আমরা জানি, ইহরাম অবস্থায় সেলাই করা কাপড় পরা নিষেধ। কিন্তু সেলাইযুক্ত বেল্ট পরাও কি নিষেধ?

আমি তামাত্তু হজ্বের নিয়ত করেছি। আমি যদি মক্কায় ওমরা করার পর হজ্বের আগে মদীনায় যাই তাহলে মদীনা থেকে ফেরার সময় শুধু হজ্বের ইহরাম করতে পারব নাকি তামাত্তু হজ্বের জন্য আবার ওমরার ইহরাম করতে হবে?

ইহরাম অবস্থায় মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য সুগন্ধিযুক্ত তেল ব্যবহার করা যাবে কি?

কিরান বা তামাত্তু হজ্ব আদায়কারীর ওপর দমে শোকর ওয়াজিব। তার ওপর কি ঈদুল আযহার কুরবানীও ওয়াজিব হবে নাকি দমে শোকরের কুরবানীই যথেষ্ট হবে?

আমি আমার মাহরামের সাথে হজ্বে গিয়েছি। দশ তারিখে ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য মাথার চুল একত্র করে এক ইঞ্চি পরিমাণ কেটেছি। বাড়িতে আসার পর বড় ভাই বললেন, ‘মহিলারা ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য কমপক্ষে তিন ইঞ্চি পরিমাণ চুল কাটতে হয়।’ জানতে চাই, তার কথা কি ঠিক?

সাত বছর বয়সের একটি মেয়েকে তার খালাত ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে দাম্পত্যসুলভ কোনো আচরণ তাদের মাঝে হয়নি। মেয়েটির বয়স এখন আট বছর। এক সপ্তাহ পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এখন কি তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে? 

আমার এক চাচাতো বোন বলেছে যে, ঘরে মাহরামের সামনে নাকি ওড়না পরতে হয় না। তার এ কথা কি ঠিক? মাহরামের সামনে কোন অঙ্গগুলো খোলা রাখা যায়?

ব্যাংকে আমার ১০ লক্ষ টাকা ছিল। এগুলো দিয়ে একটি জমি কিনেছিলাম। কিছুদিন পর জমিটি ৫ বছরের মেয়াদে বাকিতে ১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছি, যা বর্তমান বাজারদরের চেয়ে বেশি। এই লেনদেন সম্পর্কে জানতে পেরে একজন বলল যে, এটি বৈধ হয়নি। কেননা তা সুদি কারবারের অন্তর্ভুক্ত। এখন আমি জানতে চাই, ঐ ব্যক্তির কথা কি সঠিক?

সওম

একটি বইয়ে পড়েছি, বালেগ হওয়ার কোনো আলামত প্রকাশ না পেলেও ছেলে-মেয়েদের বয়স ১৫ বছর হলে তাদের উপর নামায-রোযা ফরয হয়ে যায়। এ কথাটি কি সঠিক?

আমি প্রতি সপ্তাহে শহর থেকে বিভিন্ন প্লাস্টিক সামগ্রী যেমন জগ, বদনা, বাটি ইত্যাদি কিনে গ্রামে নিয়ে যাই এবং কয়েকজন ছেলেকে দিয়ে তা মানুষের বাড়িতে ফেরি করে বিক্রি করতে পাঠাই। তাদেরকে মাল বুঝিয়ে দেওয়ার সময় পণ্যের দামও নির্দিষ্ট করে দেই। তাদের সাথে এ মর্মে চুক্তি হয় যে, নির্দিষ্ট দামের অতিরিক্ত যত টাকায় বিক্রি করতে পারবে তা তাদের। এ চুক্তিতে তারা সম্মত থাকে। জানার বিষয় হল, এভাবে চুক্তি করা বৈধ হয়েছে কি না?

আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি, যার সুদের কারবার ছাড়াও আরো কিছু ব্যবসা আছে সে যখন মসজিদ বা মাদরাসার উন্নয়নকল্পে দান করে তখন বলে এটা আমার সুদের টাকা না। এই ব্যক্তির টাকা মসজিদ বা মাদরাসার কাজে ব্যবহার করা যাবে কি না?

হাজী মুহাম্মাদ ইয়াছীন সাহেব ১৩৩৮ সালে মসজিদের জন্য নিজ বাড়িতে ১০ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে গেছেন। এরপর ১৩৪৪ সালে মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রায় আধা মাইল দূরে জামুর মৌজায় ২২৩ শতাংশ ফসলী জমি ওয়াকফ করেন। ওয়াকফনামায় তিনি লিখেছেন, মুতাওয়াল্লীর ওয়াকফকৃত সম্পত্তি হস্তান্তর বা রূপান্তর করিবার কোনো ক্ষমতা রহিল না। বর্তমানে মসজিদের ৫ তলা ইমারত নির্মাণের জন্য নগদ টাকার প্রয়োজন। আবার ঐ এলাকায় দাওয়াত-তাবলীগের শবগুজারির জন্য একটি মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের তাকাযা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ওয়াকফকৃত ২২৩ শতাংশ জমির ১০০ শতাংশ জমিতে যদি তাবলীগের শবগুজারির জন্য মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হয় এবং এর বিনিময়ে ২ কোটি টাকা গ্রহণ করা হয় তবে তা বৈধ হবে কি? মুতাওয়াল্লী এ ধরনের হস্তান্তর বা রূপান্তর করতে পারবে কি?

দীর্ঘ দিন পর্যন্ত আমাদের কোনো সন্তান হচ্ছিল না। ফলে আমার স্বামী মান্নত করলেন যে, আমাদের সন্তান হলে আমরা তাকে নিয়ে শাহজালাল রাহ.-এর মাযার যিয়ারত করতে যাব এবং সেখানকার গরীবদেরকে একটি গরু জবাই করে খাওয়াব। আল্লাহ তাআলার মেহেরবানীতে আমাদের একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। কিন্তু আমার স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার দরুণ মাযারে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের মান্নতটি কিভাবে আদায় করব?

আমি মান্নত করেছি যে, দাখিল পরীক্ষায় এ প্লাস পেলে একদিন ইতিকাফ করব। পরে আল্লাহর রহমতে আমি এ প্লাস পেয়েছি। এখন জানতে চাই, ঐ একদিনের ইতিকাফের জন্য কি রোযাও রাখতে হবে? জানালে উপকৃত হব।

জনৈক ব্যক্তি বলেছে, কুরআন তেলাওয়াতের সময় অযু নষ্ট হয়ে গেলে মুখ বা ঠোঁটের দ্বারা কুরআন শরীফের পৃষ্ঠা উল্টানো যায় এবং এর দ্বারা অযু ছাড়া কুরআন ধরার গুনাহ হয় না। জানতে চাই, তার কথাটি কি ঠিক?

অনেক সময় নামায পড়ার সময় সেজদায় মাথা থেকে টুপি পড়ে যায়। যার কারণে নিজের কাছে খুবই অস্বস্তি বোধ হয়। এর থেকে বাঁচার জন্য সেজদা থেকে উঠার সময় যদি টুপি তুলে মাথায় দেই তাহলে এতে নামাযের কোনো ক্ষতি হবে কি?

আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব ইমামতি ছাড়াও এলাকার সিনিয়র মাদরাসায় (আলিয়া) শিক্ষকতা করেন। ঐ মাদরাসায় সহশিক্ষা চালু আছে। ছেলেমেয়ে একত্রে ক্লাস করে। (তবে মেয়েরা বোরকা বা নেকাব পরে থাকে।)

আবার কিছু মুসল্লী তাকে অপছন্দ করেন। এ অবস্থায় ঐ ইমামের পিছনে ইক্তিদা করাতে শরীয়তে কোনো সমস্যা আছে কি না? থাকলে দলিলসহ জানালে উপকৃত হব। 

আমাদের এলাকায় মৃতকে কবরে চিৎ করে শোয়ানো হয় এবং শুধু মুখ কেবলার দিকে করে দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিটি কি ঠিক? নাকি ডান দিকে কাত করে শোয়াতে হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।