আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ৩৩

তাফসীর
وَلِکُلٍّ جَعَلۡنَا مَوَالِیَ مِمَّا تَرَکَ الۡوَالِدٰنِ وَالۡاَقۡرَبُوۡنَ ؕ  وَالَّذِیۡنَ عَقَدَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ فَاٰتُوۡہُمۡ نَصِیۡبَہُمۡ ؕ  اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ شَہِیۡدًا ٪

উচ্চারণ

ওয়ালিকুল্লিন জা‘আলনা-মাওয়া-লিয়া মিম্মা-তারাকাল ওয়া-লিদা-নি ওয়াল আকরাবূনা ওয়াল্লাযীনা ‘আকাদাত আইমা-নুকুম ফাআ-তুহুম নাসীবাহুম ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলাকুল্লি শাইইন শাহীদা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

পিতা-মাতা ও নিকটতম আত্মীয়বর্গ যে সম্পদ রেখে যায়, তার প্রতিটিতে আমি কিছু ওয়ারিশ নির্ধারণ করেছি। আর যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছ, তাদেরকে তাদের অংশ প্রদান কর। ৩১ নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সাক্ষী।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩১. যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে, মুসলিমদের মধ্যে তার যদি কোনও আত্মীয় না থাকে, তবে সে যে ব্যক্তির হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছে, কখনও কখনও তার সাথে পরস্পর ভাই-ভাই হওয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এ অবস্থায় তারা একে অন্যের ওয়ারিশও হবে এবং তাদের কারও উপর কোনও ব্যাপারে অর্থদ- আরোপিত হলে তা আদায়ের ব্যাপারে অন্যজন সহযোগিতাও করবে। এই সম্পর্ককে ‘মুওয়ালাত’ বলে। এ আয়াতে এই চুক্তির কথাই বলা হয়েছে। এ আয়াতের ভিত্তিতে ইমাম আবু হানীফা (রহ.)-এর মত এটাই যে, নওমুসলিমের সাথে এরূপ সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে। তার যদি কোন মুসলিম আত্মীয় না থাকে, তবে চুক্তিবদ্ধ সেই ব্যক্তিই তার মীরাছ পাবে।
﴾﴿
সূরা আন নিসা, আয়াত ৫২৬ | মুসলিম বাংলা