আন নিসা

সূরা নং: ৪, আয়াত নং: ১২৯

তাফসীর
وَلَنۡ تَسۡتَطِیۡعُوۡۤا اَنۡ تَعۡدِلُوۡا بَیۡنَ النِّسَآءِ وَلَوۡ حَرَصۡتُمۡ فَلَا تَمِیۡلُوۡا کُلَّ الۡمَیۡلِ فَتَذَرُوۡہَا کَالۡمُعَلَّقَۃِ ؕ وَاِنۡ تُصۡلِحُوۡا وَتَتَّقُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا

উচ্চারণ

ওয়া লান তাছতাতী‘ঊআন তা‘দিলূবাইনাননিছাই ওয়ালাও হারাসতুম ফালা-তামীলূকুল্লাল মাইলি ফাতাযারূহা-কালমু‘আল্লাকাতি ওয়া ইন তুসলিহূওয়া তাত্তাকূ ফাইন্নাল্লা-হা কা-না গাফূরার রাহীমা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তোমরা চাইলেও স্ত্রীদের মধ্যে সমান আচরণ করতে সক্ষম হবে না। ৯১ তবে (কোনও একজনের প্রতি) সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড়ো না, যার ফলে অন্যজনকে মাঝখানে ঝুলন্ত বস্তুর মত ফেলে রাখবে। তোমরা যদি সংশোধন কর ও তাকওয়া অবলম্বন করে চল, তবে (জেনে রেখ), আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৯১. অর্থাৎ মহব্বত ও ভালোবাসায় স্ত্রীদের মধ্যে সমতা রক্ষা করা মানুষের সাধ্যাতীত বিষয়। কেননা মনের উপর কোনও মানুষের হাত থাকে না। কাজেই এক স্ত্রী অপেক্ষা অন্য স্ত্রীর উপর যদি ভালোবাসা বেশি হয়, সে কারণে আল্লাহ তাআলা ধরবেন না। কিন্তু বাহ্যিক আচার-আচরণে সমতা রক্ষা করা জরুরী। অর্থাৎ একজনের কাছে যত রাত থাকবে, অন্যজনের কাছেও তত রাতই থাকতে হবে। একজনকে যে পরিমাণ খরচ দেবে অন্যজনকেও তাই দিতে হবে। এমনিভাবে একজনের প্রতি আচরণ এমন করবে না, যদ্দরুণ অন্যজনের মনে আঘাত লাগতে পারে এবং সে ধারণা করতে পারে, তাকে বুঝি মাঝখানে লটকে রাখা হয়েছে।
﴾﴿