প্রবন্ধ
একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে (৮০তম পর্ব) – ইফতারির সময় দু‘আ
রোযা একটা চমৎকার ইবাদত। রোযার প্রতিদান আল্লাহ সরাসরি নিজ হাতে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন:
রোযা ছাড়া প্রতিটি আমলই বান্দার নিজের। রোযা একমাত্র আমার জন্যেই। আর আমিই রোযার প্রতিদান দেবো! (মুত্তাফাক)।
প্রতিদানের একটা নমুনা দেখা যেতে পারে। নবীজি সা. বলেছেন:
-ইফতারির সময় রোযাদারের একটা দু‘আ কবুল করা হবে (বায়হাকী)।
লক্ষ্যণীয় বিষয়, নফল রোযা বা ফরয রোযা সেটা বলা হয়নি। যে কোনও রোযার জন্যেই এই ফযীলত।
উপরের হাদীসের বর্ণনাকারী সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. যখন ইফতার করতেন, পরিবারের সবাইকে ডাকতেন। দু‘আ করতেন। তিনি দু‘আয় বলতেন:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ، أَنْ تَغْفِرَ لِي ابن ماجه
আবদুল্লাহ ইবনে উমার রা. বলেছেন:
ইফতারির সময় প্রতিটি মুমিনের একটি দু‘আ কবুল করা হয়। সাথে সাথে দুনিয়াতেই কবুল করা হয়, অথবা আখেরাতে দেয়া হয় (বায়হাকী)।
তিনি ইফতারির সময় দু‘আ পড়তেন:
يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ اغْفِرْ لِي البيهقي
সাহাবায়ে কেরাম ইফতারির সময় দু‘আকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতেন। তারা জানতেন: আল্লাহ তা‘আলা রমযানে প্রতিদিন অনেক মুসলমানকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। হাদীসে আছে:
আল্লাহ তা‘আলা প্রতিদিন ইফাতারির সময় অনেক জাহান্নামীকে মুক্তি দেন (জাবের রা.-ইবনে মাজাহ)।
ইফতারির সময় দু‘আ করলে বলা যায় না, আমিও মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় এসে যেতে পারি!
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
কাছরাতে যিকির
...
নবীজীর ভালোবাসা ও সুন্নাতী যিন্দেগী
হযরত সালমান মনসুরপুরী রহ. বলেন, নবীজীর মুহাব্বত হৃদয়ের শক্তি, রূহের খোরাক, চোখের শীতলতা, দেহের সজীবত...
চারটি মহৎ গুণ
...
ইসলামে শ্রমিকের অধিকার
ইসলাম একটি কালজয়ী অনবদ্য জীবন বিধান। বিশ্বসৃষ্টির শুরু থেকেই মহীয়ান- গরীয়ান ও সর্বশক্তিমান মহান আ...

মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন