প্রশ্নঃ ৮৩১৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আস্ সালামুআলাইকুম।
প্রশ্নঃ মাসিকের সময় কি কুরআন তেলওয়াত নিষেধ? আর যদি সুরা মুলক কারো মুখস্থ না থাকে তাহলে মেয়েরা মাসিকের সময়টায় সুরা মুলক কিভাবে পড়বে বা পড়া উচিৎ ?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মাসিকের সময় কুরআন তেলওয়াত নিষেধ। আপনি আমলী সূরাগুলো যিকর বা ওযীফা হিসেবে পড়তে পারবেন, তবে তেলাওয়াত হিসেবে কখনো নয়।
الفتوى رقم: 562: السؤال: السلام عليكم، هل يجوز للحائض قراءة سورة المُـلك كلَّ ليلة؟
الجواب، وبالله تعالى التوفيق:
المسألة متوقِّفة على النية، كما نصَّ على ذلك فقهاء الشافعيَّة في كتبهم المعتمدة، فإذا نوت الحائض أو النفساء قراءة سورة الملك بنية الذِّكر أو الوِرد فلا مانع من ذلك، وإلا حَرُم.
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ৭২৩৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম হযরত হায়েজ অবস্থায় কোরআনের তাফসির পড়া যাবে আয়াত সহকারে মানি কোরআনের আয়াত তাফসির সহ পড়া যাবে? ওযু না করে পড়লে গুনাহ হবে কি?মোবাইলে নেটে কোরআনের তেলওয়াত মনোযোগ সহকারে শুনলে কি সওয়াব হবে? হায়েজ অবস্থায় সূরা মুফাসীর পড়া যাবে ছোট বইয়ে সকাল বিকালের আমল আছে এই রকম বইয়ে আরবি বাংলা দুইটায় আচে ঐ বইয়েপড়া যাবে?জাযাকাল্লাহু খইরান
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ওয়া আলাইকুমুস সালাম,
মহিলাদের হায়েয অবস্থায় নামাজ পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা, কুরআন স্পর্শ করা এবং স্বামীর সাথে মেলামেশা করা নিষেধ।
উপরোক্ত কাজগুলো ছাড়া যেকোন নফল আমল, সকাল-সন্ধ্যায় জিকির ও নিজের প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে সূরা ফাতিহা, সূরা ফালাক ও সূরা নাস আমল হিসেবে পড়তে পারবেন। তিলাওয়াত হিসেবে নয়।
বরং এই আমলগুলো চালিয়ে যাওয়ার মধ্যেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মাসিকের সময় মহিলারা সবধরনের জিকির থেকে দূরে থাকার কারণে তাদের উপর শয়তান ভর করে।
অতএব মাসিকের সময় জিকির-আজকার সহ নিজের প্রতিরক্ষার আমলগুলো অবশ্যই চালিয়ে যাবে।
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لاَ نَذْكُرُ إِلاَّ الْحَجَّ، فَلَمَّا جِئْنَا سَرِفَ طَمِثْتُ، فَدَخَلَ عَلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ {مَا يُبْكِيكِ}. قُلْتُ لَوَدِدْتُ وَاللَّهِ أَنِّي لَمْ أَحُجَّ الْعَامَ. قَالَ {لَعَلَّكِ نُفِسْتِ}. قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ " فَإِنَّ ذَلِكَ شَىْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَافْعَلِي مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ، غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِي ".
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেনঃ আমরা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে হজ্জের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। আমরা ‘সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছেলে আমি ঋতুবতী হই। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে আমাকে কাঁদতে দেখলেন এবং জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললামঃ আল্লাহ্র শপথ! এ বছর হজ্জ না করাই আমার জন্য পছন্দনীয়। তিনি বললেনঃ সম্ভবত তুমি ঋতুবতী হয়েছ। আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এটাতো আদম-কন্যাদের জন্যে আল্লাহ্ নির্ধারিত করেছেন। তুমি পবিত্র হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য হাজীদের মত সমস্ত কাজ করে যাও, কেবল কা’বার তাওয়াফ করবে না।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩০৫
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ الْجُنُبُ وَلاَ الْحَائِضُ " .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নাপাক ব্যক্তি ও ঋতুবতী স্ত্রীলোক কুরআন তিলাওয়াত করবেনা।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৫৯৫
২- সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে এ যাবৎ ওলামায়ে কেরাম হায়েয-নেফাছ ও গোসল ফরয অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়তে নিষেধ করে আসছেন।
তাই আয়াত মোটেও উচ্চারণ করা যাবে না তবে বাংলা তাফসীর পড়া যাবে। আয়াত পড়বে না।
কোরআনের তেলওয়াত মনোযোগ সহকারে শুনতে নিষেধ নেই।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন