وَلَا تَتَمَنَّوۡا مَا فَضَّلَ اللّٰہُ بِہٖ بَعۡضَکُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ لِلرِّجَالِ نَصِیۡبٌ مِّمَّا اکۡتَسَبُوۡا ؕ وَلِلنِّسَآءِ نَصِیۡبٌ مِّمَّا اکۡتَسَبۡنَ ؕ وَسۡئَلُوا اللّٰہَ مِنۡ فَضۡلِہٖ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمًا
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩০. কতিপয় নারী আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছিল, তারা যদি পুরুষ হত, তবে তারাও জিহাদ ইত্যাদিতে শরীক হয়ে অধিকতর সওয়াব অর্জনে সক্ষম হত। এ আয়াত মূলনীতি জানিয়ে দিয়েছে যে, যেসব বিষয়ে মানুষের কোন এখতিয়ার নেই, তাতে আল্লাহ তাআলা কারও উপর কাউকে এক হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, আবার অপরকে অন্য হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন, যেমন কেউ নর, কেউ নারী; কেউ শক্তিমান, কেউ দুর্বল; আবার কেউ অন্যের তুলনায় বেশি সুন্দর। এসব জিনিস যেহেতু মানুষের এখতিয়ারে নয়, তাই এর আকাঙ্ক্ষা করার দ্বারা অহেতুক দুঃখবোধ ছাড়া কোনও ফায়দা নেই (তাছাড়া এতে পরস্পরে হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়)। সুতরাং এসব জিনিসে তাকদীরের উপর সন্তুষ্ট থাকা চাই। হাঁ যেসব ভালো জিনিসে মানুষের এখতিয়ার আছে, তা অর্জনে সচেষ্ট থাকা অবশ্য কর্তব্য। তাতে আল্লাহ তাআলার রীতি হল, যে ব্যক্তি যেমন কাজ করবে, তার ক্ষেত্রে তেমনই ফল প্রকাশ পাবে। তাতে নর-নারীর মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।