প্রশ্নঃ ৮৮৭৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হায়েযের সময় মহিলাদের নামায নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কুরআনে কিছু বলা হয়েছ কি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
হায়েয অবস্থায় নামায, রোযা, স্বামী-স্ত্রী সহবাস, কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা, বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা, কুরআনুল কারিমের তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ।
কুরআনুল কারিমে হায়েজের সময়কে নাপাকীর সময় বলা হয়েছে। এতে ইঙ্গিত রয়েছে এ সময় নামাজ পড়া যাবে না। যার ব্যাখ্যা হাদীছ শরীফ-এ দেয়া হয়েছে।
وَیَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡمَحِیۡضِ ؕ قُلۡ ہُوَ اَذًی ۙ فَاعۡتَزِلُوا النِّسَآءَ فِی الۡمَحِیۡضِ ۙ وَلَا تَقۡرَبُوۡہُنَّ حَتّٰی یَطۡہُرۡنَ ۚ فَاِذَا تَطَہَّرۡنَ فَاۡتُوۡہُنَّ مِنۡ حَیۡثُ اَمَرَکُمُ اللّٰہُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ وَیُحِبُّ الۡمُتَطَہِّرِیۡنَ
লোকে আপনার কাছে হায়েয সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, তা অশুচি। সুতরাং হায়যের সময় স্ত্রীদের থেকে পৃথক থেক এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পবিত্র না হয়, ততক্ষণ তাদের কাছে যেয়াে না। (অর্থাৎ সহবাস করাে না)। হাঁ যখন তারা পবিত্র হয়ে যাবে, তখন তাদের কাছে সেই পন্থায় যাবে, যেভাবে আল্লাহ তােমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সেই সকল লােককে ভালােবাসেন, যারা তার দিকে বেশি বেশি রুজু করে এবং ভালােবাসেন তাদেরকে, যারা বেশি বেশি পাক-পবিত্র থাকে।
—আল বাকারা - ২২২
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ حَدَّثَتْنِي مُعَاذَةُ، أَنَّ امْرَأَةً، قَالَتْ لِعَائِشَةَ أَتَجْزِي إِحْدَانَا صَلاَتَهَا إِذَا طَهُرَتْ فَقَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلاَ يَأْمُرُنَا بِهِ. أَوْ قَالَتْ فَلاَ نَفْعَلُهُ.
মু’আযাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত:
জনৈকা মহিলা ‘আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে বললেনঃ হায়েযকালীন কাযা সালাত পবিত্র হওয়ার পর আদায় করলে আমাদের জন্য চলবে কি-না? ‘আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বললেনঃ তুমি কি হারূরিয়্যাহ? (খারিজীদের একদল) আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময়ে ঋতুবতী হতাম কিন্তু তিনি আমাদের সালাত কাযার নির্দেশ দিতেন না। অথবা তিনি [‘আয়িশা (রাঃ)] বলেনঃ আমরা তা কাযা করতাম না।
টীকা :
খারিজীদের একটি দল যারা ঋতুবতীর জন্য সালাতের কাযা ওয়াজিব মনে করত।
—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩২১
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন