আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

২৮৮২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

হযরত ওমর রা.-এর যুগে যখন তারাবীর ছোট ছোট জামাতগুলোকে এক ইমামের পিছনে বড় জামাতে রূপান্তরিত করা হয় তখন তারাবী বিশ রাকাত ছিল-এটিই প্রসিদ্ধ। আমরাও এতদিন এমনটিই জানতাম। কিন্তু আমার এক বন্ধু বলল,  এই বিষয়ে বিভিন্ন রকমের রেওয়ায়েত আছে। কিছু রেওয়ায়েতে তো বিশ রাকাতের কথাই আছে, যা হাসানপর্যায়ের। কিন্তু অন্য রেওয়ায়েতে আট রাকাত তারাবীহ ও তিন রাকাত বিতরসহ মোট এগার রাকাতের কথা আছে। আর এই রেওয়ায়েতটি হল সহীহএবং তা মুয়াত্তার রেওয়ায়েত। সে আরো বলল, যেহেতু সহীহ’-এর স্থান হাসান’-এর উপরে তাই আট রাকাত তারাবীহ পড়াই উচিত। আমার বন্ধুর কথা কি ঠিক? জানিয়ে বাধিত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
৫১৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের গ্রামে ঈদগাহ সংলগ্ন সরকারি জায়গার উপর প্রায় ১৪-১৫ বছর আগে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয় এবং এতে দীর্ঘ ১৪-১৫ বছর যাবৎ জামাতের সাথে নামায পড়া হচ্ছে এবং জুমার নামাযসহ মসজিদ কেন্দ্রিক সব ধরনের কার্যক্রমও পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু ইদানিং একটি মহল (নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে) একথা প্রচার করছে যে, ঐ জায়গাটি যেহেতু সরকারি তাই এটা মসজিদ হিসাবে গণ্য হবে না এবং এতে ইতেকাফ ও অন্যান্য আহকাম (যা মসজিদে করা জরুরি) এতে সহীহ হবে না। কারণ হিসাবে তারা বলছে, মসজিদ হওয়ার জন্য তার জায়গা ওয়াকফ করা জরুরি। আর এ জায়গা ওয়াকফ করা হয়নি।

এখন মুফতী সাহেবের কাছে আমাদের জানার বিষয় হল, এ সকল লোকদের কথা কি ঠিক? এবং মসিজদ হওয়ার জন্য ওয়াকফ করা জরুরি কি না? সর্বোপরি আমাদের মসজিদটি ‘শরয়ী মসজিদ’ কি না? বরাতসহ জানালে উপকৃত হব। আল্লাহ তাআলা আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
৭৩২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

মসজিদের বারান্দা কাকে বলে? মসজিদের অভ্যন্তরে মুসল্লিদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ যদি অভ্যন্তর সংলগ্ন আরো কিছু জায়গা নামাযের জন্য বাড়িয়ে নেয় তবে কি তা মূল মসজিদ ধরা হবে, না বারান্দা ধরা হবে?

উল্লেখ্য, বর্ধিত অংশগুলো মূল মসজিদের ছাদের সাথে এমনভাবে লাগানো যে, মূল ও বর্ধিত অংশ আলাদা করা যায় না এবং ঐ বর্ধিত অংশগুলোতে মূল মসজিদের কাতারের সাথে মিলে নামায আদায় করা হচ্ছে। আর মসজিদ কর্তৃপক্ষ কী উদ্দেশ্যে বর্ধিত অংশ তৈরি করেছিল, তা জানা যায় না।

যদি ঐ বর্ধিত অংশ মূল মসজিদ বলে গণ্য হয় তবে মসজিদের আদব-ইহতেরামের সমস্ত বিধানাবলী ঐ বর্ধিত অংশের উপর বর্তাবে কি না?

প্রয়োজনীয় দলীল ও ব্যাখ্যাসহকারে উত্তর প্রদান করে বাধিত করবেন।

ভাষাগত কোনো ত্রুটির ফলে বেয়াদবি হলে অনুগ্রহ করে ক্ষমা করে দিবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
২৬৪৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

ক) এক মহিলার ছেলের নামে মামলা হয়েছে। আদালত ঘোষণা করেছে, মঙ্গলবার এ মামলার ফয়সালা হবে। এ কথা শুনে মহিলা মান্নত করেছে যে, যদি তার ছেলের পক্ষে ফয়সালা হয় তাহলে তিনি সারা জীবন প্রতি মঙ্গলবার রোযা রাখবেন। মঙ্গলবার দিন আদালত তার ছেলের পক্ষেই ফয়সালা দিয়েছে। এখন কি সারা জীবন প্রতি মঙ্গলবার তাকে রোযা রাখতে হবে?

খ) কসম ভঙ্গের কারণে আমার উপর একটি কাফফারা ওয়াজিব হয়েছে। আমরা জানি, দশজন মিসকীনের প্রত্যেককে এক সদকাতুল ফিতর পরিমাণ গম বা এর মূল্য দিলে কাফফারা আদায় হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আমার জানার বিষয় হল, আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব প্রতি জুমআয় মসজিদের জেনারেটরের তেলের জন্য টাকা তোলেন। কাফফারার টাকা গরীবকে না দিয়ে জেনারেটরের তেলের জন্য দিয়ে দিলে আমার  কাফফারা আদায় হবে কি?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০