মিসক্যারেজ পরবর্তী ব্লিডিংয়ের বিধান
প্রশ্নঃ ৮০৯০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মহিলাদের যখন মিসক্যারেজ (গর্ভপাত) হয়.. তখন দেখা যায়, রক্তপাত বন্ধ হতে ১৫/২০ বা তার ও বেশি টাইম নেয়, তখন আমাদের নামাজ রোজার বিধান কি? বা আমরা তখন কিভাবো নামাজ রোজা আদায় করবো?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে গর্ভের বাচ্চা পূর্ণ হওয়ার পূর্বে প্রসব হয়ে গেলে তাতে যদি মানবাকৃতি প্রকাশ পায় তবে এর বিধি-বিধান বাচ্চা হওয়ার বিধিবিধানের মতো।
অর্থাৎ বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর রক্তপাতকে নিফাস বলা হয়। যার সর্বোচ্চ সীমা ৪০ দিন। নূন্যতম কোন সীমা নেই। তদ্রুপ অপূর্ণাঙ্গ বাচ্চা গর্ভপাতের পরে রক্তপাত নিফাস হিসেবে গণ্য হবে। যা সর্বোচ্চ ৪০ দিন পর্যন্ত গণ্য হতে পারে। ৪০ দিনের আগে যেদিন রক্ত বন্ধ হবে, সেদিন থেকে নামাজ রোযা আরম্ভ করতে হবে।
উল্লেখ্য, নিফাসকালীন ছুটে যাওয়া নামাজগুলো পরবর্তীতে কাযা করতে হবে না। যেমনিভাবে হায়েযকালীন ছুটে যাওয়া নামাজগুলো পরবর্তীতে কাযা করতে হয় না।
নিফাসকালীন ছুটে যাওয়া রোজাগুলো পরবর্তীতে কাযা করতে হবে। যেমনিভাবে হায়েযকালীন ছুটে যাওয়া রোজাগুলো পরবর্তীতে কাযা করতে হয়।
আর যদি গর্ভপাত হওয়া বস্তুটি শুধুই গোশতের টুকরো অথবা রক্তপিণ্ড মাত্র, মানবাকৃতির কোন কিছুই তাতে বিদ্যমান নয়, সেক্ষেত্রে এ ধরনের গর্ভপাতের পর রক্তপাতকে ইস্তিহাযা হিসেবে গণ্য করবে। প্রতি ওয়াক্তে পরিচ্ছন্ন হয়ে নতুন অজু করে নামাজ পড়বে এবং এই অবস্থায় রোজা রাখতে হবে।
مَا يَتَعَلَّقُ بِالسِّقْطِ مِنْ حَيْثُ الطَّهَارَةُ وَالْعِدَّةُ
3 - إِذَا نَزَل السِّقْطُ تَامَّ الْخِلْقَةِ تَرَتَّبَتْ عَلَيْهِ الأَْحْكَامُ الَّتِي تَتَرَتَّبُ عَلَى الْوِلاَدَةِ مِنْ حَيْثُ أَحْكَامُ النِّفَاسِ وَانْقِضَاءِ الْعِدَّةِ وَوُقُوعِ الطَّلاَقِ الْمُعَلَّقِ عَلَى الْوِلاَدَةِ، وَكَذَلِكَ إِنْ أَلْقَتْ مُضْغَةً تَبَيَّنَ فِيهِ خَلْقُ إِنْسَانٍ، وَأَمَّا إِذَا أَلْقَتْ مُضْغَةً لَمْ يَتَبَيَّنْ فِيهَا التَّخَلُّقُ أَوْ أَلْقَتْ عَلَقَةً فَفِي ذَلِكَ خِلاَفٌ يُنْظَرُ فِي (إِجْهَاض ف 170) .
—আল মাওসূআ আল ফিকহিয়্যাহ
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন