আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

৪৭২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এলাকায় কারো মৃত্যু হলে দূর-দূরান্ত থেকে আগত লোকদের জন্য মেহমানদারির ব্যবস্থা করা হয়। এবং জানাযার নামাযের পূর্বে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাদেরকে খাবারের দাওয়াত দেওয়া হয়। এবং খাবার না খেয়ে চলে না যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে

অনুরোধ করা হয়।

কিছুদিন আগে এক জানাযার পূর্বে মৃতের ছেলে এভাবে বললে স্থানীয় ইমাম সাহেব মাইক হাতে নিয়ে রাগতস্বরে বলেন, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে খাবারের আয়োজন করা বিদআত। এটা পরিহার করতে হবে। শরীয়তের নিয়ম হল, অন্যরা মায়্যেতের বাড়িতে খাবার পাঠাবে। তার ঘরে আগুন জ¦লবে না। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

হযরত মুফতী সাহেবের কাছে জানার বিষয় হল, এক্ষেত্রে শরীয়তের সঠিক নির্দেশনা কী? কেউ যদি অন্যদের চাপাচাপিতে বাধ্য হয়ে খাবারে শরীক হয় তবে কি সে গুনাহগার হবে?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৫৭৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

পাঁচ বছর আগে আমি একটি ব্যবসা শুরু করেছিলাম। তখন একজনের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা এ চুক্তিতে নেই যে, সে পাঁচ বছর ব্যবসায় শরীক থাকবে। এ সময় প্রতি বছর তাকে লভ্যাংশের ২৫% দেওয়া হবে। পাঁচ বছর পর তাকে তার সব টাকা বুঝিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। সে তখন আর ব্যবসায় কোনো অংশীদার থাকবে না। কিন্তু এখন ব্যবসার লাভ ও মুনাফা দেখে সে তার টাকা নিয়ে চলে যেতে নারাজ। এক্ষেত্রে সে এক ব্যক্তির সাথে কথা বলেছে যে, তিনি বলেছেন, এ ধরনের শর্তারোপ করা শরীয়তসম্মত হয়নি। যৌথ ব্যবসায় এভাবে তার অংশীদারিত্ব বাতিল করা ঠিক হবে না। জানার বিষয় হল, তার এ কথাটি কি ঠিক? এখন আমার করণীয় কী?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৫৭৪
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কিছুদিন পূর্বে নতুন বাড়ি নির্মাণ করেছি। কিন্তু টাকার সল্পতার কারণে গেট বানাতে পারছিলাম না। তখন আমার এক বন্ধুর সাথে এভাবে চুক্তি হয় যে, সে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে গেট বানিয়ে আমার কাছে তা ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করবে। আর আমি তা ৫ মাসের মধ্যে পরিশোধ করে দিব। সে মর্মে আমরা একটি ওয়ার্কশপে গিয়ে গেটের সাইজ, স্টীল ও লোহার মান ইত্যাদি বিবরণ স্পষ্ট করে অর্ডার দেই। তারপর আমার বন্ধু দোকানদারকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে নিজের নামে দোকানের মেমো লিখিয়ে গেট বানানোর পর আমাকে দিয়ে দেওয়ার জন্য বলে আসে। নির্দিষ্ট সময়ে গেট তৈরি হওয়ার পর আমি তা নিয়ে এসে বাসায় ফিট করি। এখন জানার বিষয় হল, আমাদের উক্ত চুক্তিটি বৈধ হয়েছে কি না?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৫৪১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি পৈত্রিকসূত্রে বাজারে একটি দোকান পেয়েছি। ব্যবসা করার মত বর্তমানে আমার কাছে তেমন কোন পুঁজি নেই। আমার এক বন্ধু কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে। এতদিন সে অন্যের অধীনে বাইরে কাজ করত। এখন স্বতন্ত্রভাবে একটা দোকান নিতে চাচ্ছে। সে আমাকে প্রস্তাব দিয়েছে যে, সে তার সকল সাজ-সরঞ্জাম নিয়ে আমার দোকানে কাজ শুরু করবে। দোকানের প্রয়োজনীয় ডেকোরেশনও সে নিজ খরচে করবে। আমাকেও তার সাথে কাজে নিবে এবং প্রয়োজনীয় কাজ শিখিয়ে নিবে। মাসে যা উপার্জন হবে খরচ বাদ দিয়ে তা দুজনের মাঝে অর্ধা অর্ধি বণ্টন করা হবে।

প্রশ্ন হল, এভাবে চুক্তি করা কি জায়েয?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৫১১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার ফুফাতো ভাই একটি দোকান দিয়েছে। সে এতে ৬ লক্ষ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। কিছুদিন পর তার টাকার প্রয়োজন হলে সে আমার কাছে ঋণ চায়। আমি তাকে ঋণ দেওয়ার পরিবর্তে আলোচনাক্রমে তার ব্যবসায় বিনিয়োগ করি। বিনিয়োগকৃত টাকার পরিমাণ ছিল ৪ লক্ষ। এক্ষেত্রে আমাদের মাঝে এভাবে চুক্তি হয় যে, ব্যবসা সে দেখাশোনা করবে। আর দোকানের সব খরচ বাদ দিয়ে যা লাভ হবে তা দু’জনের মাঝে অর্ধার্ধি হারে বণ্টন হবে। আর লোকসান হলে উভয়ে মূলধন অনুপাতে বহন করবে।

এখন মুফতী সাহেবের কাছে জানতে চাচ্ছি, আমাদের উক্ত চুক্তিটি শরীয়তসম্মত হয়েছে কি না? দয়া করে জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০