ইমাম ভুলে অযু ছাড়া নামাজ পড়ালে করণীয় কী
প্রশ্নঃ ৬৮৩০৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ভুলে ওযু ছাড়া ইমামতি করে ফেললে কি করণীয়
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইমামতি করা একটি বড় যিম্মাদারী। ইমাম সাহেব নিজের নামাজ আদায় করেন। আবার মুসল্লীদেরকে নিয়ে নামাজ আদায়ের দায়িত্ব নেন। এইজন্য নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
الإمام ضامن والمؤذن مؤتمن اللهم أرشد الأئمة واغفر للمؤذنين
অর্থ: মসজিদের ইমাম হলো মুসল্লীদের জন্য যিম্মাদার এবং মুয়াযযিন আমানতদার। ইয়া আল্লাহ্! তুমি ইমামদের সৎপথ প্রদর্শন কর এবং মুয়াযযিনদেরকে ক্ষমা কর। আবূ দাউদ, ৫১৭
তাই ইমাম সাহেবের নামাজ না হলে মুসল্লীদের নামাজও হবে না। ইমাম সাহেব অযু ছাড়া ভুলে নামাজ পড়ে ফেললে পিছনে যারা ইক্তেদা করেছে, তাদের নামাজও হবে না। ইমামের জন্য ওয়াজিব হলো, অযু করে এসে ওই নামাজ পুনরায় পড়াবে। আর যদি ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর মনে আসে, তাহলে আমানতদারিতার সাথে ঘোষণা করবে যে, অমুক ওয়াক্তের নামাজ হয়নি। আপনারা মেহেরবানী করে ওই নামাজ কাযা করে নিবেন।
মুসল্লীরা বুঝমান হলে এই ঘোষনায় নারাজ হবে না। বরং ইমাম সাহেবের প্রতি তাদের সুধারণা আরও বৃদ্ধি পাবে। আর মুসল্লীরা অবুঝ হলে রাগ করতে পারে। কিন্তু তাদের রাগে কোনো যায় আসে না। যদি ইমামের ভুলের কারণে তাদের নামাজ না হয়, তাহলে তারাই কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে বিচার দায়ের করবে।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 591):
’’ (وإذا ظهر حدث إمامه) وكذا كل مفسد في رأي مقتد (بطلت فيلزم إعادتها) لتضمنها صلاة المؤتم صحة وفسادا (كما يلزم الإمام إخبار القوم إذا أمهم وهو محدث أو جنب) أو فاقد شرط أو ركن. وهل عليهم إعادتها إن عدلا، نعم وإلا ندبت، وقيل لا لفسقه باعترافه
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
খতীব, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ, মিরাশপাড়া গাজীপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন