ফয়জুল কালাম
ইমানের নিদর্শনাবলি -এর বিষয়সমূহ
৭ টি হাদীস
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং:৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪
১১. যে ব্যক্তি আল্লাহকে প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামকে দীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) কে রাসুল হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নেয়, সে মুমিন যদিও সে কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়
৫৮। মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া ইবনে আবু উমর আল মক্কী ও বিশর ইবনে হাকাম (রাহঃ) ......... আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছেনঃ সে ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ পেয়েছে যে রব হিসাবে আল্লাহকে, দ্বীন হিসাবে ইসলামকে এবং রাসুল হিসাবে মুহাম্মাদ (ﷺ) কে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছে।
بَاب الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ مَنْ رَضِيَ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا فَهُوَ مُؤْمِنٌ وَإِنْ ارْتَكَبَ الْمَعَاصِيَ الْكَبَائِرَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، وَبِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ - الدَّرَاوَرْدِيُّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " ذَاقَ طَعْمَ الإِيمَانِ مَنْ رَضِيَ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً "
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং:৪৬০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৮১
১৫. মুরজীয়া ফিরকার বিরুদ্ধাচরণ সম্পর্কে।
৪৬০৭. মুআম্মাল ইবনে ফাদল (রাহঃ) ..... আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ভালবাসবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুশমনী করবে; আর দান করবে আল্লাহর জন্য এবং দান করা থেকে বিরত থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, সে ব্যক্তি তার ঈমান পরিপূর্ণ করেছে।
باب فِي رَدِّ الإِرْجَاءِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ شَابُورٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ أَحَبَّ لِلَّهِ وَأَبْغَضَ لِلَّهِ وَأَعْطَى لِلَّهِ وَمَنَعَ لِلَّهِ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ الإِيمَانَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:৪৫
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫। হযরত আবু উমামা (রাযিঃ) বলেন, একদিন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করল যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ঈমানের স্বরূপ কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করলেন, যখন তোমার সৎকাজ তোমাকে আনন্দ দিবে এবং অসৎকাজ তোমাকে কষ্ট দিবে তখন মনে করবে যে, তুমি খাঁটি মু'মিন। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! গুনাহের কাজ কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যখন কোন কাজ করতে তোমার বিবেকে বাধবে তখন মনে করবে যে, এটাই গুনাহের কাজ এবং তা পরিত্যাগ করবে। (আহমদ)
الفصل الثالث
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا الْإِيمَانُ قَالَ إِذَا سَرَّتْكَ حَسَنَتُكَ وَسَاءَتْكَ سَيِّئَتُكَ فَأَنْتَ مُؤْمِنٌ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا الْإِثْمُ قَالَ إِذَا حَاكَ فِي نَفْسِكَ شَيْءٌ فَدَعْهُ» . رَوَاهُ أَحْمد

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
রিয়াযুস সালিহীন
হাদীস নং:৩৭৫
অধ্যায়ঃ ৪৬
আল্লাহর জন্য ভালোবাসার ফযীলত, এর প্রতি উৎসাহদান এবং কেউ কাউকে ভালোবাসলে তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করা আর তাকে তা অবহিত করা হলে জবাবে সে যা বলবে।
ঈমানের আস্বাদ পেতে হলে
হাদীছ নং : ৩৭৫
হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তিনটি বিষয় যার মধ্যে থাকে সে ঈমানের স্বাদ পায়। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বেশি প্রিয় হওয়া তাঁদের ছাড়া আর সবকিছু অপেক্ষা, কোনও ব্যক্তিকে কেবল আল্লাহ তা'আলার জন্যই ভালোবাসা, আল্লাহ তা'আলা কাউকে কুফর থেকে মুক্তিদানের পর তার সেদিকে ফিরে যাওয়াটা এমন অপসন্দ করা যেমনটা আগুনে নিক্ষপ্ত হওয়াকে অপসন্দ করে -বুখারী ও মুসলিম।
সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ১৬; সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ৪৩; সুনানে নাসাঈ, হাদীছ নং ৪৯৮৭; জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ২৬২৪; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীছ নং ৪০৩৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১২০০২; মুসনাদে আবূ ইয়া'লা, হাদীছ নং ২৮১৩; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ নং ২৩৭; তাবারানী, আল-মু'জামুল কাবীর, হাদীছ নং ৮০১৯
46 - باب فضل الحب في الله والحث عَلَيهِ وإعلام الرجل من يحبه، أنه يحبه، وماذا يقول لَهُ إِذَا أعلمه
375 - وعن أنسٍ - رضي الله عنه - عن النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «ثَلاثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ بِهِنَّ حَلاوَةَ الإيمانِ: أَنْ يَكُونَ اللهُ وَرَسُولُهُ أحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سَوَاهُمَا، وَأنْ يُحِبَّ المَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إلاَّ للهِ، وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ في الكُفْرِ بَعْدَ أَنْ أَنْقَذَهُ الله مِنْهُ، كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ في النَّارِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ. (1)
ফিকহুস সুনান
হাদীস নং:৪
ঈমান, ইসলাম ও ইখলাস
(৪) আব্দুল্লাহ ইবন আমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ বিশ্বাস স্থাপন করবে না (বিশ্বাসী বা ঈমানদার বলে গণ্য হবে না) যতক্ষণ না তার প্রবৃত্তি বা পছন্দ ও অপছন্দ আমি যা নিয়ে এসেছি তার অনুগত ও অনুগামী হবে। (হাদীসটি আবু বাকর ইবন আসিম আল ইসপাহানি তার 'আস সুন্নাহ' গ্রন্থে সঙ্কলন করেছেন। ইমাম নববি এই হাদীসটিকে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন)।**
عن عبد الله بن عمرو رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: لا يؤمن أحدكم حتى يكون هواه تبعا لما جئت به.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং:২৫২৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৩২
৩০৬. অত্যাচারী শাসকের সঙ্গে যুদ্ধ।
২৫২৪. সাঈদ ইবনে মনসুর ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ঈমানের মূল হল তিনটি বিষয়ঃ ১. যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কালেমা পাঠ করে মুসলমান হয়েছে, তাকে হত্যা ও কষ্ট দেয়া হতে বিরত থাকা ২. কোন পাপের কারণে তাকে কাফির না বলা এবং ৩. শির্ক ও কুফরী কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজের জন্য তাকে ইসলাম হতে বহিষ্কার না করা। যখন থেকে আমাকে আল্লাহ্ নবী করেছেন তখন থেকেই জিহাদ চালু রয়েছে এবং চিরকাল থাকবে। শেষ পর্যন্ত আমার উম্মতের শেষ দলটি দাজ্জালের সাথে যুদ্ধ করবে। কোন অত্যাচারী এবং কোন বিচারকের বিচারে যুদ্ধ বাতিল হবে না এবং ভালমন্দ সব কিছু আল্লাহর পক্ষ হতে হয় বলে বিশ্বাস করাও প্রকৃত ঈমান।
باب فِي الْغَزْوِ مَعَ أَئِمَّةِ الْجَوْرِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي نُشْبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : " ثَلاَثَةٌ مِنْ أَصْلِ الإِيمَانِ : الْكَفُّ عَمَّنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَلاَ تُكَفِّرْهُ بِذَنْبٍ وَلاَ تُخْرِجْهُ مِنَ الإِسْلاَمِ بِعَمَلٍ، وَالْجِهَادُ مَاضٍ مُنْذُ بَعَثَنِيَ اللَّهُ إِلَى أَنْ يُقَاتِلَ آخِرُ أُمَّتِي الدَّجَّالَ لاَ يُبْطِلُهُ جَوْرُ جَائِرٍ وَلاَ عَدْلُ عَادِلٍ، وَالإِيمَانُ بِالأَقْدَارِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
সহীহ বুখারী
হাদীস নং:৫৮৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩০৮
৩৩৪৭. তাওবা করা।
৫৮৬৯। আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) দুটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। একটি নবী (ﷺ) থেকে আর অন্যটি তার নিজ থেকে। তিনি বলেন, ঈমানদার ব্যক্তি তার গুনাহগুলোকে এত বিরাট মনে করে, যেন সে একটা পাহাড়ের নীচে বসা আছে, আর সে আশঙ্কা করছে যে, সম্ভবত পাহাড়টি তার উপর ধসে পড়বে। আর পাপিষ্ঠ ব্যক্তি তার গুনাহগুলোকে মাছির মত মনে করে, যা তার নাকে বসে চলে যায়। এ কথাটি তিনি এভাবে বলেন; যা আবু শিহাব রাহঃ নিজ নাকে হাত দিয়ে দেখিয়ে দিলেন।
তারপর (নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন) নবী (ﷺ) বলেছেনঃ মনে কর কোন এক ব্যক্তি (সফরের অবস্থায় বিশ্রামের জন্য) কোন এক স্থানে অবতরণ করল, সেখানে প্রাণেরও ভয় ছিল। তার সাথে তার সফরের বাহন ছিল, যার উপর তার খাদ্য ও পানীয় ছিল। সে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ল এবং জেগে দেখল, তার বাহন চলে গেছে। তখন সে গরমে ও পিপাসায় কাতর হয়ে পড়লো। রাবী বলেনঃ আল্লাহ যা চাইলেন তা হল। তখন সে বলল যে, আমি যে জায়গায় ছিলাম, সেখানেই ফিরে যাই। এরপর সে নিজস্থানে ফিরে এসে আবার ঘুমিয়ে পড়ল। তারপর জেগে দেখলো যে, তার বাহনটি তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তখন সে ব্যক্তি যে পরিমাণ খুশী হল, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তার বান্দার তাওবা করার কারণে এর চাইতেও অনেক বেশী খুশী হন। আবু আওয়ানা ও জারীর আ'মাশ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، حَدِيثَيْنِ أَحَدُهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالآخَرُ عَنْ نَفْسِهِ، قَالَ " إِنَّ الْمُؤْمِنَ يَرَى ذُنُوبَهُ كَأَنَّهُ قَاعِدٌ تَحْتَ جَبَلٍ يَخَافُ أَنْ يَقَعَ عَلَيْهِ، وَإِنَّ الْفَاجِرَ يَرَى ذُنُوبَهُ كَذُبَابٍ مَرَّ عَلَى أَنْفِهِ ". فَقَالَ بِهِ هَكَذَا قَالَ أَبُو شِهَابٍ بِيَدِهِ فَوْقَ أَنْفِهِ. ثُمَّ قَالَ " لَلَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ عَبْدِهِ مِنْ رَجُلٍ نَزَلَ مَنْزِلاً، وَبِهِ مَهْلَكَةٌ، وَمَعَهُ رَاحِلَتُهُ عَلَيْهَا طَعَامُهُ وَشَرَابُهُ، فَوَضَعَ رَأْسَهُ فَنَامَ نَوْمَةً، فَاسْتَيْقَظَ وَقَدْ ذَهَبَتْ رَاحِلَتُهُ، حَتَّى اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْحَرُّ وَالْعَطَشُ أَوْ مَا شَاءَ اللَّهُ، قَالَ أَرْجِعُ إِلَى مَكَانِي. فَرَجَعَ فَنَامَ نَوْمَةً، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ، فَإِذَا رَاحِلَتُهُ عِنْدَهُ ". تَابَعَهُ أَبُو عَوَانَةَ وَجَرِيرٌ عَنِ الأَعْمَشِ. وَقَالَ أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا عُمَارَةُ سَمِعْتُ الْحَارِثَ. وَقَالَ شُعْبَةُ وَأَبُو مُسْلِمٍ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ. وَقَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ عَنْ عُمَارَةَ عَنِ الأَسْوَدِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَعَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ.