আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৮১৩০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্ন হচ্ছে,আমার স্ত্রীকে পর্দা করানোর ব্যাপারে আমি বেশ সজাগ। সে করেও। কিন্তু মাঝে মাঝে তাকে নিষেধ করা সত্তেও নন-মাহারাম এর সামনে যায়। মুখ খুলে(নেকাব) কথা বলে। হাসি ঠাট্টা করে। অনেক বার বারন করা সত্তেও এইটা থেকে তাকে ফেরাতে পারছি না। এইক্ষেত্রে কি আমি তার স্বামী হিসাবে দাইয়্যুস হবো? এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? জাজাকাল্লাহ খইরান ❤️

২১ আগস্ট, ২০২১
নওয়াপাড়া

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم






আপনার স্ত্রীকে পর্দা করার জন্য যথাযথ ভাবে বুঝিয়ে বলে থাকলে আপনার দায়িত্ব আদায় হয়েছে। এরপরও যদি আপনার স্ত্রী বেপর্দা হয়ে গাইরে মাহরামদের সাথে কথাবার্তা বলে, তবে গুনাহের বোঝা তার কাঁধে চাপবে। আপনি দায়ী হবেন না ইনশাআল্লাহ।
শরীয়তের পক্ষ থেকে আপনার উপরে দায়িত্ব হল অন্যায় কাজে বাধা দেয়া, নিষেধ করতে থাকা।

যে ব্যক্তি নিজ পরিবারে অন্যায় অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেয়, নিষেধ করে না, সে জান্নাতের গন্ধও পাবে না।

عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسَرٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم ثَلاَثَةٌ لاَ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ أَبَدًا اَلدَّيُوْثُ وَالرَّجْلَةُ مِنَ النِّسَاءِ وَمُدْمِنُ الْخَمْرِ.

আম্মার ইবনু ইয়াসার রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তিন শ্রেণীর মানুষ কখনো জান্নাতে যাবে না।
(১) যে ব্যক্তি তার পরিবারে বেহায়াপনার সুযোগ দেয়।
(২) পুরুষের বেশধারী নারী।
(৩) নিয়মিত নেশাদার দ্রব্য পানকারী।

—তাবরাণী, তারগীব হা/৩৩৮১

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন