وَیَسۡتَفۡتُوۡنَکَ فِی النِّسَآءِ ؕ قُلِ اللّٰہُ یُفۡتِیۡکُمۡ فِیۡہِنَّ ۙ وَمَا یُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ فِی الۡکِتٰبِ فِیۡ یَتٰمَی النِّسَآءِ الّٰتِیۡ لَاتُؤۡ تُوۡنَہُنَّ مَا کُتِبَ لَہُنَّ وَتَرۡغَبُوۡنَ اَنۡ تَنۡکِحُوۡہُنَّ وَالۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الۡوِلۡدَانِ ۙ وَاَنۡ تَقُوۡمُوۡا لِلۡیَتٰمٰی بِالۡقِسۡطِ ؕ وَمَا تَفۡعَلُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ فَاِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِہٖ عَلِیۡمًا
উচ্চারণ
ওয়া ইয়াছতাফতূনাকা ফিননিছা-ই কুল্লিলা-হু ইউফতীকুম ফীহিন্না ওয়ামা-ইউতলা‘আলাইকুম ফিল কিতা-বি ফী ইয়াতা-মাননিছাইল্লা-তী লা-তু’তূনাহুন্না মা-কুতিবা লাহুন্না ওয়া তারগাবূনা আন তানকিহূহুন্না ওয়ালমুছতাদ‘আফীনা মিনাল বিলদা-নি ওয়া আন তাকূমূলিলইয়াতা-মা-বিলকিছতি ওয়ামা-তাফ‘আলূমিন খাইরিন ফাইন্নাল্লা-হা কানা বিহী ‘আলীমা-।
মুফতী তাকী উসমানী
এবং (হে নবী!) লোকে তোমার কাছে নারীদের সম্পর্কে শরীয়তের বিধান জিজ্ঞেস করে। ৮৭ বলে দাও, আল্লাহ তাদের সম্পর্কে তোমাদেরকে বিধান জানাচ্ছেন এবং এই কিতাব (অর্থাৎ কুরআন)-এর যে সব আয়াত তোমাদেরকে পড়ে শোনানো হচ্ছে, তাও (তোমদেরকে শরীয়তের বিধান জানায়) সেই ইয়াতীম নারীদের সম্পর্কে, যাদেরকে তোমরা তাদের নির্ধারিত অধিকার প্রদান কর না, অথচ তোমরা তাদেরকে বিবাহও করতে চাও ৮৮ এবং অসহায় শিশুদের সম্পর্কেও (বিধান জানায়) এবং (তোমাদেরকে জোর নির্দেশ দেয়) যেন ইয়াতীমদের ব্যাপারে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা কর। তোমরা যা-কিছু সৎকাজ করবে, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞাত।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৮৭. ইসলামের আগে নারীদেরকে সমাজের এক নিকৃষ্ট জীব মনে করা হত। তাদের সামাজিক ও জৈবিক কোনও অধিকার ছিল না। যখন ইসলাম নারীদের হক আদায়ের জোর নির্দেশ দিল এবং উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে তাদেরকেও অংশ দিল, তখন আরবদের কাছে এটা এমনই এক অভাবিত বিষয় ছিল যে, তাদের কেউ কেউ মনে করছিল এটা হয়ত এক সাময়িক নির্দেশ, যা কিছুকাল পর রহিত হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে যখন রহিত হতে দেখা গেল না, তখন তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াত নাযিল হয়। এতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, এটা সাময়িক কোনও বিধান নয়। বরং স্থায়ী ও অপরিবর্তনীয়। আল্লাহ তাআলাই এ বিধান দিয়েছেন। কুরআন মাজীদে এর আগে যেসব আয়াত নাযিল হয়েছে, তাতেও এ জাতীয় বহু বিধান রয়েছে। এ আয়াতে সেই সঙ্গে নর-নারীর পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়ে আরও কিছু বিধান বর্ণিত হয়েছে।