।
পশ্চিমাদেশগুলোর যে সিস্টেম আমার ভাল লাগে তা হচ্ছে সেই সমাজে বুদ্ধি-ভিত্তিক আলোচনা করা যায় নির্ভয়ে। কিন্তু আমাদের দেশে বুদ্ধিভিত্তিক আলোচনায় না পেরে জং-গী হিসেবে ট্যাগ দিয়ে বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থানে যাওয়ার প্রচেষ্টা দেখা যায়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সিংগাপুরের একটানা ১০+ বছর বসবাস করেছি (পিএইচডি-পোষ্টডক)। এরপর দেশে ফিরে একাডেমিয়া এবং ইণ্ড্রাস্ট্রিসহ ১১+ বছর ধরে কাজ করছি। আমার লেখালেখি এবং এক্টিভিটি সব পাবলিকলি ওপেন। নিউজ পেপারের মত সবাই পড়তে পারেন।
তাই আমার বিরুদ্ধে জংগী ট্যাগ চরম মিথ্যাচারপূর্ন এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত।
শুধু তাই নয় আমার উপর ব্যক্তিগতভাবে চাপ তৈরী করতে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনকে মেনশন করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নালিশ করেছেন একজন এক্টিভিস্ট।
এহেন পরিস্থিতিতে নিজের এবং পরিবারের জন্য নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছি।
সেক্স চেঞ্জ ফিল্ডের একজন এক্সপার্ট (৬ বছরের পিএইচডি) এবং শিক্ষক হিসেবে আমাদের সমাজবিধবংসী মতাদর্শ সম্পর্কে সচেতন করা নৈতিক দায়িত্ব মনে করি।
আমার লেখালেখি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কেন্দ্রিক নয়। আমার প্রচেষ্টা আদর্শগত দৃষ্টিকোন থেকে লং-টার্ম চিন্তা করে পিতামাতা, শিক্ষক এবং দেশের পলিসিমেকারদের সচেতন করা।
ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের ভয়াবহ সামাজিক অবস্থা কেমন হতে পারে তা সম্পর্কে ধারনা পেতে কালবেলায় প্রকাশিত আমার এই লেখাটি পড়তে পারেন- হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার শব্দের অস্পষ্টতায় দেশে ভয়াবহ বিপর্যয়ের ঝুঁকি
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
সাহসী তারুণ্য স্পর্শ করুক নেকীর আসমান
সময় ও পরিস্থিতির পালাবদল আল্লাহ তাআলার একটি শাশ্বত নীতি। ইতিহাসের শুরু থেকেই এই ধারার উজ্জ্বল উপস্থি...
মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ
১০ নভেম্বর, ২০২৪
৫৭৯৪
ট্রান্সজেন্ডার হওয়া কি জন্মগত বিষয়?
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে—ট্রান্সজেন্ডার শনাক্তকরণে কোনো মেডিক্যাল পরীক্ষানিরীক্ষা নেই (যেমন: ডায়াবে...
ডঃ মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন
১০ নভেম্বর, ২০২৪
২২৪১৫
উম্মাহ ইস্যু : একপেশে প্রচারের চোখ
যেন স্বাভাবিক ও সঙ্গত প্রচারের আবহটা থাকে এমনই। এমনকি কখনো কখনো মনে হতে থাকে , দরকার ও প্রাসঙ্গিকতাট...
মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ
১০ নভেম্বর, ২০২৪
৪৯৩১