আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ৩৪

তাফসীর
اَلرِّجَالُ قَوّٰمُوۡنَ عَلَی النِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ اللّٰہُ بَعۡضَہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ وَّبِمَاۤ اَنۡفَقُوۡا مِنۡ اَمۡوَالِہِمۡ ؕ فَالصّٰلِحٰتُ قٰنِتٰتٌ حٰفِظٰتٌ لِّلۡغَیۡبِ بِمَا حَفِظَ اللّٰہُ ؕ وَالّٰتِیۡ تَخَافُوۡنَ نُشُوۡزَہُنَّ فَعِظُوۡہُنَّ وَاہۡجُرُوۡہُنَّ فِی الۡمَضَاجِعِ وَاضۡرِبُوۡہُنَّ ۚ فَاِنۡ اَطَعۡنَکُمۡ فَلَا تَبۡغُوۡا عَلَیۡہِنَّ سَبِیۡلًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیًّا کَبِیۡرًا

উচ্চারণ

আররিজা-লুকাওওয়া-মূনা ‘আলাননিছাই, বিমা-ফাদ্দালাল্লা-হু বা‘দাহুম ‘আলাবা‘দিওঁ ওয়াবিমা-আনফাকূমিন আমওয়া-লিহিম ফাসসা-লিহা-তুকা-নিতা-তুন হাফিজা তুল লিল গাইবি বিমা-হাফিজাল্লা-হু ওয়াল্লা-তী তাখা-ফূনা নুশূঝাহুন্না ফা‘ইজূহুন্না ওয়াহজুরূহুন্না ফিল মাদা-জি‘ই ওয়াদরিবূহুন্না ফাইন আতা‘নাকুম ফালাতাবগূ‘আলাইহিন্না ছাবীলা- ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলিইইয়ান কাবীরা।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

পুরুষ নারীদের অভিভাবক, যেহেতু আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু পুরুষগণ নিজেদের অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে। ৩২ সুতরাং সাধ্বী স্ত্রীগণ অনুগত হয়ে থাকে, (পুরুষের)অনুপস্থিতিতে আল্লাহ প্রদত্ত হিফাজতে (তার অধিকারসমূহ) সংরক্ষণ করে। ৩৩ আর যে সকল স্ত্রীর ব্যাপারে তোমরা অবাধ্যতার আশংকা কর, (প্রথমে) তাদেরকে বুঝাও এবং (তাতে কাজ না হলে) তাদেরকে শয়ন শয্যায় একা ছেড়ে দাও এবং (তাতেও সংশোধন না হলে) তাদেরকে প্রহার করতে পার। ৩৪ অতঃপর তারা যদি তোমাদের আনুগত্য করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনও (ব্যবস্থা গ্রহণের) পথ খুঁজো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকলের উপর, সকলের বড়।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩২. পূর্বে আল্লাহ যা দ্বারা কাউকে কারও উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন, তার আকাঙ্ক্ষায় পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষে লিপ্ত হতে নিষেধ করা হয়েছিল। এ স্থলে বিশেষভাবে নারীর উপর পুরুষকে শ্রেষ্ঠত্বদানের কথা উল্লেখ করে নারীদেরকে তা সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিতে উৎসাহিত করা হয়েছে। পুরুষের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ হচ্ছে সাধারণভাবে জ্ঞান-বুদ্ধি, পরিচালনা-ব্যবস্থাপনার যোগ্যতা ইত্যাদিতে তার অগ্রগামিতা। বলা বাহুল্য, এসব কেবলই পার্থিব জিনিস, আর এর ভিত্তিতে যে শ্রেষ্ঠত্ব, তাও কেবল পার্থিব শ্রেষ্ঠত্ব। এই শ্রেষ্ঠত্বের পাশাপাশি পুরুষের উপর রয়েছে নারীর ভরণ-পোষণের দায়িত্বভার। এ দুই কারণে পুরুষকে নারীর অভিভাবক বানানো হয়েছে। শরীআতের অন্যান্য বিধানের সাথে এই অভিভাবকত্ব পুরুষের প্রতি শরী‘আতের এক বিশেষ বিধান। এমনিভাবে তার সে অভিভাবকত্ব মেনে নেওয়াটা নারীর প্রতি অন্যান্য বিধানের সাথে এক বিশেষ বিধান। সুতরাং উভয়েই আপন-আপন ক্ষেত্রে শর‘ঈ বিধানের অধীন। শরীআতের সমস্ত বিধান মেনে চলাকে এক কথায় তাকওয়া বলে। আখিরাতের শ্রেষ্ঠত্ব তাকওয়ার উপর নির্ভরশীল। আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে সেই বেশি মর্যাদাবান, যে বেশি মুত্তাকী (হুজুরাত)। সুতরাং নর-নারী প্রত্যেকের কর্তব্য, আল্লাহ তাকে যে অবস্থানে রেখেছেন তাতে খুশী থেকে তাকওয়ায় অগ্রগামী হওয়ার চেষ্টা করা। -অনুবাদক
﴾﴿
সূরা আন নিসা, আয়াত ৫২৭ | মুসলিম বাংলা