প্রশ্নঃ ৯২৭৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ছাত্র-শিক্ষক প্রসঙ্গেঃঘটনাটা প্রায়ই তিন বছর আগেকার আমি স্কুলে থাকতে(এখন কলেজে পড়ি) এক শিক্ষককে একটি আজব নাম দিয়েছিলাম।যদিও আমি শিক্ষককে সেই নামে ডাকতাম না(সামনাসামনি) এবং শিক্ষকের সাথে কোনদিন বেয়াদবি করিনি তেমন একটা.তবে কিছু স্কুলের স্টুডেন্ট সেই নাম ব্যবহার করে স্যার কে ডাকে(সামনাসামনি ডাকে না তবে সাইডে ডাকে)। তবে আমি যে সারকে এই নামটা দিয়েছি এবং সারকে যে এই নামে ডাকা হয় এই ব্যাপারে সার জানে কিনা আমি শিওর না।যেহেতু সারে এ ব্যাপারে জানে কিনা আমি সঠিক জানিনা তাই আমি যদি স্যারের কাছে ক্ষমা চায় তাহলে সার ক্ষমা করার পরিবর্তে আরো উল্টা রাগারাগি করতে পারে।আর যদি যেনেও থাকে তাও ক্ষমা করার পরিবর্তে রাগারাগি করা সম্ভাবনাই বেশি।আমি আমার নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং ব্যাপারটা খুব খারাপ লাগছে আমার কাছে। প্রশ্ন:1.স্যার যদি জানতে পারে যে আমি নামটা দিয়েছি এবং আমার নামে যদি বদদোয়া তাহলে কি আমার পড়াশোনা কোন ক্ষতি হবে?2. আমি স্যারের জন্য দোয়া করছি এবং সারের পক্ষ থেকে দান করার নিয়ত করছি এটা কি সঠিক এখন আমার কি করা উচিত?3.এবং পরকালে ক্ষমা পাওয়ার উপায় কি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
و عليكم السلام و رحمة الله
১. আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বলেন-
و لا تنابزوا باالالقاب
তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না ।( সূরা, হুজুরাত-১১)
অর্থাৎ তোমরা একে অপরকে এমন কোন নামে ডেকো না যে নামে ডাকার দ্বারা সে মনে কষ্ট পাবে,( তাই কোন মুসলমান আরেক মুসলমানকে এমন কোন নাম দেওয়া বা এমন কোন নামে ডাকা যে নামে ডাকলে সে মনে কষ্ট পায়,) এটা সম্পূর্ণ হারাম। ছাত্র-শিক্ষকের ক্ষেত্রে বিষয়টা আরো মারাত্মক পর্যায়ের।
জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে ওস্তাদের সাথে অদব ও ভদ্রতা বজায় রাখা জ্ঞান অর্জনের জন্য অন্যতম শর্ত। তাই আপনার পড়া লেখার ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিছুটা হলেও।
সুতরাং আপনি যা করেছেন এটা অবশ্যই আপনার জন্য অন্যায় এবং গর্হিত কাজ হয়েছে। তাই আপনি আপনার শিক্ষকের থেকে যেভাবেই পারেন ক্ষমা চেয়ে নিন। তবে হা, আপনি এখন সরাসরি ক্ষমা চাইতে গেলে যেহেতু তিনি আপনার উপরে রেগে যেতে পারে, তাই উনাকে কিছু হাদিয়া দিন, উনার সাথে সম্পর্কটা বৃদ্ধি করুন, এরপর সময় এবং অবস্থা বুঝে তার কাছে বিষয়টা খুলে না বলতে পারলেও সামষ্টিকভাবে (স্যার আপনার সাথে ছাত্র জামানায় অনেক বেয়াদবি মূলক আচরণ হয়ে গেছে, আপনি মাফ করে দিন) এভাবে হলেও মাফ চেয়ে নিন।
(২) সাথে সাথে আপনি দ্বিতীয় প্রশ্নে উল্লেখিত যে পন্থা অবলম্বন করার খেয়াল করেছেন তা করতে পারেন এটা আপনার জন্য ফায়দাজনক হবে, ইনশাআল্লাহ।
৩. উপরোক্ত দুটি পথ অবলম্বন করার সাথে সাথে স্যারের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন এবং নিজের জন্যও আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আশা করা যায় এতে করে আল্লাহতায়ালা পরকালে আপনাকে মাফ করে দিবেন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন