আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ১২৮

তাফসীর
وَاِنِ امۡرَاَۃٌ خَافَتۡ مِنۡۢ بَعۡلِہَا نُشُوۡزًا اَوۡ اِعۡرَاضًا فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡہِمَاۤ اَنۡ یُّصۡلِحَا بَیۡنَہُمَا صُلۡحًا ؕ وَالصُّلۡحُ خَیۡرٌ ؕ وَاُحۡضِرَتِ الۡاَنۡفُسُ الشُّحَّ ؕ وَاِنۡ تُحۡسِنُوۡا وَتَتَّقُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِیۡرًا

উচ্চারণ

ওয়া ইনিমরাআতুন খা-ফাত মিমবা‘লিহানুশূঝান আও ই‘রা-দান ফালা- জুনা-হা ‘আলাইহিমা-আইঁ ইউসলিহা-বাইনাহুমা-সুলহাওঁ ওয়াসসুলহুখাইরুওঁ ওয়া উহদিরাতিল আনফুছশশুহহা ওয়া ইন তুহছিনূওয়া তাত্তাকূফাইন্নাল্লা-হা কা-না বিমাতা‘মালূনা খাবীরা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

কোনও নারী যদি তার স্বামীর পক্ষ হতে দুর্ব্যবহার বা উপেক্ষার আশঙ্কা করে, তবে তাদের জন্য এতে কোন অসুবিধা নেই যে, তারা পারস্পরিক সম্মতিক্রমে কোনও রকমের আপোস-নিষ্পত্তি করবে। ৮৯ আর আপোস-নিষ্পত্তিই উত্তম। মানুষের অন্তরে (কিছু না কিছু) লালসার প্রবণতা তো নিহিত রাখাই হয়েছে। ৯০ তোমরা যদি ইহসান ও তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তোমরা যা-কিছুই করবে, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত আছেন।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৮৯. কখনও এমনও হত যে, কোনও স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর দিল লাগছে না। তাই সে তার প্রতি অবহেলা করে এবং তাকে তালাক দিতে চায়। এ অবস্থায় স্ত্রী যদি তালাকে সম্মত না থাকে, তবে তার কিছু অধিকার ত্যাগ করে স্বামীর সাথে আপোস করতে পারে। অর্থাৎ বলতে পারে, আমি আমার অমুক অধিকার দাবী করব না, তবুও আমাকে নিজ বিবাহাধীন রেখে দাও। এরূপ ক্ষেত্রে স্বামীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সে যেন আপোস করতে রাজি হয়ে যায় এবং তালাক দেওয়ার জন্য গোঁ না ধরে। কেননা আপোস-মীমাংসার পন্থাই উত্তম। পরের বাক্যে ইহসান করার উপদেশ দিয়ে স্বামীকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে, মনের মিল না হওয়া সত্ত্বে সে যেন স্ত্রীর সাথে মিটমাট করার চেষ্টা করে এবং অন্তরে আল্লাহর ভয় রেখে তার অধিকারসমূহ আদায় করতে থাকে। তা হলে সেটা তার দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানের জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে।
﴾﴿